নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুবই সাধারণ একজন। \nতবে মাঝে মাঝেই ইচ্ছে হয়, অসাধারণ কিছু করার।

বাউন্ডুলে মাইনুল

বাউন্ডুলেদের বিশেষ কোন পরিচয় থাকেনা

বাউন্ডুলে মাইনুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

"কেবল প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধ চাই "

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭


ধপ করে নিভে গেল
আরও একটি আলো।
নিভে গেল আরও একটি প্রদীপ।
জীবন প্রদীপ।
.
বাসা থেকে বের হওয়ার সময়
মেয়েটি তার মাকে বলছিল-
"মা মা দর্জির দোকান থেকে
আমার নতুন জামাটা নিয়ে এসো,
কাল নতুন জামা পরে
আমি কলেজে যাবো। "
.
নাহ... মেয়েটির আর
কলেজে যাওয়া হয়নি।
নতুন জামাগুলো ও বোধহয়
দর্জির দোকানে অপেক্ষা করছে এখনো।
অথচ মেয়েটি আর কখনই
রঙিন জামাগুলো নিতে আসবে না।
কারন মেয়েটি শুভ্রতায় জড়িয়ে গেছে।
.
একদল হায়েনার হিংস্র থাবা
ক্ষত বিক্ষত করেছে তাকে।
.
মেয়েটির নাম সোহাগী জাহান তনু (১৯)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের
ইতিহাস বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয়
বর্ষের ছাত্রী।
.
ময়নামতি সেনানিবাস এলাকার
অলিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের
চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী
ইয়ার হোসেনের মেয়ে।
আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে
সোহাগী অলিপুর গ্রামেই
এক বাসায় টিউশনি করতো।
রোববার সন্ধ্যায় টিউশনি শেষে
বাসায় ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হয় সে।
তার বাবা ফোন বন্ধ পেয়ে
খোঁজাখুজি করতে করতে
পরে ঝোঁপের পাশে মেয়েটির
একটা স্যান্ডেল দেখতে পান।
একটু কাছে যেতেই দেখেন
ছেঁড়া চুল, ছেঁড়া পোশাক আর
প্রানহীন রক্তাক্ত দেহটা পড়ে আছে।
বাবা পাগল হয়ে...
মা মা বলে চিৎকার করে উঠলো।
.
প্রথমিকভাবে ধর্ষণের পর
পাশবিক নির্যাতন করে
হত্যার আলামত পাওয়া গেছে।
.
হরহামেশাই এ ধরনের ঘটনা ঘটে।
খারাপ লাগে, কষ্ট লাগে।
কিন্তু আজকে মেয়েটির
সম্পূর্ণ ঘটনাটি পড়ে
ভিতরটা কেমন যেন
একটা মোচড় দিয়ে উঠলো।
খুবই খারাপ লাগছিল ..
একটু বেশি ই।
হয়তো মেয়েটির বাসা কুমিল্লায়
এটা শোনার পরই বোধহয়।
একেই হয়তো নাড়ীর টান বলে।
.
একটু মায়াকান্না বা
বেদনামাখা একটা স্ট্যাটাস দিয়ে
কোনভাবেই এসব দায়
আমরা এড়াতে পারবো না।
.
সত্যি বলতে কি,
নিজেদের দায়বদ্ধতা দেখানোর জন্য
বিভিন্ন জায়গায় শুধু লেখালেখি করে
নিজেকে জাহির করতে ও ইচ্ছে করছে না।
.
এসব নৃশংস ঘটনার অবসান চাই।
সুন্দর একটা দেশ চাই।
সুষ্ঠুভাবে এসব ঘটনার তদন্ত হোক।
দশটা ধর্ষণের ঘটনায়
একটাতেও যদি ধর্ষককে সনাক্ত করা যায়,
পল্টন ময়দান, শাহবাগ চত্বর
অথবা যে কোন স্হানে জনসম্মুখে
মঞ্চ বানিয়ে...
জনতার নিক্ষিপ্ত পাথরে
এদের হত্যা করুন।
.
দেখবেন, এরপর থেকে
ধর্ষন করার কথা
কারও মাথায় আসলেও
ভয়ে পাঁচ গ্লাস পানি খাবে।
.
শরীরের কোন অঙ্গে পচন ধরলে
ঐ অঙ্গ কেটে ফেলাই শ্রেয়।
নাহলে ধীরে ধীরে তা
সমস্ত দেহে ছড়িয়ে পড়ে।
.
ধর্ষকরা কারও বাবা, ভাই বা
সন্তান হতে পারে না।
ওরা অপরাধী, ওরা খুনী।
ওদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হোক।
.
আমরা প্রতিবাদ নয়....
প্রতিরোধ চাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.