নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধার রাত্রি ভোরের অনেক বাকী স্বপ্ন দেখার সুযোগ এখন তাই

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

মাহিরাহি

বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।

মাহিরাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রগতিশীল কারা?

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

প্রগতিশীল কারা?

যারা ধর্মকর্ম মানে না, আধুনিক জীবন যাপনে অভ্যস্থ, মদ কিংবা মেয়েতে কোন দ্বিধা নেই।

পশ্চিমাদের জীবন যাপন যাদের কাছে অনুকরনীয়। সামাজিক বিধি নিষেধের তেমন কোন তোয়াক্কা করে না।

প্রগতিশীলদের এরূপ একটি সংজ্ঞা প্রায়শ:ই ভুতের মত আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়।

যার ফলে ধর্ম কর্ম করলেই আপনি প্রতিক্রিয়াশীল। মদ সিগারেটের ধারে কাছে না থাকলে বুঝতে হবে সামাজিক কিংবা ধর্মীয় অর্গল আপনি ভাংগতে পারেনি। ওগুলো গ্রহন করার মত উন্নত মন মানসিকতা আপনার গড়ে উঠেনি। শিল্প সাহিত্যে আপনি অতটা মেবাধী নন।

মেয়েদের নিয়ে রং তামাশা কোনদিন করেন নি ত আপনার কোন রসবোধই নেই। ওরা আপনার আশেপাশে কিংবা আপনি ওদের আশেপাশে ঘুরঘুর না করলে বুঝতে হবে আপনার মধ্যে আধুনিকতার ঘাটতি আছে। চিন্তাভাবনায় আপনি অনেক পিছিয়ে।



প্রগতিশীলদের আবার সাত খুন মাপ। কোন অনাচার ঘটালে মনে করা হয় ব্যপারটা স্বত:ষ্ফুর্ত। নিন্দনীয় কিছু নয়। তাই কোন মেয়েকে নিয়ে অশালীন কোন মন্তব্য করলে সেটা হয়ে উঠে নাইস হিউমার। মাতাল হয়ে মাতলামী করলে , অনেকে তাতে মেধার ঝিলিক দেখতে পান। আর কারো ধর্মীয় অনুভুতি নিয়ে হাসি খেলা করলে ত কথায় নেই। প্রগতিশীল কাতারে সামিল হওয়ার সবচেয়ে সহজ পন্হা এটি।

কাজে কর্মে এদের তেমন কোন প্রগতি লক্ষ্য করা যায়না, তাদের মেধার কোন স্বাক্ষর মেলে না কোথাও। এরা সমাজ থেকে সবটুকুও নেয়, দেয় খুব কিন্চিৎ।

তথাকথিত এইসব প্রগতিশীলদের চাইতে সমাজে একজন চাষা কিংবা মজুরের অবদান অনেক অনেক বেশি।

প্রকৃত প্রগতিশীলরা সবসময়েই সমাজে সংস্কার কিংবা পরিশুদ্ধির কাজটি করে যান নিরবে এবং অনেকটা অগোচরেই। সংস্কারের কাজটি হয় সবার কাছে গ্রহনযোগ্য এবং সহনশীল পর্যায়ের।

বীজ থেকে চারায় এবং চারা থেকে পুর্নাংগ গাছের পরিচর্যার ব্যাপারটি একটি দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া। এতে মেধা, পরিশ্রম আর ধৈর্যের প্রয়োজন সবচাইতে বেশি।

যারা কাজে কর্মে কিংবা বাক্যে অসহনশীল তারা প্রগতিশীল নয়।

যেসব প্রগতিশীলরা প্রতিক্রিয়াশীলদের চিন্হিত করতে তাদের মেধার প্রায় সবটুকুই খরচ করে ফেলেন তারা প্রাকারান্তে প্রতিক্রিয়াশীলদের কাতারে মেশে প্রতিক্রিয়াটাই দেখান বেশি।

আমরা প্রগতিশীলদের প্রগতি দেখতে চাই চিন্তা চেতনা আর তাদের কাজেকর্মে, কথায় কিংবা অকাজে নয়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩

কলাবাগান১ বলেছেন: প্রথম লাইনেই ঢালাও (generalized) ভাবে কথা বলাতে আপনার আসল উদ্দেশ্য বুঝা যায়

"প্রগতিশীল কারা?
যারা ধর্মকর্ম মানে না, আধুনিক জীবন যাপনে অভ্যস্থ, মদ কিংবা মেয়েতে কোন দ্বিধা নেই।"

আমি নিজেকে প্রগতিশীল বলেই মনে করি...। আপনি যা বললেন তার একটাও, আবার বলছি একটাও, আমার জীবনের সাথে মানায় না...

সোজা করে বললেই পারতেন

প্রগতিশীল কারা?
যারা চাদে মানুষের মুখ দেখা যাচ্ছে, তা বিশ্বাস করে না....

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

মাহিরাহি বলেছেন: আমি কোথাও বলিনি আওয়ামী লীগ করলে প্রগতিশীল হওয়া যাবে না, আর জামাতের প্রসংগ এখানে কেন। দলীয় চিন্তা ভাবনার বাইরে বেরিয়ে আসাটা কি কঠিন!

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

দিশার বলেছেন: ভাই বুঝতে পারি আপনি কোথায় দাড়িয়ে কথা বলছেন . প্রগতিশীল মানে মদ বা লুচ্চা মি নয়। আপনি সব কিছু কে এক কাতারে কেন ফেলছেন ? ধার্মিক লোক যেমন নেশা করে পরকিয়া করে, অধার্মিক ও করে .

ভালো মানুষ ধার্মিক যেমন আছে, সাইদী ও আছে যে ধার্মিক . তো সব ধার্মিক তো সাইদী না .

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: প্রগতিশীল = SHOEশীল (সুশীল)!

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

জানা বলেছেন:

@ লেখক,


আপনার পোস্টটি প্রায় আপত্তিকর বলে মনে হয়েছে। এভাবে ঢালাও মন্তব্য/বক্তব্য বা মনের মাধুরী মিশিয়ে এক আর এক দুই মেলানোর মত সোজা অংকের মত বিষয়টি নয় কিন্তু। মফস্বল, শহর এবং দেশ-বিদেশে জীবিকা নির্বাহ বা জীবন যাপন আপনাকে এই রকম সরলীকরণ অংক শিখিয়ে থাকলে তা আপনার জন্য যে ফলাফলই আনুক না কেন, আমাদের মত অতি সাধারণ জ্ঞান গরিমায় দীন-হীন পাঠকদের জন্য অত্যন্ত দুঃখ, বেদনা ও লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, হৃদয় ভঙ্গ হয়!!!

এই রকম একটি লেখায় আপনার দায়িত্বশীলতা প্রতিক্রিয়াশীলতা ও প্রগতিশীলতার মধ্যে পার্থক্য ও সম্পর্ক এবং দিনের আলোয় বিরাজিত প্রচলিত উদাহরণসমূহ বিশ্লষণে আমাদের মত নির্বোধদের আকাশ বাতাস কম্পিত হলেও কোনই ফলাফল দিতে পারেনা!

আমাদের দীনতা-হীনতা ক্ষমা করুন। :( :((








পোস্টটিতে একটি দায়িত্বশীল আলোচনার সুযোগ নেয়া যেতে পারে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

মাহিরাহি বলেছেন: গত ৭ বছরে আপনার ১ নং কিংবা ২নং মন্তব্যটি পেয়ে অত্যন্ত সুখী এবং খুশী দুটিই হয়েছি হয়েছি।

আমি যে কথাটি বলতে চেয়েছি তা হল একজন মানুষ ধর্মকর্ম ঠিক মত পালন এবং নিজের খুশীমত জীবন যাপন (যেমন মদ না খাওয়া, সুদ না খাওয়া) করেও প্রগতিশীল হতে পারে। অবশ্যই অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেও।

প্রগতিশীলতার প্রতিফলনটা খুব বেশি কাম্য অর্থনীতি, সমাজনীতি এবং রাজনীতিতে।

আচার আচরন আর কাপড়চোপড়ের চাইতেও।

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: পোষ্টে সহমত

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০২

জানা বলেছেন:


আমার মন্তব্যটির একটি ছোট্ট উত্তর দেয়ার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

মাহিরাহি বলেছেন: কিছুটা অপ্রাসংগিক হলেও,
তথাকথিত প্রগতিশীলরাদের দ্বারাও একসময় আপনারাও আক্রান্ত হয়েছিলেন।

Click This Link

৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

জানা বলেছেন:

আপনি যে উদাহরণ দিয়েছেন তাতো আর একটি মাত্র উদাহরণ নয়। এমন অজস্র রয়েছে। তাই বলে আমি বা আপনি বা যে কোন দায়িত্বশীল কেউ চোখ বুঁজে ঢালাও ভাবে প্রগতিশীলতা এবং প্রতিক্রিয়াশীলতার সরলীকরণ উদাহরণ দিতে যে পারিনা তা আশা করি বুঝবেন। প্রজ্ঞা, সততা, সত্যতা, সার্বিক দায়িত্বশীলতা এবং যাবতীয় সুস্থ চর্চার মত বিষয়গুলির গুরুত্ব কীভাবে দেখবেন? পাশাপাশি এইসব গুনাবলীর আপাত মুখোশে অপচর্চা, সুযোগ সন্ধান, স্বার্থান্বেষণ, সহিংসতাসহ নানান অপকর্মকে কীভাবে ব্যখ্যা করবেন?

আশা করি আমার মন্তব্য আপনাকে বিভ্রান্ত করেনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.