নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাহতাব উদ্দিন

মাহতাব উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রো‌হিঙ্গা সমস্যা: বাংলাদেশের ঘা‌ড়ে চা‌পিয়‌ে দ‌েওয়া অভিশাপ

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭

রো‌হিঙ্গা সমস্যা বাংলা‌দে‌শে ক্রমশ জ‌টিলতায় রূপ নি‌চ্ছে। বাংল‌া‌দেশ মানবিক কার‌নে নিযা‌র্তিত রো‌হিঙ্গাদের অাশ্রয় দি‌য়ে‌ছে। আমরা হয়‌তো ভাব‌ছি আর্ন্ত:জা‌তিক চাপ প্র‌য়ো‌গের মাধ্য‌মে রো‌হিঙ্গাদের আবার মিয়ানমা‌রে ফি‌রি‌য়ে দ‌েওয়া যা‌বে। কিন্তু আমা‌দের চিন্তা ভাবনার সা‌থে বাস্তবতার অ‌নেক ফাঁরাক র‌য়ে‌‌ছে। অতিত ইতিহাস লক্ষ করল‌ে দেখাযায় এই পর্যন্ত মোট পাঁচটি ধাপে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে-
১)১৭৮৪ সালে রাজা বোদাওপায়া আরাকান দখল করে তাঁর রাজধানী গঠন করলে।
২)জাপান বার্মা (মিয়ানমার) দখল করে ব্রিটিশদের বিতাড়িত করলে ২২০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ প্রবেশ করে।
৩)জেনারেল নে উইন ১৯৭৮ সালে অপারেশন ড্রাগন কিং-এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব নথিবদ্ধ করার মাধ্যমে।
৪)১৯৯১-৯২ সালে The State Law and Order Restoration Council (SLORC) উত্তর রাখাইন রাজ্যে মুসলিম সন্ত্রাসীদের দমনের জন্য সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়ে দি‌য়‌ে।
৫) ২০১৭ (বর্তমান‌ে) নির‌পিত্তা চৌক‌ি‌তে আরসা নামক সংগঠ‌নের হামলার জের ধ‌রে চলমান স‌হিংসতার কার‌নে।
বর্তমানে বাংলাদেশে সব মি‌লি‌য়ে পাঁচ লক্ষা‌ধিক রোহিঙ্গার বসবাস কর‌ছে। ৯১-৯২ সালে আসা ২০০০০০ রোহিঙ্গা কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রা‌মের বিভিন্ন গ্রামে বসবাস করছে। রোহিঙ্গা‌দের নিজ দেশে ফেরত নেওয়ার বিন্দু মাত্র ইচ্ছা অতি‌তে যেমন মিয়ানমার সরকার‌রে ছিলনা বর্তমান‌েও নাই।
আমরা হয়ত ভাবছ‌ি সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ্যমে অথবা আর্ন্ত:জাতিক গনমাধ্যম‌ে প্রচারনার মাধ্যম‌ে এই বা‌রের সহিংসতা তু‌লেধ‌রে মিয়ানমার‌কে আর্ন্ত:জা‌তিকভা‌বে চা‌পে ফে‌লে রো‌হিঙ্গা‌দের ফেরত পাঠা‌নো সম্ভম হ‌বে। কিন্তু এই প্রচারনায় মিয়ানমার সরকারও পি‌ছি‌য়ে নেই। একদ‌ি‌কে অংসাং সূচী বার্মার সেনাবা‌হিনীর সু‌রে সুর মিলি‌য়ে গনমাধ্য‌মে মিথ্যাচার ক‌রে যা‌চ্ছে অপরদি‌কে আমা‌দের প্রত‌ি‌বেশী দুই বন্ধু(?) রাষ্ট্র ভারত ও চীন প্রকা‌শ্যে মিয়ানমার‌কে সমর্থন দি‌চ্ছে। যা প‌রিস্থ‌ি‌তি‌কে আরও খারা‌পের দিক‌ে নি‌য়ে যা‌চ্ছে। ভারত ও চীন পর‌োক্ষভা‌বে রো‌হিঙ্গাদের বাংলা‌দেশে স্থায়‌ী শরনার্থী বানা‌তে সব ধর‌নের চেষ্টা ক‌রে যাব‌ে। ত্রান সহ‌যো‌গিতার পাশাপাশ‌ি এইসব রাষ্ট্রগু‌লো বিপুল প‌রিমান‌ে অর্থ সাহায্য নিয়‌ে রো‌হিঙ্গা‌দের জন্য আবাসন ব্যবস্তার প্রস্তাব করল‌ে অবাক হওয়ার কিছু থাক‌বেনা। কারন এ‌তে রো‌হিঙ্গা‌দের বাংলা‌দে‌শে স্থায়ী বসবা‌সের এক সুবর্ন সু‌যোগ ক‌রে দে‌বে এবং মিয়ানমার সরকা‌রের প‌রিকল্পনা বাস্তবা‌য়িত হ‌বে।
আমাদের সরকারে‌র উ‌চিৎ হব‌ে প্রত‌িবেশী রাষ্ট্রের ফাঁদ‌ে পা না দি‌য়ে আর্ন্ত:জাতিক তৎপরতা বৃ‌দ্ধি ক‌রে ‌রো‌হিঙ্গা সমস্যার দ্রূত ও শান্ত‌িপূর্ন্য সমাধান ‌বের করা। তা না হ‌লে আমরা অদূর ভবিষ্য‌তে আমা‌দের প্রিয় পার্বত্য চট্টগ্রা‌ম ও কক্সবাজা‌রের বাস্তুতা‌ন্ত্রিক ভারসাম্য‌ হারা‌নোর পাশাপাশ‌ি হা‌রি‌য়ে ফেলব‌ো আমা‌দের দীর্ঘ দিনের অসম্প্রদায়িক বাংলার ঐতিহ্য‌কে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার বক্তব্য পরিস্কার নয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.