![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ ৫ এপ্রিল। কত দিন হয়ে গেল, এখনও জ্বল জ্বল করে ওঠে মনের গহিনে। একটা বড় দুঃখ কষ্ট বিষাদের দিন। আলেমদের গায়ে মানুষ বা কোনও সরকার এভাবে হাত তুলতে পারে নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।
৫ এপ্রিলের ওই দিন টাতে আমি নিজে অবশ্য ছিলাম না। এর আগের সমাবেশটাতে ছিলাম। থাকি গাজীপুরে, ভার্সিটি হলে। বন্ধুরা জানাল টঙ্গি থেকে একটা বিশাল মিছিল বের হয়েছে। আমি যাব কিনা? আগের রাতেই সংকল্প করেছিলাম যেভাবেই হোক অংশ নেব। টাই সাথে সাথেই রাজি। আমরা পুরো ভার্সিটি থেকে মাত্র ১০-১২ জন। টঙ্গিতে যেয়ে মিছিলে যোগ দিলাম।
কোনও গাড়ি নেই, রাস্তায় অল্প কয়েকটা রিক্সা, ব্যাস আর কিছু না। টঙ্গি থেকে শাপলা চত্বরের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিমি। বিশাল দূরত্ব টা কিছুই ছিল না। মনোবল আর স্রেফ ইচ্ছা শক্তির জোরে হেঁটেছিলাম। সারা রাস্তা প্রচণ্ড রোদের আলোয় কেমন ঘোলাটে। একটু পর পর দেখছি এক একজন মানুষ অজ্ঞান হয়ে পরে যাচ্ছে। তাঁকে সাইড করে বাকিরা হেটে যাচ্ছে। কারো দিকে তাকানোর ফুসরত নেই। তবে খাওয়া দাওয়ারও কমতি নেই। রাস্তার লোকজন পানি, কলা, তরমুজ শশা, বিস্কুট এনে এনে দিচ্ছিল। খাচ্ছি আর সামনে আগাচ্ছি।সকাল ৮ টায় রওনা দিয়েছিলাম, পৌছুলাম প্রায় দুপুর ১ টায়। মসজিদে নামাজ পরলাম, আমি নটর ডেম কলেজে পড়তাম তাই জায়গাটা ভালো মত চেনা। দেখি সুশান্ত স্যার বিশাল সমাবেশের দিকে হা করে চেয়ে আছে। স্যার এর দিকে চেয়ে একটু মুচকি হাসি।
মসজিদে নামাজ পরতে যেয়ে অবশ্য জুতাটা হারিয়ে গেছল। বাকি রাস্তা ফিরতে হয়েছিল খালি পায়ে। আমার লাইফে আগে কখনও এত বড় পথ পায়ে হেটে অতিক্রম করি নি। আশ্চর্যের ব্যাপার, পরের দিন থেকে পায়ে কোনও ব্যাথা ছিল না, একেবারে স্বাভাবিক।
৫ এপ্রিলের দিন যাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ভার্সিটিতে পরীক্ষা ছিল, থারমোডায়নামিক্স পরীক্ষা, যেতে পারি নি। দুর্ঘটনা তেও আর পরতে হয় নি। আমাদের মত সৌভাগ্যবান সবাই ছিল না। যেমন বুয়েটের ওই ছেলের কথা টাও বলা উচিৎ। .বুয়েটের '০৯ ব্যাচের CSE ডিপার্টমেন্টের ছাত্র রেহান আহসান। ৫মে রক্ষী বাহিনীর গুলিতে অন্যান্য অনেকের সাথে মৃত্যুবরণ করেন এই মেধাবী ছাত্রটি। হারিয়ে যায় পচা-গলা আর আবর্জনাময় এই পৃথিবী ছেড়ে। আল্লাহ্ তাকে জান্নাতবাসী করুন। মজার ব্যাপার হল, যেই বুয়েটে প্রায় চার বছর কাটিয়েছিল এই ছেলেটি, সেই বুয়েট প্রশাসনই বুয়েট ক্যাম্পাসে তার জানাজার নামাজ পড়তে দেয় নি। যেই দেশে শহরের গুরুত্বপুর্ন রাস্তার মোড় বন্ধ করে নাস্তিকের নামাযে জানাজা পড়ানো হয়, সেই দেশেরই সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের শিক্ষার্থীর জানাজা পড়তে দেয় না সেই সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের সম্মানিত(?) শিক্ষকগন। সত্যিই সেলুকাস এই দেশ।
ছেলেটির বাবা DSW স্যারকে একটা প্রশ্ন করেছিল, যার উত্তর তিনি দিতে পারেননি। হয়তো কেউই পারবে না। প্রশ্নটি হল "স্যার! আপনি কি বলতে পারেন আমার ছেলে কি অপরাধ করেছিল? আমরা তো কখনও তাকে কোন অপরাধ করতে দেখিনি!"
থাক মনের খেয়ালে অনেক কথা বলে ফেললাম। আর না। ভালো থাকবেন সবাই।
০৩ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০২
মাইরালা বলেছেন: একমত নই
২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪৮
পংবাড়ী বলেছেন: হেফাজতিরা কমশিক্ষিত মাদ্রাসার গ্রাজুয়েট, তাদের অধিকার আছে ভালো জীবনের ; কিন্তু এদের ভাবনা শক্তি পাথরের যুগের, এ ভাবে চলে না।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫১
পংবাড়ী বলেছেন: হেফাজতের ১৪ দফার কথা মনে আছে? ঐ দফাগুলো রাজনৈতিক নয়, সেগুলো নিয়ে ঢাকা শহর অবরুদ্ধ যারা করেছিল, তারা আলেম হতে পারে না; তারা যালেম ছিল।