নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

‍‍‍"Al-Quran", The source of science - Dr. Mahfuz

নাড়ীর স্পন্দন গুনে রুগীর সেবা করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে চেতনার কলম ধরি।('মনের মাধুরী' হলো পার্থিব জ্ঞান সমৃদ্ধ স্বচ্ছ মনন- আর 'চেতনার কলম' হলো আল-কোরআনের ঐশী আলোয় আলোকিত বিবেক সম্পন্ন লিখন)

মাহফুজশান্ত

আসুন, "ধর্মান্ধতা পরিহার করে ধর্মিষ্ঠ হই" "বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম" [আল-কোরআন-৯৬. সূরা আল-আলাক] ০১. পাঠ কর (এবং ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন- ০২. সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ হতে। ০৩. পাঠ কর, আর (ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত। ০৪. যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন- ০৫, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।] পবিত্র কোরআনের ৯৬ নম্বর সূরা 'আলাক'-এর প্রথম এই পাঁচটি আয়াত অত্যন্ত মূল্যবান এবং যা মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে ফেরেশতা জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে সর্বশেষ নবী রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর নাযিলকৃত সর্বপ্রথম ওহি অর্থাৎ ঐশীবাণী। মহামহিমান্বিত প্রতিপালকের নামে শিক্ষা লাভের জন্য পাঠ করা ( Study ) অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায় থেকে জ্ঞানার্জন করা এবং জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে কলমের ব্যবহার অর্থাৎ 'লিখন' যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখে তা সর্বজনবিদিত। মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে খাঁটি মানুষ রূপে গড়ে তোলার জন্য যে সর্বপ্রথমে এই ধরণের চমৎকার ও কার্যকর ঐশীবাণী প্রদান করে অনুপ্রাণিত করবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে পার্থিব জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের বিষয়ে জ্ঞান চর্চার তাগিদে সময় বের করে নিতে হয়েছে। যে জ্ঞানের কোন সীমা পরিসীমা নেই, যে জ্ঞানের কথা লিখতে বসলে মহাসাগরের এমনকি আকাশ ও পাতালের সকল জলরাশিকে কালি বানালেও তা ফুরিয়ে যাবে- তার জন্য এই সময়টুকু অতি নগন্য। তথাপি আমার এই ছোট্ট প্রয়াসের জন্য দয়াময় আল্লাহতায়ালা যে আমাকে সুযোগ ও তৌফিক দিয়েছেন সেজন্য আমি অবনত মস্তকে সর্বশক্তিমান স্রষ্টার কাছে প্রতি মূহুর্তে শুকরিয়া আদায় করছি। সত্যের স্বরূপ উদঘাটনে যতটুকু সফলতা অর্জন করতে পেরেছি তার সবটুকুই আল-কোরআনের ঐশীবাণীসমূহের মর্ম সঠিকভাবে অনুধাবনের ফলেই সম্ভব হয়েছে। আর ব্যর্থতার জন্য একজন অতি সাধারন মানুষ হিসেবে আমার অযোগ্যতা ও অজ্ঞতাই সম্পূর্ণরূপে দায়ী। হে বিশ্ববিধাতা করুণাময় মহান আল্লাহ , সর্বপ্রকার অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তির জন্য সর্বদা অবনত মস্তকে ক্ষমাভিক্ষা চাই। আর সরল ও সত্যের পথ যতটুকু অর্জন করতে পেরেছি তার উছিলায় একজন হতভাগা পাপী বান্দা হিসেবে তোমার জ্যোতির্ময় আরশের ছায়াতলে চিরকালের জন্য একটুখানি ঠাঁই চাই। আশাকরি ছোটখাট ভুলত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। চিন্তাশীল সুধীজনদের সুচিন্তিত পরামর্শ ও সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করা হবে।

মাহফুজশান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞানীরা নাকি কৃত্রিমভাবে প্রাণ সৃষ্টি করেছেন!! আসলেই কি তাই??

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

"বিজ্ঞানীরা নাকি কৃত্রিমভাবে প্রাণ সৃষ্টি করেছেন!"- আসলেই কি তাই???



'ড. ক্রেইগ ভেনটার ', (the biologist, J. Craig Venter Institute in Rockville, Maryland and California) জীববিজ্ঞানের গবেষনার জগতে বহুল আলোচিত একটি নাম। যিনি সিন্থেটিক জেনোম উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে বিরাট সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। একজন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ হিসেবে এই অসামান্য অবদানের জন্য তাকে ও তার দলকে সাধুবাদ জানাই। তার এই সাফল্য মানবজাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক- এই কামনা সবারই।



ভেন্টারের গবেষণার এই বিপ্লবাত্বক সাফল্যকে পুঁজি করে ইতিমধ্যে অনেকে তাদের স্বার্থ হাসিলের পায়তারা শুরু করেছে। অনেকে বলে বেড়াচ্ছেন- বিজ্ঞানীরা নাকি কৃত্রিমভাবে প্রাণ সৃষ্টি করে ফেলেছেন! এই ধরনের অপপ্রচারের ফলে অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন যে, কয়েক দশক পর কেউ অক্কা পেলে কোন সমস্যা নেই- বিজ্ঞানীরা আবার সেই মৃতের মধ্যে প্রাণসঞ্চার করে দিতে পারবেন। তখন সেই প্রাণ কেনার মত সামর্থ যাদের থাকবে তারা কেউ মরবে না। কিন্তু আসলেই কি তাই? মানুষ কল্পনা করতেই পারে- এতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু তারও তো একটা মাত্রা থাকা উচিত।



তাদের ধরনা ভুল। কৃত্রিম প্রাণ আবিষ্কৃত হয় নাই বা নুতন প্রাণ সৃষ্টিও করা হয় নাই। অলীক কল্পণায় গা ভাসিয়ে নিজেরা যেমন বিভ্রান্তিতে আছে, তেমনি অপরকেও বিভ্রান্ত করে চলেছে। বিভ্রান্তকারীরা জ্ঞানী সেজে মিষ্টি কথার ছলে ধোঁকায ফেলে তাদের দল ভারি করার অপচেষ্টা করছে মাত্র। তাদের এই ছলাকলা বুদ্ধিমানেরা ঠিকই বুঝে নেবে।



Click This Link

Daniel Gibson and his colleagues at the J. Craig Venter Institute in Rockville, Maryland, synthesized the genome of the bacterium Mycoplasma mycoides, consisting of about 1.1 million base pairs. Having assembled the genome inside a yeast cell, they transplanted it into a cell from a closely related species, Mycoplasma capricolum. After the newly made cell had divided, the cells of the bacterial colony that it formed contained only proteins characteristic of M. mycoides.



উপরের লিংক থেকে কিছু অংশ আপনাদের সমীপে পেশ করলাম। যারা বুদ্ধিমান তারা আসল তথ্যটি ঠিকই বুঝে নেবে।



সংক্ষেপে ও সহজ কথায় বিষয়টি হলো - প্রথমে আল্লাহর সৃষ্ট জীবন্ত এককোষী bacterium Mycoplasma mycoides এর "ডিএনএ" ব্লুপ্রিন্ট নকল কোরে বেশ কয়েকটি ধাপে সেই অনুযায়ী synthetic genome গঠন করা হয়।



এক্ষেত্রে গবেষক দলটি জীবন্ত ব্যাকটেরিয়ার জেনোমের কপি তৈরি করেন। তারা জেনেটিক কোডের অনুক্রম গঠন করেন এবং "সিন্থেসিস মেশিনস" ব্যবহার কোরে সেই অনুসারে রাসায়নিকভাবে তার কপি তৈরি করেন।



এরপর সেটা স্রষ্টারই সৃষ্ট আরেকটি নিকটতম প্রজাতির bacterium, Mycoplasma capricolum এর জীবন্ত কোষের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। এর ফলে bacterium, Mycoplasma capricolum এর জীবন্ত কোষের মধ্যে bacterium Mycoplasma mycoides এর synthetic genome (ডিএনএ ব্লুপ্রিন্ট) এর নির্দেশ মত প্রোটিন তৈরি হতে থাকে। কোষটি যেহেতু জীবন্ত ও সিনথেটিক ক্রোমসোম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল, তাই সেটা অসংখ্যবার বিভাজিত হওয়ার সময় গঠিত নুতন কোষগুলোও সিনথেটিক ক্রোমসোম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কোষের অনুরূপ ছিল। ক্রোমসোম অসংখ্য জীন বহন করে। বিভিন্ন জীন বিভিন্ন কাজ করে। বেশ কিছু জীনের কাজ সম্পর্কে জানতে পারলেও কোন জীন বা জীনগুলো প্রাণসঞ্চারে মূখ্য ভূমিকা পালন করে তা কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখনো জানতে পারেন নাই।



Click This Link

Dr Venter, who has been working on synthetic life for a decade, told The Times: “It is our final triumph. This is the first synthetic cell. It’s the first time we have started with information in a computer, used four bottles of chemicals to write up a million letters of DNA software, and actually got it to boot up in a living organism.



The man-made genome was then transplanted into a related bacterium, Mycoplasma capricolum. This “rebooted” the cell so that it was controlled by the synthetic genome, transforming it into another species. The cell has since divided more than a billion times.



Ben Davis, who works on synthetic biology at the University of Oxford, said: “I still think we are quite a long way away from artificial life. “You could take this synthetic genome and write in new genes with known functions, but that is not so different from molecular biology at the moment.”



কাজটা বেশ কঠিন এবং প্রশংসার যোগ্য। বিজ্ঞানীরা কিন্তু বলছেন-"লাইফটা আর্টিফিশিয়াল"। জীবন্ত কোষের প্রোটিন তৈরির প্রক্রিয়াকে synthetic genome দ্বারা পরিচালিত করার কারণে এটাকে "আর্টিফিশিয়াল লাইফ" বলা হচ্ছে। প্রকৃত অর্থে লাইফটা কিন্তু আর্টিফিশিয়াল নয়। বরং খুব জোর প্রোটিন তৈরির প্রক্রিয়াটাকে আর্টিফিশিয়াল বলা যেতে পারে। আল্লাহর সৃষ্ট ব্যাকটেরিওফাজ নামক এক ধরনের ভাইরাস যে প্রক্রিয়ায় জনন কার্য সম্পন্ন করে ও বংশ বিস্তার করে, এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা অনেকটা সেই পদ্ধতিকেই অনুসরন করেছেন।

ব্যাকটেরিওফাজ সম্পর্কে জানতে হলে এই লিংকটি দেখুন-



এই আর্টিফিশিয়াল লাইফ বানানোর প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞানীরা আংশিকভাবে সফল হলেও পূর্ণাঙ্গ সফলতা অর্জনের পথটা যে এখনও অনেক দূর বাকী- তা কিন্তু তারা ঠিকই স্বীকার করছেন। সুতরাং রিয়াল লাইফ অর্থাৎ "প্রকৃত জীবন" ব্নানোর ধারে কাছেও যে বিজ্ঞানীরা যেতে পারেনি তা ঘোরে না থাকলে বুদ্ধিমান মাত্রই বুঝতে পারার কথা। কিন্তু কতিপয় অপপ্রচারকারী বিষয়টাকে ঘোলা কোরে সেই ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকারের ব্যার্থ চেষ্টা করছে। আর তাদের এই মিথ্যে জালে নেহায়েত দু-চার বা দশটা পুঁটি মাছ যদি ধরা পরেও যায়- তো যাকনা।



এভাবে কিছুদিন চলুক। ওরা জীবন হাতের মুঠায় ভরার স্বপন দেখুক। আবার ধোকা খেলে ঠিকই বোকা হবে। আপনারা কিন্তু ভাই সাবধান। আশাকরি নিজেরা বিষয়টি আরও ভাল করে জানার চেষ্টা করবেন।



পদ্ধতিগত এই সাফল্য অর্জন ও তার সুষ্ঠ প্রয়োগের মাধ্যমে যে মানবসমাজের বেশ উপকার হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। বিজ্ঞানীদের মতে-

*তারা এমন জীবাণূ উৎপাদনের কথা ভাবছেন যেগুলো বাতাসের কার্বনডাই-অক্সাইড শোষণ কোরে তা থেকে হাইড্রোকার্বন তৈরি করবে এবং তা রিফাইনারিতে কাজে লাগান যাবে।

*প্রাণঘাতী রোগের ভ্যাকসিন উৎপাদনকে তরান্বিত করা সম্ভব হবে।

*নুতন ধরনের রাসায়নিক ও খাদ্য উপাদান তৈরিতেও খাজে লাগানো যাবে।

*ওষুধ উৎপাদনে, গ্রিনহাউস গ্যাস বিশোষণে ও জ্বালানি সংকট নিরসনে এ পদ্ধতিকে কাজে লাগানো সম্ভব হতে পারে।



তবে অনেকে একে bioterror or “bioerror” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সুতরাং এর অপপ্রয়োগের ফলে যে প্রাণীজগত ও জলবায়ুর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে তা অবশ্যই মনে রাখতে হবে।



কয়েক বছর আগে এই অপপ্রচারকারীদের সাগরেদারা ক্লোনিং নিয়ে অনেক লাফালাফি করল। ক্লোনিং সম্পর্কে জানতে হলে এই লিংকটি দেখুন- তখন বলে বেড়াল- বিজ্ঞানীরা নাকি একটা আস্ত ভেড়ী সৃষ্টি করে ফেলেছে! মানুষকে কিছুদিন ঘোরের মধ্যে রাখা ছাড়া বা দু-চারজনকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। এখন সেই গান শেষ। এইবার কৃত্রিম প্রাণের গান ধরেছে। হাতড়াতে হাতড়াতে একদিন দেখবে সবই যে একই গান- 'ওয়াক্কা ওয়াক্কা' আর 'ফক্কা ফক্কা'- (Empty ; void) - তখন ঠিকই টের পাবে।

মন্তব্য ১২৯ টি রেটিং +৪২/-১৭

মন্তব্য (১২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০০

কাদামাটি বলেছেন: পিলাচ.....

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৪

মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০১

শয়তান বলেছেন: রিলেটেড পোস্টঃ কৃত্রিম প্রাণের সৃষ্টি করলেন বিজ্ঞানীরা।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: লিংকটা দেবার জন্য ধন্যবাদ। পাঠক সমাজ দেখুক-
আসলেই কি প্রাণ সৃষ্টি করলেন??

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৭

সহৃদয় বলেছেন:
বিজ্ঞানীরা কৃত্রিমভাবে মানুষ সৃষ্টি করলেও অনেকে বলবে মানুষটা আল্লাহতায়ালার সৃষ্ট মানুষের মতো হয়নি।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: হাসালেন এবং অবাক!!! করলেন বটে

৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৫

আজম আলী বলেছেন: কৃত্রিম প্রাণ সৃষ্টি থেকে এখনো অনেক দূরে অবস্থান করছেন। তবে হয়ত একদিন সম্ভব হতেও পারে। আজেকের তথ্য প্রযুক্তি বা চিককিৎসা বিজ্ঞান আজ যে পর্যায়ে পৌছেছে তা কিন্তু আজ থেকে ২০০ বছর পূর্বে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। তবে কখনো কৃত্রিম প্রাণ সৃষ্টি হলে আবার ধর্মপন্থীরা বলবে এটাতো কোরানে আগে থেকেই লিপিবদ্ধ আছে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনি বলেছেন--কৃত্রিম প্রাণ সৃষ্টি থেকে এখনো অনেক দূরে অবস্থান করছেন। তবে হয়ত একদিন সম্ভব হতেও পারে।
ভাই, প্রাণ কি কখনো কৃত্রিম হতে পারে- ?

৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৫

ম্যাভেরিক বলেছেন: কৃত্রিম প্রাণ সৃষ্টির জন্য বেশ প্রাচীনকাল থেকেই বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যতদূর মনে পড়ে আরবীয় বিজ্ঞানীগণও পরশপাথরের মাধ্যমে ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম প্রাণ, এমনকি আস্ত প্রাণী, সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়েছিলেন একসময়। সত্যি সত্যি কোনোদিন তা হলে রোমাঞ্চকরই হবে ব্যাপারটি, তবে তা নিঃসন্দেহে আমাদের প্রাণের সমার্থক হবে না।

প্রোপাগাণ্ডার এ যুগে অবশ্য প্রায়ই চিলে কান নেয়, আর গাছে কাঠাল গোঁফে তেল হয়। আর ইন্টারনেট আর মিডিয়াই মূলত মানুষের বক্তব্য ঠিক করে দেয় আজকাল, মানুষের নিজস্ব চিন্তাক্ষমতা মার খেয়ে যাচ্ছে বেশ।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন:
ঠিক বলেছেন--তবে তা নিঃসন্দেহে আমাদের প্রাণের সমার্থক হবে না।
অর্থাৎ প্রাণ কখনো কৃত্রিম হতে পারেনা।

৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৮

হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন: কয়েকদিন ধরেই খবরটা মাথাটাকে পৃথিবী থেকে মনে হচ্ছিল মঙ্গল গ্রহের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ , আমার মাথাটাকে আবার পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য ।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার ও মন্তব্য দেবার জন্য----আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩৮

শাদা-অন্ধকার বলেছেন: আপনি সম্ভবত আর্টিকেল টা না পড়েই এই লেখা লিখেছেন। তাই লিখেছেন- "রিয়াল লাইফ অর্থাৎ "প্রকৃত জীবন" ব্নানোর ধারে কাছেও যে বিজ্ঞানীরা যেতে পারেনি"।

যদিও পুরো প্রক্রিয়াটার সম্পুর্ণরুপ বিচার করলে এটাকে সেই অর্থে ১০০% কৃত্রিম বলা যায়না কেননা কৃত্রিমভাবে প্রস্তুতকৃত জিনোমকে রেপ্লিকেট করানোর জন্য এতে হোস্ট হিসেবে একটা জীবন্ত কোষ কে ব্যবহার করা হয়েছে।

তবে যেসব উপাদান দিয়ে (অলিগো নিউক্লিওটাইড) জিনোম (JCVI-syn1.0) টাকে ইঞ্জিনিয়ারিং করে তৈরি করা হয়েছে সেগুলো ছিল বাণিজ্জিকভাবে প্রস্তুতকৃত। আপনার উদ্ধৃতির সুত্রধরেই --"four bottles of chemicals to write up a million letters of DNA software"। কেনা হয়েছিল BlueHeron (Bothell, Washington) নামক কম্পানি থেকে অর্ডার দিয়ে।
প্রথমে 10 kbp তারপর সেটা থেকে 100 kbp এভাবে 1.8 Mbp এর একটা জিনোম এসেম্বল করে সেটাকে হোস্ট (M. capricolum ) এ ট্রান্সপ্লান্ট করে বিভাজন করার পুরো প্রক্রিয়াটাই কৃত্রিমপ্রাণ সৃষ্টির প্রাথমিক ধাপ। সে দিক থেকে এটাকে কৃত্রিমপ্রাণ বলতে দ্বিধা নেই।মলিকুলার বায়োলজির ক্ষেত্রে এ এক বিশাল অগ্রযাত্রা। আর ক্রেইগ ভেন্টর এক্ষেত্রে একজন স্বপ্নদ্রষ্টার ভূমিকায়।

সময় হলে ক্লোনিং এর ব্যপারেও আপনার ভুল ভাঙ্গানো পোষ্ট দেয়ার আশা রাখি।

অ.টঃ একান্ত ব্যক্তিগত ভাবে দেখেছি আমাদের দেশের চিকিৎসকদের মুলিকিউলার বায়োলজির ধারনা খুব বেশি সমৃদ্ধ নয়।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০৩

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভাই, আপনিই মনে হয় আমার পোষ্টটা মন দিয়ে না পড়েই মন্তব্যটা করেছেন-
আমি কিন্তু শুধু-"রিয়াল লাইফ অর্থাৎ "প্রকৃত জীবন" ব্নানোর ধারে কাছেও যে বিজ্ঞানীরা যেতে পারেনি"।---এই বাক্যটাই লিখিনি।

এর আগের বাক্যটি ছিল--এই আর্টিফিশিয়াল লাইফ বানানোর প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞানীরা আংশিকভাবে সফল হলেও পূর্ণাঙ্গ সফলতা অর্জনের পথটা যে এখনও অনেক দূর বাকী- তা কিন্তু তারা ঠিকই স্বীকার করছেন।
তারপর বলেছি---সুতরাং রিয়াল লাইফ অর্থাৎ "প্রকৃত জীবন" ব্নানোর ধারে কাছেও যে বিজ্ঞানীরা যেতে পারেনি তা ঘোরে না থাকলে বুদ্ধিমান মাত্রই বুঝতে পারার কথা।

আর আমি কৃত্রিম প্রাণে বিশ্বাসী নই। যদি তৈরি করতে হয়---তবে প্রকৃত প্রাণ-ই তৈরি করতে হবে।

৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪০

অন্ধকার রাত বলেছেন: পিলাচ

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০৪

মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ

৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪২

শাদা-অন্ধকার বলেছেন: দুঃখিত, উপরের মন্তব্য শেষ লাইনের টাইপোর জন্য। "মুলিকিউলার" স্থলে মলিকুলার হবে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: এত দুখিত হবার কিছু নাই---এটা এমন কোন ভুল নয়------এটুকু বোঝার মত বুদ্ধি আমার আছে ভাই
তবে আপনি বলেছেন----আমাদের দেশের চিকিৎসকদের মুলিকিউলার বায়োলজির ধারনা খুব বেশি সমৃদ্ধ নয়-----??!!

যিনি প্রাণ-কে কৃত্রিম ভাবেন----মলিকুলার বায়লজি সম্পর্কে তার জ্ঞানের সাথে আমার চিন্তার তো পার্থক্য থাকতেই পারে----তাইনা?

১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫৮

আসুন মানুষ হই বলেছেন: পিলাচ.....

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:০৯

মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ

১১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৪৯

নিঃসঙ্গ বায়স বলেছেন: যত্তসব অন্ধ ভাববাদীদের দল... !:#P

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:০১

মাহফুজশান্ত বলেছেন: যত্তসব অন্ধ বাস্তবাদীদের দল......

১২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৮

শুভ রহমান বলেছেন: কোন দুনিয়ায় আছেন? নতুন খবর শুনাই। বিজ্ঞানীরা একটি প্রোটো সেল তৈরি করেছেন, যা ফ্যাটি এসিড দিয়ে কৃত্রিম কোষ ঝিল্লী দিয়ে বেষ্টিত একটি সংক্ষিপ্ত জিনোম। সহজ করে বললে, একটি কোষ ঝিল্লী তৈরি করা হয়েছে - কৃত্রিমভাবে। ঐখানে একটি মিনিমাল ডিএনএ ঢোকানো হয়েছে।
এই নেন লিঙ্ক
Click This Link

দয়া করে একমিনিটের ভিডিওটা দেখবেন। মজা লাগবে।
অবশ্য এখনো জার্নালে প্রকাশ করে নাই। সুতরাং খুঁটিনাটি কথাবার্তা পরিবর্তন হইতে পারে।

সেলটির ভেতরে কোষপর্দা আর জিনোম ঝাড়া কিছুই নেই। তবুও কোষটি মিনিমাল স্তরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এটা কি কৃত্রিম কোষ না?

জীবনের সংজ্ঞা কি ভাই?

মানুষ ইতিমধ্য কৃত্রিম রাইবোজোম তৈরি করেছে।
ইচ্ছেমতো ডিএনএ ডিজাইন করে তৈরি করতে পারে মানুষ।
কোষ ঝিল্লীও তৈরি হয়ে গেছে।

আপনাদের নিয়ে হয়েছে এক সমস্যা। ডিএনএ তৈরি করে দিলো, এখন বলবে কোষ তৈরি করে দাও, কোষ তৈরি করে দিলো, এখন বলবেন ডাইনোসর তৈরি করে দাও। ডাইনোসর তৈরি করলে বলবেন এলিয়েন তৈরি করে দাও। যত্তোসব ...

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৯

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনার দেয়া লিংক থেকে আপাতত কিছু অংশ তুলে দিলাম। পরে আরও বলব-
The replication isn’t wholly autonomous, so it’s not quite artificial life yet, but it is as close as anyone has ever come to turning chemicals into biological organisms.

Modern life is far more complex than the simple systems that Szostak and others are working on, so the protocells don’t look anything like the cells that we have in our bodies or Venter’s genetically-modified E. coli.

And actually, the most intriguing possibility of all may be that the protocells in Szostak’s lab do not closely model earthly life’s origins.

আপনি বলেছেন- ডিএনএ তৈরি করে দিলো

কথাটা হবে- ডিএনএ- নকল করে তৈরী করে দিল

না ভাই - ডিএন এ, কোষঝিল্লি ---ডাইনোসর বা এলিয়ন---এসব কিচ্ছু চাই না। শুধু একটা কৃত্রমি নয় কিন্তু----প্রকৃত প্রাণ তৈরী করে দেখান

১৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৪

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: বিজ্ঞানীরা কেবল তাদের গবেষণা লব্ধ ফলাফল প্রকাশ করেছে মাত্র, তারা কিভাবে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করল বুঝলাম না। আপনি কৃত্রিম প্রাণে বিশ্বাসী নন, কিন্তু ডায়বেটিক চিকিৎসায় আপনি ঠিকই কৃত্রিমভাবে তৈরী ইনসুলিন ব্যবহার করছেন, বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় কৃত্রিমভাবে তৈরী ইন্টারফেরন বা মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ব্যবহার করছেন। অনেক ল্যাব কৃত্রিম অঙ্গ তৈরী করার চেষ্টা করছে, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে যুগান্তরকারী ঘটনা হবে। মূল কথা হচ্ছে, ১০০ তলা বিল্ডিং এ উঠার প্রথম ধাপ হচ্ছে, সিড়ির একটা ধাপ পার হওয়া। সেটিই কেবল হয়েছে মাত্র। অতএব, কৃত্রিম প্রাণ তৈরী এখন্ও অনেক দূরের স্বপ্ন, কিন্তু হয়ত অসম্ভব নয়। এখনই কাউকে মিথ্যাবাদী বলে নিজেকেই ছোট করলেন না?

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: বিজ্ঞানীদের কথা বলিনি- পোষ্টটাভাল করে পড়ে মন্তব্য করলে ভাল হয়---

ভাই, কৃত্রিম প্রাণ-----আর কৃত্রিমভাবে তৈরী ইনসুলিন----এক কথা নয়

জী ভাই, ক্যান্সার চিকিৎসায় কৃত্রিমভাবে তৈরী protocell এর ব্যবহারও হচ্ছে এবং গবেষণা চলছে।
তাতে কি? protocell আর জীবন্ত cell যে এক কথা নয় তা বিজ্ঞানীরাই বলেন-
Click This Link
And actually, the most intriguing possibility of all may be that the protocells in Szostak’s lab do not closely model earthly life’s origins.

এমনকি protocell আর artificial life-ও যে এক কথা নয় সেটাও দেখুন-
The replication isn’t wholly autonomous, so it’s not quite artificial life yet, but it is as close as anyone has ever come to turning chemicals into biological organisms.

১৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩১

শুভ রহমান বলেছেন: প্রথমত, এই কথার সাথে একমত যে ভেন্টর কৃত্রিম জিনোম আবিষ্কার করেছে। কৃত্রিম প্রাণ বললে একটু সমস্যা দাড়ায় যে আমরা প্রাণ কাকে বলবো।

তখন আমাদের ক্যাচাল লাগবে প্রাণের সংজ্ঞা নিয়া। বিজ্ঞানের বাইরের কথা বাদ দেন, বিজ্ঞানীদের মধ্যে এইটা নিয়া কনফিউশন আছে যে কাকে আসলে প্রাণ বলা যায়।

এর চাইতে বায়োলজিকাল সিস্টেম বলাটা অনেক সুবিধার।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: প্রথমত ঠিক বেলেছন- কৃত্রিম জেনোমকে প্রাণ বলাটা ঠিক না। আর আমি যে কৃত্রিম প্রাণে বিশ্বাসী নই তা আগেই বলেছি।

প্রাণের সংজ্ঞা নিয়াই যখন ক্যাচালে আছেন----তখন প্রাণ প্রাণ প্রাণ বইলা খামখা গলা ফাটাচ্ছেন কেন???

আপনি গ্লাস অর্ধেক বা অর্ধেক খালি যেটাই দেখেন না কেন--------বায়োলজিকাল সিস্টেম কন আর বায়োরিপ্লিকেটর সিস্টেমই বলেন---সেটা আপনার রুচি।

১৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩৪

শুভ রহমান বলেছেন: দুই নম্বর কথা হইলো গিয়া, আমি গ্লাসের অর্ধেকটা খালি দেখার চাইতে অর্ধেকটা ভরা দেখারই পক্ষপাতী।

আপনি কোট করেছেন
... The replication isn’t wholly autonomous, so it’s not quite artificial life yet, but it is as close as anyone has ever come to turning chemicals into biological organisms ....

আমি কোট করবো
.... but it is as close as anyone has ever come to turning chemicals into biological organisms ....

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১১

মাহফুজশান্ত বলেছেন: হ----অনেকের চাইতে কাছাকাছি

১৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৩

শুভ রহমান বলেছেন:
তিন নম্বর কথা হইলো গিয়া,

ধরেন সবচাইতে সরল সেলুলার অর্গানিজম হইলো মাইকোপ্লাজমা মাইকয়েড। এইটা একটা লিভিঙ বায়োলজিকাল সিস্টেম, সন্দেহ নাই। সেলমেম্ব্রেন, জিনোম দুইটাই আছে।

এখন ভাইরাসের কি হবে? সে তো হোস্টের বাইরে বায়োলজিকাল সিস্টেম না। খালি হোস্টের ভিতরেই তার কারিশমা। আধাজীব- আধাজড়। সেলমেম্ব্রেন নাই। খালি জিনোম, আর প্রোটিন কোট।

তইলে প্রিয়নের কি হবে? হের তো জিনোমও নাই। খালি একটা প্রোটিন। তাই দিয়া সে ম্যাড কাউ ডিজিজ বানাইতেসে, নিজেকে ছড়াইতেছে চারপাশে। সেও তো বায়োলজিক্যাল সিস্টেম।

এখন আসেন প্রোটোসেলের কথায়। প্রোটোসেল আর আমাদের শরীরে সেলের মধ্যে অনেক তফাত। কথা সত্য। প্রোটোসেলের মেম্ব্রেন তৈরি হইলো ফ্যাটিএসিডের তৈরি, যেইখানে সেলের মেম্ব্রেন হইলো লিপোপ্রোটিনের তৈরি। আগাপাশতলা পার্থক্য।

তাই বইলা কি প্রোটো সেল একটা লিভিং সিস্টেম না? তার একটা মেম্ব্রেন আছে, যেইটা সেলের মতো না। ভাইরাসের মেম্ব্রেন খালি প্রোটিন কোট। প্রোটোসেলের একটা ছোট জিনোম আছে। সেইটা দিয়ে সে মিনিমাল কাজকাম করে।

প্রশ্ন হইলো, আমরা এখন প্রোটোসেলকে লিভিং সরি, বায়োলজিক্যাল সিস্টেম কইতে পারি কি না?

মাইকোপ্লাজমা, ভাইরাস আর প্রিয়নের সাথে তুলনা করেন।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনার তিন নম্বর কথা হইতে বোঝা যায়--আপনার বায়লোজিকাল সিস্টেম, প্রটোসেল, প্রিয়ন---------কোনাটারেই 'পিয়র প্রাণ' বলা যায় না।

আমারও কথা তাই।

হাছা কথা হইতেছে-- আসলে প্রকৃত অর্থে প্রাণ অর্থাৎ স্রষ্টা প্রদত্ত যে শক্তি বা স্পিরিটের জন্য আমার নিজেদেরকে প্রাণী কই----- সেইটা সবাই বুঝেও--- না বোঝার ভান কোরে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করি।

আরকেটু পড়েন---------------আর বেশি বেশি চিন্তা করেন -----------কামে লাগব

১৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৬

শুভ রহমান বলেছেন: থাউকগা, কৃত্রিম প্রাণ বললাম না। ভেন্টরের মাইকোপ্লাজমা নিয়া আমার একটা দুই পার্টের সিরিজ ছিলো, ওইখানে কৃত্রিম জিনোমই বলছি, প্রাণ বলি নাই।
এখন, আপনি যদি অনুমতি দেন, কৃত্রিম বায়োলজিকাল সিস্টেম কি বলতে পারি?

১৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:০৪

শুভ রহমান বলেছেন: শোনেন, জন ফিচ নামে এক ব্যাক্তি স্টিম ইন্জিন দিয়া প্রথম জাহাজ বানাইসলো, যেইটা পানিতে চলে।
উনি যখন প্রথম জনসম্মুখে ট্রায়াল দিলো, তখন প্রথমে কিছু লোক বলতেছিলো যে এই জাহাজ কখনোই চলবে না।
যখন জাহাজ চলা শুরু করলো, তখন ওই লোকগুলো চিল্লাইতেছিলো যে কখনোই এই জাহাজ থামবে না।

ইতিহাসে এই ধরনের লোকদের অভাব হয় নাই কখনোই।

আমি অবাক হয়া যাই, যখন দেখি মানুষ কিছু কেমিকাল দিয়া একটা বায়োলজিকাল সিস্টেম (প্রোটোসেল) দাড় করায়। সেই সিস্টেম আবার একটা জিনোম (যতই ছোট হোক) দিয়া কিছু মেটাবলিজমও করে। সেইটা আবার একটা সময়ে দুই ভাগে ভাগ হয়া যায়। মােন এক অর্থে রিপ্রডিউস করে নিজের মতো একটা সত্ত্বাকে। নিচের ভিডিওটা দেখেন, মাত্র এক মিনিটের।


সেইখানে কেউ কেউ চিৎকার করে এইটা 'কৃত্রিম প্রাণ', প্রাণ না। সেইখানে কেউ কেউ চিৎকার করে, আধুনিক কোষ(ইউক্যারিয়ট) তৈরি করা সম্ভব না। কেউ কেউ ধুয়া তোলে, 'ওয়াক্কা ওয়াক্কা' আর 'ফক্কা ফক্কা'

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২৯

মাহফুজশান্ত বলেছেন: বুঝেছি-----আপনি নিজেকে অনেক বড় ভাবছেন-------------তাই এই কালে এসেও---- জাহাজরে জীব আর ------জীবরে জাহাজ ভাববার দলে আমারে ফেলে দিলেন-----থ্যাংকস্

ওসব ভডিও আপনাদের আই ওয়াশের জন্য কামে লাগতে পারে----অনেক দেখেছি---------সব একই গান----'ওয়াক্কা ওয়াক্কা' আর 'ফক্কা ফক্কা'

বায়োলজিকাল সিস্টেম (প্রোটোসেল)- কি আদৌ able evolution to reproceed with coordinated, simultaneous genetic changes?

১৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:১৭

শুভ রহমান বলেছেন: ভিডিও আসে নাই। Click This Link এইখানে গিয়া দেখার অনুরোধ রইলো।

... ব্যাকটেরিওফাজ নামক এক ধরনের ভাইরাস যে প্রক্রিয়ায় জনন কার্য সম্পন্ন করে ও বংশ বিস্তার করে, এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা অনেকটা সেই পদ্ধতিকেই অনুসরন করেছেন।....

এই তথ্য কই আবিষ্কার করেছেন? আপনার রেফারেন্স তো দেখি আপনারই একটা পোস্টে নিয়া যায়! আজব!!

এই সিনথিয়া মাইকোপ্লাজমাটা রিপ্রডিউস করে বাইনারি ফিশনে। এর সাথে ভাইরাসের কোন সম্পর্ক নাই।

ভাইরাস হোস্টকে এটাক করলে তার জিনোম সরায়া দেয় না, জাস্ট নিষ্ক্রিয় করে অন্য মেশিনারী গুলা ব্যবহার করে। সিনথিয়ার হোস্টের জিনোম আগে সরায়া দেয়া হইসলো। তারপর নতুন জিনোম ঢুকানো হইসলো।

ভাইরাস হোস্টের মেশিনারি ব্যবহার কইরা নিজের জিনোম অজস্র কপি করে। সেল বাইচা থাকলো না মইরা গেল সেইটা তার ব্যাপার না। সিনথিয়া প্রথমে সেল মেটাবলিজম চালু করে, তারপর খাবার খায়, সেল বড়ো হয়, তারপর জিনোমের একটা কপি করে, তারপর বাইনারী ফিশনে ভাগ হয়ে যায়।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আমি বলেছি-
ব্যাকটেরিওফাজ নামক এক ধরনের ভাইরাস যে প্রক্রিয়ায় জনন কার্য সম্পন্ন করে ও বংশ বিস্তার করে, এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা অনেকটা সেই পদ্ধতিকেই অনুসরন করেছেন।

ভাই, আর হাসাইয়েন না! বিজ্ঞানীরা-- জনন কার্য সম্পন্ন করেছে বলি নাই?
ব্যাকটেরিওফাজ জনন কার্য বা প্রজজন কার্য সম্পন্ন করার সময় যে পদ্ধতিতে শুধু তার ডিএনএ- টাকে ব্যাকটেরিয়ার (সেলের) মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়---এই পদ্ধতির কথাই বোঝাতে চেয়েছি। আপনি না মানলে--- না মানতে পারেন।


ছবিতে দেখেন- ব্যাকটেরিওফাজ কিভাবে ডিএনএ- টাকে ব্যাকটেরিয়ার (সেলের) মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়

ভাইরাস জেনোম সরাইয়া দেয়---নাকি বিজ্ঞানীরা জেনোম নিষ্ক্রয় করে----সিনথিয়া প্রথমে সেল মেটাবলিজম চালু করে, তারপর খাবার খায়, সেল বড়ো হয়, তারপর জিনোমের একটা কপি করে, তারপর বাইনারী ফিশনে ভাগ হয়ে যায়-----এইটা মূল কথা নয়------কথা হচ্ছে জীবন্ত সেল না নিয়ে কামটা সারলে কেমন লাগে-----মাস্তানিটা তখন বোঝা যাইত-------আর ইভোলুশনের কি হয়?

২০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৪

শুভ রহমান বলেছেন: ভাইরাস প্রজনন করতে পারে এই কথাটা ঠিকাসে কিন্তু ভাইরাস জননকার্য করতে পারে এই কথা আপনারে কে বললো?

ভাই জনন আর প্রজনন দুইটা ভিন্ন টার্ম। প্রজনন যদি বলেন তাইলে ওকে। অযৌন প্রজনন।

কিন্তু জনন? জনন করতে দুইটা অপজিট মেটিং টাইপ লাগে। + আর -। অথবা উন্নত জীবদের ক্ষেত্রে শুক্রাণু আর ডিম্বানু।

কোন কোন ব্যাক্টেরিয়া এফ-পিলি দিয়া এই জনন কাজ করতে পারে। + ব্যাক্টেরিয়া করবে - ব্যাক্টেরিয়ার সাথে।

কিন্তু ভাইরাস! কেমনে সম্ভব???


আপনার লিঙ্কে আপনার পোস্ট বলতেসে ভাইরাস ব্যক্টেরিয়াকে এটাক করে জনন কার্য সম্পাদন করে। এটাক পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু জনন! মাই গড।!!!! ভাইরাস রেপ করছে ব্যাক্টেরিয়াকে। আয় হায় কই যাই ....

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: অনেক কথা কইছেন- অনেক শিখাইছেন-
আপনি কইছেন- আপনার লিঙ্কে আপনার পোস্ট বলতেসে ভাইরাস ব্যক্টেরিয়াকে এটাক করে জনন কার্য সম্পাদন করে। এটাক পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু জনন! মাই গড।!!!! ভাইরাস রেপ করছে ব্যাক্টেরিয়াকে। আয় হায় কই যাই ....
----------------------------------------
জনন= Generation ; production ; birth ; origin

জনন অর্থ রেপ করা??!!-----------কোথাও পাইলাম না।
আপনি কুন ঢিকছনারীত পাইলেন----??!!
কথায় কথায় রেপ করার স্বপন দেখেন ভাই----আয় হায়----আমি যে কই যাই ....

২১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৪

শাদা-অন্ধকার বলেছেন: @শুভ রহমান, আপনার মন্তব্যে ঝাঁঝা ! এইবার ছেড়ে দেন উনারে!

লেখকের কাছে প্রশ্নঃ

১. অলিগোনিউক্লিওটাইডগুলো কি ইষ্ট এর ভেতর (YCpMmyc1.1-DtypeIIIres.) এমনি এমনি সংযুক্ত হয়েছিলো?
২. সিলেক্টিভ মিডিয়ায় সিন্থিয়া সারভাইভ করলো কেমনে ---যেখানে ন্যাচারাল জিনোম বহনকারী ব্যক্টেরিয়াম সারভাইভ করেনি?
৩. সিন্থেটিক জিনোম এর চারপাশে সাইটোপ্লাজমিক মেমব্রেন তৈরি হয়েছে কিভাবে?

প্রাণ এর বৈশিষ্ট্য কি? কিভাবে একে ডিফাইন করা যায়? নাকি মন-প্রাণ একসাথে থাকা অপরিহার্য?

কৃত্রিম জিনোম আর কৃত্রিম প্রাণ এর ডেফিনিশন ডিটেইলস, ভাইরাল- ব্যক্টেরিয়াল মেটাবলিজম না জেনে এই রকম মনগড়া লেখা আমাদের বিজ্ঞানমনস্কতা কে আরো পেছনে নিয়ে যাবে বৈকি।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: উপরের উত্তর দেখেন

২২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৫৮

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: @শুভ রহমান: দারুনভাবে বলছেন। ধন্যবাদ।
@শাদা-অন্ধকার: থাক লেখকরে ছাইড়া দেন। উনি বাংলাদেশে পাশ করা ডাক্তার কি-না - বাংলাদেশের ডাক্তাররা ভাবেন, মেডিক্যাল সাইন্স তেনারা ছাড়া আর কেউ জানে না। তেনারা যাহা বলিবেন, আমরা তাহাই গলধ:করণ করিয়া লইব।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪১

মাহফুজশান্ত বলেছেন: জী ভাই, আমি বাংলার সন্তান-----------আপনাগো মতন বিদেশিগো পা-চাটা না----------তেনারা যা কয় তাই সই

২৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৭

শুভ রহমান বলেছেন: ভাইরাসের মতোন প্রক্রিয়া - এই টপিকে আমার বোধোদয়

তার মানে, ব্যাপারটা দাড়াইলো, যখন আপনারে কোন রেফারেন্স দেয়া হইবো, তখন আপনি তার একেবারে শাব্দিক অর্থ নিয়ে ধরে সমালোচনা করতে পারবেন।

কিন্তু অন্যকেউ যখন আপনার 'ভাইরাসের মতো প্রক্রিয়া ইত্যাদি' নিয়ে একেবারে শাব্দিক অর্থ ধরে সমালোচনা করতে গেলে তখন তা জায়েজ না। তখন আপনি ঐ কথা দিয়ে আসলে যে অন্য কিছু বুঝাইতে চাইছিলেন তা বলে নিজেরে বাঁচাইবেন।

বুঝলাম।

ছিদ্রান্বেষণ করতে চাইলে ফুটার অভাব হয় না।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ফুটা থাকলেই ছিদ্রান্বেষণ করা যাদের কাজ তারা----সুযোগ পেলেই----ঠিকমত না বুঝেই তা শুরু করে--------এটা ঠিক না----এটা বুঝতে হলে আপনার গুরুর দিকে আগে তাকান।

আমি সাধারনত অযথা কারও ছিদ্রান্বেষণে আগ্রহী নই। কিন্তু অবুঝের মত আমার পেছনে লাগলে তাকে ছাড়া হবে না।

২৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩০

শুভ রহমান বলেছেন: জনন আর প্রজনন দুইটা স্পেসেফিক টার্ম।

সাদা বাংলায় আমরা একই অর্থে এগুলা ব্যবহার করি।

কিন্তু বায়োলজিতে এই দুইটা টার্ম একই অর্থ বহন করে না।

প্রজনন বলতে যৌন ও অযৌন দুইটাই বোঝায়। জনন বলতে যৌন-কার্য প্রক্রিয়ায় প্রজনন বোঝায়।

টার্ম নিয়ে ছেলেখেলা করতে নাই। নাম্বার কাটা যায়।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৯

মাহফুজশান্ত বলেছেন: উদ্ভিদের ক্ষেত্রে----- 'অঙ্গজ জনন'-----তাহলে কি?
এটও কি রেপ??

২৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৫

শুভ রহমান বলেছেন: মূল জার্নাল থেকে শুরু করে সিনথিয়া আবিষ্কার নিয়ে বেশ কয়েকটা আর্টিকেল পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। কিন্তু কোথাও আপনার মতো এমন বিকট তুলনা পাই নিযে এই প্রক্রিয়াটা ভাইরাসের ব্যাক্টেরিয়াকে আক্রমণ করার সমতুল্য। অভিনব। সায়েন্স ফিকশন লিখলে ভালো করতেন।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১১

মাহফুজশান্ত বলেছেন: তুলনাটা আপনার কাছে বিকট লাগবারই কথা-

কারন----প্রক্রিয়াটা ভাইরাসের ব্যাক্টেরিয়াকে আক্রমণ করার সমতুল্য------ এ ধরনের কোন বক্তব্য তো আমি দেই নাই। কোন অংশটাকে বুঝাতে চেয়েছি তা তো ছবি সহ পরিষ্কার করেছি। কিভাবে ভাইরাসটা ড্এনএ- টাকে সেলের মধ্যে ঢুকাচ্ছে-----এই অংশটাই আমি হাইলাইট করেছি মাত্র। এরপর না বুঝতে চাইলে আপনার বুঝ নিয়ে আপনি থাকেন।

মনে হয়-----সায়েন্স ফিকশন লিখলে আপনিও ভালো করতেন

২৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৭

শুভ রহমান বলেছেন: আসলে প্রকৃত অর্থে প্রাণ অর্থাৎ স্রষ্টা প্রদত্ত যে শক্তি বা স্পিরিটের জন্য আমার নিজেদেরকে প্রাণী কই----- সেইটা সবাই বুঝেও--- না বোঝার ভান কোরে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করি

আমি প্রান নিয়ে কথাবার্তা ছাইড়া দিসি। এর চাইতে বায়োলজিকাল সিস্টেম একটা টার্ম যেইটা বুঝা যায়।

আপনি কি, অনুগ্রহ করে, প্রাণকে সংজ্ঞায়িত করবেন একটি টার্ম হিসেবে??

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৪

মাহফুজশান্ত বলেছেন: প্রাণ নিয়ে কথাবর্তা ছেড়ে দিলে তো-------কথা শেষ

প্রাণকে সংজ্ঞায়িত করা------তাও আবার একটা টার্ম??

বুঝেও না বোঝার ভান করলে বুঝিয়ে লাভ কি?

যারা বুঝার------ এতেই বুঝে নেবে।

২৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:০৯

কাকপাখি ২ বলেছেন: @শুভ রহমান: নিচের এই লিখাটা পড়ছেন নাকি? পড়ে দেখেন, এইটার লিখক একজন জিনেটিক এন্জিনিয়ারিং এর গ্রাজুয়েট।
==========================================

কৃত্রিম প্রাণ
by Sharif Abu Hayat Opu on Wednesday, June 16, 2010 at 10:09am

বিজ্ঞানি মহল নিত্য নিত্য যে সব আবিষ্কারে নিজেরা চমকে যায় তার খুব কমই সায়েন্স আর নেচারের দেয়াল টপকে ‘গণ’মাধ্যমে আসে। কিন্তু যেগুলো আসে তার সিংহভাগেরই লক্ষ্য জনগণকে চমকে দেয়া, বিজ্ঞানমনষ্ক করে তোলা নয়। যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সরলীকরণের মাধ্যমে হয় সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো হয় নয়ত অলীক কোন স্বপ্ন – যখন যা লাগে। সিনথেটিক বায়োলজির সর্বশেষ আবিষ্কারের মিডিয়া-হুজুগ সত্য থেকে বহু দূরে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের।

সেলেরা জেনোমিক্সের প্রতিষ্ঠাতা ক্রেইগ ভেন্টারের অতীত যাই হোক, তাঁর সাম্প্রতিক কৃতিত্ব তাকে বস্তুবাদী মহলে বেশ সুখ্যাতি এনে দিয়েছে। তিনি সারা পৃথিবীর বড় বড় সরকারদের সম্মিলিত সহযোগিতায় পরিচালিত হিউম্যান জেনোম প্রজেক্টের সাথে পাল্লা দিয়ে সেটার তথ্য ব্যবহার করে মানুষের জেনোম সিকুয়েন্স করেন এবং সেটা বিজ্ঞানিদের ব্যবহারের জন্য দেয়ার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবী করেছিলেন এটা মানুষ এখনো ভুলে যায়নি।

আমি আবিষ্কার কথাটা ব্যবহার না করে কৃতিত্ব বললাম কারণ “জীবন” তৈরি বহু দূরে থাক, তিনি আসলে নতুন কিছুই আবিষ্কার করেননি। ১৯৭০ সালে আণবিক কাঁচি নামে সমাদৃত রেস্ট্রিকশন এনজাইম (যা দিয়ে ডিএনএ অণু কাটা যায়) আবিষ্কারের পর মূলত জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর যাত্রা শুরু হয়। সে সময় যা করা হত তা হল দু’টি ভিন্ন উৎস থেকে ডিএনএ অণু নিয়ে রেস্ট্রিকশন এনজাইম দিয়ে কেটে লাইগেস এনজাইম দিয়ে জোড়া লাগিয়ে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ বানিয়ে একটা অণুজীবের ভিতর ঢুকিয়ে দেয়া হত।

সুকুমার রায়ের একটা ছড়াতে হাঁস এর সাথে সজারু মিলিয়ে হাঁসজারু বানানো হয়েছিল। রিকম্বিনেন্ট কথাটা কঠিন শোনা গেলেও এটা আসলে হাঁসজারু ধরণের কিছু। এ কথার মাধ্যমে এমন কোন জীবকে বোঝায় যার ডিএনএ-তে অন্য কোন জীবের ডিএনএ-এর কিছু অংশ জোড়া লাগানো হয়েছে।

রিকম্বিনেন্ট প্রযুক্তির ফলে যে নতুন ব্যাক্টেরিয়া বা অণুজীব পাওয়া যেত তাতে আমাদের কাঙ্খিত কিছু বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেত। যেমন ই. কোলাই ব্যাক্টেরিয়াতে মানুষের ইনসুলিন তৈরির জিন ঢুকিয়ে ইনসুলিন তৈরি করা হয় যা মানবদেহে হুবহু মানুষের ইনসুলিনের মত কাজ করে। ভেন্টার এবার যে কাজটি করেছেন তা হল মাইকোপ্লাজমা মাইকোডেস নামে একটি অণুজীবের পুরো জিনোম (সবগুলো জীনের সমষ্টি) নিয়ে তা কম্পিউটারে একটু পরিবর্তন করে তা দিয়ে ডিএনএ তৈরির যন্ত্রে নতুন একটা জিনোম তৈরি করেছেন। ইতমধ্যে মাইকোপ্লাজমা ক্যাপ্রিকোলাম নামে কাছাকাছি আরেকটি অণুজীবের নিজস্ব জিনোমটিকে সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর কৃত্রিমভাবে তৈরি সেই জিনোমটিকে মাইকোপ্লাজমা ক্যাপ্রিকোলাম এর একটি জীবিত কোষে সফলভাবে স্থাপন করা হয়। এর ফলে রিকম্বিনেন্ট কোষটি ‘মাইকোডেস’ ও হয়নি, ‘ক্যাপ্রিকোলাম’ ও হয়নি, হয়েছে নতুন ধরণের একটি কোষ যাকে কৃত্রিম প্রাণ বলে নির্লজ্জভাবে দাবী করা হচ্ছে। অবশ্য ১৫ বছর ধরে ৪০ মিলিওয়ন ডলারের বেশি খরচ করে যা তৈরি করা হয়েছে তা নিয়ে জোর গলায় গান না গাইলে শত কথা হবে। সামনে টাকার জোগাড়ও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আর হিউম্যান জেনোম প্রজেক্টে ভেন্টার যে বদনাম কামাই করেছিলেন, তা কাটানোর এর চেয়ে বড় মওকা আর কি হতে পারে? মজার ব্যাপার হল সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা একে টেকনিকাল বেক থ্রু বলেছেন, নতুন তত্ব বা নতুন আবিষ্কার বলেননি। আর ভেন্টার নিজেও কিন্তু শূণ্য থেকে প্রাণ তৈরির বাহাদুরি দাবী করেননি।

ধরা যাক একটা রোবটকে প্রোগ্রাম করা হল এমনভাবে যেন তা সেই রোবটের মত আরো কিছু রোবট তৈরি করতে পারে। নিঃসন্দেহে বিজ্ঞানের জগতে এটা অনেক বড় একটা উন্নতি হিসেবে দেখা হবে কিন্তু একে কি কৃত্রিম প্রাণ বলা যাবে? প্রাণিবিজ্ঞানের যা নিজের সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে তাই জীব – এ সংজ্ঞানুযায়ী তো তাহলে এই রোবটদেরকেও জীব বলতে হবে এবং সেই জীবের জীবনদাতা প্রথম রোবটটির প্রোগ্রামার। এখন এই প্রোগাম লেখাকে কি কোন সুস্থবুদ্ধির ব্যক্তি জীবনের সৃষ্টি বলতে পারে? এর ফলে কি মানুষকে সৃষ্টিকর্তার স্থানে বসিয়ে দেয়া যাবে? অথবা ধরা যাক স্টেম সেল নিয়ে গবেষণার চূড়ান্ত পর্যায়ে কৃত্রিম হ্রদপিণ্ড তৈরি করে তা একজন মানুষের দেহে যদি সফলভাবে কাজ করানো যায়, তার মানে কি এই যে ডাক্তাররা ঐ মানুষটির প্রাণ সৃষ্টি করেছেন?

উত্তরটা খুব স্বাভাবিকভাবেই – না।
ক্রেগ ভেন্টারকে যখন জিজ্ঞাসা করা হল -
একে কি সংশ্লেষিত প্রাণ বলা যায়?
(Do you consider this to be synthetic life?)
তিনি জবাবে বললেন -
আমরা একে “শূণ্য থেকে জীবন সৃষ্টি” হিসেবে ভাবছিনা বরং আমরা বিদ্যমান জীবন থেকেই নতুন জীবন সৃষ্টি করেছি সংশ্লেষিত ডিএনএ দ্বারা কোষগুলোকে নতুনভাবে প্রোগ্রাম করার মাধ্যমে।
(We do not consider this to be “creating life from scratch” but rather we are creating new life out of existing life using synthetic DNA to reprogram the cells)
তিনি আরো বললেন – আমরা প্রোটিনও কৃত্রিমভাবে তৈরি করিনি, কোষও কৃত্রিমভাবে তৈরি করিনি এগুলো সবই ক্রোমোসোমের নির্দেশনা অনুসারে তৈরি হয়েছে।
(We don’t make the proteins synthetically, we don’t make the cells synthetically, all that is dictated by the chromosome.)
এখন যেহেতু এই ক্রোমোসোমটি কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে তার ফলে যে জীবিত কোষটিতে ক্রোমোসোমটি ঢোকানো হল তাতে ঐ অণুজীবটির প্রাণ কিভাবে কৃত্রিম হয়? কোন স্থপতি যদি একটি বাড়ির নকশা করে বলেন তিনি ঐ বাড়ির সৃষ্টিকর্তা তাহলে কথাটা যেমন হাস্যকর হয় তেমন এই দাবীটাও হাস্যকর। কারণ বাড়িটি তৈরি করেছে আরো অনেক মানুষ আরো অনেক কিছুর সাহায্য নিয়ে। আর যারা তৈরি করেছে তারাও জানে তারা তৈরি করেছে; শূণ্য থেকে সৃষ্টি করেনি।
লক্ষণীয়, তিনি মাইকোপ্লাজমা ক্যাপ্রিকোলামের জীবিত কোষ ব্যবহার করেছিলেন, মৃত কোষ না। ফলে একটি জীবনের উদ্ভব হয় আরেকটি জীবন থেকে- উইলিয়াম হার্ভের করা এই তত্ব এখনো টিকেই আছে। তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হল –
প্রাণের এই নতুন রূপটি কি মুক্তজীবি?
(So is this new form of life a replicating, free-living organism?)
তিনি বললেন – এটি মুক্তজীবি শুধু এই অর্থে যে এটি গবেষণাগারে সমৃদ্ধ কালচার মাধ্যমে জন্মাতে পারে, সুতরাং এটি বাইরের পরিবেশে জন্মাতে পারবেনা।
(only it is only free-living in the sense that it grows in the laboratory in a very rich culture media so it wouldn’t survive in the outside environment)
যেই সংশ্লেষিত ক্রোমোসোমের জোরে কৃত্রিম প্রাণের দাবী করা হল সেই ক্রোমোসোম সম্পর্কে মানুষের জ্ঞানের দৌড় কতটুকু তা ভেন্টারের মুখ থেকেই শোনা যাক –

একটা কোষে সবগুলো জিনের কার্যক্রম আমরা জানিনা। আমরা জানিনা জিনগুলো কি করে, কিভাবে করে। তাই গত ১৫ বছর ধরে আমরা পথ খুঁজে ফিরছি যাতে অতি সরল কোষের ক্ষেত্রেও অন্তত এগুলো জানা যায়।
(We do not know all the gene functions in any single cell. We don’t know what they do, we don’t know how they all work so we’ve been trying for 15 years to come up with ways to be able to define that even for simple cells.)

শেষ কথাঃ
যারা “মানুষ কৃত্রিম প্রাণ তৈরি করেছে, তাই খোদা বলতে কিছু নেই” – ধরণের যুক্তি দেখাচ্ছেন তাদের জন্য একটি তথ্যঃ
ভেন্টার বলছেন – এক পর্যায়ে আমরা আবিষ্কার করলাম যে ১০ লক্ষ ডিএনএ বেস পেয়ারের মধ্যে মাত্র একটা ভুল থাকায় প্রাণ আসেনি।
১৯৯৯ সালে “মিনিমাল জেনোম প্রজেক্ট” এর ঘোষণা দিয়ে মিলিওন মিলিওন ডলার খরচ করে ভেন্টার এখনো জানতে পারেননি শুধুমাত্র “জীবন” ধারণ করতে ন্যুনতম কয়টি জীন দরকার। বিশ্বের সবচেয়ে হাই-টেক যন্ত্র-পাতি ব্যবহার করে ১৭ জন বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীর ১৫ বছরের সাধনার ফলে আসলে যে অর্জন করা হয়েছে তা হল – “একটি জীনোমের তথ্য নকল করে তা কাঁচের বোতলে তৈরি করে আরেকটি জীনোমবিহীন কোষে তা ঢুকিয়ে কোষটিকে বাঁচিয়ে রাখা।”
বিজ্ঞানের হিসেবে এটি অনেক বড় সাফল্য কিন্তু প্রকৃত স্রষ্টার সাথে পাল্লা দেয়ার দাবীতে এটা নেহায়ত হাস্যকর। আর এই সামান্য কাজ করতে মানুষের যে পরিমাণ পরিকল্পনা, প্রচেষ্টা এবং মেধা ও সম্পদ খরচ করা হয়েছে তাতে এ সত্যটাই চরমভাবে পরিষ্ফুটিত হয় জীবনকে অনেক যত্নে একটি সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক উপাদান থেকে অনাকাংখিতভাবে জীবনের উদ্ভব হয়েছে বলে যারা দাবি করেন তারা কিন্তু কখনোই বলবেননা যে ভেণ্টারের দলের এই কৃতিত্ব নেহায়ত আকস্মিক এবং সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত। অথচ যে সৃষ্টিজগতের একটি ক্ষুদ্র কোষকে অণুকরণ করতে এত মহাযজ্ঞের প্রয়োজন পড়েছে সে সৃষ্টিজগতের পরিকল্পনাকারী এবং স্রষ্টাকে অস্বীকার করতে এবং সৃষ্টির পিছনে কোন উদ্দেশ্য নেই এমন দাবী করতে হলে একই সাথে দাম্ভিক এবং মূর্খ হতে হয়। আসলে যারা বুদ্ধিমান তারা এই আবিষ্কার দেখে আরেকবার লজ্জায় কুঁকড়ে গেছে – এই সৃষ্টি জগতের বিশালত্ব ও চমৎকারিত্বের সামনে।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র হিসেবে এই প্রযুক্তি আমাকে চমৎকৃত করেছে তা সত্যি। কিন্তু এর সম্ভাব্য অপব্যবহার কল্পনা করে শঙ্কিত হয়েছি আরো বেশি। আর এ বিষয়ে তথাকথিত নাস্তিকদের কিছু লেখা পড়ে লজ্জা পেয়েছি। ধর্ম না জেনে-বুঝে তা নিয়ে কথা বলা, লেখালেখি করার চল অনেক আগেই ছিল। এখন বিজ্ঞান নিয়ে অবৈজ্ঞানিক অধর্মব্যবসায়ীরা বিশেষজ্ঞ মতামত দিচ্ছে – কি দুর্ভাগ্য আমাদের!
বক্তব্য উদ্ধৃত হয়েছে – এখান থেকে:
Click This Link

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র হিসেবে এই প্রযুক্তি আমাকে চমৎকৃত করেছে তা সত্যি। কিন্তু এর সম্ভাব্য অপব্যবহার কল্পনা করে শঙ্কিত হয়েছি আরো বেশি। আর এ বিষয়ে তথাকথিত নাস্তিকদের কিছু লেখা পড়ে লজ্জা পেয়েছি। ধর্ম না জেনে-বুঝে তা নিয়ে কথা বলা, লেখালেখি করার চল অনেক আগেই ছিল। এখন বিজ্ঞান নিয়ে অবৈজ্ঞানিক অধর্মব্যবসায়ীরা বিশেষজ্ঞ মতামত দিচ্ছে – কি দুর্ভাগ্য আমাদের!

সহমত....

২৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০১

ম্যাভেরিক বলেছেন: "শুভ রহমান বলেছেন: জনন আর প্রজনন দুইটা স্পেসেফিক টার্ম।
সাদা বাংলায় আমরা একই অর্থে এগুলা ব্যবহার করি।
কিন্তু বায়োলজিতে এই দুইটা টার্ম একই অর্থ বহন করে না।
প্রজনন বলতে যৌন ও অযৌন দুইটাই বোঝায়। জনন বলতে যৌন-কার্য প্রক্রিয়ায় প্রজনন বোঝায়।"

ভাষা ও শব্দের প্রতি কৌতূহলের কারণে শব্দদুটি নিয়ে চিন্তা করলাম। বিজ্ঞানের পারিভাষিক শব্দ মূল ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করা হলে করা হলে সাধারণতঃ তার অর্থের ব্যাপ্তি কমে যায়। কাজেই বাংলা ভাষায় জনন বলতে সুনির্দিষ্টভাবে যৌন-কার্য প্রক্রিয়া প্রজনন বোঝায় এ ধারণা কৌতূহলোদ্দীপক। কিন্তু জীববিজ্ঞানের বই, যেমন গাজী আজমলের উচ্চ মাধ্যমিক জীববিজ্ঞানে, জনন বলতে যৌনকার্যকে সুনির্দিষ্ট করা হয়নি। সেখানে মূল কাণ্ড পাতার মাধ্যমে অঙ্গজ জননের কথা বলা আছে। যতদূর মনে পড়ে বাংলা ভাষার অন্য কোথাও এরূপ কোনো পার্থক্যরেখা নেই।

এছাড়া মজার ব্যাপার হচ্ছে, DC Generator-এর বাংলায় অনুবাদ একমুখী জননযন্ত্র! B:-)

যাহোক, আলোচনা গঠনমূলক ও অগ্রগামী হোক, শব্দের অর্থে ভুল বোঝাবুঝি আসলে তা দূর হোক।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ঠিক বলেছেন------ধন্যবাদ

আমি অবশ্য আগেই একবাক্যে উত্তরটা দিয়েছি----বোঝার ইচ্ছে থাকলে বুঝে নেবে

২৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪৫

শুভ রহমান বলেছেন: সেটাই, ম্যাভেরিক এবং কাকপাখি।

অনুবাদ আর টার্ম তো এক না, তাই না?
বিশেষ করে জীববিজ্ঞানের একটা বিষয় নিয়ে লেখা হচ্ছে, তখন তো আশা করতেই পারি পরিভাষাগুলো তার সঠিক অর্থ বোঝাবে।

প্রাণ বলতে কি বোঝায় এইটাকে সংজ্ঞায়িত করতে বললাম লেখককে। তখন লেখক বললেন নিজে চিন্তা করে খুঁজে নিতে! আমি তো কোন আমি, বিজ্ঞানীরা এই শব্দটাকে ব্যবহারের আগে দশবার চিন্তা করেন। লেখক কোন অর্থে প্রাণ বোঝাতে চান, তা পরিষ্কার করা জরুরী। ভেন্টর অত্যন্ত ক্ষুদ্র অর্থে এই শব্দ ব্যবহার করেছেন - তিনি তা ব্যাখ্যাও করেছেন।

একথা অবশ্যই ঠিক, অবিশ্বাসীদের পক্ষ থেকে এবং দৈনিক পত্রিকায় এই আবিষ্কারটিকে বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গির পক্ষে অথবা বাড়িয়ে বলা হয়েছে। তা নিয়ে কেউ সমালোচনা করতেই পারে। যেমন করেছেন আবু হায়াত অপু। আবু হায়াত অপু যথেষ্ট মেপে মেপে তার সমালোচনাটি তৈরি করেছেন। তার বিশ্বাসের জায়গাটাও স্পষ্ট করেছেন। এবং দুইটার মধ্যে উনি কোন মিশ্রন তৈরি করেন নি।

উত্তর দিতে গিয়ে যেই শিরোনামে বর্তমান লেখাটি তৈরি করা হয়েছে, তাতে আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ পেয়েছি। লেখক যেভাবে ভাইরাসের সাথে এই প্রক্রিয়ার তুলনা করেছেন, তার পেছনে আমি কোন অর্থ খুজে পাই নি।

আমি মাহফুজশান্তর এই আধাবিজ্ঞান আধাধর্ম শংকর সমর্থন করতে পারি না।তার এই কাজকর্মের কারণে হয়তো যাদের ধর্মীয বিশ্বাস অতটা শক্ত না, তারা বিশ্বাসকে জোড়ালো করছেন। কিন্তু বিজ্ঞানের যে কোন উপকার হচ্ছে না বরঙ বিজ্ঞান নিয়ে যে ভুল ধারণা ছড়াচ্ছে তা পরিষ্কার। উদাহরণ ঐ ভাইরাসের সাথে তুলনাটাই। ভাইরাসের তুলনা যে কেবল অপ্রাসঙ্গিক তাই না, অপ্রয়োজনীয়। এবং এই ভাইরাসের আক্রমন জাতীয় কথাবার্তা পাঠকের মনে ভুল ধারণা তৈরি করবে।

জেনেটিক্স কিংবা বায়োকেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি এদের ডেভলপমেন্টে গতি এসেছে মাত্র কয়েক দশক আগে।এখনো একশ বছরই হয় নাই এই বিপ্লবের। বলা হয় সামনে দুনিয়াকে লিড দেবে বায়ো আর ন্যানো টেকনোলজি। সেইখানে এতো নেগেটিভ হওয়ার কোন কারণ দেখি না। ডিএনএ, রাইবোজোম, কোষঝিল্লী কৃত্রিমভাবে ডিজাইন হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। পুরো কোষ যে সামনে কৃত্রিমভাবে ডিজাইন করা হবে না, এতো নেতিবাচক হওয়ার কোন কারণ নাই।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:০৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: যারা বিজ্ঞানের নামে ধর্মকে হেয় করতে কুন্ঠা বোধ করেনা। বরং যারা ধর্মকে নিয়ে কটাক্ষ করে----- অবুঝের তাদের পক্ষ নিয়ে ফাজলাম করতেও দ্বিধা বোধ করেন না। তাদের মুখে এসব নীতি কথা আমি থোরাই কেয়ার করি।

কোরানে বিজ্ঞান খুঁজতে যেয়ে যখন কোরান হয় বিকৃত আর বিজ্ঞান হয় ধর্ষিত!!

যখন আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের বক্তব্যকে না বুঝেই মিথ্যা অযুহাতে এই নামে পোষ্ট দেয়া হয়েছিল----তখন তো দুঃখ পাননি। আপনার মনে যে মিথ্যা রোগ দানা বেধেছে তা থেকে মুক্ত হলেই তারপর আমার বক্তব্য বুঝতে সক্ষম হবেন। আপনারা ভাবিয়েন না যে শুধু নিজেরাই বিজ্ঞান বোঝেন।
মাহফুজশান্ত---- বিজ্ঞান-সংকর নয়--------প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানে বিশ্বাসী
কিন্তু ধর্ম বা বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে অবিশ্বাসীরা উল্টাপাল্টা বললে----তা সহ্য করা হবে না।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:২৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনি বলেছেন- সামনে দুনিয়াকে লিড দেবে বায়ো আর ন্যানো টেকনোলজি। সেইখানে এতো নেগেটিভ হওয়ার কোন কারণ দেখি না। ডিএনএ, রাইবোজোম, কোষঝিল্লী কৃত্রিমভাবে ডিজাইন হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। পুরো কোষ যে সামনে কৃত্রিমভাবে ডিজাইন করা হবে না, এতো নেতিবাচক হওয়ার কোন কারণ নাই।

বিজ্ঞান চর্চা বা গবেষণার বিষয়ে আমি যে মোটেই নেতিবাচক নই তা আমার প্রথম প্যারার বক্তব্যই বলে দেবে।

সুস্থ বিজ্ঞান চর্চাকে সব সময়ই সাধুবাদ জানাই

কৃত্রিমভাবে ডিজাইন করাতে তো কোন আপত্তি নেই। কিন্তু অতিরন্জিত বললেই খারাপ লাগে।

যাই হোক---------কথায় কথায় অনেক কথা বলে ফেললাম। কিছু মনে করবেন না-------------ধন্যবাদ

৩০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:২০

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: আমিও আপনার মত বাংলাদেশের সন্তান, ঢাবির বায়োক্যামিস্ট্রি বিভাগের ছাত্র, দেশে ৬-বছর চাকরিও করেছি, এখন উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশে আছি। তাই বলে বিদেশীদের পা চাটি না। এখানে আমরা নিদ্বির্ধায় প্রফেসরদের সাথে দ্বিমত পোষণ করতে পারি, কিন্তু ঢাকাতে আপনার মত ডাক্তারদের উদ্ধত ব্যবহারের কারণে নিজের রোগের ব্যাপারেও কিছু জিজ্ঞেস করতে পারতাম না। সাইন্সে শেষ কথা বলে কিছু নেই। অথচ আপনি অন্যের যুক্তিগুলোকে ধার্যই করছেন না। এটাই বলে দেয়, আপনার জ্ঞান কতটুকু সীমিত এবং আপনি কতটুকু উদ্ধত।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:২৯

মাহফুজশান্ত বলেছেন: যাক শুনে খুশি হলাম-----আপনিও তাহলে বাংলাদেশের সন্তান----এবং বিদেশিদের পা-চাটেন না। ভবিষ্যতেও যেন না চাটেন সেই আশা করব।

ভাই, আমি কারও সঙ্গে কখনই উদ্ধত আচরন করি না----তবে কেউ অবুঝের মত ফাজলাম করলে তাকে বিষয়টা বুঝিয়ে দিতে চাই।

আপনি বলেছেন- ঢাকাতে আপনার মত ডাক্তারদের উদ্ধত ব্যবহারের কারণে নিজের রোগের ব্যাপারেও কিছু জিজ্ঞেস করতে পারতাম না।

তবে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সম্পর্কে ঢালাওভাবে এরূপ কটাক্ষ করা ঠিক নয়। যদি সবাই খারাপ হত----তাহলে তো কেউ সুস্থ থাকত না। বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠানেই আপনি ভাল-খারাপ দুটোই পাবেন। তবে আমি হলফ করে বলতে পারি---চিকিৎসা পেশায় খারাপের মাত্রা অনেক কম। যেহেতু পেশাটা---সেনসেটিভ----তাই একটু ত্রুটিই অনেক বড় হয়ে দেখা দেয়। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এ ধরনের ত্রুটি থাকারও বিরুদ্ধে। আপনি বিদেশে গিয়ে নিশ্চয় সেখানকার মেডিকেল-সিস্টেমটা লক্ষ করছেন-----আমাদের দেশেও এ ধরনের সিস্টেম ডেভলপ করা প্রয়োজন----------তবেই জনগণ ও চিকিৎসক সবার জন্যই ভাল হবে

আপনি বলেছিলেন- উনি বাংলাদেশে পাশ করা ডাক্তার কি-না -

এ ধরনের কথা না বলে----গঠনমূলক কথা বলাই ভাল নয় কি? আপনার মত বিদেশে উচ্চশিক্ষায় রত মানুষের কাছে তো এটাই কাম্য

৩১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪০

জীবন মায়া বলেছেন: @আসিফ মহিউদ্দীন: =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~


ভাই, লেখকরে বাঁশটা একেবারে তেল না মাখায়া দিলেন? একটু তেল মাখায়া দিলে বেচারার কষ্ট কম হইতো।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২১

মাহফুজশান্ত বলেছেন: বিজ্ঞানের বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে------আপনার মত আহাম্মকেরা তো বাঁশ নিয়েই ঠেলাঠেলি করবে----------এটাই স্বাভাবিক

এখানে এসব আজেবাজে কথা একদম বলবেন না-----

৩২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৮

জীবন মায়া বলেছেন: লেখক, আপনি কোন মাদ্রাসায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২৩

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনি কোন মন্দিরে বাঁশের খেলা শিখেছেন?? কেন-----বিজ্ঞানের জ্ঞান একদমই দেয় নাই???

৩৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৩৪

শুভ রহমান বলেছেন: তাহলে ভাইরাসের ব্যাক্টেরিয়া আক্রমণের তুলনাটা এইখানে কোন যুক্তিতে খাটে তা একটু বলবেন প্লিজ?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:১২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনি কি ১৯ নং মন্তব্যের উত্তরটা আরেকটু দেখবেন প্লিজ??

ভাইরাস কিভাবে ডিএনএ -টাকে সেলের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ-কে নিষ্ক্রিয় করে দেয় এবং ভাইরাসের ডিএনএ- এর কমেন্ড অনুসারে তখন প্রটিন তৈরি হতে শুরু করে এবং রিপ্রডিউস করে----আমি এই অংশটাকে হাইলাইট করতে চেয়েছি।

কেননা এই বিষটার দিকে খেয়াল করলে বোঝা যায় যে, বিজ্ঞানীরা এ থেকে অন্তত ডিএনএ দ্বারা যে সেলের বায়লোজিকাল কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব তা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন। তাই bacterium Mycoplasma mycoides এর ডিএনএ-কোডের কপি কোরে উৎপাদিত সিনথেটিক জেনোম স্রষ্টারই সৃষ্ট আরেকটি নিকটতম প্রজাতির bacterium, Mycoplasma capricolum এর জীবন্ত কোষের মধ্যে যে ঢুকিয়ে দেয়া সম্ভব এবং এর ফলে bacterium, Mycoplasma capricolum এর জীবন্ত কোষের কার্যাবলী যে bacterium Mycoplasma mycoides এর synthetic genome (ডিএনএ ব্লুপ্রিন্ট) এর দ্বারা কন্ট্রোল করা যেতে পারে তা অনুমান করতে পেরেছিলেন এবং এক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছেন---আমি শুধু এই বিষয়ের দিকে ইংগিত করেছি মাত্র। বাকীটা কাজটা তো Mycoplasma mycoides এর ডিএনএ-কোডের ছক অনুসারেই সম্পন্ন হয়েছে আর এ কারনেই মাইকোপ্লাজমাটা (সিনথিয়া) রিপ্রডিউস করেছে বাইনারি ফিশনে।

এখানে আমি শুধুমাত্র ডিএনএ প্রতিস্থাপনের বিষয়টির দিকেই ইংগিত করেছি। প্রতিস্থাপনের পর যার ডিএনএ কোডের সিকোয়েন্স যেমন সেটা তো ঠিক সেভাবেই বাকী কাজ সমাধা করবে। ভাইরাস তার প্রয়োজন মত প্রোটিন তৈরি করবে ও রিপ্রডিইস করবে আর মাইকোপ্লাজমাটা (সিনথিয়া) রিপ্রডিউস করবে বাইনারি ফিশনে----এটাই তো স্বাভাবিক।

৩৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৮

শুভ রহমান বলেছেন: তাহলে বলবো, আমার ব্যাক্তিগত মতামত সুতরাং আপনার কেয়ার করার দরকার নেই, তুলনাটা অত্যন্ত স্থুল এবং অপ্রাসঙ্গিক হয়েছে।

ভাইরাস আর যাই হোক ব্যাক্টেরিয়ার ডিএনএ কে প্রতিস্থাপন করে না। খালি নিষ্ক্রিয় করে দেয়। তাও সবসময় না। কখনো কখনো সে হোস্টের জিনোমের একটি অংশ হয়ে যায় হোস্ট-জিনোমকে নিষ্ক্রিয় না করেই। যেমন ধরেন ডিপথেরিয়ার জীবানু যারা ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত, তাদের জিনোম আর ভাইরাসের জিনোম একই সাথে কাজ করে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:১৩

মাহফুজশান্ত বলেছেন: তুলনাটা একবারেই মৌলিক-----সেটা আমি বলেছি-----এখন এটাকে আপিন কোন (স্থুল এবং অপ্রাসঙ্গিক) দৃষ্টিকোন থেকে দেখবেন সেটা আপনার ব্যাপার---আমার নয়।

ভাইরাস-----ডিএনএ -কে খালি নিষ্ক্রিয় করে দেয়-----আবার কখনো নিষ্ক্রিয় না করেই জিনোমের একটি অংশ হিসেবে কাজ করে-----তা আমি জানি------এক্ষেত্রে ভাইরাস----ডিএনএ প্রতিস্থাপন না করেই শুধু নিষ্ক্রিয় করে কাজ করেছে------আর বিজ্ঞানীরা জেনোমকে প্রতিস্থাপন করেছেন----কোন তফাৎ নেই তা তো আমি বলিনি-------নিষ্ক্রিয় জিনিসটাকে না রেখে প্রতিস্থাপন করা যে সম্ভব-----এর মাধ্যমে সেই ধারনাটা পাওয়া তো বিজ্ঞানীদের জন্য সহজ হয়েছে।

৩৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৬

কাকপাখি ২ বলেছেন: @ শুভ রহমান:

কৃত্রিম প্রান সম্ভব কিনা, তা জানার আগে আরো কিছু জিনিস জানা দরকার।
প্রথমে প্রান আসলে কি জিনিস তা জানা দরকার। বিজ্ঞানিরা এখন পর্যন্ত প্রানের ডেফিনেশনের ব্যাপারে একমত হইতে পারেন নাই।

বিজ্ঞানিরা প্রানের উপস্থিতির কারনে একটা বায়োলজিকাল বডিতে যেইসব একটিভিটিস হয় তা নিয়ে কাজ করতেছেন।

কৃত্রিম প্রান তৈরী করতে গেলে "প্রান" কি জিনিস তা আগে জানে হবে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৫৫

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ-------সহমত

৩৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:১৭

শুভ রহমান বলেছেন: @কাকপাখি,

বিজ্ঞানীরা প্রাণের ডেভিনিশন নিয়া ঝামেলায় আছে সেইটা আমিও বলছি।

লেখক 'প্রাণে'- কি এইটা বুঝে নিতে বলেছেন। উনি কি অর্থে প্রাণ বোঝাচ্ছেন তা সংজ্ঞায়িত করেন নাই । আমি বারবার অনুরোধ করছি।।

ভেন্টর প্রাণ শব্দটা ব্যবহারের আগে বলে নিয়েছেন কোন অর্থে তিনি শব্দটা ব্যবহার করেছেন।

জিনিসটাকে প্রাণ হিসেবে না দেখে বায়োলজিকাল সিস্টেম হিসেবে দেখলেই সুবিধা। ল্যাব কন্ডিশনে ইতোমধ্যেই প্রোটোসেল তৈরি হয়ে গেছে।

আর @লেখক,
আপনার তুলনাটা কোন অর্থে মৌলিক সেইটা আমি বুঝি নাই। বিজ্ঞানীরা যেই পদ্ধতিতে কৃত্রিম জিনোম ব্যাক্টেরিয়ার শরীরে ঢুকাইছেন তার সাথে ভাইরাসের তুলনাটা যায় না।

লেখার উপসংহার হতাশাজনক। ভুল বার্তা দেয় লেখাটা। এখন ন্যানো ন্যানো বলে সবাই মুখে ফ্যানা উঠায়া ফেলতেছে, এই ন্যানো টেকনোলজি প্রতিটা লিভিং সিস্টেমে আছে। এখন ন্যানো টেকনোলজির উদ্দেশ্যই হলো এই লিভিং সিস্টেম যেভাবে কাজ করে তার নকল করা।
মানুষ মাত্র বায়োলজিকাল সিস্টেম নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। সাফল্য খুব একটা কম না। সেই খানে মানুষ একদিন ইউক্যারিয়ট সেলুলার সিস্টেম ল্যাবে তৈরি করতে পারবে না এই ধরনের ভবিষ্যতদ্বানী লেখক করে ফেলছেন।

বাষ্পইঞ্জিন দিয়ে জাহাজ তৈরির গল্পটা মনে করতে বলি আবার। এতো নেগেটিভ হওয়ার কিছু নাই।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আবারও একই প্যাচাল-

বিজ্ঞানীরা যেই পদ্ধতিতে কৃত্রিম জিনোম ব্যাক্টেরিয়ার শরীরে ঢুকাইছেন----সেই পদ্ধতরি কথা তো আমি কই নাইরে ভাই----ভাইরাস যে পদ্ধতিতে ডিএনএ ব্যাক্টেরিয়ার শরীরে ঢুকাইছে------তাহা হইতে একটা ইংগিত মেলে---------সেই মূল/মৌলিক বিষয়টার কথাই কইছি

আপনি একবার কন-------কৃত্রিম প্রাণ বাদ দিলেন-----আবার ল্যাবে তৈরি বায়োলজিকাল সিস্টেম, ইউক্যারিয়ট সেলুলার সিস্টেম, কৃত্রিম প্রাণ-----সব গুবলেট কইরা ফেলেন----তাইলে তো সব হ-য-ব-র-ল কইরা ফালাইতেছেন----এগুলা আবিষ্কার করা বলেন আর নুতন রূপ দেয়া বলেন-----কোনটাই স্রষ্টা প্রদত্ত প্রাণের সমকক্ষ নহে-----ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করেন-----আর মহান স্রষ্টাকে স্মরন করেন-----

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪৮

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আমি সূচনায় ও উপসংহারে কি বলেছি আবার ভাল করে দেখেন-

সূচনা- 'ড. ক্রেইগ ভেনটার ', (the biologist, J. Craig Venter Institute in Rockville, Maryland and California) জীববিজ্ঞানের গবেষনার জগতে ইতিমধ্যে বহুল আলোচিত একটি নাম। যিনি সিন্থেটিক জেনোম উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে বিরাট সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। একজন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ হিসেবে এই অসামান্য অবদানের জন্য তাকে ও তার দলকে সাধুবাদ জানাই। তার এই সাফল্য মানবজাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক- এই কামনা সবারই।

উপসংহার- কয়েক বছর আগে এই (তথাকথিত অবিশ্বাসী) অপপ্রচারকারীদের সাগরেদারা ক্লোনিং নিয়ে অনেক লাফালাফি করল। ক্লোনিং সম্পর্কে জানতে হলে এই লিংকটি দেখুন- তখন বলে বেড়াল- বিজ্ঞানীরা নাকি একটা আস্ত ভেড়ী সৃষ্টি করে ফেলেছে! মানুষকে কিছুদিন ঘোরের মধ্যে রাখা ছাড়া বা দু-চারজনকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। এখন সেই গান শেষ। এইবার কৃত্রিম প্রাণের গান ধরেছে। হাতড়াতে হাতড়াতে একদিন দেখবে সবই একই গান- 'ওয়াক্কা ওয়াক্কা' আর 'ফক্কা ফক্কা'- তখন ঠিকই টের পাবে।

এখানে হতাশার কি পেলেন-----তাহলে কি আপনিও নাস্তিকদের দলে??!!----ছি. ছি. ছি. ছিঃ

৩৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৪

শুভ রহমান বলেছেন: উপসংহার না বলে বক্তব্য বললে আরো ভালো করতাম। আপনার বক্তব্য নেতিবাচক বলে মনে হয়েছে নিজেকে বিজ্ঞানমনষ্ক বলে দাবী করলে আপনি ধর্মের সাথে বিজ্ঞান তালগোল পাকায়া ফেলতেন না।

আর ভাইরাসকে যেই হিসাবে আপনি তুলনা করেছেন, তাইলে তো বলা যায়:
ভেন্টরের পদ্ধতি
১) ডিম্বানুতে শুক্রাণুর হ্যাপ্লয়েড জিনোম ঢুকানোর মতোন।
২) এফপিলি দিয়া + ব্যাক্টেরিয়ার জিনোম - ব্যাক্টেরিয়াতে ঢুকানোর মতোন।
৩) ব্যাক্টেরিয়া টু ব্যাক্টেরিয়া প্লাজমিড ট্রান্সফারের মতোন।
৪) গ্যামেটান্গিয়াল কপুলেশনের মাধ্যমে ফান্জি টু ফান্জি ইত্যাদি ডিএনএ ট্রান্সফারের মতোন।

আরো কয়েকটা পদ্ধতিতে ডিএনএ ট্রান্সফার করা যায়। মনে আসতেসে না।

তাই বলে উপরের চারটার কোনটার মতোনই যে ভেন্টরেরর পদ্ধতি সেই তুলনা আমি করবো না। কারণ সেই তুলনা যায়ও না।

আপনার সামনে দুইটা রাস্তা আছে।
১> এইটা মানা যে তুলনাটা ভুল হইছে
২> অথবা উপরোক্ট চারটি এবং আপনার একটি মোট পাচটি পদ্ধতিতেই তুলনা করা সম্ভব তা মানা।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৫

মাহফুজশান্ত বলেছেন: এতক্ষনে কিছুটা লাইনে আসছেন-

আমার তুলনাটা এক্কেবারে ভুল হয়েছে---এইটা বলা ঠিক না।

আপনি বই পুস্তকের আর্টিফিশিয়াল উদাহরনগুলো দিয়েছেনে----আর আমি স্রষ্টার বেধে দেয়া ন্যাচারাল উদাহরন দিয়েছি-----আমি স্রষ্টা প্রদত্ত প্রাণের কথা বলেছি----আর আপনি কৃত্রিম প্রাণের পিছনে ছুটছেন----তফাতটা এখানে-----এই পুস্তকের পুথিগুলো আমারও জানা আছে----যেন পুস্তকের বাহিরেও চিন্তা করতে শিখেন সে জন্যই উদাহরনটা দিয়েছি

আর ধর্ম ও বিজ্ঞান-------আমার ধর্ম মহান-----আমি সদাই গাই এবং গাইব এর জয়গান---

৩৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫১

শুভ রহমান বলেছেন:
হাসতেই আছি ... =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

স্লামুলেকুম ভাই।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৫২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: বুঝলাম- ধর্মকে হেও করার জন্য আপনারা বিজ্ঞানের বুলি আওড়ান

আমি বিজ্ঞানকে বিভ্রান্তির হাত থেকে মুক্ত করতে ধর্মের কথা বলি

৩৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:২২

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: পোষ্ট পড়ার থেকেই আমি হাসতেছি। পাল্টা কমেন্ট পড়লে আরো বেশী হাসি আসে।
@শুভ রহমান: জ্ঞান দান বড় অপাত্রে হয়ে যাচ্ছে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:০২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: বিদেশের মাটিতে বসে আরও অনেক বাঙালীই জ্ঞান অর্জন করছেন- সবাই কিন্ত বিদেশের মাটিতে পা রেখেই আপনার মত দাম্ভিক হয়ে যায়নি। তারা মন্দটাকে চিনে নিয়ে ভালটাই গ্রহন করছেন।

আমাকে জ্ঞান দানের চেষ্টা না করে আগে নিজেকে ঠিকমত জ্ঞান দিন--নিজেকে ভুলবেন না প্লিজ

৪০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০১

রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: এবার নাকি নারী ভ্রুণ থেকেই শুক্রাণু তৈরি হবে। তাহলে তো আর পুরুষ-ই লাগবে না। লেসবিয়ান দম্পতিও বাচ্চা নিতে পারবে!

বিডি নিউজে পড়লাম

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আমার একটি পোষ্টের কিছু আংশ-
Click This Link
ভবিষ্যতে ক্লোনিং-এর মাধ্যমে শুধুমাত্র পিতৃ অথবা মাতৃ প্রতিরূপই নয়; বরং জেনেটিকাল ক্লেনিং এর মাধ্যমে সেক্স-ক্রোমসোমের জীনগুলোর পরিবর্তন বা পরিবর্ধন সাধন করলে পুরুষ প্রাণীর পূর্ণাঙ্গ ও জীবন্ত কোষ থেকে স্ত্রী-লিঙ্গের বৈশিষ্ট্যধারী অথবা স্ত্রী-প্রাণীর পূর্ণাঙ্গ ও জীবন্ত কোষ থেকে পুং-লিঙ্গের বৈশিষ্ট্যধারী পূর্ণাঙ্গ জীব জন্মগ্রহণ করে কিনা, অথবা স্ত্রী প্রজনন কোষের অর্থাৎ ডিম্বকোষের ডিম্বাণূতে অবস্থিত সেক্স ক্রোমসোমের জীনগুলোর পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে তার বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটান সম্ভব হয় কিনা এ ব্যপারে চিন্তা গবেষণা করার যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে। আমার মনে হয় পবিত্র কোরআনের { ৪ নং সূরা নিসা-এর-১ নং আয়াত, ৭ নং সূরা আরাফ-এর-১৮৯ নং আয়াত ও ২৩ নং সূরা মু’মিনন-এর-১২, ১৩ ও ১৪ নং আয়াত} ঐশী তথ্যগুলোর অনুবাদ সঠিকভাবে অর্থাৎ আরবী প্রত্যেকটি শব্দের মূল অর্থ ও ভাব অনুযায়ী করে তা নিয়ে চিন্তা-গবেষনা করলে হয়ত এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক দিকনির্দেশনা লাভ করা যেতে পারে।)

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৯

মাহফুজশান্ত বলেছেন: বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন যতক্ষণ মানবকল্যাণে ও শরীয়তসম্মত উপায়ে ব্যবহার করা হবে ততক্ষণ-----কোন আপত্তি নেই

কিন্তু মানবজাতিকে কলুষিত করার লক্ষে অমানবিক ও শরীয়ত বিরোধী যে কোন কর্মকান্ড অত্যন্ত আপত্তিকর এবং তা অবশ্যই পরিহার করা উচিত। তা না হলে এর পরিনাম------ইহজগতে তো বটেই-----পরকালেও অশান্তি ছাড়া কিছুই মিলবে না।

৪১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:১৭

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: ফাটা কলসী বাজে বেশী, আরেকবার প্রমাণিত হল।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: তলাবিহীন কলসী তো সম্পূর্ণ ফাকা

৪২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:১৮

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: ফাটা কলসী বাজে বেশী, আপনাকে দিয়ে সেটা আরেকবার প্রমাণিত হল।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২৩

মাহফুজশান্ত বলেছেন: তলাবিহীন কলসী যে সম্পূর্ণ ফাকা থাকে- আপনি তার বড় প্রমাণ

৪৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৭

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: আপনে পুরা মাইয়া মানুষের মত ঝগড়াইট্টা ...

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৪৩

মাহফুজশান্ত বলেছেন: মাইয়া মানুষকে একদম দেখবার পারেন না মনে হয়!!
কেন- ছ্যাকা দিছে নাকি? কয়জন?

আপনারে---ভাই না বোন কমু---বুঝিনা---আপনি তো দেখি হি... গো মতন কথা কন

৪৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৩

শয়তান বলেছেন: Empty ; void.

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: এইবার কৃত্রিম প্রাণের গান ধরেছে। হাতড়াতে হাতড়াতে একদিন দেখবে সবই যে একই গান- 'ওয়াক্কা ওয়াক্কা' আর 'ফক্কা ফক্কা'-(Empty ; void.)- তখন ঠিকই টের পাবে।

৪৫| ১২ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:১৯

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: প্রান যদি সৃষ্টি করা যায় তাহলে তো বারাক ওবামা বিল গেটসরা কোনদিন মরবে না। মরে গেলেই আরেকটি প্রান ৬ ঘন্টার মাঝে লাগিয়ে নিলেই হলো যেমনটি শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়। কি মজা কি মজা!!!

১২ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:২২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আল-কোরআনে মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা বলেন-
সূরা বনি ইস্রাঈল (১৭:৮৫) তোমাকে ওরা রূহ্ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, রূহ্ (জীবন/গায়েবী শক্তি) আমার প্রতিপালকের আদেশঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দেয়া হয়েছে।

৪৬| ১২ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৩০

ফাহিম আহমদ বলেছেন: আজম আলী বলেছেন: কৃত্রিম প্রাণ সৃষ্টি থেকে এখনো অনেক দূরে অবস্থান করছেন। তবে হয়ত একদিন সম্ভব হতেও পারে। আজেকের তথ্য প্রযুক্তি বা চিককিৎসা বিজ্ঞান আজ যে পর্যায়ে পৌছেছে তা কিন্তু আজ থেকে ২০০ বছর পূর্বে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। তবে কখনো কৃত্রিম প্রাণ সৃষ্টি হলে আবার ধর্মপন্থীরা বলবে এটাতো কোরানে আগে থেকেই লিপিবদ্ধ আছে।



=p~ সামনে পাইলে তরে ইরাম একটি থাপ্পড় লাগাইতাম। না জানিয়া কথা বলে,,, আসলে-ই নাস্তিকদের দৌড় ঘরের উন্দাল পর্যন্ত =p~


লেখক কে +++++++++++

১৩ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:২৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই-

৪৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:০৬

জামিল আহমেদ জামি বলেছেন: এই পোস্টে কিছু মানুষের অধিক জ্ঞান ফলানো দেখে খুব বিরক্ত লাগলো। সহজ ভাষা ব্যবহার করে যেটা বোঝানো হল সেটাকে তারা অযথা জটিল করল। হয়তো সাধারণ মানুষকে দেখিয়ে গেল দেখ সবাই, আমার কত জ্ঞান...!!!
এবং কতগুলা "পিছলানি" মার্কা নাস্তিক উল্টা পাল্টা কি সব বলে মেজাজটা খারাপ করল X( X(( X( X(( এই গাধাগুলাই আমারে নাস্তিক হইতে দিল না। অকাজের দল সব!!!

লেখককে সাধুবাদ। ভাল লেখা।

২৫ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:২২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ-

৪৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:০৪

নামহীন যুবক বলেছেন: দেহ ও আত্মা মিলিয়েই প্রাণী । কৃত্রিম ভাবে হয়তো দেহ বানানো সম্ভব। কিন্তু আত্মা???

সূরা বনি ইস্রাঈল (১৭:৮৫) তোমাকে ওরা রূহ্ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, রূহ্ (জীবন/গায়েবী শক্তি) আমার প্রতিপালকের আদেশঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দেয়া হয়েছে।
আল্লাহ বিভ্রান্তদের বিভ্রান্তি দূর করে দাও। আমিন।

+++++++

২১ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:২৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ-

৪৯| ৩০ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ৭:৩১

বিবেক বিবাগী বলেছেন: মানুষ অনেক স্বল্প জ্ঞান নিয়ে কথাবার্তা বলে, খুব বিরক্ত লাগে। নতুন প্রাণ! হাহ.. এই পোস্ট টা সেই ডিসেম্বরে দেখলে ভালো হইতো, এখন তো তর্ক শেষ।

৩০ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ৯:৫২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: তর্ক শেষ হয়েছে তাতে কি- তারপরও কিছু একটা বলেন।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

৫০| ৩০ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ১০:২৮

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: তর্ক-আলোচনাটা ভালোই জমছিলো।পুরোটা আগাগোড়া একবার পড়তে হবে।আপনাকে ধন্যবাদ।

৩০ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ১১:০৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ও শুভকামনা- মি. সুপারস্টার

৫১| ০৩ রা মে, ২০১২ দুপুর ১:১৩

নির্জন০০৭ বলেছেন: LEKHOKER clonning somporke ki boktoby?? otai GOD er dan? watever, GOD er dan na holeo GOD mithya hoe jascena. tahole apni ato voy pascen kishe. defiantly apni progotimona non. science er eto agrogotir moddye bash kore, science er capacity niye apnar ato songsoy kano? ''dhore nen GOD i manush k diye esob koriye nisce''.

০৩ রা মে, ২০১২ দুপুর ২:০১

মাহফুজশান্ত বলেছেন: LEKHOKER clonning somporke ki boktoby?? otai GOD er dan?
এর জবাব এখানে দেখুন- "ভ্রান্তির কবলে ক্লোনিং"- অবিশ্বাসীর চোরামি আর ধর্মান্ধের গোঁড়ামি

watever, GOD er dan na holeo GOD mithya hoe jascena. tahole apni ato voy pascen kishe. defiantly apni progotimona non. science er eto agrogotir moddye bash kore, science er capacity niye apnar ato songsoy kano? ''dhore nen GOD i manush k diye esob koriye nisce'

ভাই আপনি কি আমার পোষ্টটি ভাল করে পড়েছেন?
আমি স্রষ্টার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলছি ও ভয় পেয়েছি বলে আপনি ভাবছেন কেন!!?
আমি যে তথাকথিত প্রগতিমনা নই তা ঠিক। তবে নিজে একজন সাইন্সের ছাত্র এবং একজন মুসলিম হিসেবে বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে অবশ্যই স্বাগত জানাই। কিন্তু অগ্রগতির নামে মিথ্যে ও অতিরঞ্জিত বাড়াবাড়িকে আমি মোটেই পছন্দ করি না এবং প্রতিবাদ জানাই।

এখানে দেখুন- মহান আল্লাহ আল-কোরআনে সৃষ্টি বৈচিত্র সম্পর্কে চিন্তা-গবেষণার তাগিদ দিয়েছেন

সুতরাং সুস্থ জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার প্রতি ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকেও আমি দুর্বল। কিন্তু তাই বলে বিজ্ঞানের সসীম জ্ঞানের জোরে স্রষ্টার অসীমত্বের সাথে যারা পাল্লা দিতে চায়- তাদের আমি মোটেই বরদাস্ত করি না।
আমার অন্যান্য পোষ্টগুলো এক এক করে পড়লে আশাকরি আপনার ভুল ভাংতে পারে।
ধন্যবাদ-

৫২| ০৩ রা মে, ২০১২ দুপুর ১:২৬

েমা আশরাফুল আলম বলেছেন: নেন মূল পেপারের লিংক
Click This Link

০৩ রা মে, ২০১২ দুপুর ২:০১

মাহফুজশান্ত বলেছেন: নুতন কিছু আছে কি?

৫৩| ০৩ রা মে, ২০১২ দুপুর ২:১৫

েমা আশরাফুল আলম বলেছেন: না মনে হয়, কিছু লোকের নাচুনি দেখে দিলাম, ধারণা করছিলাম মূল পেপার না দেইখাই লাফাইতেছে।
আবদুল্লাহ সাঈদ খান ও একটা পোস্ট দিছিলেন
Click This Link

০৩ রা মে, ২০১২ দুপুর ২:২৯

মাহফুজশান্ত বলেছেন: জী, ভাল লিখেছেন।
তবে আমার পোষ্টের প্রায় ১ বছর ২ মাস পর।

৫৪| ০৩ রা মে, ২০১২ বিকাল ৪:১১

রাকি২০১১ বলেছেন: ভাই, ওদেরকে এত যুক্তি দিয়া লাভ কি?
শুধু বলেন কোন কিছু ছাড়াই একটি প্রান তৈরী করতে।
মহান রাব্বুল আলামিন তো কোন কিছু ছাড়াই তৈরি করতে পারেন।

তিনি শুধু এরাদা করেন - আর তা এমনিই হয়ে যায়।

মানুষ, আল্লাহ তায়ালার দেওয়া জিনিসের মধ্যে শুধু কিছু পরিবর্তন করতেছে - আর কিছুই নয়।
সৃষ্টি করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর-ই।

মহান আল্লাহ তায়ালা যদি পদার্থের মধ্যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক প্রপার্টি না দিতেন তাহলে মানুষ ইলেক্ট্রনিক্স জগত-ই পেত না।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

০৩ রা মে, ২০১২ বিকাল ৪:৩০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ-

৫৫| ০৭ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:০১

আমি সাজিদ বলেছেন: :) :)।++

০৭ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:২১

মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ-

৫৬| ০৭ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৮

আমি সাজিদ বলেছেন: ভাই,ছোট মুখে বড় কথা শুনাবে কিন্তু ঐ venter ব্যাটাকে একটা সেমিনারে জিজ্ঞেস করসিল লাইফের সংজ্ঞা কি?সে উত্তর দিতে পারে নাই।ভিডিওটা ইয়ুটিয়ুবে আছে।আর আসিফ মহিউদ্দিন আর দূর আকাশের নীল তারার আচরণ এই পোস্টে অনেকটা জোকারের মতন।আলোচনা টা বুঝতে অনেক কষ্ট হইসে।যাই হোক,অনেক অনেক প্রাণবন্ত।

০৭ ই মে, ২০১২ রাত ১০:৩৪

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আল-কোরআনে মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা বলেন-
সূরা বনি ইস্রাঈল-
(১৭:৮৫) তোমাকে ওরা রূহ্ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, রূহ্ (প্রাণ/জীবন/গায়েবী শক্তি) আমার প্রতিপালকের আদেশঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দেয়া হয়েছে।

ব্যাচারা venter কে দোষ দিয়ে লাভ কি? যেহেতু স্বয়ং স্রষ্টা বলেছেন যে, প্রাণ সম্পর্কে আমাদেরকে সামান্য জ্ঞান দেয়া হয়েছে। সুতরাং জীববিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে কিছুটা জানার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তবে আবল তাবল যতই চেষ্টা করুক না কেন প্রাণ অর্থাৎ লাইফের প্রকৃত সংজ্ঞা দেয়া তাদের পক্ষে কখনই সম্ভব হবে না।

৫৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪৫

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: পোস্টে প্লাস, ভাই আপনি কি হোমিওপ্যাথী ডাক্তার?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: প্লাস বা মাইনাস কোন ব্যপার না। কষ্ট করে পড়েছেন, তার জন্য ধন্যবাদ-
না ভাই- আমি ডাক্তার, তবে হোমিওপ্যাথী না।

৫৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের মত পাঠকদের জন্য এই আলোচনা বোঝাটা বেশ কষ্টকর হৈলেও-আবছা আবছা বুঝলাম। বিস্তারিত বর্ণনার জন্য আপনার ধন্যবাদ প্রাপ‌্য

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৯

মাহফুজশান্ত বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার পাশাপাশি ধন্যবাদ দেবার জন্য ধন্যবাদ-

৫৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৯

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: তবে কি ইউনানি?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: কেন ভাই! তাই মনে হয় বুঝি?

৬০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৯

অনিক সি বলেছেন: জন্ম, মৃত্যু এই দুটি জিনিষ আল্লাহ ছাড়া আর কার হাতে নেই।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ঠিক বলেছেন- ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.