নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধার রাত্রি ভোরের অনেক বাকী স্বপ্ন দেখার সুযোগ এখন তাই

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

মাহিরাহি

বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।

মাহিরাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আমার ৫ বছর আগের পোস্ট

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:০৮ |

উপরের তারিখে নীচের পোস্টটা দিয়েছিলাম, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে।



হজরত ওমর রা: সময় একটি ঘটনার কথা আমরা জানি। ওমর রা: ছেলে মদ্যপানের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে একশ দোররা মারার রায় দেন কাজী সাহেব। ওমরা রা: এর ছেলে বিধায় কাজী সাহেব যখন দোররা মারছিলেন তখন জেনেশুনে একটু আস্তে আস্তে মারছিলেন। হজরত ওমর রা: ব্যপারটি বুঝতে পেরে কাজীর হাত থেকে চাবুক ছিনিয়ে নিলেন তারপর গুনে গুনে একশ পর্যন্ত চাবুক চালালেন গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে। চাবুক মারা শেষ হলে ছেলে মৃত্যুবরন করল। যতই হোক বাপ উনি। সহ্য হোলনা তার নিজের ছেলেকে কোলে তুলে নিয়ে কান্নায় ভেংগে পড়লেন।

(জানিনা ঘটনাটা কতটুকু সত্য)

অনেকবছর আগে কোথায় জানি পড়ার সুযোগ ঘটেছিল আমেরিকার একটি ছোট্ট শহরে ঘটে যাওয়া একটি সত্যি ঘটনার কথা, যা নায্য বিচারের একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত হতে পারে। ঐ শহরের জজ সাহেব সত্যিকার অর্থের একজন সৎ বিচারক ছিলেন যার সুনাম ছিল শহরের মানুষের মাঝে এবং তারা সবাই তাকে খুবই ভালবাসতেন। ত জজ সাহেবের ছেলে একবার এক জঘন্য অপরাধ করে বসে। কিন্তু ছেলে হলে হবে কি, তার পাপের শাস্তি তাকে পেতেই হবে। জজ সাহেব বিচারে ছেলের মৃত্যুদন্ড ঘোযনা করেন। ঐদিকে আবার শহরবাসী জজের প্রতি তাদের ভালবাসার কথা মনে রেখে ছেলের দন্ড হ্রাসের জন্য আন্দোলন শুরু করল। কিন্তু জজ সাহেব 'হুকুম নড়েনা' বিস্বাসে অবিচল।

শেষে ফাসি যাতে কার্যকর না করা যায় তার জন্য শহরবাসী জজের বাড়ী ঘেড়াও করল।

ছেলেকে ছিনিয়ে নেবে ওরা। ন্যায়ের পক্ষে অবিচল জজ সাহেবও কম যান না।

বন্দুকহাতে ছেলেকে বারান্দায় দাড় করালেন, জনগনের দিকে তাক করে বললেন বাধা দিলে মাথার খুলি উড়িয়ে দেয়া হবে। তারপর ঐ বারান্দায় ছেলেকে ফাসির দড়িতে ঝুলিয়ে দিলেন।







সদিচ্ছা থাকলে শত বাধা সত্তেও যেকোন অপরাধের বিচার করা সম্ভব।



যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে গত ৩৭ বছর ধরে আমাদের দেশে আন্দোলন চলে আসছে, চলছে মিটিং মিছিল, টক শো আর বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি। এতে সবার সদেচ্ছার যে অভাব নেই তা বলাই বাহুল্য।



তারপর সংশয় থেকেই যায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীটি আমাদেরকে না শুনতে হয় আরো বহু বছর।



http://www.somewhereinblog.net/blog/mahirahiblog/28753740

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

ব্লগার রানা বলেছেন: দন্ডপ্রাপ্ত আসামী বাড়িতে কিভাবে থাকে?????

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৭

মাহিরাহি বলেছেন: ভাই অনেক আগে পড়েছি।


নেটে সার্চ করে পাইলাম, কিন্তু ঐ একি ব্যক্তি কিনা জানি না।

James Lynch Fitzstephen from Galway, Ireland, who was the Mayor of Galway when he hanged his own son from the balcony of his house after convicting him of the murder of a Spanish visitor in 1493.[6][7]
http://en.wikipedia.org/wiki/Lynching

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.