![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খেপাটের ক্ষেপে গেলেই বিপদ
দিল্লির তরুণের বখে যাওয়া সময়টার অনেক গল্প একসময় ভারতীয় ক্রিকেটসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মুখে মুখে ফিরত। ত্যক্তবিরক্ত, তার চেয়েও বেশি চিন্তিত কোহলির কোচ একদিন তাঁকে একান্তে ডেকে নিয়ে বলেন, ‘এই দিল্লিতে তোমার চেয়ে সুদর্শন অনেক ছেলে আছে। তুমি বিরাট কোহলি কিন্তু শুধু ক্রিকেটার বলে। মনে রেখো, সেই ক্রিকেটটা ঠিক না থাকলে কেউই আর তোমাকে পুছবে না।’
কোহলি মনে রেখেছেন। পালাবদলের সময়টা কবে শুরু হয়েছিল, সুনির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন। তবে ২০১০ সালের শুরুতে বাংলাদেশে ত্রিদেশীয় সিরিজটির কথাও আলোচনায় আসে। যে টুর্নামেন্টে তিন ইনিংসে কোহলির রান ছিল ৯১, অপরাজিত ৭১ ও অপরাজিত ১০২।
সেই যে বাংলাদেশের প্রেমে পড়লেন, সেটিতে আর ভাটার টান নেই। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি, ৫টি ওয়ানডে সেঞ্চুরির মালিক হয়ে গেলেন কাল। বাংলাদেশের বোলিং যেমন, বাংলাদেশের আলো-বাতাসও কোহলির একই রকম পছন্দ। বাংলাদেশের মাটিতে যেমন, তেমনি বাংলাদেশের বিপক্ষেও ব্যাটিং-গড় ১১০ ছাড়ানো!
অধিনায়কত্ব যে তাঁর জন্য বাড়তি কোনো বোঝা নয়, টানা অষ্টম জয়ে সেটিরও প্রমাণ। এখন পর্যন্ত অধিনায়কত্বের সুযোগ পেয়েছেন হয় ধোনির বিশ্রাম অথবা চোটের কারণে। দীর্ঘ মেয়াদে পাওয়ার দাবিও জানিয়ে রাখছেন সুযোগ পেলেই।
মুশফিকুরের সেই দাবি এরই মধ্যে পূরণ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রায় দুই বছর মেয়াদে অধিনায়ক করে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। অধিনায়কত্বের চাপ-টাপ সামলানোর দক্ষতাও অনেক দিনই প্রমাণিত। তবে কালকের মতো করে বোধ হয় আর কখনো নয়।
©somewhere in net ltd.