নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাহমুদা রোজি

মাহমুদা রোজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিকুনগুনিয়ার ব্যাথা কমাতে ফিজিওথেরাপি

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৯

চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এডিস মশার ( এডিস এজিপ্টি ও এডিস এ্যালব্টিকাস ) কামড়ের মাধ্যমে এ রোগ সংক্রমিত হয়। বর্তমানে ঢাকা সহ আশে পাশের এলাকায় এ রোগের সংক্রমন বেড়েছে।
আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে- চিকুনগুনিয়া জ্বরের ব্যথা মোকাবেলার উপায়।

উপসর্গঃ
১। জ্বর ১০৪ - ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
২। জয়েন্টে ব্যাথা। কারো কারো ক্ষেত্রে সারা শরীরে ব্যাথা।
৩। জয়েন্ট ফুলে যাওয়া।
৪। অবসাদ, ক্লান্তিভাব।
জ্বর কমে গেলেও অনেকেই ব্যাথায় কষ্ট পাচ্ছেন। এই ব্যাথা দেড় থেকে দুই মাস পর্য়ন্ত স্থায়ী হতে পারে । বিশেষ করে বয়স্ক ব্যাক্তিরা জ্বর পরবর্তী আথ্রাইটিস বা জয়েন্টের প্রদাহজনীত ব্যথায় ভুগছেন।

কেন এ ব্যাথা হয়?
ভাইরাস ইনফেকশন এর পাল্টা প্রতিরোধ হিসাবে শরীরের ইমিউন সিস্টেম (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) এর কার্যক্রম এর ফলাফল হিসাবে জয়েন্টে ব্যাথা হয়ে থাকে। রোগ সৃষ্টি কারি কোন জীবাণু, ভাইরাস, ব্যক্টেরিয়া ইত্যাদি আমাদের শরীরে আক্রমন করলে আমাদের ইমিউন সিস্টেম তা প্রতিরোধ করা শুরু করে এবং সেই জীবাণু বা ভাইরাস, ব্যক্টেরিয়া কে মেরে ফেলতে চায়। কিন্তু, চিকুনগুনিয়া ভাইরাস এর বিরুদ্ধে কাজ করতে গিয়ে প্রায়শই আমাদের ইমিউন সিস্টেম চিকুনগুনিয়া ভাইরাস এর সাথে সাথে নিজেদের শরীরেরই কিছু কোষ কে শত্রু মনে করে আক্রমন করে বসে। আর এই ভুল আক্রমন যদি মাংশপেশি এবং জয়েন্ট এর কোষ এর উপর হয়, তখন আমাদের শরীরে এবং জয়েন্ট এ তীব্র ব্যথা তৈরি করে। শুধু ব্যথাই নয়, অনেক সময় হাঁটু, কুনুই, কবজি ইত্যাদি জয়েন্ট লক হয়ে যায়। ভাইরাস আক্রমনের ফলে সৃষ্ট এন্টিবডি এর কারনে অনেক সময় জয়েন্ট এর মাঝখানে যে কার্টিলেজ বা তরুণাস্থি থাকে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জয়েন্ট ফুলে যায় এবং অঙ্গ সঞ্জালন ব্যহত হয়। চিকুনগুনিয়া ভাইরাস সাধারণত শরীরের বড় জয়েন্ট গুলো যেমন হাঁটু, কুনুই, কবজি ইত্যাদি তে অবস্থান নেয় এবং মারা যাওয়ার সময় ভাইরাস এর ভেতরে থাকা বিভিন্য টক্সিক উপাদান জয়েন্ট এর ভেতরে ছড়িয়ে যায় ফলে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি হয় এবং জয়েন্ট জমে জাওয়ার মত অবস্থা হয়।
চিকুনগুনিয়া পরবর্তি আর্থ্রাটিস তিন মাস পর্যন্ত, কখনও বছর ব্যপি থেকে যেতে পারে। কিছু ঔষধ, প্রয়োজন মতে ফিজিওথেরাপি ব্যাথা মোকাবেলা এবং পুণরুদ্ধার সময় হ্রাসে কার্যকর। তবে সুস্থ খাদ্যাভাসের মাধ্যমে শরীরের দুর্বলতা হ্রাস করুন, দেখা গেছে সুস্থ জীবনযাপন করেন এমন ব্যক্তি অন্যদের তুলনায় দ্রুত সুস্থ্য হয়।

চিকুনগুনিয়া পরবর্তি ব্যথা মোকাবেলা:
চিকুনগুনিয়া আর্থ্রাইটিস শরীর কে খুব দুর্বল করে ফেলতে পারে এবং রোগীদের দৈহিক কার্যক্রমে অক্ষমতা সৃষ্টি করতে পারে। নিচের ব্যবস্থা গুলো আপনাকে ভাল রাখতে সাহায্য করবেঃ
* ব্যাথা নিরাময় ঔষধঃ যে কোন কোন ওষুধ সেবনের আগে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। ব্যথা নিরাময় ঔষধের অতিরিক্ত ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার এড়িয়ে চলুন, কারন এটা আপনার কিডনি এবং যকৃতকে মারাত্মকভাবে ক্ষতি করতে পারে।
* ৩ সপ্তহের বেশি ব্যথা থাকলে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ করাই ভালো।

ফিজিওথেরাপিঃ
১। ফিজিওথেরাপিস্ট এর দেখিয়ে দেয়া উপায়ে সকালে অন্তত দুবার ধীরে ধীরে আপনার সমস্ত জয়েন্ট দেখিয়ে দেয়া উপায়ে সঞ্চালন করবেন। ভারী ব্যায়াম করবেন না।

২। আক্রান্ত জয়েন্টে বরফ দিযে সেক দিতে পারেন, তাওয়েল বা সুতি কাপড়ের মধ্যে বরফ নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ৫-১০ মিনিট দিনে ২-৩ বার ঠান্ডা সেক দিতে পারেন, কারন এতে প্রদাহ কমে ব্যাথা কমে যাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে সরাসরি বরফ যেন চামড়ায় লাগানো না হয়, সেক্ষেত্রে ফ্রস্ট বাইট বা আইস বার্ণ হতে পারে।

৩। ব্যাথা কমানোর জন্য অথবা জয়েন্ট লক বা শক্ত হয়ে গেলে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা একটি নিরাপদ ও কার্যকারী চিকিৎসা। এক্ষেত্রে একজন বিশেষঙ্গ ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী বিভিন্ন রকম চিকিৎসা নির্ধারন করে থাকেন যেমন-ইলেকট্রোথেরাপি, ওয়াক্স বাথ থেরাপি ইত্যাদি।

ধন্যবাদ সবাইকে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

মেমননীয় বলেছেন: ১ মাস যাবত কষ্ট করছি, ক্লোফেনাকে কিছুটা কম থাকে, ফিজিওথেরাপী আমার কোন কাজে লাগেনি।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মাহমুদা রোজি বলেছেন: এই জরের একমাত্র ঔষধ প্যারাসিটামল। ক্লোফেনাক আপনার লিভার এবং কিডনি র ক্ষতি করবে। আপনি কতদিন ফিজিওথেরাপি নিয়েছেন? আপনার সুস্থতা কামনা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.