নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুবই সাধারণ একজন। \nতবে মাঝে মাঝেই ইচ্ছে হয়, অসাধারণ কিছু করার।

বাউন্ডুলে মাইনুল

বাউন্ডুলেদের বিশেষ কোন পরিচয় থাকেনা

বাউন্ডুলে মাইনুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাধু সাবধান

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

দুর্ভাগ্য আমাদের। যারা এখনো রাজনীতি বুঝেইনা, ছোট্ট শিশুটি, তারাই পড় গেছে রাজনীতির খপ্পরে। এই নোংরা রাজনীতির জন্যই বাংলাদেশ কখনো আলোর মুখ দেখবেনা। বঙ্গবন্ধুর কথিত সোনার বাংলা কোনদিন সোনায় পরিনত হবেনা। চোর, বাটপার আর চামচার বাংলাই থাকবে।

দুশো বছর আগে যখন বাংলার আকাশে স্বাধীনতার শেষ সুর্য ডুবে যাচ্ছিলো, নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে চক্রান্ত করে হারিয়ে বাংলার সিংহাসন ব্রিটিশদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছিলো, তখন মীরজাফর, রাজভল্লব আর ঘষেটি বেগমরা লর্ড ক্লাইভের তলা চাটছিলো। কারন তারা ব্যক্তি স্বার্থের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল।

আজও যখন বাংলার রাজপথে কচি বাচ্চারা নেমে এমন কিছু দেখিয়েছে যে সারাবিশ্ব হা হয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর ইতিহাসে যা কেউ পারানে সে দুঃসাহস দেখিয়েছে। আপনি কোনদিন পেরেছেন পুলিশের কাছে জানতে চাইতে যে আপনারা মানুষের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে বেড়ান আপনাদের লাইসেন্স আছে? কই দেখান তো। আর ওদের এই দুঃসাহসিক অভিযান না হলে হয়তো আমরা কখনোই জানতেও পারতাম না যে অধিকাংশ পুলিশের নিজেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।

বাংলাদেশে কেউ পেরেছে ক্ষমতাসীন দলের একজন মন্ত্রীর উল্টোপথে যাওয়া গাড়ি ঠেকিয়ে সুন্দর ব্যাবহারের মাধ্যমে তাকে বুঝিয়ে দিতে।।

আমরা কখনো হয়তো জানতাম ই না ঢাকা শহরের অধিকাংশ ড্রাইভারের লাইসেন্স নেই। যারা সেদিন দুই শিক্ষার্থীদের হত্যা করলো সেই দুই গাড়ির কারো লাইসেন্স নেই।

আমাদেরকে ওরা দেখিয়েছে কিভাবে সুন্দর করে রাস্তা পরিস্কার করতে হয়। কিভাবে অহিংস আন্দোলন করতে হয়। অ্যাম্বুলেন্স, হজযাত্রীদের গাড়ি, অসহায় মানুষকে রাস্তা পার করে দেওয়া। এমনকি তিন কিশোরি নিজেরা বৃষ্টিতে ভিজে ট্রাফিক পুলিশের মত দায়িত্ব পালন করে গাড়ি পার করছে।
অন্যদেশের এমন ভিডিও আমরা ঠিকই গদগদ হয়ে শেয়ার করি আজ যখন নিজের দেশে হওয়া শুরু হয়েছে, তখনো আপনি আপনার জিহ্বা থামাতে পারেন নি।

যে কাজ পুলিশ পারেনি, রাজনৈতিক নেতারা পারেনি, আপনার মত সুকন্ঠ আর সুমিষ্ট (!) ভাষীও পারেনি সেকাজ ওরা করা দেখিয়েছে। প্রতিটি গাড়ির লাইসেন্স যাচাই করেছে। যার লাইসেন্স নেই সে কান ধরে গাড়ি থেকে নেমে।গেছে, যার লাইসেন্স আছে, সে চকোলেট পেয়েছে।

আপনি আমি কখনো পেরেছি?? আপনার তো বড় বড় ডিগ্রী আছে। রাজনৈতিক পদবী আছে। কোনদিন কোন ভাল কাজটা করেছেন শুনি??

আজ যখন বিশ্ব অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, সবাই বাহবা দিচ্ছে, আপনি তখনো নির্লজ্জের মত খুঁজে বেড়াচ্ছেন কোন প্ল্যাকার্ডে কি ছিল। আর এসব করে আন্দোলনের মোড় অন্যদিকে ঘুরানোর চেষ্টায় ব্যাস্ত।

উন্নত বিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখুন ওদের প্ল্যাকার্ডে আরও জঘন্য ভাষাও থাকে।। আমারিকা বা কানাডার এক আন্দোলনের এক মেয়ে আন্দোলনকারীর প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল "I NEED NO SEX, BECOZ THE GOVERNMENT FUCKS ME EVERYDAY "

তারপরও আমি বলছিনা যে এধরনের প্ল্যাকার্ড লিখা উচিত হয়েছে। স্বীকার করছি কিছুটা বাড়াবাড়ি ছিল, কিছুটা ফটোশপও ছিল। তবে বাড়াবাড়ি কিন্তু পুলিশই প্রথম শুরু করেছে। তাদের কি দরকার ছিল আগেরদিন ছেলেপুলেকে মারধর করা গালাগাল করা? আপনি কি মনে করেন না এসব বাজে ভাষা ব্যাবহারে পুলিশই তাদের বাধ্য করেছে?

গতকাল এত ভিডিওতে কত পুলিশকে আটকালো,কই কোথাও তো ওদেরকে গালি দিতে শুনলাম না।। বরং সুন্দর ব্যাবহার দেখিয়ে তাদের লজ্জা দিয়েছে।

এদিকে আবার শোনা যাচ্ছে কেউ পায়তারা করছেন এদের সাথে ঢুকে রাজনৈতিক ফয়দা হাসিল করার।তাদের বলতে চাই আপনারা কি হিজড়া নাকি? নিজেদের যদি এককভাবে কিছু করার সামর্থ্য নাই থাকে ওসব হিজড়া রাজনীতি বাদ দেন। নচেৎ নিজেদের ফায়দা লুটার জন্য এরকম সুন্দর, সুশৃঙ্খল একটি আন্দোলনকে কলঙ্কিত করে ব্যার্থ করে দিবেন না।

জুনিয়রদের প্রতি অনুরোধ থাকবে,

: তোমরা যেখানেই আন্দোলনে যাবে ইউনিফর্ম পরে এবং আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে যাবে।
: প্রতিটি স্কুল কিংবা কলেজ থেকে একজনকে প্রতিনিধি মেনে তার সাথে গিয়ে অন্য স্কুলের অনুরুপ প্রতিনিধির সাথে কথা বলে সমবেত হবে।
: কোনভাবেই ইউনিফর্ম এবং আইডি কার্ড ছাড়া কাউকে তোমাদের ভিতর ঢুকতে দিবে না।
: অযথা ভাংচুর কিংবা অগ্নিসংযোগ করবে না।
: অসংযত ভাষায় লিখা কোন প্ল্যাকার্ড ধারন করবে না।
: তোমাদের দাবীগুলো সুনির্দিষ্ট এবং লিখিত আকারে সাথে রাখো।
: সন্দেহজনক কাউকে দেখলে আটক করবে
: সর্বোপরি চোখ কান খোলা রেখে সাবধানে এবং নিরাপদে থাকবে।

মনে রাখবা তোমরা কিন্তু এখন রাজনীতির ফাঁদে পড়ে গেছো, সেজন্য খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। টোকাই কিংবা বহিরাগত লোকজনও ঢুকে তোমাদের সর্বনাশ করতে পারে।

ভাল থাকুক প্রতিটি জীবন,
উষ্ণ থাকুক প্রতিটি মায়ের কোল।
পুরন হোক গনমানুষের চাওয়া
#নিরাপদ_সড়ক_চাই।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২০

কানিজ রিনা বলেছেন: নেমে আসুক টুকাইরাও সাথে যোগ দিক
বস্তিবাসীর যুবক কিশোররা।
সুন্দর উপস্থাপন।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: না ভাই আপনি আবার ভাবেন, আন্দোলন যদি মানব বন্ধন/ ফুটপাতে বইসা শান্তিপূর্ন অবস্থান -এসবে সরকারের গায়ে লাগবে না।
কেন ছাত্ররা লাইসেন্স চেক করবে না? একজন পুলিশ কর্মকর্তা যিনি হুন্ডা চালাইতেছে বা পুলিশ গাড়ি চালাইতেছে তারও ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। আপনি দ্যাখেন কোন পুলিশ দেখাইতে পারতেছে লাইসেন্স? লাইসেন্স আছে কিন্তু নগদ সাথে নাই, কেন নাই? কারন তারা পুলিশ, তারা রাজা। তাদের কোন জবাব্দিহি নাই। রাস্তায় রিকশা একলাইন ধইরা চালাইতেছে ছাত্ররা, এটা একটা প্রতিকী প্রতিবাদ, ছাত্ররা ট্রাফিক পুলিশ না হয়েও তো রিকশা লাইন ধরাইতে পারতাছে তয় ট্রাফিক পুলিশ কেন পারে না!!
এগুলা সব রাগ-ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ
বাসে আগুন দেয়া বড়রাই শিখাইছে, ভাঙ্গা বড়রাই শিখাইছে, আর রাস্তায় না নামলে যে সরকারের গায়ে লাগবে না, আন্দোলনে যে বিভিন্ন ধরনের কর্মকান্ড পরিচালনা করে আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে, সরকারের টনক নড়াতে হবে তা এই পোলাপাইনরা বুইঝা গেছে গনজাগরনের আন্দোলন দেইখা, এজন্যেই ওরা লাইসেন্স চেক টেক এসব করতাছে, এটাই উচিত, আমরা পারতাছি আমাদের বাচ্চাদের সুন্দর পরিবেশ দিতে? নিরাপত্তা দিতে?এখন আমাদের বাচ্চারাই রাস্তায় নামছে ওদের নিরাপত্তার অধিকার আদায় করতে।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


ছাত্ররা যা করছে তা বাড়াবাড়ি। দিনশেষে ট্রাফিক পুলিশ ভাইটিই আমাদের ভরসা। এরা যদি সচেতন হইত প্লেকার্ডে অশ্লীল সব শব্দ ব্যবহার করত না!



জাবালে নূরের মালিকদের বিচারের দাবীর কথা মানুষ এখন ভুলে গেছে! এটা লজ্জার!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.