নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবী

মানবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সারা বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমার অহংকার....

০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৫৬

"সারা বিশ্বের বিস্ময়

তুমি আমার অহংকার"





মন ছুঁয়ে যাওয়া অসাধারন দুটি পংক্তি!

'



বাংলাদেশকে মনে করে গভীর ভালোবাসা নিয়ে গেয়ে যাই এই গান। আমার দেশ সব সময়ই আমাদের ভালোবাসা, আমাদের অহংকার। আমাদের কাছে শ্রেষ্ঠতম। বাস্তবতার সাথে প্রথম পংক্তিটিকে মিলাতে গেলে কিছুটা ভাবিয়ে তুলে।



সত্যি কি বাংলাদেশের এমন কিছু আছে যা বিশ্বকে বিস্মিত করে এবং আমার অহংকার?



এই প্রশ্নের জবাব --- 'অবশ্যই আছে'। আমাদের এমন সম্পদ আছে যা যেকোন দেশের মানুষকে মুগ্ধ করে, বিস্মিত করে সেই সাথে গর্বে ভরে উঠে আমাদের মন। আর তা হলো আমাদের ভাষা ইতিহাস। বিশ্বের আর কোন দেশ আর কোন ভাষার এমন গৌরবময় ইতিহাস আছে বলে জানা নেই।



পৃথিবীতে দেশের স্বাধীনতা, দেশের মাটির মুক্তির জন্য লড়াই, যুদ্ধ, প্রাণ বির্সজনের প্রচুর উদাহরন আছে। প্রতিটি দেশের মুক্তিযুদ্ধ সে দেশের জন্য সমহিমায় গর্বের, অহংকারের। তবে, ভাষার জন্য, মাতৃভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রাণ বিসর্জনের ঘটনা আর কোন দেশের নেই। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী সালাম, রফিক, বরকতের সেই আত্মত্যাগ বিশ্বের বুকে আমাদের প্রতিষ্ঠিত করেছে অনন্য এক জাতি হিসেবে। যার স্বিকৃতী জাতিসংঘ ২১শে ফেব্রুয়ারীকে "বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস" হিসেবে ঘোষনা করেছে।



নিজের দেশ, নিজের মাতৃভাষার এই গৌরবোজ্জল অবস্থান সুযোগ পেলে ভীনদেশীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই.. জেনে বিস্মীত হন তাঁরা... অথচ, নিজের দেশের কিছু মানুষের আচরন আহত এবং লজ্জিত করে।



একজন চাইনীজ বংশোদ্ভুত বান্ধবী এবং তাঁর স্বামী আমেরিকায় জন্মেছেন, তাঁদের আগের ২/৩ জেনারেশন এই দেশে প্রতিষ্ঠিত। ধনাঢ্য এই দম্পতির আছে বিলাসবহুল বাড়ি, বিভিন্ন স্টেটে জমি সহ অন্যান্য প্রপার্টি। এমন সম্পদ আর বিলাসিতার মাঝেও তাঁরা উদ্বিগ্ন! তাঁদের আশংকা এই মুহুর্তে চীন না গেলে হয়তো তাঁদের সন্তান নিজের ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রতি পর্যাপ্ত ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা নিয়ে বড় হতে পারবেনা!!!! তাঁদের সন্তানের বয়স তিন বছর হতে চলেছে, মেয়েটিকে তাঁরা শুধুমাত্র চাইনীজ শিখিয়েছেন, নিজেদের সংস্কৃতিতে বড় করছেন। আমেরিকান যখন, ইংরেজীতো শিখবেই... স্কুল কলেজ, বন্ধু বান্ধব সবাই যে ভাষা বলে, সে ভাষা রপ্ত করতে কোন সমস্যা হবেনা, যেমন তাঁদের নিজেদের হয়নি। তবে, চাইনীজ.. তাঁদের প্রাণের ভাষা, তাঁদের অস্তিত্বের সংস্কৃতি থেকে মেয়েটি যেন সড়ে না আসে।



আমার পরিচিত এক সিনিয়র দম্পতি। ভদ্রলোকের স্ত্রী সন্তানরা(বাংলাদেশে জন্ম এবং বেড়ে উঠা) বেশ কয়েক বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে আসেন ২০০৬ এর শেষে। বড় মেয়েটির বয়স তখন নয়/দশ বছর এবং ছেলেটি সাত বছর। দেশ থেকে আসার পর পর ওদের সাথে পরিচয়, অত্যন্ত ভদ্র মার্জিত শিশু দুটিকে দেখে মুগ্ধ হতে হয়, পড়াশুনাতেও দুজন মেধাবী!



দুরত্বের কারনে দীর্ঘদিন দেখা সাক্ষাৎ নেই, ৬/৭ মাস পর তাঁরা আসেন আমাদের এখানে বেড়াতে। চমকে গেলাম শিশু দুজনকে দেখে, বাংলা বলতে যেন তাদের কষ্ট হচ্ছে! যে ভাষায় এতো বছর কথা বলেছে, হঠাৎ করেই যেন সেই ভাষা প্রায় সম্পূর্ণ ভুলে বসেছে!!! সমবয়সী আত্মীয় সজনদের আশে পাশেই থাকে, তারা যেহেতু শুদ্ধ বাংলা বলেনা, হয়তো সেকারনেই এই পরিবর্তন!





সম্প্রতি দেখা হয়েছিলো ওদের সাথে। আমি মর্মাহত এবং শংকিত ওদের অবস্থা দেখে! এক বছরের কম সময়ে বাংলা ভাষা সম্পূর্ণ ভুলে বসে আছে তারা। সমান্য সাধারন কোন বাক্য বাংলায় বলতে বললে প্রচুর সময় লাগছে ভেবে ভেবে বাংলা অনুবাদ খুঁজতে!!!!



পারিবারিক ঘনিষ্ঠতার কারনেই ওদের বুঝাতে চেষ্টা করলাম, শুদ্ধ করে যেকোন ভাষা জানা একটি গর্বের বিষয়, আর মাতৃভাষা শুদ্ধ করে বলতে এবং বুঝতে পারা একটি অবশ্যকর্তব্য। বাংলা ভাষার যে ইতিহাস শুনে বিদেশীরা মুগ্ধ হয়ে যায়, বিনয়ের সাথে তাদের মনে করিয়ে দিলাম সেই ইতিহাস....



সবচেয়ে বড় উপহাস যেন এই মুহুর্তটির জন্য অপেক্ষা করছিলো...! শিশু দুজনের বাবা আমাকে সমর্থন জানালেন আর সেই সাথে জানালেন তাঁর বাবা(শিশুদের দাদা) ভাষা সৈনিক ছিলেন!!!!!!!!!!!!!!!!!!! ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী "রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই" এর দাবীতে মিছিল করেছিলেন... শুধু তাই নয়, সেই অপরাধে তিনি গ্রেফ্তার হন এবং প্রায় তিন মাস জেল খাটেন।





আমি স্তম্ভিত, শংকিত!!!!! ভাষা সৈনিকের নাতি-নাতনিরা আজ বাংলা ভাষা বর্জনে সচেষ্ট, তাদের কাছে বাংলাদেশ একটি 'পঁচা দেশ'!!!!







সত্যি প্রচন্ড মানসিক চাপ অনুভব করি যখন দেখি, এক বছরের কম সময় আগেও যারা চমৎকার স্পষ্ট বাংলা বলছিলো, আজ সেই ভাষা ইংরেজী টোনে বলতেও তাদের কষ্ট হচ্ছে!!!





আমি ব্যক্তিগত ভাবে যেকোন ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এমনকি যে উর্দু ভাষা প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে আমাদের ভাষা আন্দোলন ছিলো, সেই 'উর্দু' ভাষার প্রতি আমার কোন ঘৃণাবোধ নেই। ভালো লাগলে ইংরেজী, উর্দু, হিন্দী, গান আগ্রহ নিয়ে শুনি। পৃথিবীর কোন ভাষা নিয়ে আমর কোন প্রেজুডিজ নেই, যে কোন ভাষা অনর্গল বলতে এবং বুঝতে পারাকে কৃতিত্ব মনে করি। তবে, বাংলাদেশীদের জন্য 'বাংলা ভাষা" জানা একটি অবশ্য কর্তব্য মনে করি। আমার কাছে খাদ্য গ্রহন, শ্বাস প্রশ্বাস, ধর্মপালন যেমন একটি স্বাভাবিক ঘটনা, তেমনি স্বাভাবিক প্রতিটি বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত মানুষের বাংলা জানা!!! অন্তত বলতে এবং বুঝতে পারা।।



প্রবাসে জন্ম থেকে যে শিশুটি বেড়ে উঠে, তার বাংলা ভাষায় কিছুটা ভীনদেশী টোন তেমন আপত্তিকর মনে হয়না.. তবে যথেষ্ট বড় হয়ে প্রবাসে গিয়ে অথবা বাংলাদেশে বসেই ইচ্ছাকৃত ভাবে ভাষা ভুলে যেতে চেষ্টা করা, বাংলা ভাষা বিকৃত করা..... মেনে নেয়া যায়না!!



কি হবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের? প্রবাসে যারা নিজেদের সংস্কৃতি থেকে দূরে, তাদের বাবা মা যদি উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে না আসেন, তাহলে তারা সম্পূর্ণ বিস্মৃত হবে আমাদের এই ভাষা!!! তাদের মধ্যে আমাদেরই গড়ে তুলতে হবে নিজের দেশ, নিজের ভাষা আর নিজের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। হীনমন্যতাবোধ থেকেই মানুষ নিজের দেশ, নিজের সংস্কৃতির প্রতি উদাসীন হয়, এড়িয়ে যেতে চায় নিজেদের শিকড়ের অস্তিত্ব! আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে কোন ভাবে যেন এই হীনমন্যতাবোধ গড়ে না উঠে।





ইংল্যান্ডে জন্ম, আমেরিকায় বেড়ে উঠেছেন একজন বাংলাদেশী আমেরিকান, বিয়ে করেছেন আমেরিকান ভদ্রলোককে। এই দম্পতির বাসায় দেখা যায় ছোট্র শিশুটিকে বাংলা শিখানোর প্রচেষ্টা... !!! ঘর ভর্তি শিশুদের বাংলা শিখানোর বিভিন্ন খেলনা, বই, ক্যাসেট, সিডি... ঘর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বাংলা বর্ণমালা... প্রবাসে জন্ম আর বেড়ে উঠা একজন যদি পারেন, আমরা কেন পারবোনা!





প্রবাসে বাসকালে ভিন্ন দেশের সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে চলার মাঝে খারাপ কিছু নেই, যে দেশে বেড়ে উঠা সেই দেশের সংস্কৃতির মার্জিত দিকটি গ্রহন করা অন্যায় নয়। ভীনদেশী সংস্কৃতিকে আপন করার সাথে সাথে নিজের ভাষা ও সংস্কৃতিকেও সযত্নে লালন করা যায়, শ্রদ্ধাভরে ধারন করা যায়....আমার যে অহংকার সারা বিশ্বকে বিস্মিত করে, আমরা একটু চেষ্টা করলে সেই "বাংলা ভাষা" কে সাদরে পরবর্তী প্রজন্মের প্রাণে তুলে দিতে পারি....







মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +১৭/-১

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৫৮

জেনারেল বলেছেন: সবার-ই জনপ্রিয়তা পাবার একটা শখ আছে, কি বলেন?

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:০০

মানবী বলেছেন: তৃতীয় সংস্করনে প্রথম পাতায় প্রথম পোস্ট.. কিছু জিনিস এক্সপেরিমেন্ট করছিলাম..

আপনি যেভাবে খুশি ভেবে নিন।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:০১

ভার্চুয়াল বলেছেন:

হুমম।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:০৩

সাইফুর বলেছেন: যেখানেই থাকি..বাংলায় বলতে ও লিখতে গর্ববোধ করি

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:১০

নাদান বলেছেন: আপনার পোষ্ট মানেই দারুন কিছু অনুভূতি। মনে হয় এটাতো আমি বলতে চেয়েছিলাম। অনেক ভাল লাগলো আপু।

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:১৬

মানবী বলেছেন: সাইফুর, ধন্যবাদ পড়ার এবং মন্তব্যের জন্য।



নাদান, আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।


.

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৩৪

রুখসানা তাজীন বলেছেন: মানবী, আমার হয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন "ইংল্যান্ডে জন্ম, আমেরিকায় বেড়ে ওঠা একজন বাংলাদেশী আমেরিকান" এবং তাঁর আমেরিকান স্বামীকে। বাংলাভাষার প্রতি তাঁদের ভালোবাসাটুকু মনে রাখার মত।

প্রবাসে শুধু নয়, স্বদেশেই বাংলা ভাষার প্রতি এক নব্য অভিজাতশ্রেণীর বিরাগ তাদের উত্তরসূরীদের "হিজড়া" বানিয়ে তুলছে।

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৩২

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা, ভাবার মতন। আসলেই এভাবেই একদিন হয়ত হারিয়ে যাবে বাংলা, যেমনটি হারিয়েছে অনেক ভাষা।

৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৩৩

পান্জেরী বলেছেন: "সারা বিশ্বের বিস্ময়
তুমি আমার অহংকার"

-অসাধারণ একটি ভাষায় অসাধারণ একটি গান। ধন্যবাদ।

১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৪২

সামী মিয়াদাদ বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়ে খুব ভাল লাগলো। এক বছরের কম সময়েই এই অবস্হা? তাও আবার ভাষা সৈনিকের পরিবারের? আমাদের পরিবারটি (চাচা+ফুপু) তাহলে বেশ ভালই আছে আমেরিকায়।

ধন্যবাদ মানবী। ভাল থাকবেন আশা করি।

১১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৫০

জয়িতা বলেছেন: কেমন আছেন মানবী?অনেকদিন দেখি না।আপনার লেখা মানেই চমৎকার।

দেশে থেকেই এখনকার ছেলেমেয়েরা নিজের সংস্কৃতি, ভাষার ব্যাপারে বড়ই উদাসীন। আর বিদেশে গিয়ে অনেকে দেশপ্রেমের কথা বলে কিন্তু দেশে থাকতে তাদের বড়ই সমস্যা এ দেশকে বসবাসের উপযোগী মনে হয় না।তাদের সন্তানেরা হয়ত কখনও ভুলেই যাবে দেশের শিকড়ের কথা।

১২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৫৩

কালপুরুষ বলেছেন: লেখাটা পরে পড়বো। এখন অফিসে। কেমন আছেন? অনেকদিন পর আপনার উপস্থিতি। সব খবর ভাল তো! ভাল থাকুন।

১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:০৬

প্রচেত্য বলেছেন:
বাংলা আমার মায়ের ভাষা- শ্রদ্ধা সবসময়ই আছে
গর্ববোধ করি

আপনার লেখাটি চমতকার টানল

১৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:২৭

রিফাত ভাই বলেছেন: অনেক দিন পর আবার গানটি শুনে নিলাম। "সারা বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমার অহংকার।" দেশের বাইরে থাকি, আর আপনার মত আমারও একই দুঃখবোধ, যখন দেখি বাঙালি বাবা মায়েরাই তাদের সন্তানদের বাংলা শেখানোটা ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন। এমনকি দেশের ভাবমূর্তি থেকে কেবল ঋণাত্মক অংশটা নিয়ে বেশি আলোচনা করছেন। যাই হোক, ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার পোস্টটির জন্য।

১৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:২৫

এহেছান লেনিন বলেছেন: আমার ভাষা আমার অহঙ্কার।

এই বিশ্লেষণমূলক লেখাটি আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল আমরা আসলে কি নিয়ে অহঙ্কার করি। কারা অহঙ্গার করি? যদি বলেন নির্বোধদের এ ধরনের অহঙ্কার থাকে, তবে আমি সেই নির্বোধদের একজন প্রথমসারির কেউ।

বাধ দিয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা যায়, সংস্কৃতির নয়- আহমেদ ছফার একটা নিবন্ধে এমনই পড়েছিলাম অনেক আগে।

আজ মানবী আপনার লেখাটা পড়ে মনে হলো- ভাষা, সংস্কৃতিরও গতি পরিবর্তন হয়, সে আমাদেরই অনাগ্রহে। আগ্রহী করে তুলতে হলে প্রয়োজন আগামী প্রজন্মের কাছে আমাদের সঠিক ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরা।

আজকাল প্রায়ই দেখি- নামের মধ্যেও আসছে পরিবর্তন। মানুষের নামগুলোও কেন জানি ইংলিশ মার্কা হয়ে যাচ্ছে! জিকরুল থেকে জিক্স, মুকিতরা মক্স। কেমন কেমন লাগে।

১৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:৩৪

অহেতুক অকারণ বলেছেন:
বাংলা কখনো হারিয়ে যাবে না, প্রায় ৩০ কোটি মানুষের ভাষা যে বাংলা, যার ইতিহাস এত সমৃদ্ধ, যে ভাষা আমার মায়ের ভাষা, যে ভাষায় কথা বলে আমি আমার সব অনুভুতি প্রকাশ করি।।
কিছু মুষ্টিমেয় মানুষের অকল্যানে তা হারিয়ে যাবে! হতেই পারে না।

মানবীকে ধন্যবাদ।।

১৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:৫৪

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আমাদের শেকড়টা যেন সবসময় দৃঢ় থাকে । মূলটাকেই যদি শুদ্ধ না করতে পারি , সামান্য ঝড়েই বিপন্ন হয়ে পড়তে দেরি হবে না । আপনার কথাগুলো আমার , আপনার , অনেকের অন্তরের অন্তঃস্থলের কথা ।

নতুন করে আপনাকে স্বাগতম । অসাধারণ একটি লেখা উপহার দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:১২

মানবী বলেছেন: পড়ার এবং মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:০১

মানবী বলেছেন: আশবাফ, আমরা একটু চেষ্টা করলেই শুধু হারিয়ে যাওয়া রোধ নয়তো.. হয়তো স্প্যানীশ এবং আরবী ভাষার মতো বহুল প্রচলিত(বাংলাদেশ এবং পশ্চিম বাংলা'র বাইরে) একটি ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। ধন্যবাদ আপনাকে।


রুখসানা তাজীন, অবশ্যই জানাবো। দেশে বসেই নিজের মাতৃভাষাকে যারা অবজ্ঞা করে আমি তাদের অভিজাত শ্রেনী মানতে নারাজ.. অভিজাতদের কখনও হীণমন্যতাবোধ থাকেনা :)

সামী মিয়াদাদ, ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকুন।

জয়িতা, আল্লাহ্'র রহমতে ভালো আছি তবে প্রচন্ড ব্যস্ত। আপনি ভালো আছেন আশা করি। শিকড়ের কথা ভুলতে চাইলে স্বদেশ অথবা প্রবাস.. সবখানেই সম্ভব। তবে, শিকড়কে ভুলতে চাওয়ার মতো মানসিকতা কিভাবে গড়ে উঠে তা দুর্বোধ্য! ধন্যবাদ আপনাকে।

কালপুরুষ, আল্লাহ্'র রহমতে ভালো আছি, ধন্যবাদ। আপনি ভালো আছেন আশা করি।

প্রচেত্য, ধন্যবাদ। আমি সত্যিই অহংকার করি আমার ভাষা এবং ভাষা ইতিহাস নিয়ে।


এহেছান লেনিন, বাংলাভাষা নিয়ে অহংকার করার যথেষ্ট কারন আছে, এতে নির্বুদ্ধিতার কিছু নেই! চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

রিফাত ভাই, ভালো বলেছেন। আমিও লক্ষ্য করেছি.. সংখ্যায় অত্যন্ত নগণ্য হলেও কিছু অভিভাবক আছেন যারা সন্তানরা বাংলা না জানলে (!!!!!!)গর্ববোধ করেন....খুবই উদ্ভট ব্যাপার! ধন্যবাদ আপনাকে।



অহেতুক অকারণ, ভালো বলেছেন। আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:২৪

ভাস্কর চৌধুরী বলেছেন:
+
দারুন লিখেছেন আমাদের বাংলা মাকে নিয়ে।
সারা বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমার অহংকার.................

২০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:১০

জিহাদ বলেছেন: "যে জন বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী, তাদের জন্ম পরিচয় নির্ণয় ন জানি।"

আপনার লেখা আগেও পড়েছি।কমেন্টস দেয়া হয়নি কখনো । ভাল লাগে দেখেই পড়তে আসি।ভাল থাকবেন।

২১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:৩০

সুখী মানুষ বলেছেন: আপু,
তুমি অনেক দিন পরে লেখলা ! সাধারণ লেখা যেখানে তোমার হাতে প্রাণ পেয়ে পাঠক হৃদয়ে বিহংগ হয়ে উড়তে থাকে...সেখানে ভাষা, আবার বাংলা ভাষা নিয়ে লেখা!!! এ তো পাঠক হৃদয়ে চাঁদও নয় সূর্য্যও নয় যে ডুবে যাবে, এ যে পাঠক হৃদয়ে একেবারে অক্সিজনের মত টিকে থাকবেরে দিদি?

তোমাকে ধন্যবাদ আপুনি।

২২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:১২

শাওন বলেছেন: আমি অবাক হই যখন প্যারিসে বাঙালী ছেলেদের আড্ডা হয় ফরাসী ভাসায় যখন শুনি " আমি বাংলা বলতে পাড়ি ( পারি) না । অযস্য লাগে শুনতে ।
দোষ ওদের দিয়ে লাভ নেই । বাবা-মা যদি একটু সচেতন থাকেন তাহলে ওদের মানুষিকতা বদলে দেওয়া সম্ভব ।

লেখাটা ভালো লাগল । বাংলা ভাষা , দেশের সংস্কৃতি সব ভুলে গেলে আমরা বাঁচব কি নিয়ে ? :(

২৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:২৬

মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ মানবী প্রবাসের একটা বড় সমস্যাকে তুলে ধরবার জন্য। এই সমস্যাটি আমাকেও দ্রুত দেশে ফিরতে উদ্বুদ্ধ করছে।

আমার দুই সন্তানের বয়স পাচ ও তিন বছর । ইংল্যান্ডে আসার আগে অনর্গল বাংলায় কথা বলতো আমার ছেলে অথচ স্কুলে যাওয়া শুরু করার পর থেকে বাংলার প্রতি ভীষণ অনীহা । আসলে খুব ছোট বয়স বলেই হয়ত স্কুলে যে ভাষায় কথা বলছে সেটার প্রতি আকর্ষন বেশী । তবে বাংলাকে ভুলতে দেইনি । তার জন্য আলাদাভাবে সময় দিতে হয়েছে.. অনেক চেষ্টাতে এখন আবার আমার ছেলে ঠিকমত বাংলা বলা শুরু করেছে । আশা করি বয়সের সাথে সাথে ওর বোঝার ক্ষমতা বাড়বে আর সেই সাথে বাংলার প্রতি ভালবাসাও বাড়বে ।

২৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:০৪

মানবী বলেছেন: ভাস্কর চৌধুরী, ধন্যবাদ।


জিহাদ, জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।

মোহাম্মদ অরুন, ভাইয়া আমার লেখা এমন উচ্চ মানের নয় যেমন আপনি বলেছেন। প্রাপ্য না হলেও চমৎকার কথা বলে উৎসাহ দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকুন।

শাওন, ভালো বলেছেন। অভিভাবকরা প্রথম থেকে সচেতন হলেই প্রৃথিবীর যেকোন প্রান্তেই সন্তানেরা মাতৃভাষা আর মাতৃভূমির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিয়ে বড় হতে পারে।


মিরাজ, প্রথম থেকে সচেতন হলে হয়তো শিশুদের মানসিকতা সুন্দরভাবে গড়ে তোলা যায়। স্কুলে অন্যান্য সহপাঠিদের যে ভাষায় কথা বলতে শুনে স্বাভাবিক ভাবেই তা শেখার আগ্রহ অনেক বেশী। সেই সাথে নিজের ভাষা নিয়েও যেন তারা গর্ববোধ করতে পারে এই আমাদের প্রচেষ্টা থাকা উচিৎ। আপনার সচেতনতাকে সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ।

২৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:১৩

নেই মানুষ বলেছেন: মানবী , কেমন আছেন? কিভাবে যেন লেখাটি চোখ এড়িয়ে গেল।

ভাষার ইতিহাস আমাদের মত এত সম্ঋদ্ব কিনা জানিনা তবে ফিনল্যান্ডেও ভাষা নিয়ে আান্দোলন হয়েছিল। উইকি দেখতে পারেন।

পুরপুরি মনে নেই তবে বেশ কবছর আগেও অসমিয়াদের উপর আসাম সরকার নির্যাতন চালিয়েছিল ওরা সম্ভবত বাংলা (সিলেটী) বলতে চাওয়ায় (পত্রিকায় পড়েছিলাম; দুঃখিত কোন রেফারেন্স দিতে পারলাম না)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:৩২

মানবী বলেছেন: আল্লাহ্'র রহমতে ভালো আছি তবে প্রচন্ড ব্যস্ত, ধন্যবাদ আপনাকে।
ফিনল্যান্ডের ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে তেমন জানা নেই, সময় করে পড়বো।

বেলজিয়াম সহ বেশ কিছু দেশে মাতৃভাষা নিয়ে একরকম শীতল যুদ্ধ চলছে বহু বছর ধরেই। ইউরোপে এমন একটি দ্বন্দময় পরিস্থিতি আমি নিজে দেখেছি। প্রাণ উৎসর্গ করে মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার ঘটনা বাঙালীছাড়া অন্য কোন জাতির আছে বলে জানা নেই।

২৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:২৮

মিরাজ বলেছেন: মানবী, আমরা সামহোয়্যারকে গালাগালি ও অশ্লীলতা মুক্ত একটি মুক্ত বুদ্ধির চর্চা কেন্দ্র হিসাবে দেখতে চাই আর সেজন্য চেষ্টা চালাচ্ছি । আশা করি সাথে থাকবেন ।

প্লিজ দেখুন -

কেন স্বাধীনতার চেতনায় সমুন্নত গালাগালি ও অশ্লীলতামুক্ত সামহোয়্যার চাই

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:৩৪

মানবী বলেছেন: পরে সময় করে পড়বো, ধন্যবাদ মিরাজ।

২৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:৪৬

প্রিয়তি বলেছেন: আপু ব্যাপারটা সত্যি চোখে পরার মত।

তবে মজার কথা কি, বাংলাদেশে আমি যখন ইংলিশ লিটারেচার নিয়ে পড়তে যাই তখন দেখি ক্লাশের শিক্ষকরাই বলছেন, এখানে কেউ বাংলায় কথা বলবে না। এখানে যে বাংলায় কথা বলবে তাকে শাস্তি দেয়া হবে।আমাদের দেশের মানুষ ইংরেজী চর্চা-র উপড়ে যতখানি গুরুত্ব দেয়া হয় আমাদের ভাষা প্রতি সেইটা একেবারেই নেই। বরং বাবা-মা ছেলে মেয়েদের মেধাবী মনে করেন যখন ওরা ইংরেজীতে অনর্গল কথা বলে যায়।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:১৮

মানবী বলেছেন: বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা ক্লাসে সাধারনত সেই ভাষ ছাড়া অন্য কোন ভাষায় আলাপ করা অনুৎসাহিত করা হয়। শুধু ইংলিশ নয়, আঁলিয়্যস ফ্রঁসেজ এও ক্লাসে ফ্রেন্চ ছাড়া অন্য ভাষায় আলাপ আলোচনা নিষেধ করা হয়। আমাদের ইংলিশের ভিত্তি কিছুটা দুর্বল সে কারনে লিটারেচার ক্লাসে এমন করা হয় কিনা বুঝতে পারছিনা।


বিভিন্ন দেশের ভাষা জানা একটি কৃতিত্ব তবে নিজের মাতৃভাষা জানা অবশ্য কর্তব্য। ইংরেজীতে কথা বললে সন্তানকে মেধাবী ভাবা খুব হাস্যকর মনে হলো :) বাঙালী হয়ে বাংলাভাষার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ না থাকা অন্যায় অবশ্যই, ধন্যবাদ প্রিয়তি।

২৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:২২

বিবর্তনবাদী বলেছেন: @ মানবী - -

অনেক দিন পর আপনার নতুন পোস্টে মন্তব্য করতে পারছি। ভাল লাগছে। নিয়মিত লিখবেন আশা রাখি।


আসলে দোষ এই প্রবাসী শিশুদের নয়। দোষ তাদের বাব মায়ের ও নয়। দোষ সেই শিক্ষা ব্যবস্থার যা সেই প্রবাসী শিশুদের বাবা মা বাংলাদেশে পেয়েছে। এই শিক্ষা ব্যবস্থা নিজকে শ্রদ্ধা করতে শেখায় না, নিজ ভাষাকে শ্রদ্ধা করতে শেখায় না। সেখায় বিদেশ তোষণ।

যে ব্যক্তি নিজ ভাষাকে শ্রদ্ধা করতে শেখেনি, সে কি করে তার সন্তানকে সেই ভাষা শেখাবে??

১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:৪০

মানবী বলেছেন: পড়ার এবং চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ.. ব্যস্ততার কারনে অনিয়মিত লিখছি।

"দোষ সেই শিক্ষা ব্যবস্থার যা সেই প্রবাসী শিশুদের বাবা মা বাংলাদেশে পেয়েছে। এই শিক্ষা ব্যবস্থা নিজকে শ্রদ্ধা করতে শেখায় না, নিজ ভাষাকে শ্রদ্ধা করতে শেখায় না। সেখায় বিদেশ তোষণ। " -

এই বক্তব্যের সাথে সহমত নই, দুঃখিত। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমি শিক্ষিত, যাঁরা এই দেশে বসে তাঁদের সন্তানদের মানুষ করছেন/করেছেন এমন ভাবে যে শুধু শুদ্ধ বাংলা বলতে বা বুঝতে পারা নয়, প্রতি বছর নিয়মিত ভাবে ২১শে ফেব্রুয়ারী, নজরুল/ রবীন্দ্র জয়ন্তী ইত্যাদি নিয়মিত ভাবে পালন করছে.... তাঁরাও বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত।


গুটি কয়েকের হীণমন্যতার কারনে ঢালাও ভাবে আমাদের দেশ বা এর শিক্ষা ব্যবস্থাকে দায়ী করতে চাইছিনা।

২৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৫১

মন ভাল না বলেছেন: আপু কেমন আছেন?...ভাল লাগল..,.দেশেও আপনার মত করে অনেকেই কথা বলতে পারবেনা...

২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:০৩

মানবী বলেছেন: আল্লাহ্'র রহমতে ভালো, আপনি ভালো আছেন আশা করি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:৫৯

কালপুরুষ বলেছেন: কেমন আছেন? ব্যস্ততা কী কিছু কমলো? নিয়মিত দেখতে চাই।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:০৫

মানবী বলেছেন: আল্লাহ্'র রহমতে ভালো আছি, নিয়মিত লেখা সম্ভব হবে কিনা বুঝতে পারছিনা! ধন্যবাদ কালপুরুষ।

৩১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:২২

""শ্রাবণী"" বলেছেন: ঘৃণা হ্য় যখন দেখি বাংলাকে অপমান করা হচ্ছে। ঘৃণা হ্য় ওদের যখন বলতে শুনি," আমি ব্যাংলা বলটে পারি না" এক্ষেত্রে অবশ্য একমত শাওনের সাথে। আমি এখানে অনেক বাবা-মা কে দেখি যারা সন্তানদের বাংলা, বাংলাদেশ সর্ম্পকে কিছুই শেখান না। এমনকি নিজ সন্তানের সাথে বাংলায় কথা পর্যন্ত বলেন না। তাহলে দোষ টা আসলে কাদের? র্ইদানিং বাংলাদেশেও এর চর্চা হচ্ছে ধুমসে। মুখে ইংলিশের বুলি আওড়িয়ে এরা নিজেদের খুব স্মার্ট ভাবে, একবারও ভেবে দেখে না নিজের সংস্কৃতির চর্চাটাই কি স্মার্টনেস্ না?

৩২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:২৯

নরাধম বলেছেন: অসাধারন পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ।

৩৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৭:১৭

বিহঙ্গ বলেছেন:
কী বলবো আর দুঃখের কথা।আমার ছোটবোন যে বাংলার অধ্যাপিকা ছিলো সে এখন বিলেত এসে তার ক্যাম্ব্রিজ পাশ স্বামীকে সহজ বাংলা পঠন শিখাচ্ছে।কত বাংগালী ব্রিটিশ ,আমেরিকান বর্ন বংগ সন্তানেরা বাবা মায়ের উদাসীনতায় প্রিয় মায়ের ভাষা বেমালুম ভুলে গেছে।

৩৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:০৮

মানবী বলেছেন: নিজেদের সংস্কৃতি সম্পর্কে অজ্ঞতা অবশ্যই আনস্মার্টনেস হিসেবে বিবেচিত হয়। ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা ভালো, তবে নিজেরটিকে বাদ দিয়ে নয়, ধন্যবাদ ""শ্রাবণী"" ।


নরাধম, আপনাকেও ধন্যবাদ।

বিহংগ, ধন্যবাদ।

৩৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:২৭

খোলাচিঠি বলেছেন: আপনার পোষ্টটি এ, বি, সি, ডি দের পড়ানো উচিত।।
ওরাতো আবার আমেরিকান বর্ন কনফিউজ্ড দেশী কিনা !!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:১৯

মানবী বলেছেন: শুধু আমেরিকান বর্নরাই কি কনফিউজড দেশী হয়? :)

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৬

বিবর্তনবাদী বলেছেন: প্রিয় মানবী,

প্রতি উত্তরের জন্য ধন্যবাদ। আপনার সাথে একমত। আমি আমার মন্তব্যের উল্লেখিত অংশ প্রত্যাহার করলাম।

আপনি ভাল থাকুন ও নিয়মিত লিখুন। অপেক্ষায় থাকব।

৩৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:১১

রাশেদ বলেছেন: কেমন আছেন আপনি?

৩৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:২২

মানবী বলেছেন: বিবর্তনবাদী, অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকুন।



রাশেদ, আল্লাহ্'র রহমতে ভালো আছি, ধন্যবাদ। আপনি ভালো আছেন আশা করি।

৩৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:২৪

সাইফুর বলেছেন: ব্লগে ইদানিং কম আসেন মনে হয়??

৪০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৩৪

মানবী বলেছেন: জ্বি, সেভাবে আসা হয়না। আপনি ভালো আছেন আশা করি।

৪১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৪০

সাইফুর বলেছেন: আমি ভালো আছি..
ধন্যবাদ..

৪২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৫২

আবূসামীহা বলেছেন: আমি ব্যক্তিগত ভাবে যেকোন ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এমনকি যে উর্দু ভাষা প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে আমাদের ভাষা আন্দোলন ছিলো, সেই 'উর্দু' ভাষার প্রতি আমার কোন ঘৃণাবোধ নেই। ভালো লাগলে ইংরেজী, উর্দু, হিন্দী, গান আগ্রহ নিয়ে শুনি। পৃথিবীর কোন ভাষা নিয়ে আমর কোন প্রেজুডিজ নেই, যে কোন ভাষা অনর্গল বলতে এবং বুঝতে পারাকে কৃতিত্ব মনে করি। তবে, বাংলাদেশীদের জন্য 'বাংলা ভাষা" জানা একটি অবশ্য কর্তব্য মনে করি। আমার কাছে খাদ্য গ্রহন, শ্বাস প্রশ্বাস, ধর্মপালন যেমন একটি স্বাভাবিক ঘটনা, তেমনি স্বাভাবিক প্রতিটি বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত মানুষের বাংলা জানা!!! অন্তত বলতে এবং বুঝতে পারা।
===================
পুরোপুরি সহমত

৪৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:৪৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন:
জন্মভূমী বাংলাদেশ আমার আহংকার।

৪৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৫৩

সারিয়া তাসনিম বলেছেন: আমার বসের ছেলেগুলা কানাডায় লেখা পড়া করছে । বড় হইছে দেশেই - এখন বাংলা বলতে কষ্ট হয় ।

মনডা কয় , ঘুরাইয়া উস্ঠা দেই।

৪৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:১৫

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন:
"হীনমন্যতাবোধ থেকেই মানুষ নিজের দেশ, নিজের সংস্কৃতির প্রতি উদাসীন হয়, এড়িয়ে যেতে চায় নিজেদের শিকড়ের অস্তিত্ব! আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে কোন ভাবে যেন এই হীনমন্যতাবোধ গড়ে না উঠে।"

পুরান কথা কিন্তু খুবই গুরুত্তপুর্ণ। +

৪৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:১১

ফারহান দাউদ বলেছেন: অনেকদিন লেখেন না মানবী আপা।

৪৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৪৪

মানবী বলেছেন: ধন্যবাদ সাইফুর ।


আবূসামীহা, ধন্যবাদ।


মোহাম্মাদ আব্দুলহাক, ধন্যবাদ।



সারিয়া তাসনিম, সত্যি বেশ বিরক্তিকর ব্যাপার। এরা বুঝেনা বড় হয়ে বিদেশে এসে মাতৃভাষা ভুলে যাওয়া এক ধরনের অযোগ্যতা! অক্ষমতা!


ফারহান দাউদ, ব্যস্ত সময় যাচ্ছে ভাইয়া :)


কুঙ্গ থাঙ, ধন্যবাদ ।

৪৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৪৯

মাহবুব সুমন বলেছেন: এ জন্য শিশুটির পিতা-মাতাকেই সম্পুর্ন দায়ী করবো (অভিগ্যতা লব্ধ)

৪৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৪৮

ফজলে এলাহি বলেছেন: "সারা বিশ্বের বিস্ময়
তুমি আমার অহংকার"
.
=যতবার শুনেছি ততবারই দু'চোখ অশ্রুবিগলতি হয়েছে। সত্যিই সারা বিশ্বের বিস্ময় এবং আমার অহংকার।
.

"আমি স্তম্ভিত, শংকিত!!!!! ভাষা সৈনিকের নাতি-নাতনিরা আজ বাংলা ভাষা বর্জনে সচেষ্ট, তাদের কাছে বাংলাদেশ একটি 'পঁচা দেশ'!!!!"

=আজ যখন দেখি, বাংলাভাষাভাষীরা বাংলার সাথে কিছু ইংরেজী শব্দ মিশিয়ে গর্ব করে, আমি লজ্জায় নুয়ে পড়ি। :(

বিশুদ্ধ বাংলা বলা বাংলাদেশী/বাংলাভাষীর সংখ্যা বোধ হয় খুব বেশী হবে না।

৫০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:০১

সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:
+

আরে আপনার এই পোস্ট কোন ফাঁকে মিস করলাম!!!

"সারা বিশ্বের বিস্ময়
তুমি আমার অহংকার''


প্রবাসে থাকলে সত্যিই নিজ দেশ নিজ কৃষ্টি-কালচার, নিজের সমাজ যে কত প্রিয় তা হৃদয়ের গভীর গহনে উপলব্ধ হয়!!

৫১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:৩৫

মানবী বলেছেন: মাহবুব সুমন, ধন্যবাদ।


ফজলে এলাহি, ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।


সারওয়ারচৌধুরী, ধন্যবাদ আপনাকে :)

৫২| ২২ শে মে, ২০০৮ ভোর ৪:৪৭

বাফড়া বলেছেন: সত্যিই ''একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার, সারা বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমার অহংকার''।


====
''বিশ্বের আর কোন দেশ আর কোন ভাষার এমন গৌরবময় ইতিহাস আছে বলে জানা নেই। ''
===

ভাষা নিয়ে আমাদের আমাদের মতই একটি গর্ব করার মত ইতিহাস রয়েছে ফিনদের। এব্যাপারে আপনি উইকি দেখলে বিস্তারিত পাবেন।

আমাদের প্রতিবাদ ছিল ১৯৫২তে। আবার আরেকদল বাংগালীর কথা না বললে বাংগালীর মাত্ঋভাষা প্রীতির পুরো ধারনা পাওয়া যায়না। যতদুর মনে পড়ে কয়েকবছর আগে আসামে বাংলাভাষীরা অনেক সমস্যা ফেস করছিল এবং বাংলা ব্যভার নিয়ে সরকারপক্ষের অনেক অনেক অত্যাচারের মুখে পড়ে। এরপর সম্ভবত বাংগালী খেদাও ''আন্দোলন'' (? , সথিক শব্দ খুজে পাচ্ছিনা) ও শুরু হয়। কিন্তু বাংগালীরা বাংলার ব্যাপারে অনড় ছিল। যাহোক সব কিছু পুরো মনে নেই, তাই কারো আরো ভালো জানা থাকলে এবং ঠিক করে দিলে খুশিই হব।

৫৩| ২২ শে মে, ২০০৮ দুপুর ১২:০৩

ফয়সল নোই বলেছেন: বাফড়া,আসামে বাঙ্গালী খেদাও নিয়ে ২০০৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিবিসির একটি রিপোর্ট ছিল এরকম:
06 ফেব্রুয়ারী, 2005 - প্রকাশের সময় 20:00 GMT

সুবীর ভৌমিক
বিশেষ প্রতিবেদন
ভারতের আসাম রাজ্যে আবার নতুন করে পূর্ববঙ্গীয় মুসলমানদের ওপর হামলা, হয়রানী শুরু হয়েছে৷
স্থানীয় অসমীয়া সংগঠনগুলি বলছে, এরা সকলেই বাংলাদেশী৷
গত দুমাসে আসামের উত্তরের জেলাগুলোর থেকে কয়েক হাজার মানুষকে বিতাড়িত করা হয়েছে৷ তবে, রাজ্যসরকার বলছে, বিতাড়িতদের সংখ্যা ছশো থেকে সাতশো৷ আসামের চর এলাকায় মন্ত্রী ওয়াজেদ আলী চৌধূরী এদের সমস্যা নিয়ে কিছু বলতে চাইলেন না৷ ”আপনি এসব জায়গায় এসেছেন, সব ঘুরে দেখেছেন, আপনি জানবেন, কত লোক উজানী আসাম থেকে বিতাড়িত হয়েছে৷” বললেন চৌধূরী৷
কিন্তু এসব বিতাড়িত মুসলমানেরা আসামের উত্তরবর্ত্তী জেলাগুলো থেকে পালিয়ে পশ্চিম আসামের যেসব জেলাগুলোয় পালিয়ে এসেছেন, সেখানকার শাসক কংগ্রেস নেতারা বলছেন, বিতাড়িতদের সংখ্যা পনেরো থেকে কুড়ি হাজার৷
তাদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার এদের নিজ নিজ কর্মস্থলে পুনর্বহাল করার চেষ্টা করছে না৷
"কয়েক হাজার মুসলমান -- এরা কেউ বাংলাদেশী নয় - উজানী আসাম থেকে পালিয়ে পশ্চিম আসামে চলে এসেছে৷ এখনও অনেকে ডিব্রুগড়ের মত শহরে ফেঁসে আছে, বের হতে পারছে না৷ আমরা কিছু ট্রাক নিয়ে তাদের আনতে যাবো ,কারণ সরকার তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে না, দেবে না৷” - বললেন পশ্চিম আসামের বংগ্রেস নেতা মিনহাস উর রহমান৷
গত ১৫-১৬ বছর সেসব জায়গায় এসব গরীব মানুষ কাজও করেছে নির্বিঘ্নে৷
কিন্তু দুমাস আগে স্থানীয় অসমীয়া সংগঠন চিরিং চাপোরি যুব মঞ্চ এদের বিতাড়ণ শুরু করে ব্যাপকভাবে ভয়ভিতি প্রদর্শণের মাধ্যমে৷ তারা অসমীয়াদের উদ্দেশ্যে ফতোয়া জারি করে - আপনারা কেউ এসব ’বাংলাদেশীদের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য করবেন না, তাদের কোন কাজ দেবেন না, এমনকি তাদের চালানো গাড়িতেও উঠবেন না৷ আর এদের কথা না শুনলে বড় অংশ জরিমানা, এমনকি মারধোর করার হুমকি দেয় চিরিং চাপোরি যুব মঞ্চ ৻
”ব্রম্ভপুত্র নদী আমাদের ঘরছাড়া করেছে, এখন এই অসমীয়ারা আমাদের ঘর ছাড়া করছে, পেটে লাথি মারছে৷ আমরা বাংলাদেশী নই, আমাদের জন্ম-কর্ম সব এই আসামে, ” বললেন ডিব্রুগড় থেকে বিতাড়িত মকবুল হোসেন৷
বিতাড়িতদের অনেকের অভিযোগ চিরিং চাপোরি যুবা মঞ্চ এর সদস্যদের সাথে পুলিশও ব্যাপকভাবে এদের হয়রানী করছে, ঘর ছাড়তে বাধ্য করছে৷
”আমাদের ঘরে পুলিশ আচমকা প্রবেশ করে৷ বলে তোরা বাংলাদেশী, এখান থেকে চলে যা, নাহলে কখন কি হয়, বলা যাবে না৷” বললেন ডিব্রুগড় থেকে বিতাড়িত মোহম্মদ জাহাঙ্গীর৷
বাজেমালের কারবারি আবু মিঞার এই বক্তব্য: ”পুলিশ আমার সব কাগজপত্র কেড়ে নিয়ে বলে, এগুলো ভুয়ো৷ দুশ টাকা দে, সব ঠিক করে দেব৷ টাকা দেওয়ার পর বলে, এখান থেকে চলে যা৷”
মকবুল - জাহাঙ্গীর-আবু মিঞাদের দেখা পেলাম হাউলিতে৷ ঠিক তখনই ডিব্রুগড় থেকে তারা একটি ট্রাকে করে এসেছে৷ আরোও অনেকের দেখা পেয়েছি গোয়ালপাড়ার বিস্তীর্ন চর অঞ্চলে৷
স্বাধীনতার পর যখন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালীরা মাতৃভাষার র্ময্যাদা রক্ষার্থে প্রাণ দিয়েছে দলে দলে, আসামের বরাক উপত্যকায় হিন্দু মুসলমানরা যখন তাদের উপর অসমীয়া চাপিয়ে দেওয়ার সরকারী প্রচেষ্টাকে রুখতে পুলিসের গুলি খেয়েছে, ঠিক তখনই এই গরীব পূর্ববঙ্গীয় মুসলমানরা অসমীয়া ভাষা ও সংস্কৃতিকে গ্রহণ করে নিয়েছে নিজের বলে, পরিচিত হয়েছে ’নব্য অসমীয়া’ হিসাবে৷
কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি৷
কিন্তু ইউ এম এফ বেশী দিন টেকে নি৷ তাদের অনেক নেতাকর্মীই কংগ্রেসে ফিরে আসে, আর, বাঙ্গালী হিন্দুদের একটি বড় অংশ চলে যায় বি জে পি- র দিকে৷ কারণ বি জে পি বলতে শুরু করে বাঙ্গালীরা মার খেয়ে পূর্ব বাঙ্গলা ছেড়েছে তাই তারা শরণার্থী আর পূর্ব বঙ্গীয় মুসলমানরা অর্থনৈতিক কারনে আসামে এসেছে, তাই তারা অনুপ্রবেশকারী৷
অসম গণ পরিষদের মতো স্থানীয় অসমীয়া দল বি জে পি-র বক্তব্য সমর্থb করে তাদের সাথে নির্বvচনী আঁতাত গড়ে তোলে৷
তাই এবার স্থানীয় অসমীয়া সংগঠনগুলোর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু শুধুমাত্র পূর্ববঙ্গীয় মুসলমানরা৷
অসম গণ পরিয়দের নেতা সোনওয়াল বললেন, ” বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ না আটকাতে পারলে আসামে আমরা নিজ গৃহে পরবাসী হব৷ এই অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতেই হবে৷”
আর আসুর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টার্চায্যের মতে, ” কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার উভয়ই অনুপ্রবেশকারীদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করে৷ তাই এদের তাড়াতে আমাদের রাস্তায় নামতেই হবে৷
আসামের প্রায় তিরিশ শতাংশ মানুষ মুসলমান - যাদের খুবই একটি অংশ অসমীয়া, বাকিরা পূর্ব বঙ্গীয়৷ কাশ্মীরের পর আসামই ভারতের সবচেয়ে বড় মুসলিম বহুল রাজ্য৷

৫৪| ২৯ শে জুন, ২০০৮ রাত ৮:৫৬

শেখ জলিল বলেছেন: "সারা বিশ্বের বিস্ময়
তুমি আমার অহংকার"
...মোদের গরব মোদের আশা
আ মরি বাংলা ভাষা...

৫৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ২:২৮

বাফড়া বলেছেন: মানবী, আপনার মনে হয় মন্তব্য গুলো চোখে পড়েনি। তাই আাবার কমেন্ট টা করে গেলাম। আশা করছি এবার চোখে পড়লে পোস্টে কারেকশান...

ব্লগে কম কম দেখি আপনাকে!!?

৫৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৮ সকাল ৯:৪৪

মানবী বলেছেন: ফয়সল নোই এবং বাফড়া কে তথ্যবহুল আলোচনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।




শেখজলিল, ধন্যবাদ পড়ার জন্য।


বাফড়া, আপনাদের আলোচনা পড়েছি। পোস্টটিতে আমার ভাবনা, সেই প্রেক্ষিতে মন্তব্যে আলোচনা...যে যার স্ব স্ব স্থানেই থাক! :-)
পোস্টটি যেহেতু কোন তথ্যবহুল লেখা নয় বরং একান্ত ব্যক্তিগত ভাবনা তাই কোন পরিবর্তন/সংশোধন জরুরী নয় হয়তো।
কষ্ট করে এতো দিন পর এসে খোঁজ করে গেছেন, সেজন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ব্লগে ইদানীং প্রায়ই আসি তো :-*
তবে আপনার এই মন্তব্যটি দেখে পুরনো পোস্ট গুলোয় একে একে মন্তব্যের জবাব দিবো ঠিক করেছি :-)
অনেক ভালো থাকুন।

৫৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "সারা বিশ্বের বিস্ময়
তুমি আমার অহংকার" - চমৎকার দুটো লাইন দিয়ে লেখাটা শুরু করেছেন।
বাঙলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করা প্রতিটি বাঙালীর অবশ্য কর্তব্য। এর ব্যত্যয় যারা করে, বাঙালী নামের যোগ্য নয়। খুব জরুরী একটা বিষয়ের উপর প্রাঞ্জলভাবে আলোকপাত করার জন্য মানবীকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
যেসব মাতাপিতা তাদের সন্তানদের বাংলা না জানা সম্পর্কে গর্ববোধ করেন, তাদেরকে কটাক্ষ করে কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদার লিখেছেনঃ

বাংলাটা ঠিক আসে না !
– ভবানীপ্রসাদ মজুমদার

ছেলে আমার খুব ‘সিরিয়াস’ কথায়-কথায় হাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসেনা।
ইংলিশে ও ‘রাইমস’ বলে
‘ডিবেট’ করে, পড়াও চলে
আমার ছেলে খুব ‘পজেটিভ’ অলীক স্বপ্নে ভাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

‘ইংলিশ’ ওর গুলে খাওয়া, ওটাই ‘ফাস্ট’ ল্যাঙ্গুয়েজ
হিন্দি সেকেন্ড, সত্যি বলছি, হিন্দিতে ওর দারুণ তেজ।
কী লাভ বলুন বাংলা প’ড়ে?
বিমান ছেড়ে ঠেলায় চড়ে?
বেঙ্গলি ‘থার্ড ল্যাঙ্গুয়েজ’ তাই, তেমন ভালোবাসে না
জানে দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

বাংলা আবার ভাষা নাকি, নেই কোনও ‘চার্ম’ বেঙ্গলিতে
সহজ-সরল এই কথাটা লজ্জা কীসের মেনে নিতে?
ইংলিশ ভেরি ফ্যান্টাসটিক
হিন্দি সুইট সায়েন্টিফিক
বেঙ্গলি ইজ গ্ল্যামারলেস, ওর ‘প্লেস’ এদের পাশে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

বাংলা যেন কেমন-কেমন, খুউব দুর্বল প্যানপ্যানে
শুনলে বেশি গা জ্ব’লে যায়, একঘেয়ে আর ঘ্যানঘ্যানে।
কীসের গরব? কীসের আশা?
আর চলে না বাংলা ভাষা
কবে যেন হয় ‘বেঙ্গলি ডে’, ফেব্রুয়ারি মাসে না?
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

ইংলিশ বেশ বোমবাস্টিং শব্দে ঠাসা দারুণ ভাষা
বেঙ্গলি ইজ ডিসগাস্টিং, ডিসগাস্টিং সর্বনাশা।
এই ভাষাতে দিবানিশি
হয় শুধু ভাই ‘পি.এন.পি.সি’
এই ভাষা তাই হলেও দিশি, সবাই ভালোবাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসেনা।

বাংলা ভাষা নিয়েই নাকি এংলা-প্যাংলা সবাই মুগ্ধ
বাংলা যাদের মাতৃভাষা, বাংলা যাদের মাতৃদুগ্ধ
মায়ের দুধের বড়ই অভাব
কৌটোর দুধ খাওয়াই স্বভাব
ওই দুধে তেজ-তাকত হয় না, বাংলাও তাই হাসে না

জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসেনা।
বিদেশে কী বাংলা চলে? কেউ বোঝে না বাংলা কথা
বাংলা নিয়ে বড়াই করার চেয়েও ভালো নিরবতা।
আজ ইংলিশ বিশ্বভাষা
বাংলা ফিনিশ, নিঃস্ব আশা
বাংলা নিয়ে আজকাল কেউ সুখের স্বর্গে ভাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসেনা।

শেক্সপীয়র, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, শেলী বা কীটস বা বায়রন
ভাষা ওদের কী বলিষ্ঠ, শক্ত-সবল যেন আয়রন
কাজী নজরুল- রবীন্দ্রনাথ
ওদের কাছে তুচ্ছ নেহাত
মাইকেল হেরে বাংলায় ফেরে, আবেগে-উচছ্বাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসেনা।
- সংগৃহীত

৫৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫১

মানবী বলেছেন: কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের কটাক্ষ ভালো লেগেছে।
শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।

দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বাংলাভাষা আজ নিজের দেশেই অগ্রহনযোগ্য।
স্পষ্ট ও শুদ্ধ উচ্চারনের বাংলা অনেক ক্ষেত্রেই সেকেলে হিসেবে বিবেচিত.... আবারও বলতে হয় হতভাগ্য কনফিউজড নতুন প্রজন্মের কথা।

অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৫৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কি চমৎকার পরিশুদ্ধ চিন্তা আপনার, সবাই যদি এভাবে ভাবত আপু!

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

মানবী বলেছেন: ‌এমন ভাবনা আপনার ঔদার্য্যমাত্র প্রিয় রেজওয়ানা আলী তনিমা। আমার ভাবনা ও লেখা খুব সাধারন।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.