নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন বড়ই গড়ল!!!!!!

অতি উৎসাহী!!!! কিন্তু আগ্রহ নাই!!!!

মাকালফল

অতি অল্প বয়সে পোড় খাইয়া ফালাইছি। তাই অনেকে বলে আমি নাকি পৈতা। তবে দেশের লাইগা পইতামি করতে আমার ডর নাই।

মাকালফল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হে প্রজন্মবাদীরা শোন!!!!!

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪৩

আমি তো চাইনা এ প্রজন্মের, আমি তো স্বপ্ন দেখিনি এ প্রজন্মের, যে প্রজন্ম তার বাবার, কিংবা তার দাদার অথবা নানার বয়েসি এক নির্দোষ মানুষকে তার দাড়ি ধরে লাঞ্ছিত করবে আর রাজাকারের বুলি আউরাবে, যে লাঞ্ছিত হবে শুধু ধর্মীয় বেশ-বুসার কারনে। আর আমরা প্রজন্মবাদীরা তা তৃপ্তি সহকারে দেখেও না দেখার ভান করায় মগ্ন থাকব।

কি লাভ হবে এ প্রজন্ম দিয়ে?? কার জন্য রেখে গেলে এ প্রজন্ম?? কার হাতে দিয়ে গেলে এ প্রজন্ম?? কোন প্রজন্মের জন্য এনে দিলে রক্তক্ষয়ী এ স্বাধীনতা?? আমি তো এ অপমান দেখতে চাইনি, আমি তো এ নব্য উন্মত্ততার দুয়ারে দাড়াতে চাইনি। আগে ফাঁসি চাই এ প্রজন্মের যারা হত্যা করছে তার পরবর্তী প্রজন্মের স্বাধীনতা ও নৈতিকতা কে। নয়ত এ প্রজন্ম কেবল যে রাজাকারের ই জন্ম দিয়ে যাবে।

ওহে করিতকর্মা প্রজন্মবাদীরা শোন- পারলে তোমার আপন বাবার, দাদার, নানার সকল দাড়িগুলো উপড়ে ফেল, পাড়লে টেনে ছিঁড়ে ফেল তাদের পাঞ্জাবীগুলো, নয়ত তোমার দেয়া আগত প্রজন্ম যে তোমায় ও ছাড়বে না।



একাত্মতা জানাচ্ছি সেই সাহসী প্রজন্মের সাথে যারা আজ গন মানুষের দাবিতে গর্জে উঠেছে।

আজ জেগে উঠেছে বাংলাদেশ! জেগে উঠেছে জাতি। বিবেক কি তবু এখনও ঘুমন্তই থাকবে?? এ বিবেক যেন ঘুমিয়ে না যায়। কেবল যুদ্ধাপরাধই নয় যাবতীয় সকল অন্যায়, অপরাধের বিরুদ্ধে গর্জে উঠুক এ প্রজন্ম বহুবার।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:২৯

ইউক্লিড রনি বলেছেন: গু আজমের ঘু চাটতে থাক। তগর মত বালছাল গণার টাইম নাই।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৫

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: ভাই, রাসুলের সুন্নাত দাড়ি-টুপির সবচেয়ে বড় অপব্যবহার হয়েছে একাত্তরে। সে সময়ে দাড়ী-টূপি পরেই নিরীহ মানুষদের হত্যা করা হয়েছে - যেন দাড়ি-টুপি পরে মানুষ খুন করা কোন পাপের বিষয় না।

দোষ তো সে সময়ে যারা দাড়ি-টূপির এই ধরনের ব্যবহারের পথ খুলে দিয়েছিল, তাদের। আজকে তার অপব্যবহার হচ্ছে। এইটাই স্বাভাবিক।

বাঙলার মানুষ এই দাড়ি-টুপির ব্যাপারে তখন থেকেই সন্দিহান। তাই আজো "তাদের" সন্দেহের চোখে দেখা হয়, যেমন দেখা হচ্ছে এখনকার ঢাকার ফেরিওয়ালাদের।

জানেন হয়ত, এই ফেরিওয়ালার ছদ্মবেশে অনেকেই অতর্কিতে পুলিশের উপরে হামলা করছে

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

মাকালফল বলেছেন: @ রনি, কার যে এগুলা চাটার শখ তা তোমাগো মত আবাল গুলার কথা শুইনাই বুঝা যায়। তোমাগো হাম্বালীগ বাবা তো এগুলারে ফাঁসী দিব না, বি এন পি ও না আর জামাত তো না ই। এগুলারে দিয়া পুতুল নাইচ নাচাইব, পাড়লে অগরে কও শাহাবাগ এ আইনা ছাইড়া দিতে, আমরাই যথেষ্ট, এ প্রজন্মই যথেষ্ট তাদের উপযুক্ত বিচার করার।
তোগো গনার আশায় কে বইয়া থাকে।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

মাকালফল বলেছেন: @নিষ্‌কর্মা.।। ভাই, আমিও জানি, আমাদের উচিত যারা যারা ৭১ এর এ বর্বরতার সাথে জড়িত তাদের অবিল্মবে আইনের আওতায় নিয়ে আসা, সে হোক দাড়ি টুপি ওয়ালা, আর কোর্ট ওয়ালা। তাদের চেনা সত্তেও তারা যদি এভাবে জনসম্মুখে ঘুরে বেড়ায়, তখন তাদের ভিড়ে ২, ৪ টা ভাল মানুষ ও তো বিপদে পড়ে যায়।
আর আমরাই তো এখন বাটপার হয়ে গেছি, খোলসের আড়ালে কাজ করতে ভালবাসি, তাতে ধর্মের বাড়টা বাজুক আর নাই বাজুক, কিন্তু এইভাবে দাড়ি টুপি নিয়া বিশ্রী কারবার করলে এক সময় সুবিধাবাদীরা আবার নতুন সু্যোগ পেয়ে যাবে, আবার হয়ত ধর্মীয় উগ্রতাকেও তা উস্কে দেবে । তখন আপনার আমার বাবা, চাচারাও হয়ত একদিন ঐ বৃদ্ধের মত লাঞ্চিত হয়ে একগাল খিস্তি আউরিয়ে ঘরে ফিরবে। কাজেই যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের এখনি বৃত্তের ভেতরে নিয়ে আসা দরকার।

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

খুব সাধারন একজন বলেছেন: সময় যত গড়ায় প্রোপাগান্ডা ততই সূক্ষ্ণ হয়।

পোস্টদাতার উদ্দেশে বলছি না, সার্বজনীন কথা,

*যারা প্রথমদিন লিখেছিল রাজাকারের মুক্তি চাই/জয় রাজাকার/আমি রাজাকার/জামাত জিন্দাবাদ/কাদের মোল্লার জয় ইত্যাদি,
*তারাই দ্বিতীয়দিন লিখেছিল আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলনে নামা বাংলাদেশের সব স্তরের মানুষেরা বেশ্যা, আমরা গাঞ্জুট্টি, নাস্তিক, রেপিস্ট, ভাড়াটে, জুসের বোতল লোভী,
*তৃতীয় দিন লিখেছিল, তারাও বিচার চায়, কিন্তু...
*তারাই চর্তুথ দিন লিখেছিল আমরা ফ্যাসিস্ট,
*পঞ্চমদিন লিখেছিল আমরা আর কয়দিন থাকব- একদিন রাজপথ ছেড়ে দিতে হবে,
*এরপর লিখেছিল আমরা কোটাবাজ (মুক্তিযুদ্ধার সন্তানের কোটা!), সাগর রুনী হত্যা, পদ্মা সেতু, কুইক রেন্টাল,
*সপ্তম দিন আর আমাদের বিরুদ্ধে কিছু বলে না, আওমী দলে থাকা রাজাকার ও ছাত্রলীগের বদনাম,
*এরপর দাড়ি টুপি ও মসজিদের অপমান ও আলেম সমাজ (আসলে শিবির)এর মিছিলে হামলা, সেন্টিমেন্ট নিয়ে টানাটানি, অথচ লক্ষ লক্ষ প্র্যাকটিসিং মুসলিম এই বাংলাদেশের আন্দোলনে জড়িত।
*নবম দিনে বলে, এই আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাবে, লীগও এই আন্দোলন চায় না, আওয়ামীলীগ করলেই কি যুদ্ধাপরাধ থেকে মুক্তি?
*দশম দিনে হুমকি দেয়, শাহবাগ আন্দোলন সফল তো হবেই না, বরং প্রশাসন ও অন্যান্য জায়গায় এটা হবে, সেটা হবে, শিবির সব মেরে ফেলবে (আন্দোলন শুরুর আগেরদিন যা বলেছিল, সে কথাতে ফিরে গেছে, 'গৃহযুদ্ধ' হুমকি দিলে ফ্যাসিস্ট হয় না, যারা গৃহযুদ্ধ রুখতে চায় তারা ফ্যাসিস্ট!)

আর আজকে একাদশ দিনে তারাই বলছে,

আর শাহবাগ যামু না। শাহবাগ বদলায়া গেছে।

আর তখন মধ্যম মানের শিল্পকর্ম ১০/২০/৩০ খান ফেববু শেয়ার পায়। অথচ বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার বিপ্লব এ অংশ নেয়া সব স্তরের বাংলাদেশের নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করা চমৎকার পোস্টগুলো একটাও প্লাস পায় না, একটাও প্রিয়তে পায় না, একটাও ফেসবুক শেয়ার বা মন্তব্য পায় না।


আর দলে দলে সেখানে সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছে 'বাংলার' 'সাধারণ' জনতা যারা শাবাগ যেতে যেতে ক্লান্ত। ভোটের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।

বাহ,
আমরা আমাদের র্ধৈয্য দেখে অবাক হচ্ছি।
আমরা এতই বদলে গেছি যে ফুল দিয়ে যুদ্ধ করতে চাই, ফুল বাঁচাতে নয়।

----------------------------
হায়রে, পরিস্থিতি ও প্রচারণা দেখে মনে হয় জামাত শিবিরও কি এইরকম মনে করে?

* ইয়াহিয়া খান- তিরিশ লাখ মারব, বাকিরা আমাদের হাতেই খাবে।
*নিয়াজী- নিচু দেশের নিচু মানুষ। এগুলো মানুষ না,বানর আর মুরগি।
*পাক আর্মির ক্যাপ্টেন- আমরা যাকে খুশি যে কোন কারণে মারতে পারি। এজন্য কাউকে গোণায় ধরি না।
*ভুট্টো, ১৯৭২- আমার সোনার বাংলা আবার আমার হবে।

-------------------------------
কারণ বাংলাদেশের জন্ম যারা চায়নি এবং সেইসব অপরাধীকে যারা টিকাতে চায় তারা একই কথা বলে-

১৯৭১ সালে জামাত ছিল না। গঠন হইসে আশি সালের পর।
২. শিবির বা কোন ছাত্র সঙ্গঠন একাত্তর সালে ছিল না।
৩. একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধা নামে বহুত ডাকাত আর রেপিস্ট ছিল। তারা অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াত। লুট করত আর ক্যাম্প করে মেয়ে মানুষ নাচাত।
৪. শিবির জামাতের পক্ষের সঙ্গঠন নয়।
৫. ছাত্রীসংস্থার সাথে জামাতের কোন সম্পর্ক নেই-
৬. এজিদ একজন ন্যায়বিচারক শাসক। তিনি এই দেশে আসলে আমরা সবাই তার হাতে বায়াত হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা তুলে দিতাম।
৭. শহীদ বুদ্ধিজীবীর যে ছবি দেয়া হয়। চোখ বাধা ইটপাটকেলের ভিতর পড়ে থাকা অর্ধনগ্ন লাশ, সেগুলো আসলে একাত্তর সালে গণহত্যার শিকার জামাতে ইসলামীর সদস্য।
৮. শিবির, 'একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার'
৯. স্বাধীনতা এনেছি, স্বাধীনতা রক্ষা করব। -মুজাহিদ।
১০. মুজিব ক্ষমা করেছেন। সবাইকে সাধারণ ক্ষমা করেছে। (মিথ্যা কথা এটাও)
১১. বাংলাদেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নাই।
১২. আমি ক্ষমতায় আসলে কুরআনের আইনে তাদের শাসন করব। তাদের হাত সাক্ষ্য দিবে। পা সাক্ষ্য দিবে। -কা. মো.
১৩. বাঙালি বলতে কোন জাতি নেই।-গোলাম আজম।
১৪. এই যুদ্ধে পরাজয় হলে পূর্ব পাকিস্তানের একজন জামায়াত সমর্থকেরও আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।- গোলাম আজম।

----------------

একাত্তরে কোন ব্যক্তি রাজাকারি করুক আর না করুক, জামাতি সঙ্গঠন সাঙ্গঠনিকভাবেই রাজাকারি করেছে।
এটা ছিল তাদের প্রতিষ্ঠাতা আবুল মিয়ার নির্দেশ। আবুল জামাতি (জামাতিদের পিতা) একাত্তরেও মিডিয়াতে রাজাকারির নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান থেকে-

*সেই নির্দেশ গোআ, ম.র.নিজামী, আআ মুজাহিদ, ওরা পালন করেছে মাত্র।
*সেই নির্দেশ সারা বাংলার রেজাকার, আল বদর, আল শামস, শান্তি কমিটি পালন করেছে মাত্র।
*সেই নির্দেশ বর্তমান জামাত পালন করছে মাত্র।
*সেই নির্দেশ পালনের জন্যই আজো শিবির বলে, 'একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেক বার।'
*সেই নির্দেশ পালন করেই জামাতিরা সব সত্যিকে অস্বীকার করে। একাত্তরকে অস্বীকার করে।
*সেই নির্দেশ পালন করেই এখন প্রোপাগান্ডা চালায়।
*সেই নির্দেশ পালন করেই বাংলাদেশের মানুষকে শত্রু বানিয়ে গৃহযুদ্ধ ঘোষণা করে।

তাই আজকের দিনের জামাত-শিবির সমর্থকদের মধ্যে,
গোলাম আজমের,
বর্তমানের শিবিরের এবং
রাজাকারদের মধ্যে কোন তফাত নেই

জামাতের গোড়ায় দোষ,
জামাতের নীতিতে দোষ,
তাই ব্যক্তি পর্যায়ে জামাত নিষিদ্ধ করতে হবে। যারা জামাতের সাথে যুক্ত তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি বিধায় স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে ব্যক্তিগত পর্যায়ে জামাত ও তার সমস্ত নীতিগত সমর্থক ও তাদের সব ধরনের প্রাতিষ্ঠানিকতা নিষিদ্ধ করতে হবে।

এই কর্মীদের লিস্ট জামাতের কাছেই রয়েছে। যারা দেখেশুনে এবং বুঝেও এমন অপপ্রচার ও অপশক্তির সমর্থন করতে পারে তাদের নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখা সম্ভব নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.