![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যখন বলি, ভারতে হিন্দুদের
হাতে মুসলমান হত্যার
কারণে বাংলাদেশে নিরীহ হিন্দুদের
ওপর আক্রমণ করবেন না, তখন
ওরা আমাকে বলে 'প্রগতিশীল'।
আমি যখন বলি, মিয়ানমারে বৌদ্ধদের
হাতে মুসলমান হত্যার
কারণে বাংলাদেশে নিরীহ বৌদ্ধদের
ওপর আক্রমণ করবেন না, তখন
ওরা আমাকে বলে 'মানবতাবাদী'। অথচ
আমি যখন বলি জামায়াত-শিবির
এবং হেফাজতে ইসলামীর ওপর আপনাদের
রাগের কারণে কাকরাইল মসজিদের
নিরীহ দাঁড়ি-টুপি ওয়ালা মুসলমানদের
ওপর আক্রমণ করবেন না[১], তখন
ওরা আমাকে বলে 'রাজাকার', 'ছাগু'।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যত মানুষ
শহীদ হয়েছে তার সিংহভাগ মুসলমান,
মুক্তিযোদ্ধাদের সিংহভাগ মুসলমান।
সেই সময় মোট মুসলমান জনগোষ্ঠীর
একটা অতি ক্ষুদ্র অংশ ছিলো রাজাকার।
রাজা ত্রিদিব রায়ের কারণে কিছু
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী চাকমাও এমন
রাজাকার ছিলো। মুক্তিযুদ্ধকালীন
ছবিতে যেসব রাজাকারের
ছবি দেখা যায়, তার মধ্যে দাঁড়ি-
টুপি ওয়ালা রাজাকারের ছবি আমার
চোখে পড়ে নাই[২,৩,৪]। বরং অনেক
মুক্তিযোদ্ধার ছিলো মুখ ভর্তি দাড়ি।
তারপরও বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সেই
সময়ের একজন রাজাকারের
ছবি বা প্রতিকৃতি তৈরীর সময়
অবধারিতভাবে টুপি-দাঁড়ি ব্যবহার
করা হয়[৫]। এর মাধ্যমে আমাদের
মুক্তিযুদ্ধকে পরিকল্পিতভাবে একটি ধর্
বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয়া হচ্ছে।
প্রশ্ন হচ্ছে- এই কাজটা কারা করছেন?
কেন করছেন? উত্তর হচ্ছে- এই
কাজটা 'ঘৃণাজীবী'রা করছেন; কারন
আমাদের এই মুসলমান প্রধান
দেশে ধর্মীয় ঘৃণা ছড়িয়ে জীবন
নির্বাহের জন্য ইসলাম ধর্মটাই
সবচেয়ে উপযোগী।
©somewhere in net ltd.