![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি ডাস্টবিন। স্থান রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোড। হঠাত্ ভেসে আসছিল কান্নার শব্দ। উত্সুক মানুষজন আবিষ্কার করলেন—ডাস্টবিন থেকেই আসছে ওই কান্নার শব্দ। ময়লা কাঁথায় মোড়ানো দুই-তিন দিন বয়সী একটি ফুটফুটে ছেলেসন্তান। ধারণা করা হচ্ছে রাতে কে বা কারা তাকে ফেলে চলে গেছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাস্টবিন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করে উত্সুক জনতা। এর মধ্যে এক দর্জি দম্পতি (মিজানুর রহমান-মীম আক্তার) শিশুটিকে কোলে তুলে নেন। দেখলেন শিশুটির শরীর অস্বাভাবিক ঠান্ডায় কাঁপছে। দ্রুত শিশুটিকে মোহাম্মদপুর থানায় নিয়ে গেলেন তাঁরা। শিশুটিকে তারা লালন-পালনের আগ্রহ দেখালেন।
মোহাম্মদপুর থানার সূত্রগুলো বলছে, দর্জি দম্পতি শিশুটিকে নিয়ে থানায় গেলে পুলিশ কর্মকর্তারা তাঁদের পরামর্শ দেন শিশুটি আগে সুস্থ হোক। এরপর তার প্রকৃত অভিভাবক পাওয়া না গেলে দেখা যাবে। এরপর পুলিশের তত্ত্বাবধানে দর্জি দম্পতি শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নিয়ে যান। এখন শিশুটি হাসপাতালটির শিশু বিভাগের ইনকিউবেটরে চিকিত্সাধীন।
এই পৃথিবী-তে এসেই তোমাকে দেখতে হল পৃথিবী-টা কত নোংরা যায়গা ! তুমি একটি "ছোট গোলাপ" দর্জী দম্পতি-র আদর স্নেহে ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বড় হও । ছড়িয়ে দাও তোমার সুবাস, সারা পৃথিবীময় !
একটা সন্তানের জন্য কত হাহাকার। কত মানত। কত তাবীজ। কত ঝাড় ফুক। আর কত চিকিতসা-ই না মানুষ করিয়ে থাকে। তাও আবার ছেলে সন্তান। ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে গেল! কাউকে দিয়ে দিলেই পারত। না হয় কোন রাস্তার মোড়ে রেখে গেলেই পারত। যাতে করে বাচ্চাটিকে কেউ নিয়ে লালন পালন করে।
ইজ্জত সম্মানই সব! মায়া-মমতা কিছুই নেই!
©somewhere in net ltd.