নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধার রাত্রি ভোরের অনেক বাকী স্বপ্ন দেখার সুযোগ এখন তাই

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

মাহিরাহি

বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।

মাহিরাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে নারীদের অমর্যাদার মিথ্যে অভিযোগ

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২

বহু বছর আগে শরত চন্দ্র চট্টোপধ্যায়ের একটি প্রবন্ধ পড়েছিলাম যেখানে তিনি নারীদের মর্যাদার ব্যপারে বিভিন্ন ধর্মের অবস্থান তুলে ধরেছিলেন।
ভাষ্যটি হুবহু না হলেও অনেকটা নিম্নরুপঃ
বাইবেলে নারীদের বলা হয়েছে নরকের দ্বার স্বরূপ। ইহুদিরা ,,,,,,,,। হিন্দু ধর্মে ,,,,,,,। সত্যিকার অর্থে কোন ধর্ম নারীদের মর্যাদা দিয়া থাকিলে তাহা হইল ইসলাম। যদিও ইসলাম ধর্মে নারীদের প্রকৃত অবস্থানটি স্পষ্ট নয়।

বাংগালী আর মুসলমানদের মধ্যে ফুটবল খেলা হইতেছে।
অথচ শরত চন্দ্র চট্টোপধ্যায়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তোলা হয়েছিল তার একটি উপন্যাসে উপরোক্ত উক্তির জন্য।

৫০ বছর আগেও আমেরিকাতে একজন নারী নিজের নামে কোন সম্পদ রাখতে পারত না, অথচ ইসলাম নারীদের এ অধিকারটি দিয়েছিল ১৪০০ বছর আগে।
বিধবাদের বিয়ের ব্যপারে ইসলাম কোন বাধা রাখেনি, এমনকি একজন নারীকে তালাক দেয়ার অধিকারও দিয়েছে, অন্যান ধর্ম কি এই অধিকারগুলো দিয়েছে?

গত বিশ বছরে ভারতে প্রায় এককোটি মেয়ে শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ আর এ কারনেই ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যে জন্মপুরবরতি ভ্রুন নির্ধারন আইন দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

হাদিসে আছে যে তার দুটি শিশুকন্যাকে শিক্ষা দিয়ে বিয়ের ব্যবস্থা করল তার জন্য বেহেস্ত ওয়াজিব।

এমনকি বলা হয়েছে যে তার মেয়ে দাসীকে শিক্ষা দিয়ে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিল তার জন্য রয়েছে উত্তম পুরস্কার।

ভারতীয় মুসলমানদেরকে হয়তবা উপরোক্ত হাদিসটিই এই গর্হিত কাজটি থেকে বিরত রেখেছে।এর প্রমান প্রাক ইসলামে কন্যাশিশু হত্যার মত জঘন্য কাজটি ইসলাম আবির্ভুত হওয়ার পর রহিত হয়েছিল।

খাওয়ার সময় মেয়েদের পাতে বেশি খাবার তুলে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অনেকে প্রায়শঃই কোরানের একটি আয়াতের বর্ণনা দিয়ে নারীদের ঊপড় পুরষের শ্রেষ্টত্বের কথা বলে থাকেন।

এই শ্রেষ্ঠত্ব ভুল অর্থে ব্যবহার করেন অনেকে। কোরানের আরেকটি আয়াতে জীবিকার ব্যপারে একে অপরের ওপর শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে নারী পুরুষের উল্লেখ করা হয়নি।

আপনি কি এমন একটি প্রতিষ্ঠানের কথা বলতে পারবেন যেখানে একজন প্রতিষ্ঠান প্রধান নেই।পরিবারকে বলা হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান। 

পরিবারকে যদি একটি প্রতিষ্ঠান বলে ধরে নেয়া হয় সেখানে একজনের প্রাধান্য থাকাটাই শ্রেয় নয়কি।

এরজন্য সংসারের বয়োজেষ্ঠ পুরুষটি সবচাইতে যোগ্যতর নন কি। সন্তান প্রশবের সময় একজন মেয়ে কি রকম অসহায় হয়ে পরে তা কারো অজানা নয়, এসময়কি তার পক্ষে সম্ভব সংসারের হাল ধরা।

অলিম্পিকের এমন একটি ইভেন্টের কথা বলতে পারবেন কি যেখানে মেয়েরা পুরুষদেরে অতিক্রম করতে পেরেছে, বিশ্ব রেকর্ডের ক্ষেত্রেও মেয়েরা পুরুষদের চাইতে পিছিয়ে নয় কি?

এটা মেনে না নিয়ে আর ঊপায় নেই যে শারিরীকভাবে মেয়েরা দুর্বল হয়ে থাকে। পুরুষদের এই শ্রেষ্ঠত্ব প্রকৃতিগতভাবেই স্বাভাবিক এবং এতে নারীদের অমর্যাদার কিছু নেই।

নারীদের সৌন্দর্য তার কোমলতায়, নমনীয়তায়। পেশীবহুল পুরুষদের মেয়েরা পছন্দ করলেও পেশীবহুল মেয়েকে কয়জন পুরুষ পছন্দ করবে। গবেষনায় দেখা গেছে সারা প্বথিবীতে পুরুষদের চাইতে নারীদের গড় আয়ু এই কারনে বেশী যে তারা জীবনের বেশিরভাগ সময় ঘরের নিরাপদ পরিবেশে বাস করেন। বাইরের কঠিন পরিবেশে কঠিন শ্রমের কাজগুলো তাদেরকে করতে হয় না।

আমার উপর কার হক বেশি?
এক সাহাবীর এই প্রশ্নের উত্তরে নবিজি সাঃ বলেছিলেন, তোমার মার।
তারপর কার?
তোমার মার।
পরপর তিনবার তিনি একই উত্তর দিয়েছিলেন।
চতুরথবারের উত্তরে বলেছিলেন তোমার বাবার।
অর্থাত পরিবারে একজন মাকে (নারীকে) বাবার (পুরুষের) তিনগুন বেশি মর্যাদা হয়েছে।

আরেকবার নবিজি সাঃ কয়জন যুবককে কিছু লাকড়ি যোগাড় করে আগুন জবালাতে বললেন, তারপর নিয়ে আসতে বললেন এক বুড়ি মা এবং তার সন্তানকে। মা তার সন্তানের উপর অসন্তুষ্ট ছিলেন। নবিজি সাঃ তারপর বললেন ছেলেটিকে ধরে আগুনে ফেলে দেয়ার জন্য।
ঠিক ফেলে দেয়ার মুহুর্তে বুড়ি মা ভয়ে আর্তনাদ করে উঠলেন।

তখন নবিজি সাঃ বুড়ি মা এবং তার সন্তানকে উদ্দ্যেশ করে বললেন, মা যদি তার সন্তানের উপর অসন্তুষ্ট থাকে তবে তাকে অনন্তকাল দোজখের আগুনে জ্বলতে হবে।

আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে যে ব্যক্তি তার স্ত্রির কাছে উত্তম সে প্রকৃত অর্থে উত্তম। এসব

এসব কিছুতে প্রমানিত হয়না যে অনেক ক্ষেত্রে নারীদেরকেও সম্মানের প্রশ্নে পুরুষের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে।
দুটো পরিসংখানের কথা বলি।

আমেরিকার ৫০% এর উপরের মহিলারা স্বামীর চাইতে তার কুকুরকে বেশি ভালবাসে।

আমেরিকাতে ইসলাম ধর্মে যারা ধরমান্তরিতে হচ্ছে তার বেশিরভাগ মেয়েরা।

নারীদের অধিকারের আন্দোলনে সোচ্চার পাশ্চাত্যের পুরুষদের প্রতি তাদের মেয়েদের এই বৈরি আচরনের কারন কি?

আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মহিলা প্রফেসরের ন্যাসনাল জিওগ্রাফির একটি একটি অনুষ্ঠানে
দেয়া উক্তি দিয়ে শেষ করছি।
তাকে হয়ত একজন নারীবাদী বলা যাবে না কিন্তু ১৪০০ বছর আগে তিনি নারীদের জন্য যা করেছেন তা আজকের একজন নারীবাদীর পক্ষে করা অসম্ভব ছিল।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষ সময়ের সাথে অধিক ভাবছে, নাকি আগের থেকে কম ভাবছে?

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২

জিয়ানা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। ইসলামে নারীদের সর্বাপেক্ষা বেশি মর্যাদা দেয়া হয়েছে। সত্যিই।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ, মাকে একজন সন্তান যেটুকু ভালবাসে, একজন পিতার ভাগ্যে সেটি জুটে না, নারীরা সত্যিই সৌভাগ্যবান।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


সব মুসলিম দেশে যদি মহিলাদের পশ্চিমে যাবার ভিসা দেয়া হয়, শুধু শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া ব্যতিত সবাই চলে যাবে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২

মাহিরাহি বলেছেন: Epictetus — Freedom is secured not by the fulfilling of men's desires, but by the removal of desire

স্বাধীনতার বিকৃত ব্যাখ্যা দানে যেভাবে মেয়েদের মাথা বিগড়ে দেয়া হচ্ছে, তাতে কিছু সংখ্যক মানুষের বস্তুবাদী পশ্চিমে যাওয়া অবাক হওয়ার কিছু নেই।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

ইসলাম কিংডম বলেছেন: উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে নারীরা যা পায় তার সবটা তার নিজেরই থেকে যায়। অন্যদিকে পুরুষেরা উত্তরাধিকার যা পায় তা তার নিজের জন্য, স্ত্রী-সন্তানের জন্য এবং তার অবিবাহিত ভাই-বোন, ও পিতামাতা যদি জীবিত থাকে তাদের সকলের জন্য ব্যয় করে। এ ছাড়াও সে স্ত্রীর জন্য উপহার স্বরূপ মোহর প্রদান করে থাকে, তার যাবতীয় দায়-দায়িত্ব, ব্যয়-ভার, তার সন্তনের যাবতীয় ব্যয়-ভার গ্রহণ করে থাকে। সে তার স্ত্রীকে কাজ করার জন্য জোর করতে পারবেনা, কেননা স্ত্রীর সম্পদের উপর স্বামীর কোন অধিকার নেই। আরো বলতে গেলে, স্ত্রী তার সম্পদ যথা ইচ্ছা ব্যয় করতে পারবে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

মাহিরাহি বলেছেন: Harvard Law School, one of the most prestigious institutions of its kind in the world, has posted a verse of the Holy Quraan at the entrance of its faculty library, describing the verse as one of the greatest expressions of justice in history.

Verse 135 of Surah Al Nisa (The Women) has been posted at a wall facing the faculty's main entrance, dedicated to the best phrases articulating justice:

O ye who believe! stand out firmly for justice, as witnesses to Allah, even as against yourselves, or your parents, or your kin, and whether it be (against) rich or poor: for Allah can best protect both. Follow not the lusts (of your hearts), lest ye swerve, and if ye distort (justice) or decline to do justice, verily Allah is well- acquainted with all that ye do

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

সান্তুইয়া বলেছেন: আপনার লেখা বরাবরই ভালো লাগে, পড়ি তবে কমেন্ট করি কম। লেখুন মন খুলে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

মাহিরাহি বলেছেন: সত্যিই ধন্যবাদ অকুন্ঠ প্রশংসার জন্য।

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০

মোঃ আমানউল্লাহ বলেছেন: সুনাদর লেখা উপহার দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ...
জাজাকাল্লাহ...


আর আজকে যারা নারীর অধিকার নিয়ে বড্ড লাফালাফি করছেন তাদের কাছে এর উদ্দেশ্য হচ্ছে কাপড় খোলার স্বাধীনতা...

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

মাহিরাহি বলেছেন: ঠিক বলেছেন, অন্য অর্থে নারীদের শৃখংলাবদ্ব করা হচ্ছে জাগতিক লোভ আর আকাংখার জাল ছড়িয়ে।

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ইসলামে বাল্যবিবাহ জায়েজ করছে

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: 1) নারীর অবস্থান পুরুষের নিচে। ( কোরআন 4:34, 2:228)
2)তাদের মর্যাদা পুরুষের অর্ধেক। ( কোরআন 2:282, 4:11, বুখারি 3:48:826, 1:142 )
3)তারা পুরুষের অধিকৃত সম্পত্তি। (বুখারি 5:59:524)
4)তারা কুকুরের সমতুল্য। (বুখারি 1:9:490, 1:9:493, 1:9:486, মুসলিম 4:1032)
5) ভালবাসার অযোগ্য। (বুখারি 7:62 :17, দাউদ 41:5119)
6) তাদের বন্ধক রাখা যায়। (বুখারি 5:59:369)
7) পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে তারা অপবিত্র। (কোরআন 2:222, আল তাবেরী, বই নং 1, পৃষ্ঠা 280 ) হজ্ব করার অযোগ্য। (বুখারি 1;6:302)
8) তারা নিকৃষ্ট ( বুখারি 9:88:219) বুদ্ধিহীন ( বুখারি 2:24:541) অকৃতজ্ঞ ( বুখারি (1:2:28) খেলার পুতুল ( আল মোশারফ, 1 নং বই, পৃষ্ঠা 263) হাড়ের মতো বক্রতাযুক্ত। ( মুসলিম 8:3466-68, বুখারি 7:62:113-114, 4:55:548)
9) তারা পুরুষের চাষযোগ্য ক্ষেত্র। ( কোরআন 2:223, দাউদ 11:2138)
10) তারা শয়তানের রূপ। ( মুসলিম 8:3240)
11) তাদের মাঝে নিহিত আছে যাবতীয় খারাপ। ( বুখারি 4:52:110-111)
12) তারা বিশ্বাসঘাতক। ( বুখারি 4:55:547)
13) পুরুষের জন্য ক্ষতিকারক। ( বুখারি 7:62:33)
14) নেতৃত্ব দেয়ার অযোগ্য (বুখারি 9:88:219)
15) প্রার্থনা ভঙ্গ হওয়ার কারণ। ( বুখারি 1:9:490, 1:9:493)
16) স্বামীর যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে তারা বাধ্য। (মুসলিম 8:3368)
17) পুরুষরা ইচ্ছা করলেই ধর্ষণ করতে পারবে। (কোরআন 70:29-30,দাউদ 11:2153,31:4006, বুখারি 5:59:459,8:77:600,8:3432,8:3371)
18) পুরুষ পারবে চারজন নারীকে বিয়ে করতে। ( কোরআন 4:3)
19) তালাকের অধিকার রয়েছে শুধু পুরুষদেরইই। (বুখারি 8:4871-82, মিশকাত হাদিস নং 15)
20) স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার অধিকার রয়েছে পুরুষদেরই। ( কোরআন 4:34, মুসলিম 4:21127) যার কারণে কোনো জবাব চাওয়া হবেনা। ( দাউদ 11:2142)
21) বেহেস্তে পুরুষের জন্য রয়েছে বহু কুমারী সম্ভোগের ব্যবস্থা। ( কোরআন 33:48,44:51-54,
55:56-58,78:31-35, মুসলিম 40:6795,40:6796, বুখারি 4:54:476, তিরমিজি 2687)
22) শুধুমাত্র নিরবতাই তাদের বিয়ের সম্মতি। ( বুখারি 9:86:100-101,9:85:79)
23) সর্বদা আবদ্ধ রাখতে হবে পর্দায়। ( বুখারি 5:59:462,6:60:282)
24) মৃত্যুর পর তাদের অধিকাংশের জন্য রয়েছে দোজখের আগুন। ( মুসলিম 36:6596-7, বুখারী 7:62:124,1:2:29,2:18:161)

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

মাহিরাহি বলেছেন: যার মূল উদ্দ্যেশই বিদ্বেষ ছড়ানো আর বিসৃংখলা সৃষ্টি করা তার কথার উত্তর দেয়াটা এক অর্থে বোকামি।


একসময় ইউরোপ জুড়ে মিথ্যা প্রচারনা চালানো হয়েছিল ইসলাম আর নবীজি সা: কে নিয়ে। সাথে পোপ আর চার্চের উস্কানিও ছিল।


পৃথিবীখ্যাত ইতিহাসবিদ টমাস কারলাইল বলতে তাই বাধ্য হয়েছিলেন,

."এই মহামানবের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য পশ্চিমারা অপপ্রচার চালানোর ব্যপারে যে উতসাহ উদ্দীপনা দেখিয়েছিল তাতে করে তারা নিজেদেরকেই অসম্মানিত করেছিল।"

."সংকল্পে অটল এই মহাত্বা পৃথিবীকে আলোকিত করার জন্য স্রষ্টা কর্তৃক নির্দেশিত হয়েছিলেন।"

"অনারম্ভর সহজ সরল জীবন যাপন ছিল নবীজি সা: এর। কিন্তু তার মহান লক্ষ্য বা উদ্দ্যেশ সাধনে তিনি সফল হয়েছিলেন, খুব কম সময়ের মধ্যে। "

ব্রিটিনিকা এনসাইক্লোপিডিয়ার ভাষায়,
"বিভিন্ন বিস্বাসযোগ্য বর্ননায় এটা সহজেই অনুমেয় কেবল সত আর নীতিতে অটল দায়িত্বশীল লোকের পক্ষেই সম্ভব নবীজি সা: মহাত্ব্য আর বিশালত্বকে বুঝতে পারা।"


গান্ধীজির খুব আক্ষেপ ছিল তিনি যদি আরো হাদীসের বই পেতেন পড়ার জন্য।

Mahatma Gandhi, statement published in 'Young India,'1924.

I wanted to know the best of the life of one who holds today an undisputed sway over the hearts of millions of mankind.... I became more than ever convinced that it was not the sword that won a place for Islam in those days in the scheme of life. It was the rigid simplicity, the utter self-effacement of the Prophet the scrupulous regard for pledges, his intense devotion to his friends and followers, his intrepidity, his fearlessness, his absolute trust in God and in his own mission. These and not the sword carried everything before them and surmounted every obstacle. When I closed the second volume (of the Prophet's biography), I was sorry there was not more for me to read of that great life.

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এগুলো সত্য কিনা?

১০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৮

রুদ্র১ বলেছেন: নারী মায়েরজাতী ভাবতেই ভালো লাগে

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ, খুব সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫৬

বিবেক ও সত্য বলেছেন: স্রষ্টা প্রদত্ত কোন বিধানের মত নির্ভূল, উত্কৃলষ্টতম, যথাযথ ও ভারসাম্যপূর্ণ বিধান কেউ তৈরী করতে সক্ষম নয়৷ স্রষ্টার বিধানের শ্রেষ্ঠত্বের কোন তুলনাই হতে পারে না৷ স্রষ্টা প্রদত্ত কোন বিধানের উপর প্রশ্ন উত্থাপন করা বড়ই স্পর্ধার বিষয়৷ তবে কোন বিধান স্রষ্টা প্রদত্ত বলে দাবি করা হলে, সেটা আসলেই স্রষ্টা প্রদত্ত কিনা তা যাচাই করা অন্যায় তো নয়ই বরং স্বাভাবিক বিবেক-বুদ্ধির দাবি৷ বুদ্ধিমানেরা যাচাই-বাছাই করে কোন কিছু গ্রহণ-বর্জন করে থাকে, আর বোকারা অন্যের তালে তালে/বংশ প্রীতির কারনে/আবেগ তাড়িত হয়ে কোন কিছু গ্রহণ-বর্জন করে থাকে৷

ইসলামে নারী অধিকার দিয়েছে বলতে যদি বুঝায় ১৪০০ বছরে তত্কাালীন সমাজে নারীদের যে অবস্থা ছিল তার তুলনায় নারীদের কতটুকু অধীকার দিয়েছে, তাহলে আমি বলবো অবশ্যই সে তুলনায় ইসলামে নারীদের অনেক অধীকার দিয়েছে৷ যদি প্রশ্ন করা হয় অন্য ধর্মের তুলনায় ইসলামে নারীদের কতটুকু অধিকার দিয়েছে, আমি বলবো সে বিতর্কে হয়ত আপনি প্রমাণ করতে পারবেন ইসলামে অনেক বেশি নারী অধীকার দিয়েছে৷ কিন্তু আপনি যদি প্রশ্ন করেন মানুষ হিসাবে ইসলামে নারীদের কতটুক অধিকার দিয়েছে, তাহলে আমি বলবো ইসলাম নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য করেছে৷
ইসলামে নারীদের উপর পুরুষদেরকে কতৃত্বশীল করেছে৷ পুরুষ পরিচালক,নারী তার অধীনস্ত৷ পুরুষেরা যাতে নারীদের উপর কর্তৃত্ব খাটাতে পারে সে জন্য পুরুষদের হাতে দেয়া হয়েছে অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব৷ এ নীতি সম্পর্কে আল ক্বুরআনের বক্তব্য লক্ষ্ করুন:
পুরুষ নারীর কর্তা। এ জন্য যে, আল্লাহ‌ তাদের একজনকে অন্য জনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে, পুরুষ নিজের ধন-সম্পদ ব্যয় করে। কাজেই সতী-সাধ্বী স্ত্রীরা আনুগত্যপরায়ণ হয় এবং পুরুষদের অনুপস্থিতিতে আল্লাহর হেফাজত ও তত্বাবধানে তাদের অধিকার সংরক্ষণ করে থাকে।৫৮ আর যেসব স্ত্রীর ব্যাপারে তোমরা অবাধ্যতার আশঙ্কা করো, তাদেরকে বুঝাও, শয়নগৃহে তাদের থেকে আলাদা থাকো এবং তাদেরকে মারধোর করো।৫৯ তারপর যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়ে যায় তাহলে অযথা তাদের ওপর নির্যাতন চালাবার জন্য বাহানা তালাশ করো না। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, আল্লাহ ওপরে আছেন, তিনি বড় ও শ্রেষ্ঠ। (সুরা আন নিসা:34)

তালাক প্রাপ্তাগণ তিনবার মাসিক ঋতুস্রাব পর্যন্ত নিজেদেরকে বিরত রাখবে। আর আল্লাহ‌ তাদের গর্ভাশয়ে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তাকে গোপন করা তাদের জন্য বৈধ নয়। তাদের কখনো এমনটি করা উচিত নয়, যদি তারা আল্লাহ‌ ও পরকালে বিশ্বাসী হয়, তাদের স্বামীরা পুনরায় সম্পর্ক স্থাপনে প্রস্তুত হয়, তাহলে তারা এই অবকাশ কালের মধ্যে তাদেরকে নিজের স্ত্রী হিসেবে ফিরিয়ে নেবার অধিকারী হবে।২৪৯নারীদের জন্যও ঠিক তেমনি ন্যায়সঙ্গত অধিকার আছে যেমন পুরুষদের অধিকার আছে তাদের ওপর। তবে পুরুষদের তাদের ওপর একটি মর্যাদা আছে। আর সবার ওপরে আছেন আল্লাহ‌ সর্বাধিক ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের অধিকারী, বিচক্ষণ ও জ্ঞানী। (সুরা বাকারা:২২৮)
আপনি হয়ত আমার অভিযোগ অস্বীকার করে বলবেন ইসলামে পুরুষকে শাসক করেনি বরং ইসলাম বলে নারী-পুরুষ পরস্পর পস্পরের বন্ধু ও সাথী৷ আপনাকে প্রথমে স্বীকার করতে হবে পুরষদেরকে নারীদের পরিচালক/কতৃত্বশীল করেছে৷ আপনি বলবেন পুরুষকে যেহেতু নারীর যাবতীয় খরচ বহনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই পরিচালনার দায়িত্ব তার উপরে চলে আসে৷ আমি বলব আমার অভিযোগ এখানেই৷ অর্থ কর্তৃত্ব খাটানোর প্রধান হাতিয়ার৷ এ অর্থনেতিক কর্তৃত্ব আরো বেশি করে দিতে ইসলাম উত্তারাধিকার সুত্রে পুরুষের অংশ নারীর দ্বিগুন নির্ধারন করেছে৷ আপনাকে যদি প্রস্তাব দেয়া হয় আপনি কারো অধীন হয়ে থাকবেন, যার অধীন হবেন তিনি আপনার সার্বিক খরচ নির্বাহ করবেন৷ এমনকি মালিকের মৃত্যূর পর মালিকের সম্পদের ভাগের একটি অংশ আপনি ( পেনশন স্বরুপ বা যে নামেই হোক)৷ একটি কথা সবসময় মনে রাখতে হবে যে চিরজীবন আপনি অধিনস্ত৷ আপনি কি এমন অধিনস্ত হতে পছদ করবেন?
মজার বিষয় কি একজন দাসকে যদি আপনি মনস্তাত্বিকভাবে প্রস্তুত করতে পারেন যে তার সৃষ্টি দাস হিসাবে, দাস হিসাবে অনুগতভাবে মনিবের সেবা করাই তার দায়িত্ব ও কর্তব্য।দাস হিসাবে যে তার মানসিক কষ্ট তা কেটে যাবে। ধর্মীয় বিষয়ে মানুষ চরম দূর্বল। যেহেতু নারীদেরকে ধর্মের নামে পুরুষের অধীনস্ত করা হয়, তারা অধিনস্ত থেকেও অধিনস্ত থাকার মানসিক কষ্ট থেকে মুক্ত থাকতে পারে।
পুরুষদের কর্তৃত্বশীল করার কুফলসমূহ:
১. এ নীতি নারীদের শিক্ষা ও উন্নত জীবন গঠনে অনুৎসাহীত করে:
যখন একটি নারী ছোট বেলা থেকে বড় হয় এ ভেবে যে সে যত যোগ্যতাই অর্জন করুক না কেন তার কোন মূল্য নেই, যখন তার বিবাহ হবে তাকে তার স্বামীর অধীনে চলে যেতে হবে - এ ভাবনা নারীর প্রতিভা বিকাশের প্রধান বাধা৷ একজন পুরুষ যখন বড় হয় তখন সে ছোট থেকেই তার উজ্জ্বল ক্যরিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে৷ এ স্বপ্ন তার প্রতিভা বিকাশে তাকে বহুদুর এগিয়ে নিয়ে যায়৷সাম্প্রতিককালে নারীদের যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ তৈরী হয়েছে তা নারীবাদীদের আন্দোলনের ফলে এবং নারীদের পুরুষের কর্তৃত্ব থেকে বের হওয়ার মানসিকতা থেকে।
২. নারীদের মেধা ও যোগ্যতা বিকাশে প্রধান অন্তরায়:
এছাড়া একজন পুরুষ কর্মজীবনে এসে তার কর্মের মাধ্যমে সে তার যোগ্যতার বিকাশ ঘটিয়ে থাকে৷ উল্লেখ্য, বই পড়ে মানুষ যে বিদ্যা অর্জন করে তার চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যা অর্জন করে কর্মজীবনে তার কর্মক্ষেত্রে বাস্তব প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে৷ একটি ৫ম শ্রেনি পাস করা ছেলেও যদি রাষ্ট্র প্রধাণদের সাথে ছোট বেলা থেকে চলা-ফেরার সুযোগ পায় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকে সে ছেলে বয়স্ক হলে যদি তাকে রাষ্ট্র প্রধাণ বানানো হয় সে যথারিতী রাষ্ট্র পরিচালনা করতে সক্ষম হবে৷ অপরপক্ষে এম, এ পাস তুখর মেধাবী এক গরীব যুবক যে কোনদিন কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হয়নি, তাকে যদি হঠাৎ রাষ্ট্র প্রধাণ বানানো হয় তাহলে রাষ্ট্রের কি অবস্থা হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷
৩. ব্যবস্থানাগতক্ষেত্রে এ নীতি নারীদের অযোগ্য করে তোলে:
একজন পুরুষ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে ইন্টারএকশন এর ফলে তার বিভিন্ন বিষয় ব্যবস্থাপনাগত যোগ্যতাও বৃদ্ধি পায়৷ অপরদিকে এ ধরনের নীতির সমাজে প্রথমত নারীরা শিক্ষার্জনের প্রতি আগ্রহ তো হারিয়ে ফেলে৷ দ্বিতীয়ত:তাদের কর্মজীবন বলতে সাংসারিক জীবনই সব, যেখানে রান্না-বান্নার বিদ্যা ভালো করে রপ্ত করতে হয়৷ রান্না-বান্না ও ঘর গোছানোর পর অতিরিক্ত সময়টি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কার স্বামী ও কার ছেলে-মেয়ে কেমন ইত্যাদি সব গাল-গল্পে কাটে৷ এ সকল গাল গল্পের মাঝে বিভিন্ন প্রকার পশ্চাদ আলোচনা-সমালোচনা, পরনিন্দা ইত্যাদি স্থান পায় যা বিভিন্ন ধরণের ঝগড়া বিবাদে বেশ ভালোই অবদান রাখে৷ আর যেহেতু তারা বাস্তব কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ পায় না, এ ধরনের সমাজে নারীদেরকে সমাজের বা কোন প্রতিষ্ঠানের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়৷এ ধরনের পরিবেশে বড় হওয়ায়, নারীরা নিজেদেরকে মনে করে সংসার করাই তাদের একমাত্র কাজ ও যোগ্যতা৷ সমাজের কোন সম্মানজনক কোন পদে অধিষ্ঠিত হওয়া তাদের কাজও নয় এবং যোগ্যতাও নেই৷
হঠাৎ কোন উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় নারীরা সক্ষম নয়৷ এ যোগ্যতা থাকবেই বা কি করে-ছোট বেলা থেকে যে পরিবেশে ও মনমানসিকতা নিয়ে বড় হয়েছে সেরুপই হওয়ার কথা৷ মানসিকতা অর্ধেক যোগ্যতা কেড়ে নেয়৷যে সিংহ শাবক ভেড়ার পালের মধ্যে বড় হয়, সে সিংহ কখনও সিংহসুলভ আচরণ করতে সক্ষম হয় না৷কারণ সে সিংহ জানেই না যে সে সিংহ৷তাছাড়া সে তো ভেড়ার আচরন রপ্ত করেছে, সিংহের সাহসিকতা ও কার্যাবলী তো সে শেখেইনি৷ ছোট বেলা থেকেই মেয়ে শিশুদের বাস্তব জীবনের সকল জটিল পরিস্থিতি থেকে আলাদা করে রাখা হয়৷ দায়িত্বশীলতামূলক সকল কাজ ছেলে সন্তান দিয়ে করানো হয়, আর শুধু সাংসারিক কিছু কাজ মেয়েদের দিয়ে করানো হয়৷ সুতরাং পুরুষেরা সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা, সামাজিক ইন্টারএকশন, ও ব্যবস্থাপনাগত যোগ্যতা রপ্ত করতে করতে বড় হয়ে থাকে৷ পুরুষেরা সামাজিক বিভিন্ন যোগ্যতা লাভ করছে উভয় দিক দিয়ে- মানসিক ও বাস্তব কর্মক্ষেত্রের মাধ্যমে৷
অভিযোগ: আমি যে ধরনের সমাজের কথা বলছি তাতে নারী-পুরুষের অবাধ মেলা-মেশার সুযোগ দিতে হবে৷ আর এরুপ সুযোগ দিলে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক (যেমন-ইভটিজিং,ধর্ষন ইত্যাদি) সমস্যার উদ্ভব হবে৷
জবাব: কুরআন এর এ বিধান যে যে নারী-পুরুষে যে বৈষম্য করেছে উপরোক্ত আলোচনায় তা ব্যখ্যা করছি। কুরআনের বিধান মানলে উপরোক্ত সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয় কিনা তা আপনাকে আগে স্বীকার করতে হবে। কুরআনের বিধান না মানলে যে সমস্যা (ইভ টিজিং,ধর্ষন) হবে বলে আপনি বলছেন সেটা আরেকটি সমস্যা। কুরআনের বিধান মানলে এক সমস্যা আর না মানলে আরেক সমস্যা। দুটি তো সমস্যা। এক সমস্যার কারন থেকে আপনি আরেক সমস্যা গ্রহণ করতে পারেন না বা সমাধান বলতে পারেন না। সমাধান কি হতে পারে সে আলোচনায় পরে আসছি।
অভিযোগ: নারীরা সৃষ্টিগতভাবে সকল কাজের যোগ্য নয়৷ তাদের শারীরিক গঠন ও প্রকৃতি সকল কাজের উপযুক্ত নয়৷ হ্যা,এটা সত্য যে নারীরা শারীরিক গঠনগত দিক ও প্রকৃতিগতদিক থেকে পুরুষের থেকে কিছুটা ভিন্ন৷ তাই বলে তারা সামাজিক সকল কর্মক্ষেত্রের যাওয়ার অযোগ্য, পুরুষের অধীনস্ত থাকতে হবে তা বলা যৌক্তিক নয়৷ আমাদের সমাজের পুরুষেরা যে সকল কাজ করে তার প্রায় সকল কাজ একজন নারী করতে সক্ষম যদি তারা সে ধরনের পরিবেশ,পরিপাশ্বিকতা ও মনমানসিকতা নিয়ে বড় হয়৷
৪. জাতী তার অর্ধেক সম্পদ(নারী)এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়:
একটি জাতীর সবচেয়ে বড় সম্পদ হল মানব সম্পদ৷ মানুষ বলতে নারী-পুরুষ উভয়কে বুঝায়৷ এ ধরনের সমাজে যেহেতু নারীরা কর্মজীবনে আসে না, দেশ ও জাতী তাদের সুপ্ত মেধা ও যোগ্যতার সেবা থেকে বঞ্চিত হয়৷ জাতীর মহামূল্যবান সম্পদ ঘরে আবদ্ধ থেকে অপচয় হয়৷ একটি জাতীর অর্ধেক সম্পদ থেকে সে জাতী বঞ্চিত হয়৷
৫. এ নীতির ফলে নারীরা মানসিক ও শারিরীকভাবে নির্যাতন ও নিগৃহিতের শিকার হয়:

এ ধরনের সমাজে নারীরা নির্যাতন ও নিগৃহতের শিকার হয়৷ যেহেতু তারা পুরোপুরি পুরুষ নির্ভর, তারা মুখ উচু করে কথা বলতে পারে না৷ স্বামীর হাতে নির্যাতীত হওয়ার পাশাপাশি শশুর-শাশুরী ও শশুর বাড়ীর নিকটস্থীয়দের কর্তৃকও মানসিক ও শারিরীক নির্যাতনে নির্যাতীত হয়ে থাকে৷

অভিযোগ:
ইসলামে নারীকে চাকরী করার অনুমতি দেয়৷ ইসলাম নারী সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে এমন সকল ক্ষেত্রে নারীদেরকে নের্তৃত্ব দেয়ারও অনুমতি দেয়৷ নারীরা এমনকি নারী বিষয়ক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হতে পারে৷ ইসলামে জ্ঞানার্জন করা নারী-পুরুষ সকলের উপর ফরয করেছে৷ সুতরাং জ্ঞানার্জনে নারীদেরকে ইসলাম উত্সানহিত করে৷ হযরত আয়েশা (র:) ছিলেন একজন মুহাদ্দিস৷ অতএব আপনার বক্তব্য ভিত্তিহীন৷
জওয়াব: ইসলামে নারীকে চাকরি করার অনুমতি দেয় স্বামীর দয়ার উপর৷ স্বামী অনুমতি না দিলে স্ত্রী চাকরি করতে পারবে না৷ আর স্ত্রী চাকরি করবেই বা কেন, যেহেতু স্বামী থেকে সবকিছু পাচ্ছে৷ আর যদি কর্তৃত্বের জন্য চাকরি করে, তা তো ইসলামে বৈধ হবে না, কারন স্বামীর আনুগত্য ফরয৷ বর্তমানে আমাদের দেশে নারীদের চাকরিতে আসার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে৷ এ প্রবণতার মুল অবদান আধুনিক নারী অধীকার আন্দোলনকারীদের৷ আমি নারী অধিকার আন্দোলনকারীদের বলছি না তারা অনেক ভাল/খারাপ৷আমি শুধুমাত্র সত্য তুলে ধরলাম৷ বর্তমানে আমাদের দেশে নারীদের যতটুকু কর্মক্ষেত্রে আসতে দেখা যাচ্ছে তার অনেকটা অবদান তাদের৷ পুরুষদের অথনৈতি কর্তৃত্বের কারনে দীর্ঘদিন যাবত নারীরা মুখবুজে নির্যাতন সহ্য করে আসছে৷
আপনি হয়ত বলবেন নারীরা নির্যাতিত হলে তার জন্য ইসলাম প্রতিকার নারীকে দিয়েছে৷ প্রথমত: নারী সালিসির মাধ্যমে মীমাংসা করার চেষ্টা করবে৷ মীমাংসা না হলে সে তালাক চেয়ে নিতে পারে৷
নারীকে অধিনস্ত করে দিয়ে তারপর নির্যাতিত হলে তা থেকে বেরিয়ে আসার এ সমাধান যথার্থ নয়৷ কারন প্রাথমিক কিছু নির্যাতন আছে যার প্রতিকারে সালিসি ডাকাও সম্ভব নয়৷ কাজের জন্য স্বামীর বা শশুর-শাশুরীর অন্যায়ভাবে বকা-ঝকা, বিভিন্ন সময় অপমানজনক কথা,ব্যবহার ইত্যাদি আচরনের মাধ্যমে পরিবারের দ্বিতীয় শ্রেনীর সদস্য হিসাবে গণ্য করা প্রাথমিক নির্যাতনের আওতায় পড়ে৷
দ্বিতীয় স্তরের নির্যাতন হলে সালিশি ডাকা সম্ভব৷ কিন্তু সেখানে কতটুকু ন্যায় বিচার পাবে তা প্রশ্ন থেকে যায়৷ আর ন্যায় বিচার না পেলেই যে তালাকের পথে হাটা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না৷ তাছাড়া আদালতের জটিলতা তো আছেই৷ সামাজিক মান সম্মানের বিষয় আছে৷ তাছাড়া তালাক গ্রহণ করলে তালাকের পর সন্তানেরা পিতা থেকে আলাদা হওয়াই তাদের মানসিক সুষ্ঠ বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়৷ এ মহিলার পক্ষে আবার বিবাহ সম্ভব হয় না৷ আবার বিবাহ হলেও পূর্বের স্বামীর সন্তানেরা সমস্যার সম্মুখিন হয়৷ তালাকাবস্থায় জীবনটা মনে হয় যেন অভিষাপের৷ মেয়ে সন্তান থাকলে তাদের ভালো পাত্রে বিবাহ দেয়া বেশ কঠিন হয়ে দাড়ায়৷ ইত্যাদি বিবেচনায় একজন নারী স্বামীর নির্যাতন থেকে বাচতে তালাকের পথে হাটার বদলে নির্যাতন সয়ে জীবন কাটানোই ঢের ভাল মনে করে৷ সুতরাং দেখা যাচ্ছে ইসলাম নারীকে পুরুষের অধীনস্ত রেখে তারপর তারা নিগৃহিত হলে তা থেকে বাচার যে উপায় বাতলে দিয়েছে তা যথার্থ নয়৷
এবার আসি নারী নেতৃত্বের বিষয়ে৷ নারী বিষয়ক মন্ত্রীত্ব বা নারী বিষয়ক হাতে গোনা কয়েকটি পদে আসতে পারাটা কখনো এ অর্থ করে না যে নারীরা সামাজিক সম্মানজনক পদে অধিষ্ঠিত হতে পারে৷
ইসলাম নারী-পুরুষ উভয়ের উপর জ্ঞানার্জন ফরয করেছে৷ প্রশ্ন হল কোন কোন বিষয়ের কতটুকু জ্ঞানার্জন ফরয৷ জ্ঞানার্জন ফরয ফলতে কি ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পাস না এম এ পাস করা ফরয? প্রতু্ত্তরে আপনি হয়ত বলবেন ইসলামের মৌলিক জ্ঞানার্জন ফরয৷ ইসলামের মৌলিক জ্ঞান বলতে নিশ্চয় ইসলামের ফরয বিধান ( যেমন-নামায,রোযা, হজ্জ,যাকাত,জিহাদ ইত্যাদি) ও মৌলিক আকিদা (যেমন-ইমান,ইসলাম,আখিরাত,কিতাব,ফেরেশতা ইত্যাদি) সম্পর্কে জ্ঞানার্জন বুঝায়৷ এতটুকু জ্ঞানার্জন করলে ফরয তো আদায় হয়ে যায়৷ বাকি জ্ঞানার্জন মুস্তাহাব৷ মুসলিম পরিবারগুলো নারীদেরকে বড়জোর একটি হুজুরের অধীনে এতটুকু জ্ঞানার্জন করে ছেড়ে দেবে৷
আমি বলি নাই যে ইসলাম সরাসরি নারীদের জ্ঞানার্জনে নিষেধ করেছে৷ আমার বক্তব্য হল নারীদের স্বামীর অধীনস্ত থাকার ইসলামের যে বিধান তা পরোক্ষভাবে নারীদেরকে শিক্ষার ব্যাপারে নিরুত্সা হিত করে৷ যেহেতু স্বামীর উপার্জনের উপর সে পুরোপুরি নির্ভরশীল তাই ক্যারিয়ার নিয়ে তার কোন স্বপ্নই নেই৷ বেশি দুরে যেতে হবে না পনের/বিশ বছর আগে বাংলাদেশের নারীদের কি অবস্থা ছিল প্রত্যেক সচেতন বয়স্ক ব্যক্তি জানে৷ তখন প্রত্যেক পরিবারে ইসলাম ধর্মের প্রভাব বেশি ছিল৷
নারী মুক্তি আন্দোলন শুরু হল৷ তারা চাইল নারীরা ঘরের বাইরে আসুক৷ তারা কর্ম সচেতন হউক৷ তারা স্বনির্ভর হলে, স্বামীদের প্রভাব কমে আসবে৷ তখন স্বামীরা তথা পুরুষেরা একপেশে ভাবে তাদেরকে শোষন করতে পারবে না৷ এ আন্দোলনের ফলে আজ অনেক নারী কর্মজীবি হয়েছে৷ এ আন্দোলন শুরু হওয়ায় তখন আলেম সমাজ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ল এ ভেবে যে, এ আন্দোলন ইসলামে নারী অধিকার সম্পর্কে যে বিধান রয়েছে তার প্রতি জনমনে বিরুপ প্রভাব পড়বে৷ তা থেকে রক্ষার জন্য তখন থেকে ইসলামে নারী অধিকার এ বিষয়ে ব্যপক লেখা-লেখি ও বক্তব্য বিবৃতি দেয়া শুরু হয়৷ এতকাল যে আমাদের দেশে নারীরা নির্যাতীত হচ্ছিল তখন নারী অধিকার সম্পর্কে আলেমদের লেখা-লেখি বক্তব্য-বিবৃতি কিছুই ছিল না৷ বরং নির্যাতীত নারীরা আলেমদের কাছে প্রতিকার চাইলে তাদের অনেকে এ বলে সান্তনা দিত যে স্বামীর কিছু বকা বা প্রহার করলে প্রতিবাদ করতে হয় না, তাতে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন৷ তোমরা ধৈর্য্য ধর, আল্লাহ ধের্যশীলদের সাথে আছেন৷
কোন কোন নারী অভিযোগ দিলে বরং বঞ্চনার শিকার হতো এ বলে যে স্বামী বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া অসতি নারীর কাজ৷ স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাওয়া বড়ই পূন্যের কাজ৷ এমনকি এ প্রচারও করা হত যে 'স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেস্ত'৷ স্ত্রীর জন্য স্বামী কি করবে সে বক্তব্য খুব কমই হত৷ স্ত্রী স্বামীর সেবায় একনিষ্ঠভাবে নিজেকে নিবেদিত করবে- এমন বক্তব্য আপাত শুনতে ভালই শোনায়৷ কিন্তু এর পরিণতি অনেক খারাপ হয়ে থাকে৷ পুরুষদের মধ্যে এ প্রভুত্বসুলভ প্রবণতা তৈরি হয়, আর নারীরা অধীনতামুলক মানসিকতা নিয়ে বড় হয়৷
যাহোক বলছিলাম নারীবাদী আন্দোলনের ফলে নারীদের এক বৃহদাংশ ঘরের বাইরে আসতে শুরু করে৷ পর্যায়ক্রমে যারা এ নারীবাদীদের এ আন্দোলনের ঘোর বিরোধী ছিল তারাও তাদের মেয়েদের এখন চাকরি-বাকরিতে উত্সাযহিত করছে৷ এখন যে সব নারীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছে তাদের মুল ইচ্ছা থাকে যে তারা চাকরি করবে, স্বনির্ভরশীল হবে, এবং তাদের এ অর্থনেতি শক্তি দ্বারা স্বামীর প্রভুত্ব প্রতিহত করবে৷ এ বাসনা শুধু সাধারণ নারীরাই করে তা নয়, বরং আমি নিজে এমন অনেককে দেখেছি যারা ইসলামী আন্দোলন করে, মুখে ইসলামে নারী অধিকারের বক্তব্য দিয়ে বেড়ায়,অথচ নিজে চাকরি করে এ নিয়তে যাতে সে স্বামীর উপরও প্রভুত্ব করতে পারে৷ এটা আমার অনুমান নয়,তাদের নিজ মুখে স্বীকারোক্তি৷
পুরষ ও নারীর কর্মক্ষেত্রের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: আমরা স্মরণাতীতকাল থেকে দেখে আসছি পুরুষ ও নারীর কর্মক্ষেত্র ভিন্ন৷ এর কারন কি৷ এর প্রধান কারন ধর্ম৷ প্রায় সকল ধর্ম নারীদের স্বামীর অধীন থেকে স্বামীর সেবা ও সংসার ব্যবস্থাপনার কথা বলে থাকে৷ আর পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ কোন না কোন ধর্ম অনুসরণ করে৷ এ কারনে বিশ্বজুড়ে এমন অবস্থা দেখা যায়৷ পূর্বের যুগে মানুষ বহুধরনের কুসংস্কারে বিশ্বাস করতো৷ কিছু মানুষ কিছু যাদু বিদ্যা বা অন্য কোন চাতুর্যপূর্ন কৌশল ইত্যাদি দ্বার অলৌকিক কিছু কার্য দ্বার অন্য মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করতো৷ মানুষ এসব বিশ্বাস করতো৷ আজ আধুনিক শিক্ষা-দীক্ষা ও বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে মানুষ অনেক বেশি সচেতন হয়েছে৷
একটি জনপ্রিয় কথা ‘ এ জগতে যত উন্নতি এ পর্যন্ত হয়েছে তার অর্ধেক করেছে নারী আর অর্ধেক করেছে নর’- আমি এ কথার সাথে দ্বিমত পোষন করি। আমি মনে করি ‘এ জগতে যত উন্নতি এ পর্যন্ত হয়েছে তার কিয়দাংশ করেছে নারী আর অর্ধেক করেছে নর’। আমার মতে ‘নারী অর্ধেক করতে পারত, কিন্তু যুগে যুগে ধর্মের নামেই হোক বা যে নামেই হোক নারীকে সবসময় অবদমিত করে রাখা হয়েছে। যুগে যুগে তারা বঞ্চনার শিকার হয়েছে। আজ সভ্যতার যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, নারী জাতীকে যদি কোন যুগে অবদমিত করে রাখা না হত, সভ্যতা আরো অনেক দুর এগিয়ে যেত।
যে কারনে আল কুরআনকে স্রষ্টা প্রদত্ত গন্থ হিসাবে গ্রহণ করা যায় না
(আল কুরআনে নারী অধিকার সম্পর্কে বক্তব্যের পর্ব-৩)

(যাদের কাছে জন্মগতভাবে পাওয়া ধর্মের চেয়ে সত্য কল্যানের ধর্মই বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাদের জন্য এ লেখা।)
আল কুরআন যে নারী নীতিমালা দিয়েছে তা নারী জাতীর জন্য অনেক বঞ্চনার কারন। স্রষ্টা পদত্ত কোন বিধান এমন হতে পারে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছি নিম্নের লিঙ্কের প্রবন্ধে যার সারাংশ এখানে তুলে ধরছি:
আল কুরআন এর দৃষ্টিতে নারীর পরিচালক পুরুষ। অর্থ্যাৎ নারীরা পুরুষের অধীন হয়ে থেকে পুরুষের অনুগত্য করবে। সতিসাধ্ধি নারী তারাই যারা পুরুষের চরম অনুগত।অর্থ্যাৎ সংসারের সকল সিদ্ধান্ত নিবে পুরুষ, নারীর পরামর্শ পুরুষে নিতে পারে তবে তা ঐচ্ছিক। আর নারীকে অধীনস্ত করে রাখার হাতিয়ার হিসাবে পুরুষকে দিয়েছে অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব।আমাদের দেশে অন্যন্য আইনগুলো কুরআন থেকে নেয়া না হলেও পারিবারিক আইনটি কুরআন থেকে নেয়া।যার কারনে এ আইনের কুফল এ দেশের নারীরা বহুকাল আগের থেকে নিজ চোখে দেখে আসছে। নিম্নে কুফলগুলো তুলে ধরা হল(কুফলগুলো বিশ্লেষন করা হয়েছে মুল প্রবন্ধে যার লিঙ্ক উপরে দেয়া হয়েছে):
১. এ নীতি নারীদের শিক্ষা ও উন্নত জীবন গঠনে অনুৎসাহীত করে
২. নারীদের মেধা ও যোগ্যতা বিকাশে প্রধান অন্তরায়
৩. ব্যবস্থানাগতক্ষেত্রে এ নীতি নারীদের অযোগ্য করে তোলে
৪. জাতী তার অর্ধেক সম্পদ(নারী)এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়
৫. এ নীতির ফলে নারীরা মানসিক ও শারিরীকভাবে নির্যাতন ও নিগৃহিতের শিকার হয়
৪ নং পয়েন্টের উপর যে আপত্তি উঠতে পারে তার যথার্থ জবাব দেয়া প্রয়োজন মনে করছি। যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়ে থাকে তা হল নারী ঘরে থাকলে সন্তান পালনের যে দায়িত্ব পালন করে তাকে আমি খাটো করে দেখছি।
আচ্ছা, যদি ধরেও নেই যে সন্তান লালন পালনের ন্যয় গুরু দায়িত্ব পালনের জন্য নারীকে ঘরেই থাকা উচিত, তাহলে কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়? স্বামীর অধিনস্ত হয়ে ঘরে আবদ্ধ থাকলে উপরে উল্লেখিত অন্যন্য যে সমস্যাগুলোর উদ্ভব হয় সেগুলোর ব্যপারে আপনি কি বলবেন?
একটি সমাজের হাজার হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পরিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।ইসলামের দৃষ্টিতে নারীরা এ একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে থাকবে আর পুরুষদের প্রতিষ্ঠান হবে পরিবার সহ হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান। একজন নারী ঘরে থাকলে সন্তানকে বেশি সময় দিতে পারে ঠিকই কিন্তু তাকে ঘরে থাকতে হলে পুরুষের অধীন হতে হয় যা তাকে বঞ্চনার শিকার করে। আর সন্তান লালনে মা এর ভূমিকা বেশি বলতে পারেন তবে ১০০% নয়। আর মায়ের কাছে থাকার কারনে সন্তান যে সবসময় মা এর কাছ থেকে কল্যাণ পায় তা নয়। মা যদি সুশিক্ষিত না হয় তাহলে ঘরে থেকে সন্তানটি মায়ের থেকে বিভিন্ন কুসংস্কার, অন্ধ বিশ্বাস, অসদাচারন ইত্যাদিই শিক্ষা পেয়ে থাকে।কুরআনের নীতি মানলে যেহেতু নারীদেরে অর্থনৈতিক দায়িত্ব থাকে না, সেহেতু ক্ষুদ্রতম সংখ্যক নারীই শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী হবে। এ নীতি থাকলে আপনি শুধু ওয়াজ করে, শিক্ষার গুরুত্ব ইত্যাদি বুঝিয়ে খুব বেশি একটি সংখ্যক নারীকে শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী করতে পারবেন না।
নারী যদি ঘরের বাইরে বৃহ্ত্তর কর্মক্ষেত্রে আসে তাহলে কি সন্তানকে আদর্শ করে লালন-পালন সম্ভব নয়? অবশ্যই সম্ভব। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করতে হবে। তাহল:
১. সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার সময় থেকে ১ বছর বাধ্যতামূলক ছুটি।
২. সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর দ্বিতীয় বছর থেকে পরবর্তী ৩ বছর (সন্তানের বয়স ৪ বছর হওয়া পর্যন্ত)সন্তানের মায়ের জন্য অর্ধ-বেলা (৪ ঘন্টা)অফিস সময় বাধ্যতামুলক করা যাতে করে মা সন্তানের কাছে বেশি সময় দিতে পারে।এরুপ সুযোগ দু’টি সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে করা যেতে পারে। এর চেয়ে বেশি সন্তান নিলে দায় দায়ীত্ব পিতা-মাতার।
৩. সন্তানের বয়স ৪ বছর হলে সে সকল সন্তানের জন্য কিন্ডারগার্টেন এর ন্যয় শিশু কেয়ার সেন্টার খোলা যেতে পারে।যেখানে শিশু মনস্তাত্বিক বিদ্যার উপর বিশেষ প্রশিক্ষন প্রাপ্ত শিক্ষক, শিশুর শারীরিক মানসিক বিকাশে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোক নিয়োজীত থাকবে যারা খেলাচ্ছলে শিশুদের সুন্দর মানুষ হিসাবে গড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা পালন করবে।শিশুর সুন্দর মানসিক বিকাশে ভাল প্রশিক্ষন প্রাপ্ত অভিজ্ঞ লোকের প্রয়োজন যে প্রয়োজন এমন নারীরা যার চাকুরী না করে ঘরে থাকে তারাও পুরন করতে সক্ষম নয়।
এটা আমার প্রস্তাবনা।প্রকৃতপক্ষে এ নিয়ে আরো গবেষণা করে এর চেয়ে সুন্দর সমাধান বের করা যেতে পারে।যা নিয়ে গবেষণা হয় তা বিকাশ লাভ করে। যেমন শিক্ষা ব্যবস্তা,শিক্ষা দান পদ্ধতি ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা হচ্ছে।একজন শিক্ষক ছাত্রদের নিকট শিক্ষাকে কিভাবে আনন্দদায়ক করবে তা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে, এর অনেক রেজাল্টও পাওয়া গেছে। আগামি দিনগুলোতে হয়ত ইহা আরো বিকাশ লাভ করবে।শিক্ষাকে আনন্দঘন করার গবেষণায় ব্রিটেন বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে।ঠিক একভাবে উপরোক্ত সমস্যা নিয়ে বিজ্ঞজনেরা রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা গবেষণা চালিয়ে গেলে আরো সুন্দরতম সমাধান বের হয়ে আসবে। আমার উপরোক্ত প্রস্তাবনা বুঝার সুবিধার্থে উদাহরণস্বরুপ দেয়া হয়েছে।
একটি সমাজ, সভ্যতা গঠিত হাজারও প্রতিষ্ঠান নিয়ে।সকল প্রতিষ্ঠানে নারী-পুরুষ উভয়ের মেধা, যোগ্যতার ছোয়া ও অবদান থাকে সে সমাজ ও জাতির বিকাশ উন্নয়ন অতি ত্বরান্বীত হবে।আর কুরআনের দৃষ্টিতে নারী শুধু সমাজের একটি প্রতিষ্ঠারে ভুমিকা রাখে যে প্রতিষ্ঠানে নারীর কোন চিন্তা গবেষনার প্রয়োজন হয় না, কর্মের নব নব ক্ষেত্র পায় না, কর্মের বৈচিত্রতা নেই যার ফলে এ সকল নারীরা গীবত-চোগলখুরি সহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। কার স্বামী ভাল কার স্বামী খারাপ, কার সন্তান কবে কি করেছে ইত্যাদি সহ বহু অর্থহীন কাজে তারা জড়িয়ে যায়।


১২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪৯

SwornoLota বলেছেন: জাযাকাল্লাহু খাইরান। কিছু মানুষ এই সুন্দর বোধের বিরোধী। আল্লাহকে ধন্যবাদ যে আমি তাদের একজন নই। আপনাকে সাধুবাদ এই বোধের প্রকাশের জন্য।

১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪৯

SwornoLota বলেছেন: জাযাকাল্লাহু খাইরান। কিছু মানুষ এই সুন্দর বোধের বিরোধী। আল্লাহকে ধন্যবাদ যে আমি তাদের একজন নই। আপনাকে সাধুবাদ এই বোধের প্রকাশের জন্য।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:০৪

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ

১৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। ইসলামে নারীদের সর্বাপেক্ষা বেশি মর্যাদা দেয়া হয়েছে।

১৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

মাহিরাহি বলেছেন: নি:সন্দেহে ইসলামে নারীদের সর্বাপেক্ষা বেশি মর্যাদা দেয়া হয়েছে।

১৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

এম এ মুক্তাদির বলেছেন: এই সব আইচাল বাইচাল শুনিয়ে ইতিহাসের ব্যাখ্যান দিয়ে কোন লাভ আছে ? গ্রামে যান- এখনও শুনবেন - "এক তালাক দুই তালাক বাইন তালাক, যা মাগী আমার ঘরের থনে বাইরা"। আপনার বাপ দাদাদের কাছে জজ্ঞাসা করুন, যারা গ্রামে ছিলেন । - এর পরে আবার নারী অধিকারের কথা ? লজ্জা । লজ্জা ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

মাহিরাহি বলেছেন: এম এ মুক্তাদির বলেছেন: কট কটি নামটা ভালো নয় । কিনতু কিরন মালা নামটা সুনদর ।এই নামে বাস সারভিস হোলে এতও আপততি কেন ?


যিনি কিনা কিরন মালার পক্ষ নিয়ে ওকালতি করেন, তার এ ধরনের মন্তব্যে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

১৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

কানিজ রিনা বলেছেন: তুর্য বৈরাগী দুই দিনের বৈরাগী ভাতের কয়
অন্ন,অল্প বিদ্যায় ভয়ংকরি, দেহ ছারা মাথার
কাহিনী। তরকারি ছারা ভাত খাওয়ার গল্প
দিয়েছেন অথচ এহাদিসের অনেক বর্ননা।

১৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭

মাহিরাহি বলেছেন: কানিজ রিনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সবার মন্তব্যে। মাহাবুব হোসেন এই ব্লগে বা ফেচবুকে তার অনেক
আধিপত্ব্য। সে আমার প্রাক্তন স্বামী। তার দুইটা ছেলে মেয়ে। অত্যান্ত সুশিক্ষিত মেয়েটা স্কলার নিয়ে বাইরে
লেখাপড়া করে। ছেলেটা সদ্য বিয়ে করেছ। মেয়েটার বিয়ের তোয়াক্কা না করে নিজেই এক কাজের চাকরানী
বিয়ে করেছে। ছেলে মেয়েরা আমার কাছেই থাকে। ছেলেটা চাকুরী করে সংশার চালায়।

আপনার পোষ্ট কিংবা মন্তব্য কেমন অগোছালেো, মানসিকভাবে আপনি ঠিক আছেন ত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.