নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"দিগন্তকে ছুয়ে ভেসে বেড়াতে চাই,\nসপ্ন দেখি,সাজাতে চাই মনের মত করে। \nমুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে চাই প্রাণ ভরে।\n\nযান্ত্রিক জীবন থেকে অনেক দুরে থাকতে চাই,\nবেঁচে থাকতে চাই হাসি খুশি আর ভালবাসার মাঝে।

Mahmud Hassan Ashrafi

Mahmud Hassan Ashrafi › বিস্তারিত পোস্টঃ

শত ধিক্কার ও ঘৃণা জানাই এমন মাতব্বরদের।

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪


মাতব্বরদের নির্যাতন : ছোট্ট শিশুর সামনে মায়ের লজ্জা।

ছোট শিশুর মাকে বেঁধে রাখা হয়েছে বাঁশের সঙ্গে। মায়ের ওপর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। মা কেঁদে ওঠে। ছয় বছরের ছোট্ট শিশুটি দৌড়ে যায় মাকে রক্ষা করতে। কিন্তু নির্যাতনকারীরা তাকে মার কাছে ঘেঁষতে দেয় না। এক পর্যায়ে নির্যাতনে বিরতি দিলে শিশুটি দৌড়ে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে। কিন্তু সন্তানের সামনে থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় অসহায় মা। সমাজের পশুরূপী মানুষের সামনে একজন মা কতটা অসহায় তা প্রকাশ করতে চায় না অবুঝ সন্তানের কাছে। শুধু চোখ থেকে ঝরতে থাকে পানি। সে পানি আড়াল করার চেষ্টা করে মা। ছোট্ট শিশুটি কিছুই বুঝতে পারেনা। শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গীমারী গ্রামের মৃত তফিজুল ইসলামের বাড়িতে এ দৃশ্যটি দেখা গেছে। গ্রামবাসীর মতে ভিত্তিহীন অভিযোগে তফিজুলের বিধবা স্ত্রী শিউলী আর একই গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলামকে এক সঙ্গে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে নির্মম নির্যাতন চালায় গ্রাম্য মাতবররা। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে শিউলি। নির্যাতনের শিকার রফিকুল জানান, বুধবার রাতে পাওনা টাকার জন্য শিউলীর বাড়িতে যাই। এসময় এলাকার কয়েকজন মাতবর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাকে আটকায়। তারা অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ করে। এরপর আমার আর শিউলীর ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। গ্রামবাসী আমাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।

গ্রামবাসীরা জানান, বুধবার রাতেই মাতবররা শিউলী আর রফিকুলকে দড়ি দিয়ে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে ফেলে। এরপর রাতভর তাদের ওপর চালানো হয় মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন। বেধড়ক পিটুনিতে এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে শিউলী। মায়ের নির্যাতন দেখে ছয় বছরের শিশু আরিফ এগিয়ে আসে। কিন্তু কারোই মন গলেনি। গুরুতর অসুস্থ শিউলীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে চাইলেও বাধা দেয় মাতবররা।

সিঙ্গীমারী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ ওয়ার্ডের ইউনিয়ন সদস্য ছলিমুদ্দিন বলেন, খবর পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তারা যে অবৈধ কাজ করেছে এটা কেউ বলতে পারেনি।
হাতীবান্ধা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিয়ার রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করি। পরে ইউপি সদস্যকে বিষয়টি মিমাংসার দায়িত্ব দিয়েছি। হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আব্দুল মতিন প্রধান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ এলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। - See more at: Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

কাবিল বলেছেন: এমন ঘটনা কল্পনা জগতের গল্পকেও হার মানায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.