![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম চৈত্রের বিষণ্ণ দুপুর । খা খা রোদের প্রচন্ড তেজে ঝিমিয়ে পড়েছে বারুক গ্রাম । সাপের মত পেঁচানো গোপাট গ্রামের বিচ্ছিন্ন বাড়িগুলোর সামনে পেছনে ছুঁয়ে নেমে গেছে দখিনের বিশাল ধানী জমিতে । সেখানে ঘন হিজল গাছের সারি ঢেকে দিয়েছে পায়ে চলা পথ । নিস্তব্ধ দুপুর বিদীর্ণ করে ভেসে আসছে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক ।
বীভৎস দুপুরের বিভীষিকা উপেক্ষা করে ঝিঁঝিঁ পোকার পিছু নিয়েছে গ্রামের কয়েকটি দামাল ছেলে । লম্বা কঞ্চির আগায় বাঁধা মোরগের পালক চিটাগুড়ে ভিজিয়ে একমনে খুঁজে যাচ্ছে গাছের পাতার রঙের সাথে প্রায় মিশে থাকা সবুজ ঝিঁঝিঁ পোকা । তাদের কাছেই প্রথম জানতে পারি গ্রামের রসুল মাস্টারের সুমত্ত মেয়ে হাফসা বিবিকে নাকি শয়তানে ধরেছে ।
বারুক গ্রামে যে কয়েক ঘর সচ্চল মানুষ আছে, রসুল মাস্টার তাদের একজন । নির্বিবাদি ভালোমানুষ এই মাস্টার আর তার অন্য তিন ভাইয়ের মুখোমুখি চারটি ঘর । বাঁশের চাটাই ঘেরা বাড়িটিতে বাইরের মানুষের যাতায়াত সীমিত । শুধু বাড়ি নয়, ভেতর বাড়ির মানুষগুলো কঠিন পর্দা বজায় রাখে । তাই এরকম একটা বাড়ির সুমত্ত মেয়ের মানসিক বিকৃতির আসল খবর পেতে আমাদের উৎসাহ মাত্রা ছাড়িয়ে যায় ।
সম্ভাব্য প্রতিটা উৎস খুঁজে খুঁজে আমরা চেষ্টা করতে থাকি হাফসার অসুস্থতার পূর্ণ বিবরণ বের করার । মাস্টার বাড়ির ছোট বাচ্চাদের পাকরাও করে জানতে পারি, কয়েক মাস আগে এক ভরা পূর্ণিমার রাতে গায়েবি ডাক পেয়ে হাফসা ঘর থেকে বেরিয়ে যায় । বাড়ির পেছনে বিশাল পুকুরের বায়ুকোণে দাঁড়িয়ে থাকা লম্বা প্রাচীন নারিকেল গাছের নীচে যেতেই ঐ গাছে থাকা শয়তান তাকে আছড় করে । আরও বিস্তারিত জানতে ঐ বাড়ির সাংবাৎসরিক গোমস্তা রুস্তমকে কৌশলে হাত করি ।
গ্রামের চায়ের দোকানে বসে গোমস্তা রুস্তমের মুখে সে রাতের রোমহর্ষক বর্ণনা শুনি । চুপিসারে ঘরের পেছনের দরজা খুলে হাফসা চলে গিয়েছিল পুকুর পাড়ের নারিকেল গাছের নীচে । তারপর সেখান থেকে এক দৌড়ে ঘরে ফিরে এসেছিল । ফেনা বেরিয়ে আসা ভয়ার্ত মুখে চিক্কুর দিয়ে হাফসা 'আমারে শয়তানে পাইছে' বলেই মূর্ছা গিয়েছিল । এর পর সপ্তাহ ধরে হাফসা প্রায়ই ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠত আর তার মা কে জড়িয়ে গুটিশুটি হয়ে বসে থাকত ।
রসুল মাস্টার গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার ইরফান আলীকে ঘটনা খুলে বলেন । ডাক্তার রসুল মাস্টারকে অভয় দিয়ে কিছু ঔষধ দেন । সেই সাথে পাশের গ্রামের বড় হুজুরের কাছ থেকে পানি পড়া খাওয়ানোর পরামর্শ দেন । কিন্তু ঔষধ আর পানি পড়া খেয়েও হাফসার উদভ্রান্ত আচরণ আর ভয়ার্ত চিৎকার কমে আসার কোন লক্ষণ দেখা গেল না । কিছু ঘনিষ্ট মানুষের পরামর্শে শেষে হাফসাকে থানা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয় ।
একদিন সকাল বেলা বাড়ির সামনে রিক্সা আসে । পুরাতন কালো শাড়ি কেটে ঘরে বানানো বোরখা পড়ে হাফসা আর তার মা রিক্সায় উঠে বসে । অজানুলম্বিত কালো বোরখায় শুধু চোখের সামনে দুটি ছোট ফোকর । রিক্সায় উঠার পর একটা নতুন শাড়ি পেঁচিয়ে রিক্সাকে ঢেকে দেয়া হয় । রুস্তম আর হাফসার ছোট চাচা রিক্সার সাথে হেটে চলে তিন কিলো দুরে থানা হাসপাতালে ।
হাসপাতালের একমাত্র ডাক্তার কানুবাবু রোগী দেখেন কোয়ার্টারে বসে । একটা ফিফটি সিসি হোন্ডা সামনে দুটি সাদা পাখনা ছড়িয়ে রাজহাঁসের মত দাঁড়িয়ে আছে । কানুবাবু সাদা এপ্রোন গায়ে চাপিয়ে হোন্ডায় চড়ে রাজহাঁসের মত ছুটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগী দেখেন । এখানকার মানুষ কোয়ার্টারকে সরকারি হাসপাতাল মনে করে ডাক্তারকে ভিজিট দিতে চায় না । তাই বাড়ি গিয়ে রোগী দেখার প্রতি কানুবাবুর আগ্রহ বেশি । ইঞ্জেকশন পুশ আর তেল খরচ দেখিয়ে অন্তত কিছু ভিজিট উদ্ধার করা যায় ।
হাফসাকে স্ট্রেচারে শুইয়ে দেয়া হয়েছে । সে প্রাণপন চেষ্টা করছে উঠে পড়ার জন্য, কিন্তু তার মা তাকে চেপে ধরে রাখে । ডাক্তার রোগীর হিস্ট্রি শুনেন, চোখের পাতা টেনে ভেতরটা দেখেন । জোড় করে হা করিয়ে জিহ্বা দেখেন । স্টেথোস্কোপ কানে লাগিয়ে পিঠে চাপ দেন, বেশ সময় নিয়ে বুকের নরম জায়গাতে স্টেথো চেপে পরীক্ষা করেন । তারপর একটা সিরিঞ্জ বের করে এ্যাম্পুল থেকে তরল টেনে নিয়ে হাফসাকে পুশ করেন । কিছুক্ষণের ভেতরেই হাফসার শরীর এলিয়ে পড়ে । শেষে প্রেসক্রিপশন লিখে দিয়ে সমস্যা বেড়ে গেলে বাড়িতে ডাকার পরামর্শ দিয়ে রোগী বিদায় করেন ।
রুস্তমের কাছ থেকে হাফসার সর্বশেষ যে অবস্থা জানতে পারি তা হলো তাকে কয়েকমাস ধরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে । ইতিমধ্যে 'আমারে শয়তানে পাইছে' বাক্যটি প্রপঞ্চ আকারে সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে থাকে । গ্রামের ছেলে বুড়ো সবাই এই শ্লোকের পুনঃ পুনঃ উচ্চারণে পৈচাশিক আনন্দ উপভোগ করতে থাকে । দুপুর গড়িয়ে বিকেল এলে গ্রামের কিছু মানুষ খালি মাঠের কোণায় ছাতিম তলায় এসে বসে, একটু জিরিয়ে নেয়ার আশায় । আধবুড়ো কয়েকজন গামছা বিছিয়ে শুরু করে দেয় তাস পেটানো । 'আমারে শয়তানে পাইছে' উক্তির যথেচ্ছ ব্যবহারের পর শুরু হয় হাফসার তত্ত্ব-তালাস । তাদের একজন গোপন খবর জানায়, হাফসার বাপ ওঝা এনে ঝাড়ফোক দিতে রাজি হয়েছে । খবরটা মুহূর্তের মাঝে বিকেলের ছোট জমায়েতে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয় ।
দুইঃ
বগলের চিপায় লুকিয়ে রাখা রঙের শেষ তাস দিয়ে প্রতিপক্ষের গোলাম মেরে উল্লাস করতে করতে আক্রম আলী এবার তার গল্পের ঝুড়ি খুলে দেয় । পেটানো শরীরের মাঝবয়সী আক্রাম সারা বর্ষায় ছিপ দিয়ে মাছ ধরে । গ্রামের লোকজন তাকে 'গফি আক্রম' বলে ডাকে । তার সব গল্পই রাত জেগে নির্জন গুইন্যার খালে নৌকায় বসে মাছ ধরা কেন্দ্রীক । কয়েকজন যুবক তাকে উস্কে দেয়, 'শয়তানে মাছ নেয়ার কাহিনীটা শুনাও আক্রম ভাই!' আক্রম তাদের দিকে চোখ পাকিয়ে বলে, 'শয়তান মাছ নিতে আইবো ক্যান, মাছ নিতে আয়ে পেত্নী'! পেত্নী কয়,
-অই আক্রাইম্যা, খিদা লাগছে! মাছ দে..
-খাড়া বুড়ি, আরো কয়টা ধইরা লই!
পেছন থাইক্যা পেত্নী তহন নানান মিঠা মিঠা কথা কয় । আমি জানি, হের কথা শুনতে একবার যদি পেছনে তাকাই, তাইলে পেত্নী আমার ঘাড় মটকাইবো । সারা রাইত পেত্নীর লগে কথা কই আর ছিপ দিয়া মাছ তুলি । নাওয়ের ভেতর মাছে ভইরা যায় । পেত্নী কয়,
-অই আক্রাইম্যা, অহনও দিলি না!
আমি একটা চ্যাং মাছ হাতে নিয়া কই,
-বুড়ি, হাত বাড়া..
-চ্যাং মাছ খামু না, ডিময়ালা শিং মাছ দে!
-না খাইলে ভাগ! বেশি জ্বালাইলে একটাও দিমু না, নিজে ধইরা খা ।
পেত্নী তহন পেছন থাইক্যা হাত বাড়াইয়া দেয় । হনুমানের হাতের লাহান হাত, পুড়া পুড়া চামড়া । চ্যাং মাছ হাতে নিয়া পেত্নী খুশি মনে চইলা যায় ।"
গ্রামের লোকজন সমস্বরে এই মহা সাহসী আক্রমের তারিফ করে উঠে । সেও খুশিতে গদগদ হয়ে পরের ডিলের তাস বাটে । কিন্তু গ্রামের মানুষ এটাও জানে, আক্রমের তিন সৎ ভাই কিছুদিন পর পরই তারে কুপিয়ে মারতে যায় । তার সৎ মা আগলিয়ে না রাখলে কবেই আক্রমের লাশ খালের পানিতে ভেসে উঠতো । কিছু দূর্মুখ এটাও বলে, আক্রম এক ঝুম বৃষ্টির রাতে পরিবার একা রেখে মাছ ধরতে গিয়েছিল । শেষ রাতে বৃষ্টির ছাঁট কমে এলে আক্রমের ঘর থেকে তার এক সৎ ভাইকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় ।
হাফসার ঝাঁড়ফুকের জন্য পাশের গ্রাম থেকে আসা ওঝার এক সাগরেদকে সেদিনই আমরা চা-বিস্কিট খাইয়ে পাকা খবর পাওয়ার ব্যবস্থা করে রাখি । সেদিন বিকেলে সারা গ্রামের পুরুষ-মহিলা, ছেলে-বুড়ো ওঝার কেরামতি দেখার জন্য রসুল মাস্টারের বাড়ির বাইরে ভিড় জমায় । কিন্তু ভেতরে ঢুকার অনুমতি না পেয়ে তারা যারপরনাই হতাশ হয়ে ফিরে যায় ।
সাগরেদের বর্ণনামতে, শিকল দিয়ে বাঁধা হাফসা কে বোরখা পড়িয়ে ওঝার সামনে আনা হয় । ওঝা তাকে ঘিরে মাটিতে একটা বৃত্ত এঁকে দেয় । অনেকক্ষণ তন্ত্রমন্ত্র পাঠ করার পর উপস্থিত সবাইকে জানানো হয়, এখনই হাফসার শরীরে শয়তান প্রবেশ করবে । ওঝা এবার সরিষার তেলে কয়েক টুকরো গাছের বাকল দিয়ে গরম করে হাফসার নাকে উল্টো করে ঢেলে দেয় । তারপর একটা ঝাড়ু দিয়ে তার পায়ে আঘাত করতে থাকে । হঠাৎ হাফসার শরীরে দৈবশক্তি ভর করে । কয়েকজন মহিলা তাকে ধরে রাখতে পারে না, রসুল মাস্টারের ভায়েরা তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে । হাফসা তখন জোড়ে চিৎকার করে ওঝাকে গালিগালাজ করতে থাকে,
-ওঝা, আমি তোর মাথা কাঁচা চিবাইয়া খামু!
ওঝা সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে পূণরায় নাকে তেল ঢালে, আর ঝাড়ু দিয়ে আঘাত করতে করতে বলে,
-ক, তুই কই থাইক্যা আইছস!
-উত্তুরের জংলা থাইক্যা..
-তুই কি চাস?
-আমি হাফসারে নিয়া যামু..
ওঝা আবার নাকে তেল ঢালতে উদ্যত হতেই,
-আর মারিস না! একটা মহিষ দে, চইল্যা যামু
-তোরে মহিষ খাওয়াইতাছি খাড়া..
-তাইলে একটা দামা বলদ আইন্যা দে
ওঝা ঝাড়ু দিয়ে একটা আঘাত করে,
-আইচ্ছা যা, একটা কালা চিকচিকা বকরি দে
-বকরি দিতে পারুম না, একটা পাতিহাঁস পাবি
-একটা না, তাইলে এক জোড়া পাতিহাঁস দিস ।
সাগরেদের বর্ণনামতে তখনই হাফসা মূর্ছা যায় এবং ঐ শয়তান হাফসা কে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় । রসুল মাস্টার ওঝাকে নগদ একশত টাকা এবং একজোড়া পাতিহাঁস দিয়ে বিদায় দেয় ।
তিনঃ
পুরো চৈত্রমাস জুড়ে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে গ্রাম, আকাশে বৃষ্টির লেশ মাত্র নেই । শুধু মাঝে একদিন হঠাৎ শিলাবৃষ্টি নেমে আধপাকা ফসলের মাঠ মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে গেছে । তাপদাহে পুড়ে আর শিলাবৃষ্টির আতন্কে মসজিদে প্রার্থনাকারীর সংখ্যা বেড়ে যায় । কেউ কেউ বলে, এই গ্রাম পাপে ভরে গেছে । তাই গ্রামের উপর খোদায়ী গজব নাজিল হয়েছে ।
বোশেখের প্রথম ভোরে খবরটা বিদ্যুৎবেগে গ্রামের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে । প্রথম প্রত্যক্ষদর্শী কে, তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারে না । ছেলে-বুড়ো, পুরুষ-মহিলা সবাই দলবেঁধে ছুটে চলেছে গ্রামের শেষ মাথায় হিজলের জংলায় । সেখানে একটা গাছের নীচে পড়ে রয়েছে মানবভ্রুন । অপরিপক্ব শরীরের অর্ধেকটা শিয়ালে খেয়ে নিয়েছে । পাশেই ওড়াউড়ি করছে এক ঝাঁক শকুন । মৃতজীবিরা পৌছার আগেই মানুষ চলে আসায় এখন দুর থেকে হাপিত্যেশ করছে ।
মানবভ্রুনের পিন্ড ঘিরে উৎসুক মানুষের জটলা ক্রমেই বাড়ছে । কিছু মানুষ হাহাকার করে উঠে, 'খরা আর হিল পড়বো না ক্যান, এই পাপে খোদার আরশ কাইপ্যা উঠবো' । দুয়েকজন সন্দেহবাদি এগিয়ে আসে, 'এটা আমগোর কারো না, ভিন গ্রাম থাইক্যা এহানে রাইখ্যা গেছে' । একজন টিপ্পনী কাটে, 'হাফসারে ছাইরা যাওয়ার সোময় শয়তান এই বাচ্চাডারে মাইরা এহানে রাইখ্যা গেছে' ! তার কথার সূক্ষ্ণ ইঙ্গিতে কয়েকজন মুচকি হাসে ।
হযরত আলীর বড় ছেলে কাইয়ুম খবরটা পেয়ে দৌড়ে আসে । কোন রকম ভিড় ঠেলে সামনে এসে বীভৎস মানবভ্রুন দেখে আপনমনে কি যেন জপতে থাকে । এক সময় চোখ উল্টে জ্ঞান হারিয়ে ধুপ করে পড়ে যায় । কয়েকজন তাকে তুলে বাড়িতে নিয়ে আসে । চোখে মুখে পানি দিতেই তার চৈতন্য ফিরে আসে । লাফ দিয়ে উঠে সামনে যাকেই পায় তাকে কিলঘুষি মারতে থাকে । সাথে চিৎকার করতে থাকে, 'আমি শয়তান, ঐ পোলাডারে আমি খাইছি..'
মাঠ ফেরা উৎসুক জনতা এবার হযরত আলীর বাড়িতে ভিড় জমায় । জোয়ান ছেলেরা এগিয়ে গিয়ে কাইয়ুমকে ধরার চেষ্টা করে । কিন্তু তার শরীরে হঠাৎ করে যেন অসূরের শক্তি ভর করে । অনেক চেষ্টার পর তাকে বাগে আনা সম্ভব হয় । একটা শক্ত দড়ি দিয়ে তাকে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয় । দুপুরে রোদের তীব্রতা যখন বেড়ে যায়, দাঁত দিয়ে দড়ির বাঁধন প্রায় ছিড়ে ফেলে । এবার তার হাত পায়ে আলাদা করে শিকল পরিয়ে দেয়া হয় । কাইয়ুম এক সময় হাত-পা নাড়ানোর সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে কেবল চিৎকার করে যায়, 'ঐ পোলাডারে আমি খাইছি'..
টানা তিনদিন কাইয়ুম মুখে কিছু নেয়নি, শুধু চিৎকার করে গেছে । অনাহার, অনিদ্রা আর শিকলবন্দীর প্রতিক্রিয়ায় শক্তি হারিয়ে সে মাটিতে উপুড় হয়ে কুকুরের মত হাঁপাতে থাকে । ওঝার খোঁজে পাশের গ্রামে লোক পাঠানো হয়েছে, কিন্তু তাকে এখনো পাওয়া যায় নি ।
সকাল বেলা হযরত আলী তার বউ কে নিয়ে মাটির বারান্দায় বসেছিল । এমন সময় খবর এলো রসুল মাস্টারের অসুস্থ মেয়ে হাফসা ভোর বেলা মারা গেছে । হযরত আলী তখনই রসুল মাস্টারের বাড়ির দিকে রওয়ানা দেয় । রসুল মাস্টারের পরিবার অনেকটা নিভৃত্যে হাফসার শেষকৃত্যের আয়োজন করে । ধর্মীয় বিধি মেনে দ্রুত তাকে কবরস্ত করার ব্যবস্থা করা হয় ।
কাইয়ুমের মা হাফসাদের বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়, কিন্তু কাইয়ুম কিছুতেই তাকে যেতে দিচ্ছে না । প্রাণপনে কি যেন বলতে চাইছে, কিন্তু শক্তি না থাকায় গলা দিয়ে কেবল ঘোৎ ঘোৎ শব্দ বের হচ্ছে । মা অনেকক্ষণ পাশে বসে কাইয়ুমের কথা বুঝার চেষ্টা করে । পাগল হয়ে যাওয়া ছেলের কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে সেখানেই বসে থাকে ।
কাইয়ুমের মা যখন রসুল মাস্টারের বাড়ি পৌছায়, ততক্ষণে হাফসাকে কবর দেয়া হয়ে গেছে । আগত গ্রামবাসিরা একে একে চলে যাওয়া শুরু করেছে । উঠোনের এক কোণে একটা খুটিতে হাত রেখে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে কাইয়ুমের মা । একটা অপরাধবোধ যেন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তাকে । আকাশটা সকাল থেকেই কালো হয়ে আছে । এখন শুরু হয়েছে দমকা বাতাস । বাতাসের গতি হঠাৎ করেই বেড়ে যায় । ধুলিঝড়ে চারদিক অন্ধকার করে আসে, সাথে শুরু হয় গগনবিদারি বজ্রপাত । কাইয়ুমের মা দেখতে পায়, তাদের বাড়ির দিকটাতে আকাশ যেন সমস্ত ক্রোধ নিয়ে ভেঙ্গে পড়ছে । সাথে সাথেই সে চিৎকার দিয়ে উঠে, 'আমার পুলারে মাইরা ফালাইলো..
তখনো বেশ কিছু মানুষ ঝড় থেকে বাঁচার জন্য রসুল মাস্টারের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিল । কাইয়ুমের মায়ের চিৎকার দিয়ে দৌড়ানো দেখে তারাও তার পিছু নেয় । এমন সময় নেমে আসে বৃষ্টি । বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে সবাই হযরত আলীর উঠোনে এসে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকে । কি বিপুল শক্তিতে আঘাত করলে একটা মানুষের কোমর পর্যন্ত মাটিতে গেঁথে যেতে পারে, তা তাদের বিশ্বাস হচ্ছিল না । মাটিতে অর্ধপোতা কাইয়ুমের ঘাড় পুরো বেঁকে গিয়ে বীভৎস ভাবে হা করে আছে । পুরো জিহ্বাটাই বের হয়ে এসেছে মুখ দিয়ে । চোখগুলো কোটর থেকে বের হয়ে বলের মত ঝুলছে । মৃতদেহের এই ভয়ার্ত রুপ দ্বিতীয়বার দেখতে কারোই সাহস হলো না ।
শুধু কাইয়ুমের মা মৃতদেহের দিকে শ্যেন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । আর মুখ দিয়ে বিড়বিড় করে বলছে, 'আমার পুলায় পাপ করছে, আল্লায় হেরে উডাই নিয়া গেছে..'
১১ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু । পাঠ প্রতিক্রিয়া জানালে খুশি হব ।
২| ১১ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:০৫
কাউসার রানা বলেছেন: শুধু মা'ই জানলো পাপটা। হুম ভালই ।
১১ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩১
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠে ধন্যবাদ ।
৩| ১১ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:১০
ইখতামিন বলেছেন:
প্রিয়তে
সময় করে পড়বো
১১ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
মামুন রশিদ বলেছেন: কেমন আছেন ইখতামিন ভাইয়া? শুভ দুপুর ।
৪| ১১ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আবার পড়তে হবে। খুব দ্রুত পড়েছি ।
ওঝা ব্যাপারটাতে ছোট বেলা থেকেই আগ্রহ ছিল। শুধু টিভি নাটক মুভিতে তা দেখেছি।
ভাল লেগেছে আপনার গল্প ।
১১ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম । গল্প পাঠে ধন্যবাদ ।
শুভ দুপুর ।
৫| ১১ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মামুন ভাই একটা অনুরোধ থাকবে, এই গল্পটাকে আপনি উপন্যাসে রুপদান করবেন। বেশ লিখেছেন। ভাল লেখা সেটাই যেটা পড়ে মনে হয় চোখে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ঘটনাগুলো।
১১ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫
মামুন রশিদ বলেছেন: হুম, ধন্যবাদ কান্ডারি । ছোটগল্প লিখে আগে হাতটা পাকাই, তারপর দেখা যাবে ।
শুভ দুপুর ।
৬| ১১ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শুভ ইশারায় যদি সমাজ বদলায়!!!!
শহুরে কাইয়ুম আর হাফসারা একণ ভয়হীন হয়ে গেছে!!!!!!
ভয়- নিয়মের প্রতি, আত্মার শুভর প্রতি, বিবেকের, সুস্থ জীবেনর, ধর্মকে বাদ দিলেও.. এই শুভ বোধটুকুইতো নূন্যতম মূন্যষত্বকে বাঁচিয়ে রাখে।
++++++++++
১১ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ভয়- নিয়মের প্রতি, আত্মার শুভর প্রতি, বিবেকের, সুস্থ জীবেনর, ধর্মকে বাদ দিলেও.. এই শুভ বোধটুকুইতো নূন্যতম মূন্যষত্বকে বাঁচিয়ে রাখে।
চমৎকার বলেছেন । গল্প পাঠে ধন্যবাদ ।
শুভ দুপুর ।
৭| ১১ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:২১
এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার গল্প। আমি নিজেই বুঝতে পারিনি নি শেষ লাইনের আগে পর্যন্ত।
শুভেচ্ছা ভাই।
++++++
১১ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ সাবির । মর্মান্তিক ঘটনাগুলো কুসংস্কারের আড়ালে এভাবেই মিলিয়ে যায় । তবু প্রকৃতি শুভ ও মঙ্গলের পক্ষেই ভূমিকা রাখে ।
ভালো থাকবেন । শুভ দুপুর ।
৮| ১১ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠাঁসবুনোট বর্ণনার সাথে চমৎকার কিছু উপমা। প্রথম থেকে শেষতক ভালো লাগার মতো একটা গল্প।
১১ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫
মামুন রশিদ বলেছেন: প্রকৃতির ভয়াল রুদ্র রুপ অনেক সময়ই উন্মুক্ত করে দেয় কুসংস্কারের আড়ালে লুকিয়ে থাকা সামাজিক-পারিবারিক অনাচার ।
ধন্যবাদ হামা ভাই । মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা ।
শুভ দুপুর ।
৯| ১১ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
প্রকৃতির কাছে লেখকের অসহায় আত্মসমর্পণ। মানব রচিত প্রণালী ‘র গ্রন্থিত নিয়ম-কানুনের তন্ত্রমন্ত্র যখন পৈচাশিকতার বিরুদ্ধে প্রয়াত হতে শুরু করে। মৃতজীবি আচরণে ঘাতুক হয়ে দাঁড়ায় আমাদের নীরবতা। প্রকৃতি তাঁর সৃষ্টির মর্মার্থ কে পরি-চায়ক করতে বাধ্য হয় এভাবেই।
গ্রামীণ পটভূমিতে লেখা গল্পটিতে নিহিতার্থ নির্মমতা-বিকার-দৃষ্টান্তের পাশাপাশি সূক্ষ্ম গদ্য ছন্দের ভঙ্গিমাটি ভালো লাগলো। ছোটগল্পের সেটিং এবং পরিণতি বিচারে যদিও একে সমাপ্ত ছোটগল্প বলতে হচ্ছে। শেষটাতে ব্যাখ্যার আধিক্য ছিলো; বিষয়টি ভেবে দেখবেন।
শুভ কামনা, মামুন। আপনার লেখালেখি চর্চা আরও প্রাণবন্ত ও বিচক্ষণ হোক।
১১ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৩২
মামুন রশিদ বলেছেন: শেষটাতে ব্যাখ্যার আধিক্য ছিলো;
হ্যাঁ, দুই প্যারায় দুইটা লাইন গল্পের রহস্যময়তাকে উন্মোচন করে দিয়েছে । এই দুইটা লাইন আরোপিত, প্রথমে ছিল না । পরে ভাবলাম একটু খোলাসা করে দিই, কারণ নইলে গল্পে অতি প্রাকৃত আবহ চলে আসে । তবে ব্যাপারটা নিয়ে আরো ভাবার অবকাশ আছে । ধন্যবাদ ব্যাপারটায় দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ।
চমৎকার গঠনমূলক বিশ্লেষণী আলোচনায় মুগ্ধ । এরকম মন্তব্য একজন লেখককে মেন্টালি এবং টেকনিকেলি অনেক হেল্প করে ।
ভালো থাকবেন সব সময় । শুভ রাত্রি ।
১০| ১১ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট , প্রকৃতির এক জটিল চিত্র , ভাললাগা ।
১১ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু ।
১১| ১১ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: চমৎকার লাগলো ভাইয়া । যদিও একদিনে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টা একটু নাটুকেপনার মতো মনে হয়েছে । আপনার বর্ণনাভঙ্গী বরারবরের মতোই অসাধারন । অনেকগুলো প্লাস নিবেন ।
১১ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:০২
মামুন রশিদ বলেছেন: ব্যাপারটা এভাবে ভেবে লিখিনি, প্রকৃতির করাল শোধ হিসাবে একই দিনে দুজনের মৃত্যুর কথা ভেবেছি । হ্যাঁ, কিছুটা কাকতাল হয়েছে ।
অনেক ধন্যবাদ শাহরিয়ার । ভালো থাকবেন ।
শুভ রাত্রি ।
১২| ১১ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:২০
ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ !
১১ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:১৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ।
শুভ রাত্রি ।
১৩| ১১ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৩৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রকৃতি ও প্রকৃতির সন্তানেরা....
সুন্দর দু'টি লেখা পড়লাম
মামুন রশিদ ভাইকে অফুরন্ত শুভেচ্ছা....
১১ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় মইনুল ভাই ।
ভালো থাকা হোক সব সময় । শুভ রাত্রি ।
১৪| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার একটা গল্প। ভাষা, গল্প বলার ধরন এবং সর্বশেষ শেষের দিকের একটা উত্তেজনা দারুন হয়েছে। প্রথমে অতিপ্রাকৃত গল্প পড়ছি না কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম পরে বুঝলাম - প্রকৃতির ভয়াল রুদ্র রুপ অতিপ্রাকৃত ঘটনার চেয়ে কম কিছু নয়।
১২ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৫৮
মামুন রশিদ বলেছেন: প্রকৃতির ভয়াল রুদ্র রুপ অতিপ্রাকৃত ঘটনার চেয়ে কম কিছু নয়।
ধন্যবাদ কাল্পনিক । সত্যিই আমি কোন অতি প্রাকৃত গল্প লিখতে চাইনি । আমি দেখাতে চেয়েছি কুসংস্কার অতি-প্রাকৃত রুপ নিয়ে আসলে অনেক অনাচারকেই নীরবে আড়াল করে দেয় । কিন্তু মানুষের কূটচাল থেকেও প্রকৃতির শক্তি ঢের বেশি । প্রকৃতি অনেক সময় রুদ্র রুপে আভির্ভূত হলেও, প্রকৃতপক্ষে সে শুভ আর মঙ্গলের পক্ষেই থকে ।
মন্তব্যে ভালোলাগা ।
১৫| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৩১
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
দশম প্লাস।
এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার গল্প। আমি নিজেই বুঝতে পারিনি নি শেষ লাইনের আগে পর্যন্ত।
--- আমিও
১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:০৮
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ একজন ঘূণপোকা । ভালো থাকবেন ।
১৬| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ৩:৫১
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: গ্রামীণ পটভূমিতে লেখা চমৎকার একটা গল্প।
গল্পে +++++
১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:২০
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় প্রবাসী পাঠক ।
ভালো থাকা হোক । শুভ রাত্রি ।
১৭| ১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:২১
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: কান্ডারি অথর্বের মন্তব্যের সাথে সহমত । গল্প পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল এটি কোন উপন্যাসের পরিমার্জিত রূপ । চমৎকার গ্রামীন প্লটের গল্পটা দারূন !
১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইসতিয়াক অয়ন । ভালো থাকবেন ।
শুভ রাত্রি ।
১৮| ১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:১২
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: First of all I apologize for commenting in English mamun vai, but I read this story from a pc where Avro is not installed.
I saw your link in fb and couldn’t resist for a pc with Avro facility.
Beautiful story, the narration, characterization and all other technical aspects of this well crafted short story is a almost like Hasan Azizul Haque Shaheb.
Liked the way you mixed up the character’s fate with the inevitable judgment of nature.
Best wishes to all your future projects and writings.
১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:০২
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার পড়াশোনার ডেপথ কেবল কিছুমাত্র অনুমান করতে পারি । হাসান সাহেব একবার বলেছিলেন, 'আমি আমার অভিজ্ঞতার বাইরে যাই নি ।' কথাটা আমার বোধ কে পুরো নাড়িয়ে দিয়েছিল । সেই থেকে নিজের উপর কনফিডেন্স অনেক বেড়ে যায় । আমি ব্লগে যে বিভাগে গল্প লিখি তার নাম 'জীবন থেকে নেয়া' । গল্প লেখার জন্য নিজের দেখা, শোনা আর বোঝার উপর নির্ভর করি, পরিবেশটাও থাকে চির চেনা ।
হ্যাঁ বলতে দ্বিধা নেই, এক হিসাবে হাসান আজিজুল হক থেকে প্রচুর অনুপ্রেরণা পাই । জীবন দেখার ওয়ে যেখানে মিলে যায় সেখানে গল্পেও কিছুটা মিল চলে আসতেই পারে । তবে আমার লেখালেখির অনুপ্রেরণা কেবল তিনি একাই নন ।
চমৎকার মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম আবির ।
ভালো থাকবেন । শুভ রাত্রি ।
১৯| ১২ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৫
ফা হিম বলেছেন: গ্রমীণ কুসংস্কারাছন্ন প্রকৃতির পাশাপাশি সাসপেন্সের স্বাদ পেলাম।
১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:২১
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফা হিম ।
ভালো থাকবেন । শুভ কামনা ।
২০| ১২ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬
অদৃশ্য বলেছেন:
গল্পটা খুবই ভালো লেগেছে আমার মামুন ভাই... এর ভেতরে আক্রাইমার চরিত্রটা আকর্ষনীয়... যদিও আপনি আর তাকে কন্টিনিউ করেননি, গল্পের প্রয়োজনেই...
ফিনিশিংটা ইন্টারেষ্টিং ছিলো... আমারো মনে হয়েছে যে লিখাটি আরও অনেকটা বড় করা যাবে... তবে হাফসাদের এমন ঘটনা কমনের মধ্যে পড়ে যায়... কিন্তু সাথের আক্রামের মতো চরিত্রগুলো সবসময়ই সতেজ...
শুভকামনা...
১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
মামুন রশিদ বলেছেন: আক্রম আলীর চরিত্রটা লেখার সময় আমিও খুব মজা পেয়েছিলাম । আপনি উল্লেখ করেছেন দেখে তাই খুব ভালো লাগলো ।
আসলে আমাদের জীবনের চলার পথে কত মানুষ ক্ষনিকের আনন্দ জুগিয়ে যায় । কিন্তু পথের মানুষকে পথেই আমরা হারিয়ে ফেলি ।
আপনার পাঠ সব সময় আনন্দ দেয় । শুভেচ্ছা প্রিয় কবি ।
২১| ১২ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪
সকাল রয় বলেছেন:
বেশএকটা গল্প
চরিত্রগুলো চোখের সামনে ভাসছিল যেন।
১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:০৭
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সকাল রয় ।
ভালো থাকা হোক । শুভ রাত্রি ।
২২| ১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:০১
ক্যাতর আলী বলেছেন: আল্লাহ বিচার করছে
১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:১৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
শুভ সকাল ।
২৩| ১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:১৫
জুন বলেছেন: গ্রামীন পটভুমিতে ভৌতিক গল্প। পেত্নীকে পেছনে দাড় করিয়ে রেখে মাছ ধরা, ভুত ঝাড়ার নামে পৈশাচিক অত্যাচার আর শেষ বেলায় কাইয়ুমের মৃত্যু এক প্রতিশোধের গল্প শুনিয়ে গেলে মামুন । অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। আরো বড় করে লিখতে পারো গল্পটি ব্লগের চিন্তা মাথায় না রেখে।
+
১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২১
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুনাপ্পী । অনুপ্রেরণা পেলাম ।
শুভ কামনা নিরন্তর ।
২৪| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আপনার অন্যতম সেরার একটি এটি মামুন ভাই !
গল্পের শুরুতেই টেনে ধরেছেন ! ভূতে ধরা আর তারপর শেকল দিয়ে হাফসা কে বেঁধে রাখা ! তারপর শেষ পর্যন্ত কি হচ্ছে শেষ লাইন পর্যন্ত না আসলে বুঝার উপায় নাই !
শুভকামনা সব সময়ের মামুন ভাই !
১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ অভি । ইতি উতি খুঁজি, ব্লগে কোথাও পাই না । নিয়মিত কেউ অনিয়মিত হলে অস্বস্তি লাগে ।
গল্প নিয়ে আপনার মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম । এভাবে কমপ্লিমেন্ট পেলে সারাক্ষণ গল্প লিখতে ইচ্ছে করে ।
ভালো থাকবেন । শুভ সকাল ।
২৫| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৯
শায়মা বলেছেন: কি ভয়ংকর ভাইয়া। ভুত পেত্নী ধরার বর্ণনা ভয়ংকর!!!
১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:১৪
মামুন রশিদ বলেছেন: ভূত পেত্নী ধরা মোটেই ভয়ংকর নয়, খুবই মজার । তুলা রাশির জাতকের জন্য এটা এক বিমল আনন্দ
যদি কখনো ধরার দরকার হয় আমাকে জানাইও
ভালো থেকো শায়মা । শুভ সকাল ।
২৬| ১৩ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২
শুঁটকি মাছ বলেছেন: দারুন!!!!!!!!!
দারুন!!!!!!!!
দারুন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:১৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ! ধন্যবাদ!! ধন্যবাদ!!!
ভালো থেকো আপু । শুভ সকাল ।
২৭| ১৩ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫
আপেক্ষিক বলেছেন: বাপরে!!! অনেক সুন্দর গল্প
অনেক!!! +++++++++ খুবই ভাল লেগেছে।
১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:৫৯
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠে ধন্যবাদ ।
ভালো থাকবেন । শুভ সকাল ।
২৮| ১৩ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: এক কথায় অসাধারন...
১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:০৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু ।
শুভ সকাল ।
২৯| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩১
তারছেড়া লিমন বলেছেন: ভাই আপনি আবার আমার গল্প পড়ার বাতিক টাকে সুক্ষ ভাবে চাগিয়ে তুলেছেন। আপনার লেখণী সম্পর্কে মন্তব্য করার ধৃষ্টতা কখনও হবে না। শুধু অপেক্ষায় থাকি আবার কখন পাব।
১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: খুবি খুশি হলাম লিমন ভাইয়া । আরো খুশি লাগবে যেদিন আপনি গল্প লিখে ব্লগে দিবেন । শুরু করে দিন ।
শুভ সকাল ।
৩০| ১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:২৫
বৃতি বলেছেন: গ্রামের প্রেক্ষাপট চমৎকার এঁকেছেন। প্রকৃতির সাথে মানসিক দ্বন্দ্ব মার্জ করেছে সুন্দরভাবে।
গল্পে অনেক ভাল লাগা থাকলো ভাইয়া।
১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:২১
মামুন রশিদ বলেছেন: ছোট্ট মন্তব্যে গল্পের মুল সুর সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন ।
ধন্যবাদ বৃতি । শুভ সকাল ।
৩১| ১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:১৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: এই গল্পে প্রকৃতি নিজেই একটা নিয়ামক , তার হস্তক্ষেপ উপভোগ
করলাম । মেদহীন দেহের ভেতর অনেক কিছু - ক্রূরতা , নির্মমতা ,
ইঙ্গিত , মিথ , সর্বোপরি মানুষ -প এই মানুষগুলো যেন মিথের মানুষ। ।
একদম প্রথম লাইন হতেই গুমোট ও মিস্টেরিয়াস আবহ ছড়ানো যেটা শেষ লাইন পর্যন্ত ছুয়ে
গেছে ।
আক্রমে মজা পেয়েছি
একটা দাপুটে গল্প পড়ার অনুভুতি হল ।
ভাল থাকুন প্রিয় মামুন ভাই ।
শুভকামনা রইল ।
১৪ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮
মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য আর দারুণ বিশ্লেষণে ভালো লাগা ।
ভালো থাকবেন মাহমুদ । শুভ কামনা ।
শুভ দুপুর ।
৩২| ১৪ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: গ্রামের পটভুমিতে লেখা গল্প পড়তে আমার খুবই বোরিং লাগে। কিন্তু এটাতে শুরুতে ভৌতিক ব্যাপার স্যাপার নিয়ে এসেছিলেন বলেই পড়লাম এবং মুগ্ধ হলাম।
বল্গে যে গল্পগুলো লেখা হয় সেখানে ডায়লগ খুব কম থাকে, ডায়লগ কম থাকলে গল্প পড়তে পড়তে একটু একঘেয়েমি লেগে যায়। আবার যে গল্পে ডায়লগ থেকে সেখানে আসলে কোন গল্পই থাকে না। শুধু গল্পের বর্ণনা পড়তে ভালো লাগে না। মনের মধ্যে কল্পনায় কিছু দেখতে না পারলে সমস্যা হয়ে যায়। গল্পটা মাথা থেকে হারিয়ে যায়।
মামুন ভাই, আপনার গল্প খুবই ভালো লেগেছে। তবে, গল্পটা পুরোপুরি চোখের সামনে দেখতে পারিনি। কেন বুঝলাম না।
১৪ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের প্রতি পাঠকের প্রত্যাশা- দারুণ ভাবে উঠে এসেছে মন্তব্যে । আপনার চাওয়া এবং ব্যাখ্যা খুবই রেশনাল এবং যৌক্তিক ।
গল্পে পাঠকের ভিজুয়ালাইজেশন আনতে পারা একজন লেখকের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ । ভিজুয়ালাইজেশন শুধু সুলেখা'র উপরই নির্ভর করে না, গল্পের প্রেক্ষাপট এবং পরিবেশের সাথে পাঠকের কতটুকু পরিচয় আছে তার উপরও নির্ভর করে । তবে আমি মনে করি এই গল্পে বর্ণনা এবং দৃশ্যান্তরের গতি অনেক বেশি । এর জন্যেও পাঠকের ভিজুয়ালাইজেশনে সমস্যা হতে পারে ।
অনেক ধন্যবাদ নাভিদ । ভালো থাকা হোক ।
শুভ বিকেল ।
৩৩| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৬
মুদ্দাকির বলেছেন: ভাই , সাধারন বিজ্ঞান লিখতেই উষ্টা খাই কয়বার ঠিক নাই , আর আপনারা কি লেখেন এই সব ....................................
১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:২১
মামুন রশিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ মুদ্দাকির ।
৩৪| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০৬
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: মামুন ভাইয়া কেমন আছেন??
গল্পের থিম আর উপস্থাপন দুটোই ভালো লেগেছে
খুব সুন্দর
শুভকামনা
১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৮
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু । ভালো আছি ।
প্রোপিকটা খুব সুইট ।
ভালো থাকা হোক । শুভকামনা নিরন্তর ।
৩৫| ১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৫
অপ্রতীয়মান বলেছেন: চমৎকার গল্প। গ্রামের মানুষের বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গি আর সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তাদের কর্মকাণ্ড আর অতি প্রকৃতিয় সব গুলি বিষয় তুলে নিয়ে এসেছেন। সাথে অনেক জিনিষ না বলেও বলেছেন এর মাঝেই।
অফটপিক : কিছুক্ষণ আগে মাত্র বাক স্বাধীনতা পেয়েছি এই কম্যুনিটিতে, আর এটাই আমার প্রথম মন্তব্য কারো পোষ্টে। সত্যিই অনেক আনন্দ লাগছে
১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অপ্রতীয়মান । আমার ব্লগবাড়িতে স্বাগতম । সাথে ব্লগে প্রথম বাকস্বাধীনতা অর্জনের শুভেচ্ছা ।
আপনার মন্তব্যটি স্বারক হিসাবে রেখে দিলাম ।
ভালো থাকা হোক । শুভ দুপুর ।
৩৬| ১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ২:৩৫
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আক্রাম চরিত্রটা অপ্রয়োজনী মনে হলো। আক্রামের বলা গল্পতে হয়তো পাঠককে জ্বীন ভূত পেত্নী বা শয়তানের দিকেই আঙ্গুল দিতে চেয়েছেন কিংবা গল্পের শেষে টুইস্ট রাখার জন্য কিন্তু শেষ পর্যন্ত অপ্রয়োজনীয় ঠেকল আমার কাছে, কেননা এই চরিত্রটা অন্য চরিত্রের সাথে কোপারেট করতে পারে নাই।
শেষের টুইস্ট ভালো লেগেছে। দিনশেষে শয়তান মানুষের মধ্যেই বিরাজমান।
শুভকামনা মামুন ভাই।
১৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:০৭
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পে আক্রাম চরিত্রটা বিচ্ছিন্ন, পথ চলতি নানান মানুষের মত । তাদের দেয়া ক্ষনিক আনন্দে আমরা সাময়িক মুগ্ধ হই, কিন্তু তাদের মনে রাখার কোন প্রয়োজন নেই ।
ট্যুইস্ট ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা । আর আপনার মন্তব্যের শেষের লাইন অসাধারণ! দিনশেষে শয়তান মানুষের মধ্যেই বিরাজমান ।
ভালো থাকবেন কবি । শুভ সকাল ।
৩৭| ১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ ,
সেই সনাতন কাল থেকে গ্রামবাংলার সরল মানুষগুলোর ভেতরে ধারন করা কুসংস্কার , ভুল বিশ্বাসের নির্ভুল ছবি এঁকেছেন । পাশাপাশি খল চরিত্র চিত্রনেও পেছিয়ে থাকেননি । বাস্তবে এমোনটাই ঘটে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৫১
মামুন রশিদ বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস ভাই,
খুব সহজ ভাষায় গল্পের জিস্ট তুলে ধরেছেন । আপনার কমপ্লিমেন্ট নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণাদায়ী ।
ভালো থাকা হোক সব সময় । শুভকামনা নিরন্তর ।
৩৮| ১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৫
রাতুল_শাহ বলেছেন: জুন বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। আরো বড় করে লিখতে পারো গল্পটি ব্লগের চিন্তা মাথায় না রেখে।
উনার সাথে আমিও একমত।
১৭ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাতুল ভাই । ভালো থাকবেন ।
শুভ সকাল ।
৩৯| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫২
আমার আমিত্ব বলেছেন: আপনার সামহোয়্যারইন গল্প-সংকলনের একজন ভক্ত আমি। আমর মত ব্লাগার রা এই রকম ই পোস্ট খোঁজে।
আপনার এই গল্পটা ভালোলেগেছে বলতে এসে অন্য কথা লিখে ফেললাম।
১৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আমার আমিত্ব । জেনে খুব ভালো লাগলো । আপনার প্রিয় সংকলন প্রতি মাসেই বেরুবে, এই মাস থেকে ব্লগার মাহমুদ০০৭ এটা সম্পাদনা করবেন ।
গল্প ভালো লাগায় অশেষ কৃতজ্ঞতা । ভালো থাকবেন ।
শুভ সকাল ।
৪০| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ২:৩৩
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: গ্রামে যাই না অনেক দিন। গল্পটা পড়বার সময় দৃশ্যগুলো চোখে ভাসছিল। গ্রামের দৃশ্যগুলো।
গ্রামের মানুষ গুলো এমন নানা কু সংস্কারে আটকে আছে এখনও। মাছ ধরতে গিয়ে, ভূত প্রেতের সাথে দেখা। ওঝা ,ঝার ফুক, অভিশাপ।
গল্প ভাল লেগেছে। একটু অন্য রকম ছিল। বর্ণনা বা গল্প এগিয়ে নিয়ে আসা সত্যি চমৎকার। +++++
১৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:১২
মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ, সুন্দর মন্তব্য ।
গল্প ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা জানবেন রিয়াদ ।
ভালো থাকা হোক সব সময় । শুভ সকাল ।
৪১| ১৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:২৭
ইমিনা বলেছেন: শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়লাম মামুন ভাই। এত সুন্দর লিখেছেন যে এখন যদি ঈর্ষা নামক মানসিক ব্যাধি অামায় পেয়ে বসে তবুও নিজেকে খারাপ ভাববো না
১৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪২
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, 'ঈর্ষা' শব্দটা বড় আনন্দময়ী রুপে ধরা দিলো ।
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধতা ছড়িয়ে গেল । ভালো থাকবেন ইমিনা ।
শুভ সকাল
৪২| ১৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
সুমন কর বলেছেন: সাবলীল বর্ণনায় গ্রাম্য পটভূমি বেশ তুলে ধরেছেন। নিস্তব্ধ দুপুরে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক ব্যাপারটি যায় না, আমার মতে। শেষে আরো একটু বর্ণনার প্রয়োজন ছিল বৈকি। সবমিলিয়ে বেশ সুন্দর একটি ছোট গল্প। ভাল লাগল।
১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৩৩
মামুন রশিদ বলেছেন: নিস্তব্ধ দুপুরে আমি নিজেই ঝিঁঝিঁ পোকার পিছু নিয়েছি কত, তাদের ডাক অনুসরণ করে ঘুরেছি এক গাছের তলা থেকে আরেক গাছের তলায় । তবে হ্যাঁ, শেষটা যে খুব দ্রুত হয়ে গিয়েছে সেটা বুঝতে পেরেছি । দেখি, সময় পেলে গল্পের শেষটা আরো ধীরতালে লিখব ।
ধন্যবাদ সুমন । ভালো থাকবেন ।
৪৩| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৯
সঞ্জীবনী বলেছেন: অনেক অনেক সুন্দর ভাইয়া
১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:০৭
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । শুভ রাত্রি ।
৪৪| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ২:২১
আমি সাজিদ বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা। একটানে পড়ে ফেললাম। মুগ্ধ মুগ্ধ এবং মুগ্ধ!
২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:০০
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ 'আমি সাজিদ' ।
ভালো থাকা হোক । সুপ্রভাত
৪৫| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ২:৫৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চমৎকার গল্পটা মিস হয়ে গেছিল। পড়ে নিলাম। এবং আনন্দের ব্যাপার, প্লাস দেওয়া যাচ্ছে!
২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:২৫
মামুন রশিদ বলেছেন: প্লাস দিতে এবং পেতে ভালোই লাগে ।
ধন্যবাদ প্রোফেসর সাহেব । শুভ সকাল ।
৪৬| ২৩ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ভয়াবহ ব্যাপার। বোঝাই যায় চাপাবাজিতে ওস্তাদ লোকেরাই ভালো গল্প বলে। কিন্তু সত্যের নির্মমতাকে আড়াল করতেও কখনো কখনো গল্প বানাতে বাধ্য হয় মানুষ। আর এভাবেই আমাদের জীবন আর সমাজে লীন হ থাকে বেশ খানিকটা মিথ্যা, যার কছে ভিড়তে পারে না আপাত সত্যটা।
দুর্দান্ত একটা গল্প।
২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার মন্তব্য স্পর্শ করলো জুলিয়ান ভাই । বলা যায় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিলো ।
ভালো থাকা হোক । শুভ রাত্রি ।
৪৭| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১২
লিরিকস বলেছেন: ভাইয়া আপনার প্রিয় একটা গান দিয়েছি।
২৪ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু ।
৪৮| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬
পংবাড়ী বলেছেন: দু:খ পাবার মতো ভালোবাসা।
মেকানিক্যাল বর্ণনা।
২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
৪৯| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:০৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ফাটাফাটি ফিনিশিং। অসাধারন বর্ননাভঙ্গি, ফিনিশিং টুইস্টটাও অসাশারন। ভাল লাগল।
২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৫১
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ 'আমি তুমি আমরা' ।
ভালো থাকা হোক । শুভ কামনা ।
৫০| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১:১৫
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
দারুন লাগলো মামুন ভাই।
শুভকামনা।
৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:১০
মামুন রশিদ বলেছেন: থ্যান্কু দূর্জয়
৫১| ২৮ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: " সুপ্রভাত মামুন ভাই।
খুব সুন্দর বর্ণনার একটা গল্প সকাল সকাল পড়লাম। শুরুর বর্ণনা এবং ফাঁকে ফাঁকে যেসব বর্ণনা, কাউয়ুমের মৃত্যু বর্ণনা খুব সুন্দর করে এঁকেছেন। মুসলিম পরিবারের গোঁড়া যেসব ব্যাপার সেসব যেন ভুলে গিয়েছিলাম। পড়তে পড়তে চোখের সামনে ভেসে উঠলো।
খুবই চমৎকার করে বোশেখের ছবি এঁকেছেন।
১০০ তম মন্তব্য করে বেশ মজা পাচ্ছি। আর হ্যাঁ এটা আপনার বিগত লেখা গল্প গুলোকে ছাড়িয়ে গেছে পরিপক্কতায় এবং গল্পের ভাবে। কাউয়ুমের বিক্ষিপ্ত আচরণে অবশ্য ধরতে পেরেছিলাম হাফসা রহস্য। আবারো মুগ্ধতা রইলো।
৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য অনুপ্রেরণা হিসেবে নিলাম । গ্রামীন পটভূমি নিয়ে কাজ করার ইচ্ছেটা বেগ পেল আপনার মুগ্ধকর মন্তব্যে ।
শুভ কামনা অনিঃশেষ । শুভ কামনা নিরন্তর ।
৫২| ০৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭
পার্থ তালুকদার বলেছেন: গল্পটা এখন পড়লাম। ভাবছি, আরও আগে কেন পড়িনি !!
আপনার সাথে আমার কোথায় জানি একটু মিল রয়েছে, হয়তো তা 'ভাবনায়' ।
তবে অমিলও রয়েছে !! আপনি সাবলীল ভাবে লিখতে জানেন আর আমি পুরোটাই 'হাতুরে ডাক্তার'।
০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:২২
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পার্থ । আসলে আমরা দুজনে একই জল-কাদায় বেড়ে উঠা মানুষ । অমিলটুকু নিতান্তই গৌণ মাত্র ।
ভালো থাকা হোক । শুভকামনা ।
৫৩| ১৩ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: চমতকার গল্প!!!!!
আবহমান কাল ধরে গ্রাম বাংলার ছায়াঘন অন্ধকারে এমন কত বিচিত্র ঘটনাই না ঘটে যায়--আর এদের পরিনতি হয় বহুবর্নের কুসংষ্কারের ধুম্রজাল।
১৩ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:০৫
মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সন্ধ্যা প্রদীপ ।
৫৪| ২২ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১০
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
পড়েছিলাম আগেই কিন্তু কেন যেন মন্তব্য করা হয়নি ৷ গ্রামীণ দৃশ্য বর্ণনা বেশ প্রাণবন্ত ৷ তবে পাঠক কিন্তু পড়তে পড়তে কারণটি উদ্ধার করে ফেলে ছিল আগেই ৷ শেষদিকে রহস্য উন্মোচন দরকার ছিল কিনা সেটাই বিবেচ্য থাকল ৷ বর্তমানে গল্পের পাঠক বেশ সয়ংসম্পূর্ণ পঠনের অন্তর্চক্ষুর গুনেই ৷ আপনি কি গল্প এডিট করে আবার ব্লগে দেন কারণ অনেকেই চূড়ান্ত বলেই উপস্থাপনা করেন পরে কোন পরিবর্তন দেখা যায় না ৷ নিয়মিত লিখেন বলেই জানার ইচ্ছা ৷ ভাল থাকুন ৷
মক্ষলার্থে…….
২২ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩২
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । সুন্দর বিশ্লেষণী মন্তব্যে ভালোলাগা । পাঠকের প্রতি অবশ্যই সম্মান রাখতে হবে, কারণ গল্পের পাঠকের অন্তর্চক্ষু বেশ গভীর ।
না, ব্লগে দেয়া গল্প চুড়ান্ত নয় । পাঠকের বিশ্লেষণ মাথায় রেখে গল্প এডিট করা হয় । আমি ব্লগকে শেখার জায়গা হিসেবে নিয়েছি । এখানে পড়তে পড়তেই আমার লেখালেখির শুরু । তাই পাঠকের মন্তব্য আমি অনুধাবন করতে চেষ্টা করি এবং সেই অনুযায়ী গল্পে যথেষ্ট পরিবর্তন নিয়ে আসি । তবে সাময়িক ব্যস্ততার জন্য বেশ কিছু গল্প এডিটের অপেক্ষায় ।
ভালো থাকবেন । শুভ কামনা ।
৫৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫
আলম দীপ্র বলেছেন: এরকম আরও কত গল্প জানি মিস করেছি ।
চমৎকার বর্ণনা । সবমিলিয়ে পুরো পারফেক্ট একটা ছোট গল্প ।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩২
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দীপ্র । ভালো থেকো ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:০১
লিরিকস বলেছেন: ১ম ভালো লাগা ভাইয়া।
এখনো পড়ি নাই।
পরে পড়ব।