![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ জায়গাটা আমার বেশি প্রিয়- www.mahfuzmanik.com
কথায় বলে, বাঙালি দাঁত থাকতে দাঁতের মূল্য বোঝে না। দাঁত যে অমূল্য বস্তু। প্রাকৃতিক নিয়মেই প্রত্যেক মানুষের দাঁত ওঠে। ফলে অনেকে দাঁতের যাচ্ছেতাই ব্যবহার করেন। এ দাঁতের মূল্য তখন বোঝা না গেলেও যখন এটি নষ্ট হয় বা হারিয়ে যায় তখনই বোঝা যায়, এটি কত মূল্যবান। পরে প্রকৃত দাঁত তো পাওয়াই যায় না, উপরন্তু ৪-৫ হাজার টাকা খরচ করে একেকটি কৃত্রিম দাঁত লাগিয়েও অনেকে শান্তি পান না।
আসলে প্রচলিত প্রবাদটি প্রতীকী। দাঁত তো বটেই, অনেক ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য। সচরাচর বিরাজমান কোনো কিছুর গুরুত্ব আমরা তেমন বুঝি না। কিছুক্ষণের জন্যও না থাকলে বোঝা যায়, সেটা কত গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ হিসেবে পানির কথা বলা যায়। শহরে যারা বাস করেন, তাদের জন্য বিষয়টা বোঝা সহজ। কারণ তারা ভুক্তভোগী। দেখা যায়, কারণে অকারণে আমরা অনেক পানি অপচয় করি। কিন্তু ১ ঘণ্টার জন্য পানি না থাকলেই শুরু হয় হাপিত্যেশ। গোসলের জন্য আমরা পাঁচ-ছয় বালতি পানি খরচ করি। অথচ সেই পানি না থাকার সময় সঞ্চিত এক বালতি দিয়েই অনেককে গোসলের কাজ সারতে হয়।
বিদ্যুত্ চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত নানাভাবে আমরা এর অপচয় করি। কিন্তু চলে যাওয়ার পরই গ্রামের হারিকেন, কুপি তো বটেই; চার্জ লাইট, আইপিএস ইত্যাদি দিয়েও যখন সে আলোকিত হয় না, তখনই টের পাওয়া যায় বিদ্যুত্ কী জিনিস। শহরে গ্যাসের অপচয়ের কথা বলাই বাহুল্য। নানাভাবে সতর্ক করার পরও রাতের পর রাত অনেকে চুলা জ্বালিয়ে রাখেন। যাদের গ্যাস নেই কিংবা সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করেন, তারা তো বোঝেনই; গ্যাস থাকা অবস্থায়ও মাঝে মধ্যে যখন চাপ কম কিংবা থাকে না, তখন সবাই অনুভব করেন গ্যাসের প্রয়োজনীয়তা। ঢাকার অনেক এলাকায় দেখা যায়, ফজরের আগেই কষ্ট করে উঠে গৃহিণীরা রান্নার কাজ সারেন। কেননা ৭টা-৮টার পর আর গ্যাস থাকে না।
সব ক্ষেত্রেই এটা দেখা যায়। সেলফোনের কথাই ধরা যাক, এতে যখন টাকা থাকে, অনেকে হেলায়-ফেলায় খরচ করেন। প্রয়োজনীয় এমনকি অপ্রয়োজনীয় কলও দেন। অথচ যখন টাকা থাকে না, তখন আফসোসের সীমা থাকে না। অনেক সময় যখন ‘কল’ দেয়ার টাকাও থাকে না, তখন বোঝা যায় কতটা অসহায় আমরা। আবার চাকরিজীবীরা মাসের প্রথম যখন বেতন পান, অনেকে ক’দিন ধুমধাম করে চলেন। পরে মনে হয়, ‘আগ থেকেই যদি সতর্ক হতাম।’ অসুস্থতার সময় অনুভব করা যায়, সুস্থতা কত সুখের।
অনেক সময় দেখা যায়, কাছে থাকলে কাউকে আমরা গুরুত্ব দিই না; অথচ দূরে চলে গেলে আফসোস হয়, তাকে যথাযথ সম্মান আমরা দিইনি। অনেক সময় ইগোর কারণে একজন আরেকজনকে পাত্তা দেন না। কারো অনুরোধ রক্ষা করেন না। নানাভাবে একজন আরেকজনকে অবজ্ঞা করেন। অনেক সময় একজন আরেকজনের ক্ষতিও করেন। মানুষের মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। আরেকজনকে তার জায়গা থেকে জোর করে সরিয়ে দিতে চান। অথচ মরে গেলে প্রাণের শত্রুও বলেন, ‘আহা, মানুষটা বড় ভালো ছিল।’
এই তো জগত্। যতটা সম্ভব আমাদের উচিত সময়কে কাজে লাগানো। কাছে থাকা বস্তুর যথাযথ ব্যবহার করা, কোনো কিছু অপচয় না করে। সব কাজে সতর্ক ও সাবধান হওয়া উচিত। লালনের কথা বড়ই সুন্দর— সময় গেলে সাধন হবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮
রাজহংসী বলেছেন: মদীনার ইহুদীদের প্রতি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহানুভবতা জানুন