নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ খোদা নয়, তবে খোদা হতে জুদাও নয়

নিজেকে চিনাই ধর্ম। সবার জন্য এই লেখা নয়। শুধু মাত্র চিন্তাশীল ব্যক্তিদের জন্য। বানান গত ভুল থাকতে পারে।কাউকে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা আমার উদ্দেশ্য নয়।যাদের ধর্ম নিয়ে বাতিক আছে, যারা সব বুঝে ফেলেছি বলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে দিয়েছে,বিশেষ করে যাদের আল্লাহ সা

ঝড়১২৩

নিজেকে চিনাই ধর্ম। সবার জন্য এই লেখা নয়। শুধু মাত্র চিন্তাশীল ব্যক্তিদের জন্য। বানান গত ভুল থাকতে পারে।কাউকে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা আমার উদ্দেশ্য নয়।যাদের ধর্ম নিয়ে বাতিক আছে, যারা সব বুঝে ফেলেছি বলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে দিয়েছে,বিশেষ করে যাদের আল্লাহ সাত আসমানের উপরে থাকে এবং আল্লাহকে মানুষের ভিতরে কল্পনা করার সৎ সাহস নাই তারা দয়া করে আমার পোষ্ট পড়বেননা।

ঝড়১২৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোহাম্মদ (সাঃ) মাওলা আলী (আঃ) কেই তাঁর প্রতিনীধী করে গিয়েছিলেনঃ (পর্ব-১)

০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:০৮

যদিও ইতিহাস থেকে এ ঘটনা, এ সত্য প্রায় বিলুপ্ত করে দেয়া হয়েছে প্রথম হতেই। এখন যেই ঘটনা বলব, বেশিরভাগ মানুষের কাছেই নতুন মনে হবে। মানুষকে সত্য জানতে দেয়া হয়নি। এসকল কিছু এক এক করে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। যেহেতু ইতিহাস মুলক লেখা তাই একটু বড় হবে। বিশেষ করে মোল্লাদের হাজার রেফারেন্স দেয়া লাগে। এর কারনে সুন্দর গল্পের মত করে লিখতে পারিনি। আবার আমি লেখকও নই তাই হয়ত সেইরুপ শ্রুতিমধুর হয়নি। কষ্ট করে পরতে হতে পারে, তার জন্য বিজ্ঞ পাঠকের নিকট ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এক কথায় এই পুরা লেখা হলোঃ মাওলা আলী(আঃ) নিযুক্ত হয়েছিল প্রথম খলিফা, তথা নবী (সাঃ) পরবর্তী স্থলাভিষীক্ত, প্রতিনীধী, পরবর্তি খলিফা, মুমীনের প্রভু হিসাবে। কখন কিভাবে তার আলোচনা করা হয়েছে।

প্রাথমিক আলোচনাঃ

কোরানুল করিমে আল্লাহ পাক বলেছেনঃ “কুল্‌লা আছ আলুকুম আলাইহি ...লাহু ফীহা হুছনা” অর্থাৎ বলে দিন ( হে প্রিয় রসুল) আমি চাইনা তোমাদের কাছে এই বিষয় (নবুয়ত) কোন পারিশ্রমিক আমার নিকটবর্তীগণের (আহলে বায়াত) মা-আদ্দাতা (ভালোবাসা) ব্যতিত। যে ব্যক্তি ইহার (এই আদেশের) সদ্ব্য ব্যবহার করে আমি (আল্লাহ) তার জন্য শ্রীবৃদ্ধি (বরকত) করে থাকি (সুরা শুরাঃ ২৩)। উক্ত আয়াতের দ্বারা আল্লাহ পাক আহলে বায়াত এর প্রতি মোহব্বত উম্মতে মোহাম্মদী (সঃ) এর জন্য ওয়াজিব করে দিয়েছেন। সাহাবাগন উক্ত আয়াত নাজিল হওয়ার পর রসুলুল্লাহ (সাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলেনঃ “ইয়া রসুলুল্লাহ (সাঃ) কারা আপনার নিকটবর্তি জন, যাদের উপরে আল্লাহ ভালোবাসা উত্তম করে দিয়েছেন? উত্তরে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ আলী, ফাতেমা, হাসান, হুসাইন” হলো আমার নিকটবর্তী জন। উক্ত আয়াতকে বলা হয় “আয়াতে মা’আদ্দাত” বা প্রানাধিকার ভালোবাসার নিদর্শন। কোরানুল কারিমে সুরা আল ইমরানের ৬১ নং আয়াতটিকে বলা হয় “আয়াতে মুবাহীলা” বা চ্যালেঞ্জ নিদর্শন। এ আয়াতের শানে নজুল হলো হযরত জাবের (রাঃ) হতে ধারাবাহিকভাবে, শাবী, দাউদ ইবনে মাক্কী, সোলায়মান ইবনে দীনার, বাশার ইবনে মিহরান, আহামদ ইবনে দাউদ মক্কী, সোলায়মান ইবনে আহমদ আবু বকর ইবনে মুরদিয়া (রাঃ) বর্ননা করেছেন, একদা আবিদ ও সাঈদ রসু্লুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে গিয়ে তাদের সাথে মুবাহীলা (চ্যলেঞ্জ) করার জন্য আহবান করলো। এরে রসুল করিম (সাঃ) বাধ্য হয়ে তাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহন করলেন। পরদিন রসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর আহলে বাইয়েত তথা মাওলা আলী, মা ফাতেমাতুজ্জাহরা, ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন (আঃ) কে সাথে নিয়ে মুবাহীলার জন্য বের হলেন। কিন্তু খৃষ্টানদেরকে মুবাহীলা করার জন্য খবর দিলে তারা ভীত হয়ে তারা মুবাহীলার জন্য অস্বীকৃতি জানায়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নাজিল হয় আয়াতে মুবাহীলা। আয়াতটি হলোঃ “ফা কুল তা আ-লাউ নাদউ...আলাল্ কাজেবীনা” অর্থাৎ সুতরাং তুমি বল, এসো! আমরা ডাকি আমাদের সন্তানদেরকে এবং তোমাদের সন্তানদেরসকে এবং আমাদের নারীদেরকে এবং তোমাদের নারীদেরকে এবং আমাদের নফসকে এবং তোমাদের নফসকে, অতঃপর আমরা শপথ পাঠ করি, মিথ্যুকদের উপর আল্লাহর লা’নত বর্ষিত হোক”। “তফসীরে ইবনে কাসীর” ২য় খন্ডের ৪৭৭ পৃষ্ঠায় এবং “ তফসীরে মাজহারী” ৯ম খন্ডের ৪৯২-৯৩ পৃষ্ঠায় বর্নিত আছে, উক্ত আয়াতে মুবাহীলার বিষয়ে হযরত জাবের (রাঃ) বলেনঃ উক্ত আয়াতে মুবাহীলায়-

“আনফুসানা” শব্দ দ্বারা রসুল (সাঃ) ও মাওলা (আঃ)-কে

“অনিছা আনা” শব্দ দ্বারা মা ফাতেমাতুজ্জাহরাকে এবং

“ওয়া আবনা আনা” শব্দ দ্বারা ইমাম হাসান ও হোসাইন (আঃ)-কে বোঝানো হয়েছে।



আসল কথায় ফিরে আসিঃ

রসুলুল্লাহ (আ) জীবনে একবার মাত্র হজ্ব পালন করেছিলেন। মক্কা শহরকে চির বিদায় জ্ঞাপন করে তিনি জন্মস্থান ত্যাগ করলেন। এই জন্য ইহাকে বিদায় হজ্ব বলা হয় এবং তাঁর দেওয়া এই ভাষনকে “বিদায় ভাষন” বলা হয়, যেহেতু ইহা ছিল জন্মভূমির প্রতি শেষ ভাষন।



মক্কায় অবস্থিত সকলকে বিদায় সম্ভাষণ করে নিজে এহরামের পোশাক না ছেড়েই মদীনার পথে রওনা হলেন। প্রায় সোয়া লক্ষ লোক তাঁর সহযাত্রী ছিলেন।



পথে ১৮ই জিলহজ্ব তারিখে শনিবার দিন জোহর এবং আছরের নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে মক্কা ও মদীনার মধ্যবর্তী “জুফায়” যখন তিনি ‘গাদিরে খুম’ নামক জায়গায় উপস্থিত হলেন তখন এই আয়াত নাজেল হইলঃ-



হে রসুল, আপনার রব হইতে যাহা নাজেল করা হয়েছে তা পোউছাইয়া দেন। আর যদি তা না করেন তা হলে তাঁর (আল্লাহর) রেসালাত পৌছাইয়া দেওয়া হল না। আল্লাহ আপনাকে মানব মন্ডলী হতে লইয়া আসবেন। নিশ্চয় আল্লাহ কাফের দলকে হেদায়েত করেন না (সুরা মায়েদাঃ৬৭)। ইহা কোরানের সব শেষের আগের আয়াত। শেষ কথাটির প্রকৃত অনুবাদ হইলঃ আল্লাহ আপনাকে মনুষ্য হইতে (সরাইয়া) তাঁর সাথে লাগাইয়া লইতেছেন বা লইবেন।



“গাদির” অর্থ জলাশয়। জায়গার নাম খুম। খুমের জলাশয়ের নিকটবর্তী হইলে উক্ত আয়াত এইরুপে নাজেল হয়েছিলঃ “ইয়া আইউহার রাসুল বাল্লেগ মা উনজিলা ইলাইকা মির রাব্বেকা আন্না আলীউন মাওলাল মোমেনীন। অইন লাম্‌ তাফআল ফালা বাল্‌লাগতা রেসালাহু। আল্লাহু ইয়া, সেমুকা মিনান নাস”।



ইহা হতে “আন্না আলীউন মাওলাল মোমেনীন” কথাটি কোরান হতে বাদ দেয়া হয়েছিল ওসমানের (র) প্রকাশনা হতে। মুসা নবীর সঙ্গে যেমন হারুনের নাম কোরানে উল্লেখ করা হয়েছে, সেইরুপে আলী (আ) নামও কোরানে কয়েকবার ছিল। ( ইবনে আবি হাতেম বর্ননা করেছেন, আবু সাঈদ খুদরী হতে উক্ত আয়াত হযরত আলীর শানে নাজেল হয়েছে। ইবনে মারদুইয়া ইবনে ওমর হতে বর্ননা করেন যে, আমরা উক্ত আয়াত রসুলের (আ) এর সামনে এইভাবে পড়তামঃ তফসীরে দোররে মনসুর; মোল্লা জালালউদ্দিন শিউতী; ২য় খন্ড, মিশর থেকে প্রকাশিত)



[ উক্ত আয়াতের সমর্থনে হাদিস দু’টো হলো “মান কুন্তুম মাওলাহু ফাহাজা আলীউন মাওলাহু (বোখারী, মেশকাত)”। হযরত রাসুল (সাঃ) যে হযরত আলী (আঃ) কে হারুন নবীর সাথে তুলনা করেছেন তার প্রমাণ বোখারী ২য় খন্ড ১৯৪ পৃষ্ঠায় এবং ৩য় খন্ডে ৫২৬ পৃষ্ঠায় এবং ইবনে হিসাম ২৭৭ পৃষ্ঠায়। সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্নিত আছে যে, রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ হে আলী, তুমি আমার নিকট ঐ স্থানে আছো যেখানে মুসার নিকট হারুন ছিল। কিন্তু আমি ব্যতীত নবী নেই আমি শেষ নবী। যদিও আরও অনেক প্রমাণ রয়েছে তবে আমি মনে করি জ্ঞানীদের জন্য এই দুটোই যথেষ্ট। ]



কিন্তু কথা হলো দীর্ঘ ২৩ বছর ইসলাম প্রচারের পরে, এত দুঃখ-কষ্ট সহ্য, যুদ্ধ-যন্ত্রনা সহ্য করার পরেও এমন কি জিনিস বাদ রয়ে গেল? যার জন্য রেসালাতই পুর্ন হবে না বলে আল্লাহ ঘোষনা করলেন?

এই আয়াত নাজেল হওয়ার সাথে সাথে রসুল পাক সেখানেই থামিয়া গেলেন এবং বাহন থেকে নেমে গেলেন। সবাইকে একত্র করলেন। সেখানকার “আকাশিয়া” নামক কাটা গাছগুলো পরিষ্কার করে ফেলা হলো। জোহরের নামাজ শেষে উটের গদিগুলো দিয়ে বেদী বা মঞ্চ করা হলো। যেহেতু দিনটি ছিল প্রচন্ড গরমের, সেহেতু বাবলা গাছের সাথে চাদর টানিয়ে রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্য ছায়ার ব্যবস্থা করা হলো। তারপর তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও পবিত্রতা বর্ননা করলেন। আর বললেনঃ



“ নিশ্চয় আমি তোমাদের মধ্যে দুটি জিনিস আমানত রেখে যাচ্ছি, যদি এ দু’টিকে আঁকড়ে ধর তাহলে কখনো গোমড়াহ হবেনা। তার একটি হলো আল্লাহর কেতাব-যা আসমান হতে জমিন পর্যন্ত প্রসারিত রজ্জু এওবং অন্যটি হল আমার আহলে বায়াত। এ দুটি কখনো পরষ্পর বিচ্ছিন্ন হনে এবং এ অবস্থায়ই হাউজে কাউসার আমার সাথে মিলিত হবে। তাই লক্ষ্য রেখ তাদের সাথে তোমরা কিরুপ আচরন করবে” (তিরমিযী)



অন্য বর্ননায় উক্ত হাদিসের শেষে এ কথাটি রয়েছে যে, “আমি আমার আহলে বাইয়েত সম্পর্কে তোমাদেরকে আল্লাহর কথা স্মরণ করে দিচ্ছি”- এ কথাটি রাসুল (সাঃ) তিনবার করে বলেছিলেন। এ হাদিসটি তিরমিযী সুত্রে মেশকাতের ৫৮৯২ এবং ৫৮৯৩ নং হাদিসে সহী সুত্রে বর্নিত আছে হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) হতে এবং মুত্তাকী হিন্দী তাঁর “কানজুল উম্মাল” গ্রন্থে বর্ননা করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “আমি তোমাদেরকে অবশ্যই দুটি জিনিস নিয়ে জিজ্ঞাসা করব। আর তাহলো-কোরান ও আমার আহলে বায়াত। (আরবাইনাল আরবাইন এবং আল্লামা সিউতীর “ইহয়াউল মাইয়্যেত”)



তারপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মিম্বরে দাঁড়িয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বললেনঃ “আলাস্ত আওলা বেকুম মিন আনফুসিকুম” অর্থাৎ আমি কি তোমাদের আপন জীবন হতে অধিক প্রিয় নই? সবাই বললেনঃ “কালু বালা”-হ্যা ইয়া রসুলুল্লাহ(সাঃ)। সমবেত জনমন্ডলী হতে তিনবার এই সম্মতি নিবার পর রসুলুল্লাহ (সাঃ) হযরত আলী (আঃ) এর দু’বাহু সমবেত জনমন্ডলীর সামনে তুলে ধরলেন আর বললেনঃ



“মান কুন্তুম মাওলাহু ফাহাজাআলিউন মাওলাহু আল্লাহুম্মা ওয়ালে মান ওয়ালাহু, আদামান আদাহু, অন্সুর মান নাসারা অখ্‌জুল মান্‌ খাজালা, ফাল ইয়াছ হাদিল হাজেরুন খায়েরা”।

অর্থাৎ আমি যার মাওলা আলীও তার মাওলা। হে আল্লাহ! তুমি তাকে বন্ধু রুপে গ্রহণ কর যে তাকে বন্ধু রুপে গ্রহন করে, তাকে শত্রু রুপে গ্রহন কর যে তার সাথে শত্রুতা করে, এবং তাকে সাহায্য কর যে সাহায্য করে, এবং লাঞ্ছনা দাও তাকে যে লাঞ্ছনা দেয়।



এ হাদীসটি-“আহমদ” সূত্রে “মেশকাতের” ১৫৭ পৃষ্ঠায় ৫৮৪৪ নং হাদিসে বর্নিত আছে, হযরত বারা ইবনে আযেব ও যায়েদ ইবনে আরকাম (রাঃ) হতে। এ – হাদীসটির শেষে বর্ননাকারী বলেনঃ এরপর যখন হযরত আলী (আঃ) এর সাথে হযরত ওমর (রাঃ) এর সাক্ষাত হয়, তখন তিনি আলী (আঃ)-কে বললেনঃ

“ধন্যবাদ হে আবু তালিব পুত্র! তুমি সর্বময় প্রতিটি নারী-পুরুষের প্রশংসিত হয়ে রইল”।

“রেসালাত” মানে প্রতিনিধিত্ব। হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহপাকের প্রতিনিধি এবং তাঁর বিদায়ের পুর্বে হযরত আলী (আঃ) –কে তাঁর প্রতিনিধি করে যাবেন এ-ই ছিল আল্লাহ পাকের নির্দেশ। সদর উদ্দিন চিশতী সাহেব তাঁর “মাওলার অভিষেক” বইয়ের ১২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেনঃ “আলী (আঃ)-কে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করার উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিনিধি হিসাবে আলী (আঃ)-কে জনমন্ডলীতে রসুল (সাঃ) এর পরে তাঁর স্থলাবিষিক্ত করার নির্দেশক সংবাদ নাজিল করা হয়েছিল এর কিছুকাল আগেই। তবে তিনি তা পরে সবার সামনে উপযুক্ত পরিবেশে প্রকাশ করলেন কেননা তিনি ভাল করেই জানতেন হযরত আলী (আঃ) এর এ মাওলাইয়াত বা প্রতিনিধিত্ব হিংসার বশবর্তী হয়ে লোকেরা অস্বীকার করবে এবং আলী (আঃ) এর বংশধরের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলতে থাকবে যার ফলে ধর্ম বিনষ্ট হয়ে যাবে। তাই তিনি গাদীরে খুম নামক জায়গায় এসে জনসম্মুখে ইহা প্রকাশ করলেন; ইহার গুরুত্ব সবাইকে বোঝাবার জন্যই তিনি মক্কা থেকে ফেরার পথে “এহরাম বস্ত্র” পরিহিত অবস্থায় রওনা দিয়েছিলেন।



“গাদিরে খুমের” হাদিসটি “প্রতিনিধিত্ব” অর্থে প্রযোজ্য এবং এর পরেই উপস্থিত জনগন প্রতিনিধিত্ব স্বীকার করে বায়াত গ্রহন করেন। এ হাদিসটি “তাবরানী” ইবনে জরীর, হাকীম, তিরমিযী সবাই জায়েদ ইবনে আরকাম (রাঃ) হতে ঠিক এভাবেই হাদিসটির বিশুদ্ধতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এমনকি ইবনে হাজর তাঁর “সাওয়ায়েক” গ্রন্থের পঞ্চম পর্বের প্রথম অধ্যায়ের ২৫ পৃষ্ঠায় বর্ননা করে সহীহ হবার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। সামান্য বর্ননার ভিন্নতার মাধ্যমে গাদিরে খুমের ঘটনাটি “মুসনদে আহমদ, খাসায়েসুল আলাভীয়া” কিতাবেও বর্ননা করেছেন সহীহ্‌ হিসাবে। ঐতিহাসিক এ হাদিসটি কমপক্ষে ১১০ জন সাহাবা, ৮৪ জন তাবেঈন, ৩৫৫ জন উলামা, ২৫ জন ঐতিহাসিক, ২৭ জন সংগ্রাহক, ১১ জন ফিকাহ্‌বিদ, ১৮ জন ধর্মতাত্ত্বিক ও ৫জন ভাষাতাত্ত্বিক কতৃক বর্নিত হয়েছে।



কিছু কিছু লেখক “গাদিরে খুমের” সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকেন, তাদের অজ্ঞতা এবং উত্তরাধিকার সুত্রে প্রাপ্ত প্রতিহিংসা হলো এর প্রধান কারণ। ইনারা মুনাফিক মুয়াবীয়া-ইয়াজিদ ও তাদের অনুসরণকারী মোল্লা মৌলবীদের ছিলছিলার প্রেতাত্বা বহন কারী কট্টর মৌলবাদ মুনাফিক। এজন্য তাদের কারো দ্বারা রচিত রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবনী কোন গ্রন্থে “গাদিরে খুমের” এ ঐতিহাসিক ঘটোনাটি পাওয়া যাবেনা। গাদিরে খুমের হাদিসটি – আল্লামা আল আমিনী তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ “আল গাদিরে” পুর্নতথ্যসহ বর্ননা করেছেন। এর জন্যই তিনি মৌলবাদী খারেজীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিলেন। তবে যারা আল্লাহর রসুল (সাঃ) ও তাঁর প্রতিনীধি মাওলা আলী (আঃ)-কে মনে প্রানে মেনে নিতে পারেনি তারাই এই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। অথচ আল্লাহ বলেন নবী (সাঃ) কোন কাজ করেননা, কোন কথা বলেনা যতসময় না তাঁর আদেশ না আসে।

আল্লামা সৈয়দ সাঈদ আখতার রিজভী রচিত “ইমামত” বইয়ের ৩৭ পৃষ্ঠায় উক্ত গাদিরে খুমের ঘটনা ও হাদিস বর্ননাকারীগণের একটী তালিকা পেশ করেছেন তা দেখে নেয়া যেতে পারে।

গাদিরে খুমের ঘটনার একটি প্রমান হলো, ইমাম আহমদ তাঁর “মুসনদ” গ্রন্থে রিয়াহ ইবনে হারিস হতে দুটি সূত্রে বর্ননা করেছেনঃ

একদল লোক হযরত আলী (আঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, হে আমাদের মাওলা ! আপনার উপর ছালাম। হযরত আলী (আঃ) তাদেরকে প্রশ্ন করলেন তোমরা কারা? তারা বললঃ- হে আমিরুল মুমেনীন ! আমরা আপনার অনুগত ব্যক্তি। হযরত আলী (আঃ) বললেনঃ- আমি তোমাদের মাওলা কিরুপে হইলাম, তোমরাতো আরব! তারা বলল গাদিরের দিনে আমরা রসুল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি- “আমি যার মাওলা এ আলীও তাঁর মাওলা”।



রিয়াহ বলেন, যখন তারা ফিরে যাচ্ছিল তখন আমি তাদের অনুসরণ করলাম এবং তাদের প্রশ্ন করলাম, আপনার কারা? তারা বলল, আমরা মদীনার আনসার। তাদের মধ্যে আবু আইয়ুব আনসারীও ছিলেন।



হাদিসটি মুতাওয়াতির হবার পক্ষে অপর দলিল হলো এ হাদিস আবু ইসহাক সালবী তাঁর তাফসীর গ্রন্থে সুরা মাআরিজের তফসীরে দুটি নির্ভরযোগ্য সুত্রে বর্ননা করেছেন। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাঃ) গাদিরের দিনে যখন জনগণকে সমবেত করে হযরত আলী (আঃ) এর হাত ধরে ঘোষনা করলেনঃ “মান কুন্তুম মাওলাহু ফাহাজা আলীউন মাওলাহু” – এ খবরটি তখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল। হারিস ইবনে নোমান ফিহরি তা শুনে উটে আরোহন করে রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট এসে উটটি বেধে রাসুল (সাঃ) কে লক্ষ্য করে বললেনঃ হে মোহাম্মদ! তুমি একদিন নির্দেশ দিয়েছিলে এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করতে এবং তোমাকে তাঁর নবী হিসাবে স্বীকার করতে, আমরা তা করেছি। পরবর্তীতে বললে, দিনে পাঁচবার নামাজ পড়তে তাও করলাম, যাকাত দাও- তাও দিলাম। পরে রমজান মাসে রোজার নির্দেশ দিলে তাও শুনলাম এবং হজ্জ্ব করার নির্দেশও পালন করলাম। এতো কিছুতেও তোমার সন্তুষ্টি হলো না, অবশেষে তোমার চাচাত ভাইয়ের হাত ধরে তাকে আমাদের উপর শ্রেষ্ট বলে ঘোষনা দিলে, “ আমি যার মাওলা, আলীও তার মাওলা”? – এ কথাটি কি তোমার নিজের পক্ষ থেকে নাকি আল্লাহর পক্ষ থেকে? নবী (সাঃ) বললেনঃ যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নাই সেই আল্লাহর শপথ করে বলছি, ইহা আল্লাহর পক্ষ হতে। হারিস তার বাহনের দিকে ফিরে যেতে যেতে বললো, হে আল্লাহ ! মোহাম্মদ যা বলেছে তা যদি সত্য হয় তবে আমাদের উপর আসমান হতে পাথর বর্ষণ করুন অথবা আযাব প্রেরন করুন। তখনো সে বাহনের নিকট পৌছায়নি, আকাশ থেকে একটি ছোট পাথর তার মাথায় এসে পড়ল এবং পায়খানার রাস্তা দিয়ে বের হয়ে গেল এবং সেখানেই সে মারা গেল। এ ঘটনাটি মাওলানা ফারমান আলী স্বীয় তফসীরে সুরা মা’আরিজের ১-৩ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেছেন। এবং আরো বহু কিতাবে এর ঘটনাটি বিশ্বস্থ সুত্রে বর্নিত আছে। আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের একদল হাদিসবেত্তা এ হাদিসটি বীনা বাক্যে গ্রহন করেছেন। যেমন – আল্লামা শাবলানজী মিশরী হতে তাঁর “নুরুল আবসার” গ্রন্থের ১১ পৃষ্ঠায় হযরত আলী (আঃ) এর জীবনীতে হাদিসটি সহীহ সুত্রে বর্ননা করেছেন। হালাবী তাঁর “সীরাহ” গ্রন্থের ৩য় খন্ডের ২১৪ পৃষ্ঠায় বিদায় হজ্জ্বের আলোচনায় হাদিসটি বর্ননা করেছেন এবং “আল মুরাজায়াত” কিতাবের ২৩৬ পৃষ্ঠায় এ হাদিস উল্লেখ আছে এবং ২৪২ পৃষ্ঠায় ঘটনা উল্লেখ আছে।

একদল নির্বোধ কট্টর মৌলবাদী খারেজীগণ বুঝাতে চেষ্টা করেন যে, রাসুল (সাঃ) তাঁর চাচাত ভাই আলী (আঃ)-কে যখন ইয়ামেনে প্রেরণ করেন তখন হযরত আলী (আঃ) এর বিরুদ্ধে একদল নিন্দুকেরা রাসুল রাসুল (সাঃ) এর কাছে অভিযোগ করেছিল। তাই নবী (সাঃ) , আলী (আঃ) সন্তুষ্টি করতে গাদিরে খুম নামক স্থানে এ হাদিসটি প্রকাশ করেন। বাস্তবে আজকেও আমার সামনে একজন এই কথা বলে বসলেনঃ “ আরে ভাই আলী তার চাচাতো ভাই তাই ...আমরাও যেমন আমাদের ছেলে মেয়ে ভাই বোনকে খুশি করতে বলে থাকি অনেক কিছু...সেইরকম তিনিও করেছেন। কিতু গর্ধবের দল এটূকু বুঝেনা, সামান্য খুশি করাবার জন্যে আল্লাহ তায়ালা একটা আয়াত নাজিল করবেন না, নবী (সাঃ) ও এত বড় অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নিবেন না। আসলে কান্ডজ্ঞানহীন সাইনবোর্ডধারী খারেজী তাদের স্বার্থাম্বেষী, পরশ্রীকাতর মুনাফিকির দ্বারা সত্য বিষয়টিকে ধামাচাপা দিয়ে যাচ্ছে যুগে যুগে।

হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেনঃ আমি আলী হতে, আলী আমা হতে। এ হাদিসটি সুনান লেখকদের মধ্যে নাসায়ী তাঁর “খাসায়েসুল আলাভীয়া” গ্রন্থে, আহমদ ইবনে হাম্বল তাঁর “মুসনাদের” ৪র্থ খন্ডে, হাকীম নিশাবুরী তাঁর “মুসতাদরাক” গ্রন্থের ৩য় খন্ডে, যাহাবী তাঁর “তালখিসে মুসতাদরাখ” গ্রন্থে বর্ননা করে বলেছেন যে, মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদিসটি সহীহ্‌। মুত্তাকী হিন্দী তাঁর “কানজুল উম্মাল” ৬ষ্ঠ খন্ডে ইবনে আবি শাউবাহ ও ইবনে জারীর হতে বর্ননা করেছেন এবং সহীহ বলে স্বীকার করেছেন।

হযরত ওমর (রাঃ) বায়াত গ্রহন করতে গিয়ে বললেনঃ ধন্যবাদ ধন্যবাদ হে আবু তালিবের পুত্র ! তুমি আজ হতে সকাল সন্ধ্যা মানে সর্বসময় প্রতিটি মুমীন নর-নারীর নিকট প্রশংসিত হয়ে রইলে। এ ঘটনাটি মেশকাতে ৫৮৪৪ নং হাদিসে বর্নিত আছে।



বায়াত সমাপ্ত শেষ হলে তখন কোরানের সর্বশেষ আয়াত নাজিল হয়ঃ

“ আল ইয়াওমা ইয়া ইসাল্লাযীনা...ইসলামা দ্বীনা (সুরা মায়েদাঃ ৩)”।

অর্থাৎ “আজ কাফের গন তোমাদের দ্বীন হতে নিরাশ হয়ে গিয়েছে। অতএব তাদেরকে আর ভয় করিও না, ভয় কর আমাকে। আজ তোমাদের দ্বীন পরিপুর্ন করে দিলাম এবং তোমাদের উপর আমার নেয়ামত পরিপুর্নতা দান করলাম এবং তোমাদের দ্বীন ইসলামের উপর আমি রাজি হলাম”।

এই আয়াতটি কোরানে নাজিল কৃত সর্বশেশ আয়াত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হযরত আলী (আঃ)-কে তাঁর প্রতিনীধি বা স্থলাভিষিক্ত করে ইসলামের পূর্নতা ঘোষনা করলেন। আধ্যাত্নিক জ্ঞানীগণ বা ইলমে নব্বীর ওয়ারিশ যারা তারা এ কথা স্পষ্ট জানেন এবং দেখেন যে মাওলা আলী (আঃ) যে স্থানে অধিষ্টিত আছেন ইসলাম বা মানব ধর্ম ইনসানিয়াত সে স্থানে স্থিত আছে।

চলবে...



দোহার

কাদরীয়া দরবার শরীফ

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৭/-১১

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:১৭

ঝড়১২৩ বলেছেন: আরো যে সকল বইর সাহায্য নিয়েছিঃ
বেঁহুশের চৈতন্য দান- কাজী মোঃ বেনজীর হক চিশতী
মাওলার অভিষেক ও ইসলামের মত বিরোধের কারন- সদর উদ্দিন চিশতী।

২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:২১

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: "রসুলুল্লাহ (আ) জীবনে একবার মাত্র হজ্ব পালন করেছিলেন। "
ভুল। হুদায়বিয়ার সন্ধির পরের বছর অর্থাৎ সপ্তম হিজরীতে তিনি প্রথমবার হজ্জ্ব সম্পাদন করেন।

"মুনাফিক মুয়াবীয়া-ইয়াজিদ ও তাদের অনুসরণকারী মোল্লা মৌলবীদের ছিলছিলার প্রেতাত্বা বহন কারী কট্টর মৌলবাদ মুনাফিক।"
মারাত্মক বেয়াদবী। মুয়াবিয়া (রা) আল্লাহর রাসূলের(স) সাহাবী ছিলেন। তাঁর ব্যক্তিগত কিছু ভুল (ক্ষেত্রবিশেষে কিছু মারাত্মক ভুল ছিল) তাঁর সাহাবী হিসেবে মর্যাদাকে হ্রাস করে না।

আর "গাদিরে খুম" এর ঘটনা সম্পর্কে শিয়া মতাবলম্বীগণ যা বলে থাকেন, তাতে ইসলামের প্রথম তিন মহা সম্মানিত খলিফা এবং অন্য প্রায় সোয়া লক্ষ সাহাবীকে হয় ভীতু অথবা মিথ্যুক প্রমানিত হতে হয়।

কুরআনের আয়াত সংযোজন বা বিযোজনের যে মারাত্মক অভিযোগ তোলা হয়, তা মেনে নিলে, রাবী এবং সনদের উপর দাঁড়িয়ে থাকা ইসলামের মূল ভিত্তিটাই ধ্বসে পড়ে।

আর লেখা এত অগোছালোভাবে লিখেন যে কী বলতে চাইছেন, তার পাঠোদ্ধারে গলদগঘর্ম হতে হয়। ভাগ্য ভাল যে, আপনার দেয়া রেফারেন্সের দুই একটা বই পড়ার সৌভাগ্য/দূর্ভাগ্য আগেই হয়েছিল।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৫৫

ঝড়১২৩ বলেছেন: "রসুলুল্লাহ (আ) জীবনে একবার মাত্র হজ্ব পালন করেছিলেন। "
ভুল। হুদায়বিয়ার সন্ধির পরের বছর অর্থাৎ সপ্তম হিজরীতে তিনি প্রথমবার হজ্জ্ব সম্পাদন করেন। -
এ বিষয় পরিপুর্ন জানিয়া উত্তর দিব। তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

কুরআনের আয়াত সংযোজন বা বিযোজনের যে মারাত্মক অভিযোগ তোলা হয়, তা মেনে নিলে, রাবী এবং সনদের উপর দাঁড়িয়ে থাকা ইসলামের মূল ভিত্তিটাই ধ্বসে পড়ে। - সেই ধ্বসে পড়া ইসলামের উপরেই আমরা সবাই দাড়িয়ে, সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে নিজেদের মুসলমান মুসলমান বলে চিৎকার চেচামেচী করছি। নিজেদের আলেম মনে করছি। কিন্তু ভিতরে একদম ফাকা। তার সব থেকে বড় প্রমাণ হল আপনার পরবর্তী কথাই। একদম চাক্ষুস প্রমান। কেমন বেমানান মুসলমান, অথচ নিজেকে কত বড় মনে করে বসে আছি তার উৎকৃষ্ট প্রমান।

মুয়াবিয়া (রা) আল্লাহর রাসূলের(স) সাহাবী ছিলেন। তাঁর ব্যক্তিগত কিছু ভুল (ক্ষেত্রবিশেষে কিছু মারাত্মক ভুল ছিল) তাঁর সাহাবী হিসেবে মর্যাদাকে হ্রাস করে না।–বাহ হাসাইলেন। নিজেই লিখেন আবার নিজেই তারে উপরে তুলেন। ঠিকি আছে, পচা খাদ্য খেতে খেতে পেট পচা প্রুফ হয়ে পড়েছে, ভালো কিছু পাতে দিলে পেটে সয় না। মোয়াবীয়ার বানানো হাদিস, ফেকাহ, কোরান এর তফসীর, অর্থ ব্যাখ্যা পড়ে আসল সাহাবাদের কিছু ভালো না লাগাই স্বাভাবিক। ঐ প্রেতাত্নার ভর ...।

আর "গাদিরে খুম" এর ঘটনা সম্পর্কে শিয়া মতাবলম্বীগণ যা বলে থাকেন, তাতে ইসলামের প্রথম তিন মহা সম্মানিত খলিফা এবং অন্য প্রায় সোয়া লক্ষ সাহাবীকে হয় ভীতু অথবা মিথ্যুক প্রমানিত হতে হয়।

সত্য তিতা হইলেও ভাই সত্য তো সত্যই। তাইনা? ইতিহাস ঘাটেন। আপনাদের মত জাননে ওয়ালারা আলী, ফাতেমা, হাসান, হোসাইন তথা নবী বংশ নিয়ে কোন কথা কইলেই বইলে বসেন শিয়া। বাহ ভালোইত। তাইলেত নবীও শিয়া হয়ে যায় দেখছি আপনাদের কথা মতে। আমি শিয়া না ভাই। জন্মসূত্রে সুন্নি। লিখছি ইতিহাস। এখানেও আপনাদের কারনে এই জাত পাত লিখতে হয়। কি আর বলব?
আর লেখা এত অগোছালোভাবে লিখেন যে কী বলতে চাইছেন, তার পাঠোদ্ধারে গলদগঘর্ম হতে হয়।
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি যে আমি সেইরুপ লেখক নই। তবে বলতে পারি।

৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৫১

আরি০০৯ বলেছেন: হালার পুত ডেখি শিয়া বড়ি গেলানোর দালালি পাইছে..........
তোর কপালে ২০০ জুতার বাড়ি আর তোর শিয়া আব্বাগ কপালে জুতা আর পাছায় আছিলা...........বা......

০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:০৮

ঝড়১২৩ বলেছেন: ভাই কি আরবীতে দোয়া পড়লেন? কিছু বুঝিনি। বাংলায় শুদ্ধ করে লেখেন।
ধন্যবাদ

৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৫৫

ফুয়াদগাজী বলেছেন: ব্লগের শিরোনাম হচ্ছে মানুষ খোদা নেহি, খোদা সে জুদা নেহি এই কথা বলাই হচ্ছে শিরক। আর আল্লাহ শিরককারীকে ক্ষমা করেন না।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৩৩

ঝড়১২৩ বলেছেন: ভাই শিরিক কি তাইত জানলেন না। আর ইহা আমার কথা না-মওলা রুমী (র) এর কথা। এখন যদি বলেন তিনিও শিরক করেছে।তাহলে ভাই আপনাকে বলার কিছু নাই। আপনেই শিরিকের ভিতর আছেন এটা নিশ্চিত।
ধন্যবাদ

৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৫৮

রিয়াজ উল বলেছেন: আপনি কি শিয়া নাকি কাদিয়ানি?

০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:২৯

ঝড়১২৩ বলেছেন: ভাই মানুষ।
এক সত্য যা লুকিয়ে আছে ১৫০০ বছর, তাই মানুষের সামনে তুলে ধরছি। তাই সবাই একটু ...।বাপদাদা জন্মসূত্রে প্রাপ্ত ধর্ম ও নামে মুসলিমত তাই মেনে নিতে ...।

এখন সারাজীবন ২নং খাবার খেয়ে অভ্যস্থ, খাটি জিনিস পেটে গেলে প্রবলেম হবেই।

৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:০০

ঝড়১২৩ বলেছেন: কেন ভাই শিয়া কি মানুষ না? তারা কি আল্লাহ নাম নেয় না মুখে? তোমরা নিলে পুন্যি আর তারা নিলে পাপ, ভালোইত ধর্ম কর্মের জাহাজ হয়েছেন। হ্যা বলতে হয় যুগের হাওয়া, সেটা হলো আমি খাস সুন্নি। আমি মানুষ। আর মানুষকে মানুষ থেকে আলাদা করছ, জাতে পাতে ভাগ করছ, আবার মুসলমান সাইনবোর্ড লাগিয়েছ বুকে??? আল্লাহ কি শিয়া না সুন্নি? তিনি যা মানুষও তাই। মানুষের কোন জাত হয়না। মানুষ এক জাত।

৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:০১

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: হয় আমাদের জানায় গলদ্‌ আছে নয় আপনার বোঝায় গলদ্‌।
একটু সময় দেন।
:)

০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:২২

ঝড়১২৩ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। এই রকম মন্তব্যই বেশি ভালো লাগে। আসুন আমরা খুজি। কোথায় গলদ। অনেক কিছু নিয়ে আলোচনায় আসতে হবে। নিরপেক্ষ, সত্য দৃষ্টিপাত দেই ইতিহাসের পাতায়। সবার কথা দেখি। তথা কথিত সুন্নি, ওহাবী, খারেজী, এই সকল অতি মাত্রার ব্যক্তি বর্গের দ্বারা যে সকল ইতিহাস লেখা হয়েছে সেখানে এ ঘটনার কোন কথাই লেখা নেই। হ্যা ইহা সত্য যে শিয়ারা এই নিয়ে কথা বলে বেশি। তাদের কথাই ভুল, আর এই সকল অতি মাত্রায় আস্তিক (জীব) সঠিক এটাও সত্য হয় কিভাবে? ওদের সমস্ত হাদিস, ফেকা, ইতিহাস ভুল হলে এদেরটা কোন জায়গায় এমন সত্য লুকায় আছে? সবাইত এক আল্লাহ, আল্লাহ রসুলের কথা বলছে। এর ভিতর এক দল আল্লাহর রসুল, ও তাঁর বংশধরদের গুনোগান করছে।
ওয়ায়েছ করনী যিনি সেই সময়কার বিখ্যাত এক সাধক ছিলেন, যার প্রেমের উদাহরন নবী (সাঃ) এর প্রতি এক দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে, সেই ওয়ায়েছ করনী মাওলা আলী(আঃ) নিকট বায়াত হন, এবং তিনি ও তাঁর ভক্ত, অনুসারীগণ সকলেই আবু বকর (রাঃ), ওমর (রাঃ) , ওসমান (রাঃ) – ইনাদেরকে ঘৃনা ছাড়া কিছু প্রদর্শন করতেই পারেনা।
যাইহোক এর পরবর্তিতে এই তিন খলীফার খেলাফতের অর্জন লিখব।

৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:০৪

ঝড়১২৩ বলেছেন: কেন ভাই শিয়া কি মানুষ না? তারা কি আল্লাহ নাম নেয় না মুখে? তোমরা নিলে পুন্যি আর তারা নিলে পাপ, ভালোইত ধর্ম কর্মের জাহাজ হয়েছেন। হ্যা বলতে হয় যুগের হাওয়া, সেটা হলো আমি খাস সুন্নি। আমি মানুষ। আর মানুষকে মানুষ থেকে আলাদা করছ, জাতে পাতে ভাগ করছ, আবার মুসলমান সাইনবোর্ড লাগিয়েছ বুকে??? আল্লাহ কি শিয়া না সুন্নি? তিনি যা মানুষও তাই। মানুষের কোন জাত হয়না। মানুষ এক জাত।

৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৩৯

মহি আহমেদ বলেছেন: যা হয় নাই তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে লাভ নাই । ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয় নবী (সঃ) অসুস্ত হলে হজরত আবুবকর ইমামতী করতেন তাছাড়া আবুবকর, ওমর ও উসমান (রাঃ) দের খিলাফতের সময় হজরত আলী বিভিন্ন দায়িত্বপূর্ন পদে কাজ করেছেন। ইসলামের প্রথম তিন খলিফাদের সঙ্গে হজরত আলীর কোন বিরোধ ছিলনা। আপনার এ তথ্য শীয়া স্কুলের চিন্তাধারা প্রভাবিত বলে মনে হয় । সে যাক ইসলামী পুর্নজাগনে বা বিশ্বের মুসলমানদের মাঝে একতা আনতে এসব তথ্য কোন কাজে আসবে না বলে মনেকরি।

হজরত আলী একজন অসাধারন ব্যক্তিত্বের অধিকারী অত্যন্ত সাহসী, জ্ঞানী এবং সুন্দর মানুষ ছিলেন যা ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। তিনি কত গনতন্ত্রমনা পরমতসহিষ্নু লিডার ছিলেন তার প্রমান মিলে তাঁকে যখন খারেজিরা অবিশ্বাসি বলে গালি দেয় তখন তাদের বিরোদ্ধে মিলিটারী পদক্ষেপ নিতে সবাই বল্লে তিনি রাজী হন নাই এই বলে যে ওটা তাদের একটা অভিমত তা বলতে দাও।

কাদরীয়া দরবার শরীফ কি জানিনা। উনারা ইসলমের খেদমত কি ভাবে করছেন জানতে চাই? পরিবারতন্ত্রের পাগল সব যুগেই ছিল এখনও আছে।
আল্লাহর কাছে একমাত্র সেই সম্মানিত যে তাকওয়া অবলম্ভন করে।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:২৪

ঝড়১২৩ বলেছেন: কি ছিল কি ছিলনা সেটাই তুলে ধরছি। হ্যা, এই সত্য নিমজ্জিত ছিল, তাই প্রকাশ করছি। সমস্যা এখানেই যে আমরা যা শুনে এসেছি তার বাইরে কিছু নতুন আসলেই আমরা গ্রহণ করতে পারিনা, মানতে নারাজ। তবে সত্য যখন যেরুপেই আসুক না কেন তা সত্য। ইহা জানতে যদি সমস্যা মনে হয় তাহলে তা আপনার ব্যক্তিগত ব্যপার।
আমার এই লেখা আপনাকে মানতেই হবে সেই জোড় আমি করছিনা, বরং তা কেউই করেনা। আমি সুধু সত্য কিছু প্রকাশ করছি। বাকিটা আপনার ব্যাপার।
আমার পরবর্তি সকল লেখা পড়ার আমন্ত্রন রইল তখনত আমাকে মনে আরো কত কি বলবেন জানিনা। তবে প্রকাশ করব।

১০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:৩১

জয়নাল আবেদীন বলেছেন: লেখক বলেছেন...এক সত্য যা লুকিয়ে আছে ১৫০০ বছর।তাই মানুষে সামনে তুলে ধরতেছেন।আপনি কি চাইতেছেন শিয়া মতবাদ জিন্দা করিতে।চালাই যান,,,,

০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:২৮

ঝড়১২৩ বলেছেন: না। শিয়া মতবাদ নয়, বরং সত্য প্রকাশ করা। ঘুনে ধরা এই সমাজকে ...না ঠিক করা সম্ভব নয়। থাউক। এমনি সত্য একটা ঘটনা লিখছি যার বিশ্বাস হবে, সে পড়বে, যার হবেনা ছুড়ে ফেলে দিবে। পাঠকের মর্জি। যারাই এখানে ইসলামের খুব জাননে ওয়ালা ভেবে বসে আছে তারাও স্বীকার করবে আজ ইসলাম কত টুকরায় ভাগ হয়েছে, কিভাবে এর অপব্যবহার চলছে। আমার এই লেখা গুলো পড়লে আশা রাখি তার মূল ধরা যেতে পারে।
ইসলামের ভঙ্গন, পতন কিভাবে, কখন থেকে শুরু হয়।
ধন্যবাদ

১১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:৩৬

বুদ্ধিজিবী বলেছেন: মাইনাস -

ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞ্যান অর্জন করুন...অতপর হাতে কলম নিন...

০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৪৭

ঝড়১২৩ বলেছেন: একটা ইতিহাসের একদিনের ছোট একটা ঘটনা লিখলাম মাত্র। এতেই "সঠিক জ্ঞ্যান অর্জন" নিয়ে দৌড় পারাইলেন? আর আমার লেখায় যে রেফারেন্স দিয়েছি, বা যা লিখেছি সেখানে কোরানের আয়াত লিখেছি, হাদিসও লিখেছি। বাদ দেই নাই কিছুই। আমার কোরানের আয়াত যা লিখেছি বলেন সেখানে কোথায় ভুল আছে? শানে নজুল দিয়েছি, হাদিস সহকারে দিয়েছি।
তবে সবাইকে আবারও বলে রাখি ভাই, বানানগত ভুল ধইরেননা।
ধন্যবাদ

১২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:৫৮

ডিজিটালভূত বলেছেন: ইসলাম সম্পর্কে জানতে কুরআন ও হাদীস অধ্যায়ন করুন। যা লিখলেন সবই বাজে কথা আর ইসলামকে বিকৃত করার অপচেষ্টা। অন্য সব নিয়ে বাজে কথা লেখা যায়, আল্লাহ, ইসলাম, নবী নিয়ে নয়। সব কথা ও কাজে আল্লাহর কাছে জওয়াদিহিতার ভয় করুন।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৫১

ঝড়১২৩ বলেছেন: একটা ইতিহাসের একদিনের ছোট একটা ঘটনা লিখলাম মাত্র। এতেই কোরান হাদিস নিয়ে দৌড় পারাইলেন? আর আমার লেখায় যে রেফারেন্স দিয়েছি, বা যা লিখেছি সেখানে কোরানের আয়াত লিখেছি, হাদিসও লিখেছি। বাদ দেই নাই কিছুই। আমার কোরানের আয়াত যা লিখেছি বলেন সেখানে কোথায় ভুল আছে? শানে নজুল দিয়েছি, হাদিস সহকারে দিয়েছি।

আপনে কি আমার লেখা পড়েছেন? আল্লাহ, নবী নিয়ে এখানে কি বাজে কথা বলছি বলেন? একটা একটা করে বের করে দেন।
তবে যারা বিশ্বাস করবেন না সেটা তাদের ব্যপার, শুধু ইতিহাস হতে ১৮জিলহজ্জ্ব তারিখের ঘটনা পড়বেন, ঐ দিন কি হয়েছিল। আমারটা পড়তে হবে বলছিনা। এখানে আমি তেমন কিছুই বলিনি।
শুধু বলেছি, ঐ দিন এক অভিষেক ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছি, যেখানে নবী (সাঃ), মাওলা আলী (আঃ)-কে মাওলাইয়েত দান করে গিয়েছিলেন, তার স্থলাভিষিক্ত করে গিয়েছিলেন, তাঁর প্রতিনিধী করে গিএয়ছিলেন। বলেন এখানে আল্লাহ ও রসুল নিয়ে কি বাজে কথা বললাম?

১৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:০০

কালীদাস বলেছেন: ভাল পোস্ট দিছেন। মাইনাস, ভুল ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৫২

ঝড়১২৩ বলেছেন: ভাই ব্যাখ্যা কোনটা ভুল সেইটা বলে যান, কেননা আপনার মন্তব্য আর এক জন এসে পড়বে। সে কি বুঝবে? যদি ব্যাখ্যা কোথাও ভুল করে থাকি সেটা বলেআ যান, সাথে আপনে সঠিক ব্যাখ্যা দিয়ে যান। কেননা আপনার মন্তব্য আর একজন পড়বে।

যারা সঠিক ব্যাখ্যা জানেন, সে লিখে জানান দয়া করে। গাদিরে খুম ঘটনা কেউ কি জানে? নাকি আপনারা সবাই এই ঘটনা বলে কিছু সেটাই বিশ্বাস করছেন না? আপনারা কি সমস্ত ঘটনাই অস্বীকার করতে চাচ্ছেন? সেটা বলে জান?

আবারো বলছিঃ গাদিরে খুমের ঘটনাবলীর উল্লেখ রয়েছে এমন কিছু পুস্তকের নামঃ
১। তফসীরে দুররে মনসুর- জালাল উদ্দিন সিউতি
২।দি শিয়া আইট রিলিজিয়ন- ডোরায়েট এম। ডোনাল্‌ড্‌ সেন
৩।আল গাদির- দানেশ মন্দ মহরম শেখ আবদুল হোসাইন আহমদ আমিনী।
৪।তফসীরে আল কাশশাফ ওয়াল বায়ান- আবু ইসহাক সায়ালবী।
৫।মসনদ- ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল।

১৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:১৮

মাছুম পলাশ বলেছেন: ভাল লাগে নাই। নববর্ষের শুভেচ্ছা এবং প্রথম মাইনাস আপনাকেই দিলাম।

১৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:০১

ঝড়১২৩ বলেছেন: আপনাকেও নবর্ষের শুভেচ্ছা। ধন্যবাদ
আর ভালো লাগা না লাগা তা একান্তই আপনার ব্যাপার। আমি কোন রচনা সামগ্রী, কবিতা, রসনা মুলক বা অন্য কিছু উপন্যাস লিখিনাই। এখানে সত্য একটা ঘটনা লিখলাম। এরপরের রচনা পড়ার নিমন্ত্রন রইল।

১৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪১

জেড ইসলাম বলেছেন: এই ক্যানভাসারে আপনি কি নিয়োগকৃত নাকি স্বেচ্ছাসেবক ?
এতদিন পরে আইছেন আপনি সত্য ঘটনা জানাইতে, আপনার উপরে কি অহি নাজিল হইছে নতুন কইরা ?

মাইনাস ছাড়া আপনেরে আর কিছু দেওয়ার নাই আপাতত।

১৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০৯

ঝড়১২৩ বলেছেন: ঐ মিয়া পইড়ে দেখেন কি লিখছি তারপর কন যে ঠিক আছে কি না। এত বাজে কথা কন কিলা?
এতদিন পরে আইছেন আপনি সত্য ঘটনা জানাইতে-ভাবখান এমন যেন আগেই জানতেন? তো আর কি জানেন সেইটা জানান।
সবকয়জনরে দেখলাম, সত্য জানার ইচ্ছাতো নাই, বরং কেউ বললে তারেও উলটা পালটা কথা বলতে বাকি রাখেনা।

আপনে মাইনাস ছাড়া দেয়ার আর আছে কি আপনার? প্লাস দিতে বিবেক লাগে সেইটা আপনার নাই।

১৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:২২

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন:


হা হা হা ! চরম বিনোদন!

ফারুক৫৫, তুষারপাত নিকগুলো যখন আর বেইল পায় না সেই সময় ঝড়১২৩ এর আবির্ভাব!!!

চালায়া যান! আমাদের একটু মজা লুটতে দেন!!! =p~ =p~ =p~ =p~

০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৩৪

ঝড়১২৩ বলেছেন: পড়ে বুঝছেন, নাকি এমনি কতগুলো আরবী নাম পড়ে, নবী-রাসুল শব্দ পড়েই হেসে উড়ায় দিলেন?

১৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৪৭

নাজনীন১ বলেছেন: সূরা ইমরানের ৬১ নং আয়াত, শব্দটা "মুবাহালা" হিসেবে জানি। আর ঐ দিনের ব্যাপারে বুখারীর হাদীসে আবু উবাইদার কথাই মূলত উল্লেখ আছে, যাকে রাসূল(সাঃ) প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছিলেন। আর অন্যান্য কোন কোন সাহাবী সাথে ছিলেন স্পষ্ট উল্লেখ নেই।


সূরা মায়েদার ৬৭ নং আয়াত, ওমর(রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস থেকে জানা যায় "আজ এই দ্বীনে তোমাদের জন্য আমি দ্বীনকে পূর্ণ করলাম..।......।" (সূরা মায়েদার আরেকটি আয়াত) এ আয়াতটি সর্বশেষ নাজিলকৃত আয়াত, যেটা বিদায় হজ্জের আরাফাতের দিনে(৯ই জিলহজ্জ) শুক্রবারে নাজিল হয়। আর বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসূল(সাঃ) মুসলিমদের কাছ থেকে সাক্ষ্য নেন যে তিনি সবকিছুই বলে গেছেন, কোন আয়াত গোপন করেননি। তাহলে ১৮ই জিলহজ্জ আবার আয়াত নাজিল হয় কিভাবে?




[[গাদিরে খুমের ঘটনার একটি প্রমান হলো, ইমাম আহমদ তাঁর “মুসনদ” গ্রন্থে রিয়াহ ইবনে হারিস হতে দুটি সূত্রে বর্ননা করেছেনঃ
একদল লোক হযরত আলী (আঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, হে আমাদের মাওলা ! আপনার উপর ছালাম। হযরত আলী (আঃ) তাদেরকে প্রশ্ন করলেন তোমরা কারা? তারা বললঃ- হে আমিরুল মুমেনীন ! আমরা আপনার অনুগত ব্যক্তি। হযরত আলী (আঃ) বললেনঃ- আমি তোমাদের মাওলা কিরুপে হইলাম, তোমরাতো আরব! তারা বলল গাদিরের দিনে আমরা রসুল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি- “আমি যার মাওলা এ আলীও তাঁর মাওলা”।]]

------ তার মানে কি? আলী (রাঃ) নিজেই যেটা জানতেন না, সেটা অন্যরা জানতো? আপনার যুক্তি কি বলে?




আর আবুবকর(রাঃ), ওমর(রাঃ), ওসমান (রাঃ) র ব্যাপারে যে হাদীসগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো কি অস্বীকার করেন? বুখারী শরীফের হাদীসের ব্যাপারে আপনার ধারণা কিরূপ?

০২ রা জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:১৮

ঝড়১২৩ বলেছেন: আর আবুবকর(রাঃ), ওমর(রাঃ), ওসমান (রাঃ) র ব্যাপারে যে হাদীসগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো কি অস্বীকার করেন? বুখারী শরীফের হাদীসের ব্যাপারে আপনার ধারণা কিরূপ? – ধীরে ধীরে পোষ্ট দেই, দেখুন যতটুকু জানি জানায় দিব ঈশারা ঈঙ্গিত দিয়ে। বাকিটা আপনারা বিজ্ঞ পাঠকের কাছে থাকল। আপনারা বিচার বিশ্লেষন করবেন কোনটা কেমন।
হাদীস অস্বীকার বলতে কি বলব? সব যে মিথ্যা ঢালাও ভাবে বলা যাবেনা, আবার সব যে সত্য, সেটাও বলা যাবেনা। আমি হাদীসের সত্যতা বলতে লিখা শুরু করিনাই, সেটা আলাদা বিষয়।
বোখারী নিয়েও কিছু লিখছিনা। তবে কিছু জিনিস আপনাকে জানাই। সেটা হলঃ

নবীজির (সাঃ) দেহত্যাগের দুইশত বছর পর এসে হাদীস সংগ্রহ করেন, যখন ইয়াজিদের উত্তরসুরীরা, আব্বাসীয় বংশ, খারেজী মতবাদ সব মিলায় এক সুন্দর খিচুরী তৈরি ছিল। সেই সময়কার সংগ্রহ করা হাদিস। আবার তাও দেখুন দুইশত বছর পর। আমি কোন মতামত দিচ্ছিনা। ভাবা, চিন্তার দায়িত্ব তো আপনাদের। আমার ভাবার যা তা আমি ভেবে নিয়েছি। তারপর বলুনঃ সেই সময় কি আরব দেশে বা তার আশে পাশে কোন জ্ঞানী, আলেম ছিলনা (?) যারা হাদিস সংগ্রহ করতে, লিপিবদ্ধ করতে পারত? সেই রাশিয়ার বুখার নগর থেকে সে দৌড়ায় চলে আসলেন। এইটা কেমন হইল বলেনত? আমি বলছিনা বোখারী সব হাদিস মিথ্যা, বানোয়াট, মানিনা। তবে ভেবে দেখার অনেক বিষয় আছে। আজকাল্কার আলেমরা যা করে সেটা হল কোরানের পরেই বোখারী নিয়ে আসে, ইহা জঘন্য তম অপরাধ। ভুল, বোকামী। তারা হাদিস দিয়ে কোরান ব্যাখ্যা করেন। অথচ কোরানের মানদন্ড একমাত্র কোরানই। হাদিস কোনটা সঠিক ভুল সেটার মানদন্ড কোরান। যাইহোক ইহা চ্যপ্টার ব্যতিত কথা বার্তা। পরে এই নিয়ে হবে কথা।

ধন্যবাদ। পরে লিখছি। দেখুন আর একটা কথা সেটা হলো, দেখুন চিন্তার খোরাক দেয়া যায় , চিন্তা করায় দেয়া যায়না। ইহা আপনার তকদির, পড়েছেন অনেক কিছু সত্য মাথায় না ...।।

২০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:১৯

সৈয়দ বলেছেন: জানিনা আপনি কোথা থেকে সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু আমি যা পড়েছি তা হল গাদীরে খুম নামক স্থানে নবী করিম(সা.) সুরা মায়দার ৬৭ নং আয়াতরে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। অর্থাৎ বলেছিলেন সেই দিন দ্বীন পরিপূর্ণতা লাভ করেছিল।
এই কথা যে তফসীরগুলোতে দেখতে ফাবেন:
দুররে মনসুর ৩:১৭, কাবীর ১২:৫০,মানারীজ ২:৮৬, আলুসী ২:৩৮৪
ইতিহাসের যে বইতে আছে:
তারিখে দামেস্ক ২:৮৬, ফাতহুল কাদীর ২:৬০
এ ছাড়া:
য়ুনাবীয়ুল মুয়াদ্দাত পৃ:১২০,উমদাতুল কারী ফি শারহে বুখারী ৮:৫৮৪, ফারায়েযুস সিমতাইন ১:১৮৫ ইত্যাদি।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৫৯

ঝড়১২৩ বলেছেন: আপনারটাই ঠিক।
ধন্যবাদ; লিখিবার সময় ভুল করেছি। দু:খিত।লজ্জিত।

২১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৩৪

সৈয়দ বলেছেন: অবশ্য আবু বকর(র) ও ওমর(র) বাখ্যেন বাখ্যেন বলে আলীকে মোমেন ও মোমেনার মাওলা হবার স্বাগতম জনালেন তা অস্বীকার করা যায়না। আর এ কথাটি যাহারা উল্লেখ করেছেন:
তফসরি আল কাবীর ১২:৪৯, তারীখ আল খতীব ৮:২৯০, কানজুল উম্মাল ৬:৩৯৭, আল রিয়াজুন নাজরা ২:১৬৯, মুসতাদরক হাকেম ৩:১০৯।
তবুও আরও লেখাপড়ার অবকাশ রাখে।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:০১

ঝড়১২৩ বলেছেন: ধন্যবাদ

২২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:৫৭

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: পুরাই মাইনাস...................।নতুন আবালের জন্ম দেখলাম। লেখার টাইটেল দেইখাই মাইনাস দেয়া যায় না পড়লেও চলে। হযরত আলী (রাঃ) লিখেন মাওলা আলী (আঃ) লিখছেন কেন? ব্লগের সবাইরে কি আপনার দরবার শরীফের ঊঠানে থাকা গরু ছাগল মনে হয়।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৫৪

ঝড়১২৩ বলেছেন: আপনার পড়াও লাগব না। ইহাত সবার পড়িবার নয়, হায়ওয়ানি আত্নার মানুষের জন্য ইহা নয়। আর (আঃ) কেন দিছি সেটা বুঝবেন না। দেখুন আগে নিজের ভাষা সংযত করুন অতঃপর এই বিষয়ে লিখতে বা মন্তব্য করতে আসুন। মানুষ হওয়ার পরে ধর্ম, পশু পাখির জন্য কি ধর্ম বলেন?

২৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১৪

নাজনীন১ বলেছেন: হুদায়বিয়ার সন্ধির পরের বছর যে হজ্জ কাফেলা মদীনা থেকে গিয়েছিল সেখানে রাসূল(সাঃ) নিজে ছিলেন না, আবু বকর(রাঃ) কে সেই কাফেলার নেতা বানিয়েছিলেন। রাসূল(সাঃ)র বিদায় হজ্জের কথাই জানি, যে এটা দিয়েই তিনি সরাসরি সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন হজ্জের নিয়মাবলী। তবুও ৭ম হিজরীর ব্যাপারটা আরেকটু ক্রসচেক করতে হবে।

২৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:১৩

কানা বাবা বলেছেন:
তায়েফ ভাই সাহেবের ওপেক্ষায় রৈলাম্...
পুস্টে পিলাচ্...

২৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৩০

কার্ল মার্কস বলেছেন: শুরু করি মুর্শিদের নামে ... জয় গুরু


বাঙালী মুসলমানের ব্যারাম ধরতে পারছিলেন মৌলভী আহমদ ছফা।
বাঙালা মুসলমান হইলো ক্লাসিক্যাল এজ্ঞনস্টিক। তাগো স্রষ্টার একত্ব জ্ঞান বড়ই হেজিং। তাগো আল্লাহর ঈমান জোরদার করনের আগে রামায়ন মহাভারত এবং উপনিষদ পাঠ জরুরী। বিশ্বাস- কি জিনিস বাঙালী মুসলমান রে তা জানতে হইবো এ অঞ্চলের ইতিহাসের মধ্য থেকে।
আপ্নারে ধন্যবাদ, তয় সময় লাগবো। যারাই আপ্নারে নেতিবাচক কথা কইছে তারা ইতিহাসের একাংশ+ ধর্মের একাংশ+বিশ্বাসের ভজঘট নিয়া আছে।

২৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪০

মোহাম্মদ লোমান বলেছেন: ভাইজান সালাম নেবেন। ফারুখ৫৫ এবং আরো কয়েকজন কাদিয়ানী মতবাদ নিয়ে খুব তোড়জোর শুরুকরেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ব্লগ ছেড়ে ভাগতে বাধ্য হয়েছেন।

আপনি শিয়ামতবাদ নিয়ে কিছু একটা করেফেলার খেলায় মেতেছেন। সুবিধা করতে পারবেন না মনে হয় এখানে। মুসলমানেরা রাজনৈতিক ভাবে দ্বিধা বিভক্ত হলেও এখানে কিন্তু ঐক্যবদ্ধ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.