নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেচেঁআছি

বেচেঁআচি

আমি সবার মাঝে বাঁচতে চাই ।

বেচেঁআচি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ের আগে বাসর নয়

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

বেচেঁআছি এবার আমাদের ঈদের ডেটিং হবে আমার বন্‌ধু জামশেদের বাসায়। হেনা প্রথমে রাজি হতে চাইলোনা। শেষে বাঁধনও আসবে শুনে রাজি হলো। সত্যি বলতে কি, আমিও চাইনি বিয়ের আগে কোনো নিজ্রন জায়গা্য় অবস্‌থান করতে। নিজের প্রতি যতই বিশৃ্াস থাকুক না কেন আমি রিক্র নিতে রাজি না। তাই হেনাকে বুঝাতে চাইলাম, জামশেদ-বাঁধন রুমে ডেটিং করতে চাইলে করুক,আমরা ভুল করবো না। যেহেতু আমরা দুই জনেই চাইনা আমাদের মাঝে বিয়ের আগে শারিরীক কিছু হোক। তার ছেয়ে বরং আমরা বাহিরে কোথায়ও ডেটিং করি। কিন্‌তু হেনা নাছড় বান্‌দা, সে আমাকে বুঝিয়ে চাড়লো যে, আমরা দুই জনেই মানষিক ভাবে চাই যে, কিছুই করবো না। তবুও আমাদের মাঝে কেউ যদি আবেগে উত্‌তেজিত হয়ে পড়ি, বাকি জন যেন তা নিয়ত্রন করি। অবশেষে রাজি না হয়ে পারলাম না।

আমি এবং জামশেদ নোয়াখালি থেকে ঈদের দিন রাতে এসে ঢাকায় জামশেদের বাসায় উঠি। জামশেদের বাসার সবাই নোয়াখালিতে ঈদ করতে গেল। আমরা রাতে এসে নিজেরা রান্‌না করে খেলাম। অনেক রাত পযর্ন্‌ত হেনার সাথে মোবাইলে কথা বল্‌লাম। রাতে একটুও ঘুমাতে পারিনি। সারা রাত ছটপট করে কাটালাম। আমরা রাতেই কথা বলে ঠিক করে রাখলাম বাঁধন এসে হেনাকে ফোন করে বলবে বাঁধনের বোনের আজ বাথর্ ডে। তখন হেনা তার রোকেয়া আপুকে বলে বাসা থেকে বের হবে। আমি আগেই হেনাদের বাসার আশেপাশে(ডেমরার আমতলায়) অপেক্ষা করবো। যথারীতি তাই হলো।আমি আম তলায় হেনার জন্য অপেক্ষা করছি। সময় অনেক হলো হেনা আসছেনা। হেনা তার আপুকে বান্‌ধবীর বাসায় যাবার কথা বল্‌লে প্রথমে রাজি না হলেও পরে রাজি হলো একটা শতে। হেনাকে তার বড় ভাই লাবু সেখানে পৌছে দেবে। অনেক বুঝিয়ে অবশেষে হেনা একা আসতে সক্ষম হলো। আমি আমতলায় থেকে হেনাকে নিয়ে রিক্রা করে জামশেদের বাসায় আসলাম।

কলিং বেল টিপতেই জামশেদ এসে দরজা খুলেদিলো। আমরা দুই জনে বাসার ভেতর ডুকলাম। বাসায় ডুকে আমাকে অবাক করে হেনা আমাকে পাঁ ছুয়ে কদমবুসি করলো। আমি হেনাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বল্‌লাম,

"কি করো জান, তুমি তো আমার বুকে থাকবা, পাঁয়ে কেন।"

"বা রে, তুমিতো আমার বর, বরের পাঁ ছোঁয়া দোষের কিছু না। "

আমি তড়িঘড়ি করে পকেটে হাট রাখলাম, এক শত টাকার একটা নতুন নোট বের করে হেনার হাটে দিলাম, বল্‌লাম ' এটা রাখ, সালাম দিলে ঈদী নিতে হয়।"

" তুমি টাকাটা রাখ, আমার কাছে টাকা আছে।"

এখানে বলা রাখা ভাল, আমি হেনাকে "আদর" ডাকতাম, আর হেনা আমাকে ডাকতো "আপন"। আমি বল্‌লাম,-

"দেখ আদর, আমার যদি আজ সামথর্ থাকতো, তোমাকে সোনার কিছু দিতে পারলে ভাল লাগতো।" কোথাটা বলতে আমার গলা ভারি হয়ে আসলো। হেনা আমাকে আরও শক্‌ত করে জড়িয়ে ধরে কপালে ছুমু খেয়ে বল্‌লো:

"ঐটাতো দিবা বাসর রাতে, কি জনাবের কি আজই বাসর করার ইচছা আছে নাকি?'

হেনার কথায় না হেসে পারলাম না, বল্‌লাম,

"আমার বৌ, আজ করলেও আমি করবো, পরে করলেও আমি।"

"তাহলে আর মন খারাপ না করে একটু হাঁসো," আমরা অনেক্ষন একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে রাখলাম। নিজেকে হারিয়ে পেল্‌লাম হেনার মাঝে। এভাবে অনেক সময় পার করলাম। হেনা আমাকে নাড়া দিয়ে আমার ছেতনা পেরালো।" কি ব্যাপার ঘুমিয়ে পড়লা নাকী?"

আমরা এতক্ষন ড্রয়িং রুমে ই আছি। ঐদিকে জামশেদ-বাঁধন অনেক আগেই ভেতরের রুমে ছলে গেল। হেনা আমাকে বল্‌লো:

"আমি ভেতরের রুমে ডুকে একটু কাজ করবো, আমি ডাকার আগে তুমি ভেতরে আসতে পারবা না"

"আসবো না, কিন্‌তু কেন?"

"আমি ছাইছি তাই, কথা দাও আমি ডাকার আগে তুমি ভেতরে আসবেনা।"

"কথা দিলাম, কিন্‌তু আমি বেশি সময় একা একা বসে থাকতে পারবো না।"

হেনা আমার নাকে আলতো করে একটা ছিমটি দিয়ে বল্‌লো:

"তোমাকে একা একা বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে হবে না, আমি তাড়াতাড়ি ই তোমাকে ডাকবো।"

আমি মাথা দুলিয়ে সায় দিলাম, হেনা ভেতরে ছলে গেল।

আমি বসে আছি আর ভাবছি, হেনা এই সময় রুমে একা একা কি করতে পারে। যদি বাথর্ রুমে যেত একটা কথা ছিলো। আমি একা বসে আছি। এক সময় আমার অপেক্ষার শেষ হলো, হেনা আমাকে একটা এস এম এস পাঠালো " জান, আ্যই আ্যম রেডি ফর ইউ, ইউ ক্যান ক্যাম ইন"

আমি মৃদু পাঁয়ে রুমের দিকে এগিয়ে গেলাম। আমি রুমে ডুকে হেনাকে দেখতে না পেয়ে এক প্রকার ভয় পেলাম। আস্‌তে করে ডাক দিলাম:

"আদর,,,,,,আদর,,,,,আদর,,,,,,

কোনো সাড়া শব্‌ধ নাই। আমি খাটের নিছে উকিঁ দিলাম, সেখানেও নাই। আমি কিচুক্ষন খাটে বসে রইলাম। বাকী আছে দরজার পেছনে খোঁজা। আমি দরজার পেছনে তাকিয়ে শুধু অবাকই হলাম না, কিছুক্ষনের জন্য নিজেকে হারিয়ে পেল্‌লাম। আমি হাত ধরে টেনে লুকিয়ে থাকা আমার পরীকে সামনে আনলাম। ঠিক যেন নীল পরী।

আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। হেনা একটা নীল শাড়ি পড়েছে। ভেতরে ব্‌লাউজ-পেটিকোট কিচুই পড়েনি। শুধু পাতলা শাড়ির ভেতর ব্রা-পেন্‌টি দেখা যাচছে। লাইটের আবছা আলোয় হেনার শরীরের ভেতরটা ভাল ভাবেই দেখা যাচছে। আমি অবাক চোখে তাকিয়ে আছি। আমার তাকিয়ে থাকা দেখে হেনা লজ্‌জা পেয়ে শাড়ির আছল দিয়ে মুখ ডাকলো। হেনা আস্‌তে করে বল্‌লো:

"তুমি নীল রং পছন্‌ধ কর তাই আপুর এই শাড়িটা লুকিয়ে নিয়ে আসলাম। ব্যাগে জায়গা কম তাই পেটিকোট আনতে পারিনি।"

আমি হেনাকে জড়িয়ে ধরে বল্‌লাম" ব্যাগে জায়গা কম ছিলো সেটা আমার সৌভাগ্য। ব্যাগে জায়গা বেশি থাকলে কি আর আমি আমার এই নীল পরীটাকে দেখতে পারতাম।

আমি হেনাকে জড়িয়ে ধরলাম। কপালে ছুমু খেলাম। মনে মনে ভাবছি, আমি কি আজ আমার কথা রাখতে পারবো? হেনার কথা মনে পড়লো, আমরা একে অন্যকে নিয়ত্‌রন করবো। আমার নিজের প্রতি নিজের আর কোনো নিয়ত্‌রন নাই। এখন হেনাই একমাএ ভরসা। হঠাৎ করে হেনা আমাকে বিছানায় পেলে জড়িয়ে ধরলো। আমি বাধা দিতে যেয়েও পারলাম না। শুধু মুখে বল্‌লাম:" আমরাতো বিয়ের আগে ওসব কিছু করবো না।"

"কেন জান তুমি কি আমাকে বিয়ে করবা না?"

"এ কথা বলছো কেন?"

"তাহলে আর কোন বাধা নাই। তুমি আমার, আমি তোমার। আমরা দুই জন দু'জনার।"









মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.