![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাউন্ডুলেদের বিশেষ কোন পরিচয় থাকেনা
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
আজকাল বাংলাভাষাকে
বিকৃত করে কড়কড় করাটা
একটা ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে।
আর এর প্রতিযোগিতা দেখা যায়
এফ.রেডিও ষ্টেশনের রেডিও জকি থেকে
শুরু করে বিভিন্ন টিভি উপস্থাপকসহ:
তরুন প্রজন্মের গলায় গলায়।
.
একসময় সংস্কৃত ভাষার প্রচলন ছিল।
তারপর ভাষার সাধুরুপ,তারপর চলিত
আর এখন বাস করছি সংকর ভাষারুপে।
যাতে অজস্র বিকৃত বাংলা উচ্চারণ
এবং ইংরেজি, হিন্দী সহ বিভিন্ন
ভাষার
অস্বস্তিকর মিশ্রন লক্ষ্য করা যায়।
যা ভাষার অস্তিত্বকে আঘাত করছে।
.
বিশেষ করে এফ. এম. চ্যানেলের
মহিলা আর.জে. গুলো যে ধরনের
ভাষা ব্যাবহার করে,
রফিক, সালাম, জাব্বার, বরকত
সহ অন্যান্য ভাষা শহীদরা
না মরে যদি বেঁচে থাকতেন,
ওদের এহেন কুৎসিত বাংলাভাষা শুনে
নির্ঘাত আত্মহত্যা করতেন।
ওপারে বসেও নিশ্চয়ই
হাততালি দিচ্ছেন না।
অভিশাপ আর ঘৃনা ছুড়ছেন।
রক্ত ঝরছে তাদের ক্ষতস্হান থেকে।
বিশ্বাস হচ্ছেনা??
চোখ বন্ধ করুন,
আপনিও দেখতে পাবেন।
.
এমন বিশ্রী ভাষা জন্ম দেয়ার জন্য
নিশ্চয়ই তাঁরা রক্তবীর্য্য বিসর্জন
দেননি।
.
আমার কৌতুহলী মনে প্রশ্ন জাগে
এসব ভাষা কোথায় শিক্ষা দেয়া হয়?
আর.জে. কোর্স, উপস্থাপক কোর্স
ওগুলো থেকেই এমন ভাষা
শিক্ষা দেয়া হচ্ছ না তো??
যদি তা ই হয়,
তাহলে সরকার, প্রশাসন
কিংবা বাংলা একাডেমী থেকে
কেন কোন প্রতিরোধমুলক
ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে না?
.
বাংলাদেশে নারী নির্যাতন আইন আছে,
ধর্মকে বিকৃত করলে আইন আছে,
ভাষার উপর নির্যাতন এবং
ভাষার বিকৃতি রোধে আইন নেই কেন?
.
দুঃসংবাদ হলো এই যে,
ভাষাকে বিকৃত করার এই ব্যাধি
বর্তমানে মহামারীর আকার ধারন
করেছে।
শহর, মফস্বল ছড়িয়ে গ্রামের
স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়ছে
দ্রুত।
.
ভাষার ভিতর যদি এখন
এসব সংকর না ঢুকিয়ে
"আমাড়, তোমাড়, কাড়া,
মম, ড্যাড, ব্রো, সিস,
ইয়ার, ডুড, ফ্র্যান্স"
এসব ব্যাবহার না করে কথা বললে
তরুনরা নিজেকে এখন
আধুনিক ভাবতে পারেন।
স্বভাবিক ভাষা তাদের কাছে
লজ্জাজনক
একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
.
শংকার বিষয় হচ্ছে
এই ধারাবাহিকতা যদি অব্যাহত থাকে
এখনই যদি আমরা সচেতন না হই,
অদুর ভবিষ্যতে বাংলাভাষা হবে
বর্তমান সাধু ভাষার মত
হাস্যকর একটি ভাষা।
হঠাৎ করেই কারও মুখে কেউ
এই ভাষা শুনে মজা পাবে,বিনোদন
পাবে,
যেমনটি আমরা এখন কারও মুখে
সাধুভাষা শুনলে পাই।
.
আর একুশে ফেব্রুয়ারী হবে
শুধুই ফুল আর ডালা কেনার উৎসব,
শুধুই ফটোসেশন, সেলফি, গ্রপফি,
লোক দেখানো ছলনাপুর্ন ভালবাসা,
সাজগোজ করে ঘুরে বেড়ানো আর
কপোত কপোতীদের মিলিত হওয়ার
আরও একটি উৎসবমুখর দিন।।
.
অথচ তারা কোনদিন
বুঝতে ও পারবেনা....
"মোদের গরব মোদের আশা,
আ মরি বাংলা ভাষা।
কি মর্ম লুকিয়ে ছিল
এই স্তবক দুটিতে।
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৩
বাউন্ডুলে মাইনুল বলেছেন: যদি শুধুই উৎসব না হয়,
তাহলে ভাষার মর্যাদা রক্ষার্থে
কেন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়না??
.
ধন্যবাদ আপনাকে...
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫২
বিজন রয় বলেছেন: না। শুধু উৎসব না।