![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটবেলা থেকে কেন যেন খুব সহজে কষ্ট পেতাম। আবার সেটা খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যেতাম। তখন আসলে বুঝতাম না যে, আসলে কষ্ট পাওয়া কি জিনিস। ইভেন, আমি যখন কলেজেও ছিলাম। সেই একই স্বভাব রয়ে গিয়েছিল। যার উপর রাগ হত, সরাসরি ঝগড়া করে শেষ করে দিতাম । দুই দিন পর, আবার ভুলে গিয়ে গলায় গলায় হাত দিয়ে হাটতাম।
আমার মনে আছে একটা ঘটনা! সম্ভবত আমি তখন ক্লাস ১০ এ পড়তাম। তখন আমাদের শিক্ষাসফরে যাওয়ার কথা হচ্ছিল। আমার এক ফ্রেন্ডের সাথে শিক্ষাসফরের প্লেস নিয়ে তর্কাতর্কি থেকে ঝগড়া! এরপর হাতাহাতি। এটা দেখে স্যাররা সব চলে আসল। এরপর হাত মিলিয়ে দিল আমাদের দুইজনের সাথে। ৫ মিনিট পরেই আমরা একজন আরেকজনের গলায় হাত দিয়ে স্কুল ক্যাম্পাসে ঘুরছিলাম। এটা দেখে এক ছোট ভাই জিজ্ঞাসা করতেছিল,"ভাইয়া! আপনারা না একটু আগে মারামারি করলেন?" হ্যা, আমার ব্যাপারগুলো আবার এরকমই। আবার, এরকমও আছে যে, একবার মনোমালিন্য হয়েছে! এরপর আর তার সাথে কথা বলিনি। যেমন ক্লাস সিক্সে থাকতে একটা ছেলের সাথে এরকম কথায় কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর এখনো তার সাথে কথা বলি নি।
হ্যা! সবাই মনে করতে পারে, আমি বাচ্চা বা আমার স্বভাব বাচ্চাদের মত। ঠিক আছে! কারন আমি এমনটাই চাই। সারাজীবন বাচ্চা মনোভাব নিয়েই থাকব। রাগ করব, আবার ২ মিনিট রাগ ভেঙে হাসব! আবার বেশি রাগ হলে কথাই বলব না!
কিন্তু সমস্যা এই জায়গায় না! সমস্যা হল, সবাই সারাজীবনের জন্য বাচ্চাময় মনোভাব নিয়ে থাকতে পারে না। কারন, জীবনের কিছু ঘটনা প্রবাহ তাঁকে পরিবর্তন হতে বাধ্য করে। হাসি-কান্না থেকে অভিমানের খোলসের মধ্যে ঢুকে যেতে হয় তাঁকে। ব্যাপার না! একবার ঢুকে গেলে আর তার চিন্তা নেই! মানুষের ইমোশন থেকে অনেক দূরে থাকা যায়। কারন তখন নিজের ইমোশনের কোন ভ্যালু থাকে না!
চিন্তার বিষয় হচ্ছে, আমরা কেউ ভালো নেই। কোন মানুষের ভালো থাকার স্কেলে একটু বেশি রিডিং দেয়। কারোর ক্ষেত্রে সেটা কম। তাও মানুষ চলতে থাকে। এবং ঐ স্কেলের অনুপাতে তারা নিজেদের বদলে ফেলে। আর সেটা বদলাতে খুব বেশি সময় লাগে না। কারন এটা 'নেচারাল ওয়ে অফ লাইফ'। যা আমরা কখনো খন্ডাতে পারব না। এটা হয়ে এসেছে, এবং হতে থাকবেই!!!!
©somewhere in net ltd.