নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইং ১৯৬২ সনের ১১ই সেপ্টেম্বর মুর্শিদাবাদ জেলার মরাদিঘী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করি। মাধ্যমিক পাশ করে সংসার জীবনে জড়িয়ে পড়ি। কর্মরত ব্যস্ততম জীবনের অবসর সময়ে ২০১৪ সালের শেষের দিকে মানব সমাজ ও প্রকৃতির হাত ধিরে লিখতে থাকি গল্প ও কবিতা।

আব্দুল মান্নান মল্লিক

abdul mannan mollick

আব্দুল মান্নান মল্লিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুল যখন ফুল হয়ে ফুটে

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫০

ভুল যখন ফুল হয়ে ফুটে

আব্দুল মান্নান মল্লিক

এক সঙ্গে খেলাধুলা থেকে শুরু করে, এক ক্লাসে একই স্কুলে পড়াশুনা করে আমরা বড় হয়েছি।
আমাদের বাড়ি থেকে মাত্র কয়েকটা বাড়ি ছেড়ে একই পাড়াতে ওদের বাড়ি।
ছেলেবেলা থেকেই টিঙ্কুর খুটিনাটি এটাসেটা লিখালিখির অভ্যাস। দু-চার লাইনের কবিতা লিখে মাঝেমধ্যে আমাদেরকে দেখিয়ে বলতো, কেমন হয়েছে? আমরা সবান্ধবে না দেখেই টিঙ্কুকে খুশি করতেই বলতাম বা বেশ লিখেছিস। তাতেই টিঙ্কু খুব খুশি হতো। তখনো হয়তো সে মনে মনে ভাবতো একদিন বড় কবি হবে।
আমরাও এতটা বুঝতে পারিনি, যে আমাদের উৎসাহই তার কবিতা লিখার একমাত্র সম্বল।
এমনিভাবেই দিন গড়িয়ে চলে।
হঠাৎ একদিন টিঙ্কু আমাদের বাড়িতে এসে মায়ের কাছে আমার খোঁজ করছে। টিঙ্কুর কণ্ঠস্বর বুঝতে পেরে ঘর থেকে ভেরিয়ে দেখি, তখনও টিঙ্কু হাঁপাচ্ছে। টিঙ্কুকে জিজ্ঞেস করি তোর হাতে ওটা কিরে, টিঙ্কু বলে সেটাই তো, চল চল ঘরে চল সব বলছি। মা জিজ্ঞেস করে আরে, অমন করে হাঁপাচ্ছিস, কি হল বলবি তো? টিঙ্কু মায়ের কথায় কর্ণপাত না করে সোজা আমার ঘরে। কি এমন হল ভেবে ততক্ষণে মা ও পিছন পিছন ঢুকে পড়েছে।
টিঙ্কু যেন একেবারে আনন্দে আত্মহারা। এ-কোণ থেকে ওই কোণ, কখনো আমার শোয়ার খাটে, আবার উঠে পড়ে। এত বড় ঘরটাতেও যেন টিঙ্কুর জায়গা হয়না। টিঙ্কুকে ধরে খাটের উপর বসিয়ে বল্লাম ব্যাপার কি বলবি তো?
এবার একটু শান্ত হয়ে টিঙ্কু আমার হাতে বইখানা দিয়ে বললো, এই দেখ ম্যাগাজিনে আমার একটি কবিতা বেরিয়েছে।
আমি ধীরেসুস্থে বইটি খুলতে ওর আর তর সয়না। আমার হাত থেকে কেড়ে নিয়ে বলে, দাঁড়া আমি বার করে দিচ্ছি , বলে বইটি হাঁটকে চলেছে তো চলেছেই। চোখে পড়ামাত্র আমাকে দেখিয়ে বলল, এই দেখ্, বড়বড় অক্ষরে লেখা আমার নাম। পড়ে দেখনা কেমন হয়েছে? কাকি-মা আপনিও দেখেন। আমি আর মা দেখতে থাকি।
মা টিঙ্কুকে প্রাণভরে আশীর্বাদ করে সংসার কাজে যোগ দিল।
সম্পূর্ণ পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো।
আশ্চর্য! টিঙ্কু যে এত সুন্দর কবিতা লিখবে ভাবতেও পারিনি।
কবিতার নাম শ্রেষ্ঠ বাঙালী।
টিঙ্কুকে জিজ্ঞেস করলাম, তোর এত সুন্দর কবিতা দেখে কাকা, কাকি-মা কি বললেন?
জবাবে টিঙ্কু বললো, বইটি হাতে পাওয়ামাত্র ছুটে এলাম তোর কাছে , চল এবার আমাদের বাড়িতে সবাইকে দেখাবো।
মনে মনে খুব লজ্জা পেলাম, আগের দিনের কথা ভেবে। ভাবতে থাকি, সবার আগে টিঙ্কু আজ চিত্তচাঞ্চল্যে ছুটে এসেছে বন্ধুর কাছে। আজ বুঝতে পারছি, বন্ধুত্ব কাকে বলে। সেটা চোখে আঙুল দিয়ে টিঙ্কুই দেখিয়ে দিল।
সবান্ধবে টিঙ্কুকে এতদিন যতটুকু মিথ্যা উৎসাহ দিয়েছি, সেটাকেই সত্য ভেবে সে পথ চলতে শুরু করে। মিথ্যা উৎসাহকে অবলম্বন করে আজ টিঙ্কু একজন বেশ বড় মাপের কবি।

যদিও সেই দিনটি friendship day হিসাবে ছিলনা।

বিশেষ দ্রষ্টব্য ( লিখাটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। কারও নামের সঙ্গে নাম মিললে বাস্তবকে নিয়ে কেউ টানাটানি করবেন না। )


মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৪৪

চাঙ্কু বলেছেন: সুন্দর গল্প!! বন্ধুত্ব নির্মল থাকুক :)

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ফ্রেন্ড শিপ ডে কখন এলো? কখন গেলো কিছুই জানি না!!!!

আসলে দেশের এই অবস্থায় মন মানসিকতা ভালো ছিল না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.