![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু মানুষ প্রথমেই নিজেকে এমন ভাবে উপস্থাপন করে যে সহকর্মী, বন্ধু অথবা সহযাত্রী হিসেবে পারফেক্ট ব্যাক্তি। কিছুদিন পর আসল ব্যক্তিত্বটা বেরিয়ে আসে। চলার পথে অনেকের সাথেই পরিচয় হয়। তবে সবাই নিশ্চয় আমার সাথে একমত হবেন যে ছোটবেলার খেলার সাথী এবং বন্ধুদের মত আর একটা বন্ধুও যেন খুঁজে পাওয়া যায় না। ছেলেরা বলবেন নিশ্চয় যে মেয়ে লোকের এত মানুষের সাথে মেলামেশার কি দরকার?? এই কথা শুনলেই আমার হাসি পায়। আমি অনেক পুরুষকে জেনেছি যারা তার স্ত্রীকে কারো সাথে মিশতে, কথা বলতে, এমনকি কোথাও যেতে পর্যন্ত এলাউ করেন না!! আবার এই মহাশয়-ই কোন স্বার্থের সময় স্ত্রীকে ব্যবহার করছেন!! আমার এক কলিগ আমাকে একদিন বলছেন- আমি চাকরীজীবি মেয়েলোক পছন্দ করি না মোটেও। মেয়েলোক কেন চাকরী করবে? আবার এই লোকই আর একদিন বলছেন- একার ইনকামে সংসার চালানো খুব সমস্যাই!! আরে আজব, কথা যখন বলবেন তো বুঝে কেন বলেন না!! এক স্বামী তার স্ত্রীকে তেল, নুন নিয়ে সবসময় খোটা দেয়। যেমন- তেল শেষ হয়ে গেলেই বলে আরে তেল দিয়া কি গোসল কর নাকি? এই ভদ্রলোকি আবার রান্না মজা না হলে বলে - রানতেও জানস না?? আমার একজন পরিচিতা সবসময় হাসে এবং একটা প্রবাদ বলে - “আমার গোলার ধানও যেন শ্যাষ না অয়, আর আমার বাল বাচ্চাও যেন না খাইয়া না মরে”!!! একটা বউ পালা আর একটা হাতি পালা নাকি সমান কথা!! আবার এসব ভদ্রলোক গনই যখন বাবা হন, এবং তার মেয়ে কোন আব্দার করলো তো সাত খুন মাফ!! তবে বুঝা গেল সমস্যাটা আসলে সঙ্গীনিটিকে নিয়ে। যুগে যুগে মেয়েলোকেরা সাজগোছ নিয়ে ব্যস্ত থেকেছে। সবসময় নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করাটা ওদের স্বভাবজাত। আপনি যখন আপনার স্ত্রীকে নিয়ে কোথাও যাবেন, তখন কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই চান যে ও একটু গোছগাছ হয়ে বেরুক। একটু মাথায় কাপড় দাও, একটু ঢেকেঢোকে আবার একটু সেজেও চল। সাথে মেয়ে আছে, যেভাবে খুশি সাজো কোন সমস্যা নেই। আজব যদি আপনি মুসলমান হন তবে নির্দিষ্ট পর্দার আইন তো রয়েছে, সেটা ফলো করেন না কেন? আর তা না হলে আপনার একটা রোল ইউজ করেন। সাজগোছ করা মেয়েলোক রাস্তায় দেখলে কত কি মন্তব্য। আবার আপনার বোনটিই কোন অনুষ্ঠানে এক কেজি ময়দা মেখে বেরুচ্ছে সেটা চোখে পড়ছে না? ভাবছেন একদিনি তো। আরে ভাই যারা ময়দা মেখে বেরুচ্ছে তারা তো ঐ একদিনি বেরুচ্ছে। তবে কিছু বোন আবারোমাস ময়দা মেখে বের হন। উনারা একসেপশনাল। কিছু ছেলেরা যেমন ওনাদের দেখার জন্য কলেজ গেটে সারাদিন দাড়িয়ে থাকেন। মানে একসেপশনাল!! যা হোক এত পেচাল পাড়ার মূল উদ্দ্যেশ্যটা বলি- আগে চলুন না আমরা নিজেকে একটু ঠিক করি। আর কখন কি বলছি একটু বুঝে বলি। এক মুখে ১৮ রকম কথা নাই বা বললাম। কথায় আছেনা “নিজে ঠিক তো দুনিয়া ঠিক”
বিঃদ্রঃ প্রতিদিন এক প্যাক গোল্ডলিফ(মধ্যম আয়ের মানুষগুলো সাধারনত খেয়ে থাকেন) এর মূল্য আর ময়দাখোড় মেয়েলোকের ময়দার মূল্য হিসেব করলেই বুঝতে পারবেন হাতি কারা!!
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৫
মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: apnekew onek dhonnobad.
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০
প্রামানিক বলেছেন: আপনি যখন আপনার স্ত্রীকে নিয়ে কোথাও যাবেন, তখন কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই চান যে ও একটু গোছগাছ হয়ে বেরুক। একটু মাথায় কাপড় দাও, একটু ঢেকেঢোকে আবার একটু সেজেও চল। সাথে মেয়ে আছে, যেভাবে খুশি সাজো কোন সমস্যা নেই। আজব যদি আপনি মুসলমান হন তবে নির্দিষ্ট পর্দার আইন তো রয়েছে, সেটা ফলো করেন না কেন? আর তা না হলে আপনার একটা রোল ইউজ করেন। সাজগোছ করা মেয়েলোক রাস্তায় দেখলে কত কি মন্তব্য। আবার আপনার বোনটিই কোন অনুষ্ঠানে এক কেজি ময়দা মেখে বেরুচ্ছে সেটা চোখে পড়ছে না? ভাবছেন একদিনি তো। আরে ভাই যারা ময়দা মেখে বেরুচ্ছে তারা তো ঐ একদিনি বেরুচ্ছে। তবে কিছু বোন আবারোমাস ময়দা মেখে বের হন। উনারা একসেপশনাল। কিছু ছেলেরা যেমন ওনাদের দেখার জন্য কলেজ গেটে সারাদিন দাড়িয়ে থাকেন। মানে একসেপশনাল!! যা হোক এত পেচাল পাড়ার মূল উদ্দ্যেশ্যটা বলি- আগে চলুন না আমরা নিজেকে একটু ঠিক করি। আর কখন কি বলছি একটু বুঝে বলি। এক মুখে ১৮ রকম কথা নাই বা বললাম। কথায় আছেনা “নিজে ঠিক তো দুনিয়া ঠিক”
চমৎকার কথা বলেছেন। খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ