নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখি আর তার পিছনেই ছুটি

নিজেকে এখোনো চিনতে পারিনি । যেদিন চিনতে পারবো আপনাদের অবশ্যই জানাবো

খেপাটে

খেপাটের ক্ষেপে গেলেই বিপদ

খেপাটে › বিস্তারিত পোস্টঃ

fight or flight respons (Extrem advanture psychology )

২২ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:০৭

আপনি যখন একটা বিপদে পড়বেন তখন
সেই বিপদের মোকাবেলা করবেন নাকি বিপদ থেকে
পালাবেন, এটিই ফাইট অর ফ্লাইট রেসপন্স।
শুরুতেই আসুন এধরনের কিছু পরিস্থিতি সম্পর্কে
জানি।
কয়েকটি উদাহরণঃ
১. রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ একদম কাছ
থেকে কোন কুকুর ঘেউ ঘেউ করে উঠল। আপনি কি
তৎক্ষণাৎ দৌড় দিবেন, নাকি আগে পরিস্থিতি
বোঝার চেষ্টা করবেন?
২. আপনি কোন এক সুন্দর বিকেলে আপনার প্রেয়সীর
সাথে সুন্দর কিছু সময় কাটাচ্ছেন। ঠিক সেই মুহুর্তে
আপনার অন্য আরেক প্রেয়সী আপনাকে হাতে-নাতে
ধরে ফেলল। কি করবেন? “তোরা দুইটাই থাক ভাই,
আমি পলাইলাম” নাকি পুরো বিষয়টাকে অতি ‘বদ-
দক্ষতার’ সাথে সামলানোর চেষ্টা করবেন?
৩. ভিডিওটি দেখুনঃ https://www.youtube.com/
watch?v=VQUv37Tl1qc
.
বিষয়টির ভেতরে প্রবেশের পূর্বে কিছু বিষয় ক্লিয়ার
হয়ে নেই। এই ফাইট-ফ্লাইট কে পার্সোনালিটির
সাথে মিলিয়ে ফেলছেন না তো? অর্থাৎ এসব
পরিস্থিতি থেকে যারা পালাবে তাদেরকে কি কাপুরুষ
আর যারা এসব পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে
তাদেরকে কি বাহাদুর হিসেবে আক্ষা দিবেন?
এমনটি করবেন না! কারণ পুরো ব্যাপারটাই আসলে
র্যা/নডম এবং নির্দিষ্ট ঘটনার মাত্রা ও পরিস্থিতির
উপর নির্ভর করে। একই ধরনের ঘটনায় আপনি আজকে
ফাইট করতে পারেন, আবার কালকে ফ্লাইটও করতে
পারেন।
“ফাইট আর ফ্লাইট ইজ নট আ পার্সোনালিটি টাইপ;
ইট ইজ যাস্ট আ স্ট্রেস রেসপন্স সিস্টেম” [১]
তবুও পার্সোনালিটিকে টেনে আনা যায়। যেমন আমি
সর্বদাই গণ্ডগোল এড়িয়ে চলি। এখানে কি ধরনের
গণ্ডগোল, সেটা স্পেসিফাই করা দরকার। ধরুন
মারামারি! (যা শরীর, মারামারি এড়িয়ে চলব না তো
কি মাইর খাবো?) তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমি
চাইবো কোন একটা সমস্যা কথা দিয়েই সমাধান হয়ে
যাক।
আবার আমার নিজেরই এমন বন্ধু আছে যারা “কথা
পরে, আগে মাইর” নীতিতে বিশ্বাসী। তারা
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মারামারি বাঁধানোর ধান্ধায়
থাকবে।
রাস্তাঘাটে কোনদিন হয়তো কারও সাথে কোন
ভেজাল লেগে গেল। আমি একা, আমার হাতে সময়
কম, স্যরি বলে সেই ঘটনা থেকে পার পাওয়ার চেষ্টা
করব। আবার অন্য কোন দিন আমি ৫-৬ জন বন্ধুসহ
আছি এবং হাতেও সময় অনেক, সেদিন কিন্তু আমি
ওরকম ভেজালের শেষ দেখেই ছাড়ব! [২,৩]
..
Fight-Flight Response এর অবতারণা করেন ওয়াল্টার
ব্যাডফোর্ড ক্যানন, ১৯৩২ সালে প্রকাশিত তার “The
Wisdom of the Body” তে।
এটি মূলত আমাদের সারভাইভাল ইন্সটিংক্ট।
প্রাচীন-প্রাচীনকালে মানুষকে প্রতিনিয়তই বিপদে
পড়তে হতো। এখনো হয়। তবে তখনকার বিপদগুলো
ছিল সারভাইভাল নিয়ে। হয় বাঁচ নাহয় মর! হর-
হামেশাই বন্য প্রাণীর সাথে লড়াই করে কিংবা
তাদের থেকে পালিয়ে টিকে থাকতে হতো! আর
এখনকার বিপদগুলো সেই তুলনায় অনেক হালকা।
সেইসময়ের টিকে থাকার ফাইট-ফ্লাইট এখন আমাদের
মাঝে দৈনন্দিন প্রতিটি ক্ষেত্রে ছড়িয়ে গেছে!
.
ব্যাপারটা খুব সহজ(!) আমরা একটি বিপদে পড়লাম।
আমাদের ইন্সটিংক্ট তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিল যে,
আমরা সেই বিপদ থেকে পালাবো, নাকি তার
মোকাবিলা করব। ডিসিশন টেকিং এর এই পুরো
প্রসেসটা শেষ হতে হয়তো ফ্র্যাকশন অফ আ
সেকেন্ড সময় লাগে কিন্তু এই সময়ে কি কি প্রসেসিং
হয়, আসুন জানার চেষ্টা করিঃ
সবার প্রথমে ব্রেইনের এ্যামিগডেলা এলার্ম বাজায়-
বিপদ! বিপদ! (এ্যামিগডেলা, অনেকটা ফায়ার
ডিটেক্টর এর মতন কাজ করে) হাইপোথ্যালামাস
এলার্ট হয়। পিটুইটারি গ্ল্যান্ড থেকে হরমোন নিঃসৃত
হয়। ওদিকটায় অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম চালু হয়ে
যায়। ব্রেইন থেকে কার্যক্রম চলে আসে কিডনির
ওখানটায় এড্রেনাল গ্ল্যান্ড এ। আরো হরমোন
নিঃসরণ এবং আরোও কয়েকধাপ কাজকর্ম শেষে
আমাদের শরীরের সকল প্রান্তে গ্লুকোজ পৌছে যায়,
পৌছে যায় অধিক অক্সিজেনধারী রক্তকণিকা।
আমরা প্রস্তুত হয়ে যাই, ক্ষণিকের জন্য সুপারম্যান
হয়ে যাই; এখন আমরা হয় সর্বশক্তি দিয়ে ফাইট করব,
নাহয় সর্বশক্তি দিয়ে ফ্লাইট করব।
হরমোনাল এই প্রক্রিয়াটা হয়তো ক্লিয়ার হবে এটা
দেখলেঃ https://www.youtube.com/watch?
v=m2GywoS77qc
এই প্রক্রিয়াটা এবং প্রক্রিয়া শেষের ইফেক্টগুলো
জানতে আরও সাহায্য করবে নিচের লিংকগুলোঃ
https://upload.wikimedia.org/wikipedia/
commons/8/87/The_Fight_or_Flight_Response.jpg
http://science.howstuffworks.com/life/inside-the-
mind/emotions/fear2.htm
https://en.wikipedia.org/wiki/Fight-or-flight_
response
https://www.youtube.com/watch?v=RyP8L3qT
W9Q
...
আচ্ছা, শুধু তো ফাইট আর ফ্লাইটই না; কেউ কেউ যে
ফ্রিজও হয়ে যায়? এই ফ্রিজের ব্যাপারটা নিয়ে
চিন্তা-ভাবনা এসেছে আরও পরে। অর্থাৎ ক্যানন
কর্তৃক ১৯৩২ সালে প্রথম অবতারণার আরও পরে। এটা
নিয়ে হয়তোবা অন্য কোনদিন। শুধু একটু হিন্ট দিয়ে
রাখিঃ মনে পড়ে ভাল্লুক আর দুই বন্ধুর গল্পটা?
একজন গাছে উঠে গিয়েছিল (ফ্লাইট) আর আরেকজন
মরার মতন পরে ছিল (এটা কি ছিল? ফাইট, নাকি
ফ্রিজ?)! [৪]
....
শেষ করব মজাদার একটা আধুনিক তথ্য দিয়ে। আমরা
তৃতীয় বর্ষে যে টেইলর এর হেল্থ সাইকোলজি বইটা
পড়ি, সেই টেইলর ২০০০ সালে আরও কয়েকজনকে
নিয়ে একটি গবেষণা করেন। এপিএ এর জার্নাল
সাইকোলজিকাল রিভিউ এ প্রকাশিত এই গবেষণা
প্রবন্ধটির শিরোনাম ছিলঃ Biobehavioral
Responses to Stress in Females: Tend-and-Befrie
nd, not Fight-or-Flight. (গবেষণা প্রবন্ধটি http://
www.updegrafflab.org/files/5713/3886/8266/
TKLGGU-00.pdf থেকে ডাউনলোড করা যাবে)।
এখানে তারা বলেছেন, এক্ষেত্রে মেয়েদের
সার্ভাইভালের ধারণাটা একটু ভিন্ন। তারা বিপদে
পড়লে নিজের চাইতে সন্তানদের চিন্তা বেশি
করতেন। (এমন না যে ছেলেরা করতো না, তবে
মেয়েরা একটু বেশিই করতো)। তাই বিপদের সম্মুখীন
হলে, ফাইট আর ফ্লাইট এর চেয়েও তাদের মাঝে
টেন্ড অর্থাৎ নারচারিং চিন্তা ভাবনা আগে আসে।
এবং আধুনিককালের এসব স্ট্রেসফুল সিচুয়েশনকে
ডিল করার জন্য তারা বন্ধু-বান্ধব বেশি তৈরী করে,
বেশি করে আলোচনা বা শেয়ার করার জন্য!
.....
......
.......
১. http://www.iol.co.za/news/crime-courts/fight-
or-flight-not-a-personality-type-1.1714136
২. http://www.simplypsychology.org/personality-
a.html
৩. http://psychcentral.com/lib/fight-or-flight/
৪. http://www.ancientbrain.net/home/fight-or-
flight/fight-flight-and-freezing/

কার্টেসিঃ ফিরোজ শরীফ
ডিপার্টমেন্ট অব সাইকোলজি,,,ঢাবি

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.