![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের গর্ভে জন্ম হলেই সে মানুষ হয়না। মানুষ হতে হলে তার মধ্যে মানবীয় গুনাবলীর সংমিশ্রন থাকতে হয়। আর যার মধ্যে এটা থাকে সে কখনোই স্বার্থপরের মত তার সম প্রজাতির সাথে প্রতারণা কিংবা দেশের সাথে বেঈমানি করতে পারেনা। ............................. জন্ম সূত্রে একজন মানুষ হলেও কর্ম সূত্রে এখনও মানুষ হয়ে উঠিনি। মানুষ হবার প্রচেষ্টায় লড়ছি। একজন প্রকৃত মানুষ হতে পারলেই নিজ জীবনের স্বার্থকতা খুঁজে পাবো।
ধর্ম নিয়ে আমার ধারাবাহিক লেখার আজ প্রথম পর্ব। এই পর্বে মূলত ধর্মের সংজ্ঞা নিয়েই সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছে।
ধর্ম কি?
ধর্ম অতি প্রাচীন প্রতিষ্ঠান। বর্তমান মানুষের পূর্ববর্তী নিয়ান্ডারথাল মানুষেরও ধর্ম ছিল। আধুনিক বিজ্ঞানের যুগেও ধর্ম আছে। কিন্তু বিভিন্ন যুগে ও বিভিন্ন সমাজের ধর্ম এক নয়। কোনও ধর্ম একেশ্বরে বিশ্বাস করে আবার কোন ধর্মে দেব-দেবীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়। আবার অনেক ধর্মে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই, শুধু ভূত-প্রেতকে কেন্দ্র করে ধর্ম গড়ে উঠেছে।
সকল ধর্মকে সমদৃষ্টিতে দেখে, ধর্মের বিজ্ঞানসম্মত সংজ্ঞা নির্দেশ করতে গেলে তিন ধরনের সংজ্ঞার সন্ধান মেলে। যথা- মূল্যবোধভিত্তিক, বর্ননামূলক এবং কার্মিক বা ক্রিয়াবাদী।
মূল্যবোধভিত্তিক সংজ্ঞায় ধর্ম কি হওয়া উচিত তাই নির্দেশ করা হয়। এই ধরনের সংজ্ঞায় ধর্মকে একটা নির্দিষ্ট মূল্যবোধের ছাঁচে ফেলে যাচাই করা হয়। একথা বলা বাহুল্য যে, ধর্মের বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনায় মূল্যবোধভিত্তিক সংজ্ঞার স্থান নাই।
বর্ননামূলক সংজ্ঞা কতিপয় বিশ্বাস ও আচার পদ্ধতিকে ধর্ম বলে চিহ্নিত করে। কিন্তু বিশ্বাস ও আচার পদ্ধতিগুলোর মূল্য যাচাই করেনা এবং তাদের কার্যকারিতা নির্দেশ করেনা। এই ধরনের সংজ্ঞায় ধর্মের বিশ্বাস ও আচার পদ্ধতিগুলোকে তুলে ধরা হয় এবং ধর্ম বাস্তবক্ষেত্রে কি, তাই বোঝানো হয়।
কার্মিক বা ক্রিয়াবাদী সংজ্ঞায় ধর্মকে তার কর্মের মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা হয়, ধর্মের কাজ আলোচনা করে ধর্মকে বোঝানো হয়।
মনীষী ফ্রেজার এর মতে, ধর্ম হচ্ছে মানুষের চেয়ে উচ্চতর এমন এক শক্তির সমষ্টি বিধান, যে শক্তি মানবজীবন ও প্রকৃতির ধারাকে নিয়ন্ত্রন ও পরিচালনা করে। তার মতে ধর্মের মূল উপাদান দুটি- একটি মানুষের চেয়ে উচ্চতর শক্তিতে বিশ্বাস; আর অপরটি সেই অতিমানবিক শক্তির আরাধনা।
ইংরেজ নৃবিজ্ঞানী টেলার বলেছেন, ধর্ম হচ্ছে প্রেতাত্মায় বিশ্বাস। আদিম মানুষ মনে করতো যে মানুষ দেহ ও আত্মার সমষ্টি। দেহ ও আত্মা দুই মিলিয়েই জীবন। মৃত্যুতে আত্মা দেহ থেকে বিছিন্ন হয়। মৃত্যু হলে দেহ বিনষ্ট হয় কিন্ত আত্মা মরেনা। আত্মা অবিনশ্বর। মৃত্যুর পরে আত্মা দেহ থেকে বিছিন্ন হয়ে প্রেতাত্মায় পরিনত হয়। মৃত মানুষের বিদেহী আত্মাই প্রেতাত্মা।
ফরাসী সমাজ বিজ্ঞানী এমিল দুরখাইম ধর্মের অন্য সংজ্ঞা দিয়েছেন। বিভিন্ন ধর্মমত বিশ্লেষন করে দুরখাইম দেখতে পান যে, ধর্মের মূল উপাদান দু’টি- বিশ্বাস এবং আচার। ধর্মীয় বিশ্বাসগুলোর বিশেষত্ব এই যে, সেগুলো বস্তুবাদী ও ভাববাদী জগতের মধ্যে দু’টি পরস্পরবিরোধী শ্রেণীবিভাগ কল্পনা করে। দুরখাইম জগৎ সংসারের এই দুটি ভাগের নাম দিয়েছেন-পবিত্র ও অপবিত্র। ঈশ্বর, দেব-দেবী, প্রেতাত্মা, ভূতপ্রেত সবই পবিত্র জগতের অঙ্গ। অপবিত্র জগত হচ্ছে জীবিকার সন্ধানে পরিশ্রমী মানুষের দৈনন্দিন জীবন। এই দুই জগতের মধ্যে প্রভেদ চরম ও স্পষ্ট।
দুরখাইমের মতে ধর্মবিশ্বাসগুলো একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায় বা জোটের সমষ্টিগত বিশ্বাস। সমগ্র জোট যৌথভাবে বিশ্বাসগুলোর প্রতি আস্থাশীল এবং সমগতভাবে আচার-পদ্ধতিগুলো পালন করে থাকে। একটি সার্বজনীন বিশ্বাসের সূত্রে জোটের প্রত্যেকে একে অপরের সহিত গ্রথিত।
ধর্ম বলে চিহ্নিত সকল ব্যবস্থার মূল উপাদান দু’টি – একটি তত্ত্বীয় ধর্ম কতকগুলো বিশ্বাসের সমষ্টি। আর অপরটি ব্যবহারিক- ধর্ম কতকগুলো আচার-পদ্ধতি ও সামাজিক সম্পর্কের সমষ্টি। আধুনিক সভ্য জগতে প্রচলিত ধর্মগুলোতে বিশ্বাসই প্রধান কিন্তু আদিম মানুষের সমাজ ব্যবস্থায় বিশ্বাসের চেয়ে আচার-পদ্ধতির ভূমিকা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ।
চলবে..................
পরবর্তী পর্বঃ আদিম সমাজ ও ধর্ম
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ২:৩০
আরিফুর রহমান বলেছেন: আপনার লেখাগুলো ভালো।
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ২:৩৭
জুবেরী বলেছেন: সরল অর্থে বাংলায় ধর্মের অর্থ আর ইংরেজীতে রিলিজিয়ন অর্থ একই হলেও প্রকৃত পক্ষে অর্থ এক নয় তার একটিতে প্রাতিষ্ঠানিকতা (রিলিজিয়ন)আর একটিতে ব্যক্তির বিশ্বাস ও আচারন থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের সবটুকু আলোচিত হয় ফলে বিষয়টিকে বিবেচায় নিয়ে পরর্বতি আলোচনা হলে ভালো হয় ।
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৩:১৪
মাহমুদ মামূন বলেছেন: আপনাদের মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ @ অভিযাত্রী, আরিফ এবং জুবেরী
৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১৪
মিসকল মফিজ বলেছেন: ধর্ম নিয়া প্যাচাল বন করেন। আর ভালো লাগেনা।
৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১৯
মাহমুদ মামূন বলেছেন: নিউজ কপি-পেষ্ট ছাড়াতো আপনের অন্য কিছুই ভালো লাগেনা, তাই না @ মফিজ
৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:২৫
মিসকল মফিজ বলেছেন: করলে করি, তুমার কি তাতে?
নিজের চরকায় তেল মারো।
৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩
আরিফুর রহমান বলেছেন: @মাহমুদ মামুন, মফিজরে চমতকার দিছেন। যদি লজ্জা হয় এতে।
৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:২৩
সূর্য বলেছেন: প্রয়োজনীয় লেখা, তবে এতটা অ্যাকাডেমিক না হলে ভাল হত। এ ব্লগের ধর্মবাতিকগ্রস্তদের জবাবে কিছু লেখা দরকার ছিল। যা হোক আপনি যখন শুরু করেছেন তখন চালিয়ে যান।
১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৮:৩৫
আওরঙ্গজেব বলেছেন: সালাম,
ধর্মহীন লোকের ধর্ম নিয়ে লেখা অবশ্যই উদ্দেশ্যমূলক।
সময় মতো ঠিকই থলের বিড়ালটা বেরিয়ে যাবে!
১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১১:২৯
মাহমুদ মামূন বলেছেন: ধন্যবাদ @ সূর্য ও অাওরঙ্গজেব
১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ২:৪৯
আরিফুর রহমান বলেছেন: অন্ধকারের কীট আলো পড়লেই কুকড়ে যায়। ধর্ম হচ্ছে অন্ধকার এবং প্রাগৈতিহাসিকতার এক নিদর্শন যা সভ্যতাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। ধর্ম আমাদের দিয়েছে কুপমন্ডুকতা, জিঘাংসা, অসহিষ্ঞুতা। সভ্য মুক্তমনা মানুষ তাই চায় ধর্মের জায়গা নিক স্বমর্যাদাবোধ, জ্ঞান, সৃষ্টিশীলতা, সুকুমারবোধ।
এধরনের পোস্টে তাই ধর্মের উত্স, অপব্যাবহার ইত্যাদির ্ওপর 'আলোকপাত' করা হয় যা @আ্ওরঙ্গজেব গোত্রীয়দের গাত্রদাহের কারন।
১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ২:৫৪
মাহমুদ মামূন বলেছেন: সহমত @ আরিফুর রহমান
১৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১০:৫৬
আজরাইল বলেছেন: বকধার্মিক বকধার্মিক বকধার্মিক বকধার্মিক বকধার্মিক বকধার্মিক বকধার্মিক বকধার্মিক বকধার্মিক বকধার্মিক বকধার্মিক বকধার্মিক বকধার্মিক বকধার্মিক বকধার্মিক বকধার্মিক
১৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৯:৫৫
ভিন্ন দৃষ্টি বলেছেন: মানবতাই ধর্ম। মানব কল্যান সকল ধর্মেরই মূল উদ্দেশ্য।
Click This Link
১৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:৪১
সূর্য বলেছেন: ভিন্ন দৃষ্টি, মানব কল্যাণ ধর্মের মূল উদ্দেশ্য নয়। আরো ভাল করে জানুন।
১৭| ২৯ শে জুলাই, ২০০৮ সকাল ১০:৩২
কানা বাবা বলেছেন:
নেক্সট কিস্তি কয় বচ্চোর পরে আসপে?
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ২:১১
অভিযাত্রী বলেছেন: ধার্মিক বা ধর্ম প্রবর্তকদের ব্যাখ্যা আসাটা জরুরী ছিল।