নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধার রাত্রি ভোরের অনেক বাকী স্বপ্ন দেখার সুযোগ এখন তাই

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

মাহিরাহি

বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।

মাহিরাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গি নাস্তিক লীগ

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২১

সামুতে যারা জ্ঞান বিজ্ঞানের কথা বলেন আর ভয় দেখান ১৪০০ বছর পিছিয়ে যাওয়ার, তাদের ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের আর তার ব্যর্থতার প্রমান দেওয়া হল নিচের ঐতিহাসিক দলিলের মাধ্যমে।

জঙ্গি নাস্তিক লীগ, আক্ষরিক অর্থে জঙ্গি অধার্মিক লীগ, একটি ধর্ম বিরোধি সংগঠন যা কিনা সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির নীতির প্রভাবের মধ্য থেকে শ্রমিক এবং বুদ্ধিজীবি সমাজকে নিয়ে গঠন করা হয়েছিল। এই লীগের মেয়াদ কাল ছিল ১৯২৫ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল।

শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র, এবং বুদ্ধিজীবি সমাজের মধ্যে ধর্ম বিরোধী বিজ্ঞানসম্মত মানসিকতা তৈরির মাধ্যমে ধর্মকে নিশ্চিন্হ করার উদ্দ্যেশে এবং ধর্ম বিরোধী প্রচারণা চালানোর জন্য রাশিয়া ব্যাপি ৯৬০০০ অফিস প্রতষ্ঠা করে এবং ১৯৪১ সাল নাগাদ এদের সদস্য সংখ্যা দাড়ায় ৩৫ লক্ষে।

বৈজ্ঞানিক সাফল্যের প্রচার এবং ব্যক্তিগত কাজের (নাস্তিকগুরুদের আস্তিকদের নিকট পাঠিয়ে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বহীনতাকে বোঝানোর চেষ্টা) মাধ্যমে ধর্মকে নিশ্চিন্হ করার চেষ্টা চালানো হয়।

লীগের স্লোগান ছিল, "ধর্মের বিরুদ্ধে সংগ্রাম সমাজতন্ত্রের জন্য একটি সংগ্রাম".
লীগের আন্তর্জাতিক সংযোগ ছিল, বিশ্বব্যাপী প্রলেতারীয় মুক্তমনারদের ইউনিয়নের ছিল এটি

নাস্তিক লীগ পত্রিকা, জার্নাল, বক্তৃতা এবং চলচ্চিত্র, বিক্ষোভ ও প্যারেড ইত্যাদির মাধ্যমে এবং জাদুঘর স্থাপনের মাধ্যমে সোভিয়েত নাগরিকদের বোঝাতে উঠে পড়ে লেগেছিল যে, ধর্মীয় বিশ্বাস ও অনুশীলন "ভুল" এবং "ক্ষতিকর", এবং "ভাল" নাগরিকদের একটি বিজ্ঞানসম্মত, নিরীশ্বরবাদী দৃষ্টিভঙ্গি আলিঙ্গন করা কর্তব্য।


কমিউনিস্ট পার্টি অব সোভিয়েত ইউনিয়ন নাস্তিক লীগকে পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করে, ধর্ম বিরোধী প্রচারণা চালিয়ে ধর্মকে নিশ্চিন্হ করার এবং সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করার। নাস্তিকদের দ্বিতীয় কংগ্রেসে Pravda সম্পাদক প্রয়োজনে ধর্মকে নিশ্চিন্হ করার জন্য বেয়নটের ডগা ব্যবহারের তাগিদ দেন। তাদের এক নেতা বিবৃতি দেন বিশ্বব্যাপি ধর্মীয় চিন্তা ভাবনাকে নিশ্চিন্হ করার জন্য প্রয়োজনে এক কোটি মানুষকে হত্যা করা হবে।

জংগী নাস্তিক্যবাদ materialism of Marxism-Leninism এর অবিচ্ছেদ্দ অংগ ছিল। কমিউনিস্ট পরিনত হয় চার্চের ভুমিকায়।
ধংস করতে শুরু করে মসজিদ মাদ্রাসা আর চার্চ। এই জন্যই বোধহয় সামুর নাস্তিকদের প্রধান টার্গেট মসজিদ আর মাদ্রাসা।

সোভিয়েত ইউনিয়নে তখন কোন ধরনের ধর্মীয় সভা করা যেত না। স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধর্মীয় শিক্ষা শুধুমাত্র নিষিদ্ধ করা হয়নি, সেখানে নাস্তিক্যবাদের পাঠ্যদান করা হত। ছাত্রদের বলা হত তারা যেন তাদের পরিবার পরিজনকে নাস্তিক্যবাদে ধর্মান্তর ঘটায়। ধর্মবিরোধী গান, কবিতা লেখায় তাদের উদ্বুদ্ব করা হত। কোন ছাত্র নাস্তিক্যবাদে অস্বীকৃতি জানালে তাকে স্কলারশিপ বাতিল করা হত এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত করা হয়। যে কেউ এসব নীতিমালা লংঘন করলে তার জন্য ছিল কঠোর শাস্তি। শুধুমাত্র ১৯২২ সালেই এই জংগী নাস্তিকদের হাতে ২৬৯১ জন সেক্যুলার প্রিষ্ট, ১৯৬২ জন মংক আর ৩৪৪৭ জন নানকে তাদের প্রান হারাতে হয়েছিল। ধার্মিকদের নাস্তিক হতে বাধ্য করা হত বিভিন্ন রকম টরচার করে কিংবা জেলে পাঠিয়ে। শুধুমাত্র ১৯৪১ সালে ৪০০০০ চার্চ আর ২৫০০০ মসজিদকে বিলুপ্ত করে সেখানে ষ্কুল, সিনেমা, ক্লাব আর নাস্তিক্যসম্পর্কীয় মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হয়।
তাই Oscar J. Hammenনামের আমরিকান ঐতিহাসিক Engels আর মার্কস আক্ষা দিয়েছিলেন জংগী নাস্তিক হিসাবে।

জংগী নাস্তিকের মনে করে যে যেহেতু ঈশ্বরকে দেখা যায় না তাই বিগ্যানের দৃষ্টিভংগিতে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই। ধর্মীয় গালগল্প আর ধর্মীয় মিরাকলের কোন বিজ্ঞানিক প্রমান নেই। Bruce Sheiman যিনি কিনা Atheist 3.0 movement এর নেতা ছিলেন তিনি পর্যন্ত জংগী নাস্তিকদের বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে ঈশ্বরকে বাতিল করার এই প্রয়াসকে নিন্দা জানান।
অথচ সামুর নাস্তিকেরা বিজ্ঞান দিয়ে ঈশ্বরকে কুপোকাত করার আজীব আর অযৌক্তিক সব চেষ্টা চালান।

জংগী নাস্তিকেরা শুধু সোভিয়েত ইউনিয়নে নয় বেশির ভাগ কম্যুনিষ্ট দেশগুলোতে সক্রিয় ছিল।

জংগী নাস্তিকদের নতুন নেতা হিসাবে আবির্ভুত হয়েছেন রিচার্ড ডকিন্স।
জার্নালিষ্ট Moore Daily Telegraph এ "Militant atheists: নামক আর্টিকেলে লিখেছেন too clever for their own good"
সেখানে Richard Dawkinsকে লক্ষ্য করে লেখেন
"intolerance, dogmatism, righteousness, moral contempt for one's opponents"

Moore also stated that Dawkins promulgated the idea that atheism is "a superior order of being".[73] In the same newspaper, Raj Persaud categorised Richard Dawkins as a militant atheist for his 'famously virulent views on religion, attacking it as a "virus of the mind" and an "infantile regression".'[74]



Melanie Phillips, a British author, suggests that militant atheism "in junking religion, has destroyed our sense of anything beyond our material selves and the here and now" and "paved the way for the onslaught on bedrock moral values ... and intimidation and bullying to drive this agenda into public policy".[79]




নাস্তিকদের জন্য ভয়ানক দু:সংবাদ এই যে রাশিয়ায় নাস্তিকদের এতসব প্রচেষ্টার পরও এখন শুধুমাত্র ৬% রাশিয়ান নিজেদেরকে নাস্তিক বলে দাবি করে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


এত ম্যাও প্যাও কেন, অংক, পদার্থ বিদ্যা, কেমেস্ট্রী, অর্থনীতি মাথায় ঢোকে না? কঠিন সাবজেক্ট বুঝার লোক আছে, ওদের উপর প্রকৃতির দায়িত্ব আছে, মানব সমাজকে টিকে থাকতে হবে। আপনার কাজ কবর দেয়া, সেটা করতে থাকুন।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৩

মাহিরাহি বলেছেন: মন্তব্য অগোছালো এবং দূর্বোধ্য।

নিচের আর এই পোষ্টের সাথে সম্পর্কিত একটি পোষ্টের লিংক দিলাম, যাতে বোধোদয় ঘটে।

পৃথিবীর প্রথম নাস্তিক দেশটি কেমন ছিল?

পৃথিবীর প্রথম নাস্তিক দেশটি কেমন ছিল?

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৬

মাহিরাহি বলেছেন: পোষ্টের বিষয়বস্তুর রেফারেন্স

League of Militant Atheists

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৫

মাহিরাহি বলেছেন: জঙ্গি নাস্তিক লীগের অবলুপ্তির কারনটিও অভাবনীয়।

এত কিছুর পরও জঙ্গি নাস্তিক লীগের নিজস্ব জরীপ অনুযায়ী অর্ধেকের বেশি রাশান লুকিয়ে ধর্ম চর্চা করত।

১৯৪১ সালে জার্মানরা যখন রাশিয়ার কিছু অংশ দখল করে নেয়, তখন রাশানদের জন্য আবার চার্চ খুলে দেয়। ফলে লক্ষ লক্ষ রাশানরা চার্চে ভিড় জমাতে থাকে। ফলে স্তালিন যুদ্ধে রাশানদের সমর্থন আদায়ের জন্যধর্ম বিরোধী নিপীড়ন বন্ধ করতে বাধ্য হন। এবং লীগ অব মিলিট্যান্ট এথেয়িষ্ট (জঙ্গি নাস্তিক লীগ) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।

when Nazi Germany invaded in 1941. Churches were re-opened under the German occupation, while believers flocked to them in the millions. In order to gain support for the war effort (both domestic and foreign), Stalin ended the antireligious persecution[54][55] and the LMG was disbanded.

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:

এখন লোকজন মরুভুমিতে খেজুর পাতার ঘরে থাকে না, ওখানে ঘরবাড়ী হয়েছে; পায়ে হেঁটে ১০ মাইলের বেশী যায় না, মানুষের ভাবনা শক্তি বেড়েছে; রূপকথা এখনো মানুষ পড়ে ও লিখে, তবে কম্প্যুটারে লিখে; মাউন্ট অলিম্পিয়াের রূপকথা এখন রূপকথাই।

মাথাকে খাটান আপনিও ভাবতে পারবেন, নিউটেনরও ১টি মাথা ছিল আপনার মতো। অবশ্য ছোট মাথাও ছিল নিউটনের।

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জার্মানরা যখন রাশিয়ার কিছু অংশ দখল করে নেয়, তখন রাশানদের জন্য আবার চার্চ খুলে দেয়। ফলে লক্ষ লক্ষ রাশানরা চার্চে ভিড় জমাতে থাকে।
মহান শান্তির ধর্মের মসজিদে না গিয়ে চার্চে যাচ্ছে, এতেও সন্তুষ্ট?

মানুষ জাতীয় প্রানীর আবির্ভাব মাত্র আড়াই কোটি বছর আগে। তখন কোন ধর্ম ছিল না
আর মাত্র ১০ হাজার বছর আগে মানুষ কিছুটা সভ্য হতে সুরু করে, ছোট ছোট সমাজ গঠন করে, টেক্সটাইল, পাথরাস্ত্র, আগুন জালাতে শিখে। তারপর চাকার আবিষ্কার .. ব্যাবহার। তখনও বর্তমানে প্রচলিত ধর্মসমুহ ছিল না।

এরপর ছোট ছোট উপাসনা, সুর্যকে, চন্দ্রকে অগ্নিকে .. পরে অগ্যাত ঈশ্বরকে মুর্তি বানিয়ে পুজা .. সেটাই ধর্মে পরিনত হওয়া ..। বড় ধর্মগুলোর আবির্ভাব আরো অনেক পরে সুরু হয় ৬ হাজার বছর আগে হিন্দুইজম, ইব্রাহিম-মুসার ইহুদিজম, পুর্ব প্রান্তে কনফুসিয়াসসিজম, চালু হয়। এরপর বৌধ্যিজম। এই দুহাজার বছর আগে জিসাস খ্রাইস্টের খ্রীষ্টান।
ইসলাম আসে মাত্র সেদিন, দেড় হাজার বছর আগে। .....

এত নাস্তিক নাস্তিক করেন কেন? মানুষ জাতীয় প্রানী তো তার ইতিহাসের ৯৯% জীবনকালই ধর্মবিহীন কাটিয়েছে।

৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৫

Mukto Mona বলেছেন: আস্তিকের চাইতে নাস্তিক ভাল। আস্তিকরা ধর্ম নিয়ে ভাড়াবাড়ি করে নাস্তিক হত্যা করে বেহেস্তে যাবার নামে।

৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৮

Mukto Mona বলেছেন: ৯৯% জীবনকালই ধর্মবিহীন মানুষ জাতীয় প্রানী পৃথিবীতে কাটিয়েছে। তাহলে নাস্তিক নাস্তিক করেন কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.