নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধার রাত্রি ভোরের অনেক বাকী স্বপ্ন দেখার সুযোগ এখন তাই

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

মাহিরাহি

বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।

মাহিরাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদ্রাসা কাহিনী আর এক ব্রিটিশ ডিপ্লোমেটের চিন্তাভাবনা।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

জমির মাতব্বরের ভাগিনা টুকটাক করে ঢাকায় জৌলুষের জীবন চালায়। সাংবাদিকতা তার খন্ডকালীন পেশার একটি। গ্রামের ছেলে হয়েও ঢাকার আধুনিক জীবনযাপনের সাথে নিজেকে মানিয়ে চলে। বান্ধবী আছে, ঢাকার রাতের ক্লাবগুলোতেও আনাগোনা আছে। হঠাত করে মাতব্বর টেলিফোন পায় ভাগিনার, ঢাকার একটি টিভি চ্যানেল তার গ্রামে আসবে মাদ্রাসার উপর একটি প্রতিবেদন করতে। মাদ্রাসাগুলো নাকি এখন জংগী বানানোর কারখানা। মাতব্বর শুনে খুশী হয়, ভাগিনার কাছে আবদার ধরে প্রতিবেদনটিতে তার একটা সাক্ষাতকার থাকা চাই।

ভাগিনা বলল সব ঠিক আছে, তবে প্রতিবেদনটির জৌলুষ বাড়াতে কিছু জংগী এলিমেন্টের উপস্থিতি থাকলে ভাল হয়।

মাতব্বর ভাগিনাকে আস্ব্যস্থ করে সবই ব্যবস্থা হবে।

ভাগিনা বলল সব ঠিক আছে, তবে প্রতিবেদনটির জৌলুষ বাড়াতে কিছু জংগী এলিমেন্টের উপস্থিতি থাকলে ভাল হয়।

মাতব্বর ভাগিনাকে আস্ব্যস্থ করে বলে সবকিছুরই ব্যবস্থা হবে।



পরেরদিন মাতব্বর মাদ্রাসার বড় হুজুরের সাথে দেখা করে। বলে ঢাকা থেকে টিভি চ্যানেল আসবে মাদ্রাসার উপর প্রতিবেদন বানাতে। বড় হুজুর রাজী হয়ে যান। যাবার সময় মাতব্বর শহীদ মৌলভিরে সাথে নিয়ে বের হন। মৌলভীর মাথায় কিছুটা ছিট আছে। এই শহীদ মৌলভীর কথাবার্তা আর আচরনে মনে হয় এই লোক সবসময় শহীদ হওয়ার জন্য একপায়ে দাড়ায়ে আছে। সবকিছুতেই ইসলামের শত্রু আর অনৈসলামিক কামকাইজের সন্ধান করে বেরান। এই মৌলভী আবার মাদ্রাসার কিছু বোকাসোকা আর ঘাড়তেড়া পোলাপানের মাথায় তার চিন্তাভাবনাগুলো ঢুকিয়ে দিয়েছেন। মাতব্বর মৌলভীরের বোঝাতে সমর্থ হয় দুদিন পর ঢাকা থেকে যে টিভি চ্যানেল আসবে তারা ইহুদিদের টাকায় ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচারনা চালায়। তারা মাদ্রাসার ছবি তুলে নিয়ে মনগড়া সব গল্প বানাবে, যাতে সরকার মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়। আর ছবি তোলাত এমনিতে হারাম।



কাজ হয়ে যায়। দুদিন পর টিভি চ্যানেল যখন মাদ্রাসায় আসে প্রতিবেদন করার জন্য তখন পথিমধ্যেই গুটিকয় মাদ্রাসার ছেলেপুলে ঢিল ছোড়া শুরু করে। কিন্তু ক্যামেরাম্যানসহ প্রতিবেদক অসীম সাহসের পরিচয় দিয়ে তাদের প্রতিবেদনের কাজ চালিয়ে যান। কিন্তু মাদ্রাসার উঠানে পৌছতে না পৌছতেই বিকট শব্দে কয়টা বোমা (পটকা) ফুটে।

এবার প্রতিবেদন তৈরিতে আসা দলটির সাহসে ভাটা পড়ে। তারা এবার উল্টো দৌড়ান। আর ঠিক সে সময়টিতে মাতব্বরের আবির্ভাব ঘটে দৃশ্যপটে।

তিনি দলটির উদ্ধারে তৎপর হন। এরই ফাকে ফাকে তার একটি সাক্ষাতকারও নেয়া হয়। তিনি জানান বাংলাদেশের কিছু কিছু মাদ্রাসাতে জংগীরা আস্তানা গাড়লেও তার গ্রামের মাদ্রাসাতে এরা আস্তানা গাড়তে শুরু করেছে তা জেনে তিনি খুবই মর্মাহত।



উপরেরটি একটি কল্পকাহিনী।

এখন পৃথিবীজুড়ে মিথ্যা প্রচারনা চালানো হচ্ছে যে মাদ্রাসাগুলো নাকি জংগী বানানোর কারখানা।

আলেকজান্ডার ইভানস ব্রিটিশ ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিসে কর্মরত।

দেখুন তিনি কি বলেন, মাদ্রাসার বিরুদ্ধে আনত টেরোরিজমের অভিযোগের প্রসংগে।

তিনি বলেন,



ধর্মীয় শিক্ষার বিদ্যালয় মাদ্রাসায় মুসলিম বিস্বের যে লক্ষ লক্ষ ছেলেপুলে পড়াশুনা করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় সব ধরনের অপরাধকর্মের। নাইন এলেভেনর পর এইজাতীয় ধারনাগুলো মাটি পেতে থাকে। সমালোচকরা মাদ্রাসাকে অভিহিত করেন, সন্ত্রাসের আস্তানা, আত্মঘাতী বোমাবাজদের প্রজনন কেন্দ্র, আর মধ্যযুগীয় ধ্যানধারনার শিক্ষাকেন্দ্র হিসাবে। ঠিক এমনই ধ্যানধারনার বশবর্তী হয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের শামিনা আহমেদ আর এন্ড্রু স্ট্রলেইন জুলাইয়ের লন্ডন বোমাবাজির ঘটনা প্রসংগে ওয়াশিংটন পোষ্টে লেখেন জিহাদি এক্সট্রিজিম পাকিস্তানের কট্টরপন্হী মাদ্রাসাগুলোতে চর্চিত হয়। আর তাই মনে হয় এই মাদ্রাসাগুলোতে যে বিদ্বেষের জন্ম দেয়া হয় তা পস্চিমের শহরগুলোতে রক্ত ঝরায়।

এইধরনের অভিযোগগুলো তৈরি করা হয়েছে কয়েক ডজন পাকিস্তানী মাদ্রাসার ওপর আলোকপাত করে। যে মাদ্রাসাগুলোকে সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে জেহাদকারী যোদ্ধাদের ট্রেনিং গ্রাউন্ড হিসাবে ব্যাবহার করা হয়। এই জেহাদিরাই পরে কাস্মীরে মুক্তিযোদ্ধাদের, আর আফগানিস্থানে তালেবান কিংবা ওসামা বিন লাদেনের পক্ষ হয়ে তাদের কর্মকান্ড চালায়। এই ক্ষুদ্র সংখ্যক মাদ্রাসাকে ভিত্তি করে প্রচারনা চালানো হয় পাকিস্তানে মাদ্রাসাগুলো ধর্মীয় উন্মাদনা চালায়।



তাই তার মাদ্রাসার ব্যাপারে এধরনের প্রচারনা চালিয়ে ভুল করছে। প্রকৃতপক্ষে মাদ্রাসার প্রায় সবগুলোই সম্ভাবনাময়, হুমকিস্বরূপ নয়। গায়ের ছেলেপুলেদের জন্য শিক্ষার প্রাথমিক সোপান।

অনেক গায়ের গরীব মানুষদের জন্য, অনেক এতিমদের জন্য, মাদ্রাসা প্রয়োজনীয় সামাজিক সুবিধাদি ছাড়াও শিক্ষা দান করে। এদের অনেককে আবার আশ্রয়দান করেও তাকে, তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করে। গায়ের এই এতিম আর গরীব বাচ্চাগুলো অন্যথায় শিকার হত পাচারকারীদের বা সেক্স ট্রাফিকারদের। ব্যাবহার করা হত সস্তা শ্রমের বিকল্প হিসাবে। অন্যসব ধরনের এবিউজের শিকার হত এরা।



Rather than undermining the madrasah system, then, Western policymakers should engage it. Beards and bombast may make for good newspaper copy, but the reality of the madrasah system is far different: it is characterized by both orthodoxy and diversity and is host to a quiet debate about reform. It is in the interest of the West to ensure that the outliers -- truly extremist madrasahs -- are contained and advocates or apologists for terrorism duly prosecuted. But it is equally important for policymakers to pursue this goal carefully, by encouraging internal debate rather than demanding changes from above. The best incentive for reform is competition rather than control.



TENURED RADICALS?



The Western consensus on madrasahs assumes that some of them produce terrorists and many others contribute to radicalization in less direct ways. But the evidence of a direct link to terrorism remains weak. Indeed, according to Marc Sageman's recent study Understanding Terror Networks, two-thirds of contemporary al Qaeda-affiliated terrorists went to state or Western-style colleges. Like the terrorist Ahmed Sheikh (who was a contemporary of mine at the London School of Economics), terrorists today are more likely to have gone through the regular educational system. Many are newly religious rebels rather than regular ulama ...



http://www.foreignaffairs.com/articles/61369/alexander-evans/understanding-madrasahs

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০১

মশামামা বলেছেন: ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
ফিরে এসো বাছাধন - সুস্থ জীবনে
বাঙালী হয়ে প্রজন্ম চত্বরে এসে জড়ো হও -
রাজীব হত্যার ক্ষমা চেয়ে পবিত্র করো কণ্ঠ তোমার,
মুখে তোলো একটাই স্লোগান -
'জয় বাংলাদেশ; রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ,
আমি বাঙালি, বাঙালির জয় হোক,
পাকিস্তানী হানাদারবাদ নিপাত হোক।'

ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
সবার সামনে এসে প্রকাশ্যে বলো -
আমি দ্বিধাহীন, বিবেকবোধে সমুজ্বল তোমাদের মতই,
আমি বাংলায় জন্মেছি, বাংলায় একাত্ম, বাংলায় গান গাই
আমি তোমাদেরই সন্তান ও ভাই।

ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
উচ্চস্বরে বলো - আমি লজ্জিত, আমি ভারাক্রান্ত,
আমি মুসলমান; তবে উন্মাদনা নয়, ত্যাগ ও শান্তিই আমার ধর্ম,
আমি জানি - শিবির মানেই উন্নাসিক, মানসিক রোগীদের আস্তানা
করজোড়ে প্রার্থণা করো - প্রজন্মের কাছে প্রজন্ম চত্বরে এসে -
'আমার ভুল হয়ে গেছে; আমায় ক্ষমা করো ।

ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
আজ জাগ্রত জনতার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলো -
'জয় বাংলাদেশ; যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ,
আমি বাঙালি, বাঙালির জয় হোক,
পাকিস্তানী হানাদারবাদের মৃত্যু হোক।
জামাতীবাদ নিপাত যাক, সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক,
মানবতাবাদের জয় হোক, বাংলাদেশের জয় হোক।'

ওহে জনতা, জেগে ওঠো -
আর একটিবার মুক্তির স্লোগানে মাতো আর বলো -
সারাদেশ জাগ্রত হোক, গোটাজাতি এক হোক
এখনি সময়, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবার
পবিত্র মাটির রক্তের ঋণ পরিশোধ করবার।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৩

নায়করাজ বলেছেন: আপনার মাহি এবং রাহিকে কি মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছেন ?

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৭

নায়করাজ বলেছেন: বাড়ী আখাউড়া।
আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি।
কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও।
তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর।
দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি।
দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে।
ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম।
বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি।
লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই।
কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই।
সবারই বন্ধু হতে চাই।

-------------------------------------------
আপনার প্রোফাইলে এগুলো লেখা। তার মানে আপনি মাদ্রাসায় পড়েন নি। এতই যখন মাদ্রাসা ভালো লাগে, পড়েন নাই কেন ?

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৮

মাহিরাহি বলেছেন: আপনার কাছেও আমার প্রশ্ন, আপনার বাবা মা কিংবা আপনি মারা গেলে,
ধর্মীয় রীতিনীতিতে জানাজা কিংবা দাফনের কাজটি করবে কে?

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২০

নায়করাজ বলেছেন: আপনার মাহি রাহিকে কি মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছেন ? উত্তর দেন।

৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৬

মাহিরাহি বলেছেন: না, তবে এখনত মনে হয় ভর্তি করালে ভালই হত।

এমনিতে ওরা পাশের একট মাদ্রাসার মত জায়গায় কোরান শিখতে যায়, অনেক ছেলেপেলে ওখানে কোরান শিক্ষা নেয়। ঐ জায়গাটিতে এবার ছোটখাট তারাবীর জামাতেরও আয়োজন করা হয়েছিল।

আমার খালাত ভাই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে।

৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

মশামামা বলেছেন: মজার একটা গল্প শোনাই - দেখেন কি চমকপ্রদ কাহিনী। নিজে পাত্তা না পাইয়া দু'জন ব্লগারের প্রেমের কবিতা আদান-প্রদানকে কেন্দ্র করিয়া একজন জনপ্রিয় ব্লগার জ্ঞান-বুদ্ধি হারাইয়া কিভাবে তার চক্ষুশূলদ্বয়কে গালিগালাজ করিয়া ব্লগ থেকে বিতাড়িত করিতে পারেন।

এখানে দেখেন - শায়মার ন্যাকা কাহিনী:
Click This Link

দুইদিন হইতে বিরাট গবেষণা করিয়া আমি ইহা আবিষ্কার করিয়া ফেলিলাম। তবে, নীলঞ্জন বা সান্তনু একটা গাধা। দিবাকে আমার ভালোই লাগতো। যাইহোক, উচিত ফল পাইয়াছে। তবে, শায়মা ও যে এক বিশাল মক্ষীরাণী এ ব্যাপারেও কোন সন্দেহ নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.