নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

‍‍‍"Al-Quran", The source of science - Dr. Mahfuz

নাড়ীর স্পন্দন গুনে রুগীর সেবা করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে চেতনার কলম ধরি।('মনের মাধুরী' হলো পার্থিব জ্ঞান সমৃদ্ধ স্বচ্ছ মনন- আর 'চেতনার কলম' হলো আল-কোরআনের ঐশী আলোয় আলোকিত বিবেক সম্পন্ন লিখন)

মাহফুজশান্ত

আসুন, "ধর্মান্ধতা পরিহার করে ধর্মিষ্ঠ হই" "বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম" [আল-কোরআন-৯৬. সূরা আল-আলাক] ০১. পাঠ কর (এবং ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন- ০২. সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ হতে। ০৩. পাঠ কর, আর (ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত। ০৪. যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন- ০৫, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।] পবিত্র কোরআনের ৯৬ নম্বর সূরা 'আলাক'-এর প্রথম এই পাঁচটি আয়াত অত্যন্ত মূল্যবান এবং যা মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে ফেরেশতা জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে সর্বশেষ নবী রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর নাযিলকৃত সর্বপ্রথম ওহি অর্থাৎ ঐশীবাণী। মহামহিমান্বিত প্রতিপালকের নামে শিক্ষা লাভের জন্য পাঠ করা ( Study ) অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায় থেকে জ্ঞানার্জন করা এবং জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে কলমের ব্যবহার অর্থাৎ 'লিখন' যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখে তা সর্বজনবিদিত। মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে খাঁটি মানুষ রূপে গড়ে তোলার জন্য যে সর্বপ্রথমে এই ধরণের চমৎকার ও কার্যকর ঐশীবাণী প্রদান করে অনুপ্রাণিত করবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে পার্থিব জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের বিষয়ে জ্ঞান চর্চার তাগিদে সময় বের করে নিতে হয়েছে। যে জ্ঞানের কোন সীমা পরিসীমা নেই, যে জ্ঞানের কথা লিখতে বসলে মহাসাগরের এমনকি আকাশ ও পাতালের সকল জলরাশিকে কালি বানালেও তা ফুরিয়ে যাবে- তার জন্য এই সময়টুকু অতি নগন্য। তথাপি আমার এই ছোট্ট প্রয়াসের জন্য দয়াময় আল্লাহতায়ালা যে আমাকে সুযোগ ও তৌফিক দিয়েছেন সেজন্য আমি অবনত মস্তকে সর্বশক্তিমান স্রষ্টার কাছে প্রতি মূহুর্তে শুকরিয়া আদায় করছি। সত্যের স্বরূপ উদঘাটনে যতটুকু সফলতা অর্জন করতে পেরেছি তার সবটুকুই আল-কোরআনের ঐশীবাণীসমূহের মর্ম সঠিকভাবে অনুধাবনের ফলেই সম্ভব হয়েছে। আর ব্যর্থতার জন্য একজন অতি সাধারন মানুষ হিসেবে আমার অযোগ্যতা ও অজ্ঞতাই সম্পূর্ণরূপে দায়ী। হে বিশ্ববিধাতা করুণাময় মহান আল্লাহ , সর্বপ্রকার অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তির জন্য সর্বদা অবনত মস্তকে ক্ষমাভিক্ষা চাই। আর সরল ও সত্যের পথ যতটুকু অর্জন করতে পেরেছি তার উছিলায় একজন হতভাগা পাপী বান্দা হিসেবে তোমার জ্যোতির্ময় আরশের ছায়াতলে চিরকালের জন্য একটুখানি ঠাঁই চাই। আশাকরি ছোটখাট ভুলত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। চিন্তাশীল সুধীজনদের সুচিন্তিত পরামর্শ ও সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করা হবে।

মাহফুজশান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

'ধর্ষণ' একটি মারাত্মক অপরাধ, আল-কোরআনের বিধান মতে ধর্ষণের শাস্তি-

১২ ই মে, ২০১১ রাত ৯:৪৩

আমি এর পূর্বে ব্যভিচারের শাস্তি সম্পর্কে আল-কোরআনের নির্দেশনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। অক্ষমতা হেতু ভুল-ভ্রান্তি হয়ে গেলে মহান আল্লাহ তায়ালা যেন আমায় ক্ষমা করেন।



আজকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে কিছু বলবার আগে ব্যভিচার এবং ধর্ষণ সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করতে চাই। যদিও অনেকে আমার চাইতে বেশি জ্ঞান রাখেন, তারপরও আলোচনার সুবিধার্থে কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করছি।



স্বেচ্ছায় অবৈধ যৌন সম্পর্ক করাকে ব্যভিচার বলা হয়। এটি একটি সম্পর্ক হলেও ধর্মীয় দৃষ্টিতে যা অবৈধ, আর তাই এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ বটে। আল-কোরআন অনুসারে ব্যভিচারের শাস্তি কি এবং এর সাথে জড়িতদের কেন শাস্তি দেবার কথা বলা হয়েছে তা এখন আর কারো অজানা নেই। ব্যভিচারের সামাজিক, আত্মিক এবং স্বাস্থ্যগত বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে নুতন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তারপরও কেউ জানতে চাইলে এখানে দেখে নিতে পারেন-



* এইডস্ (AIDS) কি এবং কেন হয়?



* 'এইডস্' প্রতিরোধে আমাদের করণীয়-



'ব্যভিচারের' মত 'ধর্ষণ' কিন্তু বৈধ বা অবৈধ কোন প্রকার সম্পর্কের মধ্যেই পড়ে না। বরং এটি একটি পাশবিকতার নামান্তর। তাই ধর্ষণকে ব্যাভিচারের সাথে সম্পৃক্ত না করে সন্ত্রাস বা বিপর্যয় সৃষ্টিকারী কারন গুলোর সাথে বিবেচনা করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।



এখন প্রশ্ন আসতে পারে:-

১/ আমি কেন ধর্ষণকে সন্ত্রাস বা বিপর্যয়কর অবস্থা সৃষ্টির সাথে তুলনা করলাম?

২/ ধর্ষণের কারনে এ পৃথিবীর কোন ভূখন্ডে বা দেশে কি আসলেই বিপর্যয়কর অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে?

* সম্প্রতি প্রকাশিত এক সংবাদে এর উত্তর পেয়ে যাবেন:-



* কঙ্গোতে প্রতিদিন এগারো শতাধিক নারি ধর্ষিত হচ্ছে:-



ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি। বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন মানুষের লাগামহীন পাশবিক বহিঃপ্রকাশই এই ব্যাধি সৃষ্টির মূল কারন। এ পৃথিবীতে এমন কোন ভূখন্ড নেই যেখানে কম-বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে না। ধর্ষণের কারনেও যে কোন দেশে বিপর্যয়কর অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে, আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো তার জ্বলন্ত উদাহরন। এক জরিপে যে বাস্তব চিত্র বেরিয়ে এসেছে তার আলোকে সেখানকার এই অবস্থাকে ভয়ংকর গুপ্ত সন্ত্রাস হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। গত ২০০৬ থেকে ২০০৭ সালে চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে সেখানকার ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সের প্রায় চার লাখেরও বেশি নারী ধর্ষিত হয়েছে। এই গবেষণা ও জরিপের প্রধান অ্যামবার পিটারম্যান জানান, সামাজিক বাধা, লজ্জা ও ভয়ে অনেকেই যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের কথা প্রকাশ করেন না। তাছাড়া ১৫ বছরের নিচে ও ৪৯ বছরের বেশি বয়সের নারীদের তথ্য এ জরিপে ধরা হয়নি। মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা হার্ভার্ড হিউম্যানেটরিয়ান ইনিশিয়েটিবের পরিচালক মিখায়েল ভ্যানরোয়েন কঙ্গোতে ধর্ষণের এই ব্যাপকতাকে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী চলা মানবিক সংকটের এক বিভীষিকাময় রূপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।



ধর্ষণকে যে সন্ত্রাস বা বিপর্যয়কর অবস্থা সৃষ্টির সাথে তুলনা করা মোটেই অযৌক্তিক নয় তা নিশ্চয় এতক্ষণে পরিষ্কার হয়েছে। ডাকাতি বা ছিন্তাই করার সময় যেমন নিরীহ মানুষের সম্পদ লুন্ঠন করা হয়। তেমনি জোরপূর্বক নারীর সতীত্ব হরণ বা লুণ্ঠন করা হলো ধর্ষণ। তাই আল-কোরআনে ধর্ষণের কথা ব্যভিচারের পাশাপাশি তো বলাই হয়নি, এমনকি আলাদা ভাবেও উল্লেখ করা হয়নি। আর এ কারনেই এটিকে ডাকাতি, ছিন্তাই, রাহাজানি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জুলুম, ইভ-টিজিং, রাষ্ট্রদ্রোহিতা ইত্যাদি ভূপৃষ্ঠে জনগনের ক্ষতি করা, অস্থিতিশীলতা বা বিপর্যয়কর অবস্থা সৃষ্টির মত অমানবিক কুকর্মের সমপর্যায়ভুক্ত জ্ঞান করাটাই যুক্তিসংগত।



এখন প্রশ্ন হলো- যে ধর্ষণের কারনে কঙ্গোর মত বিপর্যয়কর অবস্থা সৃষ্টি হয়, তার হাত থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?



বিভিন্ন জনে তাদের মত করে মতামত রাখতেই পারেন। একজন মুসলিম হিসেবে সঙ্গত কারনেই আমি আমার ধর্মীয় বিশ্বাস ও বিধান, বর্তমান প্রেক্ষাপট ও নিজস্ব চেতনার আলোকে কিছু বক্তব্য রাখার অধিকার রাখি।



অনেকের মনেই হয়ত এ প্রশ্ন দানা বেধেছে:-

আল-কোরআনে ধর্ষকদের শাস্তি সম্পর্কে কোন নির্দেশনা আছে কি?



ধর্ষণ সহ বিপর্যয়কর অবস্থা সৃষ্টিকারী এসব অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে, আল-কোরআন অনুসারে তাদের শাস্তি হলো-

আল-কোরআন- ৫নং সূরা মায়েদা- আয়াত, ৩৩

(০৫:৩৩) যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং ভূপৃষ্ঠে সন্ত্রাস বা বিপর্যয় সৃষ্টির অপচেষ্টা করে, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হাত-পা বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।

(فَسَادً) = ধ্বংস, ক্ষতি -"কোরআনের অবিধান" - "মুনির উদ্দীন আহমদ"

(فَسَادً) = ধ্বংস করে দেওয়া, নষ্ট করা, বলপূর্বক কারো সম্পদ কেড়ে নেওয়া - "আল-কাওসার" - "আধুনিক আরবী-বাংলা অভিধান"- "মদীনা পাবলিকেশান্স"



নিচের হাদিছ থেকে এ সম্পর্কে আমরা আরও পরিষ্কার ধারনা পাই:-

Sunan Abu-Dawud#Book #38, Hadith #4366

Narrated Wa'il ibn Hujr: When a woman went out in the time of the Prophet (peace_be_upon_him) for prayer, a man attacked her and overpowered (raped) her. She shouted and he went off, and when a man came by, she said: That (man) did such and such to me. And when a company of the Emigrants came by, she said: That man did such and such to me. They went and seized the man whom they thought had had intercourse with her and brought him to her. She said: Yes, this is he. Then they brought him to the Apostle of Allah (peace be upon him). When he (the Prophet) was about to pass sentence, the man who (actually) had assaulted her stood up and said: Apostle of Allah, I am the man who did it to her. He (the Prophet) said to her: Go away, for Allah has forgiven you. But he told the man some good words (AbuDawud said: meaning the man who was seized), and of the man who had had intercourse with her, he said: Stone him to death. He also said: He has repented to such an extent that if the people of Medina had repented similarly, it would have been accepted from them.



আল-কোরআনের ৫ নং সূরা মায়েদার- ৩৩ নং আয়াতে এই ধরনের অপরাধের সর্বোচ্য শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ডের বিধান দেয়া হয়েছে। উপরে বর্ণিত হাদিছটিতে সেই নির্দেশেরই প্রতিফলন ঘটেছে।



প্রকৃত ইসলামি সমাজ ব্যবস্থায় ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। যদি কদাচিত ঘটেই যায়, তাহলে অবশ্যই ধর্ষককে শাস্তি ভোগ করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে হাদিছে বর্ণিত প্রেক্ষাপট অনুসারে ধর্ষক ও ধর্ষিতা সম্পর্কে সার্বিকভাবে যে ধরনের ইংগিত পাওয়া যায় সেদিকেও লক্ষ রাখা উচিত। ঘটনার সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যদি মোটামুটি একই রকমের সামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হয়, তাহলে বর্তমানে কিংবা ভবিষ্যতেও আল-কোরআনের নির্দেশ এবং রাসূলে (সাঃ) সুন্নাত মেনে এই শাস্তি দিতে হবে।



আর এই শাস্তি হলো ‘রজম’ অর্থাৎ জনসম্মুখে বুক পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে পাথর মেরেই ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে।



যেহেতু আল-কোরআনের বিধানে এই ধরনের অপরাধের শাস্তির ক্ষেত্রে কয়েকটি অপশন (দেশ থেকে নির্বাসন, বিপরীত দিক থেকে হাত-পা কর্তন ও হত্যা/শূলীতে চড়ানো) দেয়া হয়েছে। তাই সবার ক্ষেত্রে একই শাস্তি নয়, বরং ক্ষেত্র ও পাত্র ভেদে শাস্তিরও তারতম্য হতে পারে। ধর্ষকের নিজস্ব স্বীকারোক্তি সাপেক্ষে তার শাস্তি যে মৃত্যুদণ্ড, তাতে কোন সন্দেহ নাই। তবে ক্ষেত্র বিশেষে ধর্ষিতার পূর্ব এবং বর্তমান স্বভাব চারিত্র খতিয়ে দেখার মাধ্যমে ধর্ষকের শাস্তির পরিমান নির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনা করার অবকাশ রয়েছে। ধর্ষনের শাস্তি প্রমানের জন্য চারজন সাক্ষীর আবশ্যক নয়। এটি একটি বিপর্যয় সৃষ্টিকারী নিষ্ঠুর প্রকৃতির অপরাধ। তাই ধর্ষন প্রমান ও এর শাস্তি প্রয়োগের স্বার্থে ধর্ষিতার অভিযোগ, তার শারীরিক, মানসিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে দেখতে হবে। শুধু তাই নয়, তদন্ত পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত সকল উন্নত ব্যবস্থা ও প্রযুক্তির সাহায্য নিতে কোনই বাধা নেই। অবশ্যই অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, এই শাস্তি প্রদানের এখতিয়ার কোন আনপড় অবিবেচক মোল্লা বা স্থানীয় কোন ধর্মগুরুর নেই। কেবল মাত্র ইসলামি আদালতের বিজ্ঞ বিচারকই এই শাস্তির রায় দেবার অধিকার রাখে।



আমি আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ নই। তাই বিস্তারিত বিবরনে যাব না। তবে নিজের চিন্তা-চেতনা ও যৎসামান্য অর্জিত জ্ঞান অনুসারে দুটি উদাহরন দিলে বোধ হয় বিষয়টি কিছুটা পরিষ্কার হবে। যেমন, আজকাল প্রায়ই বাচ্চা মেয়েদের ধর্ষণের খবর পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে। বিষয়টি যে খুবই বেদনাদায়ক ও অমানবিক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ ধরনের ধর্ষকরূপী পিশাচদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। আবার তেমনি আপন গৃহে বা কর্মক্ষেত্রে একা পেয়ে যদি কোন পর্দানশিন নারীকে কেউ ধর্ষণ করে- তাহলে উভয় ঘটনার ক্ষেত্রে ধর্ষককে রজমের শাস্তিই দিতে হবে। কিন্তু যখন এটি শুধুমাত্র ধর্ষণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে না, বরং নিরপরাধ নারী বা নিষ্পাপ কচি শিশুটির কোমল দেহখানা খন্ড খন্ড করে কেটে বা গলা টিপে মেরে ফেলে, তখন পার্থিব কোন শাস্তি দিয়ে কি এর যোগ্য বিচার ও শান্তনা পাওয়া সম্ভব? শূলীতে চড়িয়ে পাথর মেরে মেরে মৃত্যুদন্ড দিলেও নিশ্চয় কম হয়ে যাবে। কিন্তু তারপরও যাদের অন্তরে এ ধরনের ব্যাধি রয়েছে তারা যেন ভয় পায় এবং নিজেদের শুধরে নিতে পারে, সেজন্য জনসম্মুখে শাস্তি তো কার্যকর করতেই হবে।



এক্ষেত্রে ধর্ষিতার কোন শাস্তি নেই। কিন্তু এমন কোন মহিলা ধর্ষিত হলো যিনি পর্দা সম্পর্কে তো সচেতন ননই, বরং খোলা-মেলা পোষাকে রাত-বেরাত একা নির্জনে পথ চলতে অভ্যস্ত। এক্ষেত্রে ধর্ষককে কি সর্বোচ্য শাস্তি দেয়া ঠিক হবে? যে কোন পরিস্থিতিতে ধর্ষককে যে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। বিজ্ঞ বিচারকই অবস্থা ভেদে উপযুক্ত শাস্তি নির্ধারন করবেন। ধর্ষিতার কোন শাস্তি নেই বটে, তবে এই ধরনের পরিস্থিতিতে পর্দা সম্পর্কে সচেতন না থাকার কারনে এবং রাত-বেরাত একা একা নির্জনে অযথা ঘোরাফেরা করার জন্য তাকে তিরস্কার ও ভবিষ্যতের জন্য সাবধান করা মোটেই অযৌক্তিক নয়। ক্ষেত্র ও পাত্রের অবস্থা ভেদে শাস্তিরও তারতম্য হতে পারে বলেই তো সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহতায়ালা ভিন্ন অপশনগুলো আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। 'ধর্ষণ' ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ বলেই তো পিশাচ রূপী ধর্ষকদের জন্য পার্থিব শাস্তিই সব নয়। পরকালেও তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন আযাব।



ইসলামে সর্ব প্রথমে মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালার উপর ইমান আনার সাথে সাথে সকল প্রকার অসৎ, অশ্লীল ও মন্দ কর্ম পরিহার ও সৎ পথে চলার শিক্ষা ও দীক্ষা দেয়া হয়। তাই ইসলামী সমাজের সাথে সম্পৃক্ত কোন ব্যক্তি যদি এরপরও এ ধরনের পাশবিক কর্মে জড়িয়ে পরে, তাহলে তাকে শাস্তি দেয়া ছাড়া অন্য কোন অপশন নেই।

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ৯:৪৮

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
অবশ্যই পড়বো।
শোকেসে।
অনেক ধন্যবাদ।


:D :D :D

১২ ই মে, ২০১১ রাত ৯:৫২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: মহান আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করেন-
ধন্যবাদ-

২| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৩২

তারেক রহমান বলেছেন: "তেমনি জোরপূর্বক নারীর সতীত্ব হরণ বা লুণ্ঠন করা হলো ধর্ষ"

এরকম থার্ড ক্লাস মার্কা সঙ্গা না দিলে ভাল হত না?

তবে আপনার মত মনমানষিকতা যদি মুসলিমদের সত্যি থাকতো তয় মুসলিম ধর্মের গুন গান আমার মত বিধার্মিকেরাও গাইত,

কিন্তু যখন আপনার মুসলিম ধর্মে দাসীদের সাথে যৌন সঙ্গমের বৈধতা দেয় তখন কি ধর্ষন হয় না?

যখন আপনার পেয়ারা নবী ৯ বছরের শিশুর সাথে সঙ্গম করে তখন ধর্ষন হয় না?

যখন ধর্ষিত নারীর সাক্ষীর অভাবে ধর্ষিত নারীকেও বেত্রাঘাত করা হয় তখন ধর্ষন হয় না?

১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৩৫

মাহফুজশান্ত বলেছেন: কেন ভাই, সঙ্গা মন মত হয়নি??

কিন্তু যখন আপনার মুসলিম ধর্মে দাসীদের সাথে যৌন সঙ্গমের বৈধতা দেয় তখন কি ধর্ষন হয় না?

একজনের আপন স্ত্রীও তো তার নিকট বৈধ- সুতরাং তার সাথে স্বাভাবিক যৌন সঙ্গম করা কি ধর্ষণ?

আমার নবী (সাঃ) কখনই এমন কাজ করেছেন বলে কোন প্রমাণ নেই। এগুলো সব মিথ্যাচারীদের অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়। যদি তাই হত, তাহলে আজীবন আয়শা (রাঃ) সাথে অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে ঘর করা এবং তাঁরই কোলে মাথা রেখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা কি সম্ভব হত?

ধর্ষিত নারীর সাক্ষীর অভাবে ধর্ষিত নারীকে বেত্রাঘাত করার কোন বিধান ইসলামে নেই।
যদি এমনটি কেউ করে থাকে তবে তাকেই উল্টো বেত্রাঘাত করা উচিত্


৩| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৪০

শেলী বলেছেন: তারেক রহমান, আয়েশা(রঃ) এর বয়স ১৬ বছরের কম ছিলনা, তার অনেক প্রমান দেয়া যায়। আর যুদ্ধের ব্যাপারটা আমি আপনাকে জেনে তারপর বলব।

আরবের মেয়েরা এমনিতে অনেক ম্যাচুউরড হয় বয়সের তুলনায়। তাই এখনো সেখানে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায়।

একটা বিষয়ে আমি নিশ্চিত, সাহাবীরা কোনো রেপ ধরনের কিছু করেনি। তখন তাদের সারভাইবাল প্রশ্ন ছিল,তখন তারা এধরনের কিছু করার কথা ভাবতেও পারতনা।

৪| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৪৬

হোরাস্‌ বলেছেন: জীবন বিধানের কুথাও ধর্ষন সম্পর্কে কিছু বলা নাই। তাইলে তো ধর্ষন জায়েজ হওয়ার কথা। ভুল কথা বলে মুমিন বান্দাদের বিভ্রান্ত করবেন না।

[মত অমানবিক কুকর্মের সমপর্যায়ভুক্ত জ্ঞান করাটাই যুক্তিসংগত।

আপনার কাছ থেকে যুক্তি ধার করে কোরানকে এখন চলতে হবে... আফসোস। কয়েকটা অমানবিক কাজের লিস্টি দেনতো, দেখি ধর্ষনের সাথে মিলানো যায় কিনা। কাজের মেয়েকে পিটানো -- অমানবিক, কাজের মেয়েকে ধর্ষনও অমানবিক? বলিহারী আপনার যুক্তির।

প্রকৃত ইসলামি সমাজ ব্যবস্থায় ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।

ইসলাম কি ম্যাজিক নাকি? যে হুজুরগুলানকে এখন ইসলাম ধর্ষন করা থেকে বিরত রাখতে পারে না তখন কোন ম্যাজিক দিয়ে তারা সবাই ধর্ষন প্রুফ হয়ে যাবে?

১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৪৫

মাহফুজশান্ত বলেছেন: কাজের মেয়েকে পিটানো -- ধর্ষণ নয়। তবে তা অবশ্যই অমানবিক এবং ইসলামে নিষেধ আছে। ইসলামে কাজের মেয়েকে-- কাজের মেয়ে বলে ডাকতেই নিষেধ করা হয়েছে-- আর পেটানো তো দূরের কথা।

কাজের মেয়েকে ধর্ষনও অমানবিক? বলিহারী আপনার যুক্তির।

কাজের মেয়েকে ধর্ষণও-- অবশ্যই ধর্ষণ এবং শাস্তি যোগ্য অপরাধ--জী, আমার যুক্তি কাজের এবং মালিকের মেয়ে--উভয়ের জন্যই সমান

৫| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৪৭

শেলী বলেছেন: নারীর সাক্ষ্যের অভাবে তারই শাস্তি হয়, এমনত নিয়ম নাই। কেউ যদি তা করে তার সমস্যা ,ইসলামের সমস্যা না।

আমি এমন কেসও দেখেছি, যখন সুযোগ পেয়ে নারীরা আরেকজনকে ফাসিয়ে দিয়েছে। আমার একজন চেনা মানুষের বউয়ের ফ্যামিলি নারী নির্যাতনের কেস করেছে শ্বাশ্বুড়ীর বিরুদ্বে যেখানে আমি জানি তারা একসাথে থাকতনা, আর শ্বাশ্বুড়ী খুব নরম মানুষ।

১৪ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:২১

মাহফুজশান্ত বলেছেন: শ্বাশ্বুড়ী যে খুব নরম মানুষ-------এক বাসায় বসবাস করত না------এর সাক্ষী তো আপনি নিজেই---সুতরাং ন্যায়ের পক্ষ অবলম্বন ও দুর্বলকে সাধ্যমত সাহায্য করতে পারেন-

৬| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১১:০৬

অনিক আহসান বলেছেন: পাকিস্তানের মুখতার মাইয়ের কথা মনে আছে? প্রমান আনতেইতো জিন্দেগী কাবার..


১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৫৩

মাহফুজশান্ত বলেছেন: পাকিস্থান কি কোন ইসলামি রাষ্ট্রের পর্যায়ে পড়ে?

যে পাকিস্থানের হানাদার বাহিনী আমাদের মা-বোনদের মান সম্মান, ইজ্জত লুটেছে-- তাদের কাছে একজন কেন-- হাজার মুখতার মাই কি জিন্দেগীভর তপস্যা করলেও সুবিচার পেতে পারে!!??

৭| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১১:০৮

অচিনপাখি বলেছেন: ধর্ষন প্রমাণ করতে তো চারজন পুরূষের সাক্ষী দরকার। কেমনে প্রমান করবেন?

১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৫৪

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধর্ষণ নয়!!--ব্যভিচার প্রমান করতে চারজন সাক্ষীর দরকার হয়-

৮| ১৬ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:১৭

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: এই লোকের মাথা গেসে। একবার বললেন ধর্ষন ব্যাভিচারের অন্তর্ভুক্ত। আরেকবার মানুষ রে বলতেসেন ধর্ষন নয় ব্যাভিচারের জন্য চার জন সাক্ষীর প্রয়োজন। আমি ঠিক বুঝতেসি না, আপনার মাথার তাল হয়রান ভাই এর মত কোয়ালিটি সম্পন্ন কিনা?
দেন দুটো তাল পেড়ে , খেয়ে টেস্ট করে দেখি কারটা ভালো।

১৬ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:৪৫

মাহফুজশান্ত বলেছেন: @মাথা গেসে
ধর্ষন ব্যাভিচারের অন্তর্ভুক্ত!!- কখন এবং কোথায় বলেছি??
তাল-টাল খেয়ে কাজ হবেনা----আপনি---অতি সত্তর পাবনা যাবার জন্য তৈরি হতে পারেন-

৯| ১৬ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:৩৬

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: এখানে যারা ধর্ষন ও ব্যভিচারের সঙ্গা বা সাক্ষি প্রমানের অযুহাত তুলে বিষয়টিকে ঘোলাটে করতে চাইছেন তাদের আসল উদ্যেশ্ব কি? তারা কি চান যে ইসলামে ধর্ষন ও ব্যাভিচারের যে কঠীন সাস্তির বিধান আছে তা সমাজে প্রতিষ্ঠিত না হোক? কেন চান? তাতে কি ভোগবাদী সমাজে অভ্যস্ত ব্যাক্তিদের ভোগ-বিলাষের পথে অন্তরায় সৃস্টির সম্ভাবনা আছে? নারীর সুরক্ষা/ক্ষমতায়ন/স্বাধীনতা নিয়ে যারা সব সময় বড় বড় কথা বলেন তারাই নারী ধর্ষন বা ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে ইসলামের কঠোর অবস্থানের সমালোচনা কেন করেন বুঝি না - তবে কি আপনাদের নারী প্রিতি সুধুই লোক দেখান? না হলে এই বিধানের ব্যাপারে অন্তত আপনাদের সতস্ফুর্তভাবে সমর্থন দেয়া উচিত ছিল। অথচ বিরোধীতা করার মাধ্যমে আপনারা কার স্বার্থ রক্ষার চেস্টা করছেন চিন্তা করে দেখেছেন?

১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:০০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: এখানে যারা ধর্ষন ও ব্যভিচারের সঙ্গা বা সাক্ষি প্রমানের অযুহাত তুলে বিষয়টিকে ঘোলাটে করতে চাইছেন তাদের আসল উদ্যেশ্ব কি?

যাদের উদ্দেশ্য যেমন, তা তো তাদের বক্তব্যেই পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে-

১০| ১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৪৯

অক্টোপাস বলেছেন: ভালো লিখেছেন, ধন্যবাদ ।

এই আলবার্ট_আইনস্টাইন গাভীবে নো-বেল দেয়া হোক !! X( X(

১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৫৪

মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ-

১১| ১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:০৪

শায়েরী বলেছেন: সত্যি বলতে আপনার লিখা পুরোটা আমি ভাল ভাবে পড়িনি
তবে কমেন্ট ও টার জবাবগুলো পরছিলাম
খুব সুন্দর ভাবে সবার জবাব দাওয়ার চেষ্টা করছেন দেখে ভাল লাগলো।
আল্লাহ আপনাকে রহমত করুক

১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:০৯

মাহফুজশান্ত বলেছেন: লেখাটা পড়ার পর জবাবগুলো পড়লে ভাল হত না কি?
মহান আল্লাহ যেন আপনাকে রহমত করেন-

১২| ১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৩৩

কেল্টুদা বলেছেন:
যারা কইতেছেন কোরানে ধর্ষন শব্দ নাই, তাগো বাসায় আইজই জোর কইরা ঢুকমু !! :P

১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৫৮

মাহফুজশান্ত বলেছেন: সাবধান কইলাম---------পাথরের ঢিল খাবার শখ হয়েছে বুঝি-

১৩| ১৬ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২৩

অরণ্যচারী বলেছেন: কিন্তু এমন কোন মহিলা ধর্ষিত হলো যিনি পর্দা সম্পর্কে তো সচেতন ননই, বরং খোলা-মেলা পোষাকে রাত-বেরাত একা নির্জনে পথ চলতে অভ্যস্ত। এক্ষেত্রে ধর্ষককে কি সর্বোচ্য শাস্তি দেয়া ঠিক হবে?

অবশ্যই ঠিক হবে না। তাকে কোলে তুলে আদর করা উচিত সকল মোমিন মুছলমানের। বেপর্দা নারীকে রেপ কইরা সে নিশ্চয়ই সোয়াবের কাম করছে।

কইষ্যা মাইনাস... ও ভুইলাই গেছিলাম এখন মাইনাস বাটনা নাই।

১৬ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:০৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনি যে একজন ইসলাম বিদ্বেষী-----তা আপনার আবল তাবল বোলেই সবাই বুঝে যাবে-

আংশিক কোড করে কথা বলা আপনাদের মজ্জাগত দোষ। কেন- পুরোটা বলতে ভয় পান বুঝি? আমি বলেছি-

কিন্তু এমন কোন মহিলা ধর্ষিত হলো যিনি পর্দা সম্পর্কে তো সচেতন ননই, বরং খোলা-মেলা পোষাকে রাত-বেরাত একা নির্জনে পথ চলতে অভ্যস্ত। এক্ষেত্রে ধর্ষককে কি সর্বোচ্য শাস্তি দেয়া ঠিক হবে? যে কোন পরিস্থিতিতে ধর্ষককে যে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। বিজ্ঞ বিচারকই অবস্থা ভেদে উপযুক্ত শাস্তি নির্ধারন করবেন। ধর্ষিতার কোন শাস্তি নেই বটে, তবে এই ধরনের পরিস্থিতিতে পর্দা সম্পর্কে সচেতন না থাকার কারনে এবং রাত-বেরাত একা একা নির্জনে অযথা ঘোরাফেরা করার জন্য তাকে তিরস্কার ও ভবিষ্যতের জন্য সাবধান করা মোটেই অযৌক্তিক নয়। ক্ষেত্র ও পাত্রের অবস্থা ভেদে শাস্তিরও তারতম্য হতে পারে বলেই তো সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহতায়ালা ভিন্ন অপশনগুলো আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। 'ধর্ষণ' ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ বলেই তো পিশাচ রূপী ধর্ষকদের জন্য পার্থিব শাস্তিই সব নয়। পরকালেও তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন আযাব।

বেপর্দা নারীকে রেপ করা সোয়াবের কাজ------এখানে কোথাও কি আমি এমন কথা বলেছি!!??
নিজেই মনগড়া ফতোয়া বানিয়ে দিলেন!!
আপনাদের মত আনপড়, সুযোগ সন্ধানী ফতোয়াবাজদের দিন শেষ হয়ে আসল বলে----আরেকটু সবুর করেন-----রেপ কইরা সোয়াব কামাই------বের হবে-
আর রেপিষ্টদের কোলে তুলে নাচা-নাচি করা যে আপনাদের কাম-----সেইটা সবাই জানে-
আপনার মাইনাসের নিকুচি করি-----

১৪| ১৬ ই মে, ২০১১ রাত ৯:৪৬

ShusthoChinta বলেছেন: এখানে ধর্ষণের শাস্তি সম্পর্কে সুস্পষ্ট একটি হাদিসের উল্লেখ করা হয়েছে,তারপরও নাস্তিকদের সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে? ইংরেজি জানলে হাদিসটা ভাল করে পড়ে দেখুন,শুধু মহিলার অভিযোগ এবং ধর্ষকের স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করেই ধর্ষককে মৃত্যুদন্ড দিলেন নবী (সাঃ),এখানে কোথায় চারজন স্বাক্ষী চাওয়া হয়েছে? নাস্তিকরা আসলে এমনই,কারণ থাক বা না থাক অতি জঘন্যভাবে ইসলামকে আক্রমণ করবে! একমাত্র আল্লাহ ছাড়া এইসব নাস্তিকগুলোকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার মত কেউ নেই!

০৮ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১২:২৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ-

১৫| ০৮ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১২:০৭

প্রমিথিউস22 বলেছেন: লেখা, আলোচনা এবং যুক্তিপূর্ণ উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।

একটা গবেষণা হয়েছিল যাতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছিল। প্রশ্নটি ছিল এমন, "ধরুন, আপনার মা, বোন, স্ত্রী বা বউকে কেউ ধর্ষণ করেছে এবং ধর্ষণকারীকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে; এবং আপনিই বিচারক। ধর্ষককে কী শাস্তি দেবেন?" উত্তরদাতারা সবাই বলেছিল, তাকে মৃত্যুদন্ড দেব। একাধিক জন বলেছিল, তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিয়ে ধীরে ধীরে হত্যার আদেশ দেব। এরপর তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, পবিত্র কোরআনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেওয়ার কথা বলা হয়েছে; এ বিষয়ে আপনার মতামত কী? আশ্চর্যজনকভাবে অনেকেই নীরব থেকেছেন; স্বত:স্ফুর্তভাবে উত্তর দেননি, কেউ কেউ এটাকে বর্বর আইনও বলেছেন।আসলে এখানেই সবচেয়ে বড় সমস্যা। বহু মানুষ অবিশ্বাস্যভাবে বহুরুপী আচরণ করেন এবং সভ্যতার বড়াই করেন। বিশেষ করে ইসলাম বা কোরআনে যত ভাল বিধানই থাকুক, তারা এর বিরোধীতা করবেনই করবেন। এটা তাদের অসুস্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদের এই মনোভাবে শান্তি-পিপাসু, বিশ্বাসীদের কিছু যায় আসে না।

ইসলাম-বিদ্বেষী বা নাস্তিকেরা ধর্ষনের শাস্তি বিষয়ে ইসলামের বিধানকে সমালোচনা করেন। ধর্ষণের শাস্তি কী হওয়া উচিত বলে আপনারা মনে করেন তা জানালে আপনাদের অবস্থান বুঝতে পারতাম।

০৮ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১২:২৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ-

১৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৪৮

chin২ বলেছেন: যুক্তিপূর্ণ উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ

০৩ রা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৫৩

মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ-

১৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৫৪

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: পড়বো

০৭ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:১৫

মাহফুজশান্ত বলেছেন: মন্তব্য আশা করছি-

১৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:২৩

ভবঘুরে যোম্বি বলেছেন: নাস্তিকদের কাজই হচ্ছে ইসলামের বিরোধিতা করা। মহান আল্লাহ যেন তাদের হেদায়েত করেন।

০৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:২১

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ঠিক বলেছেন-
পড়ার জন্য ধন্যবাদ-

১৯| ০৯ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৩৪

আমানত হোসেন বলেছেন: অসাধারন যুক্তিপূর্ণ উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।নাস্তিকরা চুপ হয়ে গেলো মনে হয়।খোড়া যুক্তি আর চলে না।একে একে সব উত্তর দেয়া হয়ে যাচ্ছে ।তারপরেও ওরা ঈমান আনবে না।কঠিন পাপ করার কারনে তওবা করতে মন চাইবে না।বরং বলা ভালো তার পাপ তাকে তওবা করতে দেবেনা।হতাশাময়, অনিস্চিত, ভোগবাদী জীবন যাপন করে অবশেষে কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে।আজীবন ক্যচাল করবে এ সম্পকে কম জানা কোন দূবল মুসলিমের সাথে।ওদের সম্পকে পবিত্র আল-কোরআন বলে :
সূরা নিসা (মদীনায় অবতীর্ণ):-
(৪:১৮) আর তওবা তাদের জন্য নয়, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে যে পর্যন্ত না তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু এসে উপস্থিত হয়- কেবল তখনই সে বলতে থাকে, "আমি অবশ্যই এখন তওবা করছি"। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।

১০ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:১৯

মাহফুজশান্ত বলেছেন: মহান আল্লাহতায়ালা যেন অবুঝদের হেদায়েত দান করেন-

২০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:১৯

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:



ধর্ষণের সঙ্গা আপনি ঠিকই বলেছেনঃ ধর্ষণকে ব্যাভিচারের সাথে সম্পৃক্ত না করে সন্ত্রাস বা বিপর্যয় সৃষ্টিকারী কারন গুলোর সাথে বিবেচনা করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।

এই ব্লগেই যুদ্ধে পাওয়া বন্দীনীদের গনিমতের মাল হিসাবে বন্টনের গল্প আপনাদের মত ইসলামিক ব্লগারদের লেখাতেই পড়েছিলাম। তাদের ধরে নিয়ে সৈনিকরা [ যারা সে সময়ে মুসলমান যোদ্ধা, তাদের বেশির ভাগেরই সাহাবী হবার কথা ] সেই সব মেয়েদের ধর্ষণ করেছে।

এমনও ঘটনা আছে হাদিসে যে মেয়ে পছন্দ হয় নাই বলে মুহাম্মদ মেয়ে বদলে নিয়েছে!

আর আমাদের দেশে তো ধর্ষিতাকেই বেত্রেঘাত খেতে হয়। সে সাক্ষ্য দেবে কোত্থেকে? তার মুখের কথা মাটিতে পড়ার আগেই সে অসতী হয়ে যায়।

১২ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:২৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: নিচের লিংকে ঘুরে আসতে পারেন-

ইসলামে যুদ্ধবন্দি ও তথাকথিত দাসপ্রথা কি একই কথা?

২১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৪৬

অগ্নি যোদ্ধা বলেছেন:
ব্যাভিচারের শাস্তি কি? ছেলে/ মেয়ে নিজের সম্মতিতে ব্যাভিচার করলে শাস্তি কি ?

সরাসরি উত্তর দিবেন। ত্যানা প্যাচানী উত্তর দিবেন না।

১২ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ত্যানা প্যাচানী আমার স্বভাবের বাহিরে। বিবেকের কাচে যা সত্য বলে মনে হয় আমি সেটাই বলি-

ব্যাভিচারের শাস্তি কি? ছেলে/ মেয়ে নিজের সম্মতিতে ব্যাভিচার করলে শাস্তি কি?

আপনার প্রশ্নের উত্তরটা এখানে পান কিনা দেখে নিন-

২২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:২২

অগ্নি যোদ্ধা বলেছেন: ধর্ষনের শাস্তি রজম মানে পাথর মেরে হত্যা।

বাহ বাহ চমৎকার। এটারে ফিতনা বা বিপর্যয় হিসেবে দেখাইছেন।

আচ্ছা বলেনতো সবচাইতে বড় অপরাধ কি ?

আমি জানি শিরক করা। এর পরে ? সুদ? নিশ্চয়ি কারন তা আপন মায়ের সাথে সহবাস করার সমান। কিন্তু সুদ খাওয়া বা শিরক করার শাস্তি কি ?

তার চাইতেও অনেক কম মাপের গুনাহ করে-- মানে ব্যাভিচারের কারনে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।

বাহ বাহ - সত্যই দারুন ব্যাখ্যা দিলেন।

১২ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:১২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ব্যভিচার নয়, ধর্ষকের শাস্তি হলো পাথর মেরে তাকে হত্যা করা-
শিরক ও সুদ-
মুসলিম হবার পর যদি কেউ এই দুই ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত থাকে তবে তাদের সাথে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেযা হয়েছে- যতক্ষণ না তারা বশ্যতা স্বীকার করে নেয়-

নারী ও নিষ্পাপ শিশুদের রক্তে জনপদ রঞ্জিত হচ্ছে- এ বিষয়ে ইসলাম কি বলে?

সুদখোরদের সামাজিকভাবে বয়কট ও জানাজা প্রসঙ্গে-

একজন মুসলিমের জন্য আল-কোরআনের ঐশী বিধানের আলোকে ফযসালা করা অবশ্য পালনীয়। আপনার কাছে একজন ধর্ষককে কম পাপী মনে হলে তাতে বিশ্বাসীদের কিছুই যায আসে না। আল্লাহর বিধান অনুসারে ফযসালা করাই মুসলিমদের প্রধান লক্ষ্য-

২৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:১৩

অগ্নি যোদ্ধা বলেছেন: @ লেখক এই যায়গাতেই পিছলাইয়া গেলেন।

আগে বলে নেই আমি একজন মুসলিম আর আমি একজন কট্টর মুসলিম পরিবারের সন্তান। আমাকে নাস্তিক ভেবে ভুল করলেন।

এবার আসি আপনার কথায়,

আমি বলতে চেয়েছি, বেশী বড় অপরাধ করবে সে বেশী শাস্তি পাবে।
শিরক করা বা সুদ খাওয়া ধর্ষনের চাইতেও ভয়াবহ অপরাধ। সুদ সম্পর্কে নিশ্চয়ই জানেন। শিরক/সুদের জন্য মৃত্যু দন্ড না হয়ে ধর্ষনের জন্য মৃত্যুদন্ড কেন ?

আরেকটা প্রশ্ন করি,

ধর্ষক কারী ও ধর্ষিতা যদি উভয়েই হিন্দু হয় তাহলে নিশ্চয়ই তারা ইসলামিক আদালতের আইনে শাস্তি পাবে না। আর হিন্দু আইনে এগুলোর শাস্তি নিশ্চয়ই মৃত্যু দন্ড নয়।

কিন্তু শুধু মুসলিম হলেই ইসলামিক আইনে একজন মুসলিম ধর্ষনকারীর শাস্তি মৃত্যু দন্ড হয়ে যাবে। ব্যাপারটা কি জুলুম হয়ে গেলো না? এই আইন দিয়ে কি মুসলিমদের উপরে জুলুম করা হচ্ছে না?

যদিও একই ভু-খন্ডে বসবাস কারী উভয়েই মানুষ একজন হিন্দু আরেকজন মুসলিম।

মৃত্যুর পরেই মানুষের তওবার দরজা বন্ধ হয়ে যায়। আর অপরাধী মুসলিমকে আইন দ্বারা হত্যা করে একপ্রকার জোর করেই তওবার দরজা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।

প্রতিটা মুসলিমের জান-মাল আল্লাহর কাছে মুল্যবান। হিন্দু হলে মৃত্যু দন্ড নেই। অথচ মুসলিমকে রজম করে মেরে ফেলা হচ্ছে।
ব্যাপারটা দ্বি-মুখী হয়ে গেলো না? অথচ আল্লাহ মোমিন মুসলিমদের কে কখনোই তার রহমত হতে নিরাশ হতে বারন করেছেন। তওবার দরজা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত খোলা রেখেছেন। পাহাড় সমান বা জমিন থেকে আসমানের সমান অপরাধ করলেও আল্লাহ সেই অপরাধীকেও নিরাশ হতে বারন করেছেন। আর অন্য দিকে ইসলামিক আইন দ্বারা আমরাই আমাদের ভাইকে হত্যা করছি। যে ধর্ষিতা হয়েছে, সে ২/৩ বছর পরেই সব ভুলে যাবে। স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে। কিন্তু ধর্ষককে চিরস্থায়ী ভাবে মেরে ফেলা হচ্ছে। বিচার কতটুকু সঠিক হচ্ছে বলবেন কি ?

এর ব্যাখ্যা জানা থাকলে জবাব দিবেন।

১২ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:২৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনি মুসলিম পরিবারে জন্ম নিলেও কিছু দন্দে যে ভুগছেন সেটা আল-কোরআনের বিপক্ষে আপনার অবস্থান থেকেই পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে-
ব্যাপারটা দ্বি-মুখী হয়ে গেলো না? অথচ আল্লাহ মোমিন মুসলিমদের কে কখনোই তার রহমত হতে নিরাশ হতে বারন করেছেন। তওবার দরজা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত খোলা রেখেছেন।
তওবার দরজা খোলা রাখলেও রাষ্ট্রের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় এসব ক্ষেত্রে বিচার ও প্রমাণ সাপেক্ষে শাস্তিই নির্ধারিত করে দেযা হয়েছে। তবে ভিকটিম যদি মাফ করে দেন এবং ধর্ষক/হত্যাকারী যদি তওবা করেন তাহলে ক্ষমা পেতে পারে-
আম আগেই বলেছি, একজন মুসলিমের জন্য আল-কোরআনের ঐশী বিধানের আলোকে ফযসালা করা অবশ্য পালনীয়। আপনার কাছে একজন ধর্ষককে কম পাপী মনে হলে তাতে বিশ্বাসীদের কিছুই যায আসে না। আল্লাহর বিধান অনুসারে ফযসালা করাই মুসলিমদের প্রধান লক্ষ্য-

১২ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৩০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধর্ষক ও ধর্ষিতা যদি উভয়েই হিন্দু হয় তাহলে নিশ্চয়ই তারা ইসলামিক আদালতের আইনে শাস্তি পাবে না। আর হিন্দু আইনে এগুলোর শাস্তি নিশ্চয়ই মৃত্যু দন্ড নয়।
ইসলামিক আদালতের আইনে ধর্ষিতা কোন শাস্তি পাবে না।
ধর্ষক হিন্দু হলেও যদি কোন ইসলামি রাষ্ট্রের অধীনে বসবাস করে তবে তার বিচারও ইসলামি আইন মতে হবে-

২৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৪

অগ্নি যোদ্ধা বলেছেন: @ লেখক সাহেব,

জানতাম, পিছলায় যাবেন। অনেকেই পিছলায় গেছে। সঠিক জবাব পাই নাই কারো কাছেই।

ইসলামিক আদালতের আইনে ধর্ষিতা কোন শাস্তি পাবে না।
ধর্ষক হিন্দু হলেও যদি কোন ইসলামি রাষ্ট্রের অধীনে বসবাস করে তবে তার বিচারও ইসলামি আইন মতে হবে-


আপনার জবাব দেয়া এই অংশের রিপ্লাইয়ে বলছি। ইসলামের ইতিহাস আরেকটু ভালো ভাবে ঘাটাঘাটি করবেন।

আপনেরে জ্ঞানী ভাবছিলাম। কিছু আপনিও সেই গতানুগতিক ভাবধারার।

ধন্যবাদ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৪৪

মাহফুজশান্ত বলেছেন: হাই মি.অগ্নি যোদ্ধা- সব সময় যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে অন্যকে কটাক্ষ্য করলেই জ্ঞানী হওয়া যায় না। তাহলে কিন্তু নিজের আগুনে নিজেই জ্বলে-পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে যেতে পারেন- সুতরাং 'বি- কুল'
জানতাম, পিছলায় যাবেন। অনেকেই পিছলায় গেছে। সঠিক জবাব পাই নাই কারো কাছেই।
এখানে পিছলা পিছলির কি দেখলেন!!??

ইসলামিক আদালতের আইনে ধর্ষিতা কোন শাস্তি পাবে না। ধর্ষক হিন্দু হলেও যদি কোন ইসলামি রাষ্ট্রের অধীনে বসবাস করে তবে তার বিচারও ইসলামি আইন মতে হবে-
কেন, আমার কথায় মিথ্যা কি পেলেন!!?? আপনার জ্ঞান অনুসারে তাহলে সত্যটা জানাবেন কি?? প্লিজ
ইসলামের ইতিহাস আরেকটু ভালো ভাবে ঘাটাঘাটি করবেন।
ইসলামের ইতিহাস বহুত ঘাটাঘাটি করেছি। সেখানে মিথ্যাচার ছাড়া বেশি কিছু পাই নাই। যতটুকু সত্য পেয়েছি, সেটাও বিবেকের কষ্টিপাথরে যাচাই করে নিতে হয়েছে। তাই ইসলামের ইতিহাস নয়, আমি ইসলামের মৌল উৎস আল-কোরআন অনুসরণে বিশ্বাসী এবং সেই অনুসারেই কথা বলি। মনে রাখবেন- মূল জিনিস ছেড়ে একবার এটা আর আরেকবার ওটা নিযে ঘাটাঘাটি করলে সত্যের সন্ধান পাওয়া যাবে না। আপনার মত তথাকথিত প্রগতিশীলবাদীদের ভিড়ে হারিয়ে যেতে হবে।
আপনেরে জ্ঞানী ভাবছিলাম। কিছু আপনিও সেই গতানুগতিক ভাবধারার।
আপনি আমাকে জ্ঞানী না মূর্খ ভাবলেন- তা নিয়ে আমার একদমই মাথা ব্যথা নেই। নিজেই নিজেকে মাহা-জ্ঞানী ভেবে জ্ঞানপাপীর দলে যোগ দেবার ইচ্ছা আমার একদমই নেই। সুতরাং অন্যের জ্ঞানের পরিমাপ করার সাহস না দেখিয়ে বরং নিজেরটাই যাচাই করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

২৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৪

ঠোঁট কাটা বন্ধু বলেছেন: রোগীর রোগ নির্ণয়ের আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার না করে স্পন্দন গুণে রোগীর সেবা করার শাস্তি কি? এই কারণে রোগীর মৃত্যু হলে করণীয় কি? ইসলামের আলোকে আলোচনা করবেন।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৫৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: যতই আধুনিক পদ্ধতি আসুক, স্পন্দন গুণে রোগীর সেবা দেয়ার বিকল্প আছে কি?
স্পন্দনই যদি না থাকে, তাহলে যতই আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন না কেন- কোন লাভ হবে না-
তাই আগে হৃদ-স্পন্দন ঠিকমত চলছে কিনা তা স্রষ্টা প্রদত্ত আঙ্গুলের ছোঁয়ায় এবং শুনে ও গুণে ঠিকমত পরখ করে নেয়া চাই- তারপর অন্য যত আধৃনিক পদ্ধতি আছে, তার সাহায্য নেয়ার প্রশ্ন আসে-
রোগীকে সুস্থ করার ক্ষেত্রে ইসলামের আলোকে এ সবই জায়েজ

২৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:০২

ভিন্ন দৃষ্টি বলেছেন: পুরো লেখাটা পড়তে পারিনি। তবে যেটুকু পড়েছি তাতে বুঝতে পেরেছি আপনি অনেক কিছু স্টাডি করেই লিখেছেন।

কমেন্টগুলোতে দেখলাম কিছু স্ব-ঘোষিত নাস্তিক না বুঝেই ফালতু বকবক করেছে। শুধুই তর্কের খাতিরে তর্ক। বলাই বাহুল্য এরা কেউ ইসলামকে না জেনেই কথা বলে এবং কখনও খুব বেশী জনতেও চায়না।

মজার ব্যপার হল এই শ্রেনীটি ইসলাম পছন্দ না করলেও জাতে এরা কেউ খারাপ না।

এই ধর্ষন ও শাস্তি সক্রান্ত লেখাটি ধর্ষক শ্রেনীর কেউ পড়বে বলে আপনার মনে হয়? তারা কি ব্লগিং করে? আমার মনে হয় না। তাহলে আপনি এই যে এতো কিছু লিখলেন আর সেটা পড়ে অনেকেই (আমিও!) গলা ফাটিয়ে মগজ চিপরে বকবক করে চল্ল তাতে কি লাভ হল?

১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:২২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধর্ষক শ্রেনীর কেউ পড়বে কি পড়বে না- সেই চিন্তা করে তো আমি লিখি নাই
যে শ্রেণীর পাঠকই পড়ুক না কেন, ধর্ষণের শাস্তিটা কিরূপ হওয়া চাই- তা সেয়ার করতে চেয়েছি
আপনার মত সব ব্যপারে লাভ-লোকসান খুঁজলে তো ভাই লিখতাম না- তাইনা?
কিন্তু আপনি এত্ত এত্ত মাইন্ড করলেন কেন!!?? ;)

২৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:১৬

গরম কফি বলেছেন:
:|| :|| :|| /:)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:২৩

মাহফুজশান্ত বলেছেন: :) :D =p~

২৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৩০

ভিন্ন দৃষ্টি বলেছেন: শান্ত ভাই, আমি মোটেই মাইন্ড করিনি।

শুধু ভাবছিলাম এই কথাগুলো কি করে ধর্ষক পশুগুলোকে জানানো যায়...

১৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:০৯

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনার সুন্দর ভাবনার জন্য ধন্যবাদ-
সুতরাং বুঝতেই পারছেন, আপনার মত ভাববার মানুষদের জন্যই লিখেছি-
আপনি যে অন্তত ভাবছেন- এটাও তো একটা প্রাপ্তি, তাইনা?
এভাবে অনেকেই যখন ভাবতে শুরু করবেন, তখনই তো ফল মিলবে-

২৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৪

আমি ভালোমানুষ বলেছেন: কই ভাই অগ্নি যোদ্ধা ? তুমিই তো পিছলাইয়া গেলা.। উত্তর দাও।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:১০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভাই অগ্নি যোদ্ধা- হয়ত অন্য কোথাও আগুন নিয়ে খেলা করছেন-

৩০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪৯

মেহেদী_হাসান বলেছেন: যে সব পুলাপান বা নাস্তিকরা ( আইনস্টাইন ? তাদের একজন) উল্টা পাল্টা কমেন্ট করতেছে, তারা মনে হয় না ইংরেজি বুঝে। তাই ইংরেজি হাদিস টাকে বাংলায় অনুবাদ করে দিলে গাধা নাস্তিকদের বুঝতে সুবিধা হইবেক। এইসব হাস্যকর লোকজন যারা ইংরেজিই বুঝে না অথচ নিকের নাম নেয় আইনস্টাইন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:৩০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ওরা বুঝেও না বোঝার ভান করে- ইংরেজি থেকে বাংলা বা আরবী থেকে বাংলা কিংবা যাই করেন না কেন- ওদের কাছে সবই সমান।

৩১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৩০

সংবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ নাস্তিক গুলা পিচলাইয়া গেছে

২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ-

৩২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৬

ছোট্ট রাজকণ্যা বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।

৩৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০২

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: শূলীতে চড়ানো মানে কি?? এটার মাধ্যমে মৃত্যু হয় না মানুষের?

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

মাহফুজশান্ত বলেছেন: শূলীতে চড়ানো মানে আপনি নিশ্চয় বোঝেন। তারপরও যেহেতু প্রশ্ন করেছেন তাই আমি যা বুঝি তা বলছি-
শূলদন্ড/শূলীতে চড়ানো (অর্থ) - Death sentence on a stake or spear.



সুতরাং এই শাস্তিতেও মৃত্যু অনিবার্য।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে (০৫:৩৩) নং আয়াতে আলাদাভাবে তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে বলা হলো কেন?
এ থেকে বোঝা যায় যে, সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহতায়ালা মৃত্যুদন্ড দানের ক্ষেত্রেও অপশন রেখেছেন। অর্থাৎ ধর্ষকের পাশবিকতা অনুসারে তাকে হত্যার পদ্ধতির ক্ষেত্রেও বিচারকের রায়ের তারতম্য হতে পারে। সেক্ষেত্রে কোন কোন ধর্ষককে যেমন জনসম্মুখে বুক/গলা পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে পাথর মেরে বা শিরোচ্ছেদ করে বা গুলি করে (ইত্যাদি) হত্যার করা যেতে পারে। তেমনি আবার কোন কোন ধর্ষককে চোখা বল্লমের উপর বসিয়েও হত্যা করার অপশন রাখা হয়েছে। ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন অপনগুলো কেন রাখা হয়েছে তা সর্বজ্ঞ স্রষ্টা যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন তিনিই ভাল জানেন।

ধন্যবাদ-

৩৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

চারশবিশ বলেছেন: যাহারা এই পোষ্টের বিরোধিতা করেছেন তাহারা কি চাননা একজন ধর্ষকের কঠিন এবং দৃষ্টান্তমুলক সাস্তি হোক

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: এই পোষ্ট সম্পর্কে সরাসরি মন্তব্য দিতে কি দ্বিধা বা লজ্জাবোধ করিতেছেন!?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.