নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব কিছুই পড়তে পছন্দ করি.........সব

গোধুলী রঙ

গোধুলী রঙ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিভাবে করবো পানির অপচয় রোধ, এ হাউটু পোস্ট, নিজের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা এবং অনুসারিত পদ্ধতি থেকে

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

এই পোস্টটি আসছে বোরো মওসুম: শুরু হবে পানি সংকট লেখা থেকে অনুপ্রানিত।

আমি পানির অপচয় রোধে আমার শহুরে জীবনে কিছু নিয়ম অনুসরন করি, পরিবারের সদস্যদের বাধ্য করি এবং বন্ধু-সহকর্মীদের আড্ডায় বিষয়টা উপস্থাপন করি, নামাজের পর মুক্তাদিদের বলি (আমি আমার অফিসের নামাজের জামাতে মাঝে মধ্যে ইমামতি করি)।

আমার গ্রামের বাড়ি যেখানে, সাতক্ষীরার বর্ডার এলাকায়, সেখানে সুপেয় পানির ব্যবস্থা মোটামুটি নাজুকই বলা যায়, আরো দক্ষিনে আরো খারাপ অবস্থা বিশেষ করে শীতকালে আর গ্রীষ্ম কালে। একটা উদাহরন দেই, সুন্দরবন এলাকায় একজন মহিলার মোটামুটি আধাবেলা যায় সারাদিনের প্রয়োজনীয় খাবার পানি যোগাড় করতে।

আমার অনুসৃত নিয়ম গুলো
১। অজু করা - বাসায় মগে পানি নিয়ে অজু করি। দেড় লিটারে ভালো মতই হয়ে যায়। মসজিদে যেহেতু ব্যবস্থা নেই তাই ট্যাপটা ছেড়ে হাতের তালুকে কাপ বানিয়ে পরিমান মত পানি নিয়ে ট্যাপ বন্ধ করে দেই, এইভাবে বারবার ট্যাপ অফ/অন করে অজু শেষ করি। লোকজন আমার দিকে হা কইরা তাকাইয়া থাকে। মনে করে আমি ট্যাপটা নষ্ট করে ফেলতেছি। এটুকু বোঝে না, একটা ট্যাপের দাম এক কাপ পানির তুলনায় নস্যি।

২। ব্রাশ করা - ব্রাশ করা শেষ হলে মগের পানি দিয়ে ব্রাশ ধুয়ে ফেলি। ব্রাশে পেস্ট নিয়ে একটু ভিজিয়ে ব্রাশ করা শেষ করে ব্রাশ ধোয়া অব্দি পানির ট্যাপ চালু রাখাকে আমি মোটামুটি ফৌজদারি অপরাধ সমান মনে করি।

৩। গোসল করা- বালতিতে পানি নিয়ে । লাইট গোসল ৫-৬ লিটার পানিতে শেষ করতে পারি, অনেক সময় প্রায় ২০ লিটার ব্যবহার করি। গোসলের সময় পরিধেয় বস্ত্র ছোটতর হওয়াই ভালো, যদি প্রাইভেসি ভালো থাকে, এতে পানি কম খরচ হয়।

৪। বাসন ধোয়া - বাসন গুলো আগে মেজে ঘষে পরিষ্কার করি তারপর ট্যাপ ছেড়ে সেগুলো একটা একটা করে ধুয়ে ফেলি। আপনার বাসার কাজের লোকটা দেখবেন কাজটা অন্যভাবে করে - ঘষামাজা টু ধোয়া - পুরো সময় ট্যাপ চালু। বারন করবেন, পদ্ধতি শিখিয়ে দিবেন, ধমক দিবেন না কারন তারা আপনার মত শিক্ষিত নয়।

৫। সবজি ধোয়া- কাটার আগে হাত, সবজি, বটি বা ছুরি আগে ধুয়ে নেই ভালো ভাবে। এটা পানি খরচ বাচায় একই সাথে নিরাপদও। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য।

৬। কাপড় ধোয়া - কাপড়ে সাবান ঘষার দরকার হলে ঐ সময়টাতে ট্যাপ বন্ধ। তবে নিজের সেন্স ব্যবহার করে এখানে পানি ব্যবহার ভালোভাবে অপটিমাইজ করা যায়।

৭। হোটেলে খাওয়া - গ্লাসে ততটুকুই পানি ঢালি যতটুকু খেতে পারি, পানির অর্ডার ততটুকুই করি যতটা খেতে পারি।

জায়গামত আরো অনেক কিছুই করি যার জন্য দরকার নিজের সেন্সিবল মাইন্ড। দয়া করে আমাকে কেউ মহাজ্ঞ্যানি বা ঋষি পর্যায়ের কেউ ভাববেন না, এগুলো মানা দরকার, আমি মানি তাই আপনাদের মানতে বললাম, এটা যেমন আপনার সন্তানের ভবিষ্যত ভালো করবে তেমনি আপনারও।

সৃষ্টিকর্তা আপনার নিয়ামত কমিয়ে দিবেন যদি আপনি অপচয় করেন।
আসুন পানির ব্যবহারে নিজে অপচয় না করি আর অন্যকে করতে বাধা দেই।



মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: পানির অপর নাম জীবন

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: আমি কাপড় ধোয়া পানি গাছে দেই

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

গোধুলী রঙ বলেছেন: ভালো আইডিয়া, আমিও কাজে লাগাবো, তবে সাবান মিশানো পানি বালতিতে আলাদা রেখে ফ্লাশের কাজে ব্যবহার করি আমি। দুইটা কাজ হয় এতে কমোডের গন্ধও চলে যায়, ফ্ল্যাশও হয়।

৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: আমি সাধারণত টেপে অযু করি না। বদনা ব্যবহার করি। যদি কখনও টেপ ব্যহার করতে হয় তাহলে বাম হাত টেপে রাখি। বারবার বন্ধ করি।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

গোধুলী রঙ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুপান্থ সুরাহী, এই পোস্টটি মুলত আপনার পোস্ট থেকে অনুপ্রানিত হয়েই লেখা, সেখানকার কিছু আইডিয়া আমি নিজেও অনুসরন করি সেগুলো দিয়েই এই পোস্ট। আমাদের আসলে দরকার আপনার মত চিন্তাশীল মানুষ যারা অপরকে সচেতন করতে পারে গঠনমূলক ও তথ্যভিত্তিক লেখা দিয়ে।

গতকাল সেন্টমার্টিন ঘুরে এলাম, ওখানকার মানুষও ভালো পানি সচেতন, কারন তারা আল্লাহর এক অপার নিয়ামত পেয়েছে ৭-৮ ফুট গভীরেই সুপেও পানি এবং তারা সেটা বোঝে, অন্তত কিছু স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলে এটাই বুঝলাম, তবে সচেতন নই আমরা।

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। সুন্দর একটি পোষ্ট। ভাল লাগা রইল

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪

গোধুলী রঙ বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই বিদ্রোহী সিপাহী

৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

জে.এস. সাব্বির বলেছেন: আমি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করি পানি ,বিদ্যত্‍ এবং গ্যাস যত কম ব্যবহার করা যায় তত কম করতে । কিন্তু আপনাদের মত এত আইডিয়া ছিল না- রিসাইকেল এর ঞ্জান দিয়া পানি অপচয় রোধ করতে ।
অনেক ভাল লাগল । সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো ,থিওরি গুলো কাজে লাগাতে ।ধন্যবাদ ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫১

গোধুলী রঙ বলেছেন: ধন্যবাদ, সকলের চেষ্টায় এগিয়ে যাক বাংলাদেশ

৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
মাশাল্লাহ্ ! অনুসৃত নিয়মগুলো যথেষ্ট আঁটসাঁট দেখছি। প্রেরণা/সচেতন হলেম, গোধুলী রঙ। আপনাতে ধন্যবাদ জানাচ্ছি লিখাটির জন্য।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫২

গোধুলী রঙ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। আসলে নিয়মকানুন সবসময় আটসাটই মনে হয় তবে তা নিজের এবং দশের জন্য ভালো।

৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সারোয়ার ইবনে গিয়াস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৩

গোধুলী রঙ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৬

আব্দুল্যাহ বলেছেন: এভাবেই একদিন এগিয়ে যাব, সুন্দর পোস্ট।
আগামী প্রজন্ম থাকবে নিরাপদে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৩

গোধুলী রঙ বলেছেন: ধন্যবাদ, সকলের চেষ্টায় এগিয়ে যাক বাংলাদেশ

৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাল বলেছেন। এগুলো অত্যাবশ্যকীয় ভাবেই করা যায়।

আর গোসলের সময় শাওয়ার ছেড়ে গোসল করাটা - কেউই সাপোর্ট করে না। গোসলে প্রতিটা পশমকে পানি দিয়ে ধৌত করতে হয়। এটার জন্য ঝর্ণা চালু করে যান্ত্রিক ভাবে গোসল করলেও পশম ভিজে কিন্তু এতে পরিপূর্ণ গোসলটাই হয় না। কারণ আমাদেরকে বলাই হয়েছে, পশমকে নিজ হাতে ধৌত করতে - যন্ত্র দিয়ে নয়।

আর, খাওয়ার পানির ব্যাপারটা শুধু হোটেলেই নয় - বাড়িঘরেও করা দরকার। এরজন্য ভাল একটা উপায় হতে পারে - প্রত্যেকেরই পানি খাওয়ার জন্য নিজস্ব একটা পাত্র থাকলে।

পোষ্টে +।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৫

গোধুলী রঙ বলেছেন: স্মার্টনেস হলো নিজের সেন্স ব্যবহার করে যথাযথ ব্যবহার। এগুলো অত্যাবশ্যকীয় ভাবেই করাই দৈনন্দিন জীবনের স্মার্টনেসের অংশ।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

১০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১০

মানবী বলেছেন: সুন্দর সচেতনতামূলক পোস্ট!

শাওয়ার করার সময় বা থালাবাটি ধোয়ার সময় অহেতুক নন স্টপ পানি ছেড়ে রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই অথচ অধিকাংশজনই এই ভুলটা করে থাকেন।

ধন্যবাদ গোধূলী রঙ

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৪

গোধুলী রঙ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। সবাই সচেতন হলে একদিন সত্যিই এগিয়ে যাবে আমাদের দেশ। শুধু পানির ব্যবহারের ক্ষেত্রে নয়, বিদ্যুত, গ্যাস ব্যবহারেও এমনকি রাস্তায় চলাচলেও।

১১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪১

রাতুল_শাহ বলেছেন: "পানির অপচয়!!!"
এই কথাটা অনেকের কাছে , "অপরিচিত"। তাদের কাছ মনে হয় পানির কোন অপচয় নেই।

গোসল করার সময়, কাপড় পরিষ্কার করার সময়, শেভ করার সময়, ব্রাশ করার সময় ইচ্ছামত পানির অপচয় করে সবাই।
কিন্তু পায়খানা করার পর মানুষের পানি ব্যবহার কমে যায়। তখন তাদের মনে হয়, পানির অপচয় হচ্ছে।


০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৮

গোধুলী রঙ বলেছেন: কর্পোরেট অফিসগুলোতে ফ্লাশে পানির প্রচুর অপচয় হয় বলেই আমার মনে হয়, একটু স্মার্ট টাইপের কমোড ব্যবহারে এসব অনেক কমানো যায়।

আসলে সবচে বড় সমস্যা হচ্ছে "খাইচলত" । আমাগো এইডাই ঠিক নাই, এইডা ঠিক হইলে সব কিছু আপনা আপনি ঠিক হয়ে যাবে।

১২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ঠিক বলেছো :):):):)

http://www.somewhereinblog.net/blog/debajyotikajal/30088717

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২০

গোধুলী রঙ বলেছেন: :)

কবিতা সুন্দর হইছে।

১৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৫

কর্কট জাতক বলেছেন: অনুপ্রাণিত হলাম, সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২০

গোধুলী রঙ বলেছেন: ধন্যবাদ, সকলের চেষ্টায় এগিয়ে যাক বাংলাদেশ

১৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: কবিতাটা পড়বে:D:D:D(#)

http://www.somewhereinblog.net/blog/debajyotikajal/30090525

১৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:

বিশুদ্ধ পানির জন্য মানুষকে অনেক শ্রম দিতে হবে একদিন

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৫

গোধুলী রঙ বলেছেন: ঠিক, অনেক জায়গায় এখনি দিচ্ছে। গ্রামে আমার বাবা প্রতিদিন সাইকেলে করে তিন কিলোমিটার দূর থেকে ২০ লিটার খাবার পানি ভরে নিয়ে আসে। সুন্দরবন এলাকায় আরো ভয়ানক অবস্থা, বিশেষত খুলনার কয়রা, সাতক্ষীরার শ্যমনগরের কিছু অংশ।

১৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৭

উল্টা দূরবীন বলেছেন: শীতকালে আমি গোসল করি না। পানি অপচয় রোধে আমি এক নাম্বার . :P

আগের লাইনটা মজা করে লিখছি।
আমাদের সবার পানি অপচয় রোধে একসাথে সচেতন হওয়া উচিত। তিন ভাগ জলের মাত্র ১ ভাগও পানের উপযোগী নেই আর।
সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ এবং আমার ব্লগে আমন্ত্রণ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৬

গোধুলী রঙ বলেছেন: ধন্যবাদ, শীতকালে আমিও মাঝে মধ্যে গোসল করি না, এটা মজা নয় সিরিয়াসলি করি, তবে সেটা পানির অপচয় রোধ উদ্দেশ্যে নয়।

ঠিক, সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে নিয়ামত নির্দিষ্ট। তিন ভাগ জলের একভাগ পানযোগ্য হলেও যদি অপচয় না করে ব্যবহার করি তবে আশা করা যায় সারা দুনিয়ার মানুষের জন্য সেটা যতেষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু আমরাই তো ক্ষতির ভাগিদার, কারন আমরাই নদীর ফ্লো পরিবর্তন করেছি, মিষ্টি পানি লোনা করেছি, আমরাই দেদারছে পানি নষ্ট করছি।

আমি সাধারনত ব্লগ লিখিনা আলসেমির কারনে আর একটা কারন আমার চিন্তা ভাবনা গুলো এলোমেলো। তবুও অনেকদিন পর একটা লিখলাম, এসে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার আমন্ত্রন গ্রহন করলাম।

১৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৩

প্রামানিক বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

গোধুলী রঙ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই, আপনি আমার ব্লগে এলেন, আমি ধন্য।

১৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ভাল পোস্ট:D:D:D

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৭

গোধুলী রঙ বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো অনেক । এভাবে সবাই চিন্তা করতে পারলে পৃথিবীর চেহারাই বদলে যেতো।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

গোধুলী রঙ বলেছেন: আমি খালি চিন্তায় না কাজে করি এইগুলো।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

গোধুলী রঙ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

২০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: এই রকম ছোট্ট ছোট্ট জিনিসগুলো আমরা প্রায় বেমালুম এড়িয়ে যাচ্ছি, অথচ আল্লাহ একসময় প্রতি বিন্দুর হিসেব নিবেন সেগুলার।

পোস্টে প্লাস।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

গোধুলী রঙ বলেছেন: শতভাগ ঠিক। কিন্তু কয়জন মনে রাখি খরচ করার সময়। হিসাব তো কিয়ামতে হবে, তখনকার চিন্তা তো পরের ব্যাপার, মরনটা দুনিয়ায় হবে, তাও যেকোন সময়, সেটারই খেয়াল কয়জন রাখে!!

২১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: শোধিত পানির অপচয় রোধ জরুরি।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

গোধুলী রঙ বলেছেন: ঠিক, আমাদের কর্তাব্যাক্তিরা এর জন্য নতুন কোন পদ্ধতি বাতলে দিবেন না, এই জন্য নিজেদের উদ্যোগেই আপন আপন ক্ষেত্রে কিছু করার চেষ্টা।

২২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


গ্লোবেল ওয়ার্মিং আমাদের মাটির নীচের পানি নস্ট করবে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৩

গোধুলী রঙ বলেছেন: তার আগেই আমরা শুষে নিবো। উন্নত দেশের শহর গুলোতে মাটির নিচের পানির চেয়ে উপরের পানির গুরুত্ব দেয়, বড় বড় লেক, পানির ড্যাম বিশুদ্ধ পানিতে ভরে রাখে, আমরা সমানে নদী ধ্বংশ করেছি আর চাষ ও দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য মাটির নিচের পানি শোষন করেছি। গ্লোবাল ওয়ার্মিং যদি ৩০ ভাগ দায়ী হয় তবে আমরা দায়ী ৭০ ভাগ।

২৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৫

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: আমি পানি অপচয় রোধে সর্বচ্ছো চেষ্টা করি যদিও আমাদের এখানে পর্যাপ্ত পরিমান পানি রয়েছে ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭

গোধুলী রঙ বলেছেন: "যদিও আমাদের এখানে পর্যাপ্ত পরিমান পানি রয়েছে" - কেডা কইছে!!!

উত্তরের শ্যালোতে পানি না ওঠার কথা শুনেছেন কখনো? কেরানীগঞ্জে গরমকালে থেকেছেন কখনো?? সাতক্ষীরা সুন্দরবন এলাকায় মার্চ-জুন মাসের মধ্যে গিয়েছেন কখনো???

ভাইজান কি ঢাকায় থাকেন? ট্যাপে সবসময় পানি থাকে তার মানে এই নয় যে আমাদের পর্যাপ্ত পানি আছে। তবে এটা শুনে খুশি হলাম যে আপনি চেষ্টা করেন, অন্যকেও বলবেন।

সর্বোপরি, প্রাকৃতিক সম্পদ অপচয় করা অন্য অপচয় থেকেও বড় পাপ, কারন এতে দেশের ক্ষতি - দশের ক্ষতি।

২৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: ভাই আমি বাংলাদেশের একটা দ্বীপে থাকি।জানেন তো দ্বীপে পানির পরিমান কি রকম।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

গোধুলী রঙ বলেছেন: সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রচুর মাটির নিচের সুপেয় পানি, কিন্তু আমি স্থানীয়দের দেখেছি অপচয়ের ব্যাপারে অনেক সচেতন। হাতিয়া বা অন্য দ্বীপগুলোর অবস্থা জানিনা কারন যাইনি কখনো। তবে সর্বোপরি বাংলাদেশে সুপেয় পানির অবস্থা খুব ভালো আছে তা বলার উপায় নেই, আর যেমন মিসম্যানেজমেন্ট তাতে খুব শিঘ্রই যে বিপদ আসতে যাচ্ছে তা নিশ্চিত।

২৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
পোস্ট ভাল হয়েছে এটা বলাই বাহুল্য। নিজের পেশায় এক নতুন উপদ্রব শুরু হয়েছে। ইদানীং হঠাৎ করে ধনী বাঙ্গালী খুব LEED নিয়ে পড়েছে। কিভাবে লিড গোল্ড বা প্লাটিনাম পাওয়া যায় সে চেষ্টায় সবাই খুব সচেতন হয়ে পড়েছে। দেখি আর মনে মনে হাসি। এমনও হয়েছে যে পানির ফসেটে কর্ক ঢুকিয়ে ফ্লো রেট কমিয়ে লিড সিলভার নেয়া হয়েছে। অনেকটা Accord আর Alliance এর খবরদারীর মত।

এ প্রসঙ্গে আরও দু'একটা কথা মনে এলো। গ্যাসের অপচয়। অনেকেই অপচয় বলতে কেবল বাসা বাড়ীতে চুলা জ্বালিয়ে রাখা বোঝেন। গৃহস্থালী কাজে মাত্র ৭% এর মত ব্যবহার হয়। একেকটা কারখানায় যে কি পরিমাণ অপচয় হয়, তা সুকৌশলে চেপে রাখা হয়। বিশাল বিশাল সব কোম্পানী, যাদের মালিকেরা বহু খেতাবের অধিকারী, তারা বহু অর্থ ব্যয় করেন গ্যাসের বিল না দেয়ার জন্য। অনেকে মিডিয়াকে বহু টাকা দেন যেন এ নিয়ে কোন রিপোর্টিং না হয়। এক ধনকুবেরের চাকরী করতাম। তার ফ্যাক্টরীতে তিতাসের পুরো টিমকে ধরে মার দেয়া হয়েছিলো।

কথা একটাই। এক সময় এটা শেষ হবে। তখন কি হবে?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

গোধুলী রঙ বলেছেন: তখন আর কি হবে!!! সুন্দরবন উজাড় করে কাঠ কেটে রান্না চলবে, ফ্যাক্টরি চলবে তেলে!!

আমি আশা করি, ঢাকায় আবার খোলা সবুজ উদ্যান হবে, গরু ছাগল চরিয়ে বেড়াবে, তাদের গোবরে বায়োফুয়েল হবে, বাড়ির চালে চালে থাকবে সোলার প্যানেল। :D :D

২৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

বিজন রয় বলেছেন: বেটার পোস্ট।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

গোধুলী রঙ বলেছেন: B-)

২৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

জুন বলেছেন: আপনার মত আমরা সবাই সচেতন হই ।
সবচেয়ে পানি অপচয় করে বুয়ারা থালা বাসন ধোয়া আর কাপড় কাচায় । কল বন্ধ করার নামটিও নেই যতক্ষন না চেচামেচি করে বন্ধ করতে বলা না হয় ।
+

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

গোধুলী রঙ বলেছেন: আমার হোম ম্যানেজার এইসব বুয়াদের ভালো মত হ্যান্ডেল করতে পারে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, আমার ব্লগে আসার জন্য।

২৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

জুন বলেছেন: না ভাই আমি পারি না । এতে আমার বুয়ারা আমাকে কৃপন বলে আখ্যায়িত করে আরো দশ বাড়ীর রেফারেন্স দিয়ে কাছ ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয় । এখন তো আর সেই যুগ নেই যে ভাত ছড়ালেই কাক আর টাকা ছড়ালেই বুয়া :( তারপর ও আস্তে আস্তে পাশে গিয়ে অনুরোধের ভঙ্গীতে ধর্মের দোহাই দিয়ে একটু বলি । কিন্ত সেই একদিন ই সেটা কার্যকর হয় ।
ধন্যবাদ

২৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওয়াশিং মেশিন অনেক পানি নিয়ে নেয় :(
বাকি গুলো নিজে চেস্টা করি বাচ্চাদের শিখানোর ও চেস্টা করি এবং বুয়া র খেয়াল ও রাখব।
ধন্যবাদ পোস্ট এর জন্য :)

৩০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১১

বিজন রয় বলেছেন: নতুন লেখা দিন।

৩১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সব যায়গায় ঘর তুলে জমি নস্ট করছে বাংগালীরা; এটা নিয়ে আলাপ করুন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৪৫

গোধুলী রঙ বলেছেন: ঠিক আছে, তবে আগে কিছু জ্ঞ্যানার্জন করতে হবে, শুধু অব্জারভেশন থেকে কাউকে কোন কাজে দায়ী করতে ইচ্ছে করে না। অনেকদিন পর ফিরে এলেন, ভালো লাগছে দেখে।

৩২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

জুয়েল ০১ বলেছেন: আমরা একটি ডিরেক্টরি ওয়েবসাইটের জন্য বাংলা ব্লগার/আর্টিকেল লেখক খুঁজছি। যদি আগ্রহী থাকেন, তাহলে বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার ইমেইল ঠিকানা আমাদের জানিয়ে যোগাযোগ করুন।

৩৩| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ১২:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, এ পোস্টের জন্য। আপনি পোস্টে যা যা বলেছেন, আমি তার সবই করি, বাসার অন্যান্যদেরকেও তা করতে বলি। সমস্যা হয় কাজের বুয়াকে নিয়ে, সে শুনতে চায় না। সে খাবার আর পানি অপচয়ে ওস্তাদ!

কয়রা এলাকায় পানির দুষ্প্রাপ্যতার কথা আমি জানি। আইল্যা নাকি সিডর, কোন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে এলাকাটির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়ে। আমরা কয়েকজন বন্ধু এবং সতীর্থরা মিলে "ওয়াটার এইড" নামক একটি এনজিও'র সহায়তা নিয়ে ঐ অঞ্চলে দশ বারটি পুকুর সংস্কার করে দিয়েছিলাম। তখন ঐ অঞ্চলের মহিলাদেরকে পানীয় জল সগ্রহের জন্য কখনো পায়ে হেঁটে, আবার কখনো সাঁতরিয়ে যে অমানবিক কষ্ট করতে হতো, তা দেখে অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছিলাম।

পোস্টে ভাল লাগা+ +।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.