নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কারও কাছে আমি ভাল, কারও কাছে খারাপ, কারও কাছে আমি বন্ধু কারও কাছে শত্রু; পরম নয় কোন কিছুই, সব কিছুই আপেক্ষিক

আপেক্ষিক

গতিই জীবন, স্থিতিই মৃত্যু

আপেক্ষিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমসাময়িক স্যাটায়ারঃ প্রশ্ন ফাঁস যেভাবে সমাজে পজিটিভ প্রভাব ফেলতে পারে

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০১

বৃত্তির রেজাল্ট দিয়েছে জেএসসির।আমার ছোট বোন ফোন করে কেঁদে দিসে।বলে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে। ওর রোল ১। স্বভাবতই ওর এক্সপেকটেশন অনেক বেশি থাকবে। ওর সাথে যারা ভাল মেয়ে স্কুলের তাদের মধ্যে একজন ট্যালেন্টপুলে এবং বেশ কিছু সাধারণ ও অধিকাংশই বৃত্তিই পায় নি।যারা বৃত্তি পেয়েছে তাদের মধ্যে অনেককেই কেউ চেনে না।আপনি বলবেন লাক ফেভার করে নাই তাহলে আমি আসলে মিরাকল এর সঙ্গা পরিবর্তন করে রাখব। X((


আমাদের দেশে এখন লেখাপড়ায় নতুন একটা স্রোত এসেছে। নতুন সবকিছুই ১ম ১ম গ্রহণ করতে আমাদের সবারই কেমন বাধে। এটার ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। মজার ব্যাপার হল এবার জে এস সি পিএসসি তে এমন অনেক ছাত্রছাত্রী শিরোনামে এসেছে যাদের স্কুল লাইফে কোন হদিসই ছিল না।

ব্যপারটা আর কিছু না।আপনি পরীক্ষা হলে যাওয়ার আগে জাস্ট প্রশ্নটা দেখে নেবেন। তাহলেই আপনিই বস।
সবাই আসলে এর বিরোধিতা করছেন।আসুন আমরা কিছু ভাল দিক বের করি যাতে বোঝা যাবে প্রশ্ন ফাস ব্যাপারটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রেঃ

১।যারা প্রশ্ন ফাস করে খুব ভাল ফলাফল করছে তাদের ক্ষেত্রে অনেকেই অনেক রকম কারণ বের করছে তাদের সফলতার প্রতি ঈর্ষান্নিত হয়ে।কেউ বলছে তারা ম্যাডাম স্যারদের ছেলেমেয়ে তাই। আবার কেউ কেউ বের করছে তাদের বাবা মা অনেক বড়লোক এইসব। আরে ভাই এরা নিজের যোগ্যতায় ভাল রেজাল্ট করেছে সেটা বলতে কষ্ট হয় কেন? তাদের যোগ্যতা হল তাদের প্রশ্ন যোগার করার মত জনবল,ভাল লিংক(মা বাবা),প্রশ্ন কেনার টাকা পয়সা আছে এরকম বিষয়গুলো ছিল। আর না হলে এরকম শুনতে হবে কেন যখন সামনের দিকের একটা স্টুডেন্ট কান্নাকাটি করে বলে যে মেয়েটা ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে সে কখনই স্যারের বাসায় পড়া পারতো না। আর ক্লাসেও কখনও ভাল করেনি। কিন্তু বড়লোক বাবা আছে নাকি। সও বুঝলাম তাদের পরীক্ষায় ভাল করার যথেষ্ঠ যোগ্যতা ছিল যা কেউ অগ্রাহ্য করতে পারবেন না।

২। এরকম ফলাফলের পরে যেসব খারাপ স্টুডেন্ট যোগ্যতা বলে ভাল ফলাফল করেছে তারা আরো উৎসাহিত হয়ে পড়াশোনা নতুন উদ্যমে শুরু করবে কারণ তারা তখন ভাল ফলাফল করার মজাটা পেয়ে যাবে। সো বাংলাদেশে অমনোযোগী ছাত্র ছাত্রী কমে যাবে ভবিষ্যৎ এ।

৩। যারা প্রকৃত ভাল স্টুডেন্ট তারা এই ঘটনার পর তাদের হারানো প্লেস ফিরে পাওয়ার জন্য বহুগুনে পড়াশোনার গতি বাড়িয়ে দিবে। এবং একসময় অতিমানবীয় শিক্ষিত হয়ে যেতে পারে!!!!

৪। যারা প্রশ্ন ফাসের সাথে জড়িত তারা বেশ টাকাকড়ি কামিয়ে নিবে। এতে বেকারত্বও ঘুচবে জনাব।

৫। দেখাগেল প্রশ্ন ফাস করে যারা ভাল ফলাফল করে তারা সারাবছর পড়াশোনা না করে ঘুরে বেড়ায়।তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অবশ্যই ওইসব পড়ুয়া স্টুডেন্ট থেকে অনেক বেশি হবে যারা সারাদিন ঘরের কোনে বসে পড়ে। তো একদিকে সার্টিফিকেট ও হল অন্যদিকে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও জনবল পাবো। আর কি চাই????


৬।প্রশ্নফাসের সাথে জড়িত সকলের মাঝে একধরনের ভ্রাতৃত্ব গড়ে উঠবে।যা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

৭।ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্ম এরা প্রেরনা হয়ে থাকবে।

৮।কে কিভাবে প্রশ্ন ফাস করেছে, ভাল ফলাফল করেছে এই নিয়ে রচিত হবে কথাসাহিত্য, উপন্যাস,সাইকোথ্রিলার,কবিতা গল্প আরো কতকিছু। সাহিত্যও এগিয়ে যাবে। বাহ বাহ।


আসুন একটু পেছনে যাই। অনেক বছর আগের কথা।বরিশাল বিভাগের মধ্যে ক্লাস এইটের বৃত্তি পরীক্ষায় ২০ এর মধ্যে ছিলাম। রেজাল্টের শীট এখনও আমার বাসায় খুব যত্ন করে রেখে দিয়েছি। মিষ্টি সবার বাসায় পৌছে দিয়েছি আমি ও আমার আম্মু। সে এক অন্যপ্রকার অনুভূতি ছিল। সেই অনুভূতির সাথে আর কিছুই তুলনীয় নয়।
এসএসসি,এইচএসসি এর ফলাফল ও পরে মেডিকেলে পড়া সবকিছুই সেই ফলাফলের উৎসাহতেই এসেছে। আজকে যারা প্রশ্ন ফাস করে ভাল রেজাল্ট করছে কালকে তাদের অস্তিত্ব টিকে থাকবে সে নিশ্চয়তা কে দিবে? যারা সারা বছর পড়াশোনা করে এসে বছরের শেষে এরকম একটা খেলায় বলি হল তাদের কি বলে সান্ত্বনা দিবেন??? সে আপনার ছোট ভাই বোন মেয়ে ছেলে হতে পারে। একবার যদি মন ভেঙে যায় তবে আর ফেরানো যাবে কি?
শিক্ষার হার যেমন বাড়ছে,ভাল ফলাফলের হার যেমন বাড়ছে তেমনি গরু ছাগলও বাড়ছে কিন্তু মাঠ বাড়ছে না। ঘাস খাওয়াবেন কোথায়????
তাই শিক্ষাবিভাগের কাছে আই মিন নাহিদ টা. এর কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যেন প্রতিষ্ঠিত গরু ছাগল পালন শুরু করার আগে খামার ও মাঠের ব্যবস্থা করুন। ধন্যবাদ।

[গুছিয়ে বলতে না পারলেও আশা করি বুঝবেন কার পশ্চাৎদেশে বাঁশ রেখে হাতে হ্যারিকেন ধরানো হচ্ছে]

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১১

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: শিক্ষাবিভাগের কাছে আই মিন নাহিদ টা. এর কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যেন প্রতিষ্ঠিত গরু ছাগল পালন শুরু করার আগে খামার ও মাঠের ব্যাবস্থা করুন। ধন্যবাদ।

অত্যন্ত সহমত।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:২৪

আপেক্ষিক বলেছেন: অন্যকোন উপায় নেই। :(

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮

সোহানী বলেছেন: হাঁ সহমত। আমরা সব দিক দিয়েই ধ্বংস হচ্ছি। আগে শুনতাম বিসিএস এর প্রশ্ন ফাঁস হয় এখন শুনি বাচ্চা পোলাপানদের ও প্রশ্ন ফাঁস হয়। কই যামু কইবেন.... পোলাপানদের কি শিখামু !!!!

০১ লা মে, ২০১৪ ভোর ৪:২৮

আপেক্ষিক বলেছেন: পোলাপানদের আর কি শিখাবেন।এইসব কাজের কারণে ওরা যা শিখছে সেটা দিয়েই কি হয় সামনে দেখুন। আমার বোনের ক্লাসে অন্য শাখায় রোল ১ বৃত্তিই পায় নি। তার মনের অবস্থা ভাবুন?? কি পরিমান আক্রোশ থাকতে পারে ওই মনে। একসময় উগরে দিবে জমতে জমতে। :(

৩| ০১ লা মে, ২০১৪ রাত ২:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বাচ্চারা শিখবে এগোবার একমাত্র উপায় চিটিং।

০১ লা মে, ২০১৪ ভোর ৪:৩১

আপেক্ষিক বলেছেন: হুম। চিটিং করাই ওদের কাছে স্মার্টনেস,বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক হবে। যা ই করবে অন্যকে ঠকানোর মানসিকতা নিয়েই করবে। খুবই দুঃখজনক।

৪| ১৬ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১

জাফরুল মবীন বলেছেন: “শিক্ষার হার যেমন বাড়ছে,ভাল ফলাফলের হার যেমন বাড়ছে তেমনি গরু ছাগলও বাড়ছে কিন্তু মাঠ বাড়ছে না। ঘাস খাওয়াবেন কোথায়????”-সহমত

১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

আপেক্ষিক বলেছেন: হুম।আগে দরকার মাঠ তারপর গরু ছাগল

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৫০

আপেক্ষিক বলেছেন:
বহু বছর পর ব্লগে এসে বুঝলাম, এই লেখা স্বার্থক! ড্রাইভার বড়লোক হয়ে ঈমানদার হয়ে ফেবুতে ছবি দিতে দেখেছি বাহ! যার অন্যায়ের বিরোধীতা করতে গিয়ে আজ দেশের এত বড় পরিবর্তন!!! এর চেয়ে পজিটিভ এফেক্ট আর কি হতে পারে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.