![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খেপাটের ক্ষেপে গেলেই বিপদ
পথের ক্লান্তি ভুলে
স্নেহ ভরা কোলে তব
মাগো বলো কবে শীতল হব,,,,
কতদূর আর কতদূর,,,,,,
আসলে রাস্তাটা বহুত । যেতে যেতে অনেকগুলো সেতু পার হতে হবে । সবচেয়ে বড় সেতুর নাম যমুনা সেতু । এই সেতু কিন্তু আমার সেতু থুক্কু ক্লাসের সেতু নয় । এই সেতু হইলো বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু আর আমাদের ক্লাসের সেতু হলো পিচ্চি, সুন্দ্রী সেতু । যমুনা সেতু জনগনের জন্য চালু করা হয় জুন ১৯৯৮ আর সেতুর জন্ম সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ ( ফেবুর অ্যাবাউট মি মতান্তরে) । যমুনা সেতুর স্প্যান ৪৯ টি কিন্তু আমার সেতুর থুক্কু মানে সেতুর জামা কাপড়ের সংখ্যা অগনিত । যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে দুটি ট্রেনের ট্র্যাক আছে ঠিক সেতুরও দুই জোড়া চশমা আছে ( প্রত্যক্ষদর্শী আমি নিজে ) । যমুনা সেতুর কনস্ট্রাকশনের দায়িত্বে ছিল হুন্দাই আর সেতুর ঢাবিতে আসার পিছনে স্কুল কলেজ ছিল ভিকারুন্নেছা ( নাসায় অবস্থিত
) ।
**যমুনা সেতুর উপর দিয়ে পার হয়ে যায় গরু পার হয় গাড়ি আর সেতু ভার্সিটির বাসে করে যায় তার বাড়ি **। নিজের অঞ্চলে যাওয়ার সময় চোখে পড়ে অপরূপ দৃশ্য, ঠিক সেতুর সাথে ক্লাসের পর দেখা হলে টিএসসির আড্ডা পর্যন্ত দেখি তার অফূর্ব বদনখানি আর তার শুনি তার কথাবার্তা । সেতুর কথা আর তার বদনখানি দেখতে ভাল্লাগে ঠিক যমুনা সেতু পার হওয়ার সময় তার আশেপাশের পরিবেশ দেখতে ভাল্লাগে । ওহ বলাই হয় নাই,,,সেতুর বাড়ি খিলগাঁও আর আমার বাড়ি ঠাকুরগাঁও,,,,ঠাকুর ঘরে খিল দিতে ভুলে গেছিলাম আমাদের গাঁওতে ( শুদ্ধ বাংলায় গ্রাম ) । সেতুর এলাকার নামের শেষে গাঁও ঠিক আমার এলাকার নামের শেষে গাঁও আছে । আর মাঝখানে দীর্ঘকায় একখান যমুনা সেতু আছে । যাহা পার হইয়্যা আমাকে আমার গন্ত্যবে যেতে হয় । সেতুর ভার্সিটিতে অর্থি নামের একখানা বান্ধবী আছে ঠিক যমুনার চারখানা লেন আছে । সেতু যখন বাড়ি যায় তখন জ্যামে পড়ে আর যমুনা সেতু দিয়ে যখন ট্রেন যায় তখন ধীরে ধীরে চলে ( পদার্থবিদ্যার ব্যাপার স্যাপার) ।সেতুর প্রায়শ ইয়া বড় আর ভারী ধরনের ব্যাগ নিয়ে ক্লাসে আসে আর যমুনা সেতু তাহার ইয়া লম্বা সাইজের রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করতে দেয় । তদুপরী সেতু যেমন আমার কাছে টাকা পায় তেমনি যমুনা সেতুও টোল পায় । যমুনা সেতুতে তেমন কোন বড় ধরনের দূর্ঘটনা আমার চোখে পড়ে নি শুধু একটা ছাড়া ঠিক সেতুরে চেনার পর থেকে থাই কাপড় পড়া ছাড়া আর কোন কিছু উইয়ার্ড আমার কাছে কোনদিন মনে হয় নাই । যাই হোক যমুনা সেতু দেখতে আর কৌতুহল মেটাতে অনেকেই একবার হইলেও যমুনা সেতু দেখতে আসে ঠিক সেতু সুন্দ্রী বলে বুয়েট, মেডিকেল সবাই ক্রাশে খেয়ে বেঁচে আছে । পিচ্চি, সুন্দ্রী সেতু মেয়েটা অনেক ভালো । তার চশমার পাওয়ারে আমি কিচ্ছু দেখা পাই না । এমনকি সেতুরেও না । সুন্দ্রী মেয়েটার উপ্রে অনেক ছেলেই ক্রাশ । তাদের মত সৌভাগ্য আমার হয় নাই । এত্ত কিছু লিখছি বলে তুই যদি রাগ করিস তাহলে তোর টাকা ফেরত দিমু না
।
সেতু রাগ করলে কতৃপক্ষ ( মানে আমি ) দায়ী নই ।
অবশেষে অনেকদিন মায়ের কাছে থাকি না । বিশেষ কিছু কারনে বাসায় যাওয়া ।
পথিমধ্যে কোন কিছু হইলে সেতু সহ তার আইনজীবী বাপরে আমার বাসায় দাওয়াত । সাথে অর্থি, বাপ্পি, রাকিব, মইন, সু আ আ আ গ,,,আরিফসহ বাকিদের দেখতে আসার জন্য বলা হইলো ।
*** ইহা কাল্পনিক অবাস্তব একখানা রম্যবচন ****
#চিরিয়াল_কত্ত???
#হাসো_ক্যান???
#তুমি_অর্গানিক_খাও_নাকি_সিন্থেটিক
©somewhere in net ltd.