![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণজাগরণ মঞ্চ,স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে নির্দলীয় গণআন্দোলনের মোহনা।মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করা রাজাকার-আল বদর-আল শামস বাহিনীর বিচারের দাবীতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা “ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি” এর আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লেও রাজনৈতিক কারনে সাফল্যের মুখ দেখতে পারেনি।বিশেষ করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নামে বিএনপি এর রাষ্ট্রদ্রহিতার মামলা,পরে বিএনপি-জামায়াত জোটের খড়গ হস্ত পদে পদে বাঁধা সৃষ্টি করে আন্দোলন থামিয়ে দেবার হাজার চেষ্টা করেছিল।ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলন একেবারে চুপসে যায় শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুর পর।এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করার মত তা হল ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলেও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এর আন্দোলন বা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে কোন কার্যকর ভুমিকা রেখেছিল বলে আমার মনে হয়না।তবে সবথেকে বড় বিষয় ছিল,ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সারা দেশে স্বাধীনতার অনেক বছর পর হলেও সাধারণ মানুষের মনে যুদ্ধাপরাধীদের বিষয়ে মানুষের মনের ঘৃণাকে নতুন করে উস্কে দিতে পেরেছিল এবং তাদের বিচার যে হওয়া দরকার এটা নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছিল।
২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের নির্বাচন ইশতেহারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি বড় করে সামনে নিয়ে আসে।আর এই ইস্যু কেন্দ্র করে তরুণ সমাজ বা নতুন ভোটারদের তারা আকৃষ্ট করে ব্যাপকভাবে।যাই হোক নির্বাচনে জিতে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে।অনেকটা ধীরে বিচার কাজ চললেও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল,যাক বিচার তো শুরু হয়েছে।সব ঠিক থাকলেও বিপত্তি বাধে কসাই কাদের মোল্লার রায় কেন্দ্র করে।রায়ে কসাই কাদেরের ফাঁসি না হয়ে জেল হওয়ায় অনলাইনে সোচ্চার হয় তরুণ প্রজন্ম।শাহাবাগে যে প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয় তা দুই/তিন দিনে রূপ নেয় লাখো মানুষের ক্ষোভের দাবানলে।তৈরি হয় জাগরণ মঞ্চ,বাড়তে থাকে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা।আর এই জাগরণ শুধু শাহাবাগে নয় দ্রুত ছড়িয়ে যায় বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে।জামায়াত-বিএনপি ছাড়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সমর্থন দেয় সেই জাগরণকে। এই জাগরণ দমাতে শুরু হয় জামায়াত-শিবিরের হত্যা অভিযান।ব্লগার রাজীব হায়দারকে দিয়ে শুরু হয় সেই হত্যা মিশন।ব্লগারদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে মাঠে নামানো হয় হেফাজতকে।কিন্তু দমানো যায়নি জনতাকে।সরকার আইন পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়,কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়।যার ফলে কিছুদিন আগে ফাঁসি হয় কসাই কাদের মোল্লার।
এখন আসি কিছু মজার বিষয়ে,আওয়ামী লীগ গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকে সর্বাত্নক সমর্থন দেয়।আওয়ামী লীগের অতি উৎসাহ একটা সময় জাগরণ মঞ্চ আওয়ামী লীগ চালাচ্ছে এমন কথা ছড়াতে থাকে জামায়াত-বিএনপি।আমরা দেখেছি জাগরণ মঞ্চে উঠার জন্য বা এক লাইন বক্তৃতা দেবার জন্য আওয়ামী নেতাদের কি আকুতি।দেখেছি মঞ্চ দখল নিতে ছাত্রলীগের সোহাগ-নাজমুলদের কি প্রচেষ্টা।অথচ ইদানিং দেখতেছি কিছু সুশীল আওয়ামী নেতা- কর্মীরা জাগরণ মঞ্চ নিয়ে নানা নেতিবাচক কথা বলে জাগারন মঞ্ছকে হেয় করার প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেই সব সুশীল আওয়ামী নেতা-কর্মীদের বলছি –
#স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সংগঠনের কোন আন্দোলন আবালবৃদ্ধবণিতাকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে একত্র করতে পারেনি?
কেন কেউ শেখাতে পারেনি,ক তে কাদের মোল্লা-তুই রাজাকার তুই রাজাকার
#কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন জেল হবার পর আওয়ামী লীগ ও তাদের মহাক্ষমতাশালী ছাত্রলীগ-যুবলীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা চুপ ছিলেন কেন?
#জাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে মঞ্চে ওঠার জন্য বা এক লাইন বক্তৃতা দেবার জন্য মন্ত্রী-এম পিরা মরিয়া ছিল কেন?
#সোহাগ-নাজমুল রা মঞ্চে চেহারা দেখাবার জন্য এত উতলা ছিল কেন ?
#হেফাজতের তান্ডবের সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা গর্তে লুকানো ছিল কেন?
#শুধু শাহাবাগ নয় জামায়াত-শিবিরের শক্ত ঘাঁটি পাইকগাছা-কয়রায় যখন ১০/১২ হাজার জামায়াত-শিবির কর্মী হেফাজত নামে সারা পাইকগাছায় তাণ্ডব চালিয়েছিল তখন জীবনের ঝুকি নিয়ে জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত ছিলাম,তখন কোথায় ছিল আওয়ামীলীগের সব নেতাকর্মীরা?
# কাদের মোল্লার ফাসির পর পাকিস্থানের সংসদে নিন্দা প্রস্তাবের পর কোথায় প্রতিবাদে মুখর ছিল ছাত্রলীগ বা যুবলীগ ?
#আজ যখন গণজাগরণ মঞ্চে মানুষ হয়না বলে জিকির করছেন তখন কি একবারও মনে হয়না যে জাগরণ মঞ্চ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়।আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে কোথাও মানুষ যায়না সেটা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগেরও অপমানের বিষয় এটা কি মাথায় থাকেনা?
#যখন পাকিস্থানি দূতাবাস ঘেরাও করতে যেয়ে হাতে জাতীয় পতাকা আর মুখে জয় বাংলা স্লোগান দেবার সময় একজন বীর প্রতীক মুক্তিযোদ্ধা,নারী সাংসদ তারানা হালিম,মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির বা একজন জাগরণ মঞ্চের কর্মী শাম্মি আক্তার আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনীর হাতে মার খেয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে,তখন কি স্বাধীনতার চেতনার একমাত্র সোল এজেন্ট মনে করা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চেতনায় বিন্দুমাত্র আঘাত করে না ?
#আওয়ামী চেতনার সুশীলরা যখন জাগরণ মঞ্চে পুলিশ দিয়ে হামলা করা নিয়ে মজা করে তখন তাদের সেই চেতনার মুখে তারা নিজেরা লাথি মারছে,এটা কি একবারও মনে হয়না?
আওয়ামী সুশীল নেতা-কর্মীদের বলব,আপনারা আওয়ামী লীগ প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিতে বলেন,যেন কোন আওয়ামী সমর্থক জাগরণ মঞ্চে যেয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে সোচ্চার না হয়,যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়া ও বিচার করা একমাত্র আওয়ামীলীগের কাজ।
আর তা যদি না করা হয় তবে আমার মত সক্রিয় আওয়ামী সমর্থকরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতে শুধু জাগরণ মঞ্চ নয়,যারাই এই দাবীতে আন্দোলন করবে সেখানেই হাজির হয়ে যাব।আর সেখানে যাওয়া নিয়ে কোন বিরুপ মন্তব্য শুনলে সেইসব বিদ্রুপকারিদের মুখে মুতে দিলে আবার চিল্লায়েন না যে চেতনা ব্যবসায়িদের মুখে মুখে মুতে দিলাম কেন।
জাগরণ মঞ্চের প্রতি বলব,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে থাকতে হলে সেই চেতনার মধ্যমণি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কে ভুলে বা ইচ্ছাকৃত আড়ালে রাখলে সেটাও হবে ভণ্ডামি।শুধু “জয় বাংলা” বললে হবে না সাথে “জয় বঙ্গবন্ধু” বললে আপনাদের ইজ্জত কমবে না।মনে রাখতে হবে “জয় বাংলা” বা “জয় বঙ্গবন্ধু” আওয়ামীলীগের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় এটা আপনার আমার সমস্ত বাঙালি জাতির স্মম্পদ।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৪
মামুন হতভাগা বলেছেন: আওয়ামী লীগের দায় অবশ্যই আছে
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮
নিশাত তাসনিম বলেছেন: গণ জাগরণ মঞ্চ নিয়ে আওয়ামীলীগ - আওয়ামীলীগ ফাইট চলতেছে যেখানে শিবির- লীগ ফাইট চলার কথা ছিলো। গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে গঠন মূলক যৌক্তিক আলোচনা সমালোচনা করলেও ছাগু ট্যাগ খেতে হয়।
তাই সাধারণ এসব বিষয় নিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকে।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৬
মামুন হতভাগা বলেছেন: কথা বলা বিরত থাকলে কি হবে? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়
৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: গণজাগরণ মন্চ অবশেষে একটা আড্ডায় পরিণত হয়েছিল।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৮
মামুন হতভাগা বলেছেন: এই আড্ডা টাই দিতে পারছে কারা ?গণমঞ্চ হইল আড্ডা ঠিক যেমন ১৯৭১ এ হইছিল গণ্ডগোল
৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট মামুন হতভাগা ।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৮
মামুন হতভাগা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সরকার কখনো কোন জনসমাবেশ, বিক্ষোভ বা আন্দোলন সমর্থন করে না - অবশ্য যদি না সেগুলো সরকারের পক্ষে যায়। তোমার বিক্ষোভের প্রতি সরকারের সায় থাকলে মনে করতে হবে এর গোড়াতেই কোন বিশাল ভুল রয়েছে। সরকার তোমার বন্ধু নয়। - See more at: Click This Link
প্রথম মানুষের মনে যে জোয়ার এসেছিল- বাংলা পরীক্ষা আর ভুগোল পলীক্ষা তত্ত্বে তা মৌলিক ভিত হারিয়েছে।
একটা কাজ করছি বলে চোখের সামনে আরও একটা অন্যায় দেখে নীরব থাকা বা ঠুনকো যুক্তি বাংলার সময় বাংলা পরীক্ষা মানুষকে বুঝিয়ে দিয়েছে অন্যকিছু....
হেফাজতের পর একরাতে ওয়াশ হয়ে গেল গণজাগরনমঞ্চ!!!!! কেন কিভাবে? প্রতিক্রিয়াহীন!!
আবার প্রয়োজন মতো জাগানো হচ্ছে। অনেকে বলছেন আমেরিকার লাদেন বা আলকায়েদাকে ব্যবহারের মতো আওয়ামীলীগ সুবিধামত ব্যবহার করছে মঞ্চকে। !!!!!!
আশা কুহকিনী!!!!
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৯
মামুন হতভাগা বলেছেন: দুঃখিত,এখানে আলু পোড়ে নাই
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩
মোঃ শিলন রেজা বলেছেন: ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা পোস্টের জন্য। একটা কথা বলতেই হয় প্রথম যখন বিচারের দাবী তোলেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম তখন সারাদেশের মানুষ একত্রে সমর্থন জানাই কিনতু হঠাত করে মুক্তিযোদ্ধার নেতৃত্ব দান কারী দল যখন জামাতের সাথে একাত্ব হয়ে সৌরাচারী এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যায় তখন মনে প্রচন্ড কষ্ট আর ক্ষোব নিয়ে আন্দোলন থেকে সরে গিয়, ধীরে ধীরে নিজেই হারিয়ে গেলেন। এর দায় কি BAL এর নয়?