নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধার রাত্রি ভোরের অনেক বাকী স্বপ্ন দেখার সুযোগ এখন তাই

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

মাহিরাহি

বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।

মাহিরাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী এবং ইসলাম

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

বাইবেলে নারীদের বলা হয়েছে নরকের দ্বারস্বরূপ। ইহুদিরা ,,,,,,,,। হিন্দু ধর্মে ,,,,,,,। সতিয়কার অর্থে কোন ধর্ম নারীদের মর্যাদা দিয়া থাকিলে তাহা হইল ইসলাম। যদিও ইসলাম ধর্মে নারীদের প্রকৃত অবস্থানটি স্পষ্ট নয়।
বহু বছর আগে শরত চন্দ্র চট্টোপধ্যায়ের একটি প্রবন্ধ পড়েছিলাম যেখানে তিনি নারীদের মর্যাদার ব্যপারে বিভিন্ন ধর্মের অবস্থান তুলে ধরেছিলেন।

বাংগালী আর মুসলমানদের মধ্যে ফুটবল খেলা হইতেছে।
অথচ শরত চন্দ্র চট্টোপধ্যায়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তোলা হয়েছিল তার একটি উপন্যাসে উপরোক্ত উক্তির জন্য।

৫০ বছর আগেও আমেরিকাতে একজন নারী নিজের নামে কোন সম্পদ রাখতে পারত না, অথচ ইসলাম নারীদের এ অধিকারটি দিয়েছিল ১৪০০ বছর আগে।

বিধবাদের বিয়ের ব্যপারে ইসলাম কোন বাধা রাখেনি, এমনকি একজন নারীকে তালাক দেয়ার অধিকারও দিয়েছে, অন্যান ধর্ম কি এই অধিকারগুলো দিয়েছে?

গত বিশ বছরে ভারতে প্রায় এককোটি মেয়ে শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। জন্মের পরে কিংবা আগে। আর এ কারনেই ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যে জন্মপুরবরতি ভ্রুন নির্ধারন আইন দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
হাদিসে আছে যে তার দুটি শিশুকন্যাকে শিক্ষা দিয়ে বিয়ের ব্যবস্থা করল তার জন্য বেহেস্ত ওয়াজিব।
এমনকি বলা হয়েছে যে তার মেয়ে দাসীকে শিক্ষা দিয়ে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিল তার জন্য রয়েছে উত্তম পুরস্কার।
ভারতীয় মুসলমানদেরকে হয়তবা উপরোক্ত হাদিসটিই এই গর্হিত কাজটি থেকে বিরত রেখেছে।এর প্রমান প্রাক ইসলামে কন্যাশিশু হত্যার মত জঘন্য কাজটি ইসলাম আবির্ভুত হওয়ার পর রহিত হয়েছিল।
আপনি কি এমন একটি প্রতিষ্ঠানের কথা বলতে পারবেন যেখানে একজন প্রতিষ্ঠান প্রধান নেই।পরিবারকে বলা হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান। 
পরিবারকে যদি একটি প্রতিষ্ঠান বলে ধরে নেয়া হয় সেখানে একজনের প্রাধান্য থাকাটাই শ্রেয় নয়কি।
এরজন্য সংসারের বয়োজেষ্ঠ পুরুষটি সবচাইতে যোগ্যতর নন কি। সন্তান প্রশবের সময় একজন মেয়ে কি রকম অসহায় হয়ে পরে তা কারো অজানা নয়, এসময়কি তার পক্ষে সম্ভব সংসারের হাল ধরা।
অলিম্পিকের এমন একটি ইভেন্টের কথা বলতে পারবেন কি যেখানে মেয়েরা পুরুষদেরে অতিক্রম করতে পেরেছে, বিশ্ব রেকর্ডের ক্ষেত্রেও মেয়েরা পুরুষদের চাইতে পিছিয়ে নয় কি?
এটা মেনে না নিয়ে আর ঊপায় নেই যে শারিরীকভাবে মেয়েরা দুর্বল হয়ে থাকে। পুরুষদের এই শ্রেষ্ঠত্ব প্রকৃতিগতভাবেই স্বাভাবিক এবং এতে নারীদের অমর্যাদার কিছু নেই।
নারীদের সৌন্দর্য তার কোমলতায়, নমনীয়তায়। পেশীবহুল পুরুষদের মেয়েরা পছন্দ করলেও পেশীবহুল মেয়েকে কয়জন পুরুষ পছন্দ করবে। গবেষনায় দেখা গেছে সারা প্বথিবীতে পুরুষদের চাইতে নারীদের গড় আয়ু এই কারনে বেশী যে তারা জীবনের বেশিরভাগ সময় ঘরের নিরাপদ পরিবেশে বাস করেন। বাইরের কঠিন পরিবেশে কঠিন শ্রমের কাজগুলো তাদেরকে করতে হয় না।

চলুন একজন ঠেলাওয়ালার জীবনে সব ক্ষেত্রেই নারী পুরুষ সমান শ্লোগানটির কার্যকারিতা দেখি।
এখানে ঠেলাওয়ালা লিখে লিংগভেদ করা হচ্ছে না, কেননা আমি জীবনে কোন ঠেলাওয়ালী দেখিনি।
ধরুন তারা ঠিক করে নিল দৈনন্দিন জীবনে সব কাজকর্ম ভাগ করে নিবে।
একদিন ঠেলাওয়ালা ঠেলা চালাবে আর তার বৌ রান্নাবান্না করবে।
আরেকদিন তার বৌ ঠেলা টানবে আর ঠেলাওয়ালা রান্নাবান্না করবে।
কিন্তু এভাবে কি চালানো সম্ভব?
কেননা তার বৌ একসময় ৮ মাসের অন্তসত্বা হবে।
ইদানিং ডাক্তার মায়ের দুধের বিকল্প নাই বলে গলা ফাটান।
তাহলে খুব দ্রুত মায়ের দুধের বিকল্প আবিস্কার করতে হয়।
আরো ভাল হয় একটা সন্তান ঠেলাওয়ালা আর একটা সন্তান ঠেলাওয়ালি ধারন করলে।
উত্তরাধিকারে সমান অধিকারের প্রশ্নটি ঠেলাওয়ালার জীবনে কিন্তু কোন পরিবর্তন আনবেনা। যেমনটি আনবেনা ৩০ লক্ষ নারী গার্মেন্টস কর্মীদের জীবনে, কেননা তারা দিন আনে দিন খায়।




আমার উপর কার হক বেশি?
এক সাহাবীর এই প্রশ্নের উত্তরে নবিজি সাঃ বলেছিলেন, তোমার মার।
তারপর কার?
তোমার মার।
পরপর তিনবার তিনি একই উত্তর দিয়েছিলেন।
চতুরথবারের উত্তরে বলেছিলেন তোমার বাবার।
অর্থাত পরিবারে একজন মাকে (নারীকে) বাবার (পুরুষের) তিনগুন বেশি মর্যাদা হয়েছে।

আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে যে ব্যক্তি তার স্ত্রির কাছে উত্তম সে প্রকৃত অরথে উত্তম।

এসব কিছুতে প্রমানিত হয়না যে অনেক ক্ষেত্রে নারীদেরকেও সম্মানের প্রশ্নে পুরুষের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে।
দুটো পরিসংখানের কথা বলি।
আমেরিকার ৫০% এর উপরের মহিলারা স্বামীর চাইতে তার কুকুরকে বেশি ভালবাসে।
আমেরিকাতে ইসলাম ধর্মে যারা ধরমান্তরিতে হচ্ছে তার বেশিরভাগ মেয়েরা।
নারীদের অধিকারের আন্দোলনে সোচ্চার পাশ্চাত্যের পুরুষদের প্রতি তাদের মেয়েদের এই বৈরি আচরনের কারন কি?


তাকে হয়ত একজন নারীবাদী বলা যাবে না কিন্তু ১৪০০ বছর আগে তিনি নারীদের জন্য যা করেছেন তা আজকের একজন নারীবাদীর পক্ষে করা অসম্ভব ছিল।
আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মহিলা প্রফেসরের ন্যাসনাল জিওগ্রাফির একটি অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এই কথা বলেন।


কিছুদিন আগে আমেরিকার একটি শহরে অশালীন কাপড় চোপড় পড়ার দায়ে ছেলেদের (মেয়েদের কেন নয়?) জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
পশ্চিমা বিশ্বে নানরা বোরখা জাতীয় কাপড় পড়ে। অবশ্যই নানরা পশ্চিমা মেয়েদের কাছে সম্মানের পাত্রী।
প্রবল শীতেও দেখা যায় পশ্চিমা দেশগুলোতে মেয়েরা স্কার্ট পড়ে হাটছে। কিন্তু কেন?
অলিম্পিকে যারা জিমিনাস্টিক দেখেন তারা নিশ্চয় দেখেছেন মেয়েরা স্বল্পবসনা হয় ছেলেরা ট্রাউজার পরে, কিন্তু কেন?
একটি আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন ছেলেকে যদি বলা হয় রংগচংগ মেখে মেয়েদের দৃস্টি আকর্ষনের জন্য পাড়ায় একটা চক্কর মেরে আসতে তাহলে কি সে রাজী হবে।
তাহলে একটি মেয়েকেও কেন তার সৌন্দর্যকে বাজারজাত করতে হবে বাড়তি মুনাফা লাভের জন্য? তার যোগ্যতাটা তার মুল্যানের মাপকাঠি হবেনা কেন, যা ঘটে একটি ছেলের ক্ষেত্রে।
আমি হয়ত গোছিয়ে লেখতে পারেনি কিন্তু যা বলতে চেয়েছি তা হল মেয়েরা তাদের দেহ রুপ সৌন্দর্যকে পুজি করে কিছু করতে গেলে তা মেয়েদেরকে ডিসক্রিমিনেসন করা হয় এই অর্থে তোমার যোগ্যতা নেই তাই শরীর দিয়ে পুষিয়ে নাও। তাই কাপড় চোপড়ে মেয়েদের শালীন হওয়াটা আরো জরুরী।
তাই মেয়েদেরকেই সচেতন হতে হবে তাদেরকে যেন বাজারের শোকেসে রাখা চকচকে লোভনীয় পন্য না করা না হয়। কিছু কিছু নারীবাদী সতিকার অর্থে মোনাফালোভী মেয়েদের পন্য বানানোর কাজটি সুকৌশলে করছে নারী মুক্তির নামে। সতিকার অর্থে নারীদের মুক্তি ঘটুক এটা প্রত্যেক সভ্য মানুষের কাম্য। কেননা একজন মানুষের সবচাইতে কাছের যে মেয়ে মানুষটি, সে তার মা। কেউ তার মাকে অবহেলিত, নির্যাচিত, তার অধিকার বন্চিত হিসাবে কখনোই দেখতে চাইবে না।


নারীবাদিরাও অনেক সময় কোন একটি ইস্যুতে বিপরীত অবস্থান গ্রহন করতে পারে।
নিচের উদাহরনটির কথা ভাবা যাক।
যৌন কর্মীদের পেশাটিকে নারীবাদীদের প্রধান অংশটি কখনো নারীদের জন্য ক্ষতিকারক কিছু মনে করে না। নারীরা এতে করে অবস্থার শিকার বলতেও তারা নারাজ। এমনকি নারীদের নিরাপত্তার কথা বলে এই পেশাটি বিলোপ করারও বিরোধি তারা। উপরন্তু এই পেশায় নিয়োজিতদের অবস্থার উন্নতির কথা বলে তারা।
অথচ এনডেরা ডওরকিন নামক একজন নারীবাদি লেখিকা মনে করেন কমার্শিয়াল সেক্স রেপ ছাড়া কিছুই নয় যা নারীদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে ভিকটিমাইজ করা হয়। এই ভদ্রমহিলা একজন এক্স যৌনকর্মী ছিলেন। তিনি এই পেশাটির নি:শর্ত বিলুপ্তি চান। তার মতাদর্শের নারীবাদিদের ধারনা এতে করে নারীদেরকে পুরুষদের উপভোগের বস্তু বানিয়ে তাদেরকে এক্সপ্লোয়েট করার সুযোগ করে দেয়া হয়।
আদতেই এটি সত্যি আমেরিকাতে এটি মেয়েদের জন্য সবচাইতে ঝুকিপুর্ন পেশার একটি। প্রতি একলাখ যৌনকর্মীদের মধ্যে ২০৬ জনের মত খুনের শিকার হন। এছাড়া যৌনবাহিত রোগের ঝুকির মধ্যেও তাদেরকে থাকতে হয়। অধিকাংশ আমেরিকান মনে করে এটি একটি অনৈতিকাজ তাই উভয় পক্ষকেই বিচারের সম্মুখিন করা উচিত। নিউইয়র্কের গভর্নরকে শেষপর্যন্ত তার পদ ছাড়তে হয়েছে এই কারনেই।
মেডিকেলের সাথে সম্পৃত্তরাও জীবননাশী রোগের কারন বলে পেশাটির অবলুপ্তি চান।
এই পেশাটিকে জিইয়ে রাখার জন্য হিউমেন ট্রাফিকিংয়ের মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলো থেকে উন্নত বিশ্বে নারী পাচারের ঘটনা ঘটে। এইভাবে রাশিয়া থেকে গ্রীসে পাচার হয়ে যাওয়া এক নারীর কাহিনী শুনেছিলাম বি বি সিতে। উনি কাদতে কাদতে বলেছিলেন এর চাইতে আমার মৃত্যু শ্রেয়।
এজাতীয় ফোর্স লেবারের বিশ্ব বাজার ৩১ বিলিয়ন ডলারের, যার অর্ধেকটা যায় শিল্পোন্নত দেশের মানুষের পকেটে।
আজকে যারা নারীস্বাধীনতের কথা বলে পশ্চিমাদের সাথে গলা মেলান তাদের কাছে আমার প্রশ্ন পশ্চিমারা চেষ্টা করলে কি পারেনা কোটির উপর নারীদের এই অবমাননাকর জীবন থেকে রেহাই দিয়ে সম্মানের জীবনে ফিরিয়ে আনতে।



নীচে কিছু পরিসংখ্যান দিলাম। যে পরিসংখ্যানটা ইউরোপের, যেখানে সামু বুদ্ধিজীবিরা মনে করেন মেয়েরা সবচাইতে বেশি স্বাধিনতা ভোগ করেন, ইসলামের মত তাদেরকে বোরখায় ঢেকে রাখা হয়না, যা কিনা সব অনিষ্টের মূল।
পরিসংখ্যানটা আবার ইউনিসেফের, লাদেনের না।

অস্ট্রিয়ায় কর্মস্থলে শতকার ৮০ জনের মত মহিলা জীবনে একবার কিংবা একাধিকবার বিভিন্ন মাত্রার যৌন নির্যাতনের শিকার হন।

জার্মানীতে কর্মস্থলে শতকার ৭২ জনের মত মহিলা জীবনে একবার কিংবা একাধিকবার বিভিন্ন মাত্রার যৌন নির্যাতনের শিকার হন।

লুক্সেমবার্গে জীবনে অন্তত একবার ৭৮% মেয়ের যৌন নির্যাতনের শিকার হন।

হল্যান্ডেও একই অবস্থা উপরন্তু ৩৬% মেয়েরা রীতিমত ভায়োলেন্সের শিকার হন।

ইংল্যান্ডে প্রতি ৪জনে তিন জনে মেয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হন।

বেশির ভাগে নির্যাতনকারী হয় বস কিংবা কলিগ।

পুরুষতান্ত্রিকতার দোহাই দিতে গিয়ে আবার কিছু আবোল তাবোল গাইলেন ঐ নাস্তিক।

কিন্তু এটা বুঝতে কারো বাকী থাকার কথা নয় যে বদ তার কোন নারী পুরুষ ভেদ নেই।

ইউরোপে ৫% ক্ষেত্রে পুরুষেরা মেয়েদের দ্বারা নির্যাতিত হয় আবার ক্যলিফোর্নিয়ার নাকি ইদানিং পুরুষের দ্বারা পুরুষ নির্যাতনের হার বেশ বেড়ে গেছে।

Click This Link

আবার ওখানে যুক্তি দেখানো হলে মেয়ে ছেলেদের মেশামেশিটা অবাধ হলে নাকি ঈভ টিজিং কমে যেত।

আপনাদের কি মনে হয়না দশ বছরের আগের চাইতে ছেলে মেয়েরা আরো বেশি মেলামেশার সুযোগ পাচ্ছে। সবকিছুই আরো বেশি খোলামেলা নয়কি। তাহলে ত দশ বছরের আগের চাইতে এ জাতীয় ঘটনা একেবারেই কমে যেত নয়কি
যাহোক আমাদের দেশের কর্মস্থলে মেয়েদেরকে এখনো যথেষ্ট সম্মান করা হয়। যৌন হয়রানির ঘটনাও কম।

কিন্তু কিছু সামু বুদ্ধিজীবিরা আশা করছেন পশ্চিমা কালচারে পারদর্শী হয়ে আমরা নারীদেরকে (মা, বোনদের) আরো বেশি উন্মুক্ত করার সুযোগ খুজব, আর সুযোগ খুজব আরো বেশি যৌন নির্যাতনের।




যারা উন্নত বিশ্ব থেকে ঐ দুনিয়ার মানুষগুলো সাথে গলা মিলিয়ে নারীদের ক্ষমতায়ন আর নারীদের সমান অধিকারের কথা বলেন তারা এমন একটি বিশ্বের কথা বলেন না কেন যেখানে সব মানুষের সমান অধিকার থাকবে।
উন্নত বিশ্বের মানুষের মাথাপিছু আয় গরীব দেশগুলোর মানুষদের চাইতে একশগুন হবে কেন। তাদের কাছে প্রশ্ন দুনিয়ার ৫ শতাংশ মানুষ কেন দুনিয়ার ৯৫ শতাংশ সম্পদ ভোগ করবে। পাশাপাশি তারা কেন নিয়ত্রন করবে দুনিয়ার গরীব মানুষগুলোর রাজনীতি থেকে শুরু করে অর্থনীতি পর্যন্ত।

সরকারি মতে ভুমিহীনদের সংখ্যা ৬০ শতাংশের কাছাকাছি। বেসরকারি মতে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি।
ক্ষেতমজুর, সাধারন মজুর, ছোট ব্যবসায়ী, ছোট চাকুরে এদের কোনপ্রকার সম্পদ নেই। এদের বৌ ঝিদের সংখ্যা মোট নারীর ৭০ শতাংশের কাছাকাছি হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত।
এদের সাথে যোগ করা যায় ৩০ লক্ষ নারী শ্রমিকদের যারা বিভিন্ন গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকুরি করেন। এই ৭০ শতাংশ নারীরা সমাজের সবচাইতে ভংগুর শ্রেনীর। সামাজিক অর্থনৈতিক কোন নিরাপত্তা নেই। এরাই সবচাইতে ঝুকির মধ্যে থাকে পাশের পুরষটি কর্ত্বক নির্যাচিত হওয়ার। রাহেলার ক্ষেত্রেই তাই ঘটেছিল। এসব নারীরা কোন কারনে একাকী হয়ে পড়লে রাষ্ট্রের উচিত এদের পাশে দাড়িয়ে সামাজিক এবং আর্থিক সহায়তা করা। নারীর উন্নয়ন নীতিমালায় এরা সবচাইতে বেশি অগ্রাধিকার পাওয়ার দাবী রাখে। এসব নারীরা বিপদগ্রস্থ হলে একটি আইন করে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এদের সাহায্য পাবার সুযোগ করে দেওয়া উচিত।
উত্তরাধিকার সুত্রে আমাদের দেশে সাধারনত জমি ভাগাভাগির মধ্যদিয়েই সম্পদ ভাগাভাগির কাজটি সারা হয়। ব্যতিক্রমও আছে।
তাই সম্পদের উত্তরাধিকার আইনের পরিবর্তন খুব ক্ষুদ্র শ্রেনীর নারীদের ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে যারা এমনিতেই সামাজিক এবং আর্থিক নিরাপত্তা ভোগ করে আসছেন।

আমরা নয় ভাইবোন পৈত্রিক সুত্রে একটি কানাকড়িও পাইনি। অথচ আমাদের ছোট তিনটি বোনকে পাত্রস্থ করতে গিয়ে আমাদের ভাইদেরকে পরিশ্রম করে উপার্জিত প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ব্যয় করতে হয়েছিল।

এ ব্লগের পন্ডিত ব্যক্তিরা প্রায়ই সহজাত বিবেক বুদ্ধির কথা বলে থাকেন যা মানুষকে সঠিক কাজটি করতে উদ্ভুদ্ধ করে, ধর্ম বা কোন বাধ্যবাধকতা নয়।
তাহলে এক্ষেত্রে কেন তারা শুধুমাত্র আইন দিয়ে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে চাইছেন।

আমাদের সমাজের গরীব মানুষগুলো বেচে থাকে পারষ্পরিক সহায়তা আর সহানুভুতি সুতোয় গাথা অদৃশ্য এক ভালবাসার জাল আকড়ে ধরে।

উন্নত বিশ্বের মত আইন করে এ মানুষগুলো বাচিয়ে রাখা যাবেনা। এত সম্পদ আমাদের সরকারের নেই। কেননা সব সম্পদ চলে গেছে কিছু হাতে গোনা অসত মানুষের কাছে।
তাদেরই আছে আইনের প্রয়োজন যা দিয়ে তারা তাদের বৌ ঝিদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে।
আপাতত সরকারের কাছে নিবেদন, চালের দাম কমানো হোক, যাতে করে গরীবের বৌ ঝিদের লম্বা লাইনে দাড়িয়ে শেষপর্যন্ত খালি হাতে ফিরতে না হয়। তিনবেলা পুট পুড়ে খেতে পারলেই এরা এখন অনেক সুখে থাকতে পারবে। বাড়তি সম্পদ চাইবে না।


মেক্সিকোতে এতদিন সাবওয়েতে মেয়েদের জন্য আলাদা কামড়ার ব্যবস্থা ছিল। এখন আবার আলাদা বাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কারন আর কিছুনা রাশ আওয়ারে সবাই যখন গাদাগাদি করে কর্মস্থলের দিকে ছুটে তখন ছ্যাছোড় জাতীয় পুরুষ মানুষ সুযোগটি কাজে লাগায় মেয়েদের যৌন নির্যাতনের। তাই কর্তৃপক্ষ মেয়েদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়েদের জন্য আলাদা বাসের ব্যবস্থা করেছে।
একভদ্রলোক ভুলবসত: এমনি একটি বাসে উঠে পড়লে তাকে মেয়েদের রোষনলে পড়তে হয়। পরে ভদ্রলোক মেয়েদের প্রতিবাদের মুখে পরের ষ্টপে নেমে পড়তে বাধ্য হন। মেয়েরা তখন জয়ধ্বনি করে উঠে। মেয়েরা বলাবলি করতে থাকে, নির্যাতিত হতে কেমন লাগে বুঝবে এখন।
এতে আসলে মেয়েদের চাপা ক্ষোভের প্রকাশ ঘটে পুরষদের প্রতি।
কিছু পুরুষরা এতে নাখোশ, কেননা তাদেরকে কিছুটা বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় বাসের জন্য। মেয়েরা কিন্তু দারুন খুশী। সবাই এখন কর্মস্থলে পৌছে যাচ্ছেন নিরাপদে।
একভদ্রমহিলা প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বলেন, এতদিন আমাকে সেলাইয়ের সুই নিয়ে বাসে উঠতে হত, আক্রান্ত হলে সেলাইয়ের এফোর ওফোড়।
এক বুড়ো ভদ্রলোক আবার প্রতিক্রিয়া দেখালেন এই বলে যে, পুরুষদের এটা এনিমেল ইনিস্টিংক্ট মেয়েমানুষ দেখলেই ষ্পর্ষ করতে চাওয়া।
এই ব্যবস্থা কার্যকরী হওয়ার পর থেকে কর্তৃপক্ষ মেয়েদের কাছ থেকে অনেক ইমেইল আর চিঠি পান ধন্যবাদ পেয়ে।
এবার আমার একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ঘটনা বলি।
জাপানের সাবওয়েতে রাশআওয়ারে উঠেছি শিক্ষাস্থলে যাওয়ার জন্য। প্রচন্ড চাপাচাপিতে আমার প্রান ওষ্ঠাগত হওয়ার যোগাড়। হঠাত করেই একটি মেয়ে চেচিয়ে উঠল বন্ধ কর, বন্ধ কর বলছি। বুঝতে অসুবিধা হলনা কোন একজন বাজে লোক মেয়েটির গায়ে হাত দিয়েছে। মেয়েটি আমার খুব কাছাকাছি ছিল বলে, ব্যাপারটি ছিল আমার জন্য খুবই বিব্রতকর। পরের ষ্টেশনে নেমে গিয়ে হাফ ছেড়ে বেচেছিলাম। এরকম ঘটনা আমাকে একাধিকবার প্রত্যক্ষ করতে হুয়েছিল।
মেয়েদের জন্য আলাদা কিছু একটা করাটা আসলেই শেষ পর্যন্ত পুরুষ মেয়েদেরকে আলাদা করে ভাবতে শেখায়। যা একজন আধুনিক মানুষ হিসাবে গেলাটা খুবই কষ্টকর।

আমার উপর কার হক বেশি?
এক সাহাবীর এই প্রশ্নের উত্তরে নবিজি সাঃ বলেছিলেন, তোমার মার।
তারপর কার?
তোমার মার।
পরপর তিনবার তিনি একই উত্তর দিয়েছিলেন।
চতুরথবারের উত্তরে বলেছিলেন তোমার বাবার।
অর্থাত পরিবারে একজন মাকে (নারীকে) বাবার (পুরুষের) তিনগুন বেশি মর্যাদা হয়েছে।
আরেকবার নবিজি সাঃ কয়জন যুবককে কিছু লাকড়ি যোগাড় করে আগুন জবালাতে বললেন, তারপর নিয়ে আসতে বললেন এক বুড়ি মা এবং তার সন্তানকে।
মা তার সন্তানের উপর অসন্তুষ্ট ছিলেন। নবিজি সাঃ তারপর বললেন ছেলেটিকে ধরে আগুনে ফেলে দেয়ার জন্য। ঠিক ফেলে দেয়ার মুহুর্তে বুড়ি মা ভয়ে আর্তনাদ করে উঠলেন।
তখন নবিজি সাঃ বুড়ি মা এবং তার সন্তানকে উদ্দ্যেশ করে বললেন, মা যদি তার সন্তানের উপর অসন্তুষ্ট থাকে তবে তাকে অনন্তকাল দোজখের আগুনে জবলতে হবে।
আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে যে ব্যক্তি তার স্ত্রির কাছে উত্তম সে প্রকৃত অরথে উত্তম। এসব
এসব কিছুতে প্রমানিত হয়না যে অনেক ক্ষেত্রে নারীদেরকেও সম্মানের প্রশ্নে পুরুষের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে।
দুটো পরিসংখানের কথা বলি।
আমেরিকার ৫০% এর উপরের মহিলারা স্বামীর চাইতে তার কুকুরকে বেশি ভালবাসে।
আমেরিকাতে ইসলাম ধর্মে যারা ধরমান্তরিতে হচ্ছে তার বেশিরভাগ মেয়েরা।
নারীদের অধিকারের আন্দোলনে সোচ্চার পাশ্চাত্যের পুরুষদের প্রতি তাদের মেয়েদের এই বৈরি আচরনের কারন কি?


তাকে হয়ত একজন নারীবাদী বলা যাবে না কিন্তু ১৪০০ বছর আগে তিনি নারীদের জন্য যা করেছেন তা আজকের একজন নারীবাদীর পক্ষে করা অসম্ভব ছিল।
আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মহিলা প্রফেসরের ন্যাসনাল জিওগ্রাফির একটি একটি অনুষ্ঠানে
দেয়া।

বেশ কয়েক বছর আগে দেখা একটি হলিউডের মুভির দৃশ্য।
একটি সহজ সরল গোছের মেয়ে মজা করার জন্য একটি পাবে প্রবেশ করে।
স্বল্পবসনা মেয়েটি কাপড় চোপড়ে কিছুটা অংসযত ছিল। পাবে উপস্থিত কয়েকটি ছেলে প্রথনে মেয়েটিকে ভুলিয়ে ভালিয়ে মদ খাইয়ে মাতাল করে। তারপর একপাশে পেতে রাখা বিলিয়ারড বোর্ডের উপর ছেলেগুলো মেয়েটি সম্ভ্রম নষ্ট করে। ভীত সন্ত্রস্ত নগ্ন মেয়েটি একসময় কোনপ্রকারে গায়ে কাপড় চড়িয়ে চিতকার করতে করতে পাব থেকে পালিয়ে বের হয়। শুরু হয় দুপক্ষের আইনি লড়াই।
ছবিটির শেষের দিকে ছেলে কয়টিকে দোষী সাব্যস্ত করে দন্ড দেয়া হয়।
মেয়েটি কাপড় চোপড়ে এবং আচরনে সংযত হলে এই অপকান্ডটি হয়ত ঘটত না।
কিছুদিন আগে আমেরিকার একটি শহরে অশালীন কাপড় চোপড় পড়ার দায়ে ছেলেদের (মেয়েদের কেন নয়?) জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
পশ্চিমা বিশ্বে নানরা বোরখা জাতীয় কাপড় পড়ে। অবশ্যই নানরা পশ্চিমা মেয়েদের কাছে সম্মানের পাত্রী।
প্রবল শীতেও দেখা যায় পশ্চিমা দেশগুলোতে মেয়েরা স্কার্ট পড়ে হাটছে। কিন্তু কেন?
অলিম্পিকে যারা জিমিনাস্টিক দেখেন তারা নিশ্চয় দেখেছেন মেয়েরা স্বল্পবসনা হয় ছেলেরা ট্রাউজার পরে, কিন্তু কেন?
একটি আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন ছেলেকে যদি বলা হয় রংগচংগ মেখে মেয়েদের দৃস্টি আকর্ষনের জন্য পাড়ায় একটা চক্কর মেরে আসতে তাহলে কি সে রাজী হবে।
তাহলে একটি মেয়েকেও কেন তার সৌন্দর্যকে বাজারজাত করতে হবে বাড়তি মুনাফা লাভের জন্য? তার যোগ্যতাটা তার মুল্যানের মাপকাঠি হবেনা কেন, যা ঘটে একটি ছেলের ক্ষেত্রে।
আমি হয়ত গোছিয়ে লেখতে পারেনি কিন্তু যা বলতে চেয়েছি তা হল মেয়েরা তাদের দেহ রুপ সৌন্দর্যকে পুজি করে কিছু করতে গেলে তা মেয়েদেরকে ডিসক্রিমিনেসন করা হয় এই অর্থে তোমার যোগ্যতা নেই তাই শরীর দিয়ে পুষিয়ে নাও। তাই কাপড় চোপড়ে মেয়েদের শালীন হওয়াটা আরো জরুরী।
তাই মেয়েদেরকেই সচেতন হতে হবে তাদেরকে যেন বাজারের শোকেসে রাখা চকচকে লোভনীয় পন্য না করা না হয়। কিছু কিছু নারীবাদী সতিকার অর্থে মোনাফালোভী মেয়েদের পন্য বানানোর কাজটি সুকৌশলে করছে নারী মুক্তির নামে। সতিকার অর্থে নারীদের মুক্তি ঘটুক এটা প্রত্যেক সভ্য মানুষের কাম্য। কেননা একজন মানুষের সবচাইতে কাছের যে মেয়ে মানুষটি, সে তার মা। কেউ তার মাকে অবহেলিত, নির্যাচিত, তার অধিকার বন্চিত হিসাবে কখনোই দেখতে চাইবে না।



নারীবাদিরাও অনেক সময় কোন একটি ইস্যুতে বিপরীত অবস্থান গ্রহন করতে পারে।
নিচের উদাহরনটির কথা ভাবা যাক।
যৌন কর্মীদের পেশাটিকে নারীবাদীদের প্রধান অংশটি কখনো নারীদের জন্য ক্ষতিকারক কিছু মনে করে না। নারীরা এতে করে অবস্থার শিকার বলতেও তারা নারাজ। এমনকি নারীদের নিরাপত্তার কথা বলে এই পেশাটি বিলোপ করারও বিরোধি তারা। উপরন্তু এই পেশায় নিয়োজিতদের অবস্থার উন্নতির কথা বলে তারা।
অথচ এনডেরা ডওরকিন নামক একজন নারীবাদি লেখিকা মনে করেন কমার্শিয়াল সেক্স রেপ ছাড়া কিছুই নয় যা নারীদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে ভিকটিমাইজ করা হয়। এই ভদ্রমহিলা একজন এক্স যৌনকর্মী ছিলেন। তিনি এই পেশাটির নি:শর্ত বিলুপ্তি চান। তার মতাদর্শের নারীবাদিদের ধারনা এতে করে নারীদেরকে পুরুষদের উপভোগের বস্তু বানিয়ে তাদেরকে এক্সপ্লোয়েট করার সুযোগ করে দেয়া হয়।
আদতেই এটি সত্যি আমেরিকাতে এটি মেয়েদের জন্য সবচাইতে ঝুকিপুর্ন পেশার একটি। প্রতি একলাখ যৌনকর্মীদের মধ্যে ২০৬ জনের মত খুনের শিকার হন। এছাড়া যৌনবাহিত রোগের ঝুকির মধ্যেও তাদেরকে থাকতে হয়। অধিকাংশ আমেরিকান মনে করে এটি একটি অনৈতিকাজ তাই উভয় পক্ষকেই বিচারের সম্মুখিন করা উচিত। নিউইয়র্কের গভর্নরকে শেষপর্যন্ত তার পদ ছাড়তে হয়েছে এই কারনেই।
মেডিকেলের সাথে সম্পৃত্তরাও জীবননাশী রোগের কারন বলে পেশাটির অবলুপ্তি চান।
এই পেশাটিকে জিইয়ে রাখার জন্য হিউমেন ট্রাফিকিংয়ের মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলো থেকে উন্নত বিশ্বে নারী পাচারের ঘটনা ঘটে। এইভাবে রাশিয়া থেকে গ্রীসে পাচার হয়ে যাওয়া এক নারীর কাহিনী শুনেছিলাম বি বি সিতে। উনি কাদতে কাদতে বলেছিলেন এর চাইতে আমার মৃত্যু শ্রেয়।
এজাতীয় ফোর্স লেবারের বিশ্ব বাজার ৩১ বিলিয়ন ডলারের, যার অর্ধেকটা যায় শিল্পোন্নত দেশের মানুষের পকেটে।
আজকে যারা নারীস্বাধীনতের কথা বলে পশ্চিমাদের সাথে গলা মেলান তাদের কাছে আমার প্রশ্ন পশ্চিমারা চেষ্টা করলে কি পারেনা কোটির উপর নারীদের এই অবমাননাকর জীবন থেকে রেহাই দিয়ে সম্মানের জীবনে ফিরিয়ে আনতে।



গতকাল এক পোষ্টে এক নাস্তিক মহান এক আবিস্কারে সবাইকে চমকে দিল।
ঈভ টিজিং এর জন্য নাকি ইসলাম দায়ী (পোষ্টটা ভাল মত পড়ার মত ধৈর্য ছিল না)। ইসলাম পুরুষদেরকে উতসাহ যোগায় মেয়েদের নির্যাতনের। অনেক সামু বুদ্ধিজীবি এতে সুর মেলালেন, কেননা যদি না আবার নাস্তিকেরা তাদেরকে মৌলবাদী ভেবে বসেন। যাহোক আমি নীচে কিছু পরিসংখ্যান দিলাম। যে পরিসংখ্যানটা ইউরোপের, যেখানে সামু বুদ্ধিজীবিরা মনে করেন মেয়েরা সবচাইতে বেশি স্বাধিনতা ভোগ করেন, ইসলামের মত তাদেরকে বোরখায় ঢেকে রাখা হয়না, যা কিনা সব অনিষ্টের মূল।
পরিসংখ্যানটা আবার ইউনিসেফের, লাদেনের না।

অস্ট্রিয়ায় কর্মস্থলে শতকার ৮০ জনের মত মহিলা জীবনে একবার কিংবা একাধিকবার বিভিন্ন মাত্রার যৌন নির্যাতনের শিকার হন।

জার্মানীতে কর্মস্থলে শতকার ৭২ জনের মত মহিলা জীবনে একবার কিংবা একাধিকবার বিভিন্ন মাত্রার যৌন নির্যাতনের শিকার হন।

লুক্সেমবার্গে জীবনে অন্তত একবার ৭৮% মেয়ের যৌন নির্যাতনের শিকার হন।

হল্যান্ডেও একই অবস্থা উপরন্তু ৩৬% মেয়েরা রীতিমত ভায়োলেন্সের শিকার হন।

ইংল্যান্ডে প্রতি ৪জনে তিন জনে মেয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হন।

বেশির ভাগে নির্যাতনকারী হয় বস কিংবা কলিগ।

Click This Link

পুরুষতান্ত্রিকতার দোহাই দিতে গিয়ে আবার কিছু আবোল তাবোল গাইলেন ঐ নাস্তিক।

কিন্তু এটা বুঝতে কারো বাকী থাকার কথা নয় যে বদ তার কোন নারী পুরুষ ভেদ নেই।

ইউরোপে ৫% ক্ষেত্রে পুরুষেরা মেয়েদের দ্বারা নির্যাতিত হয় আবার ক্যলিফোর্নিয়ার নাকি ইদানিং পুরুষের দ্বারা পুরুষ নির্যাতনের হার বেশ বেড়ে গেছে।

Click This Link

আবার ওখানে যুক্তি দেখানো হলে মেয়ে ছেলেদের মেশামেশিটা অবাধ হলে নাকি ঈভ টিজিং কমে যেত।

আপনাদের কি মনে হয়না দশ বছরের আগের চাইতে ছেলে মেয়েরা আরো বেশি মেলামেশার সুযোগ পাচ্ছে। সবকিছুই আরো বেশি খোলামেলা নয়কি। তাহলে ত দশ বছরের আগের চাইতে এ জাতীয় ঘটনা একেবারেই কমে যেত নয়কি
যাহোক আমাদের দেশের কর্মস্থলে মেয়েদেরকে এখনো যথেষ্ট সম্মান করা হয়। যৌন হয়রানির ঘটনাও কম।

কিন্তু কিছু সামু বুদ্ধিজীবিরা আশা করছেন পশ্চিমা কালচারে পারদর্শী হয়ে আমরা নারীদেরকে (মা, বোনদের) আরো বেশি উন্মুক্ত করার সুযোগ খুজব, আর সুযোগ খুজব আরো বেশি যৌন নির্যাতনের।




যারা উন্নত বিশ্ব থেকে ঐ দুনিয়ার মানুষগুলো সাথে গলা মিলিয়ে নারীদের ক্ষমতায়ন আর নারীদের সমান অধিকারের কথা বলেন তারা এমন একটি বিশ্বের কথা বলেন না কেন যেখানে সব মানুষের সমান অধিকার থাকবে।
উন্নত বিশ্বের মানুষের মাথাপিছু আয় গরীব দেশগুলোর মানুষদের চাইতে একশগুন হবে কেন। তাদের কাছে প্রশ্ন দুনিয়ার ৫ শতাংশ মানুষ কেন দুনিয়ার ৯৫ শতাংশ সম্পদ ভোগ করবে। পাশাপাশি তারা কেন নিয়ত্রন করবে দুনিয়ার গরীব মানুষগুলোর রাজনীতি থেকে শুরু করে অর্থনীতি পর্যন্ত।

সরকারি মতে ভুমিহীনদের সংখ্যা ৬০ শতাংশের কাছাকাছি। বেসরকারি মতে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি।
ক্ষেতমজুর, সাধারন মজুর, ছোট ব্যবসায়ী, ছোট চাকুরে এদের কোনপ্রকার সম্পদ নেই। এদের বৌ ঝিদের সংখ্যা মোট নারীর ৭০ শতাংশের কাছাকাছি হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত।
এদের সাথে যোগ করা যায় ৩০ লক্ষ নারী শ্রমিকদের যারা বিভিন্ন গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকুরি করেন। এই ৭০ শতাংশ নারীরা সমাজের সবচাইতে ভংগুর শ্রেনীর। সামাজিক অর্থনৈতিক কোন নিরাপত্তা নেই। এরাই সবচাইতে ঝুকির মধ্যে থাকে পাশের পুরষটি কর্ত্বক নির্যাচিত হওয়ার। রাহেলার ক্ষেত্রেই তাই ঘটেছিল। এসব নারীরা কোন কারনে একাকী হয়ে পড়লে রাষ্ট্রের উচিত এদের পাশে দাড়িয়ে সামাজিক এবং আর্থিক সহায়তা করা। নারীর উন্নয়ন নীতিমালায় এরা সবচাইতে বেশি অগ্রাধিকার পাওয়ার দাবী রাখে। এসব নারীরা বিপদগ্রস্থ হলে একটি আইন করে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এদের সাহায্য পাবার সুযোগ করে দেওয়া উচিত।
উত্তরাধিকার সুত্রে আমাদের দেশে সাধারনত জমি ভাগাভাগির মধ্যদিয়েই সম্পদ ভাগাভাগির কাজটি সারা হয়। ব্যতিক্রমও আছে।
তাই সম্পদের উত্তরাধিকার আইনের পরিবর্তন খুব ক্ষুদ্র শ্রেনীর নারীদের ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে যারা এমনিতেই সামাজিক এবং আর্থিক নিরাপত্তা ভোগ করে আসছেন।

আমরা নয় ভাইবোন পৈত্রিক সুত্রে একটি কানাকড়িও পাইনি। অথচ আমাদের ছোট তিনটি বোনকে পাত্রস্থ করতে গিয়ে আমাদের ভাইদেরকে পরিশ্রম করে উপার্জিত প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ব্যয় করতে হয়েছিল।

এ ব্লগের পন্ডিত ব্যক্তিরা প্রায়ই সহজাত বিবেক বুদ্ধির কথা বলে থাকেন যা মানুষকে সঠিক কাজটি করতে উদ্ভুদ্ধ করে, ধর্ম বা কোন বাধ্যবাধকতা নয়।
তাহলে এক্ষেত্রে কেন তারা শুধুমাত্র আইন দিয়ে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে চাইছেন।

আমাদের সমাজের গরীব মানুষগুলো বেচে থাকে পারষ্পরিক সহায়তা আর সহানুভুতি সুতোয় গাথা অদৃশ্য এক ভালবাসার জাল আকড়ে ধরে।

উন্নত বিশ্বের মত আইন করে এ মানুষগুলো বাচিয়ে রাখা যাবেনা। এত সম্পদ আমাদের সরকারের নেই। কেননা সব সম্পদ চলে গেছে কিছু হাতে গোনা অসত মানুষের কাছে।
তাদেরই আছে আইনের প্রয়োজন যা দিয়ে তারা তাদের বৌ ঝিদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে।
আপাতত সরকারের কাছে নিবেদন, চালের দাম কমানো হোক, যাতে করে গরীবের বৌ ঝিদের লম্বা লাইনে দাড়িয়ে শেষপর্যন্ত খালি হাতে ফিরতে না হয়। তিনবেলা পুট পুড়ে খেতে পারলেই এরা এখন অনেক সুখে থাকতে পারবে। বাড়তি সম্পদ চাইবে না।


মেক্সিকোতে এতদিন সাবওয়েতে মেয়েদের জন্য আলাদা কামড়ার ব্যবস্থা ছিল। এখন আবার আলাদা বাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কারন আর কিছুনা রাশ আওয়ারে সবাই যখন গাদাগাদি করে কর্মস্থলের দিকে ছুটে তখন ছ্যাছোড় জাতীয় পুরুষ মানুষ সুযোগটি কাজে লাগায় মেয়েদের যৌন নির্যাতনের। তাই কর্তৃপক্ষ মেয়েদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়েদের জন্য আলাদা বাসের ব্যবস্থা করেছে।
একভদ্রলোক ভুলবসত: এমনি একটি বাসে উঠে পড়লে তাকে মেয়েদের রোষনলে পড়তে হয়। পরে ভদ্রলোক মেয়েদের প্রতিবাদের মুখে পরের ষ্টপে নেমে পড়তে বাধ্য হন। মেয়েরা তখন জয়ধ্বনি করে উঠে। মেয়েরা বলাবলি করতে থাকে, নির্যাতিত হতে কেমন লাগে বুঝবে এখন।
এতে আসলে মেয়েদের চাপা ক্ষোভের প্রকাশ ঘটে পুরষদের প্রতি।
কিছু পুরুষরা এতে নাখোশ, কেননা তাদেরকে কিছুটা বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় বাসের জন্য। মেয়েরা কিন্তু দারুন খুশী। সবাই এখন কর্মস্থলে পৌছে যাচ্ছেন নিরাপদে।
একভদ্রমহিলা প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বলেন, এতদিন আমাকে সেলাইয়ের সুই নিয়ে বাসে উঠতে হত, আক্রান্ত হলে সেলাইয়ের এফোর ওফোড়।
এক বুড়ো ভদ্রলোক আবার প্রতিক্রিয়া দেখালেন এই বলে যে, পুরুষদের এটা এনিমেল ইনিস্টিংক্ট মেয়েমানুষ দেখলেই ষ্পর্ষ করতে চাওয়া।
এই ব্যবস্থা কার্যকরী হওয়ার পর থেকে কর্তৃপক্ষ মেয়েদের কাছ থেকে অনেক ইমেইল আর চিঠি পান ধন্যবাদ পেয়ে।
এবার আমার একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ঘটনা বলি।
জাপানের সাবওয়েতে রাশআওয়ারে উঠেছি শিক্ষাস্থলে যাওয়ার জন্য। প্রচন্ড চাপাচাপিতে আমার প্রান ওষ্ঠাগত হওয়ার যোগাড়। হঠাত করেই একটি মেয়ে চেচিয়ে উঠল বন্ধ কর, বন্ধ কর বলছি। বুঝতে অসুবিধা হলনা কোন একজন বাজে লোক মেয়েটির গায়ে হাত দিয়েছে। মেয়েটি আমার খুব কাছাকাছি ছিল বলে, ব্যাপারটি ছিল আমার জন্য খুবই বিব্রতকর। পরের ষ্টেশনে নেমে গিয়ে হাফ ছেড়ে বেচেছিলাম। এরকম ঘটনা আমাকে একাধিকবার প্রত্যক্ষ করতে হুয়েছিল।
মেয়েদের জন্য আলাদা কিছু একটা করাটা আসলেই শেষ পর্যন্ত পুরুষ মেয়েদেরকে আলাদা করে ভাবতে শেখায়। যা একজন আধুনিক মানুষ হিসাবে গেলাটা খুবই কষ্টকর।

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

দিশার বলেছেন: সহিহ বুখারী হাদিস পড়া যাক . আসেন

আবদুল্লা বিন ওমর বলেছেন, আল্লাহর নবী বলেছেন যে তিন জিনিসের মধ্যে অশুভ আছে, নারী, বাড়ী আর ঘোড়া।

উসামা বিন যায়েদ বলেছেন, নবী বলেছেন যে আমার পর পুরুষের জন্য নারীর চেয়ে বেশী ক্ষতিকর আর কিছু রইল না।

আর ভাই পরিসংখ্যান দিতে হলে রেফারেন্স সহ দিবেন প্লিজ। অগোছালো পোস্ট . খুবই কষ্ট হইল পড়তে . নারীর এত মর্যাদা ইসলামে, তাইলে দুই জন নারীর সাক্ষী সমান এক জন পুরুষ কেন ?

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

চমৎকার চমৎকার চমৎকার অসাধারন একটি পোষ্ট কিন্তু আপনার দেয়া লিঙ্কগুলো কাজ করছেনা অনুরোধ রইল ঠিক করে নেবেন

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ, লিংক দেয়া হল।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

মাহিরাহি বলেছেন: India Has Killed 10 Million Girls in 20 Years

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

মাহিরাহি বলেছেন: REPORT ON SEXUAL HARASSMENT IN THE WORKPLACE IN EU MEMBER STATES

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ এবার পেয়েছি লিঙ্কগুলো

৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

পোষ্ট প্রিয়তে রইল ঘুরে ফিরে আসতে পারি

৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

মাহিরাহি বলেছেন: "Today, we have the odd distinction of having lost 10 million girl children in the past 20 years," Chowdhury told a seminar in Delhi University.

"Who has killed these girl children? Their own parents." In some states, the minister said, newborn girls have been killed by pouring sand or tobacco juice into their nostrils.

"The minute the child is born and she opens her mouth to cry, they put sand into her mouth and her nostrils so she chokes and dies," Chowdhury said, referring to cases in the western desert state of Rajasthan.

"They bury infants into pots alive and bury the pots. They put tobacco into her mouth. They hang them upside down like a bunch of flowers to dry," she said.

"We have more passion for tigers of this country. We have people fighting for stray dogs on the road. But you have a whole society that ruthlessly hunts down girl children."

According to the 2001 census, the national sex ratio was 933 girls to 1,000 boys, while in the worst-affected northern state of Punjab, it was 798 girls to 1,000 boys.

The ratio has fallen since 1991, due to the availability of ultrasound sex-determination tests.

Although these are illegal they are still widely available and often lead to abortion of girl foetuses.

৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: @দিশার, নারী বাড়ি আর ঘোড়ার মধ্যে কোনটাকেই কী নবী (সাঃ) পরিত্যাগ করতে বলেছেন? ঘোড়ার মধ্যে অশুভ রয়েছে এ কারণে, যে ঘোড়ার রেসে বাজি ধরে অনেকে নিঃস্ব হয়েছে। বাজি একটা নেশার মত, যেমনটা জুয়া। বাড়ীর মধ্যে অশুভ রয়েছে বলা হলেও বাড়ী বানাতে ও তাতে বাস করতে নিষেধ করা হয়নি। বলা হয়নি তোমরা বাড়ি বানিও না বরং জঙ্গলে বাস কর। বাড়ীকে অশুভ বলা হয়েছে এ কারণে যে, সুন্দর বাড়ী তৈরি করা একটা নেশার মত। সুন্দর বাড়ী চাকচিক্য মানুষকে অহংকারী করে তোলে। আর নারী প্রসংগে এটাই বুঝানো হয়েছে যে, নারীর প্রতি আকর্ষন মানুষকে কামুক করে তোলে ও তাকে লাম্পট্যের দিকে ধাবিত করে। এমনকি সুন্দর স্ত্রীও মানুষকে অহংকারী করে তোলে।


উপরোক্ত হাদিসে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। বাড়ী, ঘোড়া বা নারীর মধ্যে আলৌকিক বা গায়েবী অশুভ কিছু আছে বলে বুঝানো হয়নি। একটা বিষয়কে আপনি যে কোন ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। আপনার ব্যাখ্যা আপনার চিন্তাধারা ও রুচিবোধের উপর নির্ভর করে।

৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

মাহিরাহি বলেছেন: Narrated by 'Aisha: Allah's Apostle said: “You (women) have been allowed to go out for your needs.”



A woman should not be married against her will

Narrated by Abdullah ibn Abbas: A virgin came to the Prophet and mentioned that her father had married her to a man against her will, so the Prophet allowed her to exercise her choice.

Another hadith asserts this point.

Narrated by Abdullah ibn Abbas:

The Prophet said: A guardian has no concern with a woman previously married and has no husband, and a virgin must be consulted; her silence being her acceptance. (Book 5, Number 2095: Abu Dawud)

১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

মাহিরাহি বলেছেন: Chapter 23 : A woman should not ask for divorce without a reason

Narrated by Thawban: Allah’s Apostle said, “Any woman who asks divorce from her husband without a reason, the smell of Paradise is prohibited for her.”

১১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

শ্রীঘর বলেছেন: পর্দা-প্রথা এখন তাবু-প্রথায় রূপান্তরিক হোক। মেয়েরা এখন বাংলাদেশে তাবু টাংগিয়ে হাটা চলাফেরা করবে।

বোরকাতেও সমস্যা হয়, মানে শুধু চোখ দেখলেও নাকি পুরুষ প্রজাতি তাদের মাংসেল এর উত্থান থামাতে পারে না।

তাই বলছিলাম কি পর্দা কেটে তাবু শব্দটি যোগ হউক। প্রথা শব্দটি আগের মতই থাকবে।

১২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

মাহিরাহি বলেছেন: @বাক স্বাধীনতা, Thanks for replying

১৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: উসামা বিন যায়েদ বলেছেন, নবী বলেছেন যে আমার পর পুরুষের জন্য নারীর চেয়ে বেশী ক্ষতিকর আর কিছু রইল না। >>>মহানবী(সা: ) পুরুষের জন্য ক্ষতিকর ছিলেন :D ? কি রেফ দিলেন দিশার ভাই কিছুই বুঝলাম না । তাও কোথা থেকে রেফ দিলেন তাও না ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

মাহিরাহি বলেছেন: thanks, can't write Bangla

১৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

একজন পথশিশু বলেছেন: @Srighor,
Islame nari-purush uvoyer dristi songjoto rakhte bola hoyeche,guptango samle rakhte bola hoyeche. Tahole apni keno narir chokher dike takaia kharap chinta korben?meye dekhlei takaite hobe?
Aar kono meye somporke kharap chinta jara kore tara hoilo ruchihin,ovodro,joghonno manush.

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

মাহিরাহি বলেছেন: Thanks

১৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

মুহসিন বলেছেন: জ্ঞানগর্ভ পোস্ট।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

মাহিরাহি বলেছেন: Thanks

১৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: @একজন পথশিশু, শ্রীঘরের মত লোকদেরকে বুঝিয়ে লাভ নাই। এদের চিন্তাচেতনা এদের ভাষার মাধ্যমের প্রকাশ পায়। এই জন্যই তো এখন এদের মত চারজন শ্রীঘরে বসবাস করছে।

১৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২০

বিডি আমিনুর বলেছেন: ভাল লাগল আপনার পোস্ট ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

মাহিরাহি বলেছেন: thanks

১৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

শ্রীঘর বলেছেন: বাক স্বাধীনতাকে বলছি,
যে চারজন শ্রীঘরে বসবাস করছে তাদের মত না হয়ে বরং মাহমুদুর রহমানের মত হইতে চাই।

ভইরা গেল রে সামু ব্লগ...।

১৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০০

দিশার বলেছেন: Click This Link

@মাজহারুল , উপরের লিংক য়ে রেফারেন্স

বাংলা টা মনে হয় ভালো করে শিখা হয় নি আপনার। "আমার পরে" মানে যে নবী পরবর্তী সময়ে, এতুটুকু ভাষা জ্ঞান আশা করা যেতে পারে একজন বাঙালির কাছ থকে , ধন্যবাদ।

২০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৫

নাইট বার্ড বলেছেন: পোষ্ট প্রিয়তে রইল ঘুরে ফিরে আসতে পারি, অনেক পরিশ্রম করেছেন।
এই ধরনের লেখায় তো আরো কমেন্ট আসার কথা!

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

মাহিরাহি বলেছেন: ভাই ভিন্ন সময়ে করা পোস্টের সংকলন বলতে পারেন।

২১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৯

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: দিশার ভাই কি লিন্ক দিলেন লিন্ক তো ডেড । আর আপনার পোস্ট আপনার বক্তব্যের সপক্ষে রেফারেন্স হয় কিভাবে ? আর মহানবী(সা: ) জীবিত অবস্থায় নারীরা ক্ষতিকর ছিল না ?

২২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৮

দিশার বলেছেন: সহিহ্‌ বোখারি ভল্যুম ৭, হাদিস ৩৩:
উসামা বিন যায়েদ বলেছেন, নবী বলেছেন যে আমার পর পুরুষের জন্য নারীর চেয়ে বেশী ক্ষতিকর আর কিছু রইল না

রেফারেন্স নেন . আমার লেখা না, সহিহ বুখারী হাদিস।

২৩| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: মুহসিন বলেছেন: জ্ঞানগর্ভ পোস্ট।

১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৯

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ

২৪| ২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

অনির্বান বলেছেন: দিশার ভাই ভালোটা বুঝতে পারেনি।



লেখক, সুন্দর পোস্ট।

২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

মাহিরাহি বলেছেন: thanks

২৫| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

মিঃ অলিম্পিক বলেছেন: অনেক সুন্দুর পোস্ট, ড়াইরেক প্রিয়তে.....

১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৩

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ

২৬| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:০৬

বিবেক ও সত্য বলেছেন: ইসলামে নারী অধিকার দিয়েছে বলতে যদি বুঝায় ১৪০০ বছরে তত্‍কালীন সমাজে নারীদের যে অবস্থা ছিল তার তুলনায় নারীদের কতটুকু অধীকার দিয়েছে, তাহলে আমি বলবো অবশ্যই সে তুলনায় ইসলামে নারীদের অনেক অধীকার দিয়েছে৷ যদি প্রশ্ন করা হয় অন্য ধর্মের তুলনায় ইসলামে নারীদের কতটুকু অধিকার দিয়েছে, আমি বলবো সে বিতর্কে হয়ত আপনি প্রমাণ করতে পারবেন ইসলামে অনেক বেশি নারী অধীকার দিয়েছে৷ কিন্তু আপনি যদি প্রশ্ন করেন মানুষ হিসাবে ইসলামে নারীদের কতটুক অধিকার দিয়েছে, তাহলে আমি বলবো ইসলাম নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য করেছে৷ 
ইসলামে নারীদের উপর পুরুষদেরকে কতৃত্বশীল করেছে৷ পুরুষ পরিচালক,নারী তার অধীনস্ত৷ পুরুষেরা যাতে নারীদের উপর কর্তৃত্ব খাটাতে পারে সে জন্য পুরুষদের হাতে দেয়া হয়েছে অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব৷ এ নীতি সম্পর্কে আল ক্বুরআনের বক্তব্য লক্ষ্ করুন:
পুরুষ নারীর কর্তা। এ জন্য যে, আল্লাহ‌ তাদের একজনকে অন্য জনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে, পুরুষ নিজের ধন-সম্পদ ব্যয় করে। কাজেই সতী-সাধ্বী স্ত্রীরা আনুগত্যপরায়ণ হয় এবং পুরুষদের অনুপস্থিতিতে আল্লাহর হেফাজত ও তত্বাবধানে তাদের অধিকার সংরক্ষণ করে থাকে।৫৮ আর যেসব স্ত্রীর ব্যাপারে তোমরা অবাধ্যতার আশঙ্কা করো, তাদেরকে বুঝাও, শয়নগৃহে তাদের থেকে আলাদা থাকো এবং তাদেরকে মারধোর করো।৫৯ তারপর যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়ে যায় তাহলে অযথা তাদের ওপর নির্যাতন চালাবার জন্য বাহানা তালাশ করো না। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, আল্লাহ ওপরে আছেন, তিনি বড় ও শ্রেষ্ঠ। (সুরা আন নিসা:34)

তালাক প্রাপ্তাগণ তিনবার মাসিক ঋতুস্রাব পর্যন্ত নিজেদেরকে বিরত রাখবে। আর আল্লাহ‌ তাদের গর্ভাশয়ে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তাকে গোপন করা তাদের জন্য বৈধ নয়। তাদের কখনো এমনটি করা উচিত নয়, যদি তারা আল্লাহ‌ ও পরকালে বিশ্বাসী হয়, তাদের স্বামীরা পুনরায় সম্পর্ক স্থাপনে প্রস্তুত হয়, তাহলে তারা এই অবকাশ কালের মধ্যে তাদেরকে নিজের স্ত্রী হিসেবে ফিরিয়ে নেবার অধিকারী হবে।২৪৯নারীদের জন্যও ঠিক তেমনি ন্যায়সঙ্গত অধিকার আছে যেমন পুরুষদের অধিকার আছে তাদের ওপর। তবে পুরুষদের তাদের ওপর একটি মর্যাদা আছে। আর সবার ওপরে আছেন আল্লাহ‌ সর্বাধিক ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের অধিকারী, বিচক্ষণ ও জ্ঞানী। (সুরা বাকারা:২২৮)
আপনি হয়ত আমার অভিযোগ অস্বীকার করে বলবেন ইসলামে পুরুষকে শাসক করেনি বরং ইসলাম বলে নারী-পুরুষ পরস্পর পস্পরের বন্ধু ও সাথী৷ আপনাকে প্রথমে স্বীকার করতে হবে পুরষদেরকে নারীদের পরিচালক/কতৃত্বশীল করেছে৷ আপনি বলবেন পুরুষকে যেহেতু নারীর যাবতীয় খরচ বহনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই পরিচালনার দায়িত্ব তার উপরে চলে আসে৷ আমি বলব আমার অভিযোগ এখানেই৷ অর্থ কর্তৃত্ব খাটানোর প্রধান হাতিয়ার৷ এ অর্থনেতিক কর্তৃত্ব আরো বেশি করে দিতে ইসলাম উত্তারাধিকার সুত্রে পুরুষের অংশ নারীর দ্বিগুন নির্ধারন করেছে৷ আপনাকে যদি প্রস্তাব দেয়া হয় আপনি কারো অধীন হয়ে থাকবেন, যার অধীন হবেন তিনি আপনার সার্বিক খরচ নির্বাহ করবেন৷ এমনকি মালিকের মৃত্যূর পর মালিকের সম্পদের ভাগের একটি অংশ আপনি ( পেনশন স্বরুপ বা যে নামেই হোক)৷ একটি কথা সবসময় মনে রাখতে হবে যে চিরজীবন আপনি অধিনস্ত৷ আপনি কি এমন অধিনস্ত হতে পছদ করবেন? 
মজার বিষয় কি একজন দাসকে যদি আপনি মনস্তাত্বিকভাবে প্রস্তুত করতে পারেন যে তার সৃষ্টি দাস হিসাবে, দাস হিসাবে অনুগতভাবে মনিবের সেবা করাই তার দায়িত্ব ও কর্তব্য।দাস হিসাবে যে তার মানসিক কষ্ট তা কেটে যাবে। ধর্মীয় বিষয়ে মানুষ চরম দূর্বল। যেহেতু নারীদেরকে ধর্মের নামে পুরুষের অধীনস্ত করা হয়, তারা অধিনস্ত থেকেও অধিনস্ত থাকার মানসিক কষ্ট থেকে মুক্ত থাকতে পারে।
পুরুষদের কর্তৃত্বশীল করার কুফলসমূহ:
১. এ নীতি নারীদের শিক্ষা ও উন্নত জীবন গঠনে অনুৎসাহীত করে:
যখন একটি নারী ছোট বেলা থেকে বড় হয় এ ভেবে যে সে যত যোগ্যতাই অর্জন করুক না কেন তার কোন মূল্য নেই, যখন তার বিবাহ হবে তাকে তার স্বামীর অধীনে চলে যেতে হবে - এ ভাবনা নারীর প্রতিভা বিকাশের প্রধান বাধা৷ একজন পুরুষ যখন বড় হয় তখন সে ছোট থেকেই তার উজ্জ্বল ক্যরিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে৷ এ স্বপ্ন তার প্রতিভা বিকাশে তাকে বহুদুর এগিয়ে নিয়ে যায়৷সাম্প্রতিককালে নারীদের যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ তৈরী হয়েছে তা নারীবাদীদের আন্দোলনের ফলে এবং নারীদের পুরুষের কর্তৃত্ব থেকে বের হওয়ার মানসিকতা থেকে।
২. নারীদের মেধা ও যোগ্যতা বিকাশে প্রধান অন্তরায়:
এছাড়া একজন পুরুষ কর্মজীবনে এসে তার কর্মের মাধ্যমে সে তার যোগ্যতার বিকাশ ঘটিয়ে থাকে৷ উল্লেখ্য, বই পড়ে মানুষ যে বিদ্যা অর্জন করে তার চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যা অর্জন করে কর্মজীবনে তার কর্মক্ষেত্রে বাস্তব প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে৷ একটি ৫ম শ্রেনি পাস করা ছেলেও যদি রাষ্ট্র প্রধাণদের সাথে ছোট বেলা থেকে চলা-ফেরার সুযোগ পায় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকে সে ছেলে বয়স্ক হলে যদি তাকে রাষ্ট্র প্রধাণ বানানো হয় সে যথারিতী রাষ্ট্র পরিচালনা করতে সক্ষম হবে৷ অপরপক্ষে এম, এ পাস তুখর মেধাবী এক গরীব যুবক যে কোনদিন কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হয়নি, তাকে যদি হঠাৎ রাষ্ট্র প্রধাণ বানানো হয় তাহলে রাষ্ট্রের কি অবস্থা হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷
৩. ব্যবস্থানাগতক্ষেত্রে এ নীতি নারীদের অযোগ্য করে তোলে:
একজন পুরুষ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে ইন্টারএকশন এর ফলে তার বিভিন্ন বিষয় ব্যবস্থাপনাগত যোগ্যতাও বৃদ্ধি পায়৷ অপরদিকে এ ধরনের নীতির সমাজে প্রথমত নারীরা শিক্ষার্জনের প্রতি আগ্রহ তো হারিয়ে ফেলে৷ দ্বিতীয়ত:তাদের কর্মজীবন বলতে সাংসারিক জীবনই সব, যেখানে রান্না-বান্নার বিদ্যা ভালো করে রপ্ত করতে হয়৷ রান্না-বান্না ও ঘর গোছানোর পর অতিরিক্ত সময়টি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কার স্বামী ও কার ছেলে-মেয়ে কেমন ইত্যাদি সব গাল-গল্পে কাটে৷ এ সকল গাল গল্পের মাঝে বিভিন্ন প্রকার পশ্চাদ আলোচনা-সমালোচনা, পরনিন্দা ইত্যাদি স্থান পায় যা বিভিন্ন ধরণের ঝগড়া বিবাদে বেশ ভালোই অবদান রাখে৷ আর যেহেতু তারা বাস্তব কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ পায় না, এ ধরনের সমাজে নারীদেরকে সমাজের বা কোন প্রতিষ্ঠানের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়৷এ ধরনের পরিবেশে বড় হওয়ায়, নারীরা নিজেদেরকে মনে করে সংসার করাই তাদের একমাত্র কাজ ও যোগ্যতা৷ সমাজের কোন সম্মানজনক কোন পদে অধিষ্ঠিত হওয়া তাদের কাজও নয় এবং যোগ্যতাও নেই৷
হঠাৎ কোন উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় নারীরা সক্ষম নয়৷ এ যোগ্যতা থাকবেই বা কি করে-ছোট বেলা থেকে যে পরিবেশে ও মনমানসিকতা নিয়ে বড় হয়েছে সেরুপই হওয়ার কথা৷ মানসিকতা অর্ধেক যোগ্যতা কেড়ে নেয়৷যে সিংহ শাবক ভেড়ার পালের মধ্যে বড় হয়, সে সিংহ কখনও সিংহসুলভ আচরণ করতে সক্ষম হয় না৷কারণ সে সিংহ জানেই না যে সে সিংহ৷তাছাড়া সে তো ভেড়ার আচরন রপ্ত করেছে, সিংহের সাহসিকতা ও কার্যাবলী তো সে শেখেইনি৷ ছোট বেলা থেকেই মেয়ে শিশুদের বাস্তব জীবনের সকল জটিল পরিস্থিতি থেকে আলাদা করে রাখা হয়৷ দায়িত্বশীলতামূলক সকল কাজ ছেলে সন্তান দিয়ে করানো হয়, আর শুধু সাংসারিক কিছু কাজ মেয়েদের দিয়ে করানো হয়৷ সুতরাং পুরুষেরা সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা, সামাজিক ইন্টারএকশন, ও ব্যবস্থাপনাগত যোগ্যতা রপ্ত করতে করতে বড় হয়ে থাকে৷ পুরুষেরা সামাজিক বিভিন্ন যোগ্যতা লাভ করছে উভয় দিক দিয়ে- মানসিক ও বাস্তব কর্মক্ষেত্রের মাধ্যমে৷
অভিযোগ: আমি যে ধরনের সমাজের কথা বলছি তাতে নারী-পুরুষের অবাধ মেলা-মেশার সুযোগ দিতে হবে৷ আর এরুপ সুযোগ দিলে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক (যেমন-ইভটিজিং,ধর্ষন ইত্যাদি) সমস্যার উদ্ভব হবে৷
জবাব: কুরআন এর এ বিধান যে যে নারী-পুরুষে যে বৈষম্য করেছে উপরোক্ত আলোচনায় তা ব্যখ্যা করছি। কুরআনের বিধান মানলে উপরোক্ত সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয় কিনা তা আপনাকে আগে স্বীকার করতে হবে। কুরআনের বিধান না মানলে যে সমস্যা (ইভ টিজিং,ধর্ষন) হবে বলে আপনি বলছেন সেটা আরেকটি সমস্যা। কুরআনের বিধান মানলে এক সমস্যা আর না মানলে আরেক সমস্যা। দুটি তো সমস্যা। এক সমস্যার কারন থেকে আপনি আরেক সমস্যা গ্রহণ করতে পারেন না বা সমাধান বলতে পারেন না। সমাধান কি হতে পারে সে আলোচনায় পরে আসছি।
অভিযোগ: নারীরা সৃষ্টিগতভাবে সকল কাজের যোগ্য নয়৷ তাদের শারীরিক গঠন ও প্রকৃতি সকল কাজের উপযুক্ত নয়৷ হ্যা,এটা সত্য যে নারীরা শারীরিক গঠনগত দিক ও প্রকৃতিগতদিক থেকে পুরুষের থেকে কিছুটা ভিন্ন৷ তাই বলে তারা সামাজিক সকল কর্মক্ষেত্রের যাওয়ার অযোগ্য, পুরুষের অধীনস্ত থাকতে হবে তা বলা যৌক্তিক নয়৷ আমাদের সমাজের পুরুষেরা যে সকল কাজ করে তার প্রায় সকল কাজ একজন নারী করতে সক্ষম যদি তারা সে ধরনের পরিবেশ,পরিপাশ্বিকতা ও মনমানসিকতা নিয়ে বড় হয়৷ 
৪. জাতী তার অর্ধেক সম্পদ(নারী)এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়:
একটি জাতীর সবচেয়ে বড় সম্পদ হল মানব সম্পদ৷ মানুষ বলতে নারী-পুরুষ উভয়কে বুঝায়৷ এ ধরনের সমাজে যেহেতু নারীরা কর্মজীবনে আসে না, দেশ ও জাতী তাদের সুপ্ত মেধা ও যোগ্যতার সেবা থেকে বঞ্চিত হয়৷ জাতীর মহামূল্যবান সম্পদ ঘরে আবদ্ধ থেকে অপচয় হয়৷ একটি জাতীর অর্ধেক সম্পদ থেকে সে জাতী বঞ্চিত হয়৷ 
৫. এ নীতির ফলে নারীরা মানসিক ও শারিরীকভাবে নির্যাতন ও নিগৃহিতের শিকার হয়:

এ ধরনের সমাজে নারীরা নির্যাতন ও নিগৃহতের শিকার হয়৷ যেহেতু তারা পুরোপুরি পুরুষ নির্ভর, তারা মুখ উচু করে কথা বলতে পারে না৷ স্বামীর হাতে নির্যাতীত হওয়ার পাশাপাশি শশুর-শাশুরী ও শশুর বাড়ীর নিকটস্থীয়দের কর্তৃকও মানসিক ও শারিরীক নির্যাতনে নির্যাতীত হয়ে থাকে৷ 

অভিযোগ:
ইসলামে নারীকে চাকরী করার অনুমতি দেয়৷ ইসলাম নারী সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে এমন সকল ক্ষেত্রে নারীদেরকে নের্তৃত্ব দেয়ারও অনুমতি দেয়৷ নারীরা এমনকি নারী বিষয়ক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হতে পারে৷ ইসলামে জ্ঞানার্জন করা নারী-পুরুষ সকলের উপর ফরয করেছে৷ সুতরাং জ্ঞানার্জনে নারীদেরকে ইসলাম উত্‍সাহিত করে৷ হযরত আয়েশা (র:) ছিলেন একজন মুহাদ্দিস৷ অতএব আপনার বক্তব্য ভিত্তিহীন৷ 
জওয়াব: ইসলামে নারীকে চাকরি করার অনুমতি দেয় স্বামীর দয়ার উপর৷ স্বামী অনুমতি না দিলে স্ত্রী চাকরি করতে পারবে না৷ আর স্ত্রী চাকরি করবেই বা কেন, যেহেতু স্বামী থেকে সবকিছু পাচ্ছে৷ আর যদি কর্তৃত্বের জন্য চাকরি করে, তা তো ইসলামে বৈধ হবে না, কারন স্বামীর আনুগত্য ফরয৷ বর্তমানে আমাদের দেশে নারীদের চাকরিতে আসার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে৷ এ প্রবণতার মুল অবদান আধুনিক নারী অধীকার আন্দোলনকারীদের৷ আমি নারী অধিকার আন্দোলনকারীদের বলছি না তারা অনেক ভাল/খারাপ৷আমি শুধুমাত্র সত্য তুলে ধরলাম৷ বর্তমানে আমাদের দেশে নারীদের যতটুকু কর্মক্ষেত্রে আসতে দেখা যাচ্ছে তার অনেকটা অবদান তাদের৷ পুরুষদের অথনৈতি কর্তৃত্বের কারনে দীর্ঘদিন যাবত নারীরা মুখবুজে নির্যাতন সহ্য করে আসছে৷
আপনি হয়ত বলবেন নারীরা নির্যাতিত হলে তার জন্য ইসলাম প্রতিকার নারীকে দিয়েছে৷ প্রথমত: নারী সালিসির মাধ্যমে মীমাংসা করার চেষ্টা করবে৷ মীমাংসা না হলে সে তালাক চেয়ে নিতে পারে৷
নারীকে অধিনস্ত করে দিয়ে তারপর নির্যাতিত হলে তা থেকে বেরিয়ে আসার এ সমাধান যথার্থ নয়৷ কারন প্রাথমিক কিছু নির্যাতন আছে যার প্রতিকারে সালিসি ডাকাও সম্ভব নয়৷ কাজের জন্য স্বামীর বা শশুর-শাশুরীর অন্যায়ভাবে বকা-ঝকা, বিভিন্ন সময় অপমানজনক কথা,ব্যবহার ইত্যাদি আচরনের মাধ্যমে পরিবারের দ্বিতীয় শ্রেনীর সদস্য হিসাবে গণ্য করা প্রাথমিক নির্যাতনের আওতায় পড়ে৷
দ্বিতীয় স্তরের নির্যাতন হলে সালিশি ডাকা সম্ভব৷ কিন্তু সেখানে কতটুকু ন্যায় বিচার পাবে তা প্রশ্ন থেকে যায়৷ আর ন্যায় বিচার না পেলেই যে তালাকের পথে হাটা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না৷ তাছাড়া আদালতের জটিলতা তো আছেই৷ সামাজিক মান সম্মানের বিষয় আছে৷ তাছাড়া তালাক গ্রহণ করলে তালাকের পর সন্তানেরা পিতা থেকে আলাদা হওয়াই তাদের মানসিক সুষ্ঠ বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়৷ এ মহিলার পক্ষে আবার বিবাহ সম্ভব হয় না৷ আবার বিবাহ হলেও পূর্বের স্বামীর সন্তানেরা সমস্যার সম্মুখিন হয়৷ তালাকাবস্থায় জীবনটা মনে হয় যেন অভিষাপের৷ মেয়ে সন্তান থাকলে তাদের ভালো পাত্রে বিবাহ দেয়া বেশ কঠিন হয়ে দাড়ায়৷ ইত্যাদি বিবেচনায় একজন নারী স্বামীর নির্যাতন থেকে বাচতে তালাকের পথে হাটার বদলে নির্যাতন সয়ে জীবন কাটানোই ঢের ভাল মনে করে৷ সুতরাং দেখা যাচ্ছে ইসলাম নারীকে পুরুষের অধীনস্ত রেখে তারপর তারা নিগৃহিত হলে তা থেকে বাচার যে উপায় বাতলে দিয়েছে তা যথার্থ নয়৷ 
এবার আসি নারী নেতৃত্বের বিষয়ে৷ নারী বিষয়ক মন্ত্রীত্ব বা নারী বিষয়ক হাতে গোনা কয়েকটি পদে আসতে পারাটা কখনো এ অর্থ করে না যে নারীরা সামাজিক সম্মানজনক পদে অধিষ্ঠিত হতে পারে৷ 
ইসলাম নারী-পুরুষ উভয়ের উপর জ্ঞানার্জন ফরয করেছে৷ প্রশ্ন হল কোন কোন বিষয়ের কতটুকু জ্ঞানার্জন ফরয৷ জ্ঞানার্জন ফরয ফলতে কি ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পাস না এম এ পাস করা ফরয? প্রতু্ত্তরে আপনি হয়ত বলবেন ইসলামের মৌলিক জ্ঞানার্জন ফরয৷ ইসলামের মৌলিক জ্ঞান বলতে নিশ্চয় ইসলামের ফরয বিধান ( যেমন-নামায,রোযা, হজ্জ,যাকাত,জিহাদ ইত্যাদি) ও মৌলিক আকিদা (যেমন-ইমান,ইসলাম,আখিরাত,কিতাব,ফেরেশতা ইত্যাদি) সম্পর্কে জ্ঞানার্জন বুঝায়৷ এতটুকু জ্ঞানার্জন করলে ফরয তো আদায় হয়ে যায়৷ বাকি জ্ঞানার্জন মুস্তাহাব৷ মুসলিম পরিবারগুলো নারীদেরকে বড়জোর একটি হুজুরের অধীনে এতটুকু জ্ঞানার্জন করে ছেড়ে দেবে৷
আমি বলি নাই যে ইসলাম সরাসরি নারীদের জ্ঞানার্জনে নিষেধ করেছে৷ আমার বক্তব্য হল নারীদের স্বামীর অধীনস্ত থাকার ইসলামের যে বিধান তা পরোক্ষভাবে নারীদেরকে শিক্ষার ব্যাপারে নিরুত্‍সাহিত করে৷ যেহেতু স্বামীর উপার্জনের উপর সে পুরোপুরি নির্ভরশীল তাই ক্যারিয়ার নিয়ে তার কোন স্বপ্নই নেই৷ বেশি দুরে যেতে হবে না পনের/বিশ বছর আগে বাংলাদেশের নারীদের কি অবস্থা ছিল প্রত্যেক সচেতন বয়স্ক ব্যক্তি জানে৷ তখন প্রত্যেক পরিবারে ইসলাম ধর্মের প্রভাব বেশি ছিল৷ 
নারী মুক্তি আন্দোলন শুরু হল৷ তারা চাইল নারীরা ঘরের বাইরে আসুক৷ তারা কর্ম সচেতন হউক৷ তারা স্বনির্ভর হলে, স্বামীদের প্রভাব কমে আসবে৷ তখন স্বামীরা তথা পুরুষেরা একপেশে ভাবে তাদেরকে শোষন করতে পারবে না৷ এ আন্দোলনের ফলে আজ অনেক নারী কর্মজীবি হয়েছে৷ এ আন্দোলন শুরু হওয়ায় তখন আলেম সমাজ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ল এ ভেবে যে, এ আন্দোলন ইসলামে নারী অধিকার সম্পর্কে যে বিধান রয়েছে তার প্রতি জনমনে বিরুপ প্রভাব পড়বে৷ তা থেকে রক্ষার জন্য তখন থেকে ইসলামে নারী অধিকার এ বিষয়ে ব্যপক লেখা-লেখি ও বক্তব্য বিবৃতি দেয়া শুরু হয়৷ এতকাল যে আমাদের দেশে নারীরা নির্যাতীত হচ্ছিল তখন নারী অধিকার সম্পর্কে আলেমদের লেখা-লেখি বক্তব্য-বিবৃতি কিছুই ছিল না৷ বরং নির্যাতীত নারীরা আলেমদের কাছে প্রতিকার চাইলে তাদের অনেকে এ বলে সান্তনা দিত যে স্বামীর কিছু বকা বা প্রহার করলে প্রতিবাদ করতে হয় না, তাতে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন৷ তোমরা ধৈর্য্য ধর, আল্লাহ ধের্যশীলদের সাথে আছেন৷
কোন কোন নারী অভিযোগ দিলে বরং বঞ্চনার শিকার হতো এ বলে যে স্বামী বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া অসতি নারীর কাজ৷ স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাওয়া বড়ই পূন্যের কাজ৷ এমনকি এ প্রচারও করা হত যে 'স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেস্ত'৷ স্ত্রীর জন্য স্বামী কি করবে সে বক্তব্য খুব কমই হত৷ স্ত্রী স্বামীর সেবায় একনিষ্ঠভাবে নিজেকে নিবেদিত করবে- এমন বক্তব্য আপাত শুনতে ভালই শোনায়৷ কিন্তু এর পরিণতি অনেক খারাপ হয়ে থাকে৷ পুরুষদের মধ্যে এ প্রভুত্বসুলভ প্রবণতা তৈরি হয়, আর নারীরা অধীনতামুলক মানসিকতা নিয়ে বড় হয়৷
যাহোক বলছিলাম নারীবাদী আন্দোলনের ফলে নারীদের এক বৃহদাংশ ঘরের বাইরে আসতে শুরু করে৷ পর্যায়ক্রমে যারা এ নারীবাদীদের এ আন্দোলনের ঘোর বিরোধী ছিল তারাও তাদের মেয়েদের এখন চাকরি-বাকরিতে উত্‍সাহিত করছে৷ এখন যে সব নারীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছে তাদের মুল ইচ্ছা থাকে যে তারা চাকরি করবে, স্বনির্ভরশীল হবে, এবং তাদের এ অর্থনেতি শক্তি দ্বারা স্বামীর প্রভুত্ব প্রতিহত করবে৷ এ বাসনা শুধু সাধারণ নারীরাই করে তা নয়, বরং আমি নিজে এমন অনেককে দেখেছি যারা ইসলামী আন্দোলন করে, মুখে ইসলামে নারী অধিকারের বক্তব্য দিয়ে বেড়ায়,অথচ নিজে চাকরি করে এ নিয়তে যাতে সে স্বামীর উপরও প্রভুত্ব করতে পারে৷ এটা আমার অনুমান নয়,তাদের নিজ মুখে স্বীকারোক্তি৷ 
পুরষ ও নারীর কর্মক্ষেত্রের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: আমরা স্মরণাতীতকাল থেকে দেখে আসছি পুরুষ ও নারীর কর্মক্ষেত্র ভিন্ন৷ এর কারন কি৷ এর প্রধান কারন ধর্ম৷ প্রায় সকল ধর্ম নারীদের স্বামীর অধীন থেকে স্বামীর সেবা ও সংসার ব্যবস্থাপনার কথা বলে থাকে৷ আর পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ কোন না কোন ধর্ম অনুসরণ করে৷ এ কারনে বিশ্বজুড়ে এমন অবস্থা দেখা যায়৷ পূর্বের যুগে মানুষ বহুধরনের কুসংস্কারে বিশ্বাস করতো৷ কিছু মানুষ কিছু যাদু বিদ্যা বা অন্য কোন চাতুর্যপূর্ন কৌশল ইত্যাদি দ্বার অলৌকিক কিছু কার্য দ্বার অন্য মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করতো৷ মানুষ এসব বিশ্বাস করতো৷ আজ আধুনিক শিক্ষা-দীক্ষা ও বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে মানুষ অনেক বেশি সচেতন হয়েছে৷
একটি জনপ্রিয় কথা ‘ এ জগতে যত উন্নতি এ পর্যন্ত হয়েছে তার অর্ধেক করেছে নারী আর অর্ধেক করেছে নর’- আমি এ কথার সাথে দ্বিমত পোষন করি। আমি মনে করি ‘এ জগতে যত উন্নতি এ পর্যন্ত হয়েছে তার কিয়দাংশ করেছে নারী আর অর্ধেক করেছে নর’। আমার মতে ‘নারী অর্ধেক করতে পারত, কিন্তু যুগে যুগে ধর্মের নামেই হোক বা যে নামেই হোক নারীকে সবসময় অবদমিত করে রাখা হয়েছে। যুগে যুগে তারা বঞ্চনার শিকার হয়েছে। আজ সভ্যতার যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, নারী জাতীকে যদি কোন যুগে অবদমিত করে রাখা না হত, সভ্যতা আরো অনেক দুর এগিয়ে যেত।
যে কারনে আল কুরআনকে স্রষ্টা প্রদত্ত গন্থ হিসাবে গ্রহণ করা যায় না
(আল কুরআনে নারী অধিকার সম্পর্কে বক্তব্যের পর্ব-৩)

(যাদের কাছে জন্মগতভাবে পাওয়া ধর্মের চেয়ে সত্য কল্যানের ধর্মই বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাদের জন্য এ লেখা।)
আল কুরআন যে নারী নীতিমালা দিয়েছে তা নারী জাতীর জন্য অনেক বঞ্চনার কারন। স্রষ্টা পদত্ত কোন বিধান এমন হতে পারে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছি নিম্নের লিঙ্কের প্রবন্ধে যার সারাংশ এখানে তুলে ধরছি:
আল কুরআন এর দৃষ্টিতে নারীর পরিচালক পুরুষ। অর্থ্যাৎ নারীরা পুরুষের অধীন হয়ে থেকে পুরুষের অনুগত্য করবে। সতিসাধ্ধি নারী তারাই যারা পুরুষের চরম অনুগত।অর্থ্যাৎ সংসারের সকল সিদ্ধান্ত নিবে পুরুষ, নারীর পরামর্শ পুরুষে নিতে পারে তবে তা ঐচ্ছিক। আর নারীকে অধীনস্ত করে রাখার হাতিয়ার হিসাবে পুরুষকে দিয়েছে অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব।আমাদের দেশে অন্যন্য আইনগুলো কুরআন থেকে নেয়া না হলেও পারিবারিক আইনটি কুরআন থেকে নেয়া।যার কারনে এ আইনের কুফল এ দেশের নারীরা বহুকাল আগের থেকে নিজ চোখে দেখে আসছে। নিম্নে কুফলগুলো তুলে ধরা হল(কুফলগুলো বিশ্লেষন করা হয়েছে মুল প্রবন্ধে যার লিঙ্ক উপরে দেয়া হয়েছে):
১. এ নীতি নারীদের শিক্ষা ও উন্নত জীবন গঠনে অনুৎসাহীত করে
২. নারীদের মেধা ও যোগ্যতা বিকাশে প্রধান অন্তরায়
৩. ব্যবস্থানাগতক্ষেত্রে এ নীতি নারীদের অযোগ্য করে তোলে
৪. জাতী তার অর্ধেক সম্পদ(নারী)এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়
৫. এ নীতির ফলে নারীরা মানসিক ও শারিরীকভাবে নির্যাতন ও নিগৃহিতের শিকার হয়

৪ নং পয়েন্টের উপর যে আপত্তি উঠতে পারে তার যথার্থ জবাব দেয়া প্রয়োজন মনে করছি। যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়ে থাকে তা হল নারী ঘরে থাকলে সন্তান পালনের যে দায়িত্ব পালন করে তাকে আমি খাটো করে দেখছি।
আচ্ছা, যদি ধরেও নেই যে সন্তান লালন পালনের ন্যয় গুরু দায়িত্ব পালনের জন্য নারীকে ঘরেই থাকা উচিত, তাহলে কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়? স্বামীর অধিনস্ত হয়ে ঘরে আবদ্ধ থাকলে উপরে উল্লেখিত অন্যন্য যে সমস্যাগুলোর উদ্ভব হয় সেগুলোর ব্যপারে আপনি কি বলবেন?
একটি সমাজের হাজার হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পরিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।ইসলামের দৃষ্টিতে নারীরা এ একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে থাকবে আর পুরুষদের প্রতিষ্ঠান হবে পরিবার সহ হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান। একজন নারী ঘরে থাকলে সন্তানকে বেশি সময় দিতে পারে ঠিকই কিন্তু তাকে ঘরে থাকতে হলে পুরুষের অধীন হতে হয় যা তাকে বঞ্চনার শিকার করে। আর সন্তান লালনে মা এর ভূমিকা বেশি বলতে পারেন তবে ১০০% নয়। আর মায়ের কাছে থাকার কারনে সন্তান যে সবসময় মা এর কাছ থেকে কল্যাণ পায় তা নয়। মা যদি সুশিক্ষিত না হয় তাহলে ঘরে থেকে সন্তানটি মায়ের থেকে বিভিন্ন কুসংস্কার, অন্ধ বিশ্বাস, অসদাচারন ইত্যাদিই শিক্ষা পেয়ে থাকে।কুরআনের নীতি মানলে যেহেতু নারীদেরে অর্থনৈতিক দায়িত্ব থাকে না, সেহেতু ক্ষুদ্রতম সংখ্যক নারীই শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী হবে। এ নীতি থাকলে আপনি শুধু ওয়াজ করে, শিক্ষার গুরুত্ব ইত্যাদি বুঝিয়ে খুব বেশি একটি সংখ্যক নারীকে শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী করতে পারবেন না।
নারী যদি ঘরের বাইরে বৃহ্ত্তর কর্মক্ষেত্রে আসে তাহলে কি সন্তানকে আদর্শ করে লালন-পালন সম্ভব নয়? অবশ্যই সম্ভব। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করতে হবে। তাহল:
১. সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার সময় থেকে ১ বছর বাধ্যতামূলক ছুটি।
২. সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর দ্বিতীয় বছর থেকে পরবর্তী ৩ বছর (সন্তানের বয়স ৪ বছর হওয়া পর্যন্ত)সন্তানের মায়ের জন্য অর্ধ-বেলা (৪ ঘন্টা)অফিস সময় বাধ্যতামুলক করা যাতে করে মা সন্তানের কাছে বেশি সময় দিতে পারে।এরুপ সুযোগ দু’টি সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে করা যেতে পারে। এর চেয়ে বেশি সন্তান নিলে দায় দায়ীত্ব পিতা-মাতার।
৩. সন্তানের বয়স ৪ বছর হলে সে সকল সন্তানের জন্য কিন্ডারগার্টেন এর ন্যয় শিশু কেয়ার সেন্টার খোলা যেতে পারে।যেখানে শিশু মনস্তাত্বিক বিদ্যার উপর বিশেষ প্রশিক্ষন প্রাপ্ত শিক্ষক, শিশুর শারীরিক মানসিক বিকাশে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোক নিয়োজীত থাকবে যারা খেলাচ্ছলে শিশুদের সুন্দর মানুষ হিসাবে গড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ‍ভুমিকা পালন করবে।শিশুর সুন্দর মানসিক বিকাশে ভাল প্রশিক্ষন প্রাপ্ত অভিজ্ঞ লোকের প্রয়োজন যে প্রয়োজন এমন নারীরা যার চাকুরী না করে ঘরে থাকে তারাও পুরন করতে সক্ষম নয়।
এটা আমার প্রস্তাবনা।প্রকৃতপক্ষে এ নিয়ে আরো গবেষণা করে এর চেয়ে সুন্দর সমাধান বের করা যেতে পারে।যা নিয়ে গবেষণা হয় তা বিকাশ লাভ করে। যেমন শিক্ষা ব্যবস্তা,শিক্ষা দান পদ্ধতি ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা হচ্ছে।একজন শিক্ষক ছাত্রদের নিকট শিক্ষাকে কিভাবে আনন্দদায়ক করবে তা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে, এর অনেক রেজাল্টও পাওয়া গেছে। আগামি দিনগুলোতে হয়ত ইহা আরো বিকাশ লাভ করবে।শিক্ষাকে আনন্দঘন করার গবেষণায় ব্রিটেন বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে।ঠিক একভাবে উপরোক্ত সমস্যা নিয়ে বিজ্ঞজনেরা রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা গবেষণা চালিয়ে গেলে আরো সুন্দরতম সমাধান বের হয়ে আসবে। আমার উপরোক্ত প্রস্তাবনা বুঝার সুবিধার্থে উদাহরণস্বরুপ দেয়া হয়েছে।
একটি সমাজ, সভ্যতা গঠিত হাজারও প্রতিষ্ঠান নিয়ে।সকল প্রতিষ্ঠানে নারী-পুরুষ উভয়ের মেধা, যোগ্যতার ছোয়া ও অবদান থাকে সে সমাজ ও জাতির বিকাশ উন্নয়ন অতি ত্বরান্বীত হবে।আর কুরআনের দৃষ্টিতে নারী শুধু সমাজের একটি প্রতিষ্ঠারে ভুমিকা রাখে যে প্রতিষ্ঠানে নারীর কোন চিন্তা গবেষনার প্রয়োজন হয় না, কর্মের নব নব ক্ষেত্র পায় না, কর্মের বৈচিত্রতা নেই যার ফলে এ সকল নারীরা গীবত-চোগলখুরি সহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। কার স্বামী ভাল কার স্বামী খারাপ, কার সন্তান কবে কি করেছে ইত্যাদি সহ বহু অর্থহীন কাজে তারা জড়িয়ে যায়।






আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.