নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন বড়ই গড়ল!!!!!!

অতি উৎসাহী!!!! কিন্তু আগ্রহ নাই!!!!

মাকালফল

অতি অল্প বয়সে পোড় খাইয়া ফালাইছি। তাই অনেকে বলে আমি নাকি পৈতা। তবে দেশের লাইগা পইতামি করতে আমার ডর নাই।

মাকালফল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্যরকম ঈদের খুশি!!!!!!!

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪১

গত মাসে পাওয়া বোর্ড বৃত্তি আর মেডিকেলে পড়ার সুবাদে স্বনাম ধন্য এক কোচিং সেন্টারে গুটিকয়েক ক্লাস নেওয়ার দরুন মোটামুটি স্থূল পরিমান টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছিলাম। সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমান টাকাও আলাদা করে সরিয়ে রেখেছিলাম, ঘটা করে এবারের ঈদ শপিং করব এই আশায়। সিলেট থেকে বাসায় ফেরার পর পরই ভাবনা কিঞ্চিৎ অন্য দিকে মোড় নেয়। শপিং করব তবে তা নিজের জন্যে নয়। চার পাঁচ দিন হল ঢাকায় এসেছি। এরই মাঝে যাবতীয় ব্যস্ততার ফাকে বার কয়েক ঢু মেরেছি শপিং মল গুলোতে কিন্তু কোনভাবেই কোনটা পছন্দ হচ্ছিল না। ২-১টা পোশাক যাও একটু চোখে লাগছিল তাও আবার সন্দেহের বাতিকেরে বাড়াবাড়িতে ফিরিস্তি গুনল। সন্দেহ না হয়েও বা উপায় কি? এ ধরনের পোশাক কেনার অভিজ্ঞতা তো আর এর আগে কখনো হয়নি তাও আবার তা যখন বিশেষ কিছু মানুশের জন্য হয় তখন তো আর শঙ্কা মনে না উঁকি দিয়ে পারেই না।দিন কয়েক বোকার মত ঘোরাঘোরির পর অবশেষে সেই কাঙ্খিত জিনিসটা কিনেই ফেললাম। এবার যথা বস্তু তথা স্থানে পৌঁছানোর পালা!! কিন্তু মনের মধ্যে কেবল প্রশ্নের সুড়সুড়ি চলতে লাগল-পছন্দ করবে তো? দেখতে মানাবে তো? কলিং বেল চাপতেই গলা শুকিয়ে এল। একপাক ঘামের প্রস্রবন ও নেমে এল শরীর জুড়ে। আল্লাহর নাম নিয়ে ঢুকে পরলাম। ১খানা ব্যাগ ছোট বোনের হাতে দিয়ে বললাম – দেখতো পছন্দ হয় কিনা?? বোনের দিকে তাকিয়ে আছি কিন্তু চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই প্রতিক্রিয়া কি? তবে মনে হল যেন চলবে আর কি! তারপর সাহস করে অপর ব্যাগখানা আম্মার হাতে দিলাম। আমার আর সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সাহস হলোনা। দ্রুত হেঁটে পাশের রুমের দরজার আড়ালে চলে গেলাম। অনাগত দৃশ্য কি হয় তা দেখার আশায়। পরবর্তী ২-১ মিনিট যা দেখলাম তা একান্তই মা হিসেবে তার ছেলের প্রতি স্নেহানুভূতির কিয়দংশ বিস্ফোরন হবে হয়ত। আম্মা মুচকি হাসলেন আর সাথে কয়কফোটা অশ্রুর নির্গমনও দেখলাম। ব্যাস নিজেকেও আর সামলাতে পারলাম না। যা বুঝার বুঝে নিলাম। আমার জন্য যেন এ মুহূর্তটা ঈদের খুশির চেয়েও বেশী ছিল। পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী আর সৌভাগ্যবান মানুষ মনে হচ্ছিল নিজেকে। মায়ের ভালবাসার এ পর্দা এবারই প্রথম অন্যভাবে অবলোকন করলাম।

বোধ হয়াওর পর থেকে প্রত্যেক ঈদেই তো বাবা মার কাছে বায়না ধরে এটা-সেটা আদায় করেছি। এবারের ঈদটা তাই মা আর আদরের ছোট বোনটির জন্য উৎসর্গ করলাম।এবার নিজের জন্যে হয়ত আর কিছু কিনছি না। তবে যে প্রশান্তিটুকু কিনে নিলাম তা তো আর টাকায় মূল্যায়িত হবার নয়। পৃথিবীর তাবত সম্পদের বিনিময়েও হয়ত তা পাওয়া যাবে না। জীবনের উঠতি পর্যায়ে নিজের উপার্জিত গুটিকয়েক টাকায় মা বোনের জন্য ঈদের পোশাক কেনার এই সরস অভিজ্ঞতা আর তাদের সেই অকৃত্রিম হাসিটা বার বার দেখার সুযোগ হয়ত তেমন মিলবে না। তাই এবারই সাহসটা করেই ফেললাম।



যাবতীয় ব্যাপারটা জানান দেয়ার ইচ্ছা ছিলনা।কিন্তু করব কি বলেন??- এ সুখানুভূতিটা কাউকে না জানিয়েও শান্তি পাচ্ছিলাম না আর বলার ও তেমন মানুষ পাচ্ছিলাম না। তাই আধা জল খেয়ে ফেসবুক দেয়ালের দ্বারস্থ হলাম।







মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.