নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কারও কাছে আমি ভাল, কারও কাছে খারাপ, কারও কাছে আমি বন্ধু কারও কাছে শত্রু; পরম নয় কোন কিছুই, সব কিছুই আপেক্ষিক

আপেক্ষিক

গতিই জীবন, স্থিতিই মৃত্যু

আপেক্ষিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ গোলাপ ফুলের গল্প

০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

আমার মায়ের শখ বাগান করা। প্রতিদিন নিয়মমতো বাগানের ফুলগাছগুলোর তিনি যেভাবে যত্ন নিতেন তাতে মাঝে মাঝে মনে হত তিনি আমার মা না হয়ে এই গাছগুলোর মা হলে বেশি ভাল হত।



আমাদের বাগানের গাছগুলোর মধ্যে লাল, গোলাপী,সাদা গোলাপ ছিল। এছাড়াও বেলী,হাসনাহেনা এবং আরও কিছু ফুল যার নাম আমি জানি না। এছাড়াও রক্তজবা, হলুদ জবা ছিল বাসার দেয়াল ঘেষে। কোণার দিকে ছিল একটা ক্যাকটাস আর বাগান বিলাসের বিশাল ঝোপ। হাসনাহেনা গাছটা বাইরের দিকে বের হওয়ার গেটের কাছে ছিল। গেট থেকে ঢুকলেই এই ফুলের গন্ধে বিমোহিত হয়ে যেত সবাই। তবে শুনেছি হাসনাহেনার গন্ধে নাকি সাপ আসে। শুনেছি কিন্তু কখনও দেখি নি। অচেনা অজানা ভয়, পরিচিত ভয়ের চেয়ে বেশি থাকবেই।



ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই মনে হয় সামনের বাগানটায় নতুন জীবন জেগে উঠেছে। হঠাৎ বারান্দায় দাঁড়ালে বাগানে চোখ পড়বেই এবং হঠাৎ করে চোখ সরিয়ে নেওয়া সম্ভব না। আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি, পারিনি। কতক্ষণ যে নির্লিপ্তভাবে সেদিকে চেয়ে ছিলাম জানি না। একই সাথে ফেব্রুয়ারি আসলে আনন্দ লাগতো এবং ভয়ও লাগত। ভয় কিভাবে লাগতো বলছি।



ফেব্রুয়ারি আসলেই ১৪ ফেব্রুয়ারি আর ২১ ফেব্রুয়ারি এই দুইদিন ছিল ফুল চুরির দিন। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ফুল চুরি করে নিয়ে যায় বাগান থেকে। এই দুইদিনে মায়ের বাগান রক্ষার জন্য বাবা পাহারা বসাতেন। পাহারার দায়িত্ব পালন করতাম ভাইয়া আর আমি। আপা আবার এসব পছন্দ করতেন না। তার ধারণা এসব পাগলামি করার বয়স তার চলে গেছে। এসব করা কেবল বাবা আর ভাইয়ার জন্যই মানায়। আমরা এই সময় বাইরের বাগানের পাশে আগুন জ্বালিয়ে সারারাত গল্প করতাম। বাবা এত হাসির গল্প করতে পারেন যা শুনে আমি আর ভাইয়া খুবই মজা পেতাম। ভাইয়া আমার বাবার মতই হয়েছেন। সেও এরপর কোথা থেকে কিসব জাদু শিখে আসত তা দেখিয়ে হাসাতেন। এই ব্যাপারে মা সবসময়ই ভেটো দিয়ে আসতেন প্রথমে, পরে ফ্লাস্কভর্তি চা বানিয়ে এসে আমাদের সাথে যোগ দিতেন। মজা হত যেদিন বাসার কারেন্ট চলে যেত। আর জোছনা হলে তো কথাই ছিল না। আমরা সেদিন কোন আগুন ধরাতাম না। আপা অনেক ভাব নিয়ে পরে মা'র সাথে চলে আসত। ভাইয়া এরপর গান ধরতেন। অন্ধকার রাতে আকাশে বিশাল চাঁদ এর সাথে ভাইয়ার উদাস করা গান যেন আমায় টেনে নিয়ে যেত অনেক দূরে বহুদূরে অচিনপুরে। আপা বলেছেন আমার মায়ের গলা পেয়েছে আমার ভাইয়া। মাও গান গায় তবে সেটা অধিকাংশ সময় গুনগুন করে আনমনে। গান শুনাতে বললে কখনই শোনাতে পারেন নি সামনাসামনি। আপার ধারণা মা গান শিখলে অনেক ভাল গায়িকা হতে পারতেন।



আমার আপা কলেজ শেষে ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছেন। টিউশনি করান,কোচিং এ ক্লাস নেন। বিকেলে টিএসসিতে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে সন্ধ্যার আগে বাসায় ফেরেন। অনেক ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু এই আপা যখন বাসায় থাকেন তখন সে সবসময়ই আমার কাছে থাকে। আমার মাথা আঁচড়ে দেন তেল দিয়ে খুব সুন্দর করে। আয়নায় নিজেকে দেখে আমার এত ভাল লাগে। মনে হয় আয়নার সামনেই থাকি সারাদিন।



ভাইয়া একটু পাগল ধরণের। আমার বাবা তাকে "পাগলা" বলে ডাকেন। পরিবারের বড় হওয়ায় সবার কাছ থেকেই তার আদরের কোন কমতি হয়নি। কিন্তু আমি হওয়ার পর আমাকে তার চেয়ে অধিক আদরে রেখেছে ভাইয়া। এমন কোন দিন নেই যেদিন ভাইয়া বাইরে থেকে আমার জন্য কিছু আনেননি। কিছু না কিছু নিয়ে আসবেই সবসময়।

মাস্টার্স পাস করে চাকরীর জন্য ঘুরছেন তিনি। মাঝে মাঝে হালকা পাতলা কিছু ব্যবসা করছেন আবার বেকার ঘুরছেন এভাবেই চলছে। বাবা চাকরী ছেড়েছেন বহু আগেই। ভাইয়া আর আপার টাকায়ই সংসার চলে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে বাসায় টাকা থাকে না। সেইসময়ও আমরা অন্য সময়ের মতই থাকি। আমরা নিম্ন মধ্যবিত্ত, এসব ব্যাপার খুব সাধারণ। তাই হয়ত কেউ গায়ে মাখে না।



এভাবেই আমাদের জীবন চলছিল। একদিন ভাইয়া বাসায় এসে কোন কথা না বলেই আপার গায়ে হাত তোলেন। মা বাবা দুজনেই এগিয়ে আসেন কি হলো বলে। আমি সেদিন ভাইয়ার যে রুপ দেখেছি আগে কখনও দেখিনি। বাবা মাকে ভাইয়া কি যেন বললেন আপা সম্পর্কে। ঠিক বুঝতে পারিনি আমি।



সেদিন আপা আর আমার কাছে আসেন নি। রুম আটকে বসে ছিলেন। ভাইয়া আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন আমি ভয় পেয়েছি কিনা। আমি না বললাম যদিও অনেক ভয় পেয়েছিলাম সেদিন। আমাকে এক বক্স চকলেট কিনে দিলেন ভাইয়া। আর আমাকে একটা খবর জানালেন। তাহলো তিনি নাকি চাকরী পেয়েছেন। কালকে সবাইকে বলবেন, আজ শুধু আমাকেই বলেছেন। আজ তার মন ভাল না তাই।



পরদিন খুব সকালে আমার ঘুম ভাঙলো।দেখি মা আপার রুমের দরজার সামনে বসে কাঁদছেন। এরপর দেখলাম বাবা আর ভাইয়া আপাকে ধরাধরি করে কোথায় যেন নিয়ে গেলেন। আপা বেহুঁশ হয়ে ছিলেন। এরপর থেকে আপাকে আমি আর কখনই দেখিনি। কখনও না। এই ঘটনার পর ভাইয়া বাসা থেকে চলে যায়। কই যায় কেউ জানি না। এসময় আমাদের বাসায় দূরের আত্মীয়স্বজন এসেছিলেন। আমার নানা নানীকে তখন প্রথম দেখলাম। অনেকবার জিজ্ঞেস করেছিলাম আপার কি হয়েছে কেউ বলল না। আমার মা তার রুমে পড়ে রইলেন একরকম অচেতন হয়ে। বাবা অপ্রকৃতস্থের মত করতে লাগলেন। সব মিলিয়ে বাসায় ভয়াবহ অবস্থা চলছিল।



একসময় সব ঠিক হয়ে গেল। ভাইয়া বাসায় এলেন। নানা নানী থেকে গেলেন কিছুদিনের জন্য। মা আবার আগের মত হয়ে গেলেন। যেন এরকমই হওয়া উচিৎ ছিল আমাদের সাথে। তবে এরপর ভাইয়ার সাথে মা কথা বলতেন না তেমন। আমার সাথে যা বলতেন তাও না। একসময় তাও কমে গেল। বাবা বড় দাড়ি রাখলেন, নিয়মিত মসজিদে নামাজ পড়তেন। ভাইয়া তার নতুন চাকরী শুরু করলেন। একসময় বাসার থমথমে ভাবটা চলে গেল।



মাঝে মাঝে মনে মনে ঘুমানোর আগে আমি আপার সাথে গল্প করি। মনে মনে গল্প।

-আপা কেমন আছ?

-ভাল নাইরে। তুই কেমন আছিস?

- আমি ভাল নাই। তোমাকে ছাড়া আমার ভাল লাগে না আপা। তুমি কোথায় আছো চলে আসো।

- আমি আসব একদিন, তুই দুঃখ করিস না।

- সত্যি আসবে?

- হ্যা সত্যি আসব।

- আপা একটা কথার জবাব দিবা?

- বল।

- আপা ভাইয়া তোমাকে মেরেছিল কেন? আমার খুব কষ্ট লেগেছে।

- ভাইয়া আমাকে মেরেছে ভালই করেছে।

- কেন আপা?

- আমি যে একটা খারাপ মেয়ে।

- তুমি কেন খারাপ মেয়ে হবা। তুমি আমার আপা। আমার ভাল আপা।

- তা তুই বুঝবি না। ভাইয়া সেদিন জেনেছে তাই তো গায়ে হাত তুলেছে। খুবই ভাল করেছে।

- না আপা আমি বুঝব আমাকে বলো।



এমন সময় মাঝে মাঝে মা এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন,জিজ্ঞেস করেন খারাপ লাগছে কিনা?

আমি অবাক হয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকি। আমার আপা, মায়ের মত হয়েছে। মায়ের চোখ দুটির দিকে তাকালে মনে হয় আমি আপাকে দেখছি। আমি কিছু বলি না শুধু ওই চোখের দিকে তাকিয়ে থাকি।



এরপরের ঘটনা গুলো কিভাবে কিভাবে যেন ঘটে গেল। সময়টা খুব দ্রুতই যেন চলে গেল। ভাইয়ার চাকরীর জন্য আমাদের পরিবারের আগের অবস্থার উন্নতি ঘটলো। এসময় ভাইয়ার অফিসের কলিগ এক মেয়েকে ভাইয়া প্রায়ই আমাদের বাসায় নিয়ে আসতেন। মেয়েটার নাম রুবা। উনি আমার বাসায় আসলেই কিছু না কিছু নিয়ে আসবেনই। মাঝে মাঝে ছুটির দিনে আমাকে নিয়ে তাদের গাড়িতে করে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যান। অনেক দূরে যাই আমি ভাইয়া আর এই আপুনি। আমি আমার আপাকেও তার কথা বলেছি। আপা বলেছেন মেয়ে নাকি অনেক ভাল। আমার ভাইয়ার সাথে বেশ মানাবে।



দেখতে দেখতে সেই আপুনি আমার ভাবি হয়ে এলেন আমাদের বাসায়। বাবা মা প্রথমে রাজি ছিলেন না কিন্তু পরে রাজি হয়ে গেলেন অনিচ্ছায়। ভাবি যেদিন থেকে আমাদের পরিবারে এলেন সেদিন থেকে আমাদের বাসার অবস্থা অন্যরকম হয়ে যেতে থাকলো। তিনি যেন আলো হয়ে এলেন পরিবারে।



প্রতিদিন আমার মাথার চুল আঁচড়ে দিতেন তিনি ঠিক যেমন আমার আপা দিতেন। আয়নায় আবার অনেকদিন পর নিজেকে দেখে খুবই ভাল লাগে। আমাকে আমার ভাবি অনেক অনেক ভালবাসেন।



দুইবছর কেটে গেল। এক সকালে দেখা গেল মাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেন বাবা আর ভাইয়া। রুবা ভাবি বললেন মা সকালে অসুস্থ্য ছিলেন খুব। এরপর মা হাসপাতালে রয়ে গেলেন। কি একটা রোগ হয়েছে যেন। একদিন দেখতে গিয়েছিলাম। দেখি মা রক্তবমি করছে। আমাকে ভাবি বাইরে নিয়ে গেল। ভাইয়া আর ডাক্তার মিলে মাকে ধরাধরি করে শুইয়ে দিলেন। মুখ চোখ মুছিয়ে দিলেন। এরপর ডাক্তার চলে যাওয়ার পর আমি ভেতরে ঢুকি। মা আমাকে কাছে ডেকে নেন। আমার কপালে চুমো দিয়ে জড়িয়ে ধরে হুহু করে কাঁদতে শুরু করেন। আমিও কাঁদতে থাকি। এতদিনে মায়ের চোখের নিচে কালি পড়েছে চোখ ডেবে গেছে। খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে। আমি আমার মায়ের চোখের দিকে তাকিয়ে আছি। মনে হচ্ছে আপা তাকিয়ে আছেন।



আপাকে এসব কথা বলেছি। আমরা যখন মনে মনে গল্প করতাম তখন। আপা খুব কেঁদেছে। আমিও কেঁদেছি অনেক। মা'র সাথে সেদিনই শেষ দেখা। এরপর ভাইয়ার শ্বশুরবাড়ি থেক্র মাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন চেক আপের জন্য। সাথে যান বাবা আর ভাইয়া। আমি ভাবীর বাসায় থেকে যাই ভাবীর সাথে।



এর প্রায় দুই সপ্তাহ পর এক বিকেলে রুবা ভাবি চুপিচুপি আমাকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যেতে চায় এই কথা বলে। সেদিন আমার মা'র নাকি আসার কথা। সবাইকে দেখতে পাব ভাবতেই খুব খুশি হলাম। ভাবিকে বললাম আমার মায়ের কেনা তার প্রিয় একটা জামা আছে। সেইটা পড়ব। মা খুশি হবেন। সেজেগুজে আমরা রওনা হলাম।

কিন্তু আমরা সেদিন এয়ারপোর্টে যাইনি। আমরা গিয়েছিলাম অন্য জায়গায়। জানি না কোথায়। শুধু দেখলাম আমার বাবা ভাইয়া দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। আর মা? মা কোথায়? ভাইয়া আমাকে জড়িয়ে ধরলো।



মা আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সব আমার কাছে অস্বাভাবিক লাগত। মনে হত মা তার রুমে শুয়ে আছেন অথবা বাগানে কাজ করছেন। মার মৃত্যুর পর বাবা সেই বাগানের পরিচর্যা করে আবার আগের মত করেছেন। আবার সেখানে নানা রকম ফুল ফুটেছে। আমার বাবা দিনের বেশিরভাগ সময় সেখানেই কাটান। তার ধারণা এতে নাকি মন ভাল থাকে। আসলে তিনি মিথ্যে বলেন। তিনি বাগানের ফুলের মধ্যে।মাকে খোঁজেন। আমি যেমন মার চোখের মাঝে আপাকে খুঁজতাম।



বাগানে তিন ধরনের গোলাপ ফুটেছে আবারও। মা বলতেন আমরা তিন ভাই বোন এই তিন জাতের গোলাপের মত। আপা হচ্ছে সাদা গোলাপ,ভাইয়া গোলাপী রঙের গোলাপ আর আমি রক্ত লাল গোলাপ। এজন্যই মা এই ফুল তিনটার যত্ন নিতেন অন্যদের চেয়ে বেশি। বাবাও সেটা জানতেন। তাই তিনিও এই ফুল তিনটার জন্য আলাদা জায়গা রেখেছেন বাগানে।



বাগানের দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝে নিজেকে গোলাপ ফুল মনে হয়। কোন না কোন সময় আমার পাপড়ি ঝরে যাবে। আমরা সবাই যেন একেকটা ফুল। আমরা ফুটি শুধু ঝরে যাওয়ার জন্যই। আমি মাকে বলেছিলাম আপা অনেক সুন্দরী তাই আপা রক্তলাল গোলাপ আর আমি সাদা গোলাপ। কি আছে আমার? আমি মূক ও বধির। জন্ম থেকেই কানে শুনি না কথাও বলতে পারি না। মা কিছু বলতেন না শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতেন। মুখের ভাষার বাইরেও যে মনের একটা ভাষা আছে আমি সে ভাষা বুঝতে পারি। কেউ বিশ্বাস করবে না তবুও আমি জানি যে আমি সবার কথাই বুঝি হয়ত শুনি না। হৃদয় দিয়ে সব বোঝা যায়।



মাকে তাই বলেছিলাম আমিই আসল সাদা গোলাপ। আর আপা লাল গোলাপ। আপার মত সুন্দরী আর এই জনমে জন্মাবে না। কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা আসলে কেউই মানুষ নই নই,সবাইই সাদা গোলাপ। ধীরে ধীরে আমাদের সকলের পাপড়ি ঝরে যাবে একদিন। পাপড়ি ঝরে গেলে সেই ফুলকে কি আর ফুল বলা যায়?

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

করিম কাকা বলেছেন: অসাধারন লেখলি। সব নিন্ম মধ্যবিত্য পরিবারের কি একই কাহিনি! একই ঘটনা? কিন্তু কেন ঘটে বলতে পারেন?

০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯

আপেক্ষিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে গল্পটা পড়ার জন্য। এটা একটা সাধারণ চিত্র। প্রায় সব পরিবারে এরকম টানাপেড়ন থাকে।

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভাইয়া ইডিয়ট ছিলো, কেহ খেয়াল করেনি।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



অনেক করুণ গল্প লিখেছেন। এত করুন করা ঠিক হয়নি

০২ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০২

আপেক্ষিক বলেছেন: হয়ত। বাস্তবতা এত করুন হয়না হয়ত।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: ভালো লিখেছেন।এতো ভালো লিখেছেন যে মাঝে মাঝে আমার মনে হচ্ছিলো সব চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।

০২ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

আপেক্ষিক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য এবং কমেন্টের জন্য। উৎসাহ পেলাম অনেক ভাই।

৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৩

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ভাল ছিল ।

০২ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

আপেক্ষিক বলেছেন: ধন্যবাদ :-)

৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

প্রেতরাজ বলেছেন: শেষাংশ খুব ভাল লাগল।

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫৭

আপেক্ষিক বলেছেন: :D

৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০৯

হতাস৮৮ বলেছেন: ওয়াও...

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫৮

আপেক্ষিক বলেছেন: হুম !!!

৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩২

পেন্সিল স্কেচ বলেছেন: চোখে পানি এসে গেল..আমি বোধহয় একটু বেশি ইমোশনাল..

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫৯

আপেক্ষিক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার কমেন্ট পড়ে ভাল লাগল :)

৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৫৮

জাফরুল মবীন বলেছেন: হৃদয়স্পর্শী লেখা!

আপনার মা’কে আল্লাহ যেন জান্নাতের বাগান দেখার সৌভাগ্য দান করেন এ দোয়া করি কায়মনোবাক্যে।

ভাল থাকবেন ভাই আপেক্ষিক।

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ২:০২

আপেক্ষিক বলেছেন: ধন্যবাদ মবীন ভাই। আল্লাহর রহমতে আমার মা এখনও জীবিত আছেন। এই দোয়া সবাই তার মা বাবার জন্য করে। আল্লাহ সকল মাতা পিতাকে বেহেস্ত নসিব করুন।
আপনিও ভাল থাকবেন ভাই। :-)

১০| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
চমৎকার শুরুতেই অভিভূত হয়ে গেছি।

পুরো গল্পটাই উপভোগ করলাম সেই সাথে আপনার হৃদয়ষ্পর্শী লেখায় বেদনাক্রান্ত হলাম।

ধন্যবাদ আপনাকে।

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ২:০৪

আপেক্ষিক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ পড়ে এরকম একটা সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকবেন :-)

১১| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৯

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার করুণ একটি গল্প পড়লাম। সত্য কাহিনীর মতোই মনে হল।

সত্য নাকি? বর্ণনা অার লেখা খুব ভাল লাগল।

৩য় ভাল লাগা দিয়ে গেলাম।

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ২:০৬

আপেক্ষিক বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই। আসলে বাস্তব জীবন এরকমই হয়। অনেকের কাছে এটা গল্পই আবার অনেকের কাছে এটা সত্য মনে হবে। বাস্তবতা খুবই বিভ্রান্তিকর :-) ভাল থাকবেন ভাই।

১২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৫৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: গল্পে আবেগের গভীরতা ও নিখুঁত বর্ণনায় আমিতো বোকার মত ধরেই নিয়েছিলাম এটা অাপনার বাস্তব জীবন থেকে লেখা! :P

মার মৃত্যুর পর বাবা সেই বাগানের.... -আর এ লাইনটা আমাকে বিভ্রান্ত করে দেয়।দুঃখিত ভাই ভুল বোঝার জন্য।

এত জীবন্ত লেখা লিখেন কীভাবে সেটা আমার কাছে খুবই বিষ্ময়কর!

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

আপেক্ষিক বলেছেন: হে হে ধরে ফেললেন :-P আপনার আগের কমেন্ট পড়ে কিন্তু অনেক মজা পেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে। আর আপনার দুঃখিত হওয়ার কারোন নেই। আমি কিছু মনে করিনি বরং ভাল লেগেছে :-D

১৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৫

জাবের তুহিন বলেছেন: পড়ে বেশ ভালো লাগলো । অনুভূতিগলো বেশ গাঢ় ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮

আপেক্ষিক বলেছেন: ধন্যবাদ :-) অনেক ভাল লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.