নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধীনভাবে চলতে শিখেছি আমার পরিবেশ থেকে।

অাব্দুল মান্নান

অসাধারণ সাধারণ ভিন্ন অভিন্ন সবই সমানুপাতিক

অাব্দুল মান্নান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শৈশবে বাবা তোমার হাত

২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩৪


সকাল বেলার সূর্যটিকে লাল আর দেখা যাচ্ছে না এখন ভালো ভাবেই কিরন ছড়াচ্ছে। বাবার সাথে আজ আমাকে বাজারে যেতে হবে। বাবার হাত ধরে চলছি। আমার হাত ছোট বাবার একটি অাঙ্গুলই অমার জন্য যথেষ্ট ছিল। আমাদের বাড়ী হতে বাজার পূর্বদিকে হওয়ায় অাঁকাবাঁকা মেঠো পথের অনেকখানি রাস্তাই পশ্চিম থেকে পূর্বে হাটতে হয়। সূর্যের তীক্ষ্ণ কিরন যেন শুধু আমার চোখ মুখ ছাড়া আর কিচ্ছু দেখতে পায় না। মাঝে মাঝে হাত ছেড়ে বাবার ছায়ায় হাটার ব্যর্থ চেষ্টা করি। এর মধ্যে বাবার সাহায্যে একখানি সাঁকো পার হয়ে আসি। বাজারে পৌঁছাতে মিনিট পনেরর মত লাগে।

আজকে যে কারণে বাজারে অাসা হল - আমার চুল কাটানো হবে। সেলুনের চেয়ারে একজন আছে একটু অপেক্ষার পর আমাকে ঐ চেয়ারের দিকে আসার ইশারা করলো বাবার পরিচিত সাগর না যেন কি নামের সেলুনওয়ালা । ছোট তাই কাঠের একটি অংশ চেয়ারের হাতলের উপর রেখে তার উপর আমি। গলায় কাপড় পেছিয়ে শরীর ঢাকার পর গেচা-গেচ শুরু হল। আয়নার মধ্য থেকে বাবা তাকিয়ে আছে আমার দিকে। "গুড়া গুড়া করে দিস সাগর" এমন একি কথা বলে আড়ালে গেল বাবা। হায় হায় আমার মাথা মনে হয় কেটে পুটে দিবে এ বেটায়। বাবা আসছে কিনা দেখতে চাইলে জোর করে মাথা নিচের দিকে ঠেলে দেয় এই লোক! বিরক্তিবোধ হয়, অার চুল ছোট করতে আসমু না। এবার সাদা পাউডার দিয়ে ঘার, কানের নিচে মুছে দিল। ভালো লাগতেছে, বাবাও আসলো।

বাবার হাত ধরে চাচাতো ভাইয়ের কাপড়ের দোকানে গিয়ে বসলাম। বাড়ীর কিছু সদাই কিনলো বাবা যার মধ্যে কাপড় কাঁচানোর সাবান ও পাউডার ছিল। আবার বাবার হাত ধরে বাড়ী ফিরা। দিনটি ছিল শুক্রবার। বাবা তুমি আমার। মনে পরে শৈশবের ঐ দিন গুলি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.