নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিবেক থেকে লিখা আবেগ এখানে অবচেতন

amar bibek

amar bibek › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরান নাজিলের মাসে নিজের জীবনে কোরান চর্চা

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০২



রমজানের এই মাস হলো কোরান নাজিলের মাস।আর এ মাস হলো তাকওয়া অর্জনের মাস।আর এই তাকওয়া অর্জনের জন্য কোরানকে আমাদের ব্যাক্তিগত জীবনে চর্চার মাধ্যমে খোজ করতে পারলেই এবং সেই মতে ট্রেনিং নিতে পারলেই আমাদের এই তাকওয়ার গুনটি অর্জন করা সম্ভব হবে।

এই ত্রিশ টি রোজায় আমরা কি পারি না আমাদের ব্যাক্তিগত জীবনে কোরানের ৩০ টি আয়াত বাস্তবায়ন করতে? হুম অবশ্যই পারি।আর আমাদের মনে হয় কোরান তিলাওয়াত করার পাশাপাশি আমরা যা পড়ছি তা যদি নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলেই আল্লাহর এই আসমানী কিতাবের প্রকৃত হক আদায় হবে।আর ইসলামের ইতিহাস দেখলেই দেখা যায় আমাদের রাসুল (সঃ) তার জীবনে কিন্তু এই কোরানের প্রতিটি আয়াত বাস্তব জীবনে প্রয়োগের মাধ্যমেই মাত্র ২৩ বছরে ওই অনুযায়ী রাষ্ট্র কায়েম করেছিলেন।সাইদ ইবনে হিশাম ইবনে আমের (রা.) মদিনায় এসে উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে মোমিনদের জননী! আমাকে রাসুল (সা.) এর চরিত্র সম্পর্কে বলুন। আয়েশা (রা.) বললেন, বৎস! তুমি কি কোরআন পড় না? সাইদ বলল, অবশ্যই পড়ি। আয়েশা (রা.) বলেন, নিশ্চয়ই রাসুলের চরিত্র ছিল কোরআনের চরিত্র। অর্থাৎ কোরআনই ছিল রাসুলের চরিত্র।’ (মুসলিম)।ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় সেই সময়টি ই ছিল মানব ইতিহাসে স্বর্ণ যুগ।তাহলে কেন আমরা এই কোরানকে তিলাওয়াত এর মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখবো?কেন জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে একে বাস্তবতায় আনব না? এই কেন প্রশ্ন থেকেই মসজিদের আহবান, Mosjider Ahoban উদ্যোগ নিয়েছে যে এই রমজানের প্রতিটি রোযায় রোজা রাখার পাশাপাশি আমরা আমাদের বাস্তবিক জীবনে কোরানের একটা করে আয়াত বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।আশা করি আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন।জীবন কে সুন্দর করার এই প্রচেষ্টায়।আজকের আয়াত টি হলো সুরা হুজরাতের ৬ নং আয়াত।

হে ঈমান গ্রহন কারিগন, যদি কোন ফাসেক তোমাদের কাছে কোন খবর নিয়ে আসে তাহলে তা অনুসন্ধান করে দেখ। এমন যেন না হয় যে, না জেনে শুনেই তোমরা কোন গোষ্ঠির ক্ষতি করে বসবে এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে।

সুপ্রিয় পাঠক একটু খেয়াল করলেই বুঝবেন আপনি আপনার বাসায়,যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন,বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনের মধ্যেও কিন্তু এই ব্যপারটি আমাদের জীবনে হর হামেশাই ঘটে থাকে।

এই আয়াতটিতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইমানদারদের ডেকে বলেছেন সবাইকে না।শুধুমাত্র যারা বিশ্বাসী তাদের।
আর ফাসেক হলো তারা যারা যে ব্যক্তি ইসলাম বিশ্বাস ও স্বীকার করে অথচ ইসলামের আদেশ-নিষেধ লঙ্ঘন করে বা তা মেনে চলে না, তাকে ফাসেক বলে ।

অধিকাংশ মুফাসসির দের মতে এ আয়াত টি ওয়ালিদ ইবনে উকবা আবি মু আইত সম্পর্কে নাজিল হয়েছে।এর পটভুমি হচ্ছে বনী মুস্তালিক গোত্র মুসল্মান হলে রাসুল (সঃ) তাদের থেকে যাকাত আদায় করে আনার জন্য ওয়ালিদ ইবনে উকবা কে পাঠালেন সে তাদের এলাকায় পৌছে কোন কারনে ভয় পেয়ে গেল এবং গোত্রের লোকদের কাছে না গিয়েই মদিনায় ফিরে এসে রাসুল(সঃ) কে এ বলে অভিযোগ করলো যে তারা যাকাত দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং আমাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছে। এ খবর শুনে নবী (স)অতন্ত অসন্তুষ্ট হলেন এবং তাদের শায়েস্থা করতে একদল সেনা পাঠাতে মনস্থ করলেন।কোন কোন হাদীসে বর্নীত আছে যে তিনি সেনা দল পাঠিয়েছিলেন এবং কোন কোন টিতে পাঠানর উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলা হয়েছে।মোট কথা এ বিষয়ে সবাই একমত যে এসময়ে বনি মুস্তালিক গোত্রের নেতা হারেস ইবনে দ্বেরার (উম্মুল মোমেনিন হযরত জুয়াইরিয়ার পিতা)এক প্রতিনিধি দল নিয়ে নবীর খেদমতে হাজির হন। তিনি বলেন আল্লাহর কসম যাকাত দিতে অস্বীকৃতি এবং ওয়ালিদ কে হত্যা করার চেষ্টাত দুরের কথা তার সাথে আমাদের সাক্ষাত পর্যন্ত হয়নি।আমরা ইমানের প্রতি অবিচল আছি এবং যাকাত প্রদানে অনিচ্ছুক নই। এ ঘতনার প্রেক্ষিতে এই আয়াত নাযিল হয়। এ নাযুক পরিস্থিতিতে যখন একটি ভিত্তিহীন খবরের উপর নির্ভর করার কারনে একতি বর ভূল সংঘটিত হওয়ার উপক্রম হয়েছিল

উদাহরন ০১; আপনি অফিসের বস।আপনার সাথে থাকে, অনেক ঘনিষ্ঠ একজন জুনিয়র কলিগ যিনি ফাসেক।উনি ঠিক তার জুনিয়র কলিগের বিরুধ্যে আপনার কাছে নালিশ করলো।আর আপনি শুধু উনাকে বিশ্বাস করেন এই সুবাদে না জেনে শুনে শুধু মাত্র ওই ফাসেক জুনিয়রের কথা শুনেই নালিশকৃত লোকের চাকুরী চলে গেল বা ট্রান্সফার হয়ে গেলো।পরে জানতে পারলেন অভিযোগ টি মিথ্যা ছিল।তখন আপনার কাছে কেমন লাগবে?এই অপরাধ বোধে নিজেকে কুড়ে কুড়ে খাবে প্রতিনিয়ত।এই অনুভুতির কথাই আল্লাহ আয়াতের শেষ অংশে বললেন।

তারমানে ইমানদার মানেই ফাসেকি থেকে মুক্ত তা নয়।আর আপনি বস হিসাবে সেটাই বুঝতে হবে যে আপনার অধনস্তদের মধ্যে কে কে ফাসেক?যদিও সবাই ইমানদার।

উদাহরন ০২; কিছুদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘটে যায় একটা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ দুই এলাকাবাসীর মধ্যে।একজন নিহত হয় এবং প্রতিপক্ষ একজনের পা কেটে নিয়ে আনন্দ মিছিল করার মত ন্যাক্কার জনক কাজও হয়।কিন্তু পরে পুলিশ তদন্তে গিয়ে জানতে পারে লুডু খেলায় চুরি নিয়ে হাতাহাতি ধাক্কাধাক্কি থেকে এই অবস্থা।এ ক্ষেত্রে যদি কোরানের উপরক্ত আয়াতটি সম্পর্কে জ্ঞান থাকতো(যারা এই সংঘর্ষে নেত্রিত্ত দিয়েছিলো তাদের)তাহলে ঘটনাটি এত বড় রুপ ধারন করতো না।

এভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কোরানের এই আয়াত ব্যাক্তি,পরিবার,সমাজ সর্বপোরি রাষ্ট্রের অনেক ভুল সিদ্ধান্ত প্রতিহত করে সমুহ বড় ক্ষতি থেকে বাচাতে পারে আমাদের।

ধন্যবাদ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.