নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধার রাত্রি ভোরের অনেক বাকী স্বপ্ন দেখার সুযোগ এখন তাই

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

মাহিরাহি

বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।

মাহিরাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা কোনটি, আমাদের দেশটির সেক্যুলার হওয়াটা এত বেশি প্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে কেন?

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

আমাদের দেশটির সেক্যুলার হওয়াটা এত বেশি প্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে কেন? সেক্যুলার হয়ে গেলেই কি আমাদের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। সেক্যুলার হওয়ার উপকারীতা কি আর অপকারীতাই বা কি? তার আগে কিছু তথ্য দেওয়া যাক। পাকিস্তান সেক্যলার ছিল ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত (১০ বছর) বাংলাদেশ ১৯৮৮ সালের আগ পর্যন্ত আর ইরান খোমেনির আগ পর্যন্ত। মজার ব্যাপার ইরাক সেক্যুলার ছিল ২০০৫ সালের আগ পর্যন্ত। অনেকেই একমত হবেন যে শাহের আমলের চাইতে এখনকার ইরান অনেকদিক থেকেই এগিয়ে।

আফ্রিকার ২১টি দেশ সেক্যুলার। (বুরুন্ডি , বেনিন, ইথোপিয়া, সোমালিয়া, চাদ, মালি...)

আমেরিকার ১৪ টি দেশ (হন্ডুরাস, চিলি, মেক্সিকো, কিউবা, এল সালভাদর.....) এশিয়ায় ২০টি দেশ (উত্তর কোরিয়া, কিরঘিস্তান, নেপাল, লাওস, ভারত, জাপান, দক্ষিন কোরিয়া, মন্গোলিয়া.........)

ইউরোপের সবচাইতে গরীব দেশটির একটি আলবেনিয়া সেক্যুলার। এরা সবাই অফিসিয়ালী সেক্যুলার। উইকির মতে সেক্যুলার দেশগুলি ধর্মীয় ব্যপারে সবচাইতে বেশি অত্যাচারী হয়ে উঠতে পারে। যেখানে ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হওয়ার সুযোগ থাকে বেশি। এবং ধর্মের জায়গাটি নিয়ে নিতে পারে নাস্তিকতা।

Secular states run the risk of prefering nonreligion over religion or of establishing a religion of secularism

রাষ্ট্রের ধর্মের প্রতি বিরূপ কিংবা উগ্র আচরন স্পেন এবং মেক্সিকোতে গৃহযুদ্ধের সূচনা করেছিল।

কমিউনিস্ট দেশগুলোতে লক্ষ লক্ষ মানুষকে মরতে হয়েছিল এসব সেক্যুলার শাসকদের হাতে আর ধংস হয়েছিল প্রায় সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। সবগুলো দেশেই অর্থনীতির বারটা বেজে গিয়েছিল (সোভিয়েত রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, মংগোলিয়া, আফগানিস্তান, কম্বোডিয়া)।



সেক্যুলারিজমের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের অনেক সরকারী ছুটি পালন করা হয় ধর্মীয় উতসবগুলোকে মাথায় রেখে, ক্যাথলিক স্কুলের শিক্ষকেরা বেতন পান রাষ্ট্র থেকে। আমি জানি না বাংলাদেশে রাষ্ট্র পরিচালিত মাদ্রাসা কয়টি আছে।

আমেরিকায় মুদ্রায় খ্রিষ্টানদের গডের কথা লেখা থাকে, সংসদের শপথ নেয়া হয় হাতে বাইবেল রেখে। একবার প্রথমবারের মত এক হিন্দু ভদ্রলোকে গীতা হাতে কংগ্রেসে শপথ নিলে চারিদিকে গেল গেল বলে রব উঠে।

ওমাবার পরিবারকে হাত জোড় করে আমেরিকার জনগনকে বোঝাতে হয়েছে যে ওমাবা কখনো মুলসমান ছিলেন না, কেননা বিরোধী পদপ্রাথ্রী সদম্ভে বলেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ড কেবল একজন খ্রিষ্টানই হতে পারবেন।



এবার কয়টি দেশের নাম দেয়া গেল যেখানে রাষ্টধর্ম হিসাবে একটি ধর্মকে বেছে নেয়া হয়েছে।



ফিনল্যান্ড (Finnish Orthodox Church has a special relationship with the Finnish state.[17] The internal structure of the church is described in the Orthodox Church Act. The church has a power to tax its members and corporations if a majority of shareholders are members. The church does not consider itself a state church, as the state does not have the authority to affect its internal workings or theology.)



ডেনমার্ক (Church of Denmark)



আইসল্যান্ড (Church of Iceland)



নরওয়ে (Church of Norway)



ইংল্যান্ডের ২কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের উচ্চ কক্ষের (হাউস অব লর্ডের) ২৬ জন সংসদ সদস্য আসেন চার্চ থেকে। এই ২৬ জন মোল্লার আসন সংরক্ষিত। একবার ভাবুন ত বাংলাদেশের কথা মোল্লাদের জন্য সংসদে ২০টি আসন যদি সংরক্ষন করা হয়, কি রকম হৈ চৈ পড়ে যাবে।



শ্রীলংকা (Theravada Buddhism - The constitution accords Buddhism the "foremost place," but Buddhism is not recognized as the state religion.



থাইল্যান্ড (Theravada Buddhism)





উপরের তথ্যগুলো যাচাইবাছাই করলেই বোঝা যাবে আমাদের জন্য সেক্যুলার হওয়াটার প্রয়োজন আছে কিংবা নেই।





জীবন যাপনে আপনারা কি ধরনের সমস্যায় ভোগেন জানিনা, তবে আমাদের দেশের ৪০ ভাগ মানুষ এখনো দুবেলা খেতে পায়না এটা হয়ত অনেকেই জানেন না।

উত্তরবংগে মংগায় প্রতিবছর মানষদের চরম অর্থনৈতির দুর্বিপাকে পড়তে হয়, অনেকটা না খেয়ে মরার মত। গ্রামে গন্জের ইস্কুলগুলোতে ছেলেমেয়েরা দুএক ক্লাস পড়া শেষ করতে না করতেই ইস্কুল ছাড়ে জীবিকার তাগিদে, যদিও বই কিংবা মাইনের জন্য টাকা গুনতে হয় না। অথচ মোবাইল আর কিছু মাল্টি নেশনাল কোম্পানির এডগুলো দেখলে মনে হয় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে ব্যঘ্রের গতিতে উন্নতির সোপান বেয়ে। ঠিকই এগিয়ে চলেছে তবে বাংলাদেশ নয় গোটা কিছু মানুষ এদেশের রাজনীতি, ব্যবসাবানিজ্য, মিডিয়া ইত্যাদি সবকিছুই তাদের নিয়ন্ত্রনে। এদের উন্নতির চাকাতলে পিষে মরছে সিংহভাহ খেটে খাওয়া মানুষেরা (গার্মেন্টসের মেয়েরা এর সবচেয়ে বড় উদাহরন)। আবার একটি বড় অংশের সরকারি আমলা কর্মচারিদের যোগসাজশে চলেছে দেশকে ছিলে ছোবড়ে খাওয়ার মহা উৎসব।

দেশের এই যখন অবস্থা কিছু কিছু মানুষ সমস্যা খুজে বেড়াচ্ছেন অন্যত্র, জেনে বা না জেনেই কাজটি করছেন ওনারা।

রাতজেগে বয় বা গারলফেরন্ডের সাথে মোবাইলে কথা বলা যৌক্তিক না অযৌক্তিক। মদের লাইসেন্স প্রাপ্তি সহজতর করা উচিত না অনুচিত। পরকিয়া উপকারি না অপকারি? একটা মেয়ের দুটা ছেলের সাথে একসাথে প্রেম করাটা জায়েজ না নাজায়েজ। বাংগালি মেয়েদের বোরখা পড়া উচিত নাকি স্কার্ট পড়া উচিত।

একটি খেটে খাওয়া গার্মেন্টসের মেয়ের সমস্যাগুলো এক্ষেত্রে গৌণই বলতে হয়।

এদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলাটা অবান্তর কেননা এরা অতি সুবিধাভোগি সমাজের অংশ, এটের পেটের বা কাপড়ের চিন্তা নেই।

এখন আবার বল্গে শুরু হয়েছে বাকস্বাধিনতার রক্ষা কল্পে মহারণ, ধর্ম যার প্রধান উপজীব্য।

এক্ষেত্রে সেনসেটিভ ইস্যু হিসাবে ধর্মটা আবার সবারই পছন্দনীয়, এতে তথাকথিত সমাজের সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা খোচাখোচি ইন্টেলেকচুয়ালদের পোয়া বারো আর ধর্ম

বানিজ্যে মত্ত ধর্মব্যবসায়ীদের পোয়া চৌদ্দ।

দুপক্ষের সুবিধাবাদিরাই দেশের আর সমাজের জন্য ক্ষতিকারক ।

আশাকরি আমাদের দেশের ইন্টেলেকচুয়ালরা আমাদের সত্যিকার অর্থের সমস্যাগুলোতে দৃষ্টি দিবেন যাতে করে দেশের দেশের মানুষের সত্যিকার অর্থে মুক্তি ঘটে।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

ভীতু সিংহ বলেছেন: মনের কথাটা বলেছেন। বাংলাদেশে চিন্তা ভাবনা করার জন্য আরও অনেক সমস্যা আছে, আস্তিক-নাস্তিকের মত ফালতু বিষয়ের চেয়ে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

মাহিরাহি বলেছেন: The insufficient power supply constitutes an obstacle to growth.[80] According to the World Bank, "among Bangladesh’s most significant obstacles to growth are poor governance and weak public institutions.

http://en.wikipedia.org/wiki/Bangladesh

বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচাইতে বড় বাধা দূর্বল অবকাঠামো, সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ঠিকমত কাজ না করা (ঘুষের কথা নাই বললাম), আমলাতান্ত্রিক জটীলতা, রাজনীতিতে বেনিয়াদের সর্বোচ্চ অংশগ্রহন, দূর্নিতী, দলীয়করন।

এগুলোর কোনটারই ধর্মের সাথে সম্পর্ক নেই।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

েমাঃ আবু বকর বলেছেন: ধন্যবাদ সন্দর লেখার জন্য

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

নায়করাজ বলেছেন: ধার্মিক হ্ওয়াটা বাস্তব জীবনে কোন প্রভাব ফেলে না। মাদ্রাসার ছাত্ররা যখন কোরানের পাতা কেটে মোজার মধ্যে ভরে নিয়ে যায় নকল করার জন্য, তখন বোঝা যায়, ধর্ম বাস্তব জীবনে খুব কাজে দেয় না।
চাকুরি, ব্যবসা বা আর্থিক কর্মকাণ্ডে ধর্মকে না জড়ালেও হয়। সব ধর্মের লোকের কিছু কিছু আচরণ প্রায় এক। সবাই ভালোবাসা চায়, অর্থ সম্পদ চায়, সুখী হতে চায়, সাফল্য চায়। এই চা্ওয়ার সঙ্গে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই। এমনকি যখন পৃথিবীতে এত এত বড় ধর্ম ছিল না, তখন্ও পৃথিবী তার নিজের নিয়মে চলত।
তবে ধর্মের বড় সুবিধা হল, অন্যকে ভালো হ্ওয়ার উপদেশ দিয়ে নিজেকে মাদবর হিসেবে জাহির করা যায়। যেটা পুরোহিত শ্রেণী করে থাকে।

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

মাহিরাহি বলেছেন: Although Pakistan was founded as a separate state for Muslims in the Indian subcontinent in 1947, it remained a Dominion in the British Commonwealth and did not immediately become an Islamic state. Although the 1949 Objectives Resolution envisaged an official role for Islam as the state religion, the state retained the most of the laws that were inherited from the secular British legal code that had been enforced by the British Raj since the 19th century. In 1956, the state adopted the name of the "Islamic Republic of Pakistan", declaring Islam as the official religion, but did not take any further measures to adopt Islamic laws. The country's military rulers General Ayub Khan (1958-1969) and General Yahya Khan (1969-1971) continued a secularist tradition and repressed much of Islamist political activism.

http://en.wikipedia.org/wiki/Secularism_in_Pakistan

আইয়ুব খান আর বাংলাদেশে গনহত্যার মূল হোতা ইয়াহিয়া খানও সেক্যুলার ধারায় পাকিস্তানকে শাসন করেছিলেন।

তাহলে বুঝুন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ধর্ম কোন ইস্যু ছিলনা, আসল উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতার লোভ।

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

রাইতের কইতর বলেছেন: ভাল বলেছেন ভাই,ফরজ নিয়ে আমদের মাথা ঘামানো উচিত,নফলের চিন্তা পরে করলেও চলবে। X(

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১২

নায়করাজ বলেছেন: বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ধর্ম কোন ইস্যু ছিলনা, আসল উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতার লোভ।

আপনি ঠিক বলেছেন। কিন্তু ক্ষমতার জন্য তারা ধর্মকে ব্যবহার করেছে। ধর্মকে ব্যবহার করার কারণে জামায়াতে ইসলামীর দ্বারা রাজাকার, আল বদর, আল সামস প্রভৃতি বাহিনী তৈরি করে গণহত্যা, গণধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও ধর্মান্তরকরণ প্রভৃতি অপরাধ করাতে পেরেছিল।
ধর্ম ব্যবসায়ীরা সব সময় ক্ষমতার লোভে ধর্মকে ব্যবহার করে। সাধারণ মানুষ ধর্মের নামে বলা কথায় খুব দ্রুত বিভ্রান্ত হয়।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

মাহিরাহি বলেছেন: ৭১ এ ধর্মকে ব্যবহার করার চেষ্টা চালানো হয়েছিল, কিন্তু মানুষ বিভ্রান্ত হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.