![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দোষ গুনে ভরপুর মানুষের জীবন,আমাদের সমাজে দোষহীন মানুষ খোজে পাওয়া বড়ই দুস্কর। মানুষের মাঝে দোষ আছে বলেই গুনের সোন্দর্য্য এত বেশি ফোটে উঠেছে। একজন মানুষ যতই মহৎ গুনের অধীকারী হোকনা কেন কোন না কোন দিক থেকে তার মধ্যে দোষের অনুপ্রবেশ ঘটেই থাকে। তবে উত্তম সেই ব্যক্তি যে,দোষ করা মাএই নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়। যেমন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, যদি কেউ কোন অপরাধের কাজ কিংবা নিজের উপর অত্যাচার করে বসে এবং পরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা কামনা করে তবে সে আল্লাহকে ক্ষমাকারী অনুগ্রহ প্রপ্ত পাবে। (সুরা নিসা ১১০-১১২)
এক হাদীসে রাসুল সা: বলেন,সেই সত্তার শপথ যার হাতে আমার জান। তোমরা যদি পাপ না করতে, আল্লাহ তোমাদেরকে সরিয়ে দিয়ে অপর এক জাতিকে প্রেড়ন করতেন,যারা দোষ করে আল্লাহর কাছে মাফ চাইত আর তিনি তাদেরকে মাফ করে দিতেন। (মুসলিম)
উপরোক্ত কোরআন ও হাদীসের দলীল প্রমানের ভিত্তিতে একথা স্পষ্ট বোঝা যায় যে,মানুষের জন্য দোষ করা স্বাভাবিক কারন মানুষ দোষ ত্রুটির উর্দে নয়। তবে যে ব্যক্তি দোষ করা মাএ ক্ষমা প্রার্থনা করে সে ব্যক্তি তোমাদের মধ্যে উত্তম। এসব উত্তম ব্যক্তিদের পেছনের ছোট খাটো দোষ গুলোকে সামনে টেনে এনে সমালোচনা করা ঠিক নয়। কারন অন্যের দোষ খুজে বেড়ানো এবং কারো পিছনে দোষ চর্চা করা যেমন শরীয়ত গর্হিত কাজ , তেমনি এটা কোন মুমিন ব্যক্তির কাজও নয় বরং এটা স্পষ্ট গীবত সুতরাং আমাদেরকে অন্যের দোষ বলাবলি পরিহার করতেই হবে। রাসুল সা: বলেন,যদি তুমি মুসলিমদের দোষ অনুসন্ধান করতে যাও তবে তুমি তাদেরকে ফ্যাসাদে জরিয়ে ফেলবে। অথবা তাদেরকে ফ্যাসাদে জরিয়ে ফেলার উপক্রম করবে। (আবু দাউদ)
বর্নিত হাদীসের ভাষ্য অনুজায়ী কারো দোষ বনর্না করা যাবেনা। অন্যের দোষ বনর্না করতে গেলে নিজের দোষ গুলোও সকলের সামনে উন্মচন হয়ে যাবে,এতে করে সমাজে ফেৎনা ফ্যাসাদ সৃস্টি হবে,যা মুমীনদের জন্য খুবই অপছন্দনিয় ও বিপদ জনক। আল্লাহ আমাদেরকে অন্যের দোষ বলাবলি থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
©somewhere in net ltd.