নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধার রাত্রি ভোরের অনেক বাকী স্বপ্ন দেখার সুযোগ এখন তাই

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

মাহিরাহি

বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।

মাহিরাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডন কুইক্সোট

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

ডন কুইক্সোট উপন্যাসটিকে বলা যায় স্পেন সাহিত্যের সবচাইতে বিখ্যাত উপন্যাস হিসাবে। কিছুটা কমিক কিছুটা ট্র্যজিডিধর্মী এই উপন্যাসটি ১৭ শতাব্দীর স্পেনীয় সমাজের চিত্র তুলে ধরেছে।

মুল চরিত্রটি একজন বর্ষীয়ান আদর্শবাদী নাইটের যিনি তার পুরানো ঘোড়া আর বস্তুবাদী সংগী সানচো পাঞ্জাকে নিয়ে বের হন এডভেনচারে।

মুলতবর্ষীয়ান এই গ্রাম্য ভদ্রলোক চিভারলি বইগুলো পড়তে পড়তে বইগুলোতে ঘটে যাওয়া অসম্ভব ঘটনাগুলো বিশ্বাস করতে শুরু করেন। বইগুলোর প্রতিটি শব্দ তার কাছে মনে হতে লাগল সত্য । নিদ্রাহীনতা, ক্ষুদা আর বেশি পড়াশুনায় একসময় ভদ্রলোকের মতিবিভ্রম ঘটে। একসময় তিনি সিদ্ধান্ত নেন নাইট হিসাবে এডভেনচারে খোজে বেরিয়ে পড়ার।

তিনি তার পুরানো বর্ম, হেলমেট পড়ে নিজেকে ঘোষনা করলেন ডন কুইক্সোজ ডে লা মানচা হিসাবে। নিজের চামড়াসার ঘোড়াটির নাম দিলেন রোসিনানতে। পাশের এক চাষীর মেয়েকে বানালেন লেডিলাভ, নতুন নাম দিলেন তবসোর ডুলসিনেকা, যার সেই মেয়েটি কিছুই জানতনা। পরের দিন সকালে রওয়ানা দিয়ে তিনি পৌছলেন এক গ্রামের হোটেলে যাকে তিনি মনে করলেন একটি প্রাসাদ আর হোটেলকিপারকে মনে করলেন লর্ড। তাকে অনুরোধ করলেন তাকে নাইট হিসাবে ভুষিত করার জন্য। ডন কুক্সোট সারা রাত তার বর্মটি রাখলেন সতর্কতার সাথে, সেসময় তিনি পশুরক্ষকের সাথে যুদ্ধে অবতীরন হলেন যে কিনা তার ঘোড়ার খাবারের কনটেইনার থেকে বর্মটি সরিয়ে নিল যাতে করে সে তার পশুগুলোকে পানি দিতে পারে। শেষমেষ হোটেলকিপার নিরুপায় হয়ে তাকে নাইট উপাধি দিলেন এবং সাথে এই উপদেশ দিয়ে ফেরত পাঠালেন যে তার একজন অধিনস্তের প্রয়োজন। ফেরার পথে ডন কুইক্সোট ব্যবসায়ীদের সাথে সংঘর্সে জড়িয়ে পড়েন যারা তার কল্পনার ডুলসিনেকাকে অপমান করেছিল। এবং তিনি একটি বালককেও মুক্ত করেন যার মনিব তাকে গাছে বেধে রেখেছিল সে তার তার পাওনা মজুরি চাইতে গিয়েছিল বলে।অবশেষে প্রতিবেশী এক চাষীর সহায়তায় তিনি বাড়ি ফেরেন।

বাড়ি ফেরে ডন কুইক্সোট আবার পালাবার পায়তারা করতে থাকেন, এরিমধ্যে ভাতিজা, কাজের লোক এবং নাপিত মিলে লূকিয়ে তার চিভারলির বইগুলোর প্রায় সবগুলো বই পুড়িয়ে ফেলল এবং এই বলে লাইব্রেরীতে তালা লাগিয়ে ফেলল যে কোন এক যাদুকর এসে সব নিয়ে গেছে। ডন কুইক্সোট তার আর একজন প্রতিবেশি সানচো পাঞ্জাকে একটি অলীক দ্বীপের গভরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সংগী হওয়ার প্রস্তাব দিল। অধিকতর নির্বোধ সানচো পাঞ্জা তার এই প্রস্তাবে রাজী হয়ে গেল। ডন কূইক্সোটের সাথে সানচো পাঞ্জার সম্পর্কটি মসৃন না হলেও একের পর এক ব্যর্থ অভিযানে তারা পরস্পরের সংগী ছিল। মনে মনে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা পোষন করতেন।

এডভেনচারে বেরিয়ে অতুত্তসাহী, অতি উত্তেজিত ডন কুইক্সোট বাস্তবজ্ঞানবিবরজিত হয়ে পড়ল। উইন্ডমিলকে সে আক্রমন করে বসল অন্যায়কারি এক দৈত্য মনে করে, ভেড়ার পালকে তার মনে হল সৈন্যবাহিনী আর দাসদের মনে হল অত্যাচারিত ভদ্রলোক।

ডন কুইক্সোট নিজে হুয়াইট মুনের নাইটের (যে ছিল কিনা ছদ্দ্যবেশধারী তার এক পরিচিতের ছাত্র) সাথে দৈত্বযুদ্ধে জয়ী হল।

ডন কুইক্সোট তার নিজস্ব এই কল্পনার জগত গড়ে তুলেছিলেন অতি নিষ্ঠা আর যত্নের সাথে।

নিজের গ্রাম লা মনচাতে একসময় ফিরে যান এই নায়ক। মানসিকভাবে সুস্থ্য হওয়ার পর চিভারলির সাথে তার সব সম্পর্কের অবসান ঘটান। এবং একমাত্র তার মৃত্যুশয্যায় তার অতীত এডভেনচারের নিরবুদ্ধিতার কথা নিজের পাগলামীর স্বীকার করেন।

আমাদের সামহ্যোয়ার ইনে এমন কেউ কি আছেন যারা হিরো হওয়ার বাসনায় ডন কুইক্সোটের মত এক অলিক জগতে বিচরন করেন আর বিভিন্ন ভিলেইন ভার্চুয়াল চরিত্র গড়ে তুলে আক্রমন চালান শব্দের তলোয়ারে। বাস্তবিকে যেই চরিত্রগুলো খুবই নিরীহ গোছের।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

রওনক বলেছেন: পোস্ট আর্কাইভ দেখা াপনাকে ঠিক খুবই নিরীহ গোছের বলে মনে হচ্ছে না!!!

২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

আরজু পনি বলেছেন:

শেষের প্যারাট বিশেষ কারণে পছন্দ হইছে B-))

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৩৩

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪১

দি সুফি বলেছেন: মিগুয়্যেল ডি সার্ভান্তেসের অসাধারণ একটি উপন্যাস। বেশ কয়েকবার পড়েছি এটা।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৩৪

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৫

পেন্সিল স্কেচ বলেছেন: ++++++++

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৩৪

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৫

ধূসর পানিপোকা বলেছেন: পছন্দের উপন্যাসের একটি ।

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৩৪

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: +

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

মাহিরাহি বলেছেন: Thanks

৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ভাল রিভিউ লিখেছেন। আরও লিখুন। :)

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

কয়েস সামী বলেছেন: ফিনিশিং চমৎকার। আর, বইটা আমার একটা প্রিয় বই। ভাল থাকুন।

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

মাহিরাহি বলেছেন: আপনিও ভাল থাকুন

৯| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

কালোপরী বলেছেন: ++++++++++++

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫০

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.