নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পুত্র আছে, আমার ধন আছে, মূর্খেরা এভাবে চিন্তা করে যন্ত্রণা ভোগ করে! যখন আপনি-ই আপনার নয়, তখন পুত্র কিংবা ধন কিভাবে আপনার হবে?
- ত্রিপিটক
ভালই ছিল কাজী বাশার। চাকরি, বাসা - অফিস,বন্ধের দিন হাওয়াই শার্ট পরে বন্ধুদের সাথে এদিক - ওদিক। একটা চমৎকার উপভোগি জীবনসার্কেল হাওয়ায় হেলেদুলে দিন রাত পার। এভাবেই যাচ্ছিল। হঠাৎ একরাতে নিহা সব ভেস্তে দেয়।
- তুমি সোহানের ভবিষ্যতের কথা ভাবছ ?
ভবিষ্যৎ! কাজী বাশার অবাক হয়ে তাকায়। মাত্র বছর চারেক হয় হয় - এই মেয়ে তার সাথে বিছানায় শোয়। এরি মাঝে সংসারের হার্টে হাত চালিয়ে দিল!
- ছেলে বড় হচ্ছে। কোথাও প্লট - ফ্ল্যাট দেখ । এইভাবে আর কতদিন !
- টাকা ?
- লোন নাও। আমিও দেখি কিছু আনতে পারি কিনা ।
হুম। কাজী বাশার চিন্তায় ঝাপ দেয়। ছেলে বড় হচ্ছে। কাজী সোহানের মোটে দুই। ভদ্রলোক হতে ঢের দেরি । কিন্তু বীজ বুনতে হবে এখনই।
অথচ কাজী বাশার জমি ভয় পায়। তার বাবাও ভয় পেতেন। তিনি বলতেন - জমির দিকে একবার নজর গেলে দেখবি -চোখ
ফেরাতে পারবি না। যেদিকেই যাবি ড্যাব ড্যাব করে তাকাবে। বুকে হ্যাচকো টান মারবে। বাবা দিয়ে কাজী বাশার হাড়ে হাড়ে বুঝেছে। এটা। শেষমেষ এই লোক কিনা - বাশারের ভবিষ্যৎ কিনতে গিয়ে সাড়ে তিন হাত মাটিতে ফিট হয়ে গেল ।
মরার আগের দিনও লোকটা জমি জমি জপছিল। মাত্র মাস দুয়েক আগে এক লোকের জমি মৌখিকভাবে কিছু টাকা দিয়ে ফাইনাল। পরে লোকটা টলে যায়।(চিন্তিত) বাবা বলল- আচ্ছা লোকটা এমন করছে কেন? পরের সকালে বাবা কবরে আটা।
ঐ লোক পরে বলল - টাকা ফেরত নাও, আরেক জায়গায় বেশি পাচ্ছি। আমার ছেলের টাকা খুব দরকার! বাশার লোকটার দিকে তাকিয়ে দেখল - বাবার চেয়ে বছর বিশেক বেশি ত হবেই।বয়েসটা। হাত মেলাল বাশার,ওই লোকের হাত কাঁপছে। পাও।কানের লতি ভাঙ্গার দিকে।বাশার বুঝল -আর দেরি নাই। তারে মাটি ডাকে, আয় আয় আয়! বাশার বলল - চাচা! আমার বাপকে জমি খেয়ে ফেলেছে,আপনাকেও খাবে। বেশিদিন নাই!
আমার লাগবে না কিছু। তখন প্রচন্ড গরম হাওয়া নেই তবু লোকটা বাঁশঝাড়ের মত কাপলো,পায়ের নখ মাটিতে ডেবে দিল। সেই থেকে বাশার মাটি দেখে না। এসব নিহাকে কে বোঝাবে!
কিন্তু নিহার কথাও আমলে নিতে হয়। জন্ম দিছ - এবার ভবিষ্যত টানো। সামলাও!
কিছুদিনের ভেতর জোগাড়যন্ত করে একটা ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির ২ কাঠা ভবিষ্যৎ ( ধানক্ষেত ) কিস্তিতে নিল বাশার।
ওরা বলল, আপনি লাকি! আগে আগেই এসেছেন। দুয়েক বছর যাক -তারপর দেখুন মজা। কত লোকে হিমশিম খাবে!
কাজি বাশার মুচকি হাসল। তার সময় আছে। সোহানের বয়স পাকতে ঢের দেরি।
বছর না যেতেই হইচই শুরু। টাউনের মুখ নাকি ওদিকে ঘুরবে। ফিউচার কেনার জন্য সবার হাইজাম্প লংজাম্প। হাওয়া খেতে
খেতে এত বাড়ল জমির ধানগুলো, জানলই না। কলিগ বলল - লাকি ম্যান! ১ বছরে ৩ গুণ! বলি কি বেচে দিন! বেচে আরেক জায়গায় কিনুন। আবার বেচুন। টাকা বাড়ান!
কিন্তু কই কিনব কই বেচব? আরেক জায়গায় ভাল পাব ত ?
কলিগ হাসেন- ব্রাদার! এখনো ফিডার খাওয়া বয়সে পড়ে আছেন। যা করার দালাল করবে, লাগলে বলুন ভাল দালাল ধরে দেই........ সুবিধা মনে করলে আমাদের সাথে আসুন, সবাই মিলে ঝুলে কামাই।
তারপর কলিগের ঝাকে ভিড়ে দশে মিলে চলে কাজ। সি এস, আর এস, পি এস, বি এস ,দলিল , রেজিস্ট্রেশন অফিস। বেচা - কেনা , ঝামেলা , নেতা , মাস্তান , পুলিশ , মামলা কোর্ট কাচারির ঝোলাটা গ্রাম- শহরের এ মাথা - ও মাথা ঘুরে চোলাই হয়ে টাকা।বছর কয়েকে সব গুছিয়েও বাল্কি মানি ব্যাঙ্কে খাবি খায়। ফাঁকতালে সিন্ডিকেট গুড়া - গুড়া। কিন্তু এর মাঝেই দক্ষতা টা ,মজাটা , নেশাটা দাঁড়িয়ে গেছে। নিজে নিজে করতে গিয়ে সেটা মগডালে উঠলো।
কাজি বাশার জানত না পৃথিবীর ভেতর জমির দুনিয়া নামে কোন পৃথিবী আছে। তার ভেতর পৃথিবীর খাটিগন্ধ আছে। এই মাটি সব ধরে রাখে। এখনো লোকেরা মাটি খুড়ে খুড়ে তেল গ্যাস কয়লা ইতিহাস বের করে আনছে। বাশার এখন জানে
গোটা পৃথিবীর মানুষ ২ প্রকার। জমি ওলা মানুষ,জমি ছাড়া মানুষ। এখন মানুষ দেখলেই বাশারের জানতে ইচ্ছে হয়- হেই ম্যান! তোমার কি বিএস আছে? জমির ভেতর দিয়ে মানুষ একদম ঠায়ে ঠায়ে চেনা যায়। এ জায়গায় কারো অভিনয় টেকে না। ত্যাগ, লোভ, লালসা , ভণিতা হিংস্রতা সব হাত মুখ উগড়ে বেরিয়ে পড়ে। মানুষ চেনার জন্য কত মানুষকে এই বাশার নিজে - জমির সাথে আঠা দিয়ে মেরে দিল। প্রত্যেক পুরুষের কিছু না কিছু নেশা থাকে -বাশারের টা জমি। নেশার রাজা! জমিরাও
বাশারকে চিনে গেছে। দেখলে খিলখিল। না কিনলে গোসসা। এই নেশার কাছে জগতের সব তুচ্ছ হয়ে গেছে। বাশার বুঝে গেছে - এই কেনাবেচার জন্যই তার জন্ম হয়েছে। এখন শুক্র - শনি
ঈদের ছুটি জমি খায়। এসব করতে করতে আত্মীয় বন্ধু -বান্ধব
কখন ঝরে গেছে। তা নিয়ে বাশারের আফসোস নেই।
কারণ জমিই এখন বাশারের বন্ধু। জমির চেয়ে বড় সুহৃদ কে আছে। একদম আত্মার দোস্ত! এই কারণে ই গরীব - অসহায়েরা জায়গা বেচা কি উচ্ছেদে হাউমাউ করে কাঁদে। ওই যে দলিলে লেখা - চিরতরে সত্ত্ব ত্যাগ করিলাম! জানে ওতেই শেকড় বাকড়। নিরাপত্তা ওটাই। মাটির দিকে ভালভাবে তাকানো শিখলে
কেউ আর কোনদিন সুস্থির থাকতে পারবে না। তার মূল তাকে অস্থির করে দেবে। মানুষ এই কারণেই জমি পাগলা। কেনার জন্য সবকিছু তোলপাড় করে ছাড়ে। বাশার এখন সবই জানে।
আজকাল কাজী বাশার নিজের ভেতর মাটিত্ব টের পায় । রক্তের ভেতর চাক চাক দলা দলা। অন্তরে অজানা এক কষ্ট বল্কায়। কোন জায়গার মাটি দিয়ে তার বডি বিল্ডিং হয়েছে কে জানে!খালের জমি ,বিলের জমি , ধানি জমি, আবাসিকের জমি কে এ প্রশ্নটা প্রায়ই জিজ্ঞেস করে বাশার। নিশীথে নির্জনে মাটিতে একাকী কান পাতে -উত্তর নেই। এক সীমাহীন ধু ধু শুন্যতা তাকে ব্যঙ্গ করে। তাহলে এই সব জমি রক্তে বাজে কেন টানে কেন?টানেইবা যদি নিরুত্তর কেন? তাকে নিয়ে জমির এ কোন খেলা কেমন খেলা!
অথচ মস্করা করতে ছাড় নেই । খোঁচা দেবে - ওই !
- কি !
- তুই ক্যারে ?
- আমি তোর মালিক !
- ক্যামনে ?
- দলিল মতে ।
- তার আগে?
- বায়া দলিল মতে।
- দলিলের আগে ?
- দলিলের আগে কার জায়গা ছিল তা কাজি বাশার কিভাবে বলবে?!এক জায়গা কত হাতে যায়। সময়ে সময়ে । অথচ মাটি ঠিকই থাকে।
মাটি অট্টহাসি হাসে।
বাশারের ভয় লাগে।
- কিরে হাসিস ক্যানে ?
- তোদের বোকামি দেখে।
তোদের মানে মানুষের। বাশার জানে মানুষ মাত্রই মাটিকে ভয় পায়। জানে সে কিছুতেই মাটিকে ছাড়াতে পারবে না। মাটির কি সীমাহীন বিশালত্ব! তখন সে মাটিকে ভয় , হিংসা,ঘৃণা করতে শুরু করে। মাটির দিকে আর তাকায় ই না! জানে তাকালেই নিজের তুচ্ছতা ধরা পড়ে যাবে। অথচ মাটিতে ভর করে আকাশ ছোয়ার প্রচেষ্টার অন্ত নেই। এ প্রয়াসে উঁচা উঁচা দালান বানায়।হাইয়াই গাড়িতে মেঘ ছোঁয়। কিন্তু জেতে কই ?
শেষমেশ এই আমার কাছে! - মাটি হাসে ।
কথা সত্যি। এই মাটি বজ্জাত বেশ্যা। সবসময় পুরনো খদ্দের
খসিয়ে নতুন নতুন আনবে। রঙ চং মাখবে। রঙ ডং করবে ।
মাঝে মাঝে এমন ভয় পায়! তখন বউকে ঝাপটাতে ইচ্ছে হয়। বাশারের।
এই নিহা বিয়ের দিনের মত এখনো ছিপছাপ। এখনো বাচ্চা মেয়ের মত কোলে নিয়ে বিছানায় ছুড়ে ফেলা যায়। দুহাতে কোমর ধরে যৌবন পিষে ফেলা যায়। অথচ কাজী সোহান চৌদ্দ
হয়ে গেছে । কিন্তু ভয় কাটানো হয়না। ব্লাউজ খুললেই খাল - বিল- আবাসিক এলাকার জমি। জমির সাথে সাথে দালাল, এমপি,মন্ত্রী , সচিব,কোর্ট - কাছারি - বিচারক।
জমির বুকে লাশ -টাশ। রক্ত!
উলটো নিহাই ভয় পায়। তুমি দিন দিন কেমন হয়ে যাচ্ছ।শরীরের দিকে তাকাও! হাহাহা! এত বছর পর নাকি তাকাবে! ডায়াবেটিস ,প্রেশার ঝুলিয়ে নেবার পর।
- এবার একটু থাম। অনেক ত হল!
- সব সোহানের জন্য করছি । ভবিষ্যৎ !
-আল্লাহ আমাদের যথেষ্ট দিয়েছেন। আমাদের একটাই ত সন্তান!
- আচ্ছা যা জুড়িয়েছি তাতে ওর হবে ত ?
-এসব কি বলছ!
- এখন এত ভয় করে! তুমি জাননা রাস্তায় বেরুলেই সবাই খিদেয় এমন হা -
নদী - নালা বিল্ডিং সব মুখে এটে নিতে পারবে।
- তোমার কথা দিন দিন কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে।
- জানো যত হচ্ছে - তত দেখি সব পলকা। তাসের ঘর। এক ফুয়ে ফুট্টুস হতে দেরি করবে না। তাহলে সিকিউরিটি কই ?
অথচ জমির চাকতি ঘুরলেই টাকা আসছে। মোটা বান্ডিলটা আরেক জমিতে ঠিকই লটকে যাচ্ছে। ভাবলে - অনেক অস্থির লাগে।মাঝে মাঝে ভাবি,ওর কি গোটা বাংলাদেশে কুলাবে ?তোমার কি মনে হয়?
কাজী বাশারের চোখে চোখ রাখে নিহা। বলে -ডাক্তার দেখাও!
ডাক্তার! কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারেই এই রোগ ধরা পড়বে না । ডাক্তার দাওয়াই দেবে কিভাবে ?
নিহাকে আসল কথাটাই বলা হয়নি। কারণ মূল কথাটা কাজী
বাশার নিজেই জানে না। অথচ জিজ্ঞেস করলে অনেক কিছুই বলা যায়। বাশার বলেও।
কোথাও নিরাপত্তা , কোথাও ছেলে । কোথাও ভবিষ্যৎ , কোথাও বাপ - স্বামী হিসেবে কর্তব্য । লোকে বলে - লোভ , টাকার কুত্তা শালা!
অথচ অন্ধ অদম্য আবেগে জমির পিছনে ঠিকই দৌড়ানো হচ্ছে
।এর পেছনে লোভ নাকি প্রেম নাকি জেতার আনন্দ কি আবিস্কার অনুসন্ধান জানতে পারল না। সবার ''কেন '' আর বাশারের ''কেন'' র অনুধাবন বোঝা ও উপলব্ধিতে অনেক ফারাক।এই সবার ভেতর নিহাও আছে।
নিহার রাতে কত চিন্তা। অথচ দিনে ড্যাব ড্যাব খুশি। ফোনে ফোনে আলাপ। এই পাড়া ডিসগাস্টিং আপা। বিল্ডিং হয়ে গেলেই চলে যাচ্ছি। টাকা বল্কানোর সাথে সাথে কাজী সোহানের ব্যস্ততাও বেড়ে যাচ্ছে। বন্ধু বান্ধবে চইমই , পড়ালেখায় হৈ হই। মাঝে মাঝে কাজী বাশার ভাবে - এই বউ,এই ছেলে আমার ত ?
অথচ রড - বালি সিমেন্ট প্রাসাদে কাজি বাশারের কত স্বপ্ন- রক্ত -ঘাম ফিট করা। এই বিল্ডিং এ কয়দিন ই বা থাকা হবে তার!
কাজি সোহানই বা কয়দিন থাকবে? সম্পদ বাড়ুক কি কমুক দুক্ষেত্রেই পুত্রধন এই বিল্ডিং এর একটা গতি করে দেবে। তাহলে কার জন্য কি করা হচ্ছে!
যে কাজী সোহানের জন্য জীবনটা এভাবে মিছমার করে দিল বাশার , সে তাদের জন্য কি করবে! বুড়ো - বুড়ি মরলে ৪ দিন ৪০ দিন বছরি দেবে। মোল্লা ফকির মিস্কিন কে টাকা ছিটে দেবে। ফটো করে দেয়ালে লটকে রাখবে। এই ত!
আর বলবে - বাবার জায়গায় থাকলে আমি বিল গেটস হয়ে যেতাম। বাবা বড্ড বোকা ছিলেন! ( সম্পদ)রেখে না গেলে বন্ধু বান্ধব,আত্মীয় - স্বজনের কাছে গালমন্দ করবে। পথে বসিয়ে দিয়ে গেছে। এই ত হবে কাজী সোহান! নিহাকে ধন্যবাদ। একটাই হারামি পেটে ধরেছে! এই নিহাই জমিতে উস্কে দিয়েছে। নিহা না হলে আজ তার মাটিদর্শন জানা হত না।
মাটিদর্শন বোঝার পর নিজেকে,মাটিকে,পৃথিবীকে বড্ড বোকা মনে হয়।সবকিছুর কেমন অর্থহীন অর্থ! সব বুকে নিয়ে
ঘুরবি কিন্তু পুরোপুরি কারো হবি না। হতে পারবিও না।যত্ন , স্নেহ , মায়া , মমতা , ভালবাসার আড়ালে প্রয়োজনটাই খাটি । কাজ ফুরালে সব শালাই তোকে ছুড়ে দেবে । ঠিক মাটির মত! সব কিছুই মাটিকে ছ্যাদা করে বড় হয়েছে,হয়।মাটি বড় একা।সেও।
জগতে কেউ কারো নয়। তুমি নিজেই তোমার বন্ধু,কিংবা শত্রু।
স্রষ্টার কাছ হতে এসেছ - তার কাছে ফিরে যাবে। তার
মাঝামাঝি কিছু নাই। জমিও বাশার এই দুই বন্ধুহীন সত্ত্বা
এই সুত্রে পরস্পরের খাটি বন্ধু হতে পারত। অথচ তাও হল না।জমি টানে কিন্তু রহস্য ভাঙ্গে না। সে কত ট্রাই দিল! সব ব্যর্থ
। মরুভুমিতে কেবল পানি ঢেলে গেল। একতরফা প্রেম!একতরফা বন্ধুত্ব!
আরো বছর কয়েক পার হল। কাজি সোহান অনার্স পেরোলো।
ব্যবসা ধরল। দুনিয়াগণিতে পিএইচডি হল ।
বাশারের চুলটা ঝুনো। অথচ যেই লাউ সেই ফাউ। একের পর এক জমি দাবড়িয়েও মন পেল না। গোমর ভাঙল না। উত্তর পেল না। এখন? যদি ফট করে মরে যায় ?ক্লান্তিতে হতাশায় তার জীবনরস একদম তিতা হয়ে গেছে। অথচ ভোগে আয়েসে ঘরটা গড়াগড়ি খাচ্ছে। নানারকম সুখের যন্ত্রপাতি ইন হচ্ছে। কিন্তু শান্তি নেই। এসব কেউ বুঝবে না। কেউ না। না বউ না ছেলে।হাভাতে মুরুব্বিরা বলে - এত দৌড়ে লাভ কি? সেই ত সাড়ে তিন হাত মাটির নিচে যাবি। এইবার থাম। আল্লাহ আল্লাহ কর। চিল্লায় যা!শালারা! এই সত্য সবাই জানে। খ্যামটা নাচে এই হাবড়ারাই সবার আগে থাকবে।সময়- সুযোগে টুটি চেপে ধরবে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শিক্ষক মাটি বাশারকে অনেক কিছু শিখিয়েছে জ্ঞানী বানিয়েছে - এটা ঠিক।কিন্তু যে জ্ঞান মানুষের শান্তি উবে দেয় -ভেতরটা খা খা বানায়, তা আবার কেমন জ্ঞান?মানুষ এক জীবনে সব প্রশ্নের উত্তর পায় না এটা ঠিক কিন্তু কিছু উত্তর তাকে পেতেই হয়। তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর সে কি পাবে না? তার ভুলটা কোথায়?
নিয়তে ভুল? নাকি কাজ বা বোঝার পদ্ধতিতেই ভুল? হয়ত মাটি চায় রাতে চোরের মত না এসে সূর্যের সোনালি আলোয় বুক ভরা সাহস নিয়ে তার সামনে এসে দাঁড়াক? নিজের আমিত্বটুকু ঝেড়ে ফেলে প্রকৃতির অংশ হয়ে জিজ্ঞেস করুক? তখন কি উত্তর পাওয়া যাবে ?
ভেবে ভেবে বাশার একটা চূড়ান্ত সমাধান বের করার চেষ্টা করে।কারণ কাজী বাশার বাচার মত বাঁচতে চায়। আর জীবনকে
নিত্য বোঝার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াই হচ্ছে বাঁচার মত বাঁচার একমাত্র পথ। এতে মরণ যদি আসেত আসুক। হয় জিত নয় হার! অবশেষে একটা আইডিয়া মাথায় টোকা দেয়। সকাল টু
সন্ধ্যা তক - মাইলের পর মাইল জমিতে হাটতে কি দৌড়ুতে থাকবে বাশার। ক্রস করা জমি সব তার। একদম লিও টলস্টয়ের গল্পের মত! সাথে ছেলেকে নেবে। জমি ও নিজের সাথে ছেলেকেও পরখ করা হবে। এতে থ্রিল,পাগলামি, এডভেঞ্চার ,অনুসন্ধান সবই এক প্যাকেজে পাওয়া যাবে। মাথার ভেতরে একটা প্ল্যান বানিয়ে ফেলে বাশার। সকাল- সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি মাগলে কিছু একটা বের হবেই। ক্রমে বিশ্বাস টা দৃঢ় হয়। কিন্তু বাংলাদেশে কি এটা সম্ভব?
মনে মনে বাশার হাসে। আবার ভাবে - অসম্ভবের ও বা কি আছে ? একটু চেস্টা দিয়েই দেখুক না!
দালাল কে বলতেই সে হেসে কুটি কুটি ।
ভালাই কইলেন!এমুন কিছু খোয়াবেও কেউ দেহে নাই।- দালাল বলে ।
-একটু দেখুন না! ট্রাই দিতে দোষ কি ? যত টাকাই হোক , বাংলাদেশের যেখানেই হোক আমি রাজি আছি ।সব জায়গা এক মালিকের হতে হবে। এক দাগে। কাঠা প্রতি কমিশানের পারসেনটিজ টা শুনে দালালের শরীর খুশিতে হেচকি দিল।
এই এক কমিশানের মূলায় দালাল সব সম্ভব বানিয়ে ছাড়ল।
লোকটা - জমিটা চকরিয়ার -কয়েক বিঘে জমি।
বাজার রেটের বেশি টাকা- এই লোভে সে রাজি। এবার কাজী বাশার ফাইনাল খেলার জন্য প্রস্তুত হল। নিহাকে বলল - আমার সাথে কাজি সোহান ও যাবে। স্বামীর চোখে বিজলি দেখে নিহার
বুকে অজানা একটা ভয় ঝনঝন করল।
- অতদুরে যাবার দরকার কি ? তোমার হার্টে সমস্যা,
কখন কি হয় ভয় লাগে!
- সব ঠিক করে ফেলেছি।
- সোহানকে নিচ্ছ যে ?
কাজী বাশার সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে বলল -
- নিহা! আমাদের কত টাকা! সুখ ঘরটায় গড়াগড়ি খাচ্ছে।
কারেন্ট গেলে ইউপিএস আদর দিচ্ছে।
অথচ মা গরমে হাঁসফাঁস করতেন। ব্লাউজ ভিজে যেত।
কতবার বলত - ফ্যানটা যদি আরেকটু জোরে চলত! কবরে
কেমন আছে কে জানে! সুখের নাভিমুখ সোহানের দেখা দরকার।নিহার বুকটা শক খেল। কাজী বাশার এভাবে
কোনদিন কথা বলেনি। আর না করল না ।
যে খেলাটা খেলতে যাচ্ছে কাজী বাশার তার নাম রেখেছে'' টানের খেলা''। এবং এটাই তার শেষ খেলা। জমির প্রতি বাপ - বেটার টান, বাপ - বেটার প্রতি জমির টান,এবং বাপ - বেটার পরস্পরের প্রতি টান। সব সকাল টু সন্ধ্যার ভেতর দেখে নিতে হবে।''সত্য'' বলে কোন জিনিস থাকলে তা এই টানের খেলায় বের হয়ে আসুক।
নির্দিষ্ট দিনে বাপ - ছেলে হাজির হল।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৯
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগে দেখে কত খুশি লাগছে বোঝাতে পারব না ।
অনেক আগ হতে আপনার এই নিক টাকে চিনি । ব্লগে একাউন্ট খোলার আগ থেকেই আপনার লেখা পড়েছি ।
২০১১ এর শেষের দিকে এবং ২০১২ এর মাঝামাঝি আপনার বেশ কয়েকটি পোস্ট আমি পড়েছি । নাগিব মাহফুজ নোয়াম
চমস্কি এইসব ।
আপনাদের মত গুণী ব্লগার রা সক্রিয় হলে আবার আগের মত সরব হবে সামু ।
ভাল থাকবেন ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৬
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: পরের পর্বেই সব সমস্যার সমাধান হবে
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৭
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
দিল।প্রত্যেক পুরুষের কিছু না কিছু নেশা থাকে -বাশারের টা জমি।
নেশার রাজা ! জমিরাও বাশারকে চিনে গেছে।দেখলে খিলখিল। না কিনলে গোসসা । এই নেশার কাছে জগতের সব তুচ্ছ হয়ে গেছে।বাশার বুঝে গেছে - এই কেনা - বেচার জন্যই তার জন্ম হয়েছে।এখন শুক্র - শনি ঈদের ছুটি জমি খায় । এইসব করতে করতে আত্মীয় - বন্ধু বান্ধব কখন ঝরে গেছে । তা নিয়ে বাশারের আফসোস নেই।
দারুণ গল্প লিখেছেন মাহমুদ ভাই ! ++
হরেক রকম নেশা আছে আজব দুনিয়াতে !
ভালো থাকুন সব সময় ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৯
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হা ত আছেই ।
আপনাকে দেখতে পেয়ে ভাল লাগলো ।
ভাল থাকবেন আপনি ।
শুভকামনা রইল ।
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০০
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
খেলা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
লেখা ভালো হচ্ছে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বাহ ! আইজকা কার মুখ দেইক্ষা উঠলাম রে
গরীবের ঘরে হাত্তির পারা কই বইতে দেই
আপনাকে দেখে অনেক খুশি হলাম কবি ।
অনেক ভাল লাগছে ।
আগামি পর্বেই খেলা ফাইনাল । ট্রাইবেকারে নিমু না
ভাল থাকুন কবিয়াল
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: শেষ পর্যন্ত কাজী বাশার মাটি দর্শনের মর্মার্থ বুঝতে পেরেছে, এটাই সান্তনা । এক জীবনে খুব কম মানুষেরই এই সৌভাগ্য হয় । মাটি মাটি করেই তারা মাটির কোলে শয্যা পাতে । মাটির লোভ, জমির লোভ মনুষ্য প্রজাতির বিবর্তনের ইতিহাসের মতোই প্রাচীন । একমাত্র মানুষই হলো সেই প্রজাতি, যারা জমির ভেতর পূর্বপুরুষের শেকড় খোঁজে । মাটির উত্তরাধীকার রক্ষায় তারা প্রাণ সমর্পনেও সদা প্রস্তুত । মাটির প্রতি মানুষের লোভ অমরত্বের লোভের মতোই মোহময় ।
এখন দেখার পালা, কাজী বাশারের মাটি দর্শনের উপলব্ধি তার পুত্রের নিকট কিভাবে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে । টলস্টয়ের সেই জমিখেকো অতি লোভী মাস্টারের গল্পটা নতুন কোন অর্থ নিয়ে আসে কিনা, সেটা দেখার খুব লোভ হচ্ছে । নীরব উত্তেজনা আর অভিগাতপূর্ণ গল্প সমাপ্তি হবে বলেই মনে হচ্ছে ।
গল্পের প্লট, স্টাইল আর ডিটেইলিংয়ের অভিনবতায় মুগ্ধ । আপনার জীবনবোধ গল্পের মাঝ দিয়ে দারুণভাবে প্রবাহিত করতে পেরেছেন । অসাধারণ!
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেক দিন পর গল্প দিলাম আর অনেক দিন পর আপনার একটা বিস্তৃত মন্তব্য ।
গল্পকে আপনি কি চোখে দেখলেন তা জানার জন্য আমি সবসময়েই আপনার কাছ হতে আলাদা একটা প্রত্যাশা রাখি ।
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা । আর ঠিক কি বলব বুঝতে পারছি না ।
শেষ পর্যন্ত উৎরে গেলেই নিজেকে সার্থক মনে করব ।
ভাল থাকবেন প্রিয় মামুন ভাই । হৃদয়ের উষ্ণতা রইল ।
৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৫
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: বুঝা যাচ্ছে,বন পাহাড়,পশু পাখি লেখককে অনেক ভাবায়। তাই লেখনীতে সেই সব বিষয়ই ফিরে ফিরে আসে বারবার।
দাড়ি কমা আর আশ্চর্যবোধক চিহ্নগুলা ঠিক ঠাক জায়গায় বসেনি বলে হয়তো গল্পের ফ্লো টা পেতে প্রথম দিকে একটু ঝামেলা হইছে।
বাকি গল্পের প্লটটা অনেক চমৎকার আর ব্যাতিক্রমি। এই প্লটে এর আগে কোন গল্প পড়েছি বলে মনে হয় না।
যাই হুক,শুরুটা ভালো লাগছে, আশা করি পরিণতিতে পৌছাইলে ভালো লাগাটা পূর্নতা পাবে।
ভালো থাকেন।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ঠিক করলাম ভাই
আর সবচেয়ে বড় কথা আমি আপনাকে দেখে অনেক আনন্দিত হয়েছি ।
দেখি শেষ পর্যন্ত আপনাদের কাছে উৎরাতে পারি কিনা ।
ভাল থাকবেন ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: ++++++++++++++++++++++
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩২
পার্থ তালুকদার বলেছেন: দারুন একটা গল্পের প্লট আবিষ্কার করেছেন মাহমুদ ভাই !!
অথচ মা গরমে হাঁসফাঁস করতেন । ব্লাউজ ভিজে যেত ।
কতবার বলত - ফ্যানটা যদি আরেকটু জোরে চলত! কবরে
কেমন আছে কে জানে !সুখের নাভিমুখ সোহানের দেখা দরকার।--------------- কি বলব, মাকে মনে পড়ে গেল।
বাপ-বেটার খেলাটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম ।
শুভকামনা ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০৬
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় পার্থ ভাই
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৯
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সুন্দর লেখায় ৩য় ভালোলাগা রইলো....
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় নাসিফ ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৬
টুম্পা মনি বলেছেন: তৃপ্তি বোধয় অন্যখানে। অঢেল সম্পত্তি হয়ত এটা দিতে পারে না। টানের খেলা দেখার অপেক্ষায় রইলাম। শুভকামনা।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পামনি।
ভাল থাকবেন ।
১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৬
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: দারুন লাগলো। ভেতরের মূল কথা টা আরও সুন্দর। আমাদের সকলের শেষ ঠিকানা সেই মাটিই। দুনিয়াতে ক্ষনিকের আগুন্তক মাত্র।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৬
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: পরের পর্ব পড়ার আমন্ত্রণ রইল ।
ভাল থাকবেন নাহিদ ভাই ।
১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গ্রাম এলাকায় একটা প্রবাদ আছে। জমি হলো যম। এই যমে যাকে ধরে, তাকে গোরস্থান পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়।
আপনার গল্পের থিম চমৎকার। অন্তর্নিহিত বার্তা অসাধারণ। লিখন শৈলীও ভালো। খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ, ভাই মাহমুদ ০০৭।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গল্প পাঠের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় হেনা ভাই ।
ভাল থাকবেন ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০১
ডি মুন বলেছেন:
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের প্লট, স্টাইল আর ডিটেইলিংয়ের অভিনবতায় মুগ্ধ । আপনার জীবনবোধ গল্পের মাঝ দিয়ে দারুণভাবে প্রবাহিত করতে পেরেছেন । অসাধারণ!
মামুন রশিদ ভাইয়ের মতো আমিও পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।
এই গল্পের যে যে যায়গাগুলো আমার কাছে ভালো লেগেছে,
* কিছুদিনের ভেতর জোগাড়যন্ত করে একটা ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির২ কাঠা ভবিষ্যৎ ( ধানক্ষেত ) কিস্তিতে নিল বাশার।
* বছর না যেতেই হইচই শুরু । টাউনের মুখ নাকি ওদিকে ঘুরবে। ফিউচার কেনার জন্য সবার হাইজাম্প লংজাম্প ।
* বছর কয়েকে সব গুছিয়েও বাল্কি মানি ব্যাঙ্কে খাবি খায় ।ফাঁকতালে সিন্ডিকেট গুড়া - গুড়া।কিন্তু এর মাঝেই দক্ষতা টা ,মজাটা , নেশাটা দাঁড়িয়ে গেছে।নিজে নিজে করতে গিয়ে সেটা মগডালে উঠলো।
* মানুষ চেনার জন্য কত মানুষকে এই বাশার নিজে - জমির সাথে আঠা দিয়ে মেরে দিল।
* এখন শুক্র - শনি ঈদের ছুটি জমি খায় ।
* সবার ''কেন '' আর বাশারের ''কেন'' র অনুধাবন বোঝা ও উপলব্ধিতে অনেক ফারাক।এই সবার ভেতর নিহাও আছে ।
* মাটিদর্শন বোঝার পর নিজেকে , মাটিকে , পৃথিবীকে বড্ড বোকা মনে হয়।
* এত বছর পর নাকি তাকাবে! ডায়াবেটিস ,প্রেশার ঝুলিয়ে নেবার পর।
* নিহা ! আমাদের কত টাকা! সুখ ঘরটায় গড়াগড়ি খাচ্ছে।
কারেন্ট গেলে ইউপিএস আদর দিচ্ছে ।
এই যায়গাগুলো ভালোলাগার বিশেষ কারণ আছে,
ইউপিএসের আদর দেয়া - প্রেশার ঝুলিয়ে নেয়া - ঈদের ছুটির জমি ভক্ষণ - মানুষকে জমির সাথে আঠা মেরে লাগিয়ে দেয়া - ফিউচারের জন্য হাইজাম্প, লং জাম্প - ভবিষ্যত কিস্তিতে কিনে নেয়া এবং আরো অনেক দারুণ দারুণ 'শব্দগুচ্ছ' আমাকে রীতিমত মুগ্ধ করেছে।
খারাপলাগা জায়গাগুলো ----
* বানান ভুল হয়েছে অনেক (জানি, এটা ইচ্ছাকৃত নয়। কি বোর্ডের কারসাজি )
* যতিচিহ্নগুলো সবসময় উপযুক্ত স্থানে পড়ে নি। (এই ব্যাপারে সচেতনতা আশা করছি)
মাহমুদ ভাই গল্পটা দারুনভাবে এগোচ্ছে। আগামী পর্বের ক্লাইমেক্স দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
এভাবেই সুন্দর সুন্দর গল্প 'নিয়মিত' পড়ার ইচ্ছা রাখি।
শুভকামনা।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বিস্তৃত মন্তব্যে অনেক অনেক ভাল লাগা রইল প্রিয় মুন ভাই ।
সবসময় এভাবে পাশে থেকে
আমাকে অনুপ্রেরণা দেবেন এমনটাই কামনা করি ।
চেষ্টা থাকবে পরের অংশ ভাল করার ।
ভাল থাকবেন ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০১
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: বাশার জানে মানুষ মাত্রই মাটিকে ভয় পায়। জানে সে কিছুতেই মাটিকে ছাড়াতে পারবে না।মাটির কি সীমাহীন বিশালত্ব!তখন সে মাটিকে ভয় , হিংসা,ঘৃণা করতে শুরু করে । মাটির দিকে আর তাকায় ই না ! জানে তাকালেই নিজের তুচ্ছতা ধরা পড়ে যাবে।অথচ মাটিতে ভর করে আকাশ ছোয়ার প্রচেষ্টার অন্ত নেই। এ প্রয়াসে উঁচা উঁচা দালান বানায়।হাইয়াই গাড়িতে মেঘ ছোঁয়। কিন্তু জেতে কই ? ’’------------------দারুন কয়েকটি লাইন ------- ভীষণ ভাল লেগেছে
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাল লাগার জন্য কৃতজ্ঞতা আপা ।
পরের অংশ পড়ার আমন্ত্রণ রইল ।
ভাল থাকবেন আপা।
শুভকামনা রইল ।
১৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: দেখি নেক্সট পর্বে কাজি বাসার কি খেলা খেলে!
লেখাটায় কিছু কিছু লাইন আছে কোড করার মত! লাইকড ইট!
বাস্তবে এরকম জমি পাগল মানুষ আছে কিন্তু!
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুম ভাই ।
ভাল থাকবেন ।
১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২১
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ৫ম প্লাস।
দারুন লাগলো।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
১৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: "এখন মানুষ দেখলেই বাশারের জানতে ইচ্ছে হয়- হেই ম্যান !তোমার কি বিএস আছে ?"
কিছু কিছু জায়গা পড়ে বেশ মজা পেয়েছি তার অধিকাংশই ডি মুন ভাইয়ের মন্তব্যে উঠে এসেছে। তাই আর নতুন করে বললাম না।
আপনার গল্প পড়া হয় না অনেকদিন। তাই খুব আগ্রহ নিয়েই পড়ছিলাম। চমৎকার এগুচ্ছে। এমন জায়গায় ছাড়লেন, রীতিমত উত্তেজনা হচ্ছে টানের খেলা দেখতে। দেখা যাক পরের পর্বে গল্প কোথায় যায়!!
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মুন ভাই এক মেগা কমেন্ট কইরাই সবার সুবিধা কইরা দিল !! কেউ আর কিছু কয় নারে
শেষ পর্যন্ত ভাল লাগ্লেই আমি সার্থক ।
ভাল থাইকো ভাই ।
অনেক শুভকামনা ।
১৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জাগতিক হিসেব গুলো এমন গুল মেলে। বেশ কয়েকটি ব্যাপার তুলে ধরেছেন গল্পে । জমির টান ,মাটির টান প্রেমের টান সর্বপরী পরকালের ভাবনা । প্রজন্মের সেতু বন্ধন ।
ভাল লাগা রেখে গেলাম ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় সেলিম ভাই ।
ভাল থাকবেন ।
১৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০০
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: জীবন ঘনিষ্ট এক উপাখ্যানের দিকে এগিয়ে চলছেন , পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ~! আমি তো আমার নই , মাটির
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ অভি ভাই ।
দেখা যাক ফাইনালই সন্তুষ্ট করতে পারি কিনা ।
ভাল থাকবেন ভাই ।
শুভকামনা রইল ।
১৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬
ইমরান নিলয় বলেছেন: সুন্দর। বাকীটা পরে একসাথে কমেন্ট করব।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অকে ভাই ।
ভাল থাকবেন।
২০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮
কলমের কালি শেষ বলেছেন: গল্পটা বড় হলেও পড়ে বেশ ভালই লেগেছে । অনেক সাবলিলভাবে কাহিনী এগিয়ে গিয়েছে ।
সবই মাটি । মাটির খেলা । এর ভেতরে কিছুটা টানও খেলে যায় ।
সবশেষে সেই মাটিই সবাইকে খায় ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
পরের পর্ব পড়ার অগ্রিম আমন্ত্রণ রইল ।
ভাল থাকবেন ।
অনেক শুভকামনা ।
২১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২০
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
বেশ গতিশীল গদ্য ৷ দ্রুত টানছেন ৷ আবার রিভাইস দিবেন ৷ গল্পের থিমটা পরিচিত হলেও টোনটা ভাল লাগছে ৷ যথাযথ স্থানে বিরাম চিহ্ন ব্যবহারে সাবলীল লাগবে ৷ সময় নেন তাড়াহুড়ো করবেন না ৷ দেখা যাক ৷
ভাল থাকবেন ৷
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই । । পোস্ট করার জন্য
একটু তাড়াহুড়া ছিল
ভাল মন্দ যে কোন কিছুই বলতে দ্বিধা করবেন না ।
যতটুকু পারি ভাল করার প্রয়াস থাকবে ।
ভাল থাকবেন প্রিয় জাহাঙ্গীর ভাই ।
অনেক শুভকামনা ।
২২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩
খাটাস বলেছেন: গল্পের প্রশংসায় যাব না। শুধু বলব, তন্ময় হয়ে পরের পর্বের অপেক্ষায়.।.।.।.।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই
শেষ পর্যন্ত উৎরাতে পারাটাই সার্থকতা ।
ভাল থাইকো ভাই । অনেক অনেক শুভকামনা।
২৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ইনসোমনিয়াক দাঁড়কাক বলেছেন: মুগ্ধপাঠ...!!
চমৎকার..!!
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই ।
ভাল থাকবেন ।
২৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদ০০৭ ,
কাজী বাশারের মতো, রঙ রসে; অনেক সত্যকথনে টেনেছে আপনাকেও ।
" বাবার জায়গায় থাকলে আমি বিল গেটস হয়ে যেতাম। বাবা বড্ড বোকা ছিলেন! ( সম্পদ)রেখে না গেলে বন্ধু বান্ধব,আত্মীয় - স্বজনের কাছে গালমন্দ করবে। পথে বসিয়ে দিয়ে গেছে........"
কিম্বা -
"...হাভাতে মুরুব্বিরা বলে - এত দৌড়ে লাভ কি? সেই ত সাড়ে তিন হাত মাটির নিচে যাবি। এইবার থাম। আল্লাহ আল্লাহ কর। চিল্লায় যা......"
এরকম নির্জলা অনেক সত্য কথার খেলায় নেশা ধরেছে আপনারও । তিন হাত মাটিতে ঠেসে দেয়ার মতে আগামী ২/৪ পর্বে ঠেসে গল্পটা দিতে পারবেন তো ? নাকি পুরো বাংলাদেশটাই লাগবে কাজী বাশারের মতো ?
একদম আলাদা ষ্টাইলের লেখার এই জমিতে এই মন্তব্য এ্যাডভান্স দিয়ে রাখলুম ।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সব বললে পুরা বাংলাদেশে ও কাভার হবে না
ইচ্ছে আছে ২য় পর্বে শেষ করে দেয়ার ।
দেখা যাক কি হয়।
আপনাকে দেখেই ভাল লাগছে - আর বিস্তৃত মন্তব্যে অনেক অনেক ভাল লাগা রইল ।
জানিনা শেষ পর্যন্ত সন্তুষ্ট করত্তে পারব কিনা । পরের পর্বে
থাকার এডভান্স আমন্ত্রণ -আমার পক্ষ হতে ।
ভাল থাকবেন আহমেদ ভাই /
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
২৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০১
পড়শী বলেছেন: অনেক দিন পর একটা গল্প খুব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। শেষের খেলার ব্যাপার টা ভাল করে বুঝতে পারি নি (দুর্বল পাঠক)।
কেউ কি একটু বুঝিয়ে বলবেন? কি সেই খেলা পিতা-পুত্র খেলতে যাচ্ছে?
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই
আশা করি পরের পর্বে বিষয়টা স্পষ্ট হবে ।
শেষ পর্যন্ত উৎরাতে না পারলে দায়ভার আমার ।
পরের পর্ব পড়ার অগ্রিম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম ।
ভাল থাকবেন ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।
২৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: গল্পে ভাষার বুনট ভালো। সঙ্গে আছে বেশ খানিকটা বৈরাগ্যের ছোঁয়া। ব্যাপারটাকে তুলনা করা যেতে পারে মৃতের পাশে বসে তার সন্তান বা ভাই-বোনের খাওয়ার ব্যাপার।
দেখা যাক পরিণতি কোন দিকে যায়। গল্পের গতি যদিও জানাচ্ছে পুত্রের অনীহা থাকবে মাটির প্রতি।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ জুলিয়ান দা ।
দেখা যাক গল্পের গতি কই যায়
ভাল থাকবেন ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
২৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫
জাফরুল মবীন বলেছেন: প্রথম পর্বেই গল্পের প্রতি আকর্ষণ ও ভাললাগা অনুভব করছি।ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার গল্পের সূচনা করায়...
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনাকে দেখে ভাল লাগছে
পরের পর্বে থাকার আমন্ত্রণ রইল ।
ভাল থাকবেন মবীন ভাই ।
শুভকামনা ।
২৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২
যমুনার চোরাবালি বলেছেন: খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করবো পরের দৃশ্য দেখবার জন্য। বাপ ছেলের জন্য কিছু করবে নাকি ছেলেই বাপের জন্য। নাকি খুব সাধারণ সবার মতো জোয়াড়ে গা ভাসিয়ে দেওয়া। শুভেচ্ছা।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ও একরাশ ফুলেল শুভেচ্ছা আপনাকেও -
যমুনার চোরাবালি ভাই ।
ভাল থাকবেন ।
২৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৩
এহসান সাবির বলেছেন: চলুক...........
সাথে আছি............
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
৩০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৭
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
মাহমুদ !
এক কোষ মাডি থুইয়ে গেলুম।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: পরম আন্তরিকতার সহিত মাডি জমা রাখলুম ।
পরের পর্বে আমন্ত্রণ রইল ।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
ভাল থাকবেন ।
৩১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সাধারনত পর্ব ভিত্তিক গল্প আমি পড়ি না। এড়িয়ে যাই। আপনি লিখলেন বলে আসলাম। আসলে এর কারন হচ্ছে গল্পটা ভালো হলে, পরের পর্ব পরার জন্য অপেক্ষা করতে ইচ্ছা করে না।
এখন আমারও পরের পর্ব এর জন্য অপেক্ষা করতে ইচ্ছে করছে না।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: পর্ব ভিন্ততিক গল্প আপনি পড়েন না সেটা আমিও জানি ।
তাই আপনাকে কিছু বলিনি ।
পড়ার পেছনের ভালবাসাটুকু আমার বুকে থাক ।
ভাল থাকবেন প্রিয় কাভা ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
৩২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৮
সুমন কর বলেছেন: টানের খেলা দেখার মানে পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
জমি দর্শন বেশ লিখেছেন। জমিই সব। জমিতেই শেষ।
মাঝে মাঝে গদ্য কাব্যের মতো মিল করে কিছু লাইন লিখেছেন। দারুণ হয়েছে। এ রকম অনেক লাইনই অাছে কোট করার মতো। কিন্তু প্রতিটি খাঁটি। জমির মত। তাই অালাদা নয়। সব ভাল লেগেছে।
জীবন দর্শন নিয়ে ব্যক্তিগত চিন্তা-চেতনার প্রভাব লেখায় প্রকাশ পেয়েছে।
অাপনার কাছ থেকে যেমন লেখা অাশা করি, তেমনই একটি অন্যবদ্য লেখা পেয়েছে।
গল্পে ১০ম ভাল লাগা দিয়ে গেলাম।
এবার কিছু, অন্য কথা বলি। লেখাটি ব্লগে পোস্ট করার সময় প্রিভিউ দেখেননি কিংবা সর্তক ছিলেন না। তাই কয়েক জায়গায় লাইন ভেঙে গেছে। ওয়ার্ডে সেভ করার পর পুরোটা ঠাণ্ডা মাথায় পড়েন নি। তাই ছোট-খাঁটো ভুলগুলো চোখে পড়েনি।
*** বুকমার্ক করাই ছিল। একটু ব্যস্ত থাকার কারণে পড়িনি। অাজ সময় করে পড়ব বলে রেখে ছিলাম। ***
শুভ রাত্রি।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০৭
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মন্তব্যের একটা লাইন বেশ কয়েকবার পড়লাম । যেটা আমার জন্য খুবই অনুপ্রেরণার । আপনাদের কাছ হতে পাওয়া অনুপ্রেরণাই আমার পরবর্তী কর্মের জ্বালানি।
আপনার চোখে গল্পটা কেমন লাগে তা জানার অপেক্ষায় ছিলাম সুমন ভাই ।সময় করে যত্ন নিয়ে পড়েছেন এবং নিজের অনুভবটুকু পুরোপুরি প্রকাশ করেছেন -
তার জন্য আমার পক্ষ হতে কৃতজ্ঞতার অধিক কিছু রইল।
এই লাইন ভেঙ্গে যাবার ব্যাপারটা খুব ভোগাচ্ছে । ড্রাফটে প্যারা হিসেবে থাকলেও প্রিভিউ কিংবা পোস্ট করার পর দেখি লাইন ভেঙ্গে যাচ্ছে । বেশ কয়েকবার
চেস্টা করলাম আরো খারাপ ছাড়া ভাল হচ্ছেনা । তাই ওভাবেই থেকে যাচ্ছে । দেখতেও ত বিশ্রী দেখাচ্ছে । নিজের কাছে ও তাই ভাল লাগছে না ।
আপনি বলার পর আরো দুই তিন বার দেখলাম । আগের মতই অবস্থা ।এখন লিঙ্ক আর ছবিও যোগ করতে পারতেছি না । সংকলনের সময় ঘনায়া আসছে।বুঝতেছিনা কি করব ।
আর আমি সরাসরি সামুর বডিতেই লিখি । ওয়ার্ডে লিখি নাই কখনো । সামুর বডিতে লিখতে একটা আলাদা মজা পাই ।
মন্তব্য মন ছুয়েছে ।। গতানুগতিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতার চাইতেও অনেক বেশী হৃদয়ের উষ্ণতা দিলাম ।
ভাল থাকবেন প্রিয় সুমন ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।
৩৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: "অন্তরে অজানা এক কষ্ট বল্কায়। কোন জায়গার মাটি দিয়ে তার বডি বিল্ডিং হয়েছে কে জানে!খালের জমি ,বিলের জমি , ধানি জমি, আবাসিকের জমি কে এ প্রশ্নটা প্রায়ই জিজ্ঞেস করে বাশার। নিশীথে নির্জনে মাটিতে একাকী কান পাতে -উত্তর নেই। এক সীমাহীন ধু ধু শুন্যতা তাকে ব্যঙ্গ করে। তাহলে এই সব জমি রক্তে বাজে কেন টানে কেন?টানেইবা যদি নিরুত্তর কেন? তাকে নিয়ে জমির এ কোন খেলা কেমন খেলা!"
---
"যে কাজী সোহানের জন্য জীবনটা এভাবে মিছমার করে দিল বাশার , সে তাদের জন্য কি করবে! বুড়ো - বুড়ি মরলে ৪ দিন ৪০ দিন বছরি দেবে। মোল্লা ফকির মিস্কিন কে টাকা ছিটে দেবে। ফটো করে দেয়ালে লটকে রাখবে। এই ত!"
..
পুরো গল্পটাই কপি পেষ্ট করতে ইচ্ছে হয়.. কোনটা ছেড়ে কোনটা বাদ দেবার নয়..
অসাধারন.............................................++++++++++++++++++++
এই মাটি থেকে জন্ম রে তোর এই মাটিতে হইলি বড়
হেসে গেলে চলে গেলে এই মাটিতেই হবে কবর...
ফিহা খালাক্বনাকুম..ওয়া ফিহা নুয়িদুকুম
ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম..তারাতান উখরা.....
আমার একটা গানে এভাবেই মাটি আর দেহতত্ত্ব প্রকাশ পেয়েছে. কোরআনের আয়াতটাও যুক্ত করে দিয়েছি যার মূল কথা ঐটাই..
০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: পাঠকের ভাল লাগাই একজন লেখকের বড় প্রাপ্তি।
বিস্তৃত মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল ভাই ।
দোয়া রাখবেন যাতে ভাল কিছু লিখে যেতে পারি।
এই মাটি থেকে জন্ম রে তোর এই মাটিতে হইলি বড়
হেসে গেলে চলে গেলে এই মাটিতেই হবে কবর...
ফিহা খালাক্বনাকুম..ওয়া ফিহা নুয়িদুকুম
ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম..তারাতান উখরা....
এটাই ভাই । মাটি আমাদের শেষ ঠিকানা।মাঝখানে পৃথিবীর
খেলাঘরে যা কিছু পূঁজি - বাট্টা জোগাড় করা যায়।
গানের চরণ যদি ৪ লাইনের বেশী লিখে থাকেন
তা জানানোর অনুরোধ রইল ভাই ।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
ভাল থাকবেন ভাই ।
৩৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১৭
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: দারুণ। দারুণ ভাষার ব্যবহার। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৩৬
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রিয়াদ ভাই ।
ভাল থাকবেন ।
৩৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৫:৫৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা জাগিয়ে দিলেন তো !
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহা , আমি নিজেও অপেক্ষায় আছি ।
ভাল থাকবেন ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
৩৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯
অদৃশ্য বলেছেন:
খুব সুন্দর গল্প... পরের পার্টের অপেক্ষাতে রইলাম খুবই আগ্রহ নিয়ে...
শুভকামনা...
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় অদৃশ্য ভাই ।
ভাল থাকবেন । শুভকামনা রইল ।
৩৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
ভুলে গেলাম তো ?
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহহা , দেখি ভাই সংকলনের কাজ টা করে মনোযোগ দিতে পারি কিনা ।
ভাল থাকবেন ভাই ।
শুভকামনা ।
৩৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৭
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
মাহমুদ,
বাপ ছেলের কী হলো ? লেখক নিজ লেখায় মনযোগ দিচ্ছে না-কেনও ! হা ?
২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বলেছেন: এখন কেন জানি লিখতে ইচ্ছে করতাছে না ।
দেখি দ্রুতই মনোযোগ দেব ।
ভালো থাকবেন প্রিয় অন্ধবিন্দু ভাই ।
শুভকামনা ।
৩৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৬
মহান অতন্দ্র বলেছেন: ভাল লাগল ভাই । বেশ লাগল ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
ভাল থাকবেন ।
শুভকামনা রইল।
৪০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: শেষ পর্যন্ত এই খেলায় কি বাপছেলের জয় হবে?
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৬
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: জানলে চাইলে লক্ষ্য রাখুন ২য় পর্বে
হাহহা , এই চান্সে বিজ্ঞাপন করে দিলাম ।
দেখি শেষতক কি হয় ।
ভাল থাকবেন ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
৪১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২১
ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: আজব প্লট, ততোধিক আজব গল্প!
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন:
ভাল থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২২
হাসিনুল ইসলাম বলেছেন: টানের খেলায় বাপ-ছেলেকে হারিয়ে দিয়েন না! হাজার হোক, এভাবেই তো আমরা চলছি, প্রজন্মের পর প্রজন্ম...