নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চির উন্নত মম শির

বিদ্রোহী বীর

বিদ্রোহী বীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাংক ও জালনোট

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৩

জালনোট... আমাদের বর্তমান সমাজে একটা আতঙ্কের নাম। একজন সাধারন মানুষের মাসিক আয় আট হাজার থেকে দশ হাজার টাকা, শ্রমিক পর্যায়ের একটা মানুষের আয় আরো কম। সেই ক্ষেত্রে যদি তার বেতন নেয়ার সময় অথবা অন্য কোন ভাবে তার হাতে এক হাজার টাকার একটা জাল নোট ঢুকে যায় তাহলে তার পুরা মাসের বাজেট টাই এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। আগে ভাবতাম ব্যাংক থেকে টাকা উঠালে মোটামুটি নিশ্চিত থাকা যায় কিন্তু বর্তমানে মাঝে মাঝে ব্যাংক এর থেকে নেয়া টাকায়ও নাকি জাল পাওয়া যায়। বছর খানেক আগে একবার আমি প্রাইম ব্যাংক এর একটি শাখা থেকে ষাট হাজার টাকা উঠিয়ে ছিলাম, যার মধ্যে একটা পঞ্চাশ হাজার টাকার বান্ডিল ছিল আর দশ হাজার খোলা টাকা। সেই পঞ্চাশ হাজার টাকার বান্ডিলটা আমি সিটি ব্যাংকের একটা শাখায় জমা দিয়ে চলে আসার প্রায় আধা ঘন্টা এক ঘন্টা পর ব্যাংকের এক অফিসার আমার মোবাইলে কল দিয়ে বলেন- আপনার বান্ডিলে একটা নোট খারাপ আছে একটু ব্যাংকে আসেন। কিন্তু তখন আর আমি ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি। বান্ডিলের মধ্যে থাকা টাকাটা জাল ছিল বলে আমার মনে হয়না, তাছাডা ওই ব্যাংক কর্মকর্তা নিজেই টাকাটা বুঝে নিয়ে ছিলেন। এত কিছু বলার অর্থ হচ্ছে- এই ঘটনায় যে কোন এক ব্যাংক কর্মকর্তা অসাধু ছিলেন সেটা মোটামুটি নিশ্চিত। তাহলে আমরা কোথায় নিরাপদ? টিভি এবং ব্যাংক বিভিন্ন মাধ্যমে 'আসল নোট চেনার উপায়' প্রচার করে আসছেন। আমার কথা যদি ব্যাংক গুলি সচেতন না হয় তবে ব্যাংক থেকে কেউ পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রতিটা এই রকম হাজার উপায়ে চেক করে উঠাতে গেলে তার সারাদিন এর ডিউটি লেগে যাবে। তাই আমার মনে হয় সরকারের উচিত জাল নোট তৈরী কারীদের শাস্তি আরো কঠিন সহ ব্যাংকগুলি কে আরো দায়িত্বশীল ভুমিকা পালনের ব্যবস্থা গ্রহন করা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.