![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিঃদ্রঃ বর্তমান সময়ের পরিস্থিতি বিবেচনা করে মেয়েদের সতর্ক করার জন্য আংশিক সত্য ঘটনা অবলম্বনে লিখিত ছোটগল্প।
চারতলার ছাদেও ছোট্ট একটা চিলে কোঠা। ষ্টিলের মই বেয়ে চিলে কোঠার ছাদটিতেও উঠা যায়। খুব ধীরে ধীরে জোরে জোরে নিঃশ্বাস টেনে ঐ ছাদটাতে উঠল শিখা। পেছন পেছন চিল্লাতে চিল্লাতে উঠল রেখা, শিখার রুম মেট।
-এই শিখা কি করছিস তুই ঐ ছাদে উঠছিস কেন? মরার ইচ্ছা হইছে নাকিরে?
কোন কথা না বলে পূবদিকের নারকেল গাছের পাশটায় ঘেষে বসল শিখা। এখানটায় চাঁদটা ঠিক শিখার দুটো চোখ বরাবর। চাঁদের মিষ্টি আলোয় শিখার মুখটা আরো সুন্দর হয়ে উঠল। বিধাতা যেন নিজ হাতে বড় যত্নে গড়েছেন মেয়েটিকে!!
- কিরে কথা বলিস না কেন? তুইনা এই ছাদটাতে উঠতে ভয় পাস, তবে যে আজ উঠলি? সালুর সাথে ঝগড়া হইছে বুঝি?
একগাদা প্রশ্ন করতে করতে শিখার পাশে গিয়ে বসল রেখা। শিখা একটা কথাও না বলে একটা গান ধরল “এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই” রেখা উদাস হয়ে সে গান শুনল, একটি কথাও বলল না। কিছুক্ষন বসে থেকে দুজনেই নেমে আসল তিন তলায়। শিখা- রেখারা যেখানে থাকে এটা পুরোটাই একটা ছাত্রী মেস। শিখা এখানে এসে উঠেছে মাস দুই হল। সালু নিজেই খুঁজে দিয়েছে মেসটা। শুধু তাই নয় মেসে থাকার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় যা দরকার সব কিনে দিয়েছে সালু। শিখাকে যখন বাড়ী থেকে বের করে নিয়ে এসেছিল সালু তখন একটা কথাই বলেছিল ও
- এক কাপড়ে বেড়িয়ে আসবে। তোমার মা- বাবার দেয়া একটা জিনিসও যেন তোমার কাছে না থাকে।
শিখাও তাই করেছিল। শিখার ভাই শান্ত সালুকে একদিন রাস্তায় থাপ্পর মেরেছিল ওর সাথে প্রেম করার অপরাধে। শিখার মা-বাবাও একদম মেনে নেয়নি সম্পর্কটা। শিখা জানে সালু ওর ফ্যামিলিকে ঘৃনা করে। নিজের পছন্দ অনুযায়ী পোশাক, জুতো, তোয়ালে এমনকি পানি খাওয়ার গ্লাসটা পর্যন্তও কিনে দিয়েছিল শিখাকে। প্রত্যেকটা জিনিষই পছন্দ হয়েছিল শিখার। আশ্চর্য ধরনের সুন্দর রুচি সালুর। হবেনা শিখার মত মেয়েকে যে পছন্দ করতে পারে নিজের জন্য তার রুচি সুন্দর হবে না তো কার হবে। তবে একটা সমস্যা আছে সালুর, ও খুব জেদী।
- কিরে সালুর সাথে ঝগড়া করেছিস? মন খারাপ?
- না।
-তবে কোন কথার জবাব দিচ্ছিস না যে? বাড়ির কথা মনে হচ্ছে?
-না।
-তবে কি? বল আমায়।
- আজ অনার্স এর পরীক্ষা শুরু হল রেখা আপু।
-ও তাই বল। এতে মন খারাপ হলে আর কি হবে। তুই নিজেই তোর লেখা পড়াকে গলা টিপে হত্যা করেছিস। এখন এসব চিন্তা বাদ দে। সামনে কি হবে তাই ভাব। সালু ভাই তোকে কবে ওনার কাছে নিবে?
-বাসা না করে ও আমাকে ঘরে নিবে না।
- এটা কোন কথা হল। কবে বাসা করবে তবে তুই ওর কাছে যাবি। আজব!!
- কিছু দিনের মধ্যেই বাসার কাজ ধরবে বলেছে।
- আর এভাবে কতদিন তুই মেসে থাকবি? একা একা মাবাবা ছাড়া, পড়াশুনা ছাড়া, কোন কাজ ছাড়া, মেসে কেউ থাকে? আচ্ছা এত মন খারাপ করিস না ওকে বল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তোকে ওর কাছে যেন নিয়ে যায়। এখন ঘুমিয়ে পড়।
-হুমমম।
২.
-শিখা নিচে তোমার গেষ্ট আসছে।
-ওকে আমি যাচ্ছি শ্যামাপু।
সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে সোহাগকে দেখা গেল।
-শিখাপু সালু ভাইয়া বলছে মেছে যেতে। আমি দাড়াচ্ছি রেডি হয়ে আসেন।
-এখন?
-হুমম।
- আপনি দাড়ান আমি আসছি।
-ওকে।
৩.
মেসে ঢুকার ঠিক প্রথম রুমটাতে শুয়ে আছে সালু। ছেলেদের মেস তবুও এত সুন্দর করে গুছিয়ে রাখে ছেলেগুলো! মেঝেতে লাল কার্পেট, বড় বেড, এক কর্নারে ফুলের টব।এই রুমটা সোহাগদের। সালু পাশের রুমে থাকে।
- কি ব্যাপার আজ এই রুমে কেন স্যার? রুমে ঢুকতে ঢুকতে প্রশ্ন করল শিখা।
-না এমনি মন চাইল।
-তা সাহেবের আমার কথা মনে হল তবে?
-জ্বি ম্যাম। এত ব্যস্ত থাকি যে আপনার কথা মনে করার টাইমই পাইনা। কেমন আছেন আপনি?
-ও তাই। আমার কথা মনে করার দরকার নেই। আমি আসছি।
-এই দাড়াও। কোথায় যাও তুমি?
চট করে হাতটা ধরে ফেলল সালু। ধরেই ধুম চিৎকার!
-বাঁচাও, বাঁচাও, বাঁচাও।
মেসের সব দুষ্টের দল দৌড়ে এল...
- কি হলরে চিৎকার করছিস কেন?
-দেখনা শিখা আমাকে কি যেন করতে চাচ্ছে।
-আরে আরে সালু তুমি কি করছ অসভ্য। এসবের মানে কি?
-বাঁচাও, বাঁচাও।
-আবার?
সবগুলোর দুষ্টামি দেখে শিখাতো লজ্জায় লাল হয়ে গেল। সবগুলাকে বকে বকে বের করল রুম থেকে। দরজা লাগিয়ে এবার মুখে চাপ দিয়ে ধরল সালুকে।
-এই নির্লজ্জ। এভাবে চিৎকার করলা কেন? আমি তোমাকে কি করছি? শয়তান, পাজি।
-আরো যেতে চাইবে আমাকে ছেড়ে? আবার চিৎকার করব?
-এই না না। মাফ চাই। আর বলব না। এই শুন কবে তোমার কাছে আনবে আমাকে? আর কত তুমি আমাকে অপেক্ষা করাবে?
-এইতো সোনা আর কটা দিন। এই শীতেই বাসার কাজ ধরব। ছয়টা মাস আমাকে সময় দাও।
-ছয় মাস!!! ওরে বাবা। আমি আর মেসে থাকতে পারব না। আমার খুব কষ্ট হয়।
- আমি তোমাকে ভাড়া বাসায় তুলব না।
- আমিও তোমাকে ছাড়া থাকব না।
-লক্ষী সোনা একটু কষ্ট করনা। এতদিন কত কষ্ট সয়েছ। আর কটাদিন আমাকে সময় দাও না।আমার অনেক স্বপ্ন তোমাকে নিয়ে।তোমার কি মনে হয় আমি অন্য আট দশটা ছেলের মত তোমাকে নিয়ে এর ওর বাসায় ভাড়া থাকব?
- কিন্তু আমি তো কারোর প্রশ্নের জবাব দিতে পারিনা। সবাই জিঙ্গেস করে আমি মেসে কেন থাকি, বিয়ে কবে করছি, আমার এসব ভাললাগেনা।
-আজ তো তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।
-সারপ্রাইজ?
-হুমমম।
-কি?
- অনুমান কর।
-না না বলনা কি?
-একটু অপেক্ষা করেন ম্যাম।
কিছুক্ষনের মধ্যেই দুই-তিনটা মেয়ে এসে ঢুকল মেসে। মেয়েগুলো সালুর মেসমেটদের প্রেমিকা। মেসের বুয়া অনেকক্ষন যাবৎ রান্না করছে আজ। শিখার কেমন যেন একটু ব্যতিক্রম লাগছিল আজ। ও সব বুঝতে পারল, যখন দেখল মেয়ে গুলো এসে ওকে শাড়ী পড়ার জন্য অনুরোধ জানাল। শিখাতো হা করে সালুর মুখের দিকে চেয়ে রইল। সালু চোখ মুখ টিপে হাসছিল।
-নো চিন্তা ম্যাম। প্লিজ একটু সাজুগুজো করে নিন তো। বিয়ের কাবিন বলে কথা।
-মানে!!
৪.
সালুর সাথে জীবনের প্রথম রাত শিখার। এতদিনের প্রেম, এত কাছে থেকেও, এত সুযোগ পেয়েও কখনও কোনদিন একটি চুমুও সালু শিখাকে দেয়নি। সব বন্ধুরা মিলে প্রচুর রজনী গন্ধা দিয়ে ঘরটা ভরিয়ে তুলল। সালু জানে শিখা রজনীগন্ধা অনেক পছন্দ করে। ঘরের প্রতিটি কোনায় ফুলদানিতে রজনীগন্ধা। ব্লু কালার শাড়ীতে শিখাকে অপুর্ব লাগছিল। সবকিছু যেন স্বপ্নের মত লাগছিল শিখার। ছয়টি বছর যে স্বপ্ন কতবার না জানি সাজিয়েছে শিখা সেই রাত আজ। শিখা চুপটি করে গুটিশুটি মেরে বসে আছে বিছানার পশ্চিম পাশে। সালু সব বন্ধুদের বিদায় করে রুমে আসল। এজন্যই আজ এই রুমে শিখাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি!!
-জ্বি ম্যাম বলেন,আপনার আর কোন অনুযোগ, অভিযোগ আছে?
-ইয়ে না মানে... হঠাৎ সিদ্ধান্ত পাল্টালে?
-কি করব আমার ম্যামটা যে পাগলী, কোন ভাবেই আর সরিয়ে রাখতে পারলাম না।
লজ্জায়, সংকোচে এতদিনের পরিচিত সালুকে তাকিয়ে দেখতে পারছিলনা শিখা। সালু বুঝতে পারল শিখার মনোভাব। সালু নিজে থেকেই আলতো করে হাতটি ধরল শিখার। ঠিক বুকের মাঝখানটায় ধরে রাখল শিখাকে অনেকক্ষন। যেন অনন্তকালের তৃষ্ণা সালুর বুকে।
- তোমাকে আমি খুব ভালবাসি শিখা। তবে আমার খুব জেদ। তুমি আমাকে মাফ করে দিও।
-মাফ কেন চাইছ তুমি সালু?
হাত দিয়ে শিখার ঠোঁট চেপে চুপ থাকতে ইশারা করল সালু।
৫.
এই দেখ দেখ এটা ঐ মেয়েটা না!
-কোন মেয়েটা?
- আরে ঐদিন একটা ভিডিও দেখলাম না নেটে বাসর রাতের!! হা হা হা।
- হ্যা তাইতো। মালটা তো দারুন। চলনা আমরাও একটু চান্স নেই।
-চল চল।
-এই যে সুন্দরী, একটা রাত আমাদেরও দাও না গো ডারলিং।
-মানে! মানে কি এসবের? ফাজিল সব ছেলে ফেলের দল।
-ওমা সুন্দরী বলে কি! আসনা ডারলিং আর একটি বাসর রাত বানাইয়া ফালাই। হি হি হ।
৬.
পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করল। শিখার হাতে পয়জন এর ছোট্ট বোতল পাওয়া গেল। আর বালিশের নিচে একটি ছোট্ট চিরকুট।
“কেউ কখনও ভালবেসে আমার মত বিশ্বাস করোনা। মা-বাবাকে বাদ দিয়ে নিজের জীবন সাজাতে চেও না”
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৯
মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধনবাদ সুমন কর। শেষের মেসেজটাই আমার গল্পের মূল বিষয়। আমি সাধারন মানুষ। লেখার অসাধারন ক্ষমতা তেমন নেই। পড়ার জন্য ধন্যবাদ। দোয়া চাই।
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৬
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: পুরো টা এখন পড়ার সময় নেই, প্রিয় তে নিলাম পড়ে পড়ব, আর হ্যা যতটুক পড়লাম অনেক ভাল লিখেছেন পুরো টা পড়লে বোঝা যাবে।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২২
মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: অতঃপর হৃদয় ধন্যবাদ আপনাকে। প্রিয়তে নেয়ার জন্যও ধন্যবাদ আবার।
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫১
মাধব বলেছেন: কেন এমন হয় আমাদের জীবনে ?
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৪
মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: অতিরিক্ত বিশ্বাস মানুষকে অন্ধ করে দেয়।
৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৬
প্রামানিক বলেছেন: এই ঘটনা অনেকের জীবনেই ঘটতেছে। সব মেয়েদের সতর্ক হওয়া উচিৎ।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৯
মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: আমি চাই এটা নিয়ে ব্যাপক প্রচারনা হোক। জানি তেমন ভাল লিখতে পারিনি। তবুও চাই আমার এ লেখাটা সবাই পড়ুক। ধন্যবাদ।
৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৯
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: কোন সিদ্ধানই হুট করে নিতে নেই।
যারা চিন্তা ভাবনা না করে সামনে পা ফেলে তাদের পরিণতি এমনি হয়।
“কেউ কখনও ভালবেসে আমার মত বিশ্বাস করোনা। মা-বাবাকে বাদ দিয়ে নিজের জীবন সাজাতে চেও না”
যারা এসব করে অথবা করার ইচ্ছা আছে তাদের এসব কথা মনে থাকবে কিনা কে জানে।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩০
মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: হ্যা সবাইকে সচেতন হওয়া জরুরী। মেয়ে এবং ছেলেদেরও।
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২৩
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: এখনও অনেক মেয়ে আছে যারা আমার ও আমার সে আমার বন্ধু বলতে অজ্ঞান, সে অন্যদের চেয়ে আলাদা, এমনটা করতেই পারেনা, আরে ভাই নিজের সর্বস্ব কখনো সপে দিতে নেই, সে যেই হোক, কিছু কথা কিছু বিশ্বাস, কিছু ভাললাগা, কিছু ভালবাসা শুধু নিজের জন্য রাখতে হয়, যা কারো সাথে শেয়ার করতে নেই্, শুধু নিজের জন্য। বাস্তবতায় ভর দিয়ে চলতে শেখা উচিত। দু খানা চোখ আছে তারপর ও যদি কেউ চোখবুজে চলতে চায় তাহলে পরিণতি কি হয় আমাদের সকলেরই জানা আছে।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩২
মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: কিছু কথা কিছু বিশ্বাস, কিছু ভাললাগা, কিছু ভালবাসা শুধু নিজের জন্য রাখতে হয়, যা কারো সাথে শেয়ার করতে নেই্, শুধু নিজের জন্য। ধন্যবাদ মাহবুবুল আজাদ। খুব সুন্দর মন্তব্য।
৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৬
অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: ঘটনা সত্য । পরিবারের গুরত্ব সবার আগে । বোকামী করলেই পস্তাতে হবে ।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩
মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: পরিবারের গুরত্ব সবার আগে । হুমম পরিবারের গুরুত্বই সবার আগে। ধন্যবাদ।
৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো পোস্ট। তবে যে মেসেজটা দিতে চেয়েছেন সেটার কথা কয়জন মনে রাখে ?
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। যতজন মনে রাখবেন তাতেই আমার স্বার্থকতা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৩
সুমন কর বলেছেন: শেষের মেসেজটাই মূখ্য। গল্প হিসেবে তেমন হয়নি, আরো সময় দেবার প্রয়োজন ছিল।