নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

@ @

মাহমুদ০০৭

@ @

মাহমুদ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প - মেঘে ঢাকা প্রেম

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

উৎসর্গ - প্রিয় মানুষ আমিনুর ভাই।খুশিতে উৎসর্গ দিয়ে দিলাম:)উৎসর্গে এর আগে এত আনন্দ পাইনি।এবং যারা আমিনুর ভাইকে ভালবেসে আমিন গং:P)
সতর্কতা - গল্পে গুরুচণ্ডালী ও যবনী মিশালের উপস্থিতি বিদ্যমান।
প্রতিটা গল্পই অত্যধিক ধূসর,নয় সাদা নয় কালো।
- লিসা লিন

প্রেমিক+ পাত্রের নাম হইল গিয়া মাসুম ।
বলতে গেলে পাত্রের কোন সমস্যা নাই।
বরং চরিত্রে ভান্ডার ভরা বিবিধ রতন।রমরমা ব্যবসা করে - এখনই উচ্চ মানের শিল্পপতি বলা চলে,ব্যবসার ডিঙি যেভাবে আগাইতাছে- সামনে খালি টাকাই টাকা!সিল মারা সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ -রিনা ( পাত্রী ) ত দূরে থাক রিনার ছা পোনার সাত প্রজন্ম চড়িয়ে বড়িয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে খাইলেও শেষ হইবে কিনা সন্দেহ। এর বাইরেও তিনি বুদ্ধিমান দয়ালু, প্রয়োজনবোধে নির্মম,নাক - মুখ খাড়া খাড়া , উচ্চতা ৫ ফিট ৭,তার সাথে ম্যাচ করা ব্যায়ামপুস্ট বডি। কোন দিকে কমাকমি নাই কিন্তু............
যা সমস্যা
তিনি কালা, তাও কাউয়াকালা!
পুরুষ মাইনসের কালা -ধলা! ইয়া কি বাত! হা। কিছু জায়গায় ঠিকই কালার দোষে দোষী হইতে হয় ,যেমনটা রিনার পরিবারে।
সমস্যা হইতাছে রিনার পিতৃমাতৃকূলের চৌদ্ধ খান্দানে কেউ কালা নাই সবাই হইলদা - লাইলচা ধলা , চামড়ার শ্রী - ছাচে তাদের লোকে ইরানি - তুরানি বংশলতিকালেঞ্জার সংযুক্তি আছে বলিয়া ভ্রম করে।তারা কহেন ও তাই। সেই কবে তাহাদের মহাত্মা পূর্বপুরুষগণ সুদুর ইরান - তুরান হইতে ধর্মপ্রচারের নিমিত্তে এই রঙ্গেভরা বঙ্গদেশে তশরিফ আনিয়াছিলেন।চর্মবর্ণে সেই অতুল গৌরবের সাক্ষ্য বিদ্যমান এবং তাহারা সৈয়দ ও বটে।
রিনা নিজেও কি কম! ঘুরায়া ফিরায়া খুটায়া দেখিবার প্রয়োজন ব্যতিরেকেই এক বাক্যে- তিনি মারাত্মক শ্রেষ্ঠা সুন্দরী। নাক খাড়া , মুখ খাড়া , চোখ পটলচেরা,হাতে পায়ে অবিকল ঐশ্বরিয়া। চুলে মাধুরি- ভ্রুতে সুমিতা দেবী। কোকিলা কণ্ঠী , ৫ ওয়াক্ত নামাজী।লম্বায় ৫ ফিট সাড়ে ৫ পাঁচ ইঞ্চি।আচারে কোমল,নিয়ম পালনে কঠোর,রান্নায় হাতের নাম -যশ পুরো পাড়াব্যাপি, কোর্মা-কালিয়া- আচারে সিদ্দীকা কবির ও নস্যি!
এতএব,এই ডিজিটাল জামানায় ত দূরে থাক আগামি ১৪০০ বছর পরেও মাসুমের মত কারো নাম এই খান্দানে বিবাহের নিমিত্তে আলোচিত হইবে - এমন কোন সম্ভাবনার মূলে বিন্দুবৎ পসিবলিটি ছিল না। কিন্তু কালা আদমি মাসুমের সাথে সাদা মানবী রিনার ৭ বছরের চুপিচুপি প্রেম সব হিসাব - নিকাশ উল্টাইয়া দিল ।
বিয়ের উপযুক্ত সময় আসিলে রিনা মাসুমের কথা তার বড় বোনকে জানাইল + ফটো দেখাইল ।
'' এমন মেয়ে পায় কজনা ?
জিতে গেলি ভাই কাল্লু মামা !! ''
ওদের দুজনের যুগল ছবি দেখে হাসতে হাসতে রিনার বড় বোনের জামাই বলে ।
- হু ! এম্নিতে কিন্তু লম্বায় ঠিক আছে , তাই না ? রিনা থেকে মাত্র ইঞ্ছি ১।৫ লম্বা।ভালই মানিয়েছে ফর্সা হলেই একদম.....
কথা শেষ হবার আগেই জামাই হো হো করে হাসতে থাকে ।
- এ কি ! হাসির কি হল !
- তুমি বাটি আর চিকন - চাকন বলেই কিন্তু তোমাকে বিয়ে করেছি।
- কি !
- হ্যা! ভেবেছি বাটি আর চিকন - চাকন হলে খেলতে সুবিধা হবে । তখন তোমার ফিগার টা ও অবশ্য .........
জামাই চোখ টিপ মারে।
- শয়তান ! বদমাশ !!
- কিন্তু তখন কি আর .....
- তখন কি ?
- তখন কি আর জানতাম বাটি শয়তানের লাঠি!
জামাইয়ের পিঠে দুষ্টু কিছু কিল আসে। জামাই সেই কিল কুড়িয়ে চুমু দেয় আর তার পরের দিনই মাসুমের পিঠে স্নেহের হাত চাপড়ায় ।
- টেনশন মাত কর। মে হু না! বিয়ে হবেই !!
বউয়ের মুখ হতে শোনামাত্রই জামাই ''মাসুমকে হ্যা বলুন''শিবিরে,পারলে জায়গায় বিয়ে করিয়ে দেয়। দিবেই না কেন ?মাসুমের এত্ত টাকা! বাবারে!এই ব্যবসা , সেই ব্যবসা, শিপিং লাইনের রুই - কাতলা !! ভালায় ভালায় বিয়েটা করিয়ে একটা সুযোগ নিতে পারলেই কেল্লা ফতে! ঝরঝরে ভবিষ্যতের মৌমাছিটা চলে আসবে হাতের মুঠোয়! তাতে জীবনের একটা হিল্লে হয় ,গতি হয়! গতি ! গতিই ত ! ঘোড়ার গতি ! আলোর গতি ! তারপর নেচে নেচে খাও , হেসে হেসে খাও , দৌড়ে দৌড়ে খাও - মানা করছেটা কে ?
এই খান্দানি নামের ঠনঠনানি বংশে বিয়ে করে জামাই কি পেয়েছে ? ঘোড়ার আন্ডা ! হাতছানি দেয়া লাভের মওকা পেতে তাই জামাই তৎপর ।
-তলে তলে তলিয়া প্রেম !!
ছি ছি ছি ! বেটি খান্দান ডুবিয়ে দিল !!
বুড়িগঙ্গায় চুবিয়ে দিল !!
বাবা শুনে রেগে শর্মা, খালু হয় অগ্নিশর্মা !পারিবারিক বৈঠকে বয়ে যায় আগুনের হল্কা!
- এই যুগে এমনটাই ঘটিয়া থাকে! জামাই বলে।
- জামাই !
না থেমে একের পর এক মাসুমের ব্যবসার কথা বলে যায় জামাই, জামাই যত বলে,মুরুব্বীদের রাগ তত কমে।
কা উ রে ! এ ত খনি , মাসুম গনি!
আগা টু গোড়া লাভ!
লাভ!
- লাভ ! লাভ টা রিনার বাবার চাইতে কে বেশি বুঝে!টাইটানিক ধারে - কর্জে সবকিছু গলা ডোবা ,খান্দানি কল্লাটাই কেবল ভেসে আছে। এবং যা দিনকাল- আগে পরে ওটাও যাবে। লক্ষ্মী সোনা মাসুমের মত জামাই পেলে কপাল ফিরতে কতক্ষণ! যদি থাকে নসীবে ডাইরেক্ট আসিবে! তবু ত চট করে হ্যা বলা যায় না।একটু খটকাও লাগছে । জামাই যেভাবে দালালি করছে ........ কে জানে ঘটনা কি !
- সবই ঠিক আছে , গায়ের রংটা .....
- এই যুগে এই সব পুরানা সেন্টিমেন্ট চলে না বাবা !!
এমন হেলদি স্মার্ট জামাই কই পাবেন , এই যুগে গায়ের রঙ কে বিছরায়! বেটা মানুষই ত ! তাছাড়া জামাই খুব ভাল ,বিয়ে হলে আপনার ধার - দেনার ও একটা ব্যবস্থা অবশ্যই হবে। রাজি হয়ে যান বাবা!
রাজি !
রিনার বাবা নিজ- মনে রাজি না হইলেও তখনই বিবেচক মনে নিমরাজি ।নিমরাজি মানে না না বলিয়া পুরাই রাজি। উপায় নাই।পাত্রের টাকা!এই দুনিয়ায় টাকাই বাবা!কেবল টুপিতে পাঞ্জাবীতে কি খান্দান টিকে! তাছাড়া মেয়ে মানে অপর বংশ - তাহাদের সাথে আমার আর কি সম্পর্ক! বরং ঠিক ঠাক মত জামাইকে ব্যবহার করিতে জানিলে খান্দানকে নতুন করিয়া গড়িয়া পিটিয়া লওয়া যাইবে।

কিন্তু রাজির নাটাই রিনার খালুর কাছে।গোলজটটা ওখানেই।
ঠ্যাকা - বেঠ্যাকার সংসারে এই খালুই হাতের পাঁচ, বিশ্ব ব্যাংক।আর গুলা ত সব তক্কে তক্কে সরে আছে। অথচ মধু খাওয়ার বেলায় ঠিকই খাইছে! খালু বেটাও যেমন দিচ্ছে তেমন মাতবরি করে সব উসুল করে নিচ্ছে। শালার ব্যাটা! তুই চাস আমি সবসময় ফকির থাকি। বড় মেয়ের সময় ও ঠিক অমন টাই করেছে ।পাত্তিওলা পাত্রগুলোর এই সেই দোষ ধরে,সব ক্যান্সেল করিয়ে কোথাকার কোন হাবলুকে গছিয়ে দিয়েছে।

কিন্তু যত যাই হোক খালুকে চটানো যাবে না।রিনার পরে আরো দুই বোন আছে , দুইটা ছেলেও আছে ,ওদের ভবিষ্যৎ ............তাছাড়া জামাই কেমন হয় তাও বলা যায় না আর তার উপর ভিত্তি করে খালুর মত পরীক্ষিত সৈনিককে চেতিয়ে দেয়া যায় না।এর চেয়ে যদি বুঝিয়ে - সুঝিয়ে ............।
কিন্তু কিসের কি !
ভুমিকম্প নাজেল হইল। সাথে আসা তাহার সুবোধ সুগোল মেয়ের জামাইরা ভুমিকম্পের তালে তালে রাগিণী বাজাইল !!
- আপনি বেকুব জানিতাম কিন্তু বংশগৌরব বিস্মৃত হইবেন , এমন বেয়াকেল জানিতাম না ! ছি ছি ছি! টাকা থাকিলেই সব হইয়া গেল। টাকা ত হাতের ছাতা ( ময়লা )।ও জিনিস রাস্তার ফকিরের ও থাকে।এই ছেলেকে আমরা কোথায় গছাইব! পারিবারিক ফাংসানেও ত তাকে মানাইবে না !
- ঠিকই ! রিনার বাবা ভাবিল।
সাদার মাঝে কালো আলো হইয়া ফুটিয়া থাকিবে!
মিন মিন করিয়া কেবল কহিল - আরেকটু যদি ভাবিতেন!
- ভাবিবার কি আছে! শরীফ লোক দেখিয়া আমরা রিনাকে বিবাহ দিব।তাছাড়া সব ঠিক থাকিলেও এ বিবাহ দুরুস্ত হইবে না।প্রেমের বিবাহে নাই রহমত নাই বরকত।এখনকার ছেলেপুলের যে কি হইল! চোখ পাকিলেই প্রেম! সবার আগে খান্দান বাঁচাইতে হইবে।

আবার ও মাসুম
কিছু কিছু কথা মাসুমের কানেও এসেছে এবং তাতে তার মেজাজ চড়েছে। হোক বংশ গৌরব নাই - কিন্তু বংশ গৌরবে আছে কি মুলোটা! বংশ -গৌরব দিয়ে কে কখন কোথায় কত টাকা বানাইছে! টাকাই আসল।আর আল্লাহ যারে দেয় তারে ছাপ্পড় ফুইড়া দেয়! যেমন দিছে মাসুম কে।অমন নিধিরাম সর্দার মার্কা বংশ মিনিটে মাসুম শয়ে শয়ে কিনতে পার।সের মাপা !!
শালার খালি প্রেম করছি বলে হ্যাপা ,নাইলে এই সব লোকরে কুত্তাও পুছে না!
উত্তেজিত মাসুম রিনাকে কোর্টে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় কিন্তু রিনা প্রেমে নিজে ডুবিলেও প্রেম সাগরে বংশ ডুবাইতে রাজি হয় না। তবে আশ্বাস দেয় - বিয়ে হচ্ছেই!সব বুঝে ও প্রেমের নিমিত্তে সিংহমাসুমকে বিল্লিমাসুম বনতে হয়।একবার বিয়েটা করি তারপর তোদের সবকটাকে আমি .. ..
মাসুম হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারে আসলেই প্রেমের মরা জলে ডুবে না।
তারপর ?
কিন্তু খালুর ঘাড়ত্যাড়ামিতে সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হইল।এতএব,বিপর্যস্ত আধমরা প্রেম কাঁদো কাঁদো মুখে চিরতরে ডুবিয়া যাইতে যখন বুড়িগঙ্গাতটে ধাবমান হইতেছিল, তখনই -
ক্লাইম্যাক্স !
রিনা ইঁদুরের বিষ খাইল( ভালো কোম্পানির)। পাশার দান উল্টিয়া গেল। তুমি মিয়া মুসোলিনির বাড়া!সব বোঝো ত প্রেম কেন বোঝো না! -উত্তেজিত রিনার মামা খালুকে কহিল। হাসপাতালের করিডরে ''ও আমার রিনা রে !'' বলিয়া রিনার মা মর্সিয়া গাহিল।ক্রন্দনে শোরগোলে নারকীয় কনসার্ট চলিল রাত্রিব্যাপি।শেষমেষ যমের সাথে দু দান খেলিয়াই ডাক্তার জিতিল।
এ যুগের মেয়ে কখন কি করিয়া বসে !দিয়া দেই বাবা দিয়া দেই।পারিবারিক বৈঠকে পুনরায় রিনার মাতা পিতা প্রস্তাব পেশ করে।খালু গজগজ করে। মেয়ে যেখানে বাঘা তেতুল আমি বুনো ওল হইয়া করিব টা কি! মরুগগে বেটি!- খালু ইহা ভাবিয়া মনে মনে আচ্ছামত বকিয়া সায় দেন। তারপর গোটা বংশের রাজি অরাজি নিমরাজি ওলাদের সক্রিয় -অসক্রিয় , নিরব - সরবের ডামাডোলে বিবাহ - প্রস্তাব পাশ।আসিল গায়ে হলুদ। বাজিল সানাই।

২) একি !


নিজের চোখকেও যেন বিশ্বাস করতে পারছেনা রিনা । আয়নায় যাকে দেখা যাচ্ছে সে কে? নিজেকে চিমটি মেরে পরীক্ষা করার পর ও সন্দেহ যায় না। গালে হাত লাগায়। আঙ্গুলে গুড়ি গুড়ি ঠেকে। গায়ে হলুদের আনুষ্ঠানিকতা সারতে সারতে ক্লান্তিতে অলসতায় কাল রাতের মেকাপ তোলা হয়নি। হ্যা, আয়নায় ও তাই দেখা যাচ্ছে - ডান গালে হাত।তবে ? কিন্তু যা দেখা যাচ্ছে তা কিভাবে সত্যি হয়? কপাল হতে গলা পর্যন্ত রিনার ডানপাশের চামড়া পুরোই আফ্রিকান নিগ্রোদের মত কুচকুচে কালো হয়ে গেছে।বাম পাশ টা আগের মতই, সাদা। রিনার ঘুমাতে ঘুমাতে রাত ২ টা হয়েছে। এই ৬ ঘন্টার মধ্যে চামড়া কালো হয়ে গেল। কিভাবে ? আসলেই কি কালো দেখাচ্ছে ? নাকি ময়লা ? ময়লা হলে বামপাশ কিভাবে সাদা থাকে ? কিছু বুঝে উঠতে না পেরে রিনা তড়িঘড়ি করে মুখে ফেসওয়াস লাগায়।বার বার পানির ঝাপটা মেরেও কালো দূর হয় না,বরং যেন আরো গাঢ হচ্ছে।রিনা নয়,আয়নায় ওটা যেন রিনা নামের কোন উদ্ভট প্রাণি।কি বীভৎস বিশ্রী।এসব কি কোন জিনিসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া? তাহলে ত পুরো মুখই কালো হবার কথা।রিনা অস্থির হয়ে যায়। কি করবে এখন? মাকে ডাকবে ? ভাগ্যিস কাল নিজের রুমে একলা শুয়েছিল। কিন্তু এভাবে কতক্ষণ!মানুষে গিজগিজ করছে পুরো বাড়ি। একটু পরেই কেউ না কেউ ডাকতে আসবে। তখন? আর নিজেকে সামলাতে পারে না রিনা, বেসিনের কলটা ফুল স্পিডে ছেড়ে হু হু করে কাঁদে। হায় আল্লাহ! এ কি হল! রিনার মনে হচ্ছে এই বাড়ি ছেড়ে তাকে এখনই পালাতে হবে। এই মুখ কাকে দেখাবে? কিন্তু পালাবে কিভাবে ? পালিয়ে যাবে ই বা কোথায়? আজ না তার বিয়ে!আল্লাহ! বিয়ে কি আসলেই হবে ?ভাবতে ভাবতে রিনা মোবাইল হাতে নেয়। এ মুহূর্তে মাসুমকে তার খুবই প্রয়োজন।

) মাসুম আর রিনা যেখানে প্রেম করত, এখন তারা সেই প্রাইভেট রেস্টুরেন্টে ।মাসুমের চোখে মুখে এখনো ক্লান্তি , ঘুমের ছাপ ।রিনার কণ্ঠের আর্তিটা টের পেয়েই বিছানা হতে মাসুম সোজা এখানে। কিন্তু এখন? জোর করেও কথা আসছে না মুখে। সে কিংকর্তব্যবিমূঢ় ও নিশ্চুপ। চোখ দুটোর টানটান উজ্জ্বল আলো শিথিল হয়ে গেছে। রিনার চেহারা দেখার পর মাসুমের মাথা কেবল বোঁ বোঁ করছে। এ কি দেখল সে? এর চেয়ে না দেখাই ভাল ছিল। এই রিনা লইয়া সে কি করিবে?রিনা কল দেয়ার পর কিছু একটা হয়েছে এটা বুঝেছিল কিন্তু তা যে এমন ভাবতেও পারেনি।কেই বা ভাবতে পারবে?পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্যোতিষীয়ও না। একবার তাকিয়েই চোখ নামাতে বাধ্য হয়েছে মাসুম।।উফ কি অবস্থা! অথচ এই মুখের দিকে তাকিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটানো গেছে।এমন হলো কিভাবে?
এখন কি হবে? কি করা উচিত? কড়া মেকাপ দিয়ে কালোটা ঢেকে দিলে সমাধান ? কিন্তু তারপর ? তারপরের টা সামলানো যাবে কিভাবে?সমাজ, সংসার বন্ধুবান্ধব? সমাজের গুষ্টি কিলাই সে নিজেই বা কিভাবে ম্যাচ করবে?ঐ এক মুহূর্তের দেখাতেই এক বীভৎস অনুভূতি পেটের নাড়িভুঁড়ি হ্যাচকা টান মেরে গলা দিয়ে বের করে আনতে চাইছে। ডানপাশটা কি ভয়ঙ্কর কদাকার! ডাইনি বুড়িও এর চেয়ে সুন্দর।মাসুমের মগজ আর কাজ করে না, অস্থির হয়ে মাথা চেপে ধরে।
রিনার মাথায় ও নানা কথা খেলা করছে।কে জানত সকালে উঠেই এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে, যা সবকিছু পালটে দেবে।এটা কি কোন কিছুর প্রাশপ্রতিক্রিয়া?তা ই বা কিভাবে হয়?তা হোক আর না হোক এই মুখ সে আর কাউকে দেখাতে পারবে না।কি হল খোদা।বিয়ের দিন এমন গজব।
দুজনেই জানে কথা বলা দরকার , একটা রফায় আসা দরকার।কিন্তু কি সিদ্ধান্তে আসা যায়?
- এখন কি করবে ? অনেক্ষণ পর অবশেষে নিরবতা ভাঙ্গে রিনা ।
- জানিনা! এটুকু জানি এ বিয়ে হচ্ছেনা।অথচ কাল রাতেও বাসর ঘরের স্বপ্ন দেখেছি! - হতাশ কণ্ঠে মাসুম বলে ।
জবাব শুনে রিনা মাসুমের চোখের তারায় তাকায়। মাসুম চোখ ফিরিয়ে নেয় ।
- জানি তোমার কষ্ট হচ্ছে , আমারও হচ্ছে।কিন্তু উপায় কি! এ বিয়ে ক্যামনে হবে! তোমার বংশের পাপ ভর করেছে তোমার মুখে। না হলে এমন হয়।আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে।বিয়ের পর এমন হলে যে কি হত!
রিনা অনেককক্ষণ কোন উত্তর দিল না।মুখ নিচু করে ২০ মিনিট নিরবে কাঁদার পর বলে - কালো হওয়া দোষের? এটা হয়ত চর্মরোগ বা কোন কিছুর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
মাসুম ইতস্তত করে।
- কালো হওয়াটা অবশ্যই দোষের নয়।আমিও ত কালো। আয়নায় নিজেকে আরেকবার দেখো।চর্মরোগ বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবার প্রশ্নই আসেনা।মাত্র কয়েক ঘন্টায় কেউ কালো হতে পারে?আমি নিশ্চিত তোমার পূর্বপুরুষের পাপ তোমার চেহারায় ভর করেছে।কে জানে কার অভিশাপে এমন হলো।আর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলেও তোমাকে সামাল দেব কিভাবে?তুমি নিজেই বা এই মুখ কিভাবে দেখাবে? হায় আল্লাহ! এই ছিল কপালে। বিয়ের দিন বিয়ে ভেঙ্গে দিতে হয়!- মাসুম কপালে হাত চাপড়ায়।
রিনার মোবাইল বেজে উঠলো।রিনার মার কল।নাম্বারটা চোখে পড়তেই এখানে আসার দৃশ্যটা যেন চোখে দেখতে পেল।নিজের ঘর হতে আপাদমস্তক নিজেকে বোরকায় ঢেকে কিভাবে চোরের মত পেছনের গেট দিয়ে এখানে চলে এলো নিজেও জানেনা।রাস্তায় মাকে ফোন করে বলেছিল খুব জরুরী কাজে বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছে।ঘন্টাখানেকের ভেতর চলে আসবে।কেউ যাতে না জানে।তখনো ক্ষীণ একটা আশা ছিল।রিনা অনুভব করল এই দুনিয়ায় তার কোন জায়গা নেই।ফিরে গিয়ে বাপ মাকে সে সবার কাছে ছোট করতে পারবে না।নিজের কাছেও নিজে ছোট হবে না।মাসুমের কথাই ঠিক। মানুষকে দেখানো দূরে থাক,আয়নায় নিজেই নিজেকে দেখবে কিভাবে? সার্জারি করে ভাল হবে?আদৌ কি আগের মত হবে?সবই অনিশ্চিত।সব শেষ হবার পর আগের মত হয়ে বা কি লাভ!কোন পাপে বিয়ের দিন এমন গজব ঢেলে দিল খোদা!
মোবাইল টা বন্ধ করে দিল রিনা।
- উঠবেনা?মাসুম জিজ্ঞেস করে।
- হ্যা,তুমি যাও।এখানে আরেকটু থাকি।তারপর উঠছি। রিনা বলে।
- আমি আসলেই সরি।
- আমি বুঝতে পারছি।
- বাসায় চলে যেওকিন্তু!তোমার কিছু ভাবতে হবেনা।আমি গিয়ে বিয়ে ভেঙ্গে দিচ্ছি।
- আচ্ছা।
শেষবারের মত তাকাতে গিয়েও পারলনা মাসুম,প্রথমে এসেই তাকানোর দৃশ্যটা চোখে ভাসল।ওহ আল্লাহ! একটুর জন্য জানে বাঁচছি!বিয়ের পর এমন হলে তাকে বাংলাদেশ ছেড়ে ভাগতে ত হতই,কে জানে পুরো বিশ্বই ত্যাগ করতে হত কিনা! মনে মনে খোদার কাছে শোকর গোজারী করল সে।এখান হতে দ্রুত চলে যাওয়ার একটা তাড়নাও অনুভব করল।থাকুক রিনা।আহারে! কেঁদে বেচারি হাল্কা হোক।মাসুম চলে গেল।
রেস্টুরেন্টের ওয়াশরুমে রিনা বেশ কিছুক্ষণ কাঁদল।তারপর ভালভাবে মুখ মুছল।মনে মনে গাড়ির তলায় নিজের জীবন দিয়ে দেবে - ঠিক করে ফেলল।তারপর মূখ ভালভাবে ঢেকে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে ধীরে হাটতে লাগল।কত সুন্দর রোদ উঠেছে আজ।এই দিন তার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন হবার কথা ছিল।আর কিছু ভাবতে পারল না রিনা, জলে ভরে গেল চোখ।আর সামান্য এগোলেই হাইওয়ে। এমন সময় সুন্দর সৌম্য এক যুবক তার সামনে এসে দাঁড়ালো।
- এই যে ম্যাডাম শুনছেন ?
-বলুন।
-আপনি নিশ্চয়ই আত্মহত্যা করতে চাইছেন?
রিনা থমকে দাঁড়ায়।
- আপনি জানলেন কিভাবে?আর আমি আত্মহত্যা করলেই বা কি?
- আপনাকে দেখে এমন মনে হচ্ছে।উপায় থাকতে আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়।
- আমার উপায় নেই।এ দুনিয়ায় আমি আমাকে দেখতে পারব না।
-এ দুনিয়ায় নেই ত অন্য দুনিয়ায় আছে।আমি আপনার সমস্যা জানি।
রিনা অবাক হয়।কে এই যুবক?
- আপনি কিভাবে জানেন?
- কারণ আমি এ দুনিয়ার নই।
কোন দুনিয়ার তাহলে - প্রশ্নটা করতে গিয়েও করলনা রিনা,যে দুনিয়ার হবে হোক তাতে আমার কি। হয়ত যুবক আমাকে কোন কারণে মেরে ফেলতে চায়!মরার পরের দুনিয়ার কথাই হয়ত বলছে।
-যাবেন আমার সাথে , আমার দুনিয়ায়?আপনার ভাল লাগবে নিশ্চিত।
ভাল না লাগলে না হয় যা খুশি তাই করবেন।
যাবেন ? যুবক হাত বাড়িয়ে দেয়।
রিনা ছেলেটির চোখ বরাবর তাকায়।যুবকের দুচোখে গভীর আস্থা,নির্ভরতা ,বিশ্বাস ও প্রত্যয়।অবয়ব ঘিরে কি যেন এক অজানা আকর্ষণ।পরানের গহীন হতে রিনা আওয়াজ পায়- হাত বাড়াও।রিনা চমকে উঠে। ভাবে - আমার ত হারাবার কিছু নেই। ছেলেটার বাড়ানো হাতে কখন যে তার হাত চলে আসল টের পেলনা সে।
ওদিকে যা চলিতেছিল

এদিকে রিনাকে না পাইয়া পুরো বাড়িতে শোরগোল উঠিল।রিনার মা সব খুলিয়া বলিল। রিনার এহেন কান্ডের কি হেতু তাহা কাহা্রো মাথাতে আসিল না।জানিতেই যা দেরী,মহল্লার বাতাসে টিটকারী মহানন্দে ঘুরিতে লাগিল, টেনশনে অস্থিরতায় সবাই ঘামিতে লাগিল। হায় হায় হায়!এই নি ভাগ্যে ছিল।খালু বলিল আমি ইহাতে নাই।ইজ্জত কা মামলা। বেতমিজ আওরাত খান্দান ডুবাইয়া দিল।খালু বলিতে বলিতেই সর্বনাশের পেরেক ঢুকাইতে -পাত্রপক্ষের ফোন।খবর পাইলাম পাত্রী নাই-ছি ছি ছি।বাঁচিলাম! আল্লাহ মেহেরবান।পাত্রপক্ষ ও মহল্লার নানা কথার ঘনঘটায় রিনার বাপ মা ফিট হইয়া মাথা বালিশে কাইত।চতুর্দিকে বজ্র গতির সন্ধানেও রিনার টিকি মিলিল না।
অবশেষে যখন সবাই রাতে বসিয়া পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণে ব্যস্ত,তখন রিনার পরহেজগার দাদি তাহার ব্যক্তিগত হুজরাখানা হইতে বাহির হইয়া আসিল।বলিল - খোঁজার আবশ্যকতা নাই।জীনের বাদশার ছেলের সাথে আমাদের রিনা কোহেকাফে ভাগিয়া গিয়াছে।
শুনিয়া বিস্ময়ে কিয়ৎকাল কাহারো রা নাই।
আপনি কিভাবে জানিলেন? - সম্বিত ফিরিয়া পাইতে সবাই একযোগে প্রশ্ন করিল।
মোরাকাবায় দেখিয়াছি। - দাদির জবাব।
শেষতক কোহেকাফ!- রিনার জামাইয়ের সাধের টাইটানিক তাহারই চোখের সামনে ডুবিতে লাগিল।
মধুরেন সমাপয়েৎ
মধুচন্দ্রিমা শেষে ডি মুন তাহার ব্যক্তিগত ডায়েরীতে লিখিল -

পাইলাম, তোমাকে পাইলাম!

এত সহজে কার্যসিদ্ধি হইবে ভাবি নাই।পৃথিবীর হুরপরীদের মোহে পড়িয়া বিউটি পার্লারে চাকরি নিয়াছিলাম।প্রতিদিন কত সুন্দরী দেখিতাম কিছুদিন রঙ্গ তামাশা করিয়া নিজ দেশে ফিরিয়া যাইব এমত ইচ্ছা ছিল। কিন্তু যেদিন রিনা আসিল,চোখের মণি টাল খাইয়া গেল।মানবী এত ফর্সা সুন্দরী হয়?সূর্যও বোধ করি ইহাকে ভালভাবে দেখিবার মওকা পায় নাই।বুকের ভিতরে বুঝিলাম প্রেমে পড়েছি আমি প্রেমে পড়েছি।কিন্তুতাহার ত বিবাহ হইতেছে।মনে দুষ্টু বুদ্ধি খেলিল।তাহার মেকাপের দায়িত্ব নিলাম।তাহার ছটফটানি দেখিয়া বুঝিলাম প্রেমের বিয়ে।কাজের ফাঁকে কথা চালাইয়া সব জানিয়া নিলাম।রূপচর্চার ফাঁকে কোহেকাফ হইতে আনা স্পেশাল এসিড তাহার ডান গালে ও গলায় স্প্রে করিয়া দিলাম।ঘন্টাকয়েকের মধ্যে উক্ত অংশ কুচকুচ কালো হইয়া যাইবে।এইবার পেছন পেছন আমিও তাহার বাসায় আসিলাম।সারা রাত্র এখানে কাটাইলাম।আর প্রভাত প্রতিক্ষায় থাকিলাম।জানি সকালে কিছু একটা ঘটিবে।কি কি ঘটিবে তাহা কল্পনা করিয়া মনে মনে খুব হাসিলাম।কিন্তু বিধিবাম।সকালে উঠিয়াই তাহাকে চোরের মত পেছনের গেট দিয়া বাহির হইতে দেখিলাম। পিছু নিলাম।অতঃপর তাহাকে তাহার প্রেমিকের সাথে দেখিলাম।মানবীর কি সাহস কি বুদ্ধি! এমন কিছু ঘটিতে পারে ভাবি নাই। সেই মুহূর্তে আমার মনে তাহাকে হারাইবার ভয় আসিল।ইয়া পরওয়ারদেগার!কিতা করাম আমি কিতা করাম!মাসুম দিবেনি পন্ড করিয়া।পরোয়ারদেগার কামনা শুনিলেন।মাসুমকে চলিয়া যাইতে দেখিলাম।রিনার চোখে অশ্রু দেখিতেছি।
এখানে আনিয়া ক্রিম মাখাইয়া যখন মুহূর্তের ভেতর তাহার কালোত্ব দূর করিয়া দিলাম,তাহার বিস্ময় ও আনন্দ দেখে কে?ঐ মুহূর্তে সে আমায় ভালবাসিয়া ফেলিল। কিছুদিন পর আমাদের বিবাহ হইল।
এই ইতিহাস সে কখনো জানিবে না। জানিবার প্রয়োজন ই বা কি!

সর্বশেষ
মাঝে মাঝে মোরাকাবায় বসিয়া রিনার দাদি রিনার খোঁজ -খবরি নেন।সর্বশেষ জানা গেছে - রিনার দুটি খান্নাস হইয়াছে। তাহারা সুখে - শান্তিতে বসবাস করিতেছে ।

টিকা
খান্নাস - জীন ও মানুষের মিলনজাত সন্তানকে খান্নাস বলে।
মোরাকাবা - ধ্যান।

মন্তব্য ১১৫ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (১১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

এহসান সাবির বলেছেন: কাল পড়ব :)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহা হা , অকে ভাই ।
অপেক্ষায় রইলাম । :)

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৬

কলমের কালি শেষ বলেছেন: :|| :|| :||

গল্পটায় বেশ মজা পেলুম । ++++

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহা , এই ইমোর মানে কি ;) ( আসলেই মানে জানি না ভাই ) ?
অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

ভালো থাকবেন কলমের কালি ভাই ।

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হা হা হা হা ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: :) :)
যাক আপায় আনন্দ পাইলেন :)

আমি ফার্স্ট !
ভাল থাকবেন আপা।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল । :)

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: বেশ ভাল হয়েছে । মজা পেলাম ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: :)
ধন্যবাদ আপু ।

অনেক শুভকামনা আপনার জন্য ।

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪৩

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: এই গল্পে কমেন্ট করিতে হইলে আরো দুই বার পাঠ করিতে হইবেক। আপাতত দ্বিতীয় বার পাঠ শুরু করিলাম।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ইয়াস একশান ভাই :)
কমেন্ট খরার দিনে আরেকটা পামু :P
এত হিট রাখুম কই ? B-) :D

অকে প্রিয় প্রবাসী ভাই ।

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:০০

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: বউয়ের মুখ হতে শোনামাত্রই জামাই ''মাসুমকে হ্যা বলুন''শিবিরে

বাবা শুনে রেগে শর্মা, খালু হয় অগ্নিশর্মা !পারিবারিক বৈঠকে বয়ে যায় আগুনের হল্কা!

টাইটানিক ধারে - কর্জে সবকিছু গলা ডোবা ,খান্দানি কল্লাটাই কেবল ভেসে আছে।

উত্তেজিত মাসুম রিনাকে কোর্টে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় কিন্তু রিনা প্রেমে নিজে ডুবিলেও প্রেম সাগরে বংশ ডুবাইতে রাজি হয় না।

রিনা ইঁদুরের বিষ খাইল( ভালো কোম্পানির)।


শেষতক কোহেকাফ!- রিনার জামাইয়ার সাধের টাইটানিক তাহারই চোখের সামনে ডুবিতে লাগিল।


আহা কি কিম্ভূতকিমাকার কিছু লাইন। গল্প ফাইন হইছে যে ......।।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ;) মা ! মা ! প্রবাসী ভাই আমার গল্প ফাইন বলছে মা !
আমি কিছু দিরহাম পেয়েছি মা :P B-) :D

হাহা হা , ভাল লাগার জন্য ধইন্ন্যা ভাই :)

গুড নাইট ভাই ।
আলা ঘুমাইয়াম ।

ভাল থাকবেন ভাই ।

৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৫

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ভালোবাসার পরীক্ষায় মাসুম অনুত্তীর্ণ হলেও ফয়সাল ঠিকই নকল করে হলেও উত্তীর্ণ হল। ফয়সাল চ্যাপ্টার বাদ। কারণ ফয়সাল গল্পের একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলেও ভুমিকার দিক থেকে নিতান্তই গৌণ। ফয়সাল অংশ বাদ দিলেও গল্পটা পরিপূর্ণ গল্প হিসাবেই থেকে যাবে।
রিনার সাথে মাসুমের শেষ সাক্ষাৎকারের কথোপকথনই গল্পের আসল ক্লাইম্যাক্স। ভালোবাসার একটা সিম্পল পরীক্ষায়, যদিও এই পরীক্ষাটি ঘটনাচক্রে হয়েছে, তবুও মাসুম সেটাতে অনুত্তীর্ণ হয়েছে। কারণ সে রিনাকে ভালোবাসে নাই। ভালবেসেছিল রিনার বাহ্যিক সৌন্দর্যকে। রিনা যখন বাহ্যিক ভাবে অসুন্দরে রূপান্তরিত হল, তখন মাসুমের মোহ কেটে যায়। মাসুমের ভালোবাসা এখানে ঠুনকো হলেও রিনার ভালোবাসা ঠুনকো ছিল না। কারণ সে মাসুমের সৌন্দর্যকে ভালোবাসে নাই। সে ভালবেসেছিল মাসুমের সত্ত্বাকে, মাসুমের সব কিছুকে। আমাদের সবারই তাই করা উচিৎ। কারণ সৌন্দর্যে ভাঁটা পড়লেও ভালোবাসায় কখনো ভাঁটা পড়ে না, যদি সেটা সত্যিকারের ভালোবাসা হয়। কালো ধলা বেছে প্রেম হয় না। প্রেম হয় দুটো মনের মিলনে।
মূলত এই সত্যটাকে উপলব্ধির নিমিত্তেই বাকী চরিত্রের আগমন ঘটেছে গল্পে, যারা হয়তো এই সত্যটাকে অনুধাবনের জন্য কিছুটা প্রভাবক হিসাবে কাজ করেছে। তাই আমি বাকী চরিত্র নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। গল্পটা পড়ে আমার ব্যক্তিগত ধারণার সাথে আপনার দ্বিমত থাকতে পারে। তবুও আমার বিশ্বাস আমি যা বলেছি, সেটাই গল্পের মূল বক্তব্য।
সুন্দর কাহিনীকে রম্যের ছোঁয়া দিয়ে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। বেশ কিছু চটকদার বাক্য আছে। বর্ণনায় কেমন জানি একটা হেঁয়ালি ভাব ছিল কিন্তু পাঠককে ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছে রম্যের কারণে। গুরুগম্ভীর বাক্যগুলোকেও বেশ হালকা করে উচ্চারণ করেছেন। এই কৌশলটা সব সময় কাজে না দিলেও আপনার এই গল্পে বেশ কাজে দিয়েছে। খুব উপভোগ করলাম গল্পটা মাহমুদ০০৭।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় বিদ্রোহী বাঙালী ভাই ।
আপনার প্রতি প্রথম আকৃষ্ট হয়েছিলাম আপনার অনুগল্প পড়ে।
তখনই বুঝতে পেরেছিলাম একজন গুণী ব্লগারের সান্নিধ্যে এসেছি।
সবসময় একটা ধারনা ছিল আপনি ব্লগে টাইম দিলে আমরা সবাই উপকৃত হব । ভাল লাগছে দেখে যে , আমার ধারণা মিলেছে। প্রায় সব গল্পে আপনি গঠনমূলক মন্তব্য দিচ্ছেন। যেটা ব্লগিং এর প্রাণ।
আমি সবসময় দেখেছি একটা গঠনমূলক কমেন্ট থাকলে আরো অনেকেই নিজেকে এক্সপ্রেস করতে উৎসাহিত হয়।নানা কারণে এখন
বিস্তৃত ও গঠনমূলক মন্ত্যব্যর সংখ্যা কম ।
এমন সময়ে আপনাকে এই ভুমিকায় দেখাটা আমাদের জন্য আনন্দের। আশা করি যতটুকু সম্ভব আপনি আপনার এই ভুমিকা অব্যাহত রাখবেন ।

আমার ব্লগে আপনার প্রথম মন্তব্যে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা থাকল ভাই :)

লেখার পর কন্টেন্ট নিয়ে পাঠক যা ভাবেন সেটাই তার কাছে অই কন্টেন্টের মানে।একজন লেখক যে সবকিছু ভেবে লেখেন তা ও না।
হ্যা , লেখার ক্ষেত্রে লেখকের কিছু চিন্তা ভাব না ত থাকেই। সেটা পাঠকের সাথে কোন জায়গায় মিলে, কোন জায়গায় মিলে না। তবে লেখক তার চিন্তাসুত্র পুরোপুরি উম্মুক্ত করে দিলে সেটা
পাঠকের মুক্ত ভাবনার পক্ষে বাধা। এ দিক টা বিবেচনায় রেখে
গল্পের ভাবনা সুত্র পুরোপুরি উম্মোচিত করছি না । দেখি পাঠকরা কি কি ভাবছেন । তবে আপনার সাথে কিছুটা আলোচনা করব । আরও কিছুটা দেখি আগে।

গল্প উপভোগ করলেন এটাই আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দের :)
ভাল থাকবেন প্রিয় বিদ্রোহী বাঙালী ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।

৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৩৫

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: প্রিয় মানুষ আমিনুর অভিনন্দন জানাতেই ভুলে গিয়েছিলাম। দুঃখিত।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আমিনুর।

৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৪

ডি মুন বলেছেন:
উৎসর্গে দেখি আমারও নাম আছে :) :) বিখজ আমিও আমিন ভাইকে বালুবাঁশি :)

গল্প হইছে একরকম। কিরকম তা আর জিজ্ঞেস কইরেন না পিলিজ।

লেকচার দিতে পারুম না ম্যান।
কইম্যা যাইতেছে আমার জ্ঞান :)



গল্প বেশ উপভোগ্য হয়েছে মাহমুদ ভাই।
তবে তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছিল যে আসলে হচ্ছেটা কী !!!
শেষমেশ গল্প পোস্ট করতে পারায় অভিনন্দন।
আশাকরি আমাদেরকে আর ঠেলাঠেলি করতে হবে না। স্বেচ্ছায় নিয়মিত পোস্ট দেবেন। :) :)

ভালো থাকেন কিংবা খারাপ থাকেন [তাতে আমার কি !!! ]
শুভেচ্ছা রইলো জনাব
:)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সব কিছুতে ক্রেডিট নঅন ঠিক না মিয়া ;)

আল দিরহাম ভাই কে যাবতীয় ক্রেডিট দেয়া হইল । ( আমি হেতের
দিরহাম বালু ভাই :) )


ঠেলা না দিলে ঠেলাগাড়ি চলে না ;)


হাহা , ভাল থাকবেন প্রিয় মুন ভাই
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মা মা মা ! মুন ভাই আমার গল্প উপভোগ্য হইছে বলছে মা ;)
আমাদের আর কোন দুঃখ থাকবে না মা ;)

১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:১৬

তুষার কাব্য বলেছেন: ভাই আপনি এইরকম রম্য লিখতে পারেন জানতাম না তো ;) ...গল্প পড়তে পড়তে ক্ষুধা লেগে গেছে (বুজতেই তো পারছেন কেমনে ক্ষুধা লাগছে :) )

গল্পের বিষয়ে আর না যাই ,আমি সাধারণ পাঠক...আমার খুব ভাললাগছে শুধু এইটুকো বলতে পারি... :D

উত্সর্গ পত্রে সবার প্রিয় আমিনুর ভাইকে দেখে ভাললাগছে ।

মুন এইখানেও দেখি ক্রেডিট নিতে চায় ;)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মা মা মা !
তুষার ভাই আমার গল্প ভাল বলছে মা ! ;) আমাদের আর কোন দুঃখ থাকবে না , অনেক টাকা হবে আমাদের , মা ;)


মুন রে সাইজ কইরা দিলাম ;)

হাহা , আপনাকে দেখে অনেক খুশি হলাম ।

ভাল থাকবেন ভাই ।

অনেক অনেক শুভকামনা।

১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:





উৎসর্গ... ভূমিকা.... যবনিকা.... টীকা..
পড়া হইয়াছে....

মন্তব্যও পড়িয়াছি....


এইবার গল্পের আকার সম্পর্কেও সম্যক ধারণা লইলাম
ইহা পড়িবার আগে একটু ঘুমাইয়া লইতে চাই.... B-) ;)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহা ঘুম নিশ্চয়ই ভাল হইছে :)

পরের দিকে আমার জন্য হিতকর এক কমেন্ট পাইলাম । ;)

১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫

এহসান সাবির বলেছেন: বাহ্‌!! ভালো প্রেমের গল্প।

অতঃপর তাহারা সুখি শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল।

:) :)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অতঃপর তাহারা সুখি শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল। :)

হাহহা , ধন্যবাদ প্রিয় সাবির ভাই /
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।

১৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

আমিনুর রহমান বলেছেন:



দারুণ রম্য হয়েছে। তবে রম্যের মধ্যে দিয়ে ভালোবাসার সত্যটা দারুণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছো।



মাসুম আর রিনার শেষ সাক্ষাতের পর আমিতো ভেবেছিলাম এইবার ডি মুন এর আবির্ভাব হবে। যেই রিনা আত্মহত্যা করতে যাবে ওমনি মুন এসে বাঁচাবে ভেবেছিলাম :P ;) ছেলেটারও একটা গতি হইতো :-B

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: জিনের বাদশার পোলা হইলে ডিম নুন ভাইয়ের একটা সম্ভাবনা থাকত /।
;)

যাক , আমিন ভাই খুশি হইলেই আমি খুশি :)

ভাল থাকবেন ভাই , নিজের শরীরের যত্ন নেবেন । :)

অনেক শুভকামনা রইল ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: জনগণ ও আপনার দাবি ;) প্রতি নতিস্বীকার করে ফায়সাল চরিত্রকে
ডি মুন চরিত্রে রুপান্তরিত করা হল ;) গতি কইরা দিলাম ভাই :)

১৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

আবু শাকিল বলেছেন: প্রেম কাহিনী তে দারুন রম্য পেলাম।

কিছু মজার জিনিস খুব সুন্দর করে লিখেছেন।

ভাল লাগল ।

গল্পের প্লট কাকে নিয়ে লেখা !! জাতি জানতে চায় মাহমুদ ভাই ?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ইয়ে মানে শাকিল ভাই , সব কিছু কি জাতির জানা ঠিক
কিছু কথা থাক না অজানা ;)

ভাল থাকবেন প্রিয় শাকিল ভাই । :)
আল্লাহ চাহে ত খুব শিগগির দেখা হচ্ছে আমাদের । :)

১৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২১

আমি শঙ্খনীল কারাগার বলেছেন: গল্প পড়ে মজা ও পুলোকিত উভই হইয়াছি। গল্প ভাল লেগেছে।

আমার সাম্প্রতিক ব্লগ " কামরূপ কাহিনী" পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :)

আপনার গল্প এখনোই আসছি :)

ভাল থাকবেন ।

অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।

১৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আমিন ভাইয়ের মতো আমিও সেইটাই ভেবেছিলাম, মুন ভাইয়ের একটা গতি হয়তো এবার হতে পারে। :P

বেশ গ্যাপ নিয়ে ব্লগে এসে দারুণ এই গল্পটা পড়ে পুলকিত হলাম।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহ , মুন ভাই আরো মেলা দিন দুর্গতিতে থাকব । যা অবস্থা দেখতাছি ;)

যাক , আনন্দ দিতে পারলে এটাই সার্থকতা :)

ভাল থাকবেন ভাই :)
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।

১৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

ইষ্টিকুটুম বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। উপরে একজন বিশাল বক্তব্য দিয়েছেন, আমিও সেখানে একমত। তাই আর বিশ্লেষণে গেলাম না।

লিখতে থাকুন অবিরত।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :)
প্রিয় বিদ্রোহী বাঙালী ভাই গল্পের চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন , আমি নিজেও নতুন করে ভাববার অবকাশ পেয়েছি উনার সুচিন্তিত মন্তব্যে /
চেষ্টা করব নিয়মিত লিখে যাবার /। ভাল থাকবেন ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার প্রতি :)

১৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:






//শেষবারের মত তাকাতে গিয়েও পারলনা মাসুম,প্রথমে এসেই তাকানোর দৃশ্যটা চোখে ভাসল।ওহ আল্লাহ! একটুর জন্য জানে বাঁচছি!বিয়ের পর এমন হলে তাকে বাংলাদেশ ছেড়ে ভাগতে ত হতই,কে জানে পুরো বিশ্বই ত্যাগ করতে হত কিনা! মনে মনে খোদার কাছে শোকর গোজারী করল সে।এখান হতে দ্রুত চলে যাওয়ার একটা তাড়নাও অনুভব করল।থাকুক রিনা।আহারে! কেঁদে বেচারি হাল্কা হোক।মাসুম চলে গেল।//

-খোদার কী লিলা!

মাঝে মাঝে বোল্ড করিয়া গল্পের সূত্র তুলিয়া ধরিবার চতুরতাটি বিস্তর পছন্দ হইয়াছে।




//ইয়া পরওয়ারদেগার!কিতা করাম আমি কিতা করাম!মাসুম দিবেনি পন্ড করিয়া।পরোয়ারদেগার কামনা শুনিলেন।মাসুমকে চলিয়া যাইতে দেখিলাম।রিনার চোখে অশ্রু দেখিতেছি।//

-আরবি, ফার্সি, সাধু, চলিত এবং আঞ্চলিক ভাষাকে একসাথে প্রয়োগের পূর্ণ স্বাধীনতা লইয়া ইহাকে একটি সুস্বাদু ককটেলে রূপান্তরিত করিয়াছেন। আপনার চিস্টা সফল হইয়াছে। গল্পটি অতীব মজার হইয়াছে।


ফর্সাকে কালো বানাইয়া আপনি যে মুছিবতে পাঠক আর মাসুমকে আর তাহার না-হওয়া শশুরালয়কে ফেলিয়াছেন, তাহাতেও একটি চমৎকার বার্তা আছে, যাহা মূল্যবান।




শুভেচ্ছা জানিবেন, অনুজ ভ্রাতঃ মাহমুদ০০৭ :)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: লিলাখেলা দেখে আমিও হতবাক মইনুল ভাই :P

ফর্সাকে কালো বানাইয়া আপনি যে মুছিবতে পাঠক আর মাসুমকে আর তাহার না-হওয়া শশুরালয়কে ফেলিয়াছেন, তাহাতেও একটি চমৎকার বার্তা আছে, -মূল জায়গায় স্পটলাইট ফেলেছেন । দেখি পাঠক সমাজ কি কি ভাবেন। :)

ককটেল ভাল লাগিয়াছে জানিয়া আমিও আনন্দিত এবং

অনুজ ভ্রাতঃ বলায় খুশি । :)

অনেক অনেক ভাল থাকবেন প্রিয় মইনুল ভাই ।
শুভকামনা রইল ।



১৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮

জুন বলেছেন: ভালোলাগা +

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপা :)
অনেক শুভকামনা রইল :)

২০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮

এম মিজান রহমান বলেছেন: রেস্টুরেন্টের ওয়াশরুমে রিনা বেশ কিছুক্ষণ কাঁদল।তারপর ভালভাবে মুখ মুছল।মনে মনে গাড়ির তলায় নিজের জীবন দিয়ে দেবে - ঠিক করে ফেলল।
তারপর মূখ ভালভাবে ঢেকে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে ধীরে হাটতে লাগল।কত সুন্দর রোদ উঠেছে আজ।এই দিন তার
জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন হবার কথা ছিল।আর কিছু ভাবতে পারল না রিনা,
জলে ভরে গেল চোখ।আর সামান্য
এগোলেই হাইওয়ে। এমন সময় সুন্দর সৌম্য এক যুবক তার
সামনে এসে দাঁড়ালো।

@যুবকটি আসলেই দূত ।হোক সে মঙ্গল কিংবা অমঙ্গলের ।

এককথায় গল্পটি অসাধারণ । শুভেচ্ছা নিবেন ভাইয়্যু...

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: যুবকটি আসলেই দূত ।হোক সে মঙ্গল কিংবা অমঙ্গলের । - চমৎকার বলেছেন ভাই । ভাল লাগলো ,।:)
ভাল থাকবেন ভাই ।
আপনার প্রতিও অনেক অনেক শুভকামনা রইল :)

২১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: প্রবাসী ভাইয়ের সাথে একমত! আবার আসতে হবে ... প্রাথমিক পাঠের পর প্রতিক্রিয়া হচ্ছে " পাইলাম ইহাকে আমি পাইলাম. :) "

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হা হাহা , মজা পেলাম :)
" পাইলাম ইহাকে আমি পাইলাম.
এই গল্প আমাদের অনাগত ভাবিকে ও উৎসর্গ করা হইল :P
ভাল থাকবেন অভি ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।

২২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

নীল লোহীত বলেছেন: অনলাইনে বিশাল গল্প দেখলে চোখ জ্বালা করে। মাঝখানে অব্ধি এসে বিরক্তি ভর করে, আর উপসংহারে নামার আগেই হাই কোর্ট দেখতে ইচ্ছা করে।

প্রিয় মাহমুদ ভাই, আপনার লেখার বিশেষত্ব হচ্ছে, উপরের কোনটাই কাজ করে না আপনার লেখা পড়ার সময়। বড়জোর, একটা যাদুকরী আকর্ষণ প্রতি লাইনের সাথে জুড়ে দেয়া থাকে, যেন মুগ্ধ হয়ে দাদীর মুখে ঠাকুমার ঝুলি শুনছি।

বাস্তবিক আর অবাস্তবিকতা মিশিয়ে গল্পের থিমটা ভীষণ লেগেছে। অন্য কেউ লিখলে হয়তো কমেন্টের জায়গায় নাক সিটকিয়ে যেতাম, কিন্তু আপনার উপস্থাপনায় বড়জোর বেশী তৃপ্তি দিয়েছে পড়ার।

সত্যি ভাই আপনি অনন্য। দোয়া করি ভাল থাকুন সবসময়।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনলাইনে বিশাল গল্প দেখলে চোখ জ্বালা করে। মাঝখানে অব্ধি এসে বিরক্তি ভর করে, আর উপসংহারে নামার আগেই হাই কোর্ট দেখতে ইচ্ছা করে।

- হাহা হা , কথাগুলোয় খুব মজা পেলাম ভাই :)
আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারো ভাল লাগছে ।

আপনাদের ভাল লাগাই আমাদের সম্বল । সবসময়
দোয়া রাখবেন যাতে ভালো লিখে যেতে পারি। আপনার প্রতিও অনেক শুভেচ্ছা ও দোয়া রইল ।

ভাল থাকবেন প্রিয় নীল লোহীত ভাই ।

২৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০০

ডি মুন বলেছেন:
তুষার ভাই আপনি আর আমি একদলে !!!!

ওখে ম্যান :)

আসেন এবার দুইজনে মিলে
মাহমুদ ভাইয়ের গল্পের বারোটা বাজাই :) :)


এইরকম ফাউল গল্পে আমি জীবনেও পড়ি নাই।
আজাইরা কাহিনী। কোনো আগামাথা নাই ।

ছিঃ কি বিশ্রী !!!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: তুষার ভাই কিছুক্ষণ আগে আমার দলে যোগ দিছেন ;)

আন্নে লাড্ডূ ।

মা মা মুন ভাই আমার গল্প কে পচা বলছে মা অকে ধরে একটা পিট্টি দাও X( X(

আমার গল্প নুবেল পাইব আগামী বচর , হু !
আন্নে ভুয়া লেকক

২৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: গল্পের এক জায়গায় মাসুমের স্বগতোক্তি নিম্নরূপঃ

কিছু কিছু কথা মাসুমের কানেও এসেছে এবং তাতে তার মেজাজ চড়েছে। হোক বংশ গৌরব নাই - কিন্তু বংশ গৌরবে আছে কি মুলোটা! বংশ -গৌরব দিয়ে কে কখন কোথায় কত টাকা বানাইছে! টাকাই আসল।

গল্পের শেষাংশে ফয়সালের স্বগতোক্তি নিম্নরূপঃ

ইয়া পরওয়ারদেগার!কিতা করাম আমি কিতা করাম!মাসুম দিবেনি পন্ড করিয়া।

গল্পটা আবার পড়তে গেলে উপরোল্লিখিত স্বগতোক্তি দুটো নূতন একটা ভাবনার সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে মাসুমের স্বগতোক্তি 'টাকাই আসল' এবং ফয়সালের 'মাসুম দিবেনি পণ্ড করিয়া'।
তারমানে ফয়সাল কী মাসুমের টাকার প্রতি লোভকে কাজে লাগিয়েছে? যদি তাই হয় তবে রিনার চেহারা সাময়িক বিকৃত করার ব্যাপারটা একটা কৌশল মাত্র, যাতে রিনা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে এবং চরম কোন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। তখন চরম সিদ্ধান্তকে নরম করে দিয়ে ফয়সাল তার উদ্দেশ্য পূরণে সমর্থ হয়েছে। এটাও হতে পারে। তবে আগের মন্তব্যে যা বলেছি সেটা যদিও মুখ্য না হয়, তবুও ওটা গল্পের একটা গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ফিরতি মন্তব্যর জন্য আবারো ধন্যবাদ প্রিয় বিদ্রোহী বাঙালী ভাই ।
না ফয়সাল ( পড়ুন ডি মুন ফয়সালকে ডি মুনে রুপান্তরিত করা হইছে :P )


ডি মুন মাসুমের টাকার লোভ কে কাজে লাগায় নি ।
তার ঐ কথা বলার অর্থ ছিল - টাকার চেয়ে বড় যোগ্যতা আর কি হতে পারে। গায়ের রঙ্রের জন্য রিনার পরিবার হতে তাকে প্রত্যাখ্যান একজন ধনী ব্যক্তি হিসেবে তাকে কষ্ট দিচ্ছিল।

রিনার চেহারা সাময়িক বিকৃত করার ব্যাপারটা ডি মুনের একটা কৌশল। সে প্ল্যান করেই এই কাজ করেছে। এবং আপনি যেমন টা বলেছেন - যাতে রিনা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে এবং ডি মুন যাতে ঐ অবস্থার সুযোগ নিয়ে রিনাকে কব্জা করতে পারে। তার উদ্দেশ্য ওটাই ছিল। কিন্তু যখন রিনা মাসুমের সাথে দেখা করতে গেল তখন সে আঁতকে উঠলো । কারণ রিনা যে বিয়ের দিন এভাবে বের হবার ঝুকি নিবে - সে চিন্তা করে নাই। তার ভয় ও দুশ্চিন্তা হচ্ছিল
যে তাদের ভালবাসার জয় হয়ে যায় কিনা। মাসুম সব মেনে নেয় কিনা। তাই আল্লাহ আল্লাহ করছিল :D

যাক শেষ পর্যন্ত আমাদের ডি মুনের আশা পুরণ হয়েছে/। :P :P

আবারো অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই ।
শুভেচ্ছা রইল :)

২৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: গল্পের কয়েকটা জায়গায় ব্যপক বিনুদুন পাইছি। যেমনঃ

কেউ কালা নাই সবাই হইলদা - লাইলচা ধলা। বা আচারে সিদ্দীকা কবির ও নস্যি!

আর কত কপি করমু, পুরা গল্পেই তো বিনুদনের সরাসরি ছড়াছড়ি B-) B-)


বেশ কিছুদিন পর একটা দ্রুত লয়ের গল্প পড়লাম। গতি, গতিই তো সব। গল্পেও গতি আছে বেশ ;) ;)


হ্যাটস অফ মাহমুদ ভাই। একটা ভিন্ন ধারার গল্প লিখলেন, কিন্তু চমৎকার মুন্সীয়ানা দেখিয়ে।


ভালো থাকুন। আমরা আরও চমৎকার সব গল্পের অপেক্ষায় থাকব। শুভকামনা রইল।


@ প্রিয় আমিনুর ভাই, আপনি হৃদয়ের যত্ন নিন। আমরা সবাই আপনাকে অনেক অনেক ভালোবাসি :)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বিনুদুন আরো বাড়াতে গল্পে ফয়সাল নামের পরিবর্তে
মহান ব্লগার ডি মুন আল ছ্যাকা খাইয়া ব্যাকা ভাই য়ের নাম
অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে :#) :D

এইরাম গল্প দিলে হ্যাটস অফ দিতে হয় - এইটা ডি মুন ভাই অহনো বুঝল না । যাক পুলাপাইন মানুষ ক্ষমা করে দিলুম ;)

গল্প ভালো লাগছে এইটাই আমার জন্য আনন্দের :)

ভালা থাইকো ভাই ,অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।

আমিনুর ভাইয়ের পিছে জাম ভাই রে লাগাই দিতে হইবেক /।
যাতা আমিন ভাই তং বং করতে না পারে । :P

২৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

সুমন কর বলেছেন: ভাল লাগল।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন দা ।
:)
আপনাকে দেখে ভালো লাগছে ।
ভাল থাকবেন ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।

২৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদ০০৭ ,





শীতকাইল্ল্যা খেজুর গুড় দিয়া কড়া রসের পাক ।

তবে এমন রসগল্পের ( রসগোল্লা বলিয়া ভ্রম করিবেন না ) নামটা্ ঠিক হয় নাই । ইরানি - তুরানি বংশলতিকালেঞ্জার সংযুক্ত করিয়া " কোহেকাফ প্রেম" নামখানির ক্রিম মাখাইয়া দিলে সুরতখানি আরো চেকনাই হইতো ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: শীতকাইল্ল্যা খেজুর গুড় দিয়া কড়া রসের পাক ।


হাহাহা এক কথাতেই শীতের আমেজ পে্লুম । :)

গল্পের নামকরণের ব্যাপারটা মাথায় রাখলাম প্রিয় জী এস ভাই ।
একটু ভেবে দেখি। এবং আপনি ভরসা দেয়াতে রসগোল্লা ভ্রম করি নাই :P

ভাল থাকবেন ভাই ।

অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার প্রতি । :)

২৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪০

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: হহাহাহহা!!!
ব্যাপক মজা লাগ্লো ভাইয়া!! :) :#)

মাঝখানে টেনশানে পরে গেসলাম নাইকার কি হবে ভাবিয়া!!! :-/ :-<

টুইস্ট বেশ হয়েছে !!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহ :)

নায়িকাকে মহান ব্লগার ডি মুনের হস্তগত করা হইয়াছে ;) ( ফয়সালের জায়গায় ডি মুন আল ছ্যাকা খাইয়া ব্যাকা ভাই কে তাহার স্থলাভিষিক্ত
করা হইয়াছে :P )


অনেক দিন পর আমার ব্লগে আসলেন
:) আশা করি ভাল আছেন ।

ভাল থাকবেন ।

অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।

২৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৯

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: ওমা!!!! এইটা কি হইলো???
জ্বীনের সাথে বিয়া B:-)

তবে গল্পখানা পড়ে বিস্তর মজা পেলুম :#) :#)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: :P :P :P

হাহাহ , আপু । মজা পেলেন এতেই খুশি /। :)
অনেক দিন পর আমার ব্লগে পেলাম আপনাকে ।
ভাল থাকবেন ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য । ।

৩০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

কলমের কালি শেষ বলেছেন: কালা মাসুমের লগে জ্বিনের সিটারীটা দেখে তাজ্জব বনে গেলুম ! ভাবছিলাম কি আর শেষটা দিলেন কি !! :D |-)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কালা মাসুমের লগে জ্বিনের সিটারীটা দেখে তাজ্জব বনে গেলুম !

হাহহা =p~ =p~ =p~

আপনার কমেন্ট পড়ে হাস তে হাসতে শেষ !

ভাল থাকবেন ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।

৩১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার গল্প খুব মনোযোগ ও ধৈর্য নিয়ে পড়ি।

আপনার স্বকীয় স্টাইলে লিখিত গল্পটি অসাধারণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ফয়সাল কাহিনি যুক্ত হয়ে এটি খুব সিনেমাটিক হয়ে গেছে। আমি বিদ্রোহী বাঙালীর সাথে একমত। ফয়সাল চ্যাপ্টার না থাকলেও গল্প স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং গল্পের একটা গাম্ভীর্য স্পষ্ট হয়। সেখান থেকে গল্পে যে শুধু সমাজ বাস্তবতাই উঠে আসে তা-ই নয়, কিছু নীতিবাক্যও পুনঃপ্রতিষ্ঠ হয়। কাউকে ঘৃণা করতে নেই। মাসুমের গায়ের রং কালো বলে রিনাকে তার সাথে বিয়ে না দেয়ার যে পায়তারা ছিল, অবশেষে সেই মাসুমের কাছেই রিনা হয়ে গেলো অস্পৃর্শ্য।


কথ্য ঢং থেকে ধীরে ধীরে সিরিয়াস ভাষায় গল্প বলাটা আপনার একটা নান্দনিক স্টাইল। পারলে আমি নিজে এটা ফলো করতাম।

তবে, যেভাবে শেষ করেছেন এভাবেও যে গল্পটি পাঠক-সমাদৃত হবে তা স্বীকার করছি।

শুভেচ্ছা মাহমুদ ভাই।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ছাই ভাই। আপনার বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যে খুশি হলাম।

গল্প ডি মুনে এক্সটেনশন কিছু কারণে হয়েছে।ডি মুনের আগমন যেভাবে হয়েছে তা অবশ্যই সিনেমাটিক।এটা ইচ্ছেকৃত।
যদি আগ হতেই গল্পে ডি মুনকে এনে ম্যাচ করানো হত তবে তা মনে হত না।কিন্তু অই কাজ করলে মাসুম না বলার পর রিনা যে অবস্থার সম্মুখীন হল সে জায়গাটায় পাঠক - রিনা কি করবে বা রিনার পক্ষে কি করা উচিত এমন টেনশন বা ভাবনার সুযোগ নষ্ট হয়ে যেত।

ডি মুন জীন।সে মানুষের মনসমাজপ্রকৌশল বুঝে কৌশল খাটাল ও সফল হল।ডি মুনের সাফল্য কি আমাদের মন মানসিকতা কে প্রশ্ন বিদ্ধ করল না?এই যুগেও কতটুকু এগোলাম আমরা? ডি মুন ভিন্ন জাতের এবং ভিন্ন জাতের বলে অনেক দূরত্বের।দুরবিন্দু থেকে ইঙ্গিত টা দিলে একটা দৃষ্টি পাবে এবং তা জোরালো হবে বলে মনে করেছি।

আরকটা অসুবিধা বোধ হচ্ছিল।রিনা বিয়ের দিন জেব্রার মত(অর্ধেক সাদা, অর্ধেক কালো)হয়ে গেছে। গল্পটা বাস্তবতার গণ্ডিতে রাখলে রিনাকে নেতিবাচক পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়া ছাড়া কোন উপায় ছিল না। তা চাচ্ছিলাম না।কারণ আরো কিছু বলতে চাই।

রিনার দিক হতে গল্পটা দেখলে পুরাই ট্র্যাজেডিক। রিনা সুখে - শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল। আমরা পাঠকরা কি রিনাকে প্রকৃত অর্থে সুখী বলতে পারব?তার সুখ আরেকজনের বানানো খেলাঘরের উপর দাড়িয়ে।যে সত্য সে কখনো জানবে না। ভেবে দেখলে ডি মুন এমন আরো বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়ে গেছে।

গল্পের প্রচল ধারা হতে একটু সরে আসতে চাইছিলাম।
চাইছিলাম পাঠকের একটু কেমন কেমন লাগুক এবং তারপর হতেই তার ভাবনা শুরু হোক।

আসল কথা হল- গল্পটা এভাবে লিখতে ইচ্ছে হয়েছে তাই লিখেছি।;)(তাইলে ব্যাটা এতক্ষণ পকপক করলি ক্যান B-) :D )
আর আসলের আসল কথা হল -
আর এভাবে লেখার জন্য সম্পূর্ণ দায়ভার ব্লগার এরিসের।আমি তাকে গল্পের আইডিয়া শেয়ার করেছিলাম।তিনি ভরসা দিলেন লিখে ফেলেন। B-) :D তাই ত করলুম। ;)
বেশ অনেকদিন পর আমার ব্লগে এলেন ছাই ভাই।গল্প হিসেবে ইলিশ গল্পের পর। আপনাকে দেখলে সবসময়েই ভাললাগার অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হই,এবারো তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।

ভাল থাকবেন প্রিয় ছাই ভাই,আপনার যেমন ইচ্ছে তেমন লেখার খাতা আমাদের সবসময় মুগ্ধ করে রাখুক।





৩২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৫

ডি মুন বলেছেন:
আমিন ভাই বলেছেন - মাসুম আর রিনার শেষ সাক্ষাতের পর আমিতো ভেবেছিলাম এইবার ডি মুন এর আবির্ভাব হবে। যেই রিনা আত্মহত্যা করতে যাবে ওমনি মুন এসে বাঁচাবে ভেবেছিলাম :P ;) ছেলেটারও একটা গতি হইতো :-B

-------------- আমি তীব্রভাবে সহমত প্রকাশ করছি আমিন ভাইয়ের কমেন্টের সাথে। লেখক আমাকে গল্পে আনতে পারেননি এটা তার একটি ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ ধরণের লেখা ব্লগ থেকে মুছে ফেলা উচিত।

ফালতু একটা গল্প। :)

আমার সাথে আছেন প্রিয় মৃদুল ভাই। তিনিও নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে তিনি আমার সাথে সহমত প্রকাশ করবেন।

এ ধরণের অদক্ষ হাতের ফালতু গল্প এক্ষুনি ড্রাফটে নেয়ার জন্যে অনুরোধ করা হলো কিংবা গল্প এডিট করে মহান ডি মুন-কে একটি দুর্দন্ত প্রেমিক চরিত্র দেয়া হোক।

:) :) :)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মৃদুল ভাই ইতিমধ্যে আমার লগে আইয়া পরছে ;)
যাই হোক বর্তমান গল্পকে হুমকির হাত হইতে রক্ষা করবার নিমিত্তে আপনার নাম সংযুক্ত করা হইল ।
তবে দিন আমারও আইব ।
তহন দেইখা নিমু ;)

৩৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৪

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: প্রথমত, প্রথমে ভাবলাম আপনার গল্প যেহেতু একটা ম্যাসেজ তো থাকবেই, কালো সাদা দেখে ধারণা করলাম বর্নবাদ বিরোধী কোন ম্যাসেজ থাকতে পারে । কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোন ম্যাসেজ না পেয়ে আর গল্পের এহেন ফিনিশিং দেখে একটু হলেও হতাশ হয়েছি । প্লটটা চমৎকার ছিলো , ফিনিশিংটা সাদামাটা না হলেও পারতো ।

দ্বিতীয়ত, আর একটা জিনিস , গল্পের প্রথমে পাত্র পাত্রীর পরিচয় দিতে গিয়ে আপনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত ডিটেইলস দিয়েছেন যা আমার মনে হয় প্রথমদিকে গল্পটাকে একটু হলেও স্লো করেছে ।

তৃতীয়ত , ভাষার ব্যপারে যদিও মন্তব্য করতে মানা করেছেন তবুও নিজ কৌতুহল থেকে একটা জিনিস জানতে চাই । একই গল্পে একই ভয়েসে বিভিন্ন ভাষার ব্যবহার কি ইচ্ছা করেই করেছেন ? কেন ? এর শানে নযুল কি ?

চতুর্থত, আমি মনে প্রাণে একজন আমিনুর গং এর সদস্য । তাই আমার গং লিডারকে উৎসর্গ করেছেন বলে আড়ালে একটি বাড়তি ধন্যবাদ আপনি পাবেন ।

ভালো থাকুন মাহমুদ ভাই , ফাঁদ ও সমতলের গল্পের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হেহেহ কমেন্টের উত্তর শেষ দিক হইতে দিতাছি ;)
গল্পের বইয়ের সাফল্য কামনা নিলাম । আমি নিজেও যাতে সব কপি সেল হয় সেই ধান্ধায় আছি। ;) লেখক অর্থাভাবে আছে :P

আপনার আড়ালের ধন্যবাদ সরাসরি সবাইরে দেখাইয়া নিলাম :)
ধন্যবাদের একটা সেলফি তোলা গেলে ভালা হইত । ;) ফেসবুকে ছাড়ন যাইত । প্রচারেই প্রসার।

ভাষার ব্যাপারটা ইচ্ছে করে। কমলকুমার মজুমদার বলেছিলেন
ভাষাকে যে আক্রমণ করে সেই বাঁচায়। আমার আক্রমণ করার ক্ষমতা নাই , তাই ফিউশনে যাই । আমি জানি এইসব গল্প ওয়ান টাইম
গল্প , পড়ার পর পাঠক মনে রাখবে না । তবে এর ভেতর দিয়ে কিছু টিউন নিজের মত করে দেখে নিচ্ছি , যা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে ।

এই গল্পে প্রায়ই ''অতি '' আছে/।এটাতে কথকতার স্টাইলে আগাতে চাইছিলাম তাই ঐভাবেই এসে গেছে। আর পাত্র - পাত্রীর পরিচয়টা
এসেছে সামাজিক প্রোটোটাইপ ঢঙয়ে।


আর ১ম টার ব্যাপারে কি কমু :P
মেসেজ এর ব্যাপারে কিছু বলি । মেসেজ নিয়ে আমি সচেতনভাবে
সচারাচর ভাবি না । আমার ফোকাস টা থাকে যেভাবে আমি গল্পটা বলতে চাই - সেভাবে বলতে পারছি কিনা ?
আর বাকিসব এম্নিতেই আসে যায় - একটা অদৃশ্য সুত্র ধরে ধরে।

আমার মনে হয় - সচেতনভাবে আমাকে গল্পে এই মেসেজ দিতেই হবে এভাবে ভাবাটা গল্প ও গলপকার উভয়ের জন্য ক্ষতিকর । গল্পকে আগে গল্প হতে হবে। আর এটা হতে গিয়ে যা আসে যতটুকু আনা যায় - তাই আসবে । একজন গল্পকার সামাজিক রিপোর্টার হলেও যে কোন কথাকে বলার একটা শিল্পসম্মত সীমা আছে। লেখা ত ক্ষ্যাপা ষাঁড়,ম্যাটাডর হয়ে তাকে সামলাতে হয়।

আর মেসেজ যত খোসার আড়াল পাবে তা তত শক্ত হবে । যাই হোক
অনেক পডর পডর করলাম । :)

আপনার মন্তব্য ভাল লাগার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে - আপনি প্রশ্ন করেন । এটাই ত দরকার ।

। ২০১৩ এর সময়টাকে মিস করি ।আশা করি এই বছর ভাল যাবে । :) আপনাকেও নিয়মিত পাওয়া যাবে। :)

ভাল থাকবেন ভাই । অনেক অনেক শুভকামনা রইল।





৩৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪৪

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: বাহ, বেশ বেশ। বেশ কয়েকটি প্যারা খুব ভাল লেগেছে। মজা পেলাম ভাষার বিচিত্র ব্যবহারে। :)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনাকে অনেকদিন পর দেখলাম । কেমন আছেন ?
আপনার মজাতে আমিও খুশিতে মজায়িত ।
:) :P

ভাল থাকবেন ভাই । আর খেয়ালি মনের গল্প খুব দ্রুত চাই :)

৩৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

তুষার কাব্য বলেছেন: আমিনুর ভাই,,,,,,দিলেন তো মুন রে আবার খুচাইয়া.. :)


বেচারা খালি সুযোগের অপেক্ষায় থাকে ;)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সুযোগের অপেক্ষায় থাকে এবং সুযোগ পাইলে ন ছাড়ে ;)

৩৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

কিতা কইতাম। এক্কেরে অসাধারন।

দুই দিন ধইরা পড়মু পড়ুম কইরা পরতাম পারি নাই।

অনেক মজা পেলুম।+++

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হেহেহহে , আপনার কমেন্টে খুবই মজা পাইলাম যে :)
ভাল থাকবেন প্রিয় বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় ভাই :)
শুভেচ্ছা রইল ।

৩৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

খাটাস বলেছেন: ডিমুন ভাইরে নিয়ে কিছু একটা হচ্ছে বোঝা যায়। গল্প পড়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করিতেছি B-))

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ডি মুন ভাই এই গল্পের ভিলেন । হেতে গল্পরে শেষ কইরা লাইছে ;)
ভাল থাইকো ভাই

৩৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫০

হাসান মাহমুদ ১২৩৪ বলেছেন: পুরাই আজীব কিচ্ছা!!!!!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ন অয় ! :P

গজব প্রেমের আজীব কাহানি হইবেক ;)

ভাল থাকবেন মাহমুদ ভাই :)
শুভকামনা রইল ।

৩৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

পার্থ তালুকদার বলেছেন: চমৎকার গল্প।

মুন ভাইয়ের কথায় নাক-কান দিয়েন না। হেতারে পাবনায় পাঠাই দিমুনে !!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কান কান ক্যান , চোখ মুখ গলা কিছু দিতাম না ভাই ।
হেতের বেইল আছেনি ;)

ভাল থাকবেন পার্থ ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
ভাল থাকবেন ।

৪০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনন্য গল্প লেখার ভঙ্গি। এরকম কখনও পড়ি নাই। কাহিনীটাও টানটান। প্রতিটা অধ্যয়ই গুরুত্বপূর্ণ। এই গল্পটাকে স্বাভাবিক কোন জেনারে ফেলা অসম্ভব। এটাকে বলা যায় মুক্তরম্য!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অনেক ভাল লাগা থাকল । ভরসা পেলাম ।
ভাবছিলাম পড়ে না জানি কি ভাবেন :P ।চেষ্টা করেছি প্রচল ধারা হতে
একটু সরে আসার।

ভালো থাকবেন প্রিয় হাসান ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।

৪১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:২৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: রম্যতার অাড়ালে বাস্তবতা প্রতিভাত।

শুভকামনা জানবেন। :)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জাফরুল মবীন ভাই । :)
ভাল থাকবেন ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।

৪২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

ডি মুন বলেছেন:
@ আমিন ভাই, মৃদুল ভাই, তুষার ভাই, পার্থ দা :)


দেখলেন তো অবশেষে তীব্র আন্দোলনের মুখে নতি স্বীকার করে মাহমুদ ভাই জাতির স্বার্থে ও গল্পের গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রাখার জন্যে আমাকে গল্পের প্রধান সফল চরিত্রটি দিয়ে নিজেকে ধন্য করেছেন।

মাশাআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ , এবার গল্পটি যেন স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এই গল্পটি সামুতে এক মাস নিরবিচ্ছিন্নভাবে স্টিকি করার জোর দাবী জানাই :)


গল্পটি সমগ্র বাংলা ব্লগ জগতের সেরা গল্প। :) :) :)
আর গল্পের ডি মুন চরিত্রটি এক কথায় কসাধারণ [কঠিনভাবে অসাধারণ = কসাধারণ :) ]

দুর্দান্ত লিখেছেন মাহমুদ ভাই।
ডি মুন জিন্দাবাদ
এই গল্পটি দীর্ঘজীবী হোক :)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হ্যা , এটা গল্পের প্রধান চরিত্র বটে , প্রধান ভিলেন ও বটে ;) একদম আপনার উপযোগী চরিত্র ;)

আসলেই দুর্দান্ত তাণ্ডবে লিখিয়াছি ভাই ;)
এহেন গল্প বাংলা সাহিত্যে একখান ও নাই ;)
আই ফাস্টু ।

মা মা মা মুন ভাই আমার গল্পকে ভাল বলেছে মা ;)
আমাদের আর কুনু দুক্ষু থাকবে না ।/

৪৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: বেশ পরিকল্পিত স্টোরিলাইন।

শুভেচ্ছা রইলো।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: শুভেচ্ছা ইছহাক ভাই ।
অনেকদিন পর আবার পেলাম আপনাকে ।

ভালো কাটূক আপনার দিনলিপি ।

৪৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: গল্পে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার চমৎকার হয়েছে।

ছেলেটার বাড়ানো হাতে কখন যে তার হাত চলে আসল টের পেলনা রিনা। গল্পটা এখানে শেষ করে দিলেই সার্থক হত।

শুভেচ্ছা।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ নাইম ভাই ।
রহস্য ও ভাবনার চমক রাখতে চাইলে ওখানেই শেষ করা ভাল হত ।
তবে আমার উদ্দেশ্য তা ছিলনা ।

ব্লগে অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম । :)

ভালো থাকবেন মাইম ভাই ।

৪৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা :#) :#) :#) ইতা মুই কি পড়িনু =p~ =p~

মাহমুদ আপনাকে সেলাম। গল্প পড়ে কি কমেন্ট করব সব গুলিয়ে ফেলে আহাম্মকের মত হাসছি।

তালিয়া!
তালিয়া!

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহা হা , আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি লাগছে ভাই :)
সময় নিয়ে খুব দ্রুতই আপনার গল্প পড়তে আসছি কিন্তু , হ্যা :)
ভাল থাকবেন প্রোফেসর ।
অনেক শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।

৪৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৬

এহসান সাবির বলেছেন: শুভ বসন্ত।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: দেরিতে উত্তর দিচ্ছি , তাই প্রথমেই ক্ষমা চাই ।
কেমন আছেন সাবির ভাই ?
:)
দেরিতে হলে ও আপনাকে শুভ বসন্ত ।
ভালো থাকবেন । অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।

৪৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৩৬

এম এম করিম বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো। দারুন হয়েছে।

ভালো থাকবেন।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার প্রতিও অনেক শুভকামনা রইল করিম ভাই :)
ভালো থাকবেন ।
:)

৪৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:০৬

আরজু পনি বলেছেন:

গল্প দারুন হয়েছে....

কিন্তু এই যে সাদা চামড়া দেখিয়া প্রেমে পড়ার যে রীতি...আহারে !

তবে উপস্থাপনে ব্যাপক লেগেছে ...

অনেক শুভেচ্ছা রইল, মাহমুদ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেক দিন পর মোর ব্লগে :)
আগামি নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনাকে :)
ভাল থাকবেন ।
অনেক শুভকামনা রইল ।

৪৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

আমি সাজিদ বলেছেন: হাহাহাহ মাহমুদ ভাই।

কই থেকে কই টেনে নিয়ে গেল গল্প।

আমি হাসতে হাসতে শ্যাষ আজকে।

ভাল্লাগসে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: :)
ভাল থাকবেন ভাই
অনেক শুভকামনা রইল ।

৫০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ঠ্যালা B-) B-)

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কারে ? কিয়ের ? ;) কেউ রে ত দেখি না ;)

৫১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: কারে আবার ?? পোস্টরে!! আইন্নেরে ঠ্যালা দিমু কিতার লাগি :D :D

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: কারে আবার ?? পোস্টরে!! আইন্নেরে ঠ্যালা দিমু কিতার লাগি :D :D
আমি বলেছি - ;) :) ;)
হইছে ? :P

৫২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
B-) ;)

বদ্দা,
এবার একখানা লেখা আপনার অঞ্চলের ভাষায় লিখে ফেলুন ৷

অনেক ভাল থাকবেন ৷

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহ , অনেক দিন পর আবার আপনাকে দেখলাম জাহাঙ্গীর ভাই । নিশ্চয়ই ভালো আছেন ? কিছুদিনের ভেতর এক্টিভ হবার আশা রাখছি তখন -
লিখি ফেলাইয়ুম ;)
ভাল থাকবেন প্রিয় ভাই ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৫৩| ২২ শে মে, ২০১৫ ভোর ৪:১৩

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: মাহমুদ ভাই, টেস্ট করে দেখছি পুরাতন ভার্শন থেকে কমেন্ট করা যায় নাকি?

মনে হয় যাচ্ছে।

২২ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ইয়েস :) আমিও পেরেছি ।

৫৪| ২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ১:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


গল্প পরে পড়ব। কেমন আছেন আগে সেইটা বলেন ?

২৫ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কান্ডারী ভাইয়ের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম।
কান্ডারী ভাইয়ের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম।
কান্ডারী ভাইয়ের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম।
ভাই আপনাকে দেখে কি খুশি হইছি বলার বাইরে :)
আপ্নারা নেই বলেই তেমন উতসাহ পাই না আগের মত ।
ভাই চলেন আবার আগের মত শুরু করি :)
ভালো ছিলাম না ,কিন্তু আপনাকে দেখে মন ভালো হয়ে গেছে:)

৫৫| ২৬ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


লেটস ডু ইট এগেইন !:#P !:#P !:#P

আমারও আপনাদের মাঝে ফিরে বেশ ভাল লাগছে। :) :)

২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:০২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: :) চলুক ব্লগিং আর আগের মত ফিচার পোস্ট পেতে চাই আপনার।/
শুভকামনা কান্ডারি ভাই

৫৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

মশিকুর বলেছেন:
দারুন রম্য উপভোগ করলাম ভাই।

আগেই জেনেছি আপনি গল্পের ম্যাসেজ নিয়ে তেমন ভাবেন না এবং পূর্বের কিছু গল্পে তার প্রমানও পেয়েছি। আমারও একই কথা গল্পকার গল্প নিয়ে ভাববেন ম্যাসেজ নিয়ে ভাববেন কেন? ম্যাসেজ নিয়ে পাঠক ভাবুক। তাই পাঠক হিসেবে ম্যাসেজ নিয়ে দুটি কথাঃ "রিনাদের কেন আত্নহত্যার পথ বেঁছে নিতে হবে? কেন সবসময় অবলম্বন খুজতে হবে? একজন চলে গেলে আরেকজনের গলায় ঝুলে পড়তে হবে? কেন নিজ থেকে তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা পর্যন্ত করবে না?"

গল্পের গতি প্রবাহের রূপদান সম্পূর্ণই লেখকের অধিকার। তবে আমি 'ডি মুন'কে খল চরিত্রে দেখতে চাইনি। তাই তার ডাইরি লেখন অংশটার আগ পর্যন্তই গল্প ধরে নিলাম।



বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছেলেরা বিয়েতে মেয়েদের সৌন্দর্য দেখে; মেয়েরা ছেলেদের টাকা দেখে। এই উপলব্ধিটাই গল্পের পজেটিভ অংশ। [যদিও গল্পে রিনা মাসুমের টাকা দেখে প্রেমে পড়েছে, তার প্রত্যক্ষ প্রমান নেই। তারপরও তা প্রমানসাধ্য] রম্য স্টাইলে গল্পে রিনার ক্যারেক্টার বিল্ড-আপ ভাল লেগেছে। অতিরিক্ত সুন্দরীরা যে অতিরিক্ত বোকাও হয় তার প্রমানও শেষাংশে রয়েছে ++ সবচেয়ে বড় পজেটিভ হইলো আপনার রম্যলেখার স্টাইল!! এইটা এতদিন লুকাইয়া রাখছিলেন কেন? -সেইটা জানতে চাই। আর এই স্টাইলটা ঘন ঘন প্রদর্শিত হোক -সেইটাও আমি চাই।

এইখানে একটা কমেন্ট আপনার প্রতিক্ষায় দিন গুনতেছে :)

ভাল থাকুন :)

*********************************
'ডি মুনে'র উপ্রে আমার ভরসা কম, বিধায় রিনারে নিয়া টেনশন হইতাছে। এই টেনশন কমাইতে হইব। আর খান্নাস-টন্নাসের বেল নাই বুঝছেন মিয়া?? =p~
*********************************

০২ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ২:২০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: শেষের দিক দিয়ে শুরু করি । হাহাহহ
ডি মুনে'র উপ্রে আমার ভরসা কম, বিধায় রিনারে নিয়া টেনশন হইতাছে। এই টেনশন কমাইতে হইব। আর খান্নাস-টন্নাসের বেল নাই বুঝছেন মিয়া?? হাহাহহা । আমাদের সবারই ডি মুনের উপর ভরসা কম ।লোক ভালু না ।
লিখে মানুষকে হাসানো কঠিন ব্যাপার।কিন্তু আমাদের দেশে রম্যকে হাল্কা করে দেখা হয়।এটার ফল আমরা হাতেনাতে পেয়েছি ।
এখন এমন কেউ নেই যার লেখা পরে সরসভাবে হাসা যায় /মাঝে মাঝে রম্য লেখার ইচ্ছে আছে।

ভালো লাগছে আপনি সিচুয়েশন নিয়ে ভেবেছেন।আত্মহত্যা,গলায় ঝুলে পরা,ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা সবই সামাজিক
সিচুয়েশন নির্ভর, আমরা কতটুকু গ্রহণ করি তার উপর।সমস্যা হচ্ছে আমরা স্পেস দেই না,মেয়েদের ত আরো না।
গল্পেও কিন্তু ডি মুন কে পেয়ে রিনা কাজে লাগিয়েছে। মরে নাই।
ডি মুন খল হবার কারণে রিনার ব্যাপারটা পুরা আয়রনি হয়ে গেছে। সেদিক দিয়ে আমার মনে হয় কিছু ভাবনার খোরাক্ল আছে

মেসেজ নিয়ে কিছু বলি।অনেক পাঠকদের দেখি গল্প খুড়ে খুড়ে মেসেজ বের করতে চান।ব্লগে ও দেখেছি
।মেসেজ না থাকলে ভুগিজুগি গল্প । এই মেসেজ নিয়ে চিন্তা করতে করতে অনেক ভালো লেখকের লেখা বরবাদ গেছে।
এখনো যাচ্ছে। গল্প গল্প হলে তাতে যা থাকে সেটাই ত পাব্লিক নিয়ে শেষ করতে পারবে না।
ব্যক্তিগতভাবে আমার বিশ্বাস আমি গল্পের দিকে নজর রাখলে তাতেই যা থাকার ঢের থাকবে। আলাদাভাবে মেসেজ নিয়ে ভাবতে হবে না।

একটু ঝিমিয়ে গিয়েছিলাম , কিন্তু আপনার কমেন্টে আবার ব্লগিং করার অনুপ্রেরণা পাচ্ছি । ব্লগিং এর মজাই হচ্ছে
কমেন্ট । এ বছর একদম তাল পাচ্ছি না । ব্লগ কেমন যেন ঝিমিয়ে গেছে।

আশা করছি আবার শুরু হবে। :) আপ্নিও শুরু করেন । পোস্ট দেন ।
আপনার কমেন্টের উত্তর শীঘ্রই দিচ্ছি ভাই ।
ভালো থাকবেন ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।

৫৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:১০

ডিএন বলেছেন: অবিকল ঐশ্বরিয়া ,,,,,,,

পুলাডা এত সুন্দর লেখে জানতাম নাতো ;)

ভালা ভালা আগায়া জাও পিছে নাই সামনে আছি B-)

এতিম মনের পুলার দুয়া দিলাম সেইরাম লেখেক হবা :D

অনেক ভাল লিখেছেন

চকলেট কিনা দিতে পারুম না মুড ভালা না :(( :((
মাহমুদ ভাই জাষ্ট ফান কচছি বিলা খাইয়েন না অখে B-))

এটাগুলা ভালা থাকেন .।.।.।.।।। মুর লাই দুয়া কইরেন আমি এতিম মনের পুলা /:)

ভাল থাকবেন :)

৫৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাই আমার ইনে আইব জানতাম না ত !!
ইতিম মনের দুয়া লইলাম । ;)
ভালা থাইকো ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.