নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধার রাত্রি ভোরের অনেক বাকী স্বপ্ন দেখার সুযোগ এখন তাই

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

মাহিরাহি

বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।

মাহিরাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমের সমাধি

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

রাসেল দেশে ফেরল শুধুমাত্র জোশনার খাতিরে।

যদিও ৫ বছর আগে তার দীর্ঘ দিনের প্রেমিকাটির বিয়ে হয়ে গিয়েছিল পাশের গ্রামের আরেকটি ছেলের সাথে। জোশনাও মন থেকে বরটিকে গ্রহন করতে পারেনি।

তাই এবারের পরিকল্পনা পুরোনো প্রেমিকার হাত ধরে পলায়ন।

বিমান বন্দর থেকে নেমে সোজা বাস ষ্ট্যান্ডে।

কিন্তু কপাল মন্দ ছুটির মওসুম হওয়াতে বাসের টিকেট একটিও অবশিষ্ট নেই।

নিজ এলাকার এক ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় হয়ে গেল এরি মধ্যে। তিনিও দেশে ফিরছেন। রাসেকের বাড়ী ফেরার তাগাদা দেখে, রাসেলের প্রতি সদয় হয়ে তার টিকেট দিতে রাজী হলেন এক শর্তে। তার একটি চিঠি আর কিছু ঔষধপত্র পৌছে দিতে হবে তার বৌ এর কাছে।

মনের আনন্দে ট্রেনে চড়ল রাসেল। আনন্দ শতগুন বেড়ে গেল যখন চুড়ি করে চিঠিটা পড়ে ফেলল কিছু দুষ্ট চরিত্রের রাসেল। কেননা চিঠিটা আর কেউ নয় জোশনার হাতেই পৌছে দিতে হবে।



বাস গন্তব্যে পৌছলে তড়িঘড়ি করে জোশনার শশুর বাড়ীর দিকে নাচতে নাচতে রওয়ানা দিল সে, রাত তখন অনেক।



জোশনার বাড়ীর কাছাকাছি একটা অন্ধকার মত জায়গায় কয়জন লোক ঘিরে ফেলল তাকে। সবকিছু দিয়েও লোকগুলোর পরিত্রান মিলল না রাসেলের। তাদের উদ্দ্যেশ অন্যকিছু।



আজ রাতেই এই পথ ধরেই ফেরার কথা ছিল জোশনার স্বামীর।

তাই প্রেমের যে পথটি তাতে কাটা হয়ে দাড়িয়েছিল যে লোকটি তাকে অর্থাত স্বামীকে সরিয়ে দিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা নেয় মেয়েটি। রাসেলের জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত ছিল জোশনা।



কিন্তু জোশনা কল্পনাও করতে পারেনি তার পরিকল্পনায় স্বয়ং তার প্রেমিকটিই প্রান হারাতে বসেছে। প্রেমের সমাধি রচনার প্রাথমিক কাজটি সেরে ফেলতে চলেছে দৃর্বত্তগুলো তারই নির্দেশে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫২

কালোপরী বলেছেন: :| :|

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

বাঁধলেই বাঁধন বলেছেন: কাহিনীটা সস্তা কিন্তু মজার!

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

মাহিরাহি বলেছেন: Thanks.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.