![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতিই জীবন, স্থিতিই মৃত্যু
আমার এক মামা সৌদিআরব থাকতেন ৯৭ অথাবা ৯৮,তখনকার সময়ের ঘটনা এইটা।বিদেশ থেকে আসলেন ১ম বার। আমাদের সবার জন্য এক ব্যাগ ভর্তি মালপত্র নিয়ে আসলেন। তার এক ভাই থাকতেন বরিশাল শহরেই তার সাথে দেখা করতে গেলেন ব্যাগপত্র রেখে।
সন্ধ্যার সময়।
মামা নাই,এই সুযোগে আমি,আমার দুই ছোট খালা ব্যাগ নিয়া নাড়াচাড়া করছিলাম কি এনেছে তা দেখার জন্য। কিন্তু মামাও চালাকি করে ব্যাগ তালা মেরে গেছেন যাতে সে আসার আগে আমরা ব্যাগ খুলতে না পারি। অনেকক্ষণ পর্যন্ত ব্যাগের উপর চরম অত্যাচার চালিয়ে শেষে প্রচন্ড বিরক্ত নিয়ে চেষ্টায় ভঙ্গ দিলাম।
ব্যাগটা ছিল ড্রইং রুমে।আর আমরা সন্ধ্যায় নাস্তা করতে গেলাম পাশের ডাইনিং রুমে।ড্রইং আর ডাইনিং রুমের মাঝে কোন দরজা নেই।দুই রুম মিলে বিশাল একটা রুম।
চা নাস্তা খেতে খেতে আমরা গল্প করছিলাম এমন সময় কারেন্ট চলে গেল।
ওইসময় আই পি এস বা জজেনারেটর কিছুই ছিল না বাসায়।হেরিকেন জ্বালিয়ে রাখা হত কারেন্ট গেলে।২ ৩ টা হেরিকেন জ্বালানো হত সারা বাসায়।
আমাদের বাসায় কাজ করত লাভলি নামে একটা মেয়ে। লাভলির দায়িত্ব ছিল কারেন্ট গেলে সবার আগে হেরিকেন জ্বালিয়ে সব রুমে রেখে আসা।
ওইদিন কারেন্ট যাওয়ার পর লাভলি হেরিকেন জ্বালিয়ে সেই মালপত্র ভরা ব্যাগের পাশে রাখল ও নিজে বসে বসে কি যেন লেখালেকরছিল। যেহেতু রুমের মাঝে কোন দরজা নাই তাই একটা হেরিকেনে দুই রুমই কভার দিচ্ছিল।
নাস্তা শেষে আমরা যে যার কাজে যাই। পুরো দুই রুমে তাই শুধু লাভলি আর ওই হেরিকেন।
আমি অন্য রুমে খুব সম্ভব হোমওয়ার্ক করছিলাম স্কুলের।
এমন সময় লাভলি চিৎকার দিয়ে ওঠে,
"খালাম্মা!!!!!!!!! ভুউউউউউউউউউউউউউত............!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!"
আমরা দৌড়ে গেলাম ড্রইং রুমে। দেখি হেরিকেন ও ব্যাগ একপাশে আর লাভলি অন্যপাশের দেওয়ালে খুব শক্ত করে সেটিয়ে আছে।চোখ দুইটা বড় বড় হয়ে আছে।হাত পা কাঁপছে।
হাত উঠিয়ে আমাদের কে ওই হেরিকেনের দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে।
"কেউ যাইয়েন না...... কেউ যাইয়েন না........ ওইহানে ভুউউউউত আছে!!!!!"
ভয়ার্ত ভাবে বেশ জোরে চিৎকার করে উঠলো সে।
তখনি ঘটলো ঘটনাটা।আমরা উপস্থিত সবাইই শুনতে পেলাম শব্দটা। যেন লাভলির কথাই কে একজন বলে উঠল,
"কেঁউ যাঁইয়েন নাঁ কেউঁ যাঁইয়েন না....... ওঁইহানে ভুঁউঁউঁউউউউউআঁছে!!!!"
আমি আর আমার সবচেয়ে ছোট খালা ভয় পেলাম। খালা তো কেঁদে দিলো "আম্মা...." বলে।
কি অদ্ভুত তখনি কেউ একজন বলে উঠলো "আঁম্মাঁ..........!!!!"
সবাই আরেকবার ধাক্কা খেলাম।আমি আম্মুর কাছে যেয়ে লুকোলাম।আম্মু অবাক হচ্ছে কি হতে পারে এই ভেবে। নানু সাহসী মানুষ। তিনি ভাবলেন জানালার কাছে হয়ত কেউ দাড়ায়ে শয়তানি করতেসে।
তিনি হাক ছাড়লেন,"ওই কেডারে বাইরে???"
কি আশ্চর্য তখনি আবার কে যেন বলে উঠল, "ওঁই কেঁডারে বাঁইরে????"
নানু হকচকিয়ে গেলেন। সাহসী মানুষটার মুখটা অন্ধকার হয়ে গেল।না ভয়ে না প্রচন্ড রাগে।
আমাদের বাসায় নানুর ছোট একমাত্র ভাই থাকতেন। অপসোনিন এ চাকরি করতেন। নাম দুলাল।
নানু ডাক দিলেন,"দুলাল,এই দুলাল দেখত বাসার সামনে কেউ আছে কিনা" এই ধরনের মস্করা নানুর ভাল লাগার কথা না।
আবারো কথার রিপিট হল।আমরা যারা ছোটরা ছিলাম তারা প্রচন্ড ভয় পেয়েছি। দুলাল নানা বাইরে ঘুরে কাউকে না পেয়ে বাসায় ঢুকলেন। তখনি কারেন্ট চলে এলো।
"না বুয়া(নানু) কেউ নাই বাইরে।" আবারো রিপিট হল।নানু খেয়াল করে দেখল শব্দটার উৎস হচ্ছে আমার মামার আনা ব্যাগ!!!
নানু কাছে গিয়ে আবার বলল
"কে রে???"
ভেতর থেকে একই শব্দ শুনলাম আমরা। ভুতের যে নাকি সুর মনে হচ্ছিল এতক্ষন, তা এখন ভুতের গলার মত মনে হচ্ছে না আর।কারেন্ট আসার পর স্বাভাবিক হয়ে গেল যেন সব।
আমি নানুকে দুর দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম ইশারায় ভেতরে কি?
নানু ব্যাগটা নাড়াচাড়া করে আমাকে ডাক দিল।আমাকে ফিসফিস করে বলল
"বলো আমার নাম মাহিক"
আমি ব্যাগের কাছে গিয়ে ভয়ে ভয়ে বললাম কথাটা।
ওমা আমার মত গলায় কে যেন একই কথাই বলছে।
নানু বলল," ভয় নাই। এটা ভুত না।"
"এটা কি তাইলে নানু???"
"লিয়াকত(আমার মামা) আসুক ওই দেখাবে খুলে। তখন দেখো।এখন খেল তোমরা। কথা বল আর খেল।"
নানু বলে নাই জিনিসটা কি। আমরা যারা পিচ্চি ছিলাম সবাই লিয়াকত মামা আসার আগ পর্যন্ত একটার পর একটা কথা বলে গেলাম আর ভেতর থেকে একই কথার রিপিট হচ্ছিল।
"তুই কে?"
সব।
আমি নানুকে দুর দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম ইশারায় ভেতরে কি?
নানু ব্যাগটা নাড়াচাড়া করে আমাকে ডাক দিল।আমাকে ফিসফিস করে বলল
"বলো আমার নাম মাহিক"
আমি ব্যাগের কাছে গিয়ে ভয়ে ভয়ে বললাম কথাটা।
ওমা আমার মত গলায় কে যেন একই কথাই বলছে।
নানু বলল," ভয় নাই। এটা ভুত না।"
"এটা কি তাইলে নানু???"
"তোর মামা আসুক ওই দেখাবে খুলে। তখন দেখো।এখন খেল তোমরা। কথা বল আর খেল।"
নানু বলে নাই জিনিসটা কি। আমরা যারা পিচ্চি ছিলাম সবাই লিয়াকত মামা আসার আগ পর্যন্ত একটার পর একটা কথা বলে গেলাম আর ভেতর থেকে একই কথার রিপিট হচ্ছিল।
সব।
আমি নানুকে দুর দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম ইশারায় ভেতরে কি?
নানু ব্যাগটা নাড়াচাড়া করে আমাকে ডাক দিল।আমাকে ফিসফিস করে বলল
"বলো আমার নাম মাহিক"
আমি ব্যাগের কাছে গিয়ে ভয়ে ভয়ে বললাম কথাটা।
ওমা আমার মত গলায় কে যেন একই কথাই বলছে।
নানু বলল," ভয় নাই। এটা ভুত না।"
"এটা কি তাইলে নানু???"
"লিয়াকত(আমার মামা) আসুক ওই দেখাবে খুলে। তখন দেখো।এখন খেল তোমরা। কথা বল আর খেল।"
নানু বলে নাই জিনিসটা কি। আমরা যারা পিচ্চি ছিলাম সবাই লিয়াকত মামা আসার আগ পর্যন্ত একটার পর একটা কথা বলে গেলাম আর ভেতর থেকে একই কথার রিপিট হচ্ছিল।
-তুই কে?
-তুই কে?
-বলদ
-বলদ
-ভাত খাইসোস?
-ভাত খাইসোস?...... এই এরকম চলছিল।
আমাদের কৌতুহল মিটলো যখন মামা আসলো বাসায়।
ওইটা ছিল একটা খেলনা টিয়া পাখি যে একটা কথা বললে তা আবার রিপিট করত ।ব্যাগ নিয়া আমরা এত নাড়াচাড়া করেছি যে সুইচটা অন হয়ে গিয়েছিল এর।এটা অনেকটা টকিং টমের মত। টিয়া পাখিটা এখনও আমাদের বাসায় আছে ড্রইং রুমের শোকেজ এ।
ও বদের হাড্ডি টিয়া কি কেলেংকারীই না করল তা ভাবলে এখনও মজা লাগে
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১
আপেক্ষিক বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ভালো লেগেছে ....
প্লাস +++
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১
আপেক্ষিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯
সোহানী বলেছেন: আসলেও ভুত...যদিও আমার বাসায় আছে...দারুন জিনিস...
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
আপেক্ষিক বলেছেন:
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০১
হেডস্যার বলেছেন:
মজা পাইলাম
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
আপেক্ষিক বলেছেন:
৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: তাল তামশা!!!!!!!!!!!!!!
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪
আপেক্ষিক বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
নিজাম বলেছেন: ভালই দিছেন।