![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুয়োরের বাচ্চাটাও তার মাকে ভালোবাসে। তাই বলে তার মা মহান কিছু হয়ে যায় না। তবে অবশ্যই তার মা তার কাছে মহান। কিন্তু অন্ধ ভালোবাসার বাইরের পৃথিবীর কাছে তাকে ইতর-প্রাণীই মানা হয়। তেমনিভাবে আমরাও কাওকে কাওকে এতোটাই ভালবেসে ফেলি যে, তাকে মহান বলে জানি। কিন্তু এই অন্ধ ভালোবাসার বাইরের পৃথিবীর কাছে তাকেও ইতর-শ্রেণীর প্রাণী মানা হয়। আসলে আমরা প্রত্যেকেই একটা নির্দিষ্ট অবস্থান থেকে সেই শুয়োরের বাচ্চাটার মতন। তবুও আমরা সকল সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। আমাদের কাছে পরিচিত অসভ্য প্রাণীর মধ্যেও হয়তো এইরূপ দাবিদার আছে, যারা শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। "হয়তো" শব্দটার প্রয়োগ এ জন্য করলাম যে, সেসব প্রাণীর উদাহরণ কিংবা প্রমাণ আমাদের পক্ষে দেওয়া এখনো অসম্ভব। কারণ, তাদের ভাষা বুঝবার সামর্থ্য এখনো আমাদের অর্জিত হয়নি।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০০
মোড়ল সাহেব বলেছেন: খুবই ভালো বলেছেন ডক্টর সাহেব। অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল শ্রদ্ধেয়জন
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সামুতে স্বাগতম ।
সকলের মা -ই সকলের কাছে মহান ।
মহান কখনো তথাকথিত হয়না , আর তথাকথিত হলে সে আর মহান থাকেনা,
অনেক সময় সে সাধারণ থেকেও নীচে নেমে যায় । এটা নীজ নীজ কর্মফল
সম্পর্কে অন্যদের ভেল্যু জাজমেন্টের উপর নির্ভর করে ।
যাহোক , শুকরের সাথে তার বাচ্চারা দলে দলে লাফিয়ে লাফিয়ে কেমন
সুন্দরভাবে যে চলে তা দেখলে সকলে বুঝতে পারত এরা কত সুন্দর ।
আমাদের মধ্যে এখনো অনেকে শুকরকে অনেকটা অবজ্ঞার চোখে দেখে ।
এর মাংসে চর্বীর পরিমান বেশী বলে এর মাংসা না খাওয়ার জন্য বলা হয়েছে ।
এটা বাদে শুকর বেশ উপকারী প্রাণী ।
মনে পরে ছোটকালে আআমাদের দেশে তখনো যযান্ত্রিক সেচ আবাদ শুরু হয়নি ।
সে সময় আমাদের এলাকায় প্রচুর পতিত জমি ছিল । সে সকল পতিত উচু জমিতে
প্রচুর পরিমানে কচুগাছ জন্মিত , এগুলি তখন আগাছা হিসাবেই গন্য ছিল ।
জমি থেকে কচুগাছ উপরে ফেলার জন্য তখন খবর দেয়া হতো এলাকার শুকর পালকদেরকে ।
খবর পেলে শুকর পালকগন ( উল্লেখ্য শুকর পালকগন এলাকায় গিধর নামে অভিহিত হত )
তাদের পালে থাকা বাচ্চা কাচ্চা সহ প্রায় হাজার খানেক শুকর নিয়ে হাজির হতো
আমাদের জমিতে কচুক্ষেতে । আমরা দল বেদে দেখতাম শুকরেরা মহুর্তেই একরের
পর একর জমিতে জন্ম নেয়া কচু খেয়ে সাবার করেছে ।
শুকরের শ্বাস খুবই শক্তিশালী । শুকর কচু ক্ষেতের সব কচু শেকরসুদ্ধ খেয়ে
যাওয়ার পরে মনে হতো জমিতে যেন ট্রাক্টর দিয়ে গভীর করে চাষ দেয়া হয়েছে।
শুকরের চাষকৃত জমিতে পরে অন্য ফসল লাগালে ভাল ফলন দিত ।
অথচ নিয়তির কি পরিহাস , এই অতি উপকারী প্রাণীটির নাম ধরেই অনেকের উপর বর্ষন করা হয় অশ্রাব্য গালিগালাজ।
আর এই প্রাণীটিকে করা হয় আবজ্ঞা ও এর পালকদেরকে অভিহিত করা হয় গিধর ( নোংরা) নামে ।
সকলের মাঝে শুভ বোধের উদয় হোক এ কামনা করি ।
একে নিয়ে দেয়া পোষ্টটি বিবিধ দৃষ্টিকোন হতে ভালই লেগেছে ।
ব্লগিং শুভ হোক এ কামনা রইল