![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্লগে থাকলে ব্লগের ডান পাশে থাকা ডয়েচ ভেল এর সংবাদ শিরোনাম দেখে প্রায় সময়ই পুরা রিপোর্ট পড়ি। গতকাল চোখ আটকে গিয়েছিল একটা সংবাদে তা হল http://www.dw.de/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%93%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%9B%E0%A7%81%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2/a-16702987 ‘মেয়েটাকে পিটিয়ে ওরা আগুনে ছুড়ে মারতে চেয়েছিল’
শিরোনাম দেখেই মনটা খারাপ হয়ে গেল,বুঝলাম কয়রায় আগুন দেওয়া সেই পল্লীর কথাই লেখা আছে।লিঙ্কে ঢুকেই দেখি ঘটনা সত্য।আমি গতকাল আরেকবার গিয়েছিলাম ঐ পল্লীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ মশিউর রহমানের পক্ষ থেকে সমবেদনা এবং হামলায় সর্বশান্ত পরিবারের কাছে কিছু সাহায্য পৌঁছে দেবার জন্য। আর আমি গিয়েছিলাম উপদেষ্টা পত্নী ইভা আপার সাথে।
আমাদের পূর্ব নির্ধারিত প্রোগ্রাম ছিল গতকাল অর্থাৎ ২৭ তারিখ আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ মশিউর রহমানের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানাতে কয়রার আমাদিতে যাব।সাথে উপদেষ্টা পত্নী ইভা আপাও থাকবে।কিন্তু গত ২৫ শে মার্চ সন্ধার পর আপার কল পেলাম এবং জানতে পারলাম ২৭ ও ২৮ তারিখ বিএনপি জোটের হরতাল ডাকায় আপা ২৬ শে মার্চ পাইকগাছা আসবে।তাই সেভাবে আমাকে প্রোগ্রাম ঠিক করতে হবে।
পরের দিন অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ আপা পৌঁছানোর পর প্রথমে সৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
তারপর পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত বেলাল উদ্দিন বিলু কাকা ও তার স্ত্রীর কবর জিয়ারত করে রওয়ানা দেই কয়েকদিন আগে ঢাকায় খুন হওয়া এড.গিয়াসউদ্দিন কাজলের বাড়িতে।সেখানে কবর জিয়ারত ও শোকে পাথর হয়ে যাওয়া কাজল ভাইয়ের বৃদ্ধ বাবা-মা কে সান্ত্বনা দিতে গেলে উপস্থিত সকলের চোখ কান্নায় ভিজে যায়।সেখান থেকে বের হয়ে আপা আমার নানা বাড়িতে আসেন নানীর সাথে দেখা করার জন্য।
সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে যাত্রা করি কয়রার উদ্দেশ্যে। ২০/২৫ মিনিটের মাঝে পৌঁছে যাই কয়রার আমাদি ইউনিয়নে।বাজারে যেয়ে নেমে যাই আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে।সেখান থেকে অপেক্ষামান নেতাকর্মীদের সাথে হেঁটে রওয়ানা দেই বাজার থেকে একটু দূরে ধোপা পল্লীতে।সেখানে যেয়েই প্রথম সেখানে যাওয়া সবাই হতবাক হয়ে যায় জামায়াত-বিএনপির সেই নৃশংস হামলার চিহ্ন দেখে।
এবার দেখুন হামলায় ঐ পল্লীর বসবাসকারীদের বসতির অবস্থা
বাদ যায়নি মন্দির
পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে ঐসব বাড়ীর সব গাছপালা
এবার আসি ডয়েচ ভেল এর শিরনামের বিষয়
এটাই হল সবথেকে মর্মান্তিক বিষয়। ডয়েচ ভেল এর ভাষায় "সবকিছু লুটপাট করে, বাকি সব ভেঙে-পুড়িয়েও কিছু মানুষের নিষ্ঠুরতা দেখানোর বাকি থাকে৷ আতঙ্ক ছড়াতে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিতে হয় চার বছরের শিশুকে৷ জামায়াত-শিবিরের উন্মত্ত কর্মীদের হাত থেকে মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে কাঁচামালের ব্যবসায়ী অমিয় দাশের স্ত্রী হন অকথ্য নির্যাতনের শিকার৷ তারপর বাবা-মা৷ সেখানেই শেষ নয়, হামলাকারীরা চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘‘পুজো মারাও শুয়োরের বাচ্চারা, পুজো মারাও! পুজো করিয়ে দিচ্ছি তোদের জন্মের মতো৷'' গানপাউডারে বাড়ি-ঘর পুড়ছে৷ পুজো করার জন্য অমিয় দাশের পরিবারের দু-একজনের হয়ত আর বেঁচেই থাকা হতো না"
আরও লিখেছে " অমিয় দাশের বড় দুই মেয়ে পরিবারের ওপর নির্মমতার অভিশাপ নেমে আসার আগ পর্যন্ত স্কুলে যেত৷ আর যায়না৷ যেতে পারে না৷ মনে বড় ভয়৷ স্কুলের দিক থেকেই সেদিন ছুটে এসেছিল মানুষগুলো৷ মেরে ফেলতে চেয়েছিল ওদের৷ আবার যদি আসে? এবার যদি মেরেই ফেলে! স্কুলে না গেলেও কি রক্ষা আছে? ঘুমের মাঝেও শিশুমনে হানা দেয় মৃত্যুআতঙ্ক, মা-কে জড়িয়ে ধরে মেয়েরা কেঁদে কেঁদে বলে, ‘‘মা, ওরা আমাদের মেরে ফেলবে৷''
এবার দেখুন সেই বাচ্চাটাকে
ঐ মানুষ গুলার অপরাধ কি?তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বলে এই নির্মমতার শিকার?নাকি ঐ পরিবার গুলার একজন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভে ফেটে পরা কোটি মানুষের একজন এ কারণে হামলার শিকার?চার বছরের বাচ্চাটা তার অপরাধ কি?এখন কথা হল,ইসলাম ধর্মে কোথায় এমন তাণ্ডব চালানোর হুকুম দেওয়া হয়েছে এটা কি বিএনপি-জামায়াতের কোন নেতাকর্মী দেখাতে পারবে?জানি পারবেনা। তবে কেন এই ধর্মের নামে এই উগ্রপন্থা চালাচ্ছে তারা?
সমবেদনা ও সহযোগিতার হাত
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ৩৩ জন নারী,পুরুষ আর শিশুদের জন্য বাড়িয়ে দেওয়া হয় সহযোগিতার হাত
সবশেষে উপদেষ্টা মহাদয়ের লিখিত সমবেদনা এবং নিজে আসতে না পারার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার কথা পড়ে শোনানো হয়
ও,আরেকটি বিষয় যে মানুষটার জন্য একটি পরিবার আগুনে পুড়ে যাবার হাত থেকে বএচেগয়েছিল সেই ইসলাম ধর্মের অনুসারী বাবুল ভাই কে খুঁজে পাইনি। তিনি তার দিনমজুরির কাজে চলে যাবার জন্য।ঐ অশিক্ষিত,হতদরিদ্র,একজন খাঁটি মানুষকে স্যালুট জানাই তার মানবিক কারনের জন্য।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭
মামুন হতভাগা বলেছেন: শুধু জামায়াত-শিবিরের দোষ দিলে হবেনা,ঐ হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিল তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী,বিগত চার দলীয় জোটের সময় কয়রার মূর্তিমান আতংক,সুন্দরবনের অন্যতম ডাকাত দলের প্রধান জাতীয়তাবাদী যুব দলের কয়রার আহ্বায়ক মিজান। মিজান তার ডাকাত বাহিনী এবং জামায়াত-শিবিরের দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে জামায়াত-বিএনপির মিছিল থেকে সোজা চলে যায় হিন্দু অধ্যাসিত ঐ পল্লীতে।হামলা, ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ,লুটপাট আর মহিলাদের শারীরিক নির্যাতনের পর ১টি পরিবারকে ঘরে ঢুকিয়ে তালা দিয়ে বাইরে থেকে আগুন ধরিয়ে দেয়।আর ভীত সন্ত্রস্ত ঐ পরিবারের বাচার আকুতি দেখে তারা পৈশাচিক আদিম উল্লাসে ফেটে পড়ে।সেই সময় একমাত্র বাবুল নামের মানুষটি যিনি নিজেও একজন বিএনপির সমর্থক ,তিনি নীচের এই জানালা ভেঙে বের করে নিয়ে আসেন পুরা পরিবারটিকে।
২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০১
সামদ বলেছেন: আপনি সহ যারা এগিয়ে গেছেন এই অসহায় মানুষগুলোর জন্য তাদেরকে অভিবাদন জানাই। আর হামলাকারীদের গ্রেপতার করে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
মামুন হতভাগা বলেছেন: ইসলামের ভুল ব্যাখা করে ধর্ম ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ করতে হবে,না হলে এ দেশ এখনকার পাকিস্থান বা আফগানিস্থানে পরিণত হবে।আর এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রশাসন হাম্মলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৬
সামদ বলেছেন: আর একটা ব্যাপার, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর পুনর্নিমানের জন্য সাহায্য করা উচিত। আপনার সাথে যেহেতু অর্থ উপদেষ্টার কানেকশন আছে তাই এ ব্যাপারে তার তরফ থেকে প্রশাসনিক সাহায্যের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতে পারেন।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
মামুন হতভাগা বলেছেন: হ্যাঁ,সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সব রকমের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।আমরা কয়েকদিনের মধ্যে আবারও ঐ এলাকায় যাব তাদের বাড়িঘর পুনর্নির্মাণে সাহায্য করার জন্য।
ধন্যবাদ।
৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৫১
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আদিম বর্বরতার এক নিদারুণ নিদর্শন। ধিক্কার জানাই মানুষের বাস্তু ভিটা জিবিকার সম্বলকে এভাবে পুড়িয়ে দেয়ার এবং একই সাথে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
মামুন হতভাগা বলেছেন: কয়রায় এটাই কিন্তু শেষ নয়,আরও দুইটি ইউনিয়ন উত্তর বেদকাশী এবং দক্ষিন বেদকাশী তে চলছিল আরেক দুঃস্বপ্ন।ঐ ২টি ইউনিয়নে জামায়াত-শিবির অবরুদ্ধ করে হিন্দু ও আওয়ামী সমর্থকদের বাড়ী বাড়ী খুঁজে তাদের উপর হামলা করছিল।প্রশাসন ঐ জায়গা গুলাতে হামলা কারীদের তাণ্ডব থামাতে বেগ পেতে হচ্ছিল।কারণ ঐ জায়গা সুন্দরবনের কাছে হওয়ায় হামলাকারীরা তাণ্ডব চালিয়ে গভীর বনে চলে যাচ্ছিল এবং ঐ ইউনিয়ন দুটি সাতক্ষীরায় দুই থানার সীমান্তে হওয়ায় সহজে সাতক্ষীরায় চলে যাচ্ছিল।গত ৯ই মার্চ পুলিশ তাণ্ডবের জন্য দায়ের করা মামলার আসামি ধরতে অভিযান চালালে জামায়াত শিবির মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের উপর হামলা করে।দুর্বৃত্তদের গুলিতে মারা যান এক পুলিশ সদস্য জামায়াতীদের আক্রমণে কয়রায় পুলিশ সদস্য খুন
৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধিক্কার এবং ঘৃণা এই পশুদের প্রতি। আপনারা যারা এগিয়ে আসছেন প্রতিরোধে সবাইকে অভিবাদন।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
মামুন হতভাগা বলেছেন: হামা ভাই,ঐ সব পশুদের প্রতিরোধে সবাইকে সম্পৃক্ত করতে হবে,জন মানুষের অংশগ্রহণ ছাড়া বিষয়টার সমাধান হবেনা।জামায়াত-শিবির এখন যে কাজটা করছে তা হল ভীতি ছড়ানো।কিন্তু তাতে কাজ হবেনা। মানুষ এখন প্রস্তুত তাদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেবার জন্য
৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন:
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৭
মামুন হতভাগা বলেছেন: খুবই ভয়াবহ ব্যাপার।সেদিন বুঝেছিলাম ১৯৭১ সালে জামায়াত করেছে কি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৩
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: একাত্তরের হায়েনা আর জামাত শিবিরের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই....
আমিও এই পল্লির ছবি দেখার পর নিবর হয়ে গিয়েছিলাম,
সাঈদির ফাসী হয়েছে, তাতে এদর দোষ কি ?
এদর ঘরবাড়ি কেন ভাঙ্গা হল ?
এরা হিন্দু বলে ?