নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কারও কাছে আমি ভাল, কারও কাছে খারাপ, কারও কাছে আমি বন্ধু কারও কাছে শত্রু; পরম নয় কোন কিছুই, সব কিছুই আপেক্ষিক

আপেক্ষিক

গতিই জীবন, স্থিতিই মৃত্যু

আপেক্ষিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনলিপিঃ ফ্রিজ নামের ছেলেটি ও আমরা

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬


আমাদের পাড়ায় ফিরোজ নামে এক ছেলে ছিল। এত চুপচাপ ছেলে আমি আর কখনই দেখি নাই। ইচ্ছামত মারতাম ওকে। কিছুই বলত না ও। কাঁদত ও না। এরপর হঠাত ভ্যা ভ্যা করে কাদা শুরু করত।মেরে অনেক মজা পাইতাম।কান্না শুরুর পরপরই আমরা উধাও! আমরা বলতে আমাদের ৪ জনের একটা টিম ছিল পাড়ায় এর কথা বলছি। তুহিন ভাই বড়,তারপর আমি,তারপর সৈকত ও তুষার। তুহিন ভাই আর তুষার দুই ভাই। সৈকত আমাদের বাসায় ভাড়া ছিল। তো ওই ছেলেরে আমরা মারতাম সাথে নাম ডাকতাম ফ্রিজ।
"এই ফ্রিজ!!ফ্রিজ!!"
খুবই বিরক্ত হত ছেলেটা।আমরা খুব মজা পেতাম।
ওকে বিরক্ত করার আরো উপায় বের করলাম।
এক বাসার আম গাছে ওকে তুলে দিয়ে আম পাড়াতাম।যেই সেই বাসার মানুষ চেঁচামেচি শুরু করত তখনি আমরা পালায়ে আসতাম ওকে রেখে।এজন্য মার খাইত ছেলেটা।অনেক মজা পাইতাম আমরা। মাঝে মাঝে প্যান্ট খুলে দিতাম সবার সামনে। ও কান্না করত আমরা হাততালি দিতাম।
তখন আমাদের পাড়ায় নতুন একটা বিল্ডিং হচ্ছিল। বর্তমান এ এর নাম "হাকিম ম্যানশন"। বাড়িটার তিন তলা পযন্ত নানুর তদারকি তে হয়।বিল্ডিং উঠানো অনেক ঝামেলার ব্যাপার।আমার নানুর এ সম্পরকে ভালো আইডিয়া আছে। নানুর সব কিছুতেই ভালো অভিজ্ঞতা আছে।আমার দেখা এক অনন্য নারী তিনি।
তো ফ্রিজ এর সাথে এই হাকিম ম্যানশন এর একটা কাহিনী আছে।বিল্ডিং টার দুই তলা হয়ে গেছে।ছাদের সোজাসুজি উত্তর দিকেই রাস্তার মোটা মোটা কারেন্টের লাইন।তো এই ফ্রিজ তার এক বন্ধুর সাথে ২০টাকার বাজি ধরে যে সে ওই কারেন্টের তার ধরবে কিন্তু তার কিছুই হবে না।গ্রামের বাড়িতে নাকি সে এরকম অনেক বার ধরেছে। ছেলেটা অনেক গরীব থাকায় ২০টাকা তার কাছে অনেক বড় ব্যাপার ছিল।২০টাকায় এরোপ্লেন নামের টেনিস বল পাওয়া যেত।তো বাজি অনুযায়ী ফ্রিজ কারেন্টের তারে হাত দেয়।ফলাফল যা হওয়ার তাই হল। প্রচন্ড শক খেয়ে ছিটকে পড়ল ফ্রিজ।সোজা নিচের রাস্তায়।অচেতন হয়ে রইল।মানুষ জন ধরাধরি করে সাগরদি মেডিকেল এ নিয়ে গেল।পরে শুনলাম যে ওর নাকি পা কেটে ফেলতে হয়েছে।দুই পা সাথে যেই হাত দিয়ে তার ধরেছিল সেই হাত।ব্যাপারটা শুনে আমরা আনন্দ পেয়েছিলাম কিনা মনে নেই। তবে পরে যখন সাইকেল এর মত প্যাডেল দেওয়া হুইল চেয়ারে যখন ওকে দেখতাম তখন কখনই আমরা ওকে জ্বালাতন করতাম না।কখনও ফ্রিজ ফ্রিজ বলে ডাকাও হয় নি আর।

আমাদের পাড়ায় ফিরোজ নামে এক ছেলে ছিল। এত চুপচাপ ছেলে আমি আর কখনই দেখি নাই। ইচ্ছামত মারতাম ওকে। কিছুই বলত না ও। কাঁদত ও না। এরপর হঠাত ভ্যা ভ্যা করে কাদা শুরু করত।মেরে অনেক মজা পাইতাম।কান্না শুরুর পরপরই আমরা উধাও! আমরা বলতে আমাদের ৪ জনের একটা টিম ছিল পাড়ায় এর কথা বলছি। তুহিন ভাই বড়,তারপর আমি,তারপর সৈকত ও তুষার। তুহিন ভাই আর তুষার দুই ভাই। সৈকত আমাদের বাসায় ভাড়া ছিল। তো ওই ছেলেরে আমরা মারতাম সাথে নাম ডাকতাম ফ্রিজ।
"এই ফ্রিজ!!ফ্রিজ!!"
খুবই বিরক্ত হত ছেলেটা।আমরা খুব মজা পেতাম।
ওকে বিরক্ত করার আরো উপায় বের করলাম।
এক বাসার আম গাছে ওকে তুলে দিয়ে আম পাড়াতাম।যেই সেই বাসার মানুষ চেঁচামেচি শুরু করত তখনি আমরা পালায়ে আসতাম ওকে রেখে।এজন্য মার খাইত ছেলেটা।অনেক মজা পাইতাম আমরা। মাঝে মাঝে প্যান্ট খুলে দিতাম সবার সামনে। ও কান্না করত আমরা হাততালি দিতাম।
তখন আমাদের পাড়ায় নতুন একটা বিল্ডিং হচ্ছিল। বর্তমান এ এর নাম "হাকিম ম্যানশন"। বাড়িটার তিন তলা পযন্ত নানুর তদারকি তে হয়।বিল্ডিং উঠানো অনেক ঝামেলার ব্যাপার।আমার নানুর এ সম্পরকে ভালো আইডিয়া আছে। নানুর সব কিছুতেই ভালো অভিজ্ঞতা আছে।আমার দেখা এক অনন্য নারী তিনি।
তো ফ্রিজ এর সাথে এই হাকিম ম্যানশন এর একটা কাহিনী আছে।বিল্ডিং টার দুই তলা হয়ে গেছে।ছাদের সোজাসুজি উত্তর দিকেই রাস্তার মোটা মোটা কারেন্টের লাইন।তো এই ফ্রিজ তার এক বন্ধুর সাথে ২০টাকার বাজি ধরে যে সে ওই কারেন্টের তার ধরবে কিন্তু তার কিছুই হবে না।গ্রামের বাড়িতে নাকি সে এরকম অনেক বার ধরেছে। ছেলেটা অনেক গরীব থাকায় ২০টাকা তার কাছে অনেক বড় ব্যাপার ছিল।২০টাকায় এরোপ্লেন নামের টেনিস বল পাওয়া যেত।তো বাজি অনুযায়ী ফ্রিজ কারেন্টের তারে হাত দেয়।ফলাফল যা হওয়ার তাই হল। প্রচন্ড শক খেয়ে ছিটকে পড়ল ফ্রিজ।সোজা নিচের রাস্তায়।অচেতন হয়ে রইল।মানুষ জন ধরাধরি করে সাগরদি মেডিকেল এ নিয়ে গেল।পরে শুনলাম যে ওর নাকি পা কেটে ফেলতে হয়েছে।দুই পা সাথে যেই হাত দিয়ে তার ধরেছিল সেই হাত।ব্যাপারটা শুনে আমরা আনন্দ পেয়েছিলাম কিনা মনে নেই। তবে পরে যখন সাইকেল এর মত প্যাডেল দেওয়া হুইল চেয়ারে যখন ওকে দেখতাম তখন কখনই আমরা ওকে জ্বালাতন করতাম না।কখনও ফ্রিজ ফ্রিজ বলে ডাকাও হয় নি আর।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

আহলান বলেছেন: সাইকো

২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

আপেক্ষিক বলেছেন: :|

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

টুম্পা মনি বলেছেন: :( :( :(

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

আপেক্ষিক বলেছেন: :(

৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

আদরসারািদন বলেছেন: :(

৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

শুঁটকি মাছ বলেছেন: সরলসহজ মানুষগুলোকে বোকা বানিয়ে আমরা সবাই কেমন একটা বিকৃত আনন্দ লাভ করি।

৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

আপেক্ষিক বলেছেন: হুম

৭| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: শুঁটকি মাছ বলেছেন: সরলসহজ মানুষগুলোকে বোকা বানিয়ে আমরা সবাই কেমন একটা বিকৃত আনন্দ লাভ করি।

৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

তানি জী... বলেছেন: শুঁটকি মাছ বলেছেন: সরলসহজ মানুষগুলোকে বোকা বানিয়ে আমরা সবাই কেমন একটা বিকৃত আনন্দ লাভ করি।

৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১২

আপেক্ষিক বলেছেন: বাচ্চা কালে এই ঘটনার পর আর কখনই ওই কাজ আর করি নাই। জ্বালাই নাই কাউরে। ভদ্র হয়ে গেসি কেমন জানি :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.