নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অশান্ত সাগরে একলা মাঝি

ফুলটাইম ক্রুয়েল জোকার, পার্ট টাইম সিরিয়াস

নূর-ই-আল-মামুন

যখন শান্তি বর্ষিত হচ্ছিল সৃষ্টিকুলের উপর, তখন আমার জন্মই হয়নি। যখন শান্তি কি জিনিস বুঝতে পারলাম, তখন আমি শান্তির পথ থেকে অনেক দূরে ... অশান্ত সাগরে একলা মাঝি

নূর-ই-আল-মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিয়াল মাদ্রিদ Vs বার্সেলোনা - একখানা ফুটবলীয় পোস্ট :-B B-) :P

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৪৬



ক্লাব ফুটবলের ভক্ত অথচ এল ক্লাসিকো -র কথা শুনলে রক্তে নাচন ওঠে না, এমন পাবলিক কম ই আছে। পুরাই ব্রাজিল - আর্জেন্টিনার মতোন অবস্থা হয়। ইদানিং তো স্প্যানিশ লিগের ভক্ত হু হু করে বেড়েই চলেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই খেলার পাতায় চোখ বুলিয়ে মন টা ভালো হয়ে গেল। রিয়াল আর বার্সার উপর বিশাল ফিচার করছে কালের কন্ঠ। পড়ার পর মনে হল নেটে যদি আরো কিছু পাই। তারপর নেট ঘেটে, ছবি-টবি কালেক্ট করে, উইকিপেডিয়া আর ক্লাবের নিজস্ব সাইট গুলা ঘেটে এই পোস্ট টা তৈরি করলাম। আমি এখন এই দুটো ক্লাবের ইতিহাস, রেকর্ড, খেলোয়াড় এগুলার ফিরিস্তি দেবো।



রিয়াল মাদ্রিদ দিয়েই শুরু করা যাক, কি বলেন । :)



রিয়াল মাদ্রিদ-Real Madrid Club de Fútbol-Royal Madrid Football Clubঃ রিয়াল মাদ্রিদ নামেই ক্লাবটি বেশি পরিচিত। স্পেনের ফুটবলীয় পরিমণ্ডলে এটি el Madrid নামেই পরিচিত।



ডাকনাম: Los Blancos (The Whites)

Los Merengues (The Merengues)



অবস্থানঃ মাদ্রিদ, স্পেন।

হোম গ্রাউন্ডঃ সান্টিয়াগো বার্নাব্যু। ধারণ ক্ষমতা ৮০,৩৫৪ জন

ফিফার ভোটে বিংশ শতাব্দির সবচেয়ে সফলতম ফুটবল ক্লাব। ক্লাব রেংকিং দেখার জন্য এখানে গুতা দিতে পারেন। কিমবা নিচের ছবি টা দেখতে পারেন





ইতিহাস এবং অর্জনঃ ৬ মার্চ, ১৯০২ সালে মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবের যাত্রা শুরু। ১৯২০ এ এস স্পেনের রাজা ত্রয়োদশ আফনসো ক্লাবের নামের আগে "রিয়াল" উপাধি জুড়ে দিলেন। রিয়াল শব্দটি ইংরেজি রয়াল শব্দের স্প্যানিশ রূপ। রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়া স্পেনের আর মাত্র ৪টি ক্লাবের সাথে এই রয়্যাল শব্দটি আছে। তারা হলঃ Real Sociedad, Real Unión de Irún, Real Betis, and Real Zaragoza. স্প্যানিশ রাজকীয়তা, আর আভিজাত্যের ধারক ও বাহক হয়ে আসছে রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল মাদ্রিদ যে সরাসরি রাজপরিবারের ক্লাব তা নির্ধারিত হয় জেনারেল ফ্রাংকো র শাসনামলে। এখানে অবশ্য সামরিক একনায়ক ফ্রাংকোর চেয়ে, ১৯৪৫ সালে নির্বাচিত রিয়ালের প্রেসিডেন্ট সান্টিয়াগো বার্নাবু্ -র প্রভাব বেশি কাজ করেছে। স্প্যানিশ সিভিল ওয়ারে বিদ্ধস্ত রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাবের হোম গ্রাউন্ড তার সময়েই পুণঃনির্মাণ করা হয় এবং এখন তো আপনারা সবাই জানেন যে রিয়ালের হোম গ্রাউন্ড সান্টিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়াম। ১৯৫৩ সাল থেকে তিনি বিদেশি ফুটবলারদের রিয়ালে ঢোকানোর পরিকল্পনা নেন।

এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত আলফ্রেডো ডি স্টেফানো



আরো ছিলেন ফেরেংক পুসকাস , রেমণ্ড কোপা , ভ্যালদির পেরেইরা দিদি সহ অনেকেই। এদের মাধ্যমে প্রথম ৫টি ইউরোপিয়ান কাপ জেতে রিয়াল। চলে যায় এই গ্রহের সব ফুটবল ক্লাবের ধরা ছোয়ার বাইরে। ষাটের দশকে শুরু হয়েছিলো গ্যালাকটিকোজ যুগ। এই শতাব্দির শেষে ও নতুন শতাব্দির শুরুতে আবার শুরু হয় গ্যালাকটিকোজ। , যার নায়ক ছিলো ফ্লোরেন্তেনো পেরেজ। এই দলে ছিল লুই ফিগো, জিনেদিন জিদান, রোনালদো, ডেভিদ বেকহাম, মাইকেল ওয়েন, রবার্তো কার্লোস। এরপর ২য় গ্যালাকটিকোজ গড়ে তোলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, কাকা, করিম বেনজামা, জাভি আলনসো, ইকার ক্যাসিয়াসদের নিয়ে। এবার যুক্ত হল মেসুত ওজিল, স্যামি খেদিরা, রিকার্ডো কারভালহো - আর কোচ হিসেবে হোসে মরিনহো। দেখা যাক সামনে রিয়ালের কি অবস্থা হয়। হারকিউলিস বধ দিয়ে শুভ সূচনা অলরেডি করে ফেলেছে রিয়াল । রিয়ালকে বলা হয় ইউরোপের রাজা।



এবার দেখা যাক রিয়াল মাদ্রিদের রেকর্ড। সর্বোচ্চ ৩১ বার লা লিগা, ৯ বার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ , ২ বার উয়েফা কাপ, ৩ বার ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ, ৮বার স্প্যানিশ সুপার কাপ, ১৭ বার কোপা দেল রে, ১ বার উয়েফা সুপার কাপ এর শিরোপাধারী । তারপরও তাদের সাফল্যক্ষুধা কেমন জানন? ২০০৩ সালে স্প্যানিশ লিগ শিরোপা জেতার দুই দিন পর কোচ ভিসেন্ত দেল বস্ক ও অধিনায়ক ফার্নান্দো হিয়োরো অপরাধভোগে ভুগতে থাকেন ইউরোপ সেরা হতে না পারার অপরাধে।



কেমন অভিজাত তারা শুনুন। ছোটো রোনালদো (রোনালদিনহো) এবং লুই ফেলিপ স্কলারি (কোচ) কে তারা দলে নিতে অস্বীকার করেছিল শুধুমাত্র তারা যথেষ্ট স্মার্ট নয় বলে !!! :-/ :-/ গত কয়েক মৌসুম ভালো কাটেনি রিয়ালের। দেখা যাক সামনে কি হয়। শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে স্প্যানিশ লিগ লা লিগা। ...... এখান থেকে ফিক্শ্চার দেখতে পারেন।



এবারের সম্ভাব্য একাদশঃ ইকার ক্যাসিয়াস, রিকার্ডো কারভালহো, রাউল আলবিয়ল, আলভারো আরবেলোয়া, জাভি আলসানো, স্যামি খেদিরা, মেসুত ওজিল, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, গনজালো হিগুয়াইন।



জার্সির নমুনাঃ





বার্সেলোনাঃ বার্সেলোনা ইজ মোর দ্যান আ ক্লাব।





অবস্থানঃ বার্সেলোনা, স্পেন।

মাদ্রিদের পরেই স্পেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বার্সেলোনা। এই শহরের বাসিন্দারা "কাতালান" সম্প্রদায় হিসেবে পরিচিত।



ডাকনামঃ L'equip blaugrana (team)

Culers or Culés (supporters)

Blaugranes or Azulgranas (supporters).

হোম গ্রাউন্ডঃ ন্যু ক্যাম্প। ধারণ ক্ষমতা ৯৮৭৭২ জন ।



ইতিহাস ও অর্জনঃ বার্সেলোনার যাত্রা শুরু হয় ২৯ নভেম্বর, ১৮৮৮। কাতালান সংস্কৃতির ধারক ও বাহক এই ক্লাবটি যাদের মূলমন্ত্র "Més que un club" (More than a club)। অন্যান্য ক্লাবরা যেখানে স্পনসরশিপ এর চুক্তি থেকে দেধারছে ডলার কামাচ্ছে, সেখানে উল্টো নিজেদের জার্সিতে ইউনিসেফের লোগো লাগানোর জন্য বার্সা কে গুনতে হচ্ছে ১.৫ বিলিয়ন ইউরো । জন্মলগ্ন থেকেই বার্সা ক্লাবের চেয়ে বেশি কিছু্। সমর্থকরাই এর প্রাণ । ১৯৫৭ সালে নির্মিত হয় ন্যু ক্যাম্প । এটিও সমর্থক, আই মিন কাতালান দের অর্থায়নেই তৈরি। যুগ যুগ ধরে কাতালানরা তাদের উপর শোষণ - নিপীড়নের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে ফুটবলের মাধ্যমেই। রিয়াল মাদ্রিদ যদি হয় আভিজাত্য,অর্থ আর শ্রেষ্ঠত্বের পেছনে ছোটা পাগলা ঘোড়া, তবে বার্সা কে নির্দ্বিধায় বলতে পারেন, গণ মানুষের ফুটবল ক্লাব । নিপীড়িত যোদ্ধাদের ফুটবল ক্লাব। স্প্যানিশ সিভিল ওয়ারের পর কাতালান ভাষা নিষিদ্ধ করা হয় । ক্লাবের প্রতীক থেকে কাতালান পতাকা তুলে ফেলতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু ন্যু ক্যাম্পে খেলা হলে দেখবেন। ওই সব উর্দিপড়া জেনারেল দের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পতপত করে ওঠে কাতালান পতাকা। কেউ রুখতে পারে না যখন জয়োৎসবে মাতে বার্সা।

মাঠের লড়াইয়ে ১৯২৯ সালে চালু হওয়া প্রথম লিগ শিরোপা জিতে বার্সা। তবে রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সা দ্বন্দ্ব চিরন্তন । মাঠের বাইরেও বার্সাকে লড়তে হয়েছে রয়েল মাদ্রিদের সাথে। ১৯৪৩ সালের কোপা দেল জেনেরালিসিমোর উদাহরণটা দেখুন। সেখানে প্রথম লেগে বার্সা জিতেছিলো ৩-০ তে। ২য় লেগের আগে ফ্রাংকোর নিরাপত্তা পরিচালক বার্সার ড্রেসিং রুমে ঢুকে শাসিয়ে যান খেলোয়াড়দের এই বলে যে "রাজার অনুগ্রহেই তোমরা খেলছো।" যা বোঝার বুঝে যায় খেলোয়াড়রা। ফলাফল রাজার কোপানলের ভয়ে মাঠে দাড়িয়ে ১-১১ গোলে হারে বার্সা। X(X(X( শয়তান ফ্রাংকো। ১৯৫১ সালে একদিন ম্যাচ শেষ করে সব সমর্থকরা পায়ে হেটে বাড়ি ফিরছিল। ট্রাম ধর্মঘট চলছিল তখন। সরকারি কিছু ট্রাম সার্ভিস চলছিল বটে তবে কাতালান রা চড়তে অস্বীকৃতি জানায় এবং ধর্মঘটকারিদের সাথে যোগ দেয়। এভাবেই যুগে যুগে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে কাতালানরা। স্বাধীনতা, মুক্তির প্রতীক হয়ে আছে কাতালানরা। একই সাথে তারা সফল মাঠের খেলাতেও ।

ইয়োহাইন ক্রইফ রিয়ালে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন কারণ একনায়ক ফ্রাংকোর সাথে যে ক্লাব জড়িয়ে আছে সেই দলে খেলতে তার বিবেক সায় দেয় নি। রিয়ালের শ্রেষ্ঠত্বের যুগে তাদের জয়যাত্রার কফিনে প্রথম পেরেকটি ঠুকে দিয়েছিল বার্সেলোনা ১৯৬১ তে। ১৯৮৮ সালে ত্রুইফ ফেরেন কোচ হিসেবে । গড়েন "ড্রিম টিম" অব বার্সেলোনা। পেপ গার্দিওলা, হোসে মারি , টিক্সি বেগিরিস্তেইনের মতো কাতালানদের সঙ্গে রোমারিও, মাইকেল লাউড্রপ, রিস্তো স্তইচকভ, রোনাল্ড কোম্যানদের নিয়ে ক্রুইফের স্বপ্নের দল যেতে টানা ৪ লা লিগা। ১৯৯২ তে জিতে নেয় প্রথম ইউরোপিয়ান কাপ। নতুন শতাব্দির প্রথম দিকে এসে শুরু হয় বার্সার নতুন যুগ। রোনালদিনহোর শৈল্পিক নেতৃত্বে শুরু হয় বার্সার রেনেসা। ধারাবাহিকতায় একে একে যুক্ত হয় মেসি, জাভি, ইনিয়েস্তা, এতো এক একটি নির্ভিক গ্লাডিয়েটোর। এবং ২০০৯ এ সবগুলো প্রতিযোগিতায় শিরোপা জিতে নিয়ে বার্সেলোনা গড়ে এক অনন্য নজির।

এবার দেখা যাক বার্সার শোকেসে ট্রফির সংখ্যার হিসাব। ২০বার লা লিগা, ২৫ বার স্প্যানিশ কাপ, ৯ বার স্প্যানিশ সুপার কাপ, ২ বার লিগ কাপ। ১৪ টি বড় অফিসিয়াল টুর্ণামেন্টের ট্রফি তাদের শোকেসে। বার্সেলোনাই একমাত্র ইউরোপিয়ান ফুটবল ক্লাব যারা ১৯৫৫ থেকে শুরু করে প্রত্যেকবার কন্টিনেন্টাল ফুটবলের প্রতিটি আসরে অংশ নিতে পেরেছে। আর এবার তো গত ম্যাচে সেভিয়ার সাথে ন্যু ক্যাম্পে সেই চিরচনা বার্সার আগুন ঝড়ানো উপভোগ্য খেলাই দেখলাম। প্রথম ম্যাচটা হার দিয়ে শুরু হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে আবার গোলবন্যা।





এবারের সম্ভাব্য একাদশঃ ভিক্টর ভালদেজ, কার্লোস পুয়োল, জেরার্ড পিকে, এরিক আবিদাল, দানি আলভেজ, সার্জিও বুস্কেটস, জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, লিওনেল মেসি, পেদ্রো, ডেভিড ভিয়া।



জার্সির নমুনাঃ








এবার কিছু ঘটনা শুনুন। ২০০৭ এ যখন রিয়াল মাদ্রিদ খেলতে যায় ন্যু ক্যাম্পে, ততক্ষণে চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত তাদের। রীতি মোতাবেক বার্সার খেলোয়াড় তাদের দেয় "গার্ড অব অনার"। তবে সেটি প্রায় মাথা নিচু করে। ২০০০ সালে লুই ফিগো বার্সা ছেড়ে ট্রান্সফার ফি-র বিশ্বরেকর্ড গড়ে রিয়ালে আসলে বার্সার এক সমর্থক তার দিকে শুয়োরের মাথা ছুড়ে মেরেছিলো। মাইকেল লাউড্রপের বেলাতেও একই অবস্থা হয়েছিল।



উল্টো ঘটনাও আছে। ২০০৫ এ বার্নাব্যুতে ৩-০ তে জেতে বার্সা। রোনালদিনহো প্রায় একক কৃতিত্বেই করেন দুটি গোল। অবিশ্বাস্য ব্যপার ঘটে এরপর। প্রায় সব দর্শক দাড়িয়ে উঠে করতালিতে অভিনন্দন জানান প্রতিদ্বন্দ্বী দলের এই ব্রাজিলিয়ানকে। এর আগে ম্যারাডোনাকেও একইভাবে সম্মান জানিয়েছিলো তারা। বার্সেলোনা-রিয়ালমাদ্রিদ দ্বৈরথের ইতিহাস জানা থাকলে আপনাকে মানতেই হবে ম্যারাডোনা আর রোনালদিনহো হল ভাগ্যবানদের ভাগ্যবান।



এবার রিয়াল ছাড়লেন যারাঃ রাউল, মেটজেল্ডার, গুতি ।

নতুন এলেনঃ সার্জিও ক্য্যানেলেস, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, পেদ্রো লিওন, স্যামি খেদিরা, মেসুত ওজিল, রিকার্ডো কারভালহো।



এবার বার্সা ছাড়লেন যারাঃ রাফায়েল মারকেজ, থিয়েরে হেনরি অরি, দিমিত্রিও চিগ্রিনস্কি, ইয়াইয়া তোরে, এনরিকে, কেইরসন।

নতুন এলেনঃ ডেভিড ভিয়া, আদ্রিয়ানো, আলেকসান্দর হ্লেব, ক্যাসিরেস ও সানচেজ (ধার শেষে ফেরত)।



আমার পোস্ট এখানেই শ্যাষ। লেকতে লেকতে হাত ব্যথা হইয়া গেছে। সবাই ভালো থাকবেন।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:০২

রাজসোহান বলেছেন: দারুন একটা পোস্ট !

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:২৬

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজহংস ব্রাদার :)

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:০৬

হুনার মন্দ বলেছেন: বার্সা গণ মানুষের ফুটবল ক্লাব । নিপীড়িত যোদ্ধাদের ফুটবল ক্লাব।

বার্সা'রে ভালা পাই...বার্সা ছাড়া কথা নাই....

más que un club :)

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:২৬

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: আমিও বার্সারে ভালা পাই। রিয়ালের কাউন্টার এটাক টা ভালো লাগে।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:০৯

হুনার মন্দ বলেছেন: আরেকটা ব্যাপার....বার্সা যে রিয়াল'রে তাগো নিজেগো মাঠে ৬-২ গোলের শরম দিছিল...ঐটা দেখলাম না যে?

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:২২

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: হুমম ২/৫/২০০৯ তারিখ এর ভিডিও দেখলাম ইউটিউবে। :) পুরাই ধসাইসে রিয়ালরে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:২৪

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন:
এই লন সেই ভিড্যু

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:০৯

বিডি গ্লাডিওটোর বলেছেন: ভালো আছেন ভাই? পোস্ট ভালা হইছে। প্লাস।

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:২৫

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: থেংকু। কি খবর তোমার?

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:১৬

সোহেল_সিএসই_ঢাবি বলেছেন: ভাল লাগল পড়ে কিছু নতুন জিনিস জানতে পারলাম।
বার্সেলনার খেলা হলে মিস করি না।
ভাল থাকবেন

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:২৭

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ । আপনিও ভালো থাকবেন।

৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:১৯

টেকিবাবা বলেছেন: ভাই দারুণ লিখেছেন, খুবই তথ্যবহুল পোস্ট। মরিনহো ডেঞ্জারাস পাবলিক হইতে পারে, তয় আমাগো পেপ কিন্তু আলাদা জিনিস :D হারজিত যা-ই হোক আশা করছি এইবারও বার্সা বার্সার মতনই খেলবে। মরিনহোর খেলার স্টাইল ভালা পাই না। ঐরকম ২গোলে আগাইয়া থাইক্যা কুতকুত খেলে নকআউট জিতা যায়, কিন্তু লীগে তো ওইসব চলবো না - সে নিপাত যাক, লীগের মাঝপথেই যেন রিয়াল তারে গদাম সহকারে মাইনাস দেয় এই আশাতে আছি। রিয়ালের সাপোর্টার আর বোর্ডের মন জয় করা খুব টাফ, এইবার মরিনহো হাড়ে হাড়ে বুঝবো কোচিং কারে কয়!!!

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:২৫

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: আমারো সেইডাই মনে হয় রে ভাই। দেখা যাক মরিনহোর দৌড় কেমুন। নাকি নিজেই দৌড়ানি খায় :)

৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৩০

রাকা ও আমি বলেছেন: হুম ভাল পোষ্ট। পড়ে ভাল লাগল।

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:৪৫

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৪৩

Neelpoddo বলেছেন: স্পেনে আছেই এই দুটা ক্লাব।সেভিয়া,ভেলেন্সিয়া,এথলেটিকো এরা সবসময়ই পেছনেই থাকবে অনেক।লা লিগাতে কম্পিটিশন এই দুই জায়ান্টের মধ্যেই।খুব একটা পয়েন্ট হারাতে দেখা যায় না অন্য টীমগুলোর সাথে।কারন ছোট টিমগুলো বড় টীম থেকে শক্তিতে অনেক পিছুয়ে।ইংলিশ লীগে যেমন টপ ফোর বাদ দিলেও টটেনহাম,এভারটন,ভিলা,বর্তমানে সিটি এরা নিজেদের মাঠে যেকোন জায়ান্টকে হারাতে সক্ষম।এই জিনিসটি লা লিগাতে একদমই নেয়।

বার্সা স্টার বানায়।আর রিয়াল স্টার কেনে।এটি হ্ল দুই টীমের মধ্যে বড় একটা পার্থক্য।আর বার্সার ফুটবলে একটা নান্দনিকতার ছোঁয়া দেখা যায় যা রিয়ালে নেই।ক্যালকুলেটেড ফুটবলই খেলে অভ্যস্থ তারা।

চেলসি সমর্থক।তাই বার্সার প্রতি এলার্জি আছে।(দু দু বার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ থেকে বাদ পড়লাম বার্সার কাছে :(( :(( :(( :(( ) ।সুখের কথা হলো ওদেরও দুইবার উচিত জবাব দিতে পেরেছি।


রিয়ালকেও খুব একটা ভাল লাগেনা কেন যেন। টাইটেলের চেয়ে বেশী খ্যাতির পেছনে ছুটে টাইপের।যেমন নতুন কোন প্লেয়ারের নাম প্রেসে শোনা গেলেই সাথে সাথে তাকে এপ্রোচ করবে।ওই পজিশনে তাদের ইতিমধ্যেই ভাল খেলোয়ার থাক্লেও।ফলে যা হয় সারা সিজন ভাল খেলেও পরের সিজনে দলে যায়গা পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যায়।ভাবা যায় রোবেন,স্নেইডার তাদের মত প্লেয়ারদের রিয়াল ছাড়তে হয়েছে।অথচ এই দুজনই সিঙ্গেল হ্যন্ডেডলি বায়ার্ন আর ইন্টারকে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে নিয়েছে।এবং দুজনই ওয়ার্ল্ডকাপে যথেষ্ট সফল।আর কত উঠতি খেলোয়াড়েরই ক্যারিয়ার রিয়ালে গিয়ে শেষ হল তা গুনে শেষ করা যাবে না।মোহে পড়ে রিয়ালে যায় এবং দুই সিজন ওদের বেন্‌চে কাটিয়ে বুঝতে পারে তার আসলে গ্রোনা আপ হওয়ার জন্য আরো প্লেয়িং টাইম দরকার ছিল যা সে রিয়ালে পাইনি।কেন যেন মনে হচ্ছে ওজিল,কাদিরাও এই তালিকায় যুক্ত হবে।

তারপরো এল ক্ল্যাসিকো এলে আমার বুকেও দামামা বেজে ওঠে।কারন ওয়ার্ল্ডের এত স্টারকে একসাথে একই পীচে খুব কমই দেখা যায়।বছরের এই দুটা দিন একদম এই কাজের জন্যই বুকড আমার।

এবার আমার বাজী রিয়ালের পক্ষে।কারন স্পেশাল ওয়ান আছে রিয়ালে।এবং সে প্রমান করেছে ইন্টারকে দিয়ে বার্সার জন্য সেইই হলো পারফেক্ট এন্টিডোট।তবে যাই হোকনা কেন এই সিজনে চরম ফাইট হবে এটা সিওর।অপেক্ষায় রইলাম সামনের শনিবারের।

আপনার বাজী কার পক্ষে?

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:৪৪

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: মরিনহোর কারণে বাজি ধরার সাহস পাই না। এই ব্যটা যে কি করবে বুঝতে পারতেছি না । দেখি কয়েকটা ম্যাচ। বার্সারে তো ন্যু ক্যাম্পে দুর্দান্ত মনে হয় । এখন দেখি কি হয়

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:৫৫

হুনার মন্দ বলেছেন: ভাই নীলপদ্ম...বাজি অবশ্যই বার্সার পক্ষে। ইন্টার'রে দিয়া মরিনহো বার্সা'র বিরুদ্ধে গত সিজনে জিতছে কয়বার? হারছে কয় বার? সেমির প্রথম লেগে হারনের পিছনে ইন্টারের ভালো খেলা তো একটা বিষয়ই..কিন্তু বার্সা'রে যে ২০০০ কিমি বাসে কইরা গিয়াই পরের দিন মাঠে নামতে হৈছিল...তা্ও কিন্তু একটা কারণ। তাছাড়া ইন্টার যেমনে ১ গোল খেয়ে পুরা ১০ জনই ডিবক্সে ঢুকে পড়ছিল...রিয়ালকে নিয়ে তা হবে কিনা সন্দেহ আছে।

ফলে "স্পেশাল ওয়ান" যদি রিয়াল কে দিয়ে ডিফেন্স করায়...তাহলে আর কি হৈল...একটা ফালতু খেলা দেখবো...আর যদি এ্যাটাকে যায় তখন দেখা যাবে...আসলে কি হয়... :)

বার্সা'র একটা মোটো আছে.... খেলার সৌন্দর্য্ও তাতে প্রাধান্য পায়...তারা অবশ্যই জিততে চায়...কিন্তু নান্দনিকতাকে বিসর্জন দিয়ে নয়....সে জায়গাতেই মরিনহো'কে ততটা পছন্দ করি না...যদিও তার সাফল্যর পাল্লা অদ্বিতীয়।


বার্সা জিতুক...নান্দনিক ফুটবলের জয় হোক।

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:১১

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: হুমমম

১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:৩২

Neelpoddo বলেছেন: @ হুনার মন্দ : ভাই আমি কিন্তু শিকারই করে নিয়েছি বার্সার ফুটবলের নান্দনিকতার কথা।বার্সা এবং আর্সেনাল।এদুটি ক্লাবের প্রতি আমার আজীবনই শ্রদ্ধা থাকবে এই কারনে।নান্দনিকতা এবং সেই সাথে নতুনদের তুলে আনায় এই দুটি ক্লাবের জুড়ি নেই।

বার্সা জিতুক তা আমিও চাই।কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কাপে স্পেনের সাফল্যের জন্য বার্সার একটু স্লো স্টার্ট হবে এবং এই সুযোগটা মোরিনহো পুরোপুরিই নেবে।আর মোরিনহোর এটা একটা এডভান্টেজও বলতে পারেন যে সে নেগেটিভ ফুটবল খেলতে দ্বিধা করেনা।যদিও ব্যপারটা আমার পছন্দ নয়।বার্সারা মাঝে যে ইউনিটিটা আছে তা রিয়ালে নেই।এটা রিয়ালের বড় একটা দুর্বলতা।কিন্তু মোরিনহো এর ম্যান ম্যানেজমেন্ট স্কীল অসাধারন।যেখানেই গিয়েছে প্লেয়াররা এক বাক্যে স্বীকার করে নিয়েছে এটা।তাই ভাবছি মোরিনহো যদি ঠিকভাবে সবাইকে একসুতোয় গাঁথতে পারে তবে হয়ত রিয়ালের সাফল্য অনিবার্য।

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৩৩

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: হুমম। সেটাই। আমারো মনে হচ্ছে ভিয়া কে বার্সায় দরকার ছিলো না। ইব্রা কে খুব মিস করব ।

১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০০

ই য়া দ বলেছেন: বার্সা একটা ফুটবল ক্লাব থেকেও অনেক বেশি কিছু।
+

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৩১

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: হুম, সেটা তো অবশ্যই ।

১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৪

অ্যামাটার বলেছেন: অত শত বুঝি না। বার্সা বার্সা বর্সা:D

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৩০

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: দ্যাটস দা স্পিরিট অব আ সাপোর্টার। ভালো লাগার কোনো যুক্তি নাই । সেটাই ভালোবাসা

১৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২২

হুনার মন্দ বলেছেন: @নীলপদ্ম: মরিনহোর ম্যানেজমেন্ট স্কীল নিয়া তো কোন প্রশ্ন নাই...তবে আমাগো পেপ'ও কিন্তু বস...এই বয়সে যা করেছে...এবং করছে....উল্কা পতন হৈতে কতক্ষণ?? মরিনহো'রে ডিফিট দিবো পেপ.... :)

আর প্লেয়ারে প্লেয়ারে টক্কর লাগলে...বার্সা ছাড়া আর কে আছে??


২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৩১

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: যুক্তির খাতিরে আপনেই আগাইয়া ভাইডি। দেহা যাক রিয়াল কি করে সামনে

১৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪০

বৃহস্পতি বলেছেন: যতো বাজে সময় আসুক সবসময় রিয়ালরেই সাপোর্ট দিয়া আইছি।একটাই কারণ ছিলো সাপোর্ট দেয়ার।"রাউল'।অরে সাপোর্ট দিতে দিতে কখন যে রিয়াল আমার সাথে মিশে গেছে বলতেও পারি না।আজীবন রিয়ালরেই সাপোর্ট দিয়া যামু।কিছু পাই আর না পাই

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:২৯

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: দ্যাটস দা স্পিরিট অব আ সাপোর্টার। ভালো লাগার কোনো যুক্তি নাই । সেটাই ভালোবাসা।

১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৪৭

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: |-)

৩০ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:০১

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: :-* /:) ঘুমাচ্ছেন কেনু ??? :P বার্সা-রিয়াল কারো খেলাই ভাল্লাগে না ??????

১৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২১

জাওয়াদ হাসান বলেছেন: পোস্টটা খুব ভাল লাগলো।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৫

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: thanks :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.